=================================
ইচ্ছেকথা ১
=================================
১১
মধ্যরাতে ফুলডাঙায় বকুলের সরা উল্টে তীব্র গন্ধ আসে।
একটি দোয়েল ডেকে উঠে নিউরনের সবুজবাড়িতে; সেই দোয়েলের বুক হলদে-সাদা, কেবল কোমরে নোনতা লাল রঙ লেগে আছে। এইসব রঙ আবার দিনচক্রের উপর নির্ভর করে বিবিধ প্রকারে ধরা দেয় এবং পাপ হয়। পাপের রঙ প্রকৃত-প্রস্তাবে সাদা।
ঈশ্বর নিরাকার নন। তার আকার বিষয়ক গবেষণার মুখে ছাই-ভাত দিত...
====================================
০
না হয় দেরী করে ফিরেছি বাড়ি
ঝাঁঝালো খোঁপার মাঝে অসমাপন রেখেছো
রূপকথার মতো রহস্যের বেণী!
কূলপ্লাবী ঠোঁটে সমুদয় ওয়ার্কার-ইউনিয়নের
আন্দোলন ভেঙে যাওয়ার নন্দন;
না হয় আলসে করে হাঁটি।
ফুলটুসি বাহুতে জল বরাবরই ভসকা:
মূলত স্নানটবে পানি জমার কারণ ব্যতিক্রম নয়।
না হয় একটু দেরী করে বের হয়ে আসি।
অন্ধ পিঁপড়েরা টগবগ করে ডানা মেলতে জানে
সুদৃষ্ট কেউ শিখে রাখে উড্ডয়নের অঙ্...
সবিতা, বাড়িতে একলা দরজাটা আছে।
অঋণী গৃহস্ত গেছে জলের ধারে, শাপলাফুল ভেজে আজ ভোজন হবে।
সবিতা, জানালাগুলো মায়ামায়া খোলা।
জানালারা কথা বলতে জানে, জানালারা কথা শুনে।
একটা কমলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। কলম করা, বনসাঁই। কমলাগাছ বাতাস হাতড়ায়।
দরজা উঁকি দিতে গিয়ে খুলে যায়।
চুরচুর।
সবিতা, অইটা কী জানো? টিকিটিকি। গৃহস্ত বাড়ির নিরব দর্শক।
টিক-টিক-টিক।
বাহ্! এমন শো-পিস সবাই আজকাল খর...
কৃপাহত্যার বলিরেখা ফুটেছে বেওয়ারিশ ত্বকে,
লোমকূপে দ্বিতীয় প্রণয়ের সোঁদা গন্ধ;
মৃত্যু চাই।
বকুলফুলের বনে। বাষ্পীয় সময় উবে
যায়, জলদাগ তুলে রাখে দেয়াল। রঞ্জনের
সকল উপাদান তোমার হাতে তুলে দিলাম চকিত। কেবল
আমার
অঘোর
মৃত্যু
চাই।
০
মেহগনি বাকলে রোদ লেগে চিকচিক করছে। রাখাল মাঠের ওম খুঁড়ে খুঁড়ে তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরে- তাহার নাম খড়। তাহার থলের ভিতরে বাতাসের বাঁধুনি।
ওই, তোমার গাঁয়...
ছবিগুলো অক্টোবরের শেষ নভেম্বরের শুরুতে তোলা। আশা করি ভালো লাগবে সবার।
ছবিগুলো যদি ছোট দেখা যায় তবে ফ্লিকারে দেখতে পারেন।
মনখারাপ করা ছায়াসকল The Saddened Shadows
চুপচাপ A Silent
গঠনের সৌন্দর্য Beauty of Appearence
ঝুলন Swinging
এইসব ভাললাগ...
০
ঘুম নিয়ন্ত্রণক যন্ত্রটার কাঁটা প্রায় শূন্য ছুঁইছুঁই করছে। আর পাঁচ সেকেন্ড বাকি।
মহাজাগতিক তরঙ্গ, বর্হি-আক্রমণ ইত্যাদি নিরোধক দশ ইঞ্চি কাঁচের শামিয়ানার ওপারে বিচ্ছুরিত আলোর অরণ্য। একটা উল্কা ঈগল হয়ে ঠোঁকরে যেতে চায় নিরাপত্তা-কাঁচ; নিজে পুড়ে খাক হয়ে যায় নিমেষেই।
১
ধীরে ধীরে চোখ মেলে সে।
ঘুম নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটা অনেক কাজের- বিশেষ করে অর্ণবের মতো নিদ্রাহীনতায় ভোগা মানবদের জ...
খুব অযৌন দেখি তোমার চুলের সংসার,
ঘুমের শুদ্ধিপত্র।
বিছানায় অঙ্কিত ফুলগুলোর আলগা ছেড়ে
সহাস্যে মুদে আসে রাতের চোখ,
মশারীর ভিতর তোমার বুকের 'পরে সুতোর শিল্পায়ন
দেখি। পাশ ফিরে ঘুমাতে গেলে উচ্ছন্ন সৈনিকের
বুটের শব্দ নিয়ে ছিঁড়ে যায় বোতামের জমাট।
কাল আমাকে আবার সুঁই-সুতোর বিজন নিয়ে বসতে হবে-
অথচ বোতামফুলের রঙঘ্রাণ ভুলে গেছি!
শার্সিতে রোদের বিতরণ দেখে হয়তো
কাল সকালে
স্লেটে শিশু...
আমি তাকে দেখতে যাই পাতার সংকলনে,
সফেন মেঘের অন্নে;
খামার উজানে দিয়ে দিই রাতুল দোয়েল।
আশাবরী সুর নিয়ে অনেক শহরের নাল হাঁটে
হাঁটে অজস্র ঘৌড়ার পা; পাঞ্জাবীর খুঁটে ঝুলে
থাকে সূর্য!
রোদের শরাব পানে হয়ে গেছি শিমের রঙনেশা
আমার হাতে নৃত্য করে নিদাঘ দুপুর
কাঁধে সোডিয়াম-বাতির ঝুনঝুন।
তার পাতার সংকলনে জানিয়ে দিই শহরের শ্লোক।