১.
আজকের সকাল টা কেমন জানি ম্যাড়ম্যাড়া!
এরকম সকালে বাইরে বের হতে মন চায়না, ইচ্ছে করে ঘর অন্ধকার করে মটকা মেরে পড়ে থাকতে। কিন্তু সে উপায় কি আছে? যেদিন থেকে বিলকিস ঘরে এসেছে সেদিন থেকে সুখ-শান্তি সব গায়েব! বউ হিসেবে বিলকিস খারাপ না, কিন্তু মাথা গরম। গায়ে গতরেও মনে হয় আমার থেকে এখন বেশি শক্তি ধরে। দুইজনে তো একই জিনিস খাই, কিন্তু আমি সেই দুবলার দুবলাই রয়ে গেলাম। এমন কী হতে পারে কেউ চুপেচুপে বিলকিস কে হরলিক্স খাওয়ায়? ধুর! খামোখাই সন্দেহ করছি, সব এই ম্যাড়ম্যাড়া সকালের দোষ।
বের হবার সময় বিকু (বিলকিস কে মাঝে মাঝে আমি আদর করে বিকু ডাকি) হুমকি দিয়েছে আজ যেন খাওয়ার জন্য ভাল কিছু নিয়ে যাই, নাহলে আজ আমার একদিন কি তার দশ বারো দিন! পইপই করে আরো বলেছে আমি যাতে মাঠে ঘাটে যেখানে সেখানে মজা দেখতে দাঁড়িয়ে না যাই, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাঁ করে তামাশা দেখা আমার কাজ না। কিন্তু আমার যে দেখতে বড্ড ভাল লাগে, দুনিয়াতে কত রকম মানুষ, তাদের কত রকম রঙ্গ। ইচ্ছে হয় গান বান্ধি, একবার শুয়ে শুয়ে পা নাচাতে নাচাতে একটা গান প্রায় বেঁধেই ফেলেছিলাম, বিকু হঠাৎ এসে এমন কাউমাউ জুড়ে দিল, সুরটা পরে আর মনেই করতে পারলাম না।
পুতুপুরের এই বাঁশঝাড়টা এই কয় বছরে অনেক ঘন হয়েছে, এরকম ঝকঝকা তকতকা দিনেও ভিতরে সূর্যের আলো এসে পৌঁছায় না। মানুষ জন সহজে এই পথে আসতে চায়না, ভূতের ভয়। আমার অত ভয় টয় করেনা, যে জিনিস দুনিয়াতেই নাই, তারে আবার ভয় কিসের? এই আধো অন্ধকার, বাতাসে পাতার সাথে পাতা লেগে একটা ছড়ছড় আওয়াজ, সব মিলিয়ে আমার বেশ রোমান্টিক একটা মুড আসে। ইচ্ছা হয় এখানেই কোথাও চিৎ হয়ে শুয়ে শুয়ে পা নাচাই আর গান গাই। তাই অন্য পথ বা ঊপায় থাকলেও আমি মোটামুটি এদিক দিয়েই চলাফেরা করি।
বাঁশঝাড় পার হয়ে পূর্ব দিকে কিছুক্ষণ গেলেই সপ্তাহের হাট বসার জায়গা। আজকে শুক্রবার, তাই সকাল থেকেই হাট সরগরম। বাঁশঝাড় থেকে বের হয়ে চলার গতি একটু কমিয়ে দিলাম, আশেপাশে বিভিন্ন দিকে থেকে মানুষ আসছে। কেউ কিনবে কেউ বেচবে, আবার কেউবা হয়তো পয়সার অভাবে ভাল ডালটা মাছটা কিনতে না পেরে চেয়ে চেয়ে দেখবে আর মনে করার চেষ্টা করবে শেষ কবে গরম গরম ভাত মুড়িঘন্ট দিয়ে মেখে খেয়েছে।
বিলকিস বলেছে আজ ‘ভাল কিছু’ নিয়ে ফিরতে হবে, তাই তখন থেকেই ভাবছি কি নেয়া যায়। এত বড় হাটে কিছু না কিছু তো মিলবেই। মাছের বাজারে বিরাট জটলা, যদিও মাছ ঊঠেছে অল্প কিছু। মাছ নিলে বউ খুশি হবে কিনা বুঝতে পারছিনা, ‘ভাল কিছু’ কথাটা আমার ধারণা সে ইচ্ছা করে বলেছে, আমি যাই নিয়ে যাই না কেন তার পরেও সে যাতে আমাকে ধুয়ে দিতে পারে! যাহোক ‘ভাল কিছু ভাল কিছু’ আওড়াতে আওড়াতে আমি দোকান থেকে দোকানে ঘুরতে থাকি।
রইসের চায়ের দোকানে আজ অনেক লোক, চা খেতে খেতে বেশ উত্তেজিত আলোচনা চলছে। তামাশার গন্ধ পাচ্ছি, ভাবলাম মজা দেখে আসি আগে, ‘ভাল কিছু’ খোঁজার অনেক সময় আছে। নগদে চায়ের দোকানের একপাশে দাঁড়িয়ে গেলাম কি হচ্ছে শোনার জন্য। কিছুক্ষণ শুনে বুঝলাম কথা হচ্ছে মোল্লা বাড়ির ছোট মেয়েকে নিয়ে। খুবই রূপবতী মেয়ে, বয়স মাত্র ষোল। সেই মেয়ের উপরে নাকি মাসখানেক আগে পুকুর পাড়ে সন্ধ্যা বেলায় জ্বীন ভর করেছে। তারপর থেকে মেয়ে একা একা কার সাথে যেন কথা বলে, হা হা হো হো করে হেসে ওঠে। কেউ কোন কিছুতে জোর করতে গেলেই আঁচড় কামড় দেয়, মাঝে মাঝে আবার একদম চুপচাপ হয়ে যায়, হঠাৎ হঠাৎ চিৎকার করে কেঁদে উঠে। মোল্লা সাহেব মেয়েকে ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছেন, কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। তাই আজ বাদ জুম্মা ফকির আনা হবে জ্বীন তাড়ানোর জন্য, সেই ফকিরও যেন তেন ফকির না, তার দুই হাতের আস্তিনের ভিতরেই নাকি দুইটা জ্বীন বাস করে। তাও আবার সাধারণ জ্বীন না, ফাইটার জ্বীন। এই দুই জ্বীন, হুজুর আদেশ করলে অন্য দুষ্ট জ্বীনের সাথে কুস্তাকুস্তি করে। একথা শুনে ফট করে আমার মুখে এসে গেল,
“উনার পায়জামার ভিত্রে কোন জ্বীন নাই?”
“ঐ মিয়া পায়জামার ভিত্রে জ্বীনের কি কাম??”, বক্তা তেতে ঊঠল।
“না মানে হুজুরের বেখেয়ালে দুষ্ট জ্বীন তো চুপেচুপেও আইতে পারে। পায়জামা জ্বীন তখন জায়গামতন চিপি দিয়া হুজুররে সজাগ কইরা দিবে।”
এই কথা শুনে সবাই আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যে পারলে আমাকেই ফাইটার জ্বীন দিয়ে হালুয়া টাইট করে দেয়। আমি বোকা বোকা মুখ করে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় ওইপাশে আরেকজন খবরের কাগজ পড়ে দেশের সরকার এই দেশকে ভারতের কাছে বেচে দিচ্ছে বলে হায় হায় শুরু করল। মুহূর্তের মধ্যে আলোচনা ফাইটার জ্বীন থেকে বিম্পি-আঃলীগ ফাইটে চলে গেল। আমিও ওখান থেকে সরে আসলাম, বাদ জুম্মা মোল্লা বাড়িতে মজা দেখতে যেতে হবে।
২.
মোল্লা বাড়ির উঠানে অনেক লোক জমা হয়েছে। উঠানে একটা মোটা খুঁটি পোঁতা হয়েছে, মেয়েটাকে বেঁধে রেখেছে দড়ি দিয়ে সেই খুঁটির সাথে। মেয়েটা সমানে ডলা মোঁচড়া করছে বাঁধন থেকে মুক্তির জন্য, কিন্তু মুখে কোন কথা নাই। মেয়েটার সামনে হাত তিনেক দূরে ফকির বাবা বসেছে তার জিনিসপত্র সহ। সরিষার তেল, ছুতরা পাতা, লাল মরিচ, ঝাঁটা, গামছা, ধূপ আরো কিছু টুকিটাকি জিনিস। হুজুর তার সামনে একটা ছোট মালসায় আগুনও জ্বালিয়েছে।
কিছুক্ষণ পর হুজুর সমবেত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলে, “এইখানে যারা যারা আয়তুল কুর্সি জানেন মনে মনে পড়তে থাকেন। এই জ্বীন খুউব শক্ত, আয়তুল কুর্সি পড়তে থাকলে জ্বীনের শক্তি কইমা যাবে”।
উপস্থিত জনতা গুণগুণ করে আয়তুল কুর্সি পড়া শুরু করে। হুজুর মেয়েটাকে একটা ঝাঁটার বাড়ি দিয়ে বলে, “আমি জানি তুই কে... তুই ক্যান ওরে ধরছস?? ছাড় অরে ছাড়!”
মেয়েটা কিছু বলেনা, মোঁচড়া মুঁচড়ি আরো বাড়িয়ে দেয়। হুজুর তখন সরিষার তেল হাতে নিয়ে মেয়েটার চোখে নাকে ঢুকিয়ে দেয়। সরিষার তেলের ঝাঁজ লাগায় মেয়েটা এবার তাড়স্বরে চিৎকার করে উঠে। ফকির আবার একটা ঝাঁটার বাড়ি দেয়, বলে
“ভালয় ভালয় মাইয়াডারে ছাইড়া যা, নাইলে কিন্তু খুব খারাপ হইব। ক তুই যাবি না যাবিনা??”
কোন জবাব না পেয়ে ফকির এবার তিনটা লাল মরিচ পুড়িয়ে মেয়েটার নাকের সামনে ধরে। পোড়া মরিচের ধোঁয়ায় মেয়েটা ভয়াবহ ভাবে কাশতে শুরু করে। এক পর্যায়ে চিৎকার করে বাপকে ডাকে, “বাজান আমারে বাঁচান, আমি মইরা যাইতাসি বাজান!!”
হুজুরও গর্জন করে ওঠে, “মাইয়ার গলা নকল কইরা তুই আমারে ভুলাইতে পারবিনা, শয়তান। যদি খারাপ না চাস এহনি চইলা যা, আর যাওনের সময় চিন্ন হিসাবে আমার পিছের এই আম গাছের একখান ডাল ভাইঙ্গা দিয়া যা। ”
“ফকিরের বাচ্চা ফকির, আমারে ছাড় তুই। মাগো তুমি কই, আমারে বাঁচাও মা...” মেয়ের আর্তস্বরে মোল্লার বউ ডুকরে কেঁদে ওঠে।
পরবর্তী আধা ঘন্টা মেয়েটাকে ফকির বাবা অনেক অত্যাচার করল, কিন্তু আম গাছের ডাল তো কিছুতেই ভাঙেনা, ফকিরও হাল ছাড়েনা।
শেষমেশ ফকির মোল্লা সাহেবকে ডেকে বলে, “এ বড় কাউঠা আর শক্ত জ্বীন, এত সহজে যাইব না। আমার পোষা জ্বীন ও এর সাথে পারতাসেনা। এহন আপনি যদি অনুমতি দ্যান তাইলে আমি একটা ফাইনাল ওষুধ দিতে পারি। তয় এ বড় কঠিন চিকিৎসা, জ্বীন সারা জনমের জন্য ভাইগাও যাইতে পারে, আবার খেইপা গিয়া আপনার মাইয়ার জানও নিতে পারে।”
মোল্লা সাব অন্য মুরুব্বীদের সাথে শলা পরামর্শ করে পাংশু মুখে ফকিরকে ফাইনাল ওষুধ দিতে বললেন।
ফকির এবার বাড়ির ভিতর থেকে এক বালতি পানি আনায়, আনার পর বিড়বিড় করে কিছু একটা পড়ে তাতে ফুঁ দেয়। এরপর গামছা দিয়ে মেয়েটার নাক মুখ বেঁধে একজনকে বলে পিছন থেকে মেয়েটার মাথা শক্ত করে উপরের দিকে ধরে রাখতে। এবার সে বালতি থেকে মগ দিয়ে গামছার উপরে পানি ঢালতে থাকে আর জোরে জোরে আয়তুল কুর্সি পড়তে থাকে। বাতাসের অভাবে একটু পরই মেয়েটার গলা দিয়ে ঘড়ঘড় আওয়াজ বের হওয়া শুরু করে।
আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি এইভাবে আর কিছুক্ষণ চললে মেয়েটা মারা যাবে এই ভণ্ড ফকিরের হাতে। কেন জানি আমার ভিতরে একটা ভয়ংকর রাগ দানা বেঁধে উঠতে থাকে, আস্তে করে পিছিয়ে যাওয়া শুরু করি আমি ভীড়ের মধ্য থেকে।
সবাই এখন আমার সামনে, মেয়েটার কি হয় তাই দেখতে ব্যস্ত, আমাকে কেউ খেয়াল করছেনা আর। আপন মনেই ভাবি আমি, “হায়রে বোকা মানুষ! ভর করার ক্ষমতা আমাদের থাকলে এই দুনিয়াটা আজকে তোমাদের হইত না।" ভাবতে ভাবতে আমার বিশাল ডানা জোড়া দেহের দুইপাশে ছড়িয়ে পড়ে। একটা হাল্কা লাফ দিয়ে মাটি ছেড়ে উঠে পড়ি আমি।
৩.
গ্রামবাসী মোল্লা বাড়িতে সেদিন যা দেখেছিল, তা স্বপ্নেও কেও কল্পনা করেনাই। ফকির বাবা মেয়েটাকে ফাইনাল ওষুধ দেওয়ার এক পর্যায়ে দুষ্টু জ্বীন আর সহ্য করতে না পেরে মেয়েটাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু যাবার সময় একটা শেষ দুষ্টুমিও করে যায়। সবাই দেখতে পায় আম গাছের একটা মোটা ডাল যেন উড়ে এসে ফকিরের মাথায় পড়ে, এক ঘায়ে মাথা দুই ফাঁক!!
পরের সপ্তাহে রইসের চায়ের দোকানে এই কাহিনী শুনে অপরিচিত এক উটকো লোক বলে ওঠে,
“আহারে পায়জামার ভিত্রে চিপি দেওয়া একটা জ্বীন থাকলে আর হুজুর মরতো না!”
মন্তব্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
এই গল্পটা আরও আগে লিখলে কি হতো? ডরাইলেই ডর ই-বুকের জন্য দারুণ মানাত গল্পটা।
আউট অফ ফর্ম ছিলাম ভাই!
ভবিষ্যতে ডরাইলেই ডর-ভলিউম ২ বের হৈলে জমা দিবনে
অফটপিক: ডরাইলেই ডর, হান্দায় দিলে কিয়ের ডর এর কথা মনে করায়া দিলেন!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনি আর লিঙ্ক পেলেন না রে ভাই, সাতসকালেই সেই মহান দলছুট!
ছিতি তুমি সিউলি ফুল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বিলকিসের অংশটা পড়ে ঠাঠা করে হাসলাম।
। বাকিটুকু পড়েন নাই?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ও ভাই জব্বরৈছে
..................................................................
#Banshibir.
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
পড়ার জন্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হাসতে হাসতে তো মইরা যামু রে ভাই !!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
লেখা ভালো হয়েছে। জ্বীনের বিষয়ে আমার একটা পার্সোনাল মত আছে। যারা জ্বীনে ধরা রোগি দেখে নাই, তাদের কিন্তু জ্বীনে ধরে না। একারণে, ঢাকা শহরে মানুষ হওয়া মেয়েদের এই 'রোগে' পড়ার হার কম। আর, গ্রামের মেয়েরা অন্য অনেক জ্বীনে ধরা রোগী দেখে, কাজেই যাখন তাদের মানসিক ডিফেন্স ভেঙে পড়ে, তখন তারা ঐ 'জ্বীন স্বত্ত্বা' -র আশ্রয় নেয়। আবার ভুত টুটের কিছু লোকালাইজেশন আছে, যেমন: আমেরিকানরা জোম্বি নিয়ে ফ্যাসিনেটেড, আমরা আবার ছাদে নুপুর পড়া ভুতের নাচ শুনতে পাই, আমারিকানরা শুনতে পায় শেকল টেনে নেয়া ভুতের আওয়াজ, আমাদের দাদাবাড়ি বা নানা বাড়ির অনেকেই 'তালগাছের লাহান লম্বা, মাথায় টুপি' এরকম জ্বীনের বর্ণনা দেয়, আমেরিকায় যেটা কেউই কোনদিন কেন জানি দেখতে পায় নি
ধুর, ভুত নিয়া অনেক কথা বলে ফেললাম। আরো লেখো
ভাল জিনিস বলসো! জাপানিরা মনে হয় ধবধবে সাদা একটা পিচ্চি মেয়ে ভূত নিয়া ফ্যাসিনেটেড! মন্তব্যের জন্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
জোশ!!
ডাকঘর | ছবিঘর
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আহারে হুজুর- শেষে চিপি না খাইয়াই মরল
চিপি খাইলে তিনারেও কী কবিরাজ দেহান লাগত।।।
কড়িকাঠুরে
। দুনিয়াতে সবই সম্ভব!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
তয়লে হুজুররে এডা চিপি দিয়াই দিতেন---
ব্যাডা তো মইরা আসফুস করতাসে---
কড়িকাঠুরে
আসফুস??!!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হ, আসফুস- এইজে চিপি না খাইয়াই মইরা গেলোগা।।।
আহারে---
১টা চিপিই তো
কড়িকাঠুরে
মরুদ্যান ভাই
এইডা কি কর্লেন---
পুরা ফাডাইলাইসেন--
পথিক পরাণ
হুজুর ফাডানির কাম করসে তাই মাথাডা ফাডায়লাইসি! আপনারে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
দূর্দান্ত লিখেছেন। সচলে তাহলে জ্বিনও আছে? সর্ষের মধ্যেই ভূত!!
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
। পরার জন্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ভালো লাগল।
facebook
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হাচলত্বের অভিনন্দন মরু ভাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
---------------------
আমার ফ্লিকার
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ভালো লেগেছে
কিন্তু 'ভালো' কী 'কিছু' নিয়ে গেলেন; তা তো লিখলেন না
উহ্য।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হেহেহে! কাইল দোলারেও কইলাম তুমি সচলাও! আজ বাসায় গিয়ে ওরে পড়াবো এইডা!
জোশ হইসে ভাইয়া!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাপরে বাপ!! ক্রিয়াপদের কি বাহার! পড়ার জন্যি থ্যাংকু
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আমি ওই ফকির বাবার ফাইনাল ওষুধ দেবার আগেই ফাডায় দিসিলাম,,,,,, ছোট বেলায় আমারে ও জিনে ধরছিলো কিনতু
যা বললেন সত্যি হলে আপনি লিখে ফেলেন না আপনার অভিজ্ঞতাটা। এখন পর্যন্ত কাউকে পাইনি যে নিজে এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে গ্যাছে। খুবই আগ্রহী হবে সবাই আমি নিশ্চিত।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
চ্রম!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
চমৎকার লিখেছেন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
চরম হইছে। দারুন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
লেখাটা স্যাটায়ার ষ্টাইলের হওয়াতে জীনে বা ভূতে ধরা মেয়ে গুলোর ভোগান্তিটা বেশী গুরুত্ব পায় নি। অথচ তাদের কষ্টটা খুব খুব নিঁখুত ভাবে এসেছে আপনার লেখায়! এখনকার অবস্থা জানিনা কিন্তু, এক সময় এই ধরণের জীন-ভূত তাড়াতে দেখেছি। আপনার পর্যবেক্ষণ অসাধারণ।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমার প্রচেষ্টা সফল!!
মন্তব্যের জন্য আজকের সেরা ধইন্যার আঁটিটা নেন
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনি আমার আগের গল্পটা দেখেছিলেন?
ফুটা আর ফাটা
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ফুটা-ফাটা দেখে ক্লিক করি নাই। এখন পড়ব।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুরাই সিরাম
এটা কমিক হবে?
কড়িকাঠুরে
জানিনা, ইঁদুর বা জাভেদ ভাই করলে হবে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
দারুণ!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
লেখা ভালো লাগল।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
দারুণ! চালিয়ে যান।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
খুব মজাদার হয়েছে গল্প। তবে বিশাল পাখাওয়ালা জিনিসটাকে বোঝার জন্য দুইবার রিভাইজ দিতে হইছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার অপরিসীম ধৈর্য্যকে সাধুবাদ জানাই।
পড়ার জন্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ফাটাফাটি।
বনের রাজা টারজান,
প্রথমে ভেবেছিলাম আম গাছের ডাল ভেঙ্গে মেয়েটার জিন তাড়াবেন আর এভাবেই মেয়েটিকে বাঁচাবেন; কিন্তু না, আপনি ডিফেন্সিভ খেলেন না; তাই একেবারে ফকিরের জ্বীনই (নাকি জিনোলোজির জিন? ) ছাড়ালেন, তাও মাথাকে দু'ভাগ করে! বিলকিস চরিত্র গল্পের শুরুতেই দম ফাটানো হাস্যরস উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু জ্বীনের বর্ণনায় যখন আসলেন, তখন খুব একঘেয়ে লাগছিল; কিন্তু শেষটায় এসে বুঝিয়ে দিলেন আপনি প্রচলিত কোন গল্প লিখতে বসেননি, হাসির আড়ালে সমাজের ভন্ড অংশের উপর এক হাত নেয়াই আপনার লক্ষ্য!
এমন হাস্যরসের উতল হাওয়া পুরা লেখা জুইড়াই! আপনের এই লেখা আমার কাছে তাই খাঁটি মরুদ্যানের মতই লাগছে! আগায় যান! কখনই আপ্নের লেখার পিছ ছাড়ুম না, কথা দিতাছি, মরুদ্যান ভাই !
বিলকিস বানুতো পাপিয়া পান্ডের কথা মনে করায় দেয়!!!
পড়ে খুব ভালো লাগলো। প্রথম প্রথম তো মনে হচ্ছিল আনন্দ প্রকাশনীর কিছু ছোট্ট সাইজের বই আছে না (যেমন শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজ) সেগুলো পড়ছি। পরে ব্যাপারটা বেশ সিরিয়াস হয়ে গেছে, কিন্তু আকর্ষণ সমান ভাবেই ধরে রাখতে পেরেছে। অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
এতো মজার লেখাটা!! আপনি আর লিখছেন না কেন ????!!!!!
প্লিইইইইইইইইজ লিখুন...........................
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নতুন মন্তব্য করুন