ভূমিকা: দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে এটা সিরিজের তৃতীয় লেখা, ছবি বিষয়ক পোস্ট হিসেবে পাঁচ নম্বর। দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে আগের দুই পোস্ট সহ মোট ৭ টা পোস্ট এখনও অতিথি এ্যাকাউন্টে আছে। কোন মডু ভাই এ পোস্ট পড়লে একটু খেয়াল করবেন বিষয়টা (কন্টাক্ট এ্যাট সচলায়তনে ইমেইল ও করেছি)।
সতর্কীকরণ: ট্যুর ছিল মোটামুটি দৌড়ের উপর, সময় নিয়ে পারফেক্ট ছবি তুলার উপায় ছিলনা। ছবি বেশিরভাগই ধর তক্তা মার পেরেক স্টাইলে তোলা। তাই ছবির গুণাগুণে হতাশ হতে পারেন , হলেও অসুবিধা নাই, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
গত পর্ব শেষ করেছিলাম ইবনে বতুতা মল দিয়ে। আগের পোস্টে যেতে চাইলে চিপি দ্যান এইখানে দুবাই ভ্রমণ: ছবি ব্লগ-৪।
ইবনে বতুতা মল থেকে আমরা যেখানে উঠেছিলাম, 'ডিসকাভারি গার্ডেনস', সেখানে যেতে ১৫ মিনিটের মত সময় লাগে। মল থেকে ফিরে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু খেয়ে নিলাম। সাড়ে তিনটা নাগাদ নিচ থেকে ড্রাইভার ফোন করে জানালো যে ডেজার্ট সাফারির জন্য আমাদের নিতে এসেছে। এখানে বলে রাখি, দুবাইতে এই ধরনের ট্যুরে সবসময়ই পিক-ড্রপের ব্যবস্থা থাকে। এর মানে হচ্ছে যেই ট্যুরিজম কোম্পানির কাছ থেকে আপনি প্যাকেজ নেবেন, তারাই আপনাকে আপনার হোটেল বা যেখানে উঠেছেন সেখান থেকে নিয়ে যাবে আবার ট্যুর শেষে নামিয়ে দিয়ে যাবে। সময় বিকাল ৩:৩০ থেকে রাত ৯:৩০, ৬ ঘণ্টা। এর মধ্যে আসা যাওয়ার সময়ও অন্তর্ভুক্ত। তবে আসার পথে একটু দেরি হয়ে যেতেই পারে। দুইজনের জন্য কোম্পানি-ভেদে সাধারণত মাথাপিছু ১৫০-১৭০ দিরহাম চার্জ করে ওরা, তবে মানুষ যত বেশি যাবেন মাথাপিছু চার্জ তত কমতে থাকবে। আমরা এই কোম্পানি থেকে ট্যুর গুলো নিয়েছিলাম, বেশ ভাল সার্ভিস।
তো নিচে নেমে দেখি একটা টয়োটা ফরচুনার এসেছে আমাদের নেয়ার জন্য। উঠার পর ড্রাইভারের কাছ থেকে জানতে পারলাম আরও ২ টা হোটেলে যাবে আরও দুই জোড়াকে উঠানোর জন্য। আমরাই প্রথম ছিলাম, তাই শহর ঘুরে ঘুরে বাকিদের উঠানোর সময় একটু সিটি ট্যুরও হয়ে গেল। বাকিদের মধ্যে এক জোড়া আমেরিকান, সাথে বাচ্চা মেয়ে, বড়জোর ৩ বছর হবে বয়স। আরেক জোড়া কোন দেশী জানিনা, কম বয়সী যুবক যুবতী, ভাষা শুনে মনে হচ্ছিল নরডিক এলাকার কোন দেশ হবে। দুইজনেই খুব কম কথা বলে, ছেলেটা আমাদের সাথে কথাই বলেনি কোন, যা বলার মেয়েটা বলছিল টুকটাক। যাই হোক আসল কথার চেয়ে আজাইরা কথা মনে হয় বর্ণনা করছি বেশি, আসল কথায় আসি।
'ডেজার্ট সাফারি' বা 'ডিউন ব্যাশিং' (Dune Bashing) এর জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় জায়গা আছে দুবাইয়ে, তার মধ্যে একটা হচ্ছে দুবাই-হাত্তা রোডের দুইপাশের মরুভূমি এলাকা। আমরাও সেখানে যাচ্ছিলাম।
কাতারেও মরুভূমি আছে, সেখানেও ডিউন ব্যাশিং করা যায়, আর এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা হচ্ছে 'মেসাইয়ীদ' বা 'উম্ম সাইয়ীদ' এর মরুভূমি। আমি এখানেও একবার ডিউন ব্যাশিং করেছিলাম কিন্তু কোন প্রফেশনালের সাথে নয়, এক কাতারি আর্মি ক্যাপ্টেনের সাথে, পরিচয় হয়েছিল ঘুরতে গিয়ে। সে নিজেই তার ল্যান্ড ক্রুজার নিয়ে ডিউন ব্যাশিং করছিল সেখানে, তার অনুরোধে আমিও তার সাথে গিয়েছিলাম একবার। একটা কথা বলে রাখি, মেসাইয়ীদে আমি খুব বেশি মজা পাইনি, এর পিছনে দুটা কারণ হতে পারে। এক, প্রফেশনাল ব্যাশারদের তুলনায় সেই ক্যাপ্টেন অতটা দক্ষ ছিলনা আর দুই, যেখানে করছিলাম সেখানে খুব তীক্ষ্ণ বাঁক বা উঁচু নিচু জায়গাও তেমন ছিল না। তাই ঠিক করে রেখেছিলাম দুবাইয়ে গেলে অবশ্যই আরও একবার এটা করব।
শেষ জোড়াকে উঠিয়ে রওনা দেয়ার ঘণ্টা খানেক পর ড্রাইভার প্রথমে আমাদের নিয়ে পৌঁছল একটা ক্যাম্পের মতন জায়গায়। মরুভূমির মাঝেই বেশ বড়, ঘাস আছে, খেজুর গাছ আছে,সম্ভবত কৃত্রিম ভাবে বানানো মরুদ্যান। বসে বিশ্রাম নেয়ার জন্য আছে তাঁবু, এমনকি প্লাস্টিকের চেয়ার টেবিলও। সেখানে কিছু পোষা উট, বাজ পাখি, ঘোড়া, খরগোস, বেবুন দেখতে পেলাম। আপনি চাইলে উট বা ঘোড়ায় চড়তে পারেন, অল্প কিছু দিরহামের বিনিময়ে।
আমার সবচেয়ে আগ্রহ ছিল বাজ পাখি গুলোকে নিয়ে। এর আগে শুধু টিভিতে দেখেছি যে আরব শেখরা তাদের পোষা শিকারি বাজ পাখি দিয়ে শিকার করে, পোষা বাজ গুলো যেমন কৌঁসুলি, তেমনি ক্ষিপ্র আর শক্তিশালী। এবার সামনে থেকে দেখলাম একটাকে প্রথম বারের মতন, আসলেই চমৎকার আর রাজকীয় একটা পাখি। এর ওজন কত ঠিক জানিনা, কিন্তু আমার মিসেস ওটাকে হাতে নিয়ে বলল বেশ ভারী লাগছে, বেশিক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব হবেনা তার পক্ষে। পাখি কে হাতে বসানোর জন্য দিতে হল ১০ দিরহাম (নাকি পাঁচ? ঠিক মনে পড়ছেনা।) পাখি হাতে নেয়ার আগে অবশ্যই ভারি চামড়ার একটা দস্তানা পড়ে নিতে হয়, অন্যথায় হাতের মাংস ছিঁড়ে যাওয়া নিশ্চিত।
এই পর্যায়ে আরবদের এই ঐতিহ্যবাহী ব্যাপারটা নিয়ে কিছু জানা যাক। অনেক আগের কথা, তখন আরব দেশ গুলোতে তেলের খনি আবিষ্কার হয়নি, রাষ্ট্রগুলো এত ধনীও ছিলনা। আরবরা মরুভূমিতে গোত্রে গোত্রে ভাগ হয়ে বসবাস করত। তখন এই শিকারি বাজগুলো তার মালিক কে মাংসের যোগান দিত, বলে রাখা দরকার বাজ গুলো আরব আমিরাতের মরুভূমিতে প্রধানত শিকার করে 'হেয়ার' (এক ধরনের খরগোস জাতীয় প্রাণী) আর 'হুবারা বাস্টার্ড' নামের এক ধরনের পাখি। বিস্তারিত জানতে সাহায্য নিতে পারেন উইকিতে: 'হেয়ার', 'হুবারা বাস্টার্ড'।
বাজপাখি দিয়ে শিকার এই আধুনিক যুগে আর মাংসের যোগানের জন্য করা হয়না, এটা এখন শুধুই এক ধরনের বহুল প্রচলিত খেলা। তবে এই খেলার কারণে যাতে হুবারা নামের পাখিটি বিলুপ্ত না হয়ে যায়, এর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুবারা প্রজনন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ১ আরব আমিরাতের এই পরিবেশ সচেতনতা বেশ প্রশংসনীয়, যদিও শুধুমাত্র খেলার ছলে শিকার করে পশুপাখি হত্যা করাটা এক ধরনের বর্বরতা যা অনেক সচেতন মানুষের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ।
একটু পিছনে দেখলাম আরেকটা বাজ পাখি চুপচাপ বসে আছে। আকারে একটু ছোট, তার বাম পা রশি দিয়ে বাঁধা মাটিতে পোঁতা একটা কাঠের খুঁটির সাথে, খুঁটির উপরে গোলাকৃতি একটু খানি সমান জায়গা, পুরো কাঠামোটাকে মাশরুমাকৃতি বলা যায়। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে পাখিটার চোখ একটা চামড়ার টুপি দিয়ে ঢেকে রাখা। আমি বাজ পাখির দায়িত্বে থাকা লোকটাকে কারণ জিজ্ঞেস করলাম, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি আরবি জানিনা, সে ইংরেজি বুঝেনা। তারপর সে আমাকে ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে জানালো যে সে একটু একটু হিন্দি বলতে পারে, তাই বাকি কথা হিন্দিতেই বলতে হল। পাখিটার চোখ চামড়ার টুপি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে কারণ সে এখনও পোষ মানেনি। এই পাখিগুলো প্রথমে বেশ বেয়াড়া থাকে, তাদেরকে নরম-সরম করার জন্য চোখ ঢেকে রাখা হয় আর সাথে খুব কম কম খাবার দেয়া হয়। আর যার কাছে পাখিটা থাকবে সে প্রথম কয়েক সপ্তাহ মোটামুটি সারাক্ষণ পাখির কাছে কাছে থাকে, এতে করে পাখি আর পাখি-পালকের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পোষ মানলে শুরু হয় শিকারের প্রশিক্ষণ।
পাখি দেখা শেষ করে এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করছি আর ছবি তুলছি। এমন সময় যে ড্রাইভার আমাদের নিয়ে এসেছিল সে খবর দিল যে ওস্তাদ আসছেন কিছুক্ষণের মধ্যে, উনি আসলেই আমরা ব্যাশিং করতে চলে যাব। এর মাঝে ক্যাম্পের পিছন দিকে দেখলাম সারি দিয়ে দাঁড় করানো সব ডিউন বাগি আর 'এটিভি' (অল টেরেইন ভেহিকল)। বিভিন্ন আকার, আকৃতি আর রঙ-বেরঙের। আপনি যদি দক্ষ, অভিজ্ঞ আর সাহসী হন তাহলে এগুলোর একটা ভাড়া করতে পারবেন ঘণ্টা হিসাবে, তারপর ভোঁওওওওওও....। আমি একবার কাতারে করেছি, অনেক মজা। কিন্তু বেশি উঁচুতে যাইনি, ছোট ছোট মরু টিলায় উঠানামা করছিলাম। প্রথমে আমরা ২ জনই একা একা চড়ছিলাম, শেষের দিকে বউকে পিছনে নিলাম। একটা টিলায় উঠার সময় ঠিক সোজা না উঠে একটু বাঁকাভাবে উঠছিলাম, হঠাৎ করে গেলাম পড়ে কাত হয়ে এটিভি সহ। ঐ যে বললাম, সাহসের পাশাপাশি দক্ষতা আর টেকনিকও জানা জরুরী, নাহলে বড় বিপদ হতে পারে। আমাদের সৌভাগ্য আমরা বেশি ব্যথা পাইনি, ডান পায়ে হালকা ব্যথা পেয়েছিলাম দুই জনেই। নিচে দ্বিতীয় ছবি টা কাতারে (অবাক ব্যাপার হচ্ছে দুই দিনই আমি একই গেঞ্জি পরা!!)।
অবশেষে ওস্তাদ আসলেন, ফর্সা, লম্বা বেশ হ্যাণ্ডসাম তরুণ। নাম শেহজাদ, আদি উৎপত্তিস্থল পাকিস্তান, জন্ম আর বেড়ে উঠা দুবাইতে। দুবাই ছাড়াও ডিউন ব্যাশিংয়ের জন্য কাতার, মিশরে যাওয়া আসা করে। সে আমাদেরকে তার বাহনের কাছে নিয়ে গেল, একটা সাদা টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ২০১২, জিএক্সআর, ভি৮ ইঞ্জিন, ৫ স্পীড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন, ডিউন ব্যাশিংয়ের জন্য সেরা জিনিস। এক গাড়িতে ড্রাইভার ছাড়া ৬ জন, আমাদের ক্ষেত্রে সাড়ে ছয়। যাহোক আমি আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম যেভাবেই হোক সামনে বসতেই হবে, কারণ পিছনে বসলে মজা কম, ঝাঁকুনি বেশি। শেহজাদ আমাদেরকে বলল ঠিক করে নিতে কে কোথায় বসবে, আমার ভাগ্য ভাল সামনে সিটে প্রতিযোগিতা কম। বাচ্চা সহ দম্পতি সামনে বসবেনা, পিছনেও না কারণ বাচ্চা নিয়ে বসতে হবে, আমার বউও সামনে বসবেনা কারণ তার ভয় লাগে। বাকি রইল ঐ ইউরোপিয়ান জোড়া, ওরা যখন মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে পিছনে কে কে যাবে, আমি তখন ওদের দিকে না তাকিয়ে অন্যদিকে উদাসমুখে তাকিয়ে আছি, এমন ভাব যে পিছনে আবার ক্যামনে বসে? এরপর ওরা দুইজন পিছনে উঠে গেল আর আমি সামনে! উঠার পর সিট বেল্ট বাঁধা অবশ্য কর্তব্য, তবে আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। গাড়ির ভিতরের পুরো কাঠামো জুড়ে একটা স্টিলের খাঁচা বসানো, যার ভিতরে আমরা বসেছি। জিনিসটার নাম 'রোল কেজ', যাতে গাড়ি কোন কারণে উল্টে গেলেও ভিতরের মানুষ খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এরপর শুরু হল বহুল প্রতীক্ষিত ডিউন ব্যাশিং। এক মুহূর্তে আমরা বিরাট উঁচু বালির পাহাড়ে উঠছি, পরের মুহূর্তেই একদম খাড়া ঢাল বেয়ে নেমে যাচ্ছি। নামার ঢাল টা এতটাই খাড়া আমার ক্রমাগত মনে হচ্ছিল এই বুঝি গাড়ি উল্টে গেল। আরও রোমাঞ্চকর হল খাড়া বালুর পাহাড়ের কিনারা বরাবর ব্যাশিং, একদিকে বিশাল খাদ রেখে ঢালের কিনারা বরাবর এগোয় গাড়িটা, ভিতরে বসলে মনে হয় এই বুঝি খাদে উল্টে পড়ে গেলাম। এর মধ্যে দুইটা ব্যাপার খেয়াল করলাম, প্রথমত ওস্তাদ গাড়ি চালাচ্ছে শুধু প্রথম আর দ্বিতীয় গিয়ারে, এর পর আর গিয়ার বাড়াতে হচ্ছেনা। দ্বিতীয়টা দেখে আমার বুক টা হালকা ধ্বক করে উঠেছিল, ওস্তাদ সিট বেল্ট লাগায় নাই!! (কোন কারণে সে আউট হয়ে গেলে আমগো কি হবে?)। তবে মুগ্ধ হলাম ল্যান্ড ক্রুজার এর পারফরমেন্স দেখে, গাড়ি বটে একটা, এই ভয়ানক ধরণের রাইডেও প্রচণ্ড মসৃণ গতি,অথচ ইঞ্জিনের গর্জন একদমই মৃদু। ভিতরে সেই প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ছবি তোলা বা ভিডিও করা একদমই সম্ভব না, আমার ইচ্ছাও ছিল না। আগে প্রাণভরে নিজে তো উপভোগ করি, মানুষের দেখার জন্য ইউটিউব তো আছেই।
মিনিট পনেরো পর মোটামুটি সমতল একটা জায়গায় গাড়ি থামিয়ে ওস্তাদ বলল, যে দশ মিনিটের বিরতি, আমরা চাইলে নেমে ছবি টবি তুলতে পারি। তখন সন্ধ্যা হয় হয়, খুব সুন্দর সোনালী আলো। বেশ কিছু ছবি তুলে নিলাম, ওস্তাদ দেখলাম বনেট খুলে দিয়েছে গাড়ির। ইঞ্জিন অনেক গরম হয়ে গ্যাছে, ঠাণ্ডা করে নিচ্ছে যতটুকু সম্ভব।
আরেকটা জিনিস দেখলাম যে গাড়ির টায়ারে বাতাস যা থাকার কথা তার চেয়ে কম মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে শেহজাদ কে জিজ্ঞেস করায় সে বলল, টায়ারে বাতাস কম রাখতে হয় যাতে নরম বালুর উপর চাকার গ্রিপ বেশি থাকে, এর ফলে চাকা এক জায়গায় বসে যায়না। ব্যাপারটা বৈজ্ঞানিক ভাবে চিন্তা করলে বেশ সহজ ভাবে বুঝা যাবে। টায়ারে বাতাসের চাপ যত বেশি, টায়ার তত টানটান, ফলে ভূমির সংস্পর্শে থাকা টায়ারের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল কম। বিপরীতভাবে, টায়ারে বাতাসের চাপ কম থাকলে ভূমির সংস্পর্শে থাকা টায়ারের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফলের পরিমাণ বেশি থাকে। নিচের ছবিটা দেখি,
যে টায়ারে বাতাসের চাপ সাধারণ অবস্থায় ৩৫ পি এস আই রাখতে হয়, তা ডিউন ব্যাশিংয়ের সময় কমিয়ে ১২-১৪ পি এস আই করে নেয়া হয়।২
বিরতির পর আবার মিনিট ১৫ ব্যাশিং চলল, বিরতির মাঝে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে পিছনের মেয়েটা আমাকে জানালো দুবাইয়ে আসার পর তার একটু পেটের সমস্যা হয়েছে। পিছনে তার শরীর খারাপ লাগছে, তাই আমি যদি পিছনে বসে তাকে সামনে বসতে দেই তাহলে খুব ভাল হয়। আমি দিলাম, তারপর পিছে গিয়ে সেরকম ঝাঁকি খেলাম, ভালই হল একই সাফারিতে সামনে পিছনে বসে দুই রকমের অভিজ্ঞতা পাওয়া গেল। খারাপ কি?
ব্যাশিং শেষে আমার ফিরলাম সেই প্রথম ক্যাম্পে। এখান থেকে ফরচুনার আমাদের কে নিয়ে যাবে আরেকটা ক্যাম্পে যেখানে মৌজ-মাস্তির ব্যবস্থা আছে। তখন সন্ধ্যা হয়ে গ্যাছে। কিছুটা পাকা, কিছুটা মরুভূমির মাঝে দিয়ে রাস্তা। ক্যাম্পে পৌঁছে দেখলাম বেশ আলো ঝলমলে একটা জায়গা। পুরো জায়গাটা দেয়াল দিয়ে ঘেরা, ঢুকতে বামে কয়েকটা উট দাঁড়ানো, চাইলে উটে চড়ে আশে পাশে যাওয়া যায়। গেট দিয়ে ঢুকলে একেবারে মাঝখানে একটা গোলাকার মঞ্চ, তার চারপাশে গালিচার উপর বড় বড় বালিশ দেওয়া দর্শকদের জন্য। দান দিকে দুইটা বড় বড় তাঁবু, এগুলোতে খাবার আর পানীয়।
বাম দিকে একটা ছোট গোল খোলা তাঁবু, এটা শীশা খাওয়ার জায়গা। তাঁবুর ভিতরে বাইরে দুই জায়গাতেই বসার ব্যবস্থা আছে, ২-৩ জন অল্প বয়স্ক ছেলে ঘুরে ঘুরে সবার খেয়াল রাখছে। এরপর একটা তাঁবুতে মেহেদী দেওয়ার ব্যবস্থা আছে, আর তার পরে কয়েকটা ভ্রাম্যমান দোকান, আজেবাজে জিনিস দিয়ে ভরা। আমরা গিয়ে মঞ্চের পাশে একটা গালিচার উপর বসলাম, হাতে কফি। তখন মঞ্চে তানুরা নাচ চলছে।
তানুরা নাচ এক ধরণের মিশরীয় লোক নৃত্য। এর সাথে সুফী দরবেশদের 'ঘুর্ণনরত ধ্যানের' বেশ মিল আছে, 'Mevlevi / Mawlawi' (বাংলায় উচ্চারণ সম্ভবত মৌলভি হবে) পন্থানুসারী সুফী দরবেশরা এখনও এই ধ্যান বা মেডিটেশন করে থাকেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে যান। এই ধ্যান পুরোটাই আধ্যাত্মিক হলেও তানুরা নাচের সাথে আধ্যাত্মিক ব্যাপার স্যাপার কতটুকু জড়িত আছে এখন সেটাই প্রশ্ন।
আমার কাছে মনে হয়েছে এই নাচ এখন শুধুই এক ধরনের বিনোদন, বাজনার সাথে ২০মিনিট (বা তারও বেশি) নিজের অক্ষের উপর ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে টানা ঘুরতে থাকে নৃত্যশিল্পী, তার সাথে করে বিভিন্ন রকম কসরত। কস্টিউম টা হয় খুবই রঙ-বেরঙের, নিচে যে স্কার্টের মত অংশটা থাকে, তাতে অনেকগুলো স্তর থাকে, কোন কোন স্তরে ছোট ছোট বাতিও লাগানো থাকে যা শিল্পী এক পর্যায়ে কোথাও সুইচ টিপে জ্বালিয়ে দেয়। তখন মঞ্চের লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়, অন্ধকারে সেই কস্টিউমের লাইট নাচিয়ের ঘূর্ণনের সাথে সাথে চমৎকার আলোর নকশার জন্ম দেয় ।
নাচের বিভিন্ন পর্যায়ে নৃত্যশিল্পী একটা একটা করে স্তর খুলে ফেলে, সেগুলোর মাঝেও বেশ কিছু জিনিস লুকানো থাকে, যেমন ছাতা, ছোট ঝুড়ি বা এক ধরনের ]ট্যামবুরিন (Tambourine, one kind of percussion), যাকে আরবিতে বলে 'রিক্ক্'। বাংলায় কি বলে জানিনা, গুগল বলছে বাংলা নাম খঁজনি (??!!)।
তানুরা শিল্পী নিজের নাচ শেষে দর্শক দের থেকে অনেক কেই ডাকল চেষ্টা করার জন্য নাচটা, অনেকেই গেল, এবং প্রায় সবাই ১৫-২০ পাক ঘুরার পর ধপাস করে মাটিতে পড়ে গেল। এই নাচের জন্য অনেক পরিশ্রম আর অনুশীলন প্রয়োজন যা অল্প সময়ে সম্ভব না। হামাদা নামে একজন বিখ্যাত নাচিয়ে আছে, তার দাবী সে একটানা ছয় ঘণ্টা এভাবে ঘুরে ঘুরে নাচতে পারে [তথ্যসূত্র: এখানে]
তানুরা নাচের পর ডিনারের ডাক পড়ল। ডিনারের মেনু ৩ রকমের বারবিকিউ করা কাবাব, রুটি, ভাত সাথে কিছু আরবি আর ভারতীয় ডিশ, আর কোমল পানীয়। তাঁবুতে বসে আয়েশ করে খেয়ে নিলাম, অনেক খিদে পেয়েছিল বলাই বাহুল্য।
খাওয়া শেষে কোমল পানীয়তে চুমুক দিতে দিতে বসলাম আবার গিয়ে গালিচায়, বালিশে হেলান দিয়ে। ভাবছি শীশা খেতে যাব কিনা, ভরা পেটে একটু ধূমপানের মজাই আলাদা! হঠাৎ জোর বাজনা বেজে উঠল, আর সেই আলো আঁধারিতে সোনালী রঙের কাপড়ে নিজেকে মুড়ে নিয়ে কেউ একজন দৌড়ে চলে এল মঞ্চে। তারপর নাচের তালে তালে আস্তে আস্তে সোনালী সেই কাপড়ের আবরণ খসে পড়তে লাগল, যেন একটা চকলেটের বাইরের সোনালী মোড়ক ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে। দর্শকদের তালি, শিস আর হুল্লোড় শুনা গেল, শুরু হল 'পেট নাচ' বা 'বেলি ড্যান্স'। বলে রাখি মেয়েটা আরব নয়, উজবেক।
আমার বউ নাচ শেষে মেয়েটার সাথে ছবি তুলতে চেয়েছিল, কিন্তু মেয়েটা নাচ শেষ করে এত জোরে দৌড় দিয়ে ড্রেসিং রুমে চলে গেল যে সেই সুযোগ আর পাওয়া গেল না। অগত্যা আমার বউ একটু মেহেদী লাগিয়ে নিতে ঢুকল মেহেদীর তাঁবুতে। আমি গেলাম শীশা টানতে, গিয়ে শেহজাদের সাথে দেখা হল আবার। ধূমপানের ফাঁকে ফাঁকে জানালো যে সে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ফাইনাল খেলা দেখেছে এবং আমাদের খেলোয়াড়দের আবেগ আর দৃঢ়তা দেখে সে মুগ্ধ। শুনে গর্বে বুকটা ভরা ভরা হয়ে গেল, আমি বললাম দেখে নিও একদিন আমাদের টিম বিশ্ব সেরা হবে। ততক্ষণে প্রায় পৌনে নয়টা বেজে গেছে, ড্রাইভার বলল আমাদের যেতে হবে। যদিও আমার ইচ্ছা ছিল আরও কিছুক্ষণ বসে শীশা টানার, কিন্তু ভ্রমণ প্যাকেজের সময় রাত ৯:৩০ পর্যন্ত যা আগেই বলেছি। তাই উঠতেই হল। গাড়িতে করে ঘন্টাখানেক চলার পর ফিরে এলাম আমাদের শিবিরে। শেষ করি একটা হরর ছবি দিয়ে
আজ এই পর্যন্তই।
-----------------------------
মন্তব্য
উলালা!
[ক্যামেরা লেন্স কি?]
---------------------
আমার ফ্লিকার
ক্যানন কিস এক্স ২ (৪৫০ ডি), লেন্স এখানে ১৮-৫৫ কিট, ৫০ মিমি প্রাইম আর ৭০-২০০ এফ ৪ (নন আই এস) ব্যবহার করসি, একেক সময় একেকটা।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
এল শব্দটা বাদ্দিলেন ক্যান
---------------------
আমার ফ্লিকার
ভুলে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আহা!
দারুন তো!!
ডাকঘর | ছবিঘর
হ
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
Mamma Mia ! ফটোস্ দেখিয়া চক্ষুদ্বয় ছানাবড়া হইয়া গেল
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বেলি আফার নাচ ভালু পাইলাম--
দুবাই যাইতে মুঞ্চায়-- পীর পয়গাম্বরদের দেশের আশেপাশে বেহেস্তের হুরগেলমানদের সুসংবাদের প্রকাশ নজদিক হৈব না তো কৈ হৈব!!!
-------------
পথিক পরাণ
বেলি আফা বড়ই সৌন্দর্য্য!!!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ইর্ষাইলাম আপনেরে ইর্ষাইলাম !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ঈর্ষা করা ভালু
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ট্যাকা দ্যান, দুবাই যামু।
আমি??
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
দারুন লাগল মরুদ্যান ভাই!
ডিউন ব্যাশিং, বেলি ড্যান্স আর চর্কি-দরবেশনৃত্য দেখে আমার নিজেরও এ সংক্রান্ত কিছু মিশরী অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল।
চর্কি-দরবেশনৃত্যটা আসলেই একসময় (হয়তো এখনো) বিশেষ ঘরানার তুর্কি দরবেশদের সুফী সাধনার অংশ ছিল। তবে এখন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে যা দেখেন সেটা ট্যুরিস্ট মনোরঞ্জনার্থে বিশুদ্ধ বিনোদনই। তবে এটার উপর ভিত্তি করে উচ্চাঙ্গের (ধর্মীয় নয়) পার্ফর্মেন্সও হয় যা অনেকটা উচ্চাঙ্গ নৃত্যের মত জিনিষ। এটা মূলত তুর্কিরাই করে বোধহয়। সফররত তুর্কি একটা ট্রুপের এমন একটা নৃত্যনাট্য টাইপের পার্ফর্মেন্স দেখেছিলাম কায়রো অপেরা হাউসে।
ডিউন ব্যাশিং-এর ক্ষেত্রে আপনার সাথে আমার বোধহয় খানিকটা মিল পাচ্ছি। আমারও এই জিনিষটা দুর্দান্ত লেগেছে, যদিও 4WD-তে করে - কোয়াড বাইক বা ঐরকম কিছুতে না। আমি গেছিলাম মিশরের হোয়াইট ও ব্ল্যাক ডেজার্টে। পথিমধ্যে ডিউন টপকাতে হয়েছে অনেকক্ষণ। এখানে এনিয়ে আমার একটা লেখা দেখতে পারেন (তবে ছবিগুলি আমার না)। আমার ধারণা, ডিউন ব্যাশিং-ডিউন বোর্ডিং এর ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যতম সেরা জায়গা হচ্ছে মিশরের গিলফ্-আল-কবির টু সিওয়া রুটের মধ্যবর্তী দ্য গ্রেট স্যান্ড সী। এটা পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম ডিউন-ফিল্ড বা এর্গ। হোয়াইট ডেজার্ট থেকে এখানে যাওয়া যায়, কিন্তু যাইনি বলে এখনও আফসোস রয়ে গেছে। এছাড়াও নামিবিয়ার সোসুভ্লেই আর মরক্কোর এর্গ-ছেবিও অতুলনীয় সৌন্দর্যের ডিউন-ফিল্ড। কোনদিন এসবে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে কিনা খোদাই মালুম!
বেলি ড্যান্স নিয়া আর কিছু কইলাম না। এইখানে দেখেন কিছু।
****************************************
মিশরে যাওয়ার শখ অনেক দিনের, দেখি কোনদিন যাওয়া যায় কিনা। চর্কি নৃত্যের কথা ঠিক বলসেন, তুর্কি তে এই ঘরানার সাধকরা এখনো আছে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
মনমাঝি ভাই@ বেলি ড্যান্স এর কিছু ছবি পোষ্টান না
দারুন লেখা মরুদ্যান ভাই। ছবিগুলোও একদম জীবন্ত! বেলি ড্যান্স এর মেয়েটা .... আহ! অর্ধনগ্নতারো একটা আলাদা সৌন্দর্য্
আছে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
হ
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ছবির চেয়েও ভালু ভিড্যুর লিঙ্ক তো দিছিই আমার উপ্রের কমেন্টের শেষ বাক্যে! দিছিলাম মরুদ্যান ভাইয়ের জন্য, উল্লালালাহ্ বলতে বলতে আপনেও দেইখ্যালান !
****************************************
আপনি ০১ ব্যাচের রকি ভাই?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হ (এতদিনে?? )
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হ ভাই, ছবি দেইখা টের পাইলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তোমারে তো আমি প্রথম দিন থিকাই চিনি
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নাহ চেনা উচিৎ ছিল, যাই হোক শেষ পর্যন্ত চিনতে পারছি, সেটাও খারাপ না। এখন কই আছেন বস?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এবারের লেখা ডিউন ব্যাশিং হইছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
জালেম দুনিয়া! এইসব বেদাতি কাজ কারবার দেখে কার শরীর শান্ত থাকে?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ছবি উমদা হইছে। তয় কয়েকটা কুয়েশ্চেন আছে -
১। "ঢুকতে বামে কয়েকটা উট দাঁড়ানো, চাইলে উটে চড়ে আশে পাশে যাওয়া যায়। " --- উটের আসল ব্যবহার এইটা তুই নিশ্চিত?
২। "নাচের বিভিন্ন পর্যায়ে নৃত্যশিল্পী একটা একটা করে স্তর খুলে ফেলে, সেগুলোর মাঝেও বেশ কিছু জিনিস লুকানো থাকে, " --- একটা ব্যাটা নাচতে নাচতে কাপড় খুলে ভিতরের লুকানো জিনিস দেখাবে, সেইটা তুই পয়সা দিয়া দেখতে গেছস?
৩। বেলি আপার বাকী ছবি কো? গাদ্দাফি ভাই কি হুদাই পূর্ব ইয়ুরোপের নার্স খুঁজতো?
১) হ
২) আমি গেসিলাম গাড়ি লইয়া বালির মধ্যে লাফাইতে, লাফানির লগে বোনাস হিসাবে নাচানাচি
৩) বেলী আপার আর কি ছবি? আমি তো তার ড্রেসিং রুমে যাইনাই। গেলেও ছবি দিতাম মনে কর্সস??
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আরে দোস্ত আমরা আমরাই তো!
নিউ মেক্সিকো আইসা লই, পেনড্রাইভ দিয়া লইয়া আসুম নে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ভাল লাগলো, ছবি, লেখা দুটোই। চকলেটের মোড়কের ভিতরের জিনিসটা উমদা। এই প্রৌঢ় বয়সে
উমদা কে উমদা বলেন, এতে বয়স নিয়ে চিন্তা করার কি আছে?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
তাই তো, বেলী আপার আর ছবি কো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
সুভানাল্লা, আলহামদুলিল্লা, মাশাল্লা
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অবশেষে পোস্টটি তাহার সার্থকতা পাইল
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ভাইয়া, দুবাই যামু
ট্যাকা দাও!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
একলা যাওয়া ঠিক না, আগে বিয়া কর!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
লেখা ভাল হয়েছে । মুস্তাফিয ভাইয়ের পরামর্শ কাজে দিয়েছে ।
তবে বেলি আপা বয়স্কা আর মুটকি
হ ঠিক, মুস্তাফিজ ভাই বস মানুষ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
একটা যথার্থ যুবা (১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ) পোস্ট খুঁজে পাইলাম। সবাই এই ট্যাগ দেয় কিন্তু ভিতরে ফক্কিকার থাকে, শুধু আপ্নিই কথা রাখলেন.........
এনি ওয়ে, পোস্ট সেই রকম হৈছে............
_____________________
Give Her Freedom!
। হ সবাই মাংসের লোভ দেখায়া খাওয়ায় শুধু ঝোল
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বাহ, বেশ একটা ভালোরকম ঘোরাঘুরি করেছেন দেখতে পাই।
ঐদিন গরম কেমন ছিল? দুবাই তো শুনি ভারি গরমের জায়গা।
ভাই মধ্যপ্রাচ্যের আবহাওয়া খুবই আরামদায়ক গত দুই বছর ধরে। খুব গরম থাকে শুধু ৩ টা মাস, জুন জুলাই আগস্ট। বাকি সময়টা বেশ ফুরফুরে আর ঠান্ডা। আর এখানে বাতাসের আর্দ্রতাও কম, তাই গরম লাগলেও ঘাম খুব বেশি হয়না। আর সব জায়গাতেই এসি। আমি শুধু মিস করি বৃষ্টি, মুষলধারে বৃষ্টি হয়ই না। গুড়ি গুড়ি হয় মাঝে মাঝে।
এপ্রিলে দুবাই'র আবহাওয়া ভাল ছিল, কোন সমস্যা হয়নি।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আরে, এই বৃষ্টির অভাবের জন্যই তো আমি পালায়া দেশে চলে আসছিলাম। বৃষ্টি না হইলে যে কি কষ্ট হয়, সেটা আপনি অনুভব করেন কিনা জানি না, আমার তো মনে হচ্ছিল গায়ের চামড়ার তলায় কেমন যেন কিরকিরানি করতেছে। অনার্দ্র ফুরফুরে বাতাস প্রথম দিকে খুব ভাল লাগলেও আর ধুলি/মরুঝড় জিনিষটার অভিনবত্বে চমৎকৃত হলেও, পরে বৃষ্টির দেশের মানুষ হয়ে বৃষ্টির অভাবটা অসহ্য লাগতেছিল। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা আর বন্যার জন্য অতিবৃষ্টিকে কত গালি দিয়েছি, কিন্তু আবার তার অভাবেই যে প্রাণটা আঁইঢাঁই করবে একদিন বিরহী প্রেমিকের মত তা কখনো কল্পনাও করিনি আগে।
****************************************
উল্লালা।।। দাঁত তো আর মুখের ভিতর ফিরছে না দাদা।। এ কী দেখালেন।।। আপনার কেম্রা আর হাতের প্রতি রইল শুভ কামনা। তয় পেন ড্রাইভে থাকা ছবিগুলো দেখতে যে পরান আই-ডাই করছে ভাইডি?
ধন্যবাদ।
পেন ড্রাইভের ছবি?? সে পরে কোনদিন হবেখন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
facebook
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
দারুণ সব ছবি।
চমৎকার !!
মরুতে মরুদ্যান !
আহা। কী সুন্দর।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনার পুরনো কিছু লেখা পড়লাম - আমার বইবেলা, ক্যামেরা নিয়ে আতশবাজি, মরুদ্যান এখন মরুতে নেই এসব। এই পোস্টের ছবি গুলো সুন্দর ।
অপর্ণা মিতু
নতুন মন্তব্য করুন