আমার ছেলেবেলার জ্বিনগুলি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/১১/২০০৭ - ৯:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শৈশব মানে গল্প শোনার দিন। আমার গল্প শোনা শুরু হয়েছিল - জ্বিন পরী ও ভূত প্রেতের কাহিনী ঘিরে। সকালে দলবেধে মক্তবে যেতাম আরবী পড়তে। মাটির দালানে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে ভীষণ আগ্রহে আরবী পড়া। প্রথমে কায়দা, তারপর সিরফা, সবশেষে কোরআন শরীফ। বইগুলো বাড়ী আনতাম না। মক্তব ঘরের বইয়ের তাকে রেখে আসতাম। আমাদের প্রবল বিশ্বাস - রাতের বেলা 'উনারা' (নাম মুখে নেয়া বারণ!) ইবাদতে আসেন মক্তব ঘরে, আমাদের রেখে যাওয়া বইগুলো পড়েন। কোনোদিন আমার কায়দা 'উনাদের' নজরে পড়তো না বলে ভীষণ মন খারাপ করতাম। ওদিকে বাবু-আরিফ-শহীদরা খুশি। কারণ, তাদের কায়দার পাতার ভাঁজে রাখা ময়ুরের পালক ঠিক জায়গায় নেই। দশ নম্বর পাতা থেকে আঠারো নম্বর পাতায় চলে গেছে। সকালের আলো ফোটার সাথে সাথে নিশ্চয় 'উনারা' তাড়াহুড়া করে ময়ুরের পালক ভুল পাতায় রেখে চলে গেছেন!

আমাদের বন্ধুদের মাঝে চলতো গল্প বিনিময়। মোটামুটি সবাই জ্বিন দেখে ফেলেছে, আমি বাকি। অনেক চেষ্টা করেও জ্বিন দেখি না। একদিন শুক্রবারে গেলাম মক্তব ঘরের কাছে, সাহস করে জানালায় তাকাতেই দেখি কালো বিশাল কিছু একটা দাঁড়িয়ে আছে। চারকোণা মাথা, কালো স্বচ্ছ শরীর। এপাশ থেকে ওপাশে দেখা যাচ্ছে। আমি ভয়ে দিলাম দৌড়। আমার দৌড় দেখে মক্তবের সামনে ঘাস খাওয়া ছাগলটা তেড়ে আসলো আমার দিকে। এবার আমি জান-প্রাণ নিয়ে দৌড়। পরদিন গল্পের আসরে জ্বিনের দাঁতগুলো অনেক বড় বড় হয়ে গিয়েছিলো, আর আমি রাস্তা পার হয়েছিলাম ঐ ছাগলের পিঠে ভর করে!

স্কুলে যাওয়ার পথে ছিল বড়সড় বাঁশ ঝাড়। তার পাশে বিশাল এক তাল গাছ। ছোট্ট শরীরের উপর ভর করে মাথা তুলে উপরে তাকিয়ে নিমিষেই গুনে দেখেছি - একশ' হাতের চেয়েও লম্বা ঐ তাল গাছ। বাতাস বইলেই বাঁশ ঝাড়ে এক অদ্ভুত শোঁ শোঁ শব্দ হতো। মনে হতো বাতাস ভেদ করে কেউ যেন ধেয়ে আসছে। অসংখ্য দিন মোড়ে এসে দাড়িয়ে ছিলাম কারো সংগী হবো বলে, একা একা ঐ রাস্তা পার হতাম না ভয়ে। একদিন স্কুলে যাওয়ার সংগী কেউ নেই। ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বসে আছি। একটাই ভয়, পথের ঐ তাল গাছ। হঠাৎ ছোটো কাকা পরামর্শ দিলো - যাওয়ার পথে তালগাছের দিকে তাকিয়ে 'স্লামালাইকুম জ্বিন মামা' বলে গেলে কোনো সমস্যা হবে না। দুরুদুরু বুক নিয়ে রওনা দিলাম। তালগাছের কাছে আসতেই সেই বাঁশ ঝাড়ের বাতাস, সাথে আচমকা উপর থেকে কোন গাছের ডাল যেন ভেঙে পড়লো। আমি চিৎকার করে সালাম দিয়েই দৌড়। তবুও বিশ্বাস জন্মে - সালাম দেওয়ায় সেদিন জ্বিনটা আমাকে মাফ করে দিয়েছে, নইলে তো ঘাঁড় ধরে এক টানে এক্কেবারে তাল গাছের উপরে নিয়ে যেতো! এরপর বন্ধুরা এক সাথে আসা যাওয়ার পথে আস্তে করে বিনয় নিয়ে তালগাছকে সালাম দিই। ঐ তাল গাছ এবং তালগাছের বাসিন্দা জ্বিন মামারা প্রায়ই আমাদের কোমলমতি স্বপ্নে এসে দেখা দিতো। যারা সালাম দিতে ভুলে যেতো, ওরা রাতে স্বপ্ন দেখতো সাদা পাঞ্জাবী পড়া, লম্বা দাঁড়ির কেউ একজন ভয় দেখাচ্ছে! একবার বাংলা পরীক্ষার দিন আমি জ্বিন মামাদের সালাম দিতে ভুলে গেলাম, সেজন্যই বানান ভুল করে নম্বর কম পেলাম!

পাশের বাড়ীর ইরান কাকা আসতেন আমাদের অংক শেখাতে। বিশাল বিশাল গুন অংক, তিরিশ হাজার তিনশ তিরিশকে তিন হাজার তিনশ তিরিশ দিয়ে গুন করলে কতো হয়! এরকম অংক, ভুল হলে আরো বড় অংক দেয়া হতো। একবার ইরান কাকা একটানা তিনদিন আসলেন না। পরে আমরা জিজ্ঞেস করলাম - কোথায় গিয়েছিলেন?
ইরান কাকা বললেন - 'রোকাম শহরে'।
রোকাম শহর? এটা আবার কোথায়?
উত্তরে যা শুনলাম! শুনে আমাদের গায়ের লোম খাড়া হয়ে উঠে।
রোকাম শহর হলো জ্বিনেদের শহর। ওখানে কেবল জ্বিন-পরীরা থাকে।
শুনলাম, ইরান কাকাকে নাকি একবার জ্বিনেরা তুলে নিয়েছিল। তখন তিনি কলেজে পড়তেন। একদিন রাত জেগে পড়ছেন। হঠাৎ দরজায় টোকা। ভাবলেন - বন্ধু বান্ধব কেউ হবে। দরজা খুলতেই দেখেন, দুইজন হুজুর দাড়িয়ে। হাতে মিষ্টির বাটি। ইরান কাকার মাথায় ফুঁ দিয়ে এক হুজুর বললো - 'অনেক রাত জেগে পড়ালেখা করিস, নে মিষ্টি খা।‘ মিষ্টির ঘ্রাণ নাকি এতোই মোহনীয় ছিল, ইরান কাকা নিজেকে সংবরণ করতে পারলেন না। একটি মিষ্টি মুখে দেয়ার পর আর কি হলো মনে নেই। ঘুম ভেঙে দেখেন বিশাল এক খাটে উনি শুয়ে আছেন। চারপাশে জ্বিনেরা দাড়িয়ে আছে। কেউ বিশাল পাখা দিয়ে বাতাস করছে। উনি তখন রোকাম শহরে। তারপর জ্বিনের রাজা দেখা করতে এলো। বললো - ইরান কাকাকে রোকাম শহরে থেকে যেতে হবে। বাচ্চা জ্বিনদের জন্য নতুন স্কুল খোলা হয়েছে। সেখানে অংক মাস্টারের অভাব। তাই পৃথিবীতে ঘুরে ঘুরে অংকের মাস্টার জোগাড় করা হচ্ছে। ইরান কাকার নাম ওদের লিস্টে গেছে। ইরান কাকা রাজী হলেন না, কান্নাকাটি শুরু করলেন। জ্বিনরা অনেক সুন্দর সুন্দর শার্ট উপহার দিলো, দারুণ দারুণ মজাদার সব খাবার। এরপরও ইরান কাকা বললেন - 'আমি রোকাম শহরে থাকবো না, আমাকে বাড়ী দিয়ে আসো।' শেষে জ্বিনেরা রাগ করে তাকে এক ঘরে বন্দী করে রাখলো। খাওয়া দাওরা বন্ধ। এদিকে ইরান কাকার বাবা-মা কান্নাকাটি করে অস্থির। সাত-পাহাড়ের পীর আনা হলো। তিন দিনের মাথায় পীর খুঁজে পেলো - ইরান কাকা রোকাম শহরে বন্দী। চেষ্টা তদবীর করে জ্বিন রাজার সাথে বৈঠক বসানো হলো। অনেক বুঝিয়ে দেন-দরবার করে ইরান কাকাকে ফিরিয়ে আনা হলো। এরপরও জ্বিনেরা ইরান কাকার পিঁছু ছাড়লো না। মাঝে মাঝে রোকাম শহরের ঐ স্কুলে যেতে হয় বার্ষিক পরীক্ষার সময়!

তখন ক্লাস থ্রি-তে পড়ি। একদিন হঠাৎ করে আমাদের ক্লাসের শাহাবুদ্দিনকে জ্বিনে ধরলো। ক্লাসের মাঝে হো হো হাসি দিয়ে সবাইকে ভয় পাইয়ে দিলো। একে ভয় দেখায়, ওকে ভয় দেখায়। আমরা কেউ ওর পাশে বসি না। শাহাবুদ্দিন একা একা কথা বলে, গান গায়, হাসে। হুজুর স্যার এসে শাহাবুদ্দিনের মাথায় দোয়া-দুরুদ পড়ে ফু দিলেন। শাহাবুদ্দিন স্যারের দিকে বড় বড় চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকলো। হুজুর স্যার অফিসে গিয়ে বললেন, খুব খারাপ জিনিস ভর করেছে। এটা আবার আমাদের তাজুল ইসলাম শুনে ফেললো। আমাদের সবার কানে কানে খবর হলো - খুব খারাপ জিনিস ভর করেছে। শাহাবুদ্দিনের বাড়ীতে খবর পাঠানো হলে তার বাবা-মা এসে নিয়ে গেলো। এরপর আমাদের মাঝে শাহাবুদ্দিনকে নিয়ে নানান গল্প হয়। কেউ কেউ বললো - জ্বিন নয়, শাহাবুদ্দিনকে পরী ধরেছে। আরেকজন ধমক দেয় - পরী ধরে সুন্দর সুন্দর ছেলেদের। শাহাবুদ্দিনের মতো ভুটকাকে পরী ধরবে কোন দু:খে? দশ পনের দিন পরে শাহাবুদ্দিন স্কুলে ফিরলো। হাতে তাবিজ, গলায় মাদুলি। মাথায় সুগন্ধি তেল। সাহসী কয়েকজন শাহাবুদ্দিনের পাশে গিয়ে বসে। শাহাবুদ্দিন কোনো কথা বলে না। খাতার মধ্যে কী কী সব আঁকিবুকি করে। টিফিন আওয়ারে দেখা গেলো শাহাবুদ্দিন পিপড়া খাচ্ছে , দেয়ালে সারি বেঁধে চলা পিপড়াদের ধরে একটা একটা করে মুখে পুরে দিচ্ছে। কে একজন গিয়ে হুজুর স্যারকে খবর দিলো - 'স্যার শাহাবুদ্দিন পিপড়া খায়।' স্যার ধমক দিলেন - 'শাহাবুদ্দিন খায় না, জ্বিনে খায়।'
খারাপ জ্বিনটা আর শাহাবুদ্দিনকে ছাড়লো না। জ্বিন শাহাবুদ্দিনের স্কুলে আসা ওখানেই শেষ। শুনেছি, পরে শাহাবুদ্দিন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল।

পরিশিষ্ট:
সময়ের সাথে অনেক কিছু পাল্টে গেছে। মাটির দালানের মক্তব ভেঙে গেছে একানব্বইয়ের ঘুর্নিঝড়ে। ইরান কাকা অনেক বছর হলো মিডল ইস্টে। কে জানে হয়তো ওখান থেকেও রোকাম শহরের স্কুল-কলেজ পরিদর্শনে যায়! শাহাবুদ্দিনের কোনো খবর পেলাম না। তবে পুরনো বন্ধুরা তাকে জ্বিন শাহাবুদ্দিন বলেই স্মরণ করে। গতবার গ্রামে গিয়ে দেখি তালগাছটি নেই, বাঁশ ঝাড়ও হাল্কা হয়ে এসেছে। ছেলেমেয়েরা দল বেধে স্কুলে যাচ্ছে। ওদের মনে তালগাছ কিংবা জ্বিন বিষয়ক কোনো ভীতি আছে কিনা জানি না। তবে মাঝে মাঝে অলস দুপুরে আমার স্মৃতিতে ভর করে ছেলেবেলার জ্বিনগুলি!


মন্তব্য

বোতল জ্বিন এর ছবি

এই লেখাটা পড়ে সবচে মজা পাইসিলাম। হাসি

জ্বিনদের নিয়ে ঠাট্টা করার জন্যে শিমুলের শাস্তি,,
"তিরিশ হাজার তিনশ তিরিশকে তিন হাজার তিনশ তিরিশ দিয়ে গুন করলে কতো হয়?"
হিসেব করে বের করুন।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

স্যার, ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে? (মাথাচুলকাই)

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হুমমম ...আপনার ইরান কাকা যখন রোকাম শহরে গিয়েছিলেন, তখন আমি রোকাম শহরের গভর্নর ছিলাম ...অনেকদিন আগের কথা, ভদ্রলোকের চেহারা ভাল মনে নেই ...তবে তিনি পরীদেরকে তার ছাত্রদের কথা বলে লোভ দেখিয়েছিলেন যে সেটা মনে আছে ,,, বিশেষ করে একজন ছাত্র, নাম কি যেন? ওহহো, মনে পড়েছে, শি .... (এইরে দরবারের কাজের ডাক পড়েছে, বাকীটা ফিরে এসে ....) খাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ওহ, যেটা বলতে ভুলে গেছিলাম ...লেখা ফার্স্টক্লাস, বরাবরের মতই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জুয়েল বিন জহির এর ছবি

উহ! দারুন লিখেছেন। একটানে পড়ে ফেললাম। আপনিতো তাও চারকোনা মাথাওয়ালা কিছু একটা দেখেছিলেন আমিতো তাও দেখতে পারিনি। আফসোস! জ্বীন দেখার খায়েশ আজও পুরণ হল না।

চমৎকার লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

জ্বিনের বাদশা:
ওহ! তাই নাকি?
তাহলে আপনার কথাই শুনেছিলাম সেবার!
আপনি তো তখনও জেনারেল টাইপ ছিলেন হাসি
হা হা হা! বাকি গল্প অন্য পোস্টে হবে, ভ্রাত: - - -
ধন্যবাদ।

জুয়েল বিন জহির:আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

দিগন্ত এর ছবি

বাহ, লেখা খাসা হয়েছে ...


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

থ্যাংকস!

অচেনা এর ছবি

জোশসসসসসসসস লেখা!

জ্বিনের বাদশা,
আপনের হেরেম থিকা দুই চাইরটা পরী দেওন যায়?
মরার পর তো ৭০টা সামলাইতে হইবে এখন থিকা একটু প্র্যাকটিস করতাম আরকি।

-------------------------------------------------
'অত্তাহি অত্তনো নাথো, কোহিনাথো পরোসিয়া'

নিজেই নিজের প্রভু, অন্য কোন প্রভুর প্রয়োজন নাই।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নিজেই নিজের প্রভু, অন্য কোন প্রভুর প্রয়োজন নাই।

মন্ত্র এইটা হইলে, ৭০ হুরপরীর চিন্তা বাদ দেন।
নরক গুলজারে মাধুরী দীক্ষিত, মমতা কুলখানি, উর্মিলা, বিপাশা বসু, মুনমুন-মৈউরি, শ্যারন স্টোন এদের কাউরে ধরতে পারেন কিনা দেখেন। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ইয়ে বলছিলাম কি, মাধুরীরে বাদ দেওন যায় না লিস্টি থাইকা? মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গোস্সা হইলেন নাকি? চলি ক্য পিছে কাহে - গুলজারই হবে। ঘট অথবা জট হাসি

অচেনা এর ছবি

তাইলে তো বস মন্ত্র বদলান লাগব। এই মন্ত্রানুযায়ী পরী বা হুরী পাওয়া যাইব না, পওয়া যাইব খালি নির্বান। মন খারাপ

-------------------------------------------------
'অত্তাহি অত্তনো নাথো, কোহিনাথো পরোসিয়া'

নিজেই নিজের প্রভু, অন্য কোন প্রভুর প্রয়োজন নাই।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

উত্তম!



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সৌরভ এর ছবি

জম্পেশ!


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ঝরাপাতা এর ছবি

শিমুলীয় স্বাদ... উপহারস্বরূপ কোয়েকাফ নগরীর পরী গুলবাণু, জ্বিনের বাদশার পক্ষ থেকে.... ভাবী (যদি থাকে) জানলে খবর আছে......


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শুকরিয়া - বদ্দা,সৌরভ,ঝরাপাতা।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

জ্বিন তো এখনো তোমার পিছু ছাড়েনি। এই যে দেখো গত কয়েকদিন আমাদের একমাত্র জ্বিনের বাদশার খবর নেই। অথচ তোমার লেখায় এসে ঠিক মন্তব্য দিয়ে আবার উধাও। হাসি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

তিথীডোর এর ছবি

মাঝরাতে জ্বীন-পরীর কাহিনী পড়া টা কি ঠিক হলো??
(মাথা চুলকাই)

--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিহ্মা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃহ্মমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।