১.
ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬১ সনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও প্রদেশের আকাশে। জনৈক বৈমানিক একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে আকাশে উড়ছিলেন, আকাশ ছিল ঝকঝকে পরিষ্কার। আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা আকারের সাদা মেঘের ভেলা। বৈমানিক সেই মেঘের মধ্য দিয়ে ভেসে যেতে যেতেই দেখতে পেলেন একটি বিষ্ময়কর দৃশ্য।
তিনি দেখলেন তার বিমান থেকে কোয়ার্টার কিলোমিটারের ও কম দূরত্বে আরো একটি বিমান আকাশে উড়ছে। কিন্তু এই সময় তার আশে পাশে আর কোন বিমান থাকার কথা নয়। তাহলে এই বিমান এলো কোথা থেকে?
কিন্তু বিমানটির দিকে আরো ভালোভাবে তাকাতে গিয়েই একেবারে বিস্মিত হয়েগেলেন বৈমানিক। এটা কোন ধরনের বিমান? এ যে একেবারেই সেকেলে ধরনের বিমান। এ ধরনের বিমান আজকাল কেউ ব্যবহার করেনা। এ ধরনের বিমানকে সেকালে বলা হতো বাইপ্লেন (Byeplane)।
বাইপ্লেন ব্যবহৃত হতো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, সেওতো আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগের কথা। পঞ্চাশ বছর আগের বাইপ্লেন এখানে কে উড়াতে এসেছে? অবশ্য তিনি আর বেশীক্ষণ ভাববার ও অবকাশ পেলেননা। দেখলেন বাইপ্লেনটি তার বিমানের দিকেই উড়ে আসছে। কে জানে যদি তার বিমানের সাথেই সংঘর্ষ হয়, বিমানটি যে তার সামনাসামনি চলে এসেছে।
চট করে পাইলট তার নিজের বিমানের নাক উঁচু করে আত্মরক্ষা করলেন। তিনি ছুটে আসা বাইপ্লেনের উপর দিয়েই উড়ে গিয়ে সংঘর্ষ এড়িয়ে গেলেন। বাইপ্লেনটা তার নিচ দিয়ে চলে গেল। কিন্তু ওটাকে পাশ কাটিয়ে এসেই পেছনে ফিরে তাকালেন পাইলট। কিন্তু তাকে আরো বিস্মিত হতে হলো, দেখলেন বিমানটি নেই।
নেই মানে? এক সেকেণ্ডের মধ্যেতো বিমানটি গায়েব হয়ে যেতে পারেনা। তাহলে গেলো কোথায়?
সহসা যেনো ভয় পেয়ে গেলেন পাইলট। আকাশে নানা রকম ভৌতিক ব্যাপার ঘটে, এটাও তেমন একটি ভৌতিক ব্যাপার কিনা কে জানে। তিনি তাই দেরী না করে চট করে নেমে এলেন ঘাঁটিতে। অফেসে এসে তার এই অলৌকিক দৃশ্যের কথা জানালেন অনেককে।
কিন্তু কেউ বিশ্বাস করলোনা, হেসেই উড়িয়ে দিলো সকলে। সবাই হেসে উড়িয়ে দিলেও তিনি ভুলতে পারলেননা ঘটনাটি। তার মনে জিদধরে গেলো। প্রমাণ করেই ছাড়বেন,যা দেখেছেন তা ঠিক দেখেছেন, ভুল দেখেননি।
তারপর থেকেই তিনি খোঁজ নিতে লাগলেন পঞ্চাশ বছর আগের পুরনো মডেলের কোন বাইপ্লেন কোথাও পাওয়া যায় কিনা? তিনি আদ্যিকালের বাইপ্লেন উড়িয়ে তবেই ছাড়বেন। কিন্তু এমন আদ্যিকালের বাইপ্লেনের মডেলের হদিস কেউ তাকে দিতে পারলোনা।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরে অবশেষে এক লোক বললেন তাকে যে অমন পুরোনো মডেলের একটি বাইপ্লেন তিনি পড়ে থাকতে দেখেছেন পাশের কারখানার দক্ষিণ দিকের একটি রেইন-ট্রি গাছের নীচে।
দেরী না করে পাইলট ছুটলেন সেদিকে। দৌড়েকাছে গিয়ে দেখলেন একটি পুরনো মডেলের বাইপ্লেন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। একি! এযে সেই প্লেন, এটাকেই তিনি মেঘের আড়ালে উড়তে দেখেছিলেন। এটাইতো মেঘের আড়াল থেকে তার দিকে উড়ে আসছিল। তাহলে কি এটা ওখান থেকে উড়ে এসে এখানেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তিনি প্লেনটির কাছে এগিয়ে গেলেন, দেখলেন সিটের ওপর তখনো পড়ে আছে পাইলটের হেলমেট। এটিও প্রথম মহাযুদ্ধের সময়কার হেলমেট। পাইলটের চশমা এবং পোশাক ও খুলে রাখা ছিল সীটের উপর। তার পোশাকের একপাশে পাওয়া গেলো একটি ডায়েরী। ডায়েরীর পাতায় চোখ বুলাতে গিয়েই তাকে চমকে উঠতে হলো।
পাইলট লিখেছেন: আকাশে আজ এক আশ্চর্য ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেলো। দেখলাম একটি ঝকঝকে রূপালী অত্যাধুনিক প্লেন। এ যুগে এরকম ঝকঝকে অত্যাধুনিক প্লেন তৈরীর কথা কেউ কল্পনাও করতে পারেনা। হয়তো প্লেনের অগ্রগতি আগামী অর্ধশতাব্দী পর অমন উন্নত পর্যায়ে গিয়ে পৌছাতে পারে।
প্লেনটির সাথে আমার সংঘর্ষ হয়েই গিয়েছিল। ভাগ্যিস ওটা সহসা আশ্চর্য দক্ষতায় ড্রাইভ দিয়ে উপরে উঠে গেলো। নইলে নির্ঘাৎ বিপদ ঘটেই যেতো। ডায়েরী পড়ার পর বিষ্ময়ে একেবারে হতভম্ব হয়ে গেলেন পাইলট। ডায়েরীর তারিখটিও লেখা ছিল ১৯১১ সনের একটি তারিখ।
২.
রাফি দেখলো আর কোনভাবেই তার পক্ষে দৌড়ানো সম্ভব হচ্ছেনা, ট্রেনের শেষ বগিটির হ্যান্ডেল সে কোন ভাবেই ধরতে পারছেনা। ট্রেনের সাথে ক্রমশ:ই তার ব্যবধান বাড়ছে। উপায়ান্তর না দেখে সে সর্ব শক্তি একত্রিত করে বিকট একটি লাফ দিল “ইয়াহু”
ট্রেনে উঠার পর থেকেই তার কেমন যেনো নিজেকে হালকা হালকা বোধ হতে থাকলো। মনে হলো সে যেনো অন্ধকারময় কোন একটি প্রকোষ্ঠে উড়ে বেড়াচ্ছে কিন্তু কোথায় তা ঠিক ঠাহর করতে পারছেনা। বেরোনোর কোন রাস্তাও এ মুহূর্তে খুঁজে পাচ্ছেনা।
উড়ে বেড়ানো অবস্থাতেই হঠাৎ হাতের আঙ্গুলগুলোর নাগালে একটি কি খুঁজে পেলো, অজান্তেই চাপ পড়ে গেলো কিতে। ঘড়ঘড় শব্দ করে বিশাল একটি দরজা খুলে গেল চোখের সম্মুখে। আবছা আলোতে দেখতে পেল বিশাল একটি হলরূমে মিটিং বসেছে। মিটিং এর মধ্যমনি হয়ে বসে আছেন ঝাঁকড়া চুলের মাঝবয়েসী একজন লোক। একনজর দেখেই রাফিয়ানের লোকটিকে খুব চেনা চেনা মনে হতে থাকলো, কিন্তু ঠিকমতোন ঠাহর করতে পারলোনা।
ঝাঁকড়াচুলো লোকটির পাশে চিকন মতোন আরেকজন লোককে দেখতে পেল খুব মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছে। সামনে কিছুদূর এগোতেই তার কাধ কেউ কঠিনভাবে চেপে ধরলো। ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলে উঠলো: ফোর্থ-ডাইমেনশনে তোমাকে স্বাগতম।
: আমি কোথায়? রাফি চ্যাঁচাল।
: তুমি ফোর্থ ডাইমেনশনে আছো।
: Fourth Dimension? What the hell is it?
: শোন যুবক, তুমি ফোর্থ ডাইমেনশনের নাম কখনো শোননি? পৃথিবীতে এ নিয়ে ব্যাপক গবেষনা হয়েছে, অনেক জল্পনা কল্পনা চলেছে এ চার নম্বর ডাইমেনশন নিয়ে।
: For God’s sake! Explain it..
: তাহলে শুনুন রাফিয়ান আহমেদ, পদার্থ বিজ্ঞানের সৌজন্যে পৃথিবীর মানুষ মোট তিনটি ডাইমেনশনের সাথে খুব বেশী পরিচিত, ডাইমেনশন তিনটি হলো - দৈর্ঘ, প্রস্থ এবং ভেদ। কিন্তু এর বাইরেও আরেকটি ডাইমেনশন রয়েছে, আর সেটাই হলো ফোর্থ ডাইমেনশন।
: কি সেটা, কি?
: এতো অস্থির হবেননা রাফিয়ান আহমেদ, একবার যেহেতু এই ফোর্থ ডাইমেনশনে প্রবেশ করেছেনই সেহেতু এটার আদি অন্ত না জেনে আপনি অন্য ডাইমেনশনে যাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারেননা।
: আমি কোথায়?
: আপনি ফোর্থ ডাইমেনশনে আছেন।
: সেটা কোথায়?
: কেনো, আপনি তা জানেন, থার্ড ডাইমেনশনের পরের স্টেজে।
রাফিয়ানের মনে হলো কেউ তারমাথা দুদিক থেকে চেপে ধরে আছে, সে স্বাভাবিকভাবে কোন কিছু চিন্তা করতে পারছেনা। এ মুহূর্তে মনে হলো সবকিছু একটু কেমন যেন দূরে দূরে সরে যাচ্ছে। সে হালছাড়তে চাইলোনা। তাকে যেকোন ভাবেই হোক ঝাঁকড়া চুলোর কাছ থেকে সবকিছু পরিষ্কারভাবে জেনে নিতে হবে এবং এখান থেকে বেরোনোর রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে।
: হ্যালো, লালচুলো, হ্যালো..
: লালচুলো বলে কেউ নেই, এখানে সবাই ফোর্থ ডাইমেনশনের বাসিন্দা, আপনি ফোর্থ ডাইমেনশন বলে অভিহিত করুন।
: হ্যালো! ফোর্থ ডাইমেনশন, আমি এখান থেকে বের হবো কিভাবে?
: বের হতে চাচ্ছেন কেন?
: আমি বাড়ি ফিরতে চাই, বাড়ি যেতে চাই, বাড়ি যাবো কিভাবে?
: বাড়ি! কিসের বাড়ি?
: আরে আমার গ্রামের বাড়ি, আমার বাড়ি রসুলপুরে ফিরতে চাই।
: এখন এটাইতো আপনার বাড়ি, আপনাকে ইতিমধ্যে ফোর্থ ডাইমেনশনের বাসিন্দা হিসেবে এনলিস্ট করা হয়েছে।
: অসহ্য, আমি ডাইমেনশন বুঝিনা, আমাকে বোঝান আমি কোথায় বা এখানে এলামই বা কোথা থেকে?
: উত্তর একই, ফোর্থ ডাইমেনশন।
এ পর্যায়ে এসে ঝাঁকড়াচুলো একটু ব্যাখ্যা দিল। ফোর্থডাইমেনশন হচ্ছে ‘সময় বা কাল’। পৃথিবীর বিজ্ঞানী আলবার্ট
আইনস্টাইন তোমাদেরকে এটার ব্যাখ্যা বিশ্লেষন শুনিয়েছেন, এই ডাইমেনশন হলো এমন একটি স্থিতি যার মাধ্যমে সময় বা কালকে আগ পিছ করা যায়। এছাড়াও ফোর্থ ডাইমেনশনের প্রভাবে সাময়িকভাবে কোন বস্তু অদৃশ্য হয়ে যায়।
রাফিয়ানের আর শোনার ধৈর্য হলোনা, সে আবারো জোড়ে চিৎকার দিল। ঝাঁকড়াচুলো অনেকটা নিরামিষ ভঙ্গিতে রাফিয়ানের দিকে তাকালো।
: তাহলে আমিও কি অদৃশ্য হয়ে আছি পৃথিবী থেকে?
: ঠিক তাই, রাফিয়ান আহমেদ।
: আমি এখানে কতোক্ষণ থাকবো?
: চিন্তা নেই, আপনাকে স্থায়ীভাবে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
: না! রাফিয়ান আরো জোড়ে চিৎকার দিতে চাইলো, কিন্তু তার মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হলোনা।
: ধৈর্য্ ধরুন রাফিয়ান, নিরামিষ ভঙ্গিতে আবারো বললো লালচুলো।
:কালের গহব্বরে মানুষ যেমন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে ঠিক তেমনি মুহূর্তে পেছনের দিকে পিছিয়ে যেতে পারে।
: তাই নাকি?
: একদম তাই।
: আমি কি চিরদিনের মতো পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেলাম?
: আপনি হারিয়ে যাননি, আপনি আগে যে স্থানটিতে ছিলেন শুধুমাত্র তার পরিবর্তন ঘটেছে, পরিবর্তন ঘটেছে ডাইমেনশনে। এটার কোন শুরু বা শেষ নেই। আপনার শুরু ছিল তবে শেষ হয়নি শুধুমাত্র স্থানের পরিবর্তন ঘটেছে। আপনি যেমন ছিলেন ঠিক তেমনই আছেন।
: আমি ঠিক মতো চিন্তা করতে পারছিনা।
: আপনি সবকিছু ঠিকভাবে চিন্তা করতে পারবেন, ধৈর্য ধরুন। আপনি হারিয়ে যাননি, আপনি জমা হয়ে আছেন ভবিষ্যত কালের ফোর্থ ডাইমেনশনে।
: ভবিষ্যত কাল আবার আসছে কেন?
:আপনি, আপনার অস্তিত্ব পূর্বে ছিল তিনটি ডাইমেনশনের আওতাভুক্ত কিন্তু এখন স্থানান্তরনের জন্য অতীতকাল সরিয়ে নিচ্ছি। তাই শুধুমাত্র সামনে ভবিষ্যতকালের ফোর্থ ডাইমেনশন থাকবে। আপনি শুধু সামনের দিকে চিন্তা করুন।
: না আমি আমার পেছনের দিক নিয়ে চিন্তা করতে চাই।
এ মুহূর্তে লালচুলো আবারো তাকে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করলো। দেখুন রাফিয়ান আহমেদ আপনি হারিয়ে যাননি। আপনি জমা হয়ে আছেন কালের ফোর্থ ডাইমেনশনে। আপনি আপনার জীবনে যা কিছু করেছেন তা এক পলকে আপনার চোখের সামনে নিয়ে আসা যাবে অনেকটা ভিডিও ক্যাসেটের মতো।
: তাহলে আপনারা সবাই কি আর পৃথিবীতে ফিরবেননা?
: প্রয়োজন নেই।
: কেন প্রয়োজন নেই?
: কারন আমরা যাকে খুশি তাকে এখানে হাজির করতে পারি।
: কিভাবে সম্ভব?
: ঐ তো ফোর্থ ডাইমেনশনের প্রভাব।
: আমি কি দেখতে পারবো?
: বলুন কাকে দেখতে চান?
: আমি মহামান্য প্লেটোকে দেখতে চাই।
: ঠিক আছে।
রাফিয়ান দেখলো হল রূমের একপাশ থেকে ঋজু ভঙ্গিতে মহামান্য প্লেটো এসে ঢুকলেন। এসে অত্যন্ত কড়া ভাষায় লালচুলোকে ধমকে উঠলেন, বললেন:
“ব্যাটা! তুই আমার থিওরি অফ রিলেটিভিটি চুরি করে এখানে বসে বসে জ্ঞান দিচ্ছিস, সাহসতো কম নয় তোর, দেখাচ্ছি মজা..”
চকিতে রাফিয়ানের মনে পড়লো আরে তার সম্মুখে বসে থাকা লালচুলোতো আর কেউ নন - আলবার্ট আইনস্টাইন! চিনতে পেরেই রাফিয়ান জোরে বলে উঠলো “ইয়াহু”
একটি জোরে লাফ দিতে গিয়ে রাফিয়ান ঘুমের ঘোরে খাটের উপর থেকে নীচে পড়ে চ্যাঁচিয়ে উঠলো, স্বপ্ন টুটে গেলো। দেখলো তার বালিশের পাশে বিজ্ঞান সাময়িকীটা পড়ে আছে।
যত্তোসব! পত্রিকাটি একটানে ছুড়ে ফেলে দিয়ে রাফি নিজের মনে মনেই বিরক্তি প্রকাশ করলো। ‘ভবেশ রায়’ এর উপর বিরক্তি আছড়ে পড়লো। গাঁজাখুড়ি গল্প লিখে পত্রিকার কাটতি বাড়ানো ছাড়া আর বুঝি কোন উপলক্ষ নেই। বালিশে হেলান দিতে দিতে সে আবারো ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যেতে থাকলো।
মন্তব্য
২ নাম্বার গল্পটা নিয়ে বলি।
আপনার গল্প পড়ে মনে হচ্ছে, মাত্রাগুলোকে আলাদা করা যায়। অর্থাৎ আমি চাইলাম, বাকি তিন মাত্রা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু সময় মাত্রাতে বিচরণ করতে পারব। কিন্তু ব্যাপারটাতো তা নয়, মাত্রাগুলো মিশেই আছে। আমরা হয়ত কম মাত্রায় শুধু প্রজেকশনটাই দেখতে পাই, তার মানে কিন্তু এই না যে অন্য মাত্রাগুলোর বাইরে আমরা চলে আসছি।
সময় দুই দিকেই প্রবাহমান সেটা ঠিক আছে, কিন্তু স্পেস থেকে বিযুক্ত হয়ে না।
হকিং এর ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইমে দ্বিমাত্রিক প্রাণী থাকা কেন অসম্ভব সেটা ছবি এঁকে ব্যাখ্যা করা ছিলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অর্থাৎ আমি চাইলাম, বাকি তিন মাত্রা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু সময় মাত্রাতে বিচরণ করতে পারব। কিন্তু ব্যাপারটাতো তা নয়, মাত্রাগুলো মিশেই আছে। আমরা হয়ত কম মাত্রায় শুধু প্রজেকশনটাই দেখতে পাই, তার মানে কিন্তু এই না যে অন্য মাত্রাগুলোর বাইরে আমরা চলে আসছি।
#সুন্দর এবং যুক্তিসিদ্ধ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় সজলদা। আপনার মন্তব্যটি ঠিক যে চারমাত্রাই মিশে আছে, আইনস্টাইনের ফোর্থ ডাইমেনশনথিওরি অনুযায়ী আমরা তো সময় মাত্রাতে ও বিচরন করছি,তার মানে আমরা সময় মাত্রাতেও বিচরন করছি কিন্তু আইনস্টাইনের পূর্বে এটা কেউ ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
সময় দুই দিকেই প্রবাহমান সেটা ঠিক আছে, কিন্তু স্পেস থেকে বিযুক্ত হয়ে না।
#একদম ঠিক, যেখানে সময় বহমান ঠিক সেখানেই স্পেস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। আমি গল্পে নূতন এভিনিউ ক্রিয়েট করার জন্য এমনভাবে লিখেছি।
হকিং এর ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইমে দ্বিমাত্রিক প্রাণী থাকা কেন অসম্ভব সেটা ছবি এঁকে ব্যাখ্যা করা ছিলো।
#বইটির ইংরেজি এবং বাংলা দুটোই অনেক আগে পড়া হয়েছে তবে হলফ করে বলা যায় আমার ঠিক তেমনভাবে পরিষ্কার হয়নি, আর স্মৃতিশক্তিও অতোটা ঠিকভাবে সাহায্য করেনি তা না হলে কিছু অসামঞ্জস্যতা থাকতনা।
২ নাম্বার গল্পটা নিয়ে বলি।
#ধন্যবাদ আপনাকে ২নং নিয়ে বলার জন্য,কারন ১নং মৌলিক নয়, ২য়টির প্রয়োজনে সেটার আবির্ভাব, ফোর্থ ডাইমেনশন খিওরির আবির্ভাবের জন্যই প্রথমটি লিখা।
#ভাল থাকুন সবসময়
এরকম গল্প স্কুল ম্যাগাজিনে ক্লাস ফোরের বাচ্চা লিখলে মানায়, সচলায়তনে এই মানের গল্প আশা করি না।
#ধন্যবাদ আপনাকে, ভাল থাকুন।
#পুনশ্চ: ডাইমেনশন নিয়ে আপনি এর থেকে উঁচু মানের একটি লেখা প্রকাশ করেন, সচলে প্রকাশিত হোক, তারপর না হয় আপনারটি পড়া যাবে, আমার ক্ষমতা এতোটুকুই, এর বেশী কিছু নয়।
#আপনার উঁচু মানের লেখার অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় tothagoto, আশা রাখি নিজ নামে লিখবেন। ধন্যবাদ।
একজন আর্ট ক্রিটিক হতে গেলে আগে পেইন্টার হওয়া আবশ্যক নয়। তাই কেউ কোনো লেখার সমালোচনা করলেই তাকে 'এরচে ভালো লিখে তবে সমালোচনা করতে আসবেন' বলাটা অসঙ্গত।
কেউ কর্কশ সমালোচনা করে থাকতে পারে, সমালোচনা অযৌক্তিকও হয়ে থাকতে পারে, সেগুলো নিয়ে তাকে বলা যায়, কিন্তু ওই দাবি করা যায় না।
একজন আর্ট ক্রিটিক হতে গেলে আগে পেইন্টার হওয়া আবশ্যক নয়। তাই কেউ কোনো লেখার সমালোচনা করলেই তাকে 'এরচে ভালো লিখে তবে সমালোচনা করতে আসবেন' বলাটা অসঙ্গত।
#ধন্যবাদ কৌস্তভদা, আপনার সুন্দর মতামতের জন্য, আসলে ভুল হয়ে গেছে বুঝতে পারছি, ধন্যবাদ আপনাকে।
কেউ কর্কশ সমালোচনা করে থাকতে পারে, সমালোচনা অযৌক্তিকও হয়ে থাকতে পারে, সেগুলো নিয়ে তাকে বলা যায়, কিন্তু ওই দাবি করা যায় না।
#আবারো ধন্যবাদ, ভাল থাকুন
জমল না, তাই ১ তারা। (কিন্তু আরেকটা গল্প লিখা জমায়া দেখাইতে পারব না।)
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
#ধন্যবাদ অনিন্দদা, ১ তারাতেই বহুত খুশি হলাম, পরবর্তীতে জমানোর চেষ্টা করবো।
#ভাল থাকবেন সবসময়
চলুক না!
#ভালবাসা জানবেন প্রৌঢ়দা, পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন সবসময়, এ প্রত্যাশা।
#ইওর প্রেজেন্স ইজ এ জয়ফুল ইভেন্ট ফর মি
একটা অফটপিক প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করি। এ নিয়ে অভিযোগ থাকলে মডারেটরকে জানাতে পারেন। (আমি মডারেটর হলেও এ বিষয়ে "কনফ্লিক্ট অভ ইন্টারেস্টের" কারণে হস্তক্ষেপ করবো না। কথা দিচ্ছি।)
এই ফেইসবুক স্ট্যাটাস কি আপনার?
https://www.facebook.com/asraful.rasel/posts/273364149434592
---------------------
আমার ফ্লিকার
প্রিয় মোর্শেদ ভাই, আমি এ পর্যন্ত তিনবার মেইল করেছি সচলায়তনের কন্ট্যাক্ট মেইলে কিন্তু কোন উত্তর পাইনি। ব্যাপারটি আমার জীবনের সেরা একটি অনাকাঙ্খিত ভুল ছিল, যে বন্ধুর প্ররোচনায় একাউন্টটি খুলেছিলাম সে নিজেও আইডি ব্যানের ঘটনায় ভীষন মর্মাহত, যারা এ পোষ্টটি দেখেছেন সে কৌস্তভদা, তাপসদা, অণু দা তিনজনই বলেছেন আপনা পরিস্থিতির স্বীকার তাদের দুজনের বার্তা আবারো কন্ট্যাক্টে পাঠালাম। আশা রাখি সঞ্চালক মহোদয়গণ বিষয়টি আবারো বিবেচনা করবেন।
দেখুন, আপনাকে ঠিক কী বিচারে মডুরা ব্লক করেছেন তা জানি না, তবে ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যজনক তো বটেই। এখন আপনি আমাকে বললেন, অণুদাকে বললেন, কিন্তু সেসবে তো কাজের কাজ কিছু হওয়ার নয়, আমরা কেউই মডু নই। সচলের মডুপ্যানেল যখন এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন, তখন তাঁদের সরাসরি পত্রাঘাত করাই ভালো। মুর্শেদ ভাইকে একা মেসেজ পাঠিয়েও তেমন লাভ হবে বলে মনে হয় না। আপনাকে আগেই বলেছি কনট্যাক্টে মেল করতে, সেটাই করে দেখুন। আপনার পোস্টে যেখানে মুর্শেদ ভাই ওই মন্তব্যটা করেছেন সেখানে কিছু বলে দেখতে পারেন, কিন্তু কনট্যাক্টে মেল করাটাই মূল পথ।
(অবশ্য যে কথায় তাঁরা সহমত নন তেমন কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনট্যাক্ট প্রত্যুত্তর দেয়নি বলে শুনেছি)
আসলে ঘুম থেকে উঠে বোঝা যে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা হচ্ছিল - এইটা একটু ক্লিশে। কিন্তু কল্প বিজ্ঞানের গল্প বড় একটা কেউ লেখে না। তাই চলতে থাকুক। আমাদের সবসময় মনে হয় কেউ একটা জঁর নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে বেশ ভালো হয়।
- ঈপ্সিত/চম্পাকলি
প্রিয় সঞ্চালকগণ,
আমি কি আরেকবার কোন সুযোগ পাবোনা?
আশরাফুল কবীর
প্রিয় সঞ্চালকগণ,
ভুল হয়েছে সে ভীষন বুঝতে পারছি, আরেকবার সুযোগ প্রদান করা যায়না? আমি ও তো মানুষ, ওরাংওটাং নই।
আশরাফুল কবীর
তেমন পদের লাগলো না। লেখার ধরন টা কেমন যেনো। তবে সাহিত্য সমালোচক হলে বলতে পারতাম মূল সমস্যা টা কোথায়
নতুন মন্তব্য করুন