প্রচার ও প্রসারের সাথে সাথে অন্তর্জালে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। প্রথম থেকেই অনেকে ওয়েবে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন বিভাগ সংযোগ ও মান উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইউনিকোড ব্যবহার করে বিস্তৃতি পাচ্ছে বাংলা ব্লগিং কিংবা ফোরাম। বিশ্বায়নের ফলে আসন্ন পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতার সংকটকে মলিন করে দিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে সাইবার সমাজ, সেখানে পিঁছিয়ে নেই বাংলাদেশের মানুষও। নিজেদের ভাবনা-প্রত্যাশাগুলোকে বিশ্বব্যাপী জানান দিচ্ছে কী-বোর্ডের দূরন্ত গতিতে। লেখালেখি ও ভাবনার এমনি এক আকাশ-উঠোন অনলাইন ম্যাগাজিন 'হাজারদুয়ারী' ।
গত একুশে ফেব্রুয়ারীতে যাত্রা শুরু করে প্রতি মাসের পনেরো তারিখে অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে হাজারদুয়ারী। সাদাকালোয় নির্মিত এ সাইটে ঢুকলেই মনটা ভীষণ নস্টালজিক হয়ে উঠে, 'ঐতিহ্য ও আগামীর যোগসূত্র' শ্লোগানটি যেন ভেতরকার শেঁকড় ধরে টান দেয়। হাজারদুয়ারী ইতোমধ্যে অনেকগুলো দুয়ার খুলে দিয়েছে - সদর দুয়ার, ভাবনা দুয়ার, নন্দন দুয়ার, দখিন দুয়ার, আকাশ দুয়ার এমনই চমৎকার সব নামের বিভাগ যোগ হচ্ছে প্রতি সংখ্যায়। হাজারদুয়ারীর সম্পাদক জার্মান প্রবাসী সাংবাদিক মাসকাওয়াথ আহসান বলছিলেন - "আমরা নতুন লেখকদের খোঁজে। যারা ভাল লেখেন অথচ লেখা ফেরী করেন না, ডাকসাইটে সম্পাদকদের দপ্তরে ধর্ণা দিতে অনাগ্রহী - আমরা সেইসব প্রচারবিমুখ, নির্লিপ্ত অথচ অহংকারী লেখিয়েদের ভক্ত। …হাজারদুয়ারী আপনার ভাবনা প্রকাশের জায়গা, স্পষ্ট উচ্চারণের প্ল্যাটফরম। যারা লিখতে ভালোবাসেন, ভালোবেসে লিখেন তাদের জন্য হাজারদুয়ারীর সবগুলো দরজা খোলা। চলুন আমরা সবাই মিলে পন্ডিত লেখক এবং সেলিব্রেটি কলামিস্টদের মনোপলি ভেঙে দিই।"
প্রথম ছয়টি সংখ্যা নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হলেও ভাটা পড়েছে গত তিন মাসে। সর্বশেষ নভেম্বর সংখ্যা প্রকাশিত হলো কিছুদিন আগে। জানা গেছে - সংশ্লিষ্টদের উৎসাহে কমতি নেই বরং সময় এবং সমন্বয় সংকটেই এ বিলম্ব। এরপরও প্রত্যয়-প্রত্যাশার আশাবাদী ছাপ দেখা গেছে প্রতিটি সংখ্যায়। গল্প-কবিতার পাশাপাশি থাকছে বেশ কিছু ভাবনা জাগানিয়া নিবন্ধ। প্রবাসে বাংলা চর্চা, বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক, সার্ক দিল্লী ঘোষণা, বাঙালীর বৈশাখ ভাবনা, স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কসহ চলমান সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যুগুলো ঠাঁই পেয়েছে হাজারদুয়ারীতে। উঠে এসেছে প্রবাসে সফল বাংলাদেশী হিরোদের গল্প।
পাঠকদের সাড়াও আশাব্যঞ্জক। হাজারদুয়ারীর ওয়েব ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আসাদুজ্জামান রুমন জানালেন - হাজারদুয়ারী পরিব্রাউজে প্রতি মাসে অনেক পাঠক যোগ হচ্ছেন। নতুন অনেক লেখক লেখা পাঠাচ্ছেন, মতামত জানাচ্ছেন। পাঠক মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রতি সংখ্যায় বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে। ধীর গতির ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে যারা পেজ লোড টাইমিং সমস্যার কথা জানিয়েছেন তাদের জন্যই ইউনিকোড পেজ অপশন থাকছে, বাড়তি পলেস্তারা লাগাতে গিয়ে হাজারদুয়ারী আভিজাত্য হারাতে রাজী নয়, বরং সাদাকালো ব্যাকগ্রাউন্ডে চমৎকার ফন্টে ঝলমল করে আমাদের অহংকারী বর্ণমালায় সৃষ্ট ভাবনার মহীরুহ।
আগামী সংখ্যা হবে 'বিজয় দিবস' সংখ্যা। স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ ভাবনা নিয়ে যে কোনো রকম লেখা আহ্বান করছে হাজারদুয়ারী। সম্পাদকীয় ডেস্ক থেকে জানা গেছে - ২০০৮এ হাজারদুয়ারী আসবে নতুন আঙ্গিকে, নতুন সম্ভবনায়।
লেখক পাঠকের ধুসর ব্যবধান মুছে দিতে হাজারদুয়ারী আহ্বান জানাচ্ছে - একবার হলেও হাজারদুয়ারী ভিজিট করুন, অন্তত: একটি লেখা পাঠান। নিজের ভেতরের এদিক-ওদিকের ভাবনাগুলোকে জানান দিন হাজারদুয়ারীয়, নিয়মিত।
ইন্টারনেটে সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি বাংলাদেশ ভাবনার এক অনন্য অঙ্গণ হয়ে উঠবে হাজারদুয়ারী ; এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মন্তব্য
এ সংখ্যার সম্পাদকীয় দুর্দান্ত হয়েছে ।
হাজারদুয়ারী'র জন্য শুভ কামনা । সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কি সর্বনাশ!
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাজারদুয়ারীকে শুভকামনা।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আমরা নতুন লেখকদের খোঁজে। যারা ভাল লেখেন অথচ লেখা ফেরী করেন না, ডাকসাইটে সম্পাদকদের দপ্তরে ধর্ণা দিতে অনাগ্রহী - আমরা সেইসব প্রচারবিমুখ, নির্লিপ্ত অথচ অহংকারী লেখিয়েদের ভক্ত।
.....মনে হয় এ কারণেই হাজার দুয়ারীর সাথে আছি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
সাদা-কালোর দারুন বিন্যাস হাজারদুয়ারী। অনেক অনেক শুভকামণা সাইটটির জন্য। গোধু বস বিজি মনে হয়। তাই নিয়মিত আপডেট করা যাচ্ছে না।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
সাদা-কালোর দারুন বিন্যাস হাজারদুয়ারী। অনেক অনেক শুভকামণা সাইটটির জন্য। গোধু বস বিজি মনে হয়। তাই নিয়মিত আপডেট করা যাচ্ছে না।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
জার্মানীতে অনেক বাড়ির দেয়ালে সিটি কর্পোরেশনের "ডেঙ্কমাল" সাইন খুঁজে পাওয়া যায়। এর মানেটা সোজা ভাষায় এরকম, 'তোমার বাড়ি, যতোখুশী রঙ-চং করো, কিন্তু দেখো বাপু বাড়ির কাঠামোতে যেনো হাত দিও না!' অনেক বছরের পুরানো আদলের বাড়িগুলো যেনো হারিয়ে না যায় নতুনের জোয়ারে- সেইজন্যেই এই ব্যবস্থা।
হাজারদুয়ারীও ঠিক তেমনি। পুরাতন 'এস্টাবলিশমেন্ট' ভাঙার জন্য না বরং সেটাকে তদারকি করার জন্যই হাজারদুয়ারী। 'ঐতিহ্যের সঙ্গে আগামীর যোগসূত্র'- শ্লোগানটাই তো বলে দেয় সব।
আর কান্না কান্না ভাবের কথা বলেন?
এই সাইট ডিজাইন করার আগে কয়েকদফা পিঁয়াজ কাটা হয়েছিলো কিনা তাই ঐ ভাবটাও রয়ে গেছে সেখানে।
ফান করলাম ইমরুল ভাই। নেভার মাইন্ড। আপনার যেকোন উপদেশ সানন্দে গৃহীত হবে, কথা দিচ্ছি।
এইকোনা থিকা ছবিটা ভালো হইছে
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
কোন ছবিগো কাসেলপুরের সাধু?
- হাজারদুয়ারীর বিজয় সংখ্যার জন্য লিখুন দেশভাবনা, বিজয় দিবস নিয়ে কিংবা লিখুন যেকোন কিছু। লেখার পাশাপাশি লেখক সত্ত্বাকেই সম্মান জানায় হাজারদুয়ারী।
লিখুন এই ঠিকানায়।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন