বুড়ো ওয়েটার গ্লাস সাজিয়েই খুব বিনয়ের সুরে বললো, স্যার...। আর কিছু বলতে হলো না। তার আগেই টুকু একটা গ্লাস এগিয়ে দিলো তার দিকে। ওয়েটার সেটা সোজা চালান করে দিলো গলায়, পানি কিংবা সোডার তোয়াক্কা না করেই। এই অন্ধকার বার-টায় বসে বাইয়ের ওয়েদার বোঝা সম্ভব না। এখানে ঢোকার আগেও টুকুর খুব ভালোলাগছিলো বাইরের বাতাসটা। রিকশা নিয়ে কোথাও গেলে হয়তো ভালোলাগতো। কিন্তু, টুকু জানে, কিছুক্ষণের মধ্যেই সব ভালোলাগা ছাপিয়ে একাকিত্বের কষ্টটা ফুলেফেঁপে উঠতো। এখানে পরিবেশটাই কেমন রহস্যময়। কাঁচের দরজা পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতেই মনে হয়, এ এক অন্য জগত। বৃষ্টির পরে মাটির সেই সোঁদা গন্ধ এখানে নেই। আছে স্পিরিট মেশা ঝাঁঝাঁলো হাওয়া আর শীতল একটা অনুভূতি। গেটের ওপরেই কোথাও একটা অদৃশ্য ফিল্টার আছে । সেটা শুরুতেই পকেট এবং পারিপার্শ্বিক চিন্তাগুলোকে শুষে নেয়। তারপর শুরুতেই অনেকটা হলকা হয়ে ভেতরে ঢুকতেই ছুটে আসে ওয়েটার। অদ্ভূত এক শোরগোল টেবিলে টেবিলে। সত্যিই অদ্ভূত। মনে হয় এই কেওয়াসেরও একটা মানে আছে। এমনিতে বোঝা যায় না। কিন্তু খুব মন দিয়ে শুনলে মনে হয়, এক টেবিলের লোকেরা অন্য টেবিলের লোকের কথার উত্তর দিচ্ছে।
এই পানশালায় চারটি টিভি। এই ব্যাপারটাও অনেক মজা লাগে টুকুর। চ্যানেল পাল্টনোর ঝামেলা নেই। একটাতে নিউজ, একটাতে খেলা, একটাতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি আর একটায় হিন্দি গান। সব টিভির ভলিউম অফ করে কেবল হিন্দি গানের টিভি চেঁচাচ্ছে তারস্বরে। মাঝে মাঝে এক টিভির মিউজিকের সাথে অন্য টিভির ভিজুয়াল বেশ মিলে যায়। টুকু পর পর চার পেগ রাম খেয়ে ফেলে আজ। মাথাটা বেশ ঝিম ধরে আসছে। পাশের টেবিলে বসা মেয়েটিকে তার এখন বেশ রহস্যময় মনে হতে শুরু করেছে। কতোক্ষণ তাকিয়ে ছিলো টুকু জানেনা। একসময় মেয়েটি তাকাতেই বাধ্য হয়ে তাকে চোখ ফেরাতে হয়।
টুকু থট রিডিং শুরু করে। মেয়েটি বলছে, কি জীবনে মেয়ে মানুষ দেখেননি। টুকু উত্তর দেয়, মদ খেতে দেখার সৌভাগ্য তেমন হয়নি। মেয়েটিও জবাব দেয়, ও! কিন্তু তাই বলে এতোক্ষণ কেউ এভাবে তাকিয়ে থাকে?
আচ্ছা আপনার সাথের লোকটি কে বলুন তো, টুকু ঝট করে প্রশ্ন করে।
কেন? শুনে কি করবেন?
না এমনি...এই আর কি...
ও আমার বন্ধু...
তাই? দেখে বোঝাই যায় না।
অনেক কিছুই দেখে বোঝা যায় না।
বাট এভরিথিং লিভস আ সাইন...
টুকুর নাকে তামাকের মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসে। চিন্তা থামিয়ে টুকু তাকায় অন্য দিকে। একজন ভদ্রলোক এইমাত্র পাইপ ধরিয়েছেন। লোকটির সাথে আরো দুজন, সম্ভবত লোকটির কলিগ। লোকটির চোখ কিন্তু কোথাও স্থির নেই। সবকটা টেবিলে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার দৃষ্টি। একবার টুকুরও চোখাচোখি হয়।
টুকু বুঝতে পারে, লোকটি বলছে ‘কি? ক্যামন স্মার্ট আমি?’
তুই স্মার্ট? তুই তো শালা খুউবই নিম্ন শ্রেণীর একটা ছাগল। কমপ্লেক্সের ডিপো। বাসায় লুঙ্গী পড়ে ঘুমাস, কলিগদের ওয়াটার বেডের গল্প শোনাস। লুঙ্গী পড়ার মতো লুঙ্গীর ইতিহাসটাও খুব সাবধানে গোপন রাখিস। প্লেট চেটে না খেলে তর পেট ভরেনা, আর অফিসে কাঁটা চামচ অথবা চপ স্টিক ছাড়া চলেনা। তই হালা, কি হইসে এ্যা? মুখ ফেরাস ক্যান? ভাল্লাগতাছে না আমার কথা?
এ্যাই, কি দেখছো ওদিকে? টুকু মনে মনেই শুনতে পায় মেয়েটি তাকে ডাকছে।
দেখোনো কি ফালতু একটা লোক...
বাদ দাও না...আচ্ছা শোন, তোমার বন্ধু নেই?
নেই আর আছে’র মাঝখানে কেউ একজন আছে হয়তো...
হুম জটিল সমস্যা।
এই সময় আবার বুড়ো ওয়েটার দাঁড়ায় সামনে। কিছু না বললেও টুকু বুঝতে পারে ওয়েটার আসলে জানতে চাইছে আর কিছু লাগবে কিনা।
আরো দু’টো পেগ। ওয়েটার কিছু বলার আগেই টুকু ঝটপট বলে ফেলে। সাথে পেঁপের সালাদ আর চানা। ওয়োটার আর দাঁড়ায় না। চলে যায় সাথে সাথে।
দূরে একটা টেবিলে একজন লোক বন্ধুদের সামনে জোর করে মাতাল সাজার চেষ্টা করছে। একটু পর পর সে টেবিলে থাপ্পর দিয়ে খেলার স্কোর শোনাচ্ছে। টুকু শিওর, আসলে লোকটি সবার কাছেই নিজেকে মাতাল প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।
একটু দূরে একজন বয়স্ক ভদ্রলোকের সাথে প্রায় কিশোর একটি ছেলে বসে ভদকা খাচ্ছে। ছেলেটি একেবারেই ভালো ছাত্র টাইপ চেহারার। আর লোকটির চেহারাও কেমন বাবা বাবা। টুকু’র দুইজনের সম্পর্কটা ধরতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। কারা এরা। ও আচ্ছা, প্রিয় শিক্ষকের সাথে মদ খেতে এসেছে ছেলেটি। না, ঠিক তা-ও নয়। এই ছেলে কে ওটা? টুকু নিশব্দে প্রশ্ন করে বসে।
আমার মায়ের বয়ফ্রেন্ড।
ধুস সালা... নেশাটাই কেটে গেলো। টুকু বেশ শব্দ করে হেসে ওঠে।
এ্যাই তোমার কি হয়েছে? আর খেয়োনা। মেয়েটি যেন আবারও পাশের টেবিল থেকে কথা বলে ওঠে।
এমনভাবে বলছো, যেন এখন তোমার পাশে বসলেও মাইন্ড করবে না। কী সুন্দর করে আমার দিকে তাকিয়ে আছো। বুঝতে পারছি, সাথের বন্ধুটির জন্য সেটাও খুব সাবধানে করতে হচ্ছে।
এই না বললে, তোমার বন্ধু আছে
হুম আছে, চোখের জলের মতোই ভাসমান কেউ একজন আছে।
তাহলে, আমার পাশে বসতে চাইছো কেন?
ঐ যে ক্যামন সুন্দর করে বললে আর খেয়োনা। অন্তত: বলোনি, প্লিজ মাতলামী করো না।
হি হি হি
আরো দুই পেগ রাম চলে এসেছে। টয়লেটে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ায় টুকু। বাহ, পায়ের অবস্থা তো বেশ টলোমলো। এতো খাসনা টুকু। কালকে সকালে আবার ভাববি ধুস সালা, এতো টাকা জলে গেল। সারাদিন মাথা ব্যাথা করবে। কোনো কাজ করতে পারবি না। এই চুপ! এসব শুনতে একদম ভালোলাগছে না। কালকের চিন্তা কালকে হবে। নিজের সাথেই ওর কথা চলতে থাকে।
ইউরিনালের সামনে দাঁড়াতেই দেখে পাশে একজন লোক বউয়ের সাথে কথা বলছে। ‘এই তো মিটিং এ। হুম, এমডি স্যারের আসার কথা। দেখা করেই চলে আসবো। তুমি খেয়ে নিও।’ কি নিখাদ মিথ্যা। টুকুর দিকে চোখ পড়তেই লোকটি কিছুটা বিব্রত হয়। নিঃশব্দেই যেন বলে ‘কি ভাই, তাকিয়ে আছেন কেন? আপনি মিথ্যা বলেন না?’ আরে বলি বলি। সত্যি বা মিথ্যা কোনটি বলা যে আসলে সঠিক এই হিসাবটাই আমার কাছে আজকাল অনেক অগোছালো মনে হয়। আপনি চালিয়ে যান। ক্যারি অন।
হেলেদুলে এসে আসার সময় টুকু দেখে কাউন্টারে বার টেন্ডার পেগে মদ ঢালছে অনেক কায়দা করে। ‘ইস, বেশি পরে গেলো নাতো?’। টুকু যেন স্পষ্ট শুনতে পায় বার টেন্ডারের কথা। একটা টেবিলে খুব উগ্র সাজের একটি মেয়ে এক বদখত বুড়োর সাথে বসে আছে। কারোরই আচরণ ঠিক স্বাভাবিক না। কোনো কিছুতেই সে এবং তার সাথের ভদ্রলোক লজ্জিত হতে পারে বলে মনে হয় না। তবু, টুকুকে দেখা মাত্র মেয়েটি একটা সিগারেট ধরায়। ‘লোকগুলো বারে মেয়ে দেখলেই কিভাবে তাকায়...’ । উপ্স...লজ্জা আছে তো। থট রিডিং এ ঝামেলা হচ্ছে নাকি।
টুকু নিজের টেবিলে ফিরে এসে দেখে ওদিকের টেবিলের মেয়েটি নেই। মেয়েটির চলে যাওয়া তাকে এক অদ্ভূত কষ্টের মুখোমুখি দাঁড় করায়। ভালোও লাগে খুব কষ্টটুকু পেতে। এখনো ভাসমান জোছনার মতো মেয়েটির দুটি চোখ তার চিন্তায় হাবুডুবু খাচ্ছে। টুকু অদৃশ্য অশ্র“ মুছতে চোখে হাত বুলায়। ইচ্ছে করেই কান্নার মতো শব্দ করে ওঠে। একাকিত্বের কষ্টটাও ঠিক তখনই গলার ভেতর দলা পাকিয়ে ওঠে। না, টুকু তো চায় আসলেই সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে একা থাকতে। যে সম্পর্ক টিকে থাকা মানেই বার বার হারিয়ে ফেলা, সেই সম্পর্কের পেছনে দৌড়াতে আর জোর পায় না টুকু। বিশ্বাস করে ঠকতে আর ভালোলাগেনা তার। কিংবা, বার বার নিজেকে পজিটিভ কিছু বোঝাতে বেশ ক্লান্তি লাগে আজকাল। কেবল অস্থিরতা বাড়ে। নিজের ওপর ঘেন্না ধরে যায়। আশ্চর্য কখন যে দুইটি কষ্ট নিজেদের ভেতর মিলেমিশে গেছে টুকু বুঝতেও পারেনি। শেষ দুই গ্লাস খুব দ্রুত শেষ করে ফেলে সে।
টুকু তুমি সবকিছু বুঝে ফেলো তাই না? সব। ভুল হয়না? ইমপসিবল। ভুল হতেই পারে না। টুকু, ঐ মেয়েটির জন্য তোমার কেন কষ্ট হচ্ছিলো বলোতো? স্রেফ ভালোলাগছিলো তাই। ভালোলাগছে, নাকি আসলেই তোমার একজন বন্ধু প্রয়োজন। এভাবে একা থাকতে তোমারও ভালোলাগে না...? একদম না। তোমার বন্ধু নেই কেন? ওদের ভেতরের কালো কুকুরটা আমার সামনে এতো বেশিবার বেরিয়ে এসেছে...। আর তোমার বান্ধাবী...? বিশ্বাস করিনা তাকেও। কেন? তোমার থট রিডিং এর ওপরে এতোটা আস্থা রাখা কি ঠিক, কিংবা যেভাবে তুমি মানুষকে পড়ো বা বুঝে নাও তা কি কখনোই ভুল হতে পারে না? হয়নিতো। তুমি একা সেটা মনে করছো নাতো? ভাবতে চাইনা। কিন্তু ভাবনাই তো তোমাকে এই পানশালা পর্যন্ত নিয়ে এসেছে, তাই না টুকু? আমি এবার উঠবো। টুকু, তোমার ভাবনার জাল থেকে কিন্তু তুমি কোনোদিনই বের হতে পারবে না। এই যে দেখ, এখনো তুমি তো আমার সাথেই কথা বলছো! আমি উঠবো এখন।
টুকু উঠে দাঁড়ায়। বিল দেবার সময় মনটা একটু খচ খচ করে। অনেকগুলো টাকা যাচ্ছে বলে নয়, ভাবে পকেটটা আর একটু ভারি হলে আরো কিছুক্ষণ বসা যেতো। আবার ভাবে, থাক...চিন্তাগুলো কেমন প্যাঁচ খেয়ে গেছে। টুকু সবাইকে অদৃশ্য হাত নেড়ে নিঃশব্দ ভাষায় বলে ভালো থেকো সবাই।
মন্তব্য
ওয়েটার কেনো চালান করবে গলায়? চালান করার কথা টুকু'র, তাইনা?
ভালো লাগলো আপনার গল্প।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ওটা ওয়েটারের ঘুষ ছিলো মোরশেদ ভাই আসলে ঘুষ দিলে সার্ভিস ভালো পাওয়া যায় তো, তাই। আর এই রকম ওয়েটার কিন্তু সত্যি আছে।
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
বুঝতে পেরেছি।
হ্যাঁ, আছে ওরকম।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
খুবই সত্যি ঘটনা।
বাই দ্য ওয়ে, টুকুর ঘটনা কি শ্যালেতে ঘটসে নাকি? শ্যালেতে এই টাইপের দুইজন ওয়েটারের সার্ভিস পেয়েছিলাম আমি।
যাই হোক, গল্পটা খুব ভাল লাগল। বারের সিনগুলা খুব জীবন্ত লাগল।
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
না, ঘটনা শ্যালেতে ঘটেনাই। তকব ওয়াটার টা শ্যালেরই। আমি অন্য একজনের মুখে তার গল্প শুনেছিলাম।
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
গল্পের ঢংটা মনে ধরল। লেখাও ভালো হয়েছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ!!!
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
লেখা ভালো হইছে।
(ঐ রকম ওয়েটারের চাকরীতেও শান্তি, নজ্রুলিশ্লাম কই?)
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
"আমি অতিথি তোমার দেশে....." সম্ভবত আপনার সিগনেচার লাইন। ওটাকে দাগ টেনে আলাদা করে দিলে চোখে আরাম হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আইডিয়াটা চমৎকার। ....স্বীকার করি...আমিও কিন্তু এইরকম থটরিডিং করার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে ! অধিকাংশই হয়তো মেলে না। তবে এটা একধরণের খেলার মতো লাগে আমার কাছে। গল্প ভালো লেগেছে।
'স্বীকার করি...আমিও কিন্তু এইরকম থটরিডিং করার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে ! অধিকাংশই হয়তো মেলে না। তবে এটা একধরণের খেলার মতো লাগে আমার কাছে। হুম খেলাটা মজারই'
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
চমৎকার... আমি অবশ্য আশা করেছিলাম থ্রিলার জাতীয় কিছু পড়বো।
... আপনি গল্পটা আরেকবার লিখবেন একটু থ্রিলার ফরম্যাটে ?? ধরেন টুকু থট রীডিং-এ পড়লো যে একটা খুন হয়েছে, আর শেষে আবিষ্কার হলো মেয়েটা সেই খুনের জন্যে দায়ী ?? বা এইরকম কিছু ??
... গল্পকারের স্বাধীনতায় বাঁধা দিচ্ছি মনে হলে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু পাঠকের চাহিদার কথা বলে গেলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান ভাই, থ্রিলার কি আমি লিখতে পারবো? নারে ভাই, ঠিক সাহসে কুলাচ্ছে না।
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
হুম... বারে যে কতো কতো কাহিনী...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা...হ্যাঁ রে ভাই...সে অনেক কাহিনী
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
ভালো লেগেছে। দারুণ লেখার হাত আপনার। কল্পনাগুলোও ফুটিয়ে তুলেছেন সুন্দর ভাবে।
ওয়েটারের ব্যাপারটাও স্পষ্ট ছিলো। সব মিলিয়ে লেখাটা পরিপূর্ণ।
এরকম আরো চাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ!!! মন্তব্য পড়ে সত্যি এখুনি আবার লিখতে ইচ্ছে করছে।
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
ভালোলেগেছে জেনে ভালো লাগলো!!!
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
কালকে আমিও যাইতে পারি, গেলে দেখা হবে!!!
আমিও যামু, তয় পেঁপে সালাদ খাইতে! দেখা হবে কইলাম!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
চলো, পেঁপের সালাদ খাওয়াবো!!!
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
রাসেল, আমার যে পেঁপে সালাদ খেতে ইচ্ছে করছে!
গল্পের আইডিয়া ভালো লেগেছে, এটা তো নির্মাণপবেই বলেছি!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
গল্প ভালো লাগলো। ওয়েটারের ব্যপারটা প্রথমে ধরতে পারি নাই। (ভালু পুলা কিনা )
---- মনজুর এলাহী ----
ভালো পুলা হলে দেখি অনেক কিছু মিস করতে হয়!!! নারে ভাই, আমার খারাপ থাকাই ভালো।
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
খুব ভাল লেগেছে গল্প আর গল্পের ভঙ্গি দুটোই। মাঝে মাঝে চেষ্টা করি, মিলে গেলে অনেক মজা লাগে।
-স্নিগ্ধা করবী
ধন্যবাদ
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
চমৎকার গল্প । শিরোনাম আর শুরুর কয়েকলাইন দেখে প্রথমে ঢুকি নি। পড়া শুরু করার পর কিছুদূর গিয়েই ভালো লাগল ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
শিরোনামটা আরো ভালো হওয়ার দরকার ছিলো, এটা পরে আমারও মনে হয়েছে। তবে, শেষমেষ ভালোলেগেছে জেনে খুব ভালোলাগলো।
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
অনেক কম সময়ে লিখেছো নিশ্চয়ই এটাও। তাই না? এটা কোনো সমস্যার অর্থে জিজ্ঞেস করছি না। আসোলে, তোমার এরকম লেখা পড়বার সময়ও বোঝা যায়, যে লেখাটা সৃষ্টিকালেও অনেক ফ্লুয়েন্ট ছিলো। এবং গঠনের এই ফ্লুয়েন্সি-টা পঠনেও, মানে পাঠকের গতিতেও কাজে দেয় ব'লেই মনে হয় আমার। ব্যাপারটা ভালো, শুধু একটা কমজাত উপজাতের প্রশ্নে ছাড়া। সেটা হচ্ছে- অনেক বেশি পরিমাণ বানানের পিছলাপিছলি ভুল। আগেও তোমাকে বলেছি এটা। তাড়াতাড়ি লিখলেও পোস্ট-এ চাপ মারার আগে ছাপার ভুলের ব্যাপারটা মাথায় রেখে একটা রিভিশন দিও। বিশেষ ক'রে, তুমি তো এগুলো পরে খেয়াল হ'লেও এডিট করতে পারবে না এখন, তাই তোমার তো বরং বেশি সতর্ক থাকা উচিত।
আরো একটা পুরোনো কথা। আজকে, এখানেও, বুনোহাসও বললো তোমাকে। দ্যাখো, আমিও কিন্তু আগে একাধিকবার বলেছি তোমাকে, যে- তোমার সিগনেচার লাইনটা একটা ডট-লাইন জাতীয় কিছু দিয়ে আলাদা করো।
খিয়াল কইরা একটু। বুঝছো না? তাইলেই আরো ম্যালা ভালো হবে, বহুত ফায়দা হবে।
ক্যারি অন ইউ টু!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সাইফুল ভাই...ইয়ে..মানে..বানান...মানে,এই আর কি...
........................
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
নতুন মন্তব্য করুন