গ্রন্থমেলা ডায়রি: গ্রন্থমেলার ডায়রিতে ফুটবলের গপ্পো

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: শনি, ০৯/০২/২০০৮ - ৬:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ডায়রি
৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮

মহাসাগর পাড়ি দিলে অবধারিত ভাবেই দেহঘড়ির হিসেব পালটে যায়। প্রবাসী বাঙালিরা যারা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে দেশে আসেন তাদের প্রথম ক'টা দিন খুব কষ্টে কাটে। দিনেরবেলা ঘুমে চোখ বুঁজে আসতে চায়, রাতে ঘুম আসে না এক ফোঁটাও। এ অনিয়মে মুখের স্বাদ কমে যায়। আর আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত সর্দি-কাশি তো আছেই। পাক্কা দুই থেকে তিনদিন লাগে এই ব্যাড়াছেড়া অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে।

উপরের কথাগুলো শুনলেই আমার হাসি পায়!

এই যে দেশে এসেছি, কিসের অনিদ্রা আর কিসের রুচিহীনতা... আমার কোনো সমস্যাই হয়নি। এর রহস্য হচ্ছে আটলান্টিকের ওপারে যে নিয়মে দেহ অভ্যস্থ ছিলো আটলান্টিকের এপারেও ঠিক একই নিয়ম মেনে চলা। সারা দিন ঘুমাই, সারা রাত জেগে থাকি। বাসায় আমার ঘরটা থাকে হিম-ঠান্ডা।

তবে এই পন্থার সমস্যা হচ্ছে আমার দিন শুরু হয় দুপুর দু’টো থেকে। অনেক কাজ যেগুলো এ সময়ের আগেই সেরে ফেলা বুদ্ধিমানের সেগুলো আমার নানান ঝঞ্জাট মেনে দুপুরের পরেই করতে হয়। আজ যেমন ঠিক করেছিলাম সকালে উঠে কিছু কাজ এগিয়ে রাখবো। আমার বাঁকা বুদ্ধি ব্যুমেরাং হয়ে আমাকেই আঘাত করে। আজো দুপুরে ঘুম ভাঙে। কাজের কাজ কিচ্ছুই হলো না। গুম হয়ে খানিকক্ষন বিছানায় বসে থেকে গোসল-টোসল করে দুপুরের ভাত খেয়ে ল্যাপটপটা কেবল চালু করেছি এমন সময় অনুপের ফোন।

"যাবি?"

"কই?"

"খেলা দেখতে?"

"কি খেলা?"

"আবাহনি-মোহামেডান।"

"কখন?"

"চারটায়।"

"যাবো!"

ঘড়িতে দেখি ইতিমধ্যেই তিনটে বিশ বেজে গেছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে "প্রতীতি ফার্মা বিজয়দিবস ক্লাব কাপ" যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা সংবাদপত্রের কল্যানে বেশ ভালোই জানতাম। গতদিন আরামবাগ ক্রীড়াসংস্থা বনাম বাড্ডা জাগরণীর সেমিফাইনালে আরামবাগ দুই-শূন্যে জিতেছে। এখন এই খেলায় যে জিতবে সেই চলে যাবে ফাইনালে। আমি দ্রুত জামা বদলে নেই, হাতে বেশি সময় নেই। তবে ভরসার কথা হলো আজ শুক্রবার। বনানীবাজার থেকে সিএনজি নিলে একটানে স্টেডিয়ামে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।

স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা দেখার অভ্যেস আমার আগে থেকেই ছিলো। নটরডেমে থাকাকালীন প্রচুর খেলা দেখেছি। পরে আস্তে আস্তে সে আগ্রহে ভাটা পড়েছে। আজ খেলা দেখতে যাবার ব্যাপারটা কেমন যেন হুট করেই হয়ে গেল। আমাদের কারুরই কোন পূর্বপরিকল্পনা ছিলোনা। এরই মাঝে শিবলীর ফোন পাই।

"অনুপ কল দিছিলো?"

"হুম!"

"আসতেছিস?"

"হ!"

"গুড! আমরা একেকজন একেক জায়গায় পড়ে আছি। তাই বলি কি সবাই স্টেডিয়ামে মিট করি?"

স্টেডিয়ামে পৌঁছে বিস্ময় নিয়ে দেখি আমাদের আরো দু'জন বন্ধু প্রাঞ্জল আর কাজীও হুট করেই খেলা দেখতে চলে এসেছে। আমি আর অনুপ আবাহনীর সমর্থক। ওই দিকে শিবলী, প্রাঞ্জল আর কাজী মোহামেডানের। দলে ভারী বলে মুখ ভার করে আমাদের ওদের সাথে মোহামেডানের পূর্ব গ্যালারিতে ঢুকে পড়তে হয়।

বেশি দামে টিকেট কেনার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম সবাই। কিন্তু এমনিতেই দেখলাম টিকেটের দাম কম। মোটে বিশ টাকা। ব্ল্যাকার তার উপরে দশ টাকা চাপিয়ে চাইলো ত্রিশ টাকা। আমরা নিদ্ধিধায় দিয়ে দিলাম। লাইনে দাঁড়িয়েই টিকেটটা কেনা যেত কিন্তু তাতে সময় লাগতো বেশি।

চার বছর আগে যখন ফুটবল খেলা দেখতে এসেছিলাম তখন গ্যালারিতে দর্শক ছিলোই না বলতে গেলে। আজ দেখলাম গ্যালারি প্রায় পরিপূর্ণ। ভালো লেগেছে এটা। ফুটবলে আবার মনে হয় আগের আগ্রহ ফিরে আসছে মানুষের। আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করলাম। আবাহনী আর মোহামেডানের আলাদা গ্যালারি জিনিসটা আর আগের মত নেই। মোহামেডানের গ্যালারিতে বসে আমাদের আশে পাশেই আবাহনীর সমর্থকরা খুব চিল্লাচিল্লি করলেন (যাঁদের মধ্যে এই নরাধমও ছিলো। হে হে)। মোহামেডানের সমর্থকেরা কেউ টুঁ শব্দটিও করলেন না।


অনেকদিন পরে আবাহনী বনাম মোহামেডানের খেলা দেখলাম। এবং সত্যি কথা বলতে গেলে কি উপভোগই করলাম! খেলার মান যতো খারাপ হবে ভেবেছিলাম ঠিক ততো খারাপ ছিলো না। আবাহনীর জয় আর জাহেদের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ওদেরকে দেখে সেই মোনেম মুন্না, কায়সার হামিদ আর সাব্বিরদের যুগের কথা মনে পড়েছে। দুজনেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। শুধু ওদের জন্য নয়, পুরো খেলাই খুব হিসেব করে খেলেছে আবাহনী। প্রথমার্ধে টোটালফুটবল খেলেও দ্বিতীয়র্দ্ধে ওদের বেশ দম ছিলো। মোহামেডানের নিজেদের মধ্যে এই সমন্বয়টাই ছিলো না। শুনলাম ওরা নাকি ইনজুরি আর অন্য কি সব কারণে চার-পাঁচ জন অতিথি খেলোয়াড় খেলাচ্ছে। সেটা কারণ হতে পারে। আর ওদের প্রধান স্ট্রাইকার যে আফ্রিকান খেলোয়াড়টি - সে একটি বরাহশাবক ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। বল পাস দিতে পারে না। রিসিভ করতে পারে না (এই সমস্যাটা মোহামেডানের সবার মধ্যেই ছিলো)। রিসিভ করলেও পায়ে বল ধরে রাখতে পারে না। তাকে কিজন্য মোহামেডান পুরোটা সময় মাঠে খেলালো তা আমার মাথায় ঢুকলো না। খেলা একতরফা ছিলো। পুরো মাঠ সারাটা সময় জুড়ে আবাহনীর নিয়ন্ত্রণে ছিলো। দ্বিতীয়ার্ধে দেয়া চমৎকার একটি গোলের সুবাদে দিনশেষে ম্যাচটিও ওরাই জিতে নিলো এক-শূন্য গোলে। আবাহনী সচেষ্ট হলে গোলের সংখ্যা আরো বেশিই হতে পারতো।

খেলা শেষে সবাই যে যার পথে চলে যায়। আমি চলে আসি বইমেলায়।

শাহবাগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিএনজি থেকে নেমেই আমার মনে হয় আজ কিছু একটি সমস্যা আছে। একটু হাঁটতেই ব্যাপার পরিস্কার হয়। বইমেলায় এতো লোক আমি আগে কক্ষনো দেখিনি! জাদুঘরের সামনে থেকেই যানজট। তবে স্বীকার করতে হবে পুলিশ সেই জট বেশ ভালো ভাবেই সামলেছে রিক্সা-গাড়ি টিএসসি পর্যন্ত যেতে না দিয়ে। কোনো কিছু পাওয়া যাবে না বুঝতে পেরে আমি আমার চারদিকে অগুনতি মানুষ নিয়ে হাঁটতে থাকি বইমেলার দিকে। এত বেশি লোক যে আমার মনে হচ্ছিলো আমি বুঝি কোনো মিছিলে এসেছি।

হেঁটে কলাভবনের এসে আবার চমকে উঠি। বইমেলার দর্শনার্থীদের লাইন চলে এসেছে এই পর্যন্ত! লাইনে দাঁড়িয়ে যাই। একটু পর পর টহল দিয়ে যেতে থাকে ড়্যাবের কালো গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলবহর। ফেরিওয়ালারা আজ ডাসকে কেন্দ্র করে টিএসসিতে ঝাঁপি নিয়ে বসেছে। এটা বেশ গ্রহনযোগ্য সমাধান মনে হলো আমার কাছে। যে পরিমান মানুষ আজ এসেছে যে বইমেলা থেকেই ঝাপি নিয়ে বসে পড়লে আর দেখতে হতো না। ঝঞ্ঝাটের একশেষ হতো।

লাইন একমাইল লম্বা হলেও এগুচ্ছিলো বেশ দ্রুত। তাই বিরক্তি লাগে না। আমার ঠিক সামনেই সপরিবারে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক বয়স্ক ভদ্রলোক। বউ আর মেয়ে নিয়ে এসেছেন। ভদ্রলোকের আক্ষেপ শুনে বুঝলাম মেয়ে কিছুক্ষণ আগে তাঁর চশমা হারিয়ে ফেলেছে। এই চশমা হারানোর জন্য সারাটা সময় উনি মেয়েকে একটানা বকা দিয়ে গেলেন। একেকবার একেক ভাবে। আমাদের দেশের মেয়েরা কি লক্ষী তাই আজ আবার দেখলাম। আমার বয়সী মেয়েটাকে সবার সামনে এভাবে বকলেন মেয়েটা একটুও প্রতিবাদ করলো না।

মেলার গেটের সামনে কোথা থেকে যেন এক ছেলে সাবলিল ভাবে লাইন ভেঙে ঠিক আমার সামনে দাঁড়িয়ে গেলো। সে আশা করেছিলো আমি প্রতিবাদ করবো। সেক্ষেত্রে সে কি বলবে তাও মনে হয় আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো। কিন্তু আমি কিছু বললাম না দেখে তার বিজয় গর্বে বুঝি একটু কালিমাই লাগলো। তাই ফিরে দাঁড়িয়ে ঠিক করে আসা কথাগুলোই বলা শুরু করে, "বুঝছেন ভাই, হইছে কি, আমি...।" আমি শীতল গলায় বলি, "একদম চুপ! সোজা হাঁটেন।" ছেলে চুপসে গিয়ে মাথা নিচু করে হাঁটতে থাকে।

মেলায় ঢুকে বুঝি আজ আর নিজের ইচ্ছেয় মেলা ঘোরা যাবে না। স্রোতে মিশে ভিড় জনতা যেদিকে যায় সেদিকেই হেঁটে যেতে হবে। এরমাঝে একটি দলছুট স্রোত দেখে বিস্মিতই হলাম। স্রোতটা কাছে এলে বুঝলাম ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। পিলপিল পতঙ্গের মত ভক্তরা তার পিঁছু করেছে। মসজিদের কাছে এসে একটু খালি জায়গা পেয়ে হাঁফ ছেঁড়ে বাঁচি।

বেশ কিছু বই কেনা হয় আজ। ড়্যাডিক্যাল এশিয়া পাবলিকেশন থেকে কিনি আবদুল মতিনের "রোমের উত্থান ও পতন"। নজরুল ইন্সটিটিউট থেকে কাজী নজরুল ইসলামের "উপন্যাস সমগ্র"। দিব্যপ্রকাশ থেকে সুব্রত বড়ুয়ার "ইতিহাসে বাংলাদেশ"। প্রথমআলোতে আজ লেখক ইমদাদুল হক মিলন একটি লেখায় তাঁর "কেমন আছ, সবুজপাতা" উপন্যাসটি নিয়ে লিখেছেন। সেটা পড়ে আগ্রহ হয়েছিলো। তাই অন্যপ্রকাশ থেকে এই উপন্যাসটিও কিনে নেই। স্টলে লেখক উপস্থিত ছিলেন। আমাকে অটোগ্রাফ দিলেন। বললাম, "মিলন ভাই, আমার উপন্যাস বেরুচ্ছে জাগৃতি থেকে।" উনি বেশ আগ্রহ নিয়েই বইয়ের নাম-টাম জিজ্ঞেস করলেন। বললেন প্রকাশ পাবার পর তাঁকে একটি কপি দিতে যেতে।

ব্লগারদের মধ্যে মাহবুব লীলেনের কবিতার বই "খেরোখাতা" বেরিয়েছে শুদ্ধস্বর থেকে। বেরিয়েছে আরিফ জেবতিকের উপন্যাস "তাকে ডেকেছিলো ধূলিমাখা চাঁদ" জাগৃতি প্রকাশনী থেকে। এই দু’টি উপন্যাসও কিনে নেই। শুদ্ধস্বরের স্টলে শাহীন ইবনে দিলোয়ারের নাটক "ক্যাবী" নেড়েচেড়ে দেখে ভালো লাগে। সেটিরও স্থান হয় ব্যাগে।

অন্যপ্রকাশ থেকে হুমায়ূন আহমেদের "হিমু রিমান্ডে" কেনার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু সেখানে হিমু-ভক্তদের বাঁধভাঙা ভিড় দেখে পরিকল্পনাটা বাদ দিতে হয়। বাংলা একাডেমীর স্টলে গিয়েও হতাশ হই। আগে কত সুন্দর সুন্দব বই পাওয়া যেতো, এখন তার কিচ্ছু নেই। যত্তসব আবর্জনা সাজিয়ে রেখেছে। জানা গেলো ভালো বইগুলো নাকি সব আউট-অব-প্রিন্ট। নতুন করে ছাপানোর কোনো গরজ নেই। এই না হলে বাংলা একাডেমী!

শুদ্ধস্বরের সামনে মাহবুব লীলেন এবং মোসফেকা আলম ক্যামেলিয়া থাকবেনই থাকবেন। তাঁদের সাথে কাটাই কিছুটা সময়। পরিচয় হয় পদকজয়ী চলচ্চিত্রকার নুরুন্নবীর সাথে। ক্যামেলিয়া আপুর ডকুমেন্টারি "অমৃত সন্ধানী"-র ডিভিডি পাওয়া যাচ্ছে স্টেপস এর স্টলে। আগ্রহ ছিলো বলে সেটিও ঝোলাবদ্ধ হয়। তবে আজ আড্ডায় বেশিক্ষণ থাকতে পারি না। একটু কাজ ছিলো। তাই দেনোমেনো করে হাঁটতেই হয় মেলার নির্গমনদ্বারের দিকে।

© অমিত আহমেদ


মন্তব্য

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ভুলটা করেছি পড়তে শুরু করে শেষ হওয়ার পর দেখি ছবি নাই।
ব্যাপারটা টোস্ট দিয়ে চা খাওয়ার মতো, ভিজানো টোস্ট খেতে খেতে দেখি চা শেষ তখন চায়ের আক্ষেপ তৈরী হয়।
আর এখানে শেষ হওয়ার পর দেখি চাই নাই!!!!!!!

____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

অমিত আহমেদ এর ছবি

আজ ছবি তুলি নাই তেমন। আর এই নেট স্পিডে ছবি দিতে আলস্য লাগে। আচ্ছা ঠিকাছে, আপনার খাতিরে কিছু ছবি আপলোড করে দিচ্ছি হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আদর্শ লিপিতে আছে আলস্য দোসের আকর।
কষ্ট করে ছবি দিবেন জেনে কষ্ট হচ্ছে তবে ছবি দেখতে পাবো বলে খুব খুশীও লাগছে।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

অমিত আহমেদ এর ছবি

অদ্য তোলা সামান্য কিছু ছবির মধ্য হইতে তিন খানা ছবি দেয়া গেল।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

সুজন চৌধুরী এর ছবি

সৃষ্টিকর্তা যেই হন আপনার মঙ্গল করুন।
আপনার বদৌলতে অনেক দিন পর আবাহনী-মোহামেডানের ফুটবলের ফটো দেখা গেলো। অনেক ধন্যবাদ।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

নিঘাত তিথি এর ছবি

অমিত,
আপনার সব লেখায় আমার আগের অভিজ্ঞতা মাঝে মাঝে যোগ করে ফেলি বলে বিরক্ত হন কি না জানি না! তাও বলতে ভাল্লাগে, আড্ডার মত। এরকম লাইন কিন্তু হয়...এপাশে জাদুঘর পর্যন্ত, আরেকপাশে কার্জনহল ছাড়িয়ে আরো অনেক দূর! এবং একই ভাবে আমারও মনে হতো, এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাটা খারাপ না, লাইনটা বেশ দ্রুতই চলমান। গতবার লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রেডিও ফুর্তির রিপোর্টারের কাছে সাক্ষাৎকার(?) দিয়েছিলাম আমি আর আমার বন্ধু শিবা হাসি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

না তিথি, মোটেই বিরক্ত হইনা। ব্লগের সব চেয়ে বড় গুন এটাই, পাঠক-লেখক লেখক-পাঠকের একটা সরাসরি আড্ডার সম্পর্ক। এমন না হলেই মন্দ বরং লাগে।
হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আহারে!
স্কুল জীবনে নতুন কারো সাথে পরিচয় হইলেই প্রথম প্রশ্ন - তুমি আবাহনী নাকি মোহামেডান? হাসি
ঢাকায় ফুটবলের তিনটা ক্লাব টুর্নামেন্ট হতো। প্রিমিয়ার, কনফেডারেশন (?) আরেকটার নাম মনেই পড়ছে না। আবাহনী মোহামেডান ফাইনালে পত্রিকায় শিরোনাম ছিল - "আজ সাদা কালো নীল হলুদের লড়াই"।

মেলার বিবরণের জন্য আবারও ধন্যবাদ। [এই ছবিতে কি ধুসরগোধুলীর মন ভরবে? চোখ টিপি ]

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এ ভাই, এই গরীবের কান্ধে কুড়ালের কোপটা না দিলে হয় না? নিজেই তো কইতে পারেন। 'ভাই ধুসর গোধূলির লাইগ্যা কিছু ফটুক দিয়েন, আর আমার লাইগ্যা ও' চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অমিত আহমেদ এর ছবি

আর মনে আছে দেয়ালে দেয়ালে লিখে ভরিয়ে ফেলতাম AKC কিংবা MSC?


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

মেলার ছবি মোটে একটা!
অত আলস্য ফালস্য বুঝি না অমিত। মেলার আরো অনেক অনেক ছবি (বিবরণ তো বটেই) -র জন্য আমরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছি।
so please please.....

........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অমিত আহমেদ এর ছবি

মন খারাপ কি আর করা। জনগনের দাবি! আরো ছবি দেবো এখন থেকে। লেখা ভালো লাগছে তো?


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমার বয়সী মেয়েটাকে সবার সামনে এভাবে বকলেন, মেয়েটা একটুও প্রতিবাদ করলো না।
- বলি, সাথে ক্যামেরা কি থাকে আকাশ, ঘাশ, লতাপাতা আর পুলা মানুষের ফটুক তুলতে? কি মিসটাই না হয়া গেলো আপনের লাইগ্যা! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অমিত আহমেদ এর ছবি

মেয়ের বাপের যে বর্ননা দিলাম সেইটা ভুইলা গেছেন? চশমা হারায়া সে এমনিতে হট, তার উপর মেয়ের ছবি নিতাছি দেখলে আমারে জ্যান্ত পুইতা ফালাইতো!


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

পুতুল এর ছবি

খুব ভাল বর্ণনা। খুব মিস করছি প্রিয় বই মেলা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ পুতুল!


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

অতিথি লেখক এর ছবি

বইমেলার ডায়রি চালিয়ে যান। পড়তে চরম লাগছে। এবারের মেলায় এখনও যাইনি। যতদিন না যাই ততদিন আপনার ডায়রি পড়েই সাধ মেটাই।

মুহাম্মদ২০১৭

অমিত আহমেদ এর ছবি

চালিয়ে যাবার ইচ্ছে আছে হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও আবাহনীর কড়া সাপোর্টার, শেষ আবাহনী-মোহামেডান খেলা দেখছিলাম ২০০০ সালে। প্রবাস জীবন অনেক কিছুই নিয়ে গেছে মন খারাপ
আপনার এই লেখাটা পড়ে আর ছবিগুলা দেখে ভাল লাগলো।
মনে হলো আপনার বন্ধু প্রাঞ্জল আর কাজীকে আমি চিনি- ওরা মনে হ্য় গভ:ল্যাবে পড়তো, নির্মাণ খেলছে- স্কুলে আমি ওদের এক ক্লাশ উপরে পড়তাম হাসি

মোড়ক উন্মোচনের পর আর কোন এন্ট্রি নাই কিন্তু গ্রন্থমেলা ডায়রিতে- পারলে পুরা বইমেলার সময়টাকে নিয়ে আপনার একটা লেখা দিয়েন মেলা শেষ হলে।
--
কৈলাশ

অমিত আহমেদ এর ছবি

প্রাঞ্জল আর কাজীকে মনে হয় আপনি ঠিক চিনেছেন। বইমেলা ডায়রির শেষ দু'টো এন্ট্রি দেবো আজ আর কাল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।