বন্ধু তোমায় মনে পড়ে

মরুদ্যান এর ছবি
লিখেছেন মরুদ্যান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৮/২০১৪ - ১১:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আম্মু বার বার বলছিল একটা ঘুম দিতে। দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমালে নাকি ছোটদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। আয়নায় নিজেকে তো প্রায়ই দেখি, স্বাস্থ্য তো ভালই মনে হয়। গাট্টা গোট্টা হাত-পা, গালেও মাংস টাংস আছে খারাপ না। হুহ্‌ ! দুপুরে ঘুমাতে আমার বয়েই গ্যাছে। ঐ যে আম্মু মনে হয় গোসল করতে ঢুকল। পা টিপে টিপে বের হয়ে গেলে কেমন হয়? ধরা খেলে অবশ্য কান দুইটা আস্ত থাকবেনা! ধুউরর কি আর হবে?? আম্মু বের হবার আগেই নাহয় চলে আসব।

এক সপ্তাহ হল আমরা নতুন জায়গাটায় এসেছি। আব্বুর বদলির চাকরি, ২ বছরের মাথায়ই এদিক থেকে ওদিক যাও... আর ভাল্লাগেনা!! ইসস্‌ আগের জায়গায় থাকলে এতক্ষণে ওয়াসিফ, রাকিব, সোহাগদের সাথে ক্রিকেট নাহলে ফুটবল খেলা শুরু হয়ে যেত! ভাবতেই চোখ ফেটে কান্না পাচ্ছে... নাহ্‌ কান্নাকাটি করা যাবেনা, আমি এখন অনেক বড়। আহারে... ছিঁচকাঁদুনে সাদিয়াটার সাথে বোধহয় আর দেখা হবেনা। আম্মুকে জিজ্ঞেস করতে হবে সাদিয়াদের ফোন নম্বরটা রেখেছে কিনা।

নতুন জায়গাটা অবশ্য খুব বেশি খারাপ না।বড় একটা খোলামেলা বাসা, একটু দূরেই একটা পুকুর, বাঁয়ে ক্ষেত আর ডানদিকে প্রধান সদরে যাবার পথ। পুকুরের ঐ পারে বড় বড় গাছ আর ঝোপঝাড়, জঙ্গলের মতন জায়গাটা। শুনেছি ওখানে অনেকটা জায়গায় কোন ঘরবাড়ি নেই। হাঁটতে হাঁটতে আর ভাবতে ভাবতে জঙ্গল জঙ্গল জায়গাটার কাছে চলে এসেছি। কেমন জানি ভয় লাগছে, চারদিকে মানুষ কেন একটা কুকুর বিড়ালও নেই। হঠাৎ পেছন থেকে মানুষের গলা শুনে চমকে গেলাম "এই ভর দুপুরে কই যাও?"
প্রশ্নটা করেছে আমারই সমান একটা ছেলে। পরনে সবুজ হাফপ্যান্ট, ফিকে হলুদ একটা গেঞ্জি, সামনে লিখা P.O.W তারপর রঙ জ্বলে আর পড়া যাচ্ছেনা। মনে হয় P.O.W.E.R জাতীয় কিছু একটা লেখা ছিল।মাথার চুল কদম ছাঁট করে কাটা, দুই এক জায়গায় মনে হচ্ছে কেউ খাবলা দিয়ে চুল তুলে নিয়েছে।
"কি হইল, কথা কওনা ক্যান? নাকি কইবার পারনা? বোবা??"- এই বলে আমি বোবা কিনা এটা ইশারায় জিজ্ঞেস করার জন্য ছেলেটা বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করা শুরু করল। বিশেষ সুবিধা করতে পারছেনা দেখে বলে দিলাম "ঐ জঙ্গলের দিকে যাই।"
বলে ছেলেটাকে আর পাত্তা না দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। ভেবেছিলাম চলে যাবে, কিন্তু ছেলেটা কিছু না বলে চুপচাপ আমার পাশে পাশে হাঁটতে শুরু করল।
"তুমি সাপরে ডরাও?" ছেলেটা কিছুক্ষণ পর আমাকে জিজ্ঞেস করল। আমি হাঁটতে হাঁটতে সাকিব, সোহাগরা কি করছে তা নিয়ে ভাবছিলাম, তাই প্রথমে প্রশ্নটা খেয়াল করিনি, আনমনেই বললাম "হুঁ..." হঠাৎ একটা রাম ধাক্কা খেয়ে সম্বিত ফিরে পেলাম।
-"সাপরে ডরাও না ডরাওনা?"
-"সাপ!! ওয়াক্‌ থু! দেখলেই ঘিন্না লাগে, কেমন পিছলা পিছলা..."
-"তাইলে তোমার ঐ জঙ্গলে না যাওনই ভাল। অহন বিষ্টি বাদলার দিন, অনেক সাপ বাইর হয়, বুজ্‌সো??"
ছেলেটার খবরদারি দেখে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল, তাও সাপের কথা শুনে একটু দমে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম "কেন তুমি সাপকে ডরাওনা?"
-"হ ডরাই, তয় সাপেরা ক্যান্‌ জানি আমার কাছে আহেনা..."
-"এহহ্‌ চাপা মারার জায়গা পাওনা! তুমি কি ফেরেশতা নাকি যে সাপেরা তোমাকে খাতির করবে?"- আমি তেতে উঠে বললাম।
ছেলেটা বলল, "বিশ্বাস যাও, আমি মিসা কথা কইনা, ঈমান!!"
কথাটা বিশ্বাস করব কিনা ভাবছিলাম, এর মধ্যে আবার প্রশ্ন "তুমি থাহ কই?" হাত তুলে দেখালাম "ঐ দিকে.... তোমার বাড়ি কোথায়?"
-"ঠিক কইতারিনা।"
একটা ঝাড়ি দিব বলে ফিরে তাকিয়েছি, দেখলাম ছেলেটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি জানি ভাবছে। হঠাৎ মনে পড়ল, অনেকক্ষণ হয়েছে আমি বাইরে, আজকে নির্ঘাত কপালে দু:খ আছে!
"এ্যাই আমি যাই" বলে দৌড় দিলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে মনে পড়ল আজব ছেলেটার নামই জিজ্ঞেস করা হয়নি।

....

মাঝে কয়েকদিন আম্মু বের হতে দেয়নি, সেদিন না বলে বের হওয়ার শাস্তি। অবশেষে আর সহ্য করতে না পেরে আজকে আম্মুর পায়ে পরে গেলাম, সাথে আমার বিখ্যাত ঘ্যান ঘ্যান। আম্মুর মনে হয় শেষমেশ একটু দয়া হল, আমাকে দুই ঘন্টা এদিক সেদিক ঘুরাঘুরির অনুমতি দিল। বাইরে হাঁটছি আর যেই ভাবছি আজব ছেলেটাকে একটু খুঁজে দেখব কিনা...তখনই চোখে পড়ল পুকুর পারে সে পা ঝুলিয়ে বসে আছে। কাছে গিয়ে বললাম "কেমন আছ?"
ছেলেটা একটুও না চমকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল "ভালা আছি, এই কয়দিন তোমারে দেহিনাই যে?"
-"আম্মা বাসা থেকে বের হতে দেয়নি।"
-"ওওও... মা'র আঁচলের তলে লুকায় ছিলা? বাসায় বইয়া বইয়া দুদু খাইসো? খিক খিক খিক... "
আমি চোখমুখ শক্ত করে ফেললাম "ফালতু কথা বলবানা! তা তুমি এখানে বসে বসে কি কর?"
-"কিস্যু না।"
আমি ছেলেটার পাশে বসে পড়লাম। জিজ্ঞেস করলাম "তোমার নাম কি?"
-"মুকুইল্যা, মায় নাম রাখসিল মুকুল তয় মাইনষে ডাকে মুকুইল্যা। হি হি হি হি..."
-"আমার নাম হচ্ছে অভি, তুমি চাইলে আমাকে অইভ্যা ডাকতে পার।"
ছেলেটা কিছু বলল না, মনে হয় আমার কাছ থেকে এরকম কিছু আশা করে নাই। যাই হোক, কিছু না বলে ও প্যান্টের পকেট থেকে একটা পাতা বের করল, তারপর ভাঁজ করে বাজাতে শুরু করল। কিছুক্ষণ শুনার পর আমার বেশ পছন্দ হয়ে গেল ব্যাপারটা। আমি বাজানোর কায়দাটা শিখতে চাইলাম। মুকুল বলল সে আমাকে শিখাতে পারে তবে এক শর্তে, আমাকে ওর জিগ্‌রি দোস্ত হতে হবে।
জিজ্ঞেস করলাম "জিগ্‌রি দোস্ত কি জিনিস?"
-"জিগ্‌রি দোস্ত মানে হইতাসে গিয়া তোমার... সারা জীবনের খাতির। আমরা কেউ কাউরে কোনদিন ভুলুম না, সারা জীবন মনে রাখুম। যদি রাজি থাহ তাইলে তোমারে শিখাইতে পারি।"
আমার এমন কোন জোর ইচ্ছা না থাকলেও লোভে পড়ে রাজি হয়ে গেলাম। সাদিয়াকে পাতার বাঁশি বাজিয়ে শুনালে নির্ঘাত হিংসায় নীল হয়ে যাবে! মুকুল আরেকটা পাতা বের করে আমার হাতে দিয়ে বলল "ওবি, এইডারে এমনে ভাঁজ দিয়া মাঝখানে ফুঁ দিবা, দ্যাহতো পার নি..."
প্রথম প্রথম কোন আওয়াজই বের হয়না, মুকুল অবশ্য সমানে আমাকে উৎসাহ আর সাহস দিয়ে গেল। অবশেষে যখন একটু আওয়াজের মতন শোনা গেল, মুকুলের সে কি হাসি!!

....

মুকুল আস্তে আস্তে আমাকে আরো অনেক কিছু শিখালো। লতা দিয়ে চশমা বানানো, গাছের নিচু ডালে পা দিয়ে উল্টা হয়ে লটকে ঝুলে থাকা, জঙ্গলের মতন জায়গাটায় যে সতের রকম গাছ আছে তাদের নাম, আরো কতকি!! মুকুলকে আমার অনেক জ্ঞানী মনে হত, মনে হত বয়সের তুলনায় একটু বেশিই জানে। ও প্রায় সবসময়ই বকবক করত কিন্তু কখনোই নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু বলতনা। একদিন কথায় কথায় একটা অদ্ভুত কথা বলল "বুজলা ওবি, আমি যেহানে থাহি সবসময় এ্যাক্কেরে আন্ধার থাহে, আমার দম আটকায় আহে, তহন বাইরে আইয়া পরি..."।
শুনে আমি আরেকটু জানার চেষ্টা করতেই ও একেবারে চুপ মেরে গেল। কয়েকদিন আমার বাসায়ও আসতে বললাম, কিছুতেই রাজি হলনা।
একদিন মুকুলকে জিজ্ঞেস করলাম "এ্যাই তুমি সাঁতার জান?"
"ন-না জানিনা..." মুকুল হঠাৎ কথাটা শুনে কেমন জানি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। আমি ওস্তাদি মার্কা একটা হাসি দিলাম। বললাম "কোন ব্যাপারই না! আজকে তোমাকে এক ঘন্টার মধ্যে সাঁতার শিখায় দিব।"
-"না আ আ আ..." মুকুল আর্ত চিৎকার করে উঠল, "পানিরে আমি খুব ডরাই!!"
-"আরে ধুর! ভয়ের কি আছে? আমি আছিনা, কিচ্ছু হবেনা"- বলে হাত ধরে দিলাম একটা টান।
হঠাৎ মনে হল আমি যেন জায়গায় জমে গিয়েছি। মেরুদণ্ড বরাবর একটা তীব্র যন্ত্রণা নিচ থেকে উপরে উঠে আমার মাথায় ভয়ংকর জোরে ধাক্কা দিতে লাগল। মনে হচ্ছে কেউ যেন আমার মাথার ভিতরে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক ঠুকছে। আমি মাথা চেপে ধরে গোঙাতে গোঙাতে বসে পড়লাম মাটিতে। শুনলাম মুকুল আস্তে আস্তে বলছে "আমারে কখনো জোর করবানা, তাইলে নিজেই কষ্ট পাইবা। তুমি অহন বাসায় গিয়া শুইয়া থাহ, অনেক জ্বর আইব রাইতে। চল তোমারে আগায় দিয়া আহি।"
টলতে টলতে যন্ত্রণায় ঘোরলাগা অবস্থায় ফিরলাম। মুকুল আমাকে বাসার কাছাকাছি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে চলে গেল।
সেদিন রাতে প্রচণ্ড মাথা ব্যথাসহ ভয়ংকর জ্বরে পরলাম। টানা এক সপ্তাহ জ্বর ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রিতে উঠানামা করল। শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেলাম। ডাক্তার বলল ঢাকার হাসপাতালে আমার আরো উন্নত চিকিৎসার দরকার, উনার কিছু করার নেই। আব্বা আম্মা আমাকে ঢাকা নিয়ে আসলেন। একমাস হাসপাতালে থাকার পর সবার অক্লান্ত সেবায় আমি ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করলাম। আব্বা অনেক তদবির করে ঢাকায় বদলি হয়ে চলে আসল। বলল ঐ জায়গায় আমরা নাকি আর ফিরে যাবনা।পরে শুনেছিলাম ডাক্তাররা নাকি আমার জ্বরের নির্দিষ্ট কোন কারণই বের করতে পারেনি। আমি বুঝলাম সবই, কিন্তু কাউকে কিছু বললাম না। কে বিশ্বাস করবে আমার কথা? উল্টো বলবে জ্বরে আমার মাথায় গোলমাল দেখা দিয়েছে; তাই বাবা মা কে আর নতুন টেনশনে ফেলতে মন চাইলনা। তবে মুকুলের আমার উপরে অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যাপারটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না, খুব রাগ হচ্ছিল। যাই হোক, ঢাকায় নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম। স্কুল, কোচিং, খেলাধুলা সবকিছুর চাপে আস্তে আস্তে এসব ভুলে যেতে শুরু করলাম। মুকুলের সাথে আর আমার দেখা হয়নি।

....

সাতাশ বছর পর...
গাড়িটার গায়ে গা ঠেকিয়ে পুরানো স্মৃতিগুলো হাতড়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম। সাদিয়ার ডাক শুনে ফিরে তাকালাম "এ্যাই তুমি চা খাবে? বাবা মাকে চা দিচ্ছি আমি।"
-"না, তোমরা খাও। আমি চারপাশটা একটু ঘুরে আসি।"
বুদ্ধিটা প্রথমে বের হয় বাবার মাথা থেকে। হঠাৎ একদিন ডেকে বলল "অভি, তুই ছোট থাকতে তো আমরা অনেক জায়গায় থেকেছি। চল্‌ এক কাজ করি, জায়গাগুলো একবার সবাই মিলে ঘুরে দেখে আসি।"
আমিও অ্যাডভেঞ্চার অ্যাডভেঞ্চার গন্ধ পেয়ে রাজি হয়ে গেলাম। মা আর সাদিয়া যথারীতি বিরক্ত। ওদেরকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে অফিস থেকে ২ সপ্তাহ ছুটি নিয়ে পাঁচ জন বের হয়ে পড়লাম। বাবা মা, আমি সাদিয়া আর আমাদের দশ বছরের ছেলে প্রবাল। ঘুরতে ঘুরতে এখন আমরা সেই জায়গাটায় এসেছি। মা তো এখানে আসতেই চাচ্ছিলো না ভয়ে, যদি কারো কিছু হয়! প্রবালকে তাই মা ঘরে নিজের কাছে আটকে রেখেছে, দেখে প্রবালের সে কি রাগ! ......আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম, খেয়াল হলে দেখলাম হাঁটতে হাঁটতে পুকুরটার কাছে চলে এসেছি, অনেক কচুরিপানা হয়েছে পুকুরে।

"এ্যাত্তদিন পর ফিরা আইলা?"- গলার স্বরটা শুনে বুকটা কেমন জানি ধ্বক করে উঠল। পিছন ফিরে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছে সাতাশ বছর আগে দেখা হুবহু সেই একই মানুষ, সেই সবুজ হাফপ্যান্ট, সেই হলুদ গেঞ্জি!! অবিশ্বাস্য একটা সম্ভাবনার কথা মনে দানা বেঁধে উঠতে চাচ্ছে; তাও কোনমতে জিজ্ঞেস করলাম "কে তুমি??"
-"জিগরি দোস্তরে এত তাড়াতাড়ি ভুইল্যা গ্যালা? ভাল কইরা দ্যাখ, আমি মুকুইল্যা..." মুকুলের মুখটা পাথরের মত শক্ত, কিন্তু ঠোঁটের কোনে কি এক চিলতে হাসি দেখা যাচ্ছেনা...?
"কিন্তু... কিন্তু তা কি করে হয়? তুমি তো একেবারেই ছোট! মুকুলের বয়সতো... আ-আ-আমার মত হবার কথা! "- আমি প্রায় চিৎকার করে উঠলাম।
মুকুল এগিয়ে এসে আমার হাত ধরল, মাথাটা ভয়ানক দুলে উঠল আমার, আর চোখের সামনে সবকিছু একদম ঝাপসা হয়ে গেল। মনে হল বহু দূর থেকে মুকুলের গলা শুনতে পেলাম "ওবি, পুকুরের দিকে চায়া দ্যাহ..."
সাথে সাথেই চোখের সামনে থেকে ঘোলা পর্দাটা আস্তে আস্তে সরে যেতে লাগল।এবার দেখতে পেলাম, একটা ছোট ছেলে লাল একটা বল নিয়ে পুকুর পারে হাঁটাহাঁটি করছে। কে ঐটা, মুকুল না?? হ্যাঁ মুকুলই তো!! ঐ তো দেখা যাচ্ছে ওর সবুজ হাফপ্যান্ট আর হলুদ গেঞ্জি। খেলছে মুকুল আপনমনে বলটা নিয়ে, হঠাৎ হাত ফসকে বলটা পড়ে গেল পুকুরে। মুকুল ইতি উতি তাকাচ্ছে কাউকে দেখা যায় কিনা...সাহায্যের জন্য। কেউ নেই দেখে ও আস্তে আস্তে নিজেই ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে নামতে লাগল।বলটা বেশি দূরে যায়নি, শেষ ধাপটা যেখানে পানির নিচে অদৃশ্য হয়েছে, তার কাছেই ভাসছে। মুকুল হাত বাড়িয়ে বলটাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে... আর অল্প একটু .....এমনসময় ও পিছলে গেল।দাপাদাপি দেখেই বুঝা গেল মুকুল ডুবে যাচ্ছে। ২/৩ বার মাথাটা পানির উপরে উঠে এলো, আবার ডুবে গেল, ছোট ছোট হাতদুটো কিছু একটা ধরার প্রাণপণ চেষ্টায় ব্যাকুল। "বাঁচাও... কেউ ওকে বাঁচাও!!" বলে চিৎকার করে উঠতে চাইলাম, পারলামনা। আমার সবকিছু যেন অবশ, অসাড়। চোখের সামনে মুকুল হারিয়ে গেল পানির নিচে, শুধু রেখে গেল পানির উপরে ওর ফুসফুসের শেষ বাতাসটুকুর চিহ্ন, কয়েকটা ছোট বড় বুদবুদ। আমি জ্ঞান হারালাম।

জ্ঞান ফিরার পর দেখলাম, বিছানাতে শুয়ে আছি। পাশে সাদিয়া আমার হাত ধরে বসা। মা ক্রমাগত বাবাকে বকছে যে কেন বাবার মাথায় সারাটা জীবন শুধু কু-বুদ্ধিই খেলা করে গেল, বেচারা বাবা! প্রবালকে দেখলাম গুটিসুটি হয়ে এক কোনায় বসে আছে। কথায় কথায় জানতে পারলাম, এলাকারই একটা ছেলে নাকি এসে খবর দিয়ে গ্যাছে যে পুকুর পারে এই বাসার স্যার অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ছেলেটার মাথার চুল খাবলা খাবলা করে কাটা, গায়ে ছিল সবুজ হাফপ্যান্ট আর হলুদ গেঞ্জি।

----------------------------------------------------------------------
[গল্পের সমস্ত ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক।]

[আমার লেখা প্রথম গল্প, সাল ২০০৯]


মন্তব্য

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

ধুন্দুমার গল্প। হাততালি চাল্লু

তোমার লেখা প্রথম মানে হচ্ছে আগেরগুলা পরে লেখা। আর কি কি লুকায় রাখসো?

মরুদ্যান এর ছবি

আমার কোন প্যান্ডোরার বাস্কো নাই মন খারাপ

পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- (অ:ট: কালকে লাঞ্চ টাইমে আইতে পারি)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

মুকুইল্যারে তর লাইগা অসম্ভব সুন্দর ১ টা গল্প পরলাম।
_______________________
সরীসৃপ

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মেঘলা মানুষ এর ছবি

এই মানের গল্প আরও চাই!

শুভেচ্ছা হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে।
একটা দুটো টাইপো - গল্প কথক একবার বলছে 'আম্মু' আবার 'আম্মা'। হাসি

-ছায়াবৃত্ত

মরুদ্যান এর ছবি

অভি আম্মু আম্মা মা সবই ডাকে হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মাসুদ সজীব এর ছবি

পাঁচতার দাগিয়ে গেলাম। অনেকদিন পর দারুন একটা জমজমাট গল্প পড়লাম। প্রথম লেখায় মুগ্ধ করেছে গুল্লি

(গল্পের নাম টা গানের সাথে মিলে যাওয়ায় কেমন জানি লাগলো, গল্পের অন্য কোন মৌলিক নাম দেয়া যায় কিনা ভাবতে পারেন হাসি )

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

মরুদ্যান এর ছবি

এটা কিন্তু সচলায়তনে আমার প্রথম গল্প না খাইছে জীবনে প্রথম লেখা গল্প।

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটা ভালা হইছে, একটানে পইড়া ফেলার মত। তবে গল্পের গতির তুলনায় নামটা একটু স্লো লাগছে। স্পাইডারম্যান সিরিজ নিয়া আর লিখবেন না অথবা অন্য সুপার হিরো নিয়া?

কিরিতো

মরুদ্যান এর ছবি

হ নামটা মনে হয় আসলেই কেমন কেমন। লিখসিলাম অনেক আগে, তাই এখন আর নাম টা বদলাইতে মনে চাইতেসেনা হাসি

কমিক ফ্যান্টাসি নিয়া লিখতে অনেক ব্রেইন লাগে, আমার মনে হয় অতটা নাই। (কিরিতো নাম টা কি রাফিদ দিসে? খাইছে )

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ধুসর জলছবি এর ছবি

চমত্কার হাততালি
গল্প পড়ে কোনভাবেই বিশ্বাস হয়ে না এটা কারও প্রথম লেখা। এত গোছানো হয়েছে গল্পটা। আপনার কাছ থেকে আমরা অনেক দারুণ দারুণ গল্প পাচ্ছি নিশ্চিত হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

(আমার আরো কিছু গল্প আছে সচলে, প্রোফাইলেই পাবেন।)
আরেকটা এখানে: http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44740

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তাহসিন রেজা এর ছবি

চমৎকার গল্প । পরের গল্পের অপেক্ষায় পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মরুদ্যান এর ছবি

লগে কোক টোক নাই, গলা শুকায় কিন্তু সাহারা ডেজার্ট হইয়া যাবে দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনের চা'ডি আমি খামুনি... ল্যখতে থাকেন দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

উত্তম জাঝা!
প্রায় নিখাঁদ একটা গল্প কিন্তু! প্রথম গল্পেই বাজিমাত যাকে বলে হাততালি
একটু কূটকাটি?

জায়গায় কোন ঘরবাড়ি নেই।

চারদিকে মানুষ কেন একটা কুকুর বিড়ালও নাই।

যে কোন একটা ব্যবহার করুন।
সামান্য কয়েকটা টাইপো থেকে গেছে : সমবিৎ, ব্যাথা, যন্ত্রনা

আপনার কাছে থেকে নিয়মিত বিরতিতে এমন গল্প আরো চাই হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

ঠিক ঠাক করলাম। থ্যাংকু।

আরো গফ চান? চ্যাষ্টা করুম! দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

গান্ধর্বী এর ছবি

ভাল লেগেছে , এমন গপ্পো আরো চাই কিন্তু হাসি

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

মরুদ্যান এর ছবি

দেঁতো হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

নাম দেখে ত কঠিন প্রেমের তরল গল্প হবে ভাবছিলাম। এমন ভূতুরে ব্যাপার হবে সিডা ত বুঝি নাই। উত্তম জাঝা!

আরাম পাইছি পড়ে। প্রথম গল্পের তুলনাতে লেখা অনেক বেশি পরিণত লাগলো ত চলুক
------------------
আশফাক(অধম)

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

দীনহিন এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর, মরুদ্যান!
চলুক।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তিথীডোর এর ছবি

গল্প ভাল লেগেছে। প্রথম লেখা গল্প হিসাবে যথেষ্ট পরিণত! চলুক

প্রথম অংশ পড়তে গিয়ে কেন যেন বুবুনের বাবার কথা মনে পড়ছিল।

নিয়মিত লিখুন। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- বুবুনের বাবা বইটা পড়িনি। কার লেখা?

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তিথীডোর এর ছবি

মুঃ. জাফর ইকবাল।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মরুদ্যান এর ছবি

তাহলে ঠিকাছে। কৈশোরে আমি মু: জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাসের মহা ভক্ত ছিলাম, তাই আমার লেখার উপরে এর প্রভাব স্পষ্ট। হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কিছু অবজার্ভেশন আছে।

গল্পের নামটা মনে হচ্ছে আরেকটু অন্যধরনের হতে পারে। অন্ধকার জায়গায় থাকি বা সাপের ভীতি নেই- এই জাতীয় বাক্য বহু আগেই গল্পের পরিণতি আঁচ করতে দেয় পাঠককে। এরকম কিছু জায়গা বাদ দিলে ভালো লাগলো গল্পটা পড়তে। আরো ভৌতিক গল্প লেখার চেষ্টা করে দেখতে পারেন হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

গল্পের নাম নিয়ে অনেকেই উপরে বলেছে। নামটা পরিবর্তন করিনি, তাহলে ২০০৯ এ লিখেছি তেমন দাবি করাটা ঠিক হতনা।

আমার কাছে নামটা তেমন একটা অনুপযোগী লাগেনা, কারণ অভির ভিতরে মুকুলের জন্য আবেগ কাজ করে। সেটার বহি:প্রকাশ আমরা দেখতে পাই যখন মুকুল তার অপঘাতে মৃত‌্যুর দৃশ্য অভিকে দেখায়। আর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়েই তো অভি নিজের জবানিতে এই কাহিনী টা আমাদের বলেছে।

এবার আসি গল্পের পরিণতি আঁচ করার ব্যাপারে। অন্ধকার জায়গায় থাকি বা সাপের ভীতি নেই এই কথাগুলো বাদ দেয়া যেত। কিন্তু আমার মতে মুকুল আর অভির পরিচয়, কথোপকথন আর ঘটনা বিল্ডাপে এই সংলাপ গুলো দরকার ছিল। নাহলে অভি আজব ছেলেটার ব্যাপারে কৌতুহলী হয়ে উঠত না বোধহয়। আর গল্পের ট্যাগ দেখে তো বুঝাই যায় কিসের গল্প, আমার মনে হয় সবাই আঁচ করতে পেরেছে যে কি চলছে।

আপনার সমালোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

এক লহমা এর ছবি

এই রকম একটা গল্প আমি লিখবার পারি না ক্যান! যেখানে সবটা প্রায় গোড়া থেকেই বুঝতে পেরে যাবার পর ও শেষ যতি চিহ্নটা পর্যন্ত পড়ে যেতে ইচ্ছে করে! ৫ তারা অবশ্যই। হাততালি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মরুদ্যান এর ছবি

হা হা অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

Sohel Lehos এর ছবি

দারুন একটা গল্প পড়লাম! চলুক

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

এই গল্পটা আমার খুব প্রিয়! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চমৎকার!!!

গল্পের প্রথম অংশ পড়ে আমার মনে পড়ছিল মুহম্মদ জাফর ইকবালের ঐ গল্পটা যেখানে এরকম ভাবেই রতনের সাথে গল্পের হিরোটার দেখা হয়ে যায় (নাম মনে নেই)। আর একটু এগোতে মনে হচ্ছিল মুকুল বোধহয় এলিয়েন!!

যাই হোক, গল্প তো দারুণ লেগেছে, আরো লেখা চাই।

একটা কথা - সাতাশ বছর পরের সাদিয়া কি ছেলেবেলার সেই ছিঁচকাদুনে সাদিয়া?

____________________________

মরুদ্যান এর ছবি

হুমম একই সাদিয়া।

ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

এমন একটা গল্প ছোটবেলায় পড়েছিলাম। গল্পটার নাম এখন মনে পড়ছে না। সেখানেও এভাবেই একটা ছেলে দুপুরে না ঘুমিয়ে বাইরে বের হয়ে যায়। তারপর পুকুর ঘাঁটে তার একটা ছেলের সাথে দেখা হয় যে কিনা হাফপ্যান্ট আর গেঞ্জি পড়ে ছিল এবং মাথার কয়েক জায়গায় কিছু কিছু চুল ছিল। গল্পের নায়ক বা ছোট ছেলেটা দৌড়ে বাসায় চলে যায়। আবার তাদের দেখা হয় আর সেই গল্পেও ছেলেটা এভাবেই অজ্ঞান হয়ে যায়।
যাই হোক গল্প ভালো লেগেছে চলুক

ফাহিমা দিলশাদ

মরুদ্যান এর ছবি

অ্যাঁ বলেন কি??!! এত মিল!!!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও তো তাই ভাবছি এত মিল কি করে হয় চিন্তিত

ফাহিমা দিলশাদ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভালোই লাগলো। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আমি সাদিয়া! বিশেষ ভাললাগা রইল। জীবনের প্রথম গল্প মানেই হচ্ছে অন্যরকম আবেগ। আশা করছি ধীরে ধীরে আপনার অন্য গল্পগুলোও পড়বো।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।