এক
এই ক'দিন আগের কথা। বাসা থেকে বইমেলায় যাচ্ছি। আমাদের ড্রাইভার সাহেব বললেন, ‘ভাইয়া শুনছেন?’
উনার গলায় কেমন যেনো একটি জরুরী আবেশ। আমি বিভ্রান্ত হয়ে যাই। উৎকন্ঠা নিয়ে বলি, ‘কি ব্যাপার বাবু ভাই? কি হয়েছে?’
উনার গলা কেমন একটি অপার্থিব আবেগে কেঁপে আসে। উনি বলেন, ‘মান্না ভাই! মান্না ভাই ইন্তেকাল করছেন!’
ব্যাপারটি নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত ছিলাম না। চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্য আমাকে একটুও কাতর করে তোলেনি। কিন্তু বাবু ভাইয়ের কাঁপা গলা আর উপচে আসা বেদনা আমাকে কেমন যেনো দিশেহারা করে দেয়। আমি বুঝতে পারিনা এই মুহূর্তে আমার কি বলা উচিত। আমি একটু ইতস্তত করে বলি, ‘জ্বী, টিভিতে দেখেছি। খুব জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন।’
উনি হড়বড় করে বলেন, ‘কি যেই একজন অ্যাক্টর ছিলো ভাইয়া... যেমুন অ্যাক্টিং তেমুন ফাইটিং! আর গলা ভাইয়া... সিনেমা-হল গম-গম করতো!’
আমার এই বিষয়ে কোনো ধারণা ছিলো না। চিত্রনায়ক মান্নার কোনো সিনেমা আমি দেখিনি। তাই তার অভিনয় কিংবা অন্যান্য প্রতিভা বিষয়ক কোনো সম্যক জ্ঞান আমার নেই। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে কথাটি বাবু ভাইকে জানাতে আমার কেমন যেনো সংকোচ হয়। আমার মনে হয় চিত্রনায়ক মান্নার অকালমৃত্যুর শোকটি আমার সাথে ভাগাভাগি করতে চেয়ে যে সম্মান তিনি আমাকে জানাচ্ছেন তাতে সেই সম্মানের অবমাননা হবে।
আমি বলি, ‘মানুষ হিসেবেও মান্না ভালো ছিলেন বলে শুনেছি।’
উনি আগ্রহ নিয়ে বলেন, ‘ভালো মানুষ ভাইয়া। মাথা গরম। লোকজনকে গালি-গালাজ করতো। কিন্তু লুক ভালো। অশ্লীল সিনেমার বিরুদ্ধে ফাইট দিছে।’
আমি কিছু না বলে চুপ করে থাকি।
উনি আবার বলেন, ‘উনার শুটিং দেখছি ভাইয়া!’
‘বলেন কি? কোথায়?’
‘আপনাগো বাসার সামনে শুটিং করে ভাইয়া। অনেক শুটিং হয়। নাটক-সিনেমা। একদিন মান্না ভাই আসছিলেন। আমরা সবাই ভিড় কইরা দেখতেছি। আমাদেরকে কয় ‘ওই শুয়োরের বাচ্চা, কি দেখস? দেখস নাই আগে?’’
‘শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দিলো?’
‘হ ভাইয়া! মাথা গরম। কিন্তু শুটিং থেইকা কাউরে তাড়ায় দেয় নাই।’
আমি হঠাৎ করেই বুঝতে পারি সাধারণ মানুষের কি পরিমান ভালোবাসা এই মানুষটি পেয়েছেন। কতটা ভাগ্যবান ছিলেন মান্না, সকলের প্রিয় এই মান্না ভাই। কতটা ভালোবাসা থাকলে মানুষ একজনের দোষ এড়িয়ে কেবল ভালোটিই দেখে।
আমাদের ড্রাইভার বলতে থাকেন, ‘এফডিসিতে গেছিলাম ভাইয়া... সামনে এত্তো মানুষ... পুলিশ সবাইরে লাঠিপিডা কইরা সরাইয়া দিলো... মান্না ভাইরে শেষ একনজর দেখতে পারলাম না...’ উনার গলাটা কেমন যেনো বুঁজে বুঁজে আসে।
আমি স্তম্ভিত বসে থাকি।
দুই
বইমেলায় গিয়েই প্রথম যে কাজটি করতাম তা হলো লিটল ম্যাগ চত্ত্বরে ঢুঁ মারতাম। মাহবুব লীলেন, শেখ জলিল, অনন্ত মাহফুজ, আহমেদুর রশীদ, ক্যামেলিয়া আলম সহ অনেকেই ওখানে থাকতেন। তাঁদের সাথে একটি মিনি আড্ডা দিয়ে যেতাম জাগৃতি প্রকাশনের স্টলে। যেয়েই প্রথমে নির্লজ্জের মতো খোঁজ নিতাম আমার বই কেমন যাচ্ছে। এরপর জানতে চাইতাম আরিফ ভাইয়ের বইয়ের খবর। আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা-ভালোবাসার দরুন আরিফ ভাইও এসে প্রথমে উনার বই, পরে আমার বইয়ের খোঁজ নিতেন। এরপর জাগৃতির সামনে দাঁড়িয়ে আধ ঘন্টা, এক ঘন্টা আড্ডা। সেখান থেকে ক্যাফেটেরিয়ায় দুইকাপ চা, পপকর্ন, ভেজিটেবল রোল। দেখা হয়ে যেতো আহসান কবির, মাসকাওয়াথ আহসান, লুৎফর রহমান রিটন, আহমাদ মোস্তফা কামাল এবং তাঁদের দরুন আরও অনেকের সাথে। দুর্দান্ত একটি সময় কাটিয়েছি এবারের বইমেলায়!
কোনো একদিন লিটলম্যাগ কর্নার থেকে জাগৃতিতে গিয়ে অভ্যাস বশে জিজ্ঞেস করেছি, ‘আলাউদ্দিন ভাই, বই যাচ্ছে?’
উনি আমাকে দেখে কেমন এক উল্লাসে জ্বলজ্বল করে ওঠেন। আবেশে চোখ প্রায় বন্ধ করে ঘোষণা দেবার মতো করে বলেন, ‘ফেরদৌস!’
আমি থতমত খেয়ে যাই। কে ফেরদৌস? আলাউদ্দিন ভাই কি আমাকে চিনতে পারছেন না! আমি বলি, ‘আলাউদ্দিন ভাই আমি...! আমি অমিত!’
উনি এবার আনন্দে হেসে ফেলেন। বলেন, ‘নায়ক ফেরদৌস।’
‘নায়ক ফেরদৌস কি?’
‘আরে বাইরে থেইকা কি? স্টলের ভিতরে আসেন... কাহিনী আছে তো... আররে আসেন... ভিতরে আসেন!’
‘আলাউদ্দিন ভাই, কি হয়েছে বলেন তো? ফেরদৌসের কি হয়েছে?’
পাশ থেকে জাগৃতির আরেক কর্মী রাজা এবার উত্তেজনা নিয়ে বলেন, ‘অমিত ভাই, হইছে কি... শুনেন...’
এতবড় কাহিনী হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখে আলাউদ্দিন ভাই এবার টেনশন নিতে পারেন না। তাড়াহুড়ো করে বলেন, ‘আরে মিয়া কি কন! নায়ক ফেরদৌস! নায়ক ফেরদৌস আপনার বই কিনছে তো!’
‘তাই নাকি?’
‘আরে কি কইতাছি? হ মিয়া! ফেরদৌস! এই একটু আগে আইলে দেখতে পাইতেন। আপনের বই কিনলো। একটা অটোগ্রাফ দিতে পারতেন।’
‘আলাউদ্দিন ভাই, বই কেমন যাচ্ছে?’
‘ফেরদৌস বুঝলেন...’
আমি আর কথা বাড়াই না। আরিফ ভাই একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। উনার দিকে হেঁটে যাই।
চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে ওই দিনই আমার দেখার সৌভাগ্য হয়। স্টল ঘুরে দেখছেন। পেছনে পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে নানা-বয়সী এক দঙ্গল মানুষ! এক ভদ্রমহিলাকে দেখলাম কোলে বাচ্চা নিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে ফেরদৌসের পেছন পেছন ছুটছেন। মানুষের কি অবোধ্য ভালোবাসা!
তিন
বন্ধুর বৌভাতে গিয়েছি। শিবলী একজন মাঝবয়সী ভদ্রলোককে দেখিয়ে বললো, ‘ওই লোকটিকে চিনিস?’
আমি খুব লক্ষ্য করে দেখি ভদ্রলোককে। সবাই বেশ ফর্মাল হয়ে এসেছেন - স্যুট কিংবা পাজামা-পাঞ্জাবী। উনাকে দেখলাম সাদা টাইট ট্রাউজার, সাদা চামড়ার জুতো আর হাজার স্টিকার লাগানো বাইকার্স জ্যাকেট পড়ে এসেছেন। আর যাই হোক ফর্মাল জামা এ নয়। সবার মাঝে কেমন যেনো একটু বেখাপ্পাই লাগছে।
‘চিনতে পারলাম না দোস্ত। জনপ্রিয় কেউ নাকি?’
আমার বন্ধুটি হো হো করে হেসে বলে, ‘চিত্রনায়ক অমিত হাসান!’
ওর হাসির কারণটি আমি জানি। বই প্রকাশের পর অনেকেই ভুলে (কেউ কেউ মকশো করে) আমার নাম অমিত আহমেদ থেকে অমিত হাসান করে দেন। আমি তাই খুব আগ্রহ নিয়েই উনাকে এবং উনাকে নিয়ে অন্যদের বাড়াবাড়ি দেখি।
এর আগের দু’টি ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন তারা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি। কিন্তু এখানে আমন্ত্রিত সবাই পাত্তিওয়ালা। তথাকথিত উঁচু ক্লাসের মানুষ। এটিকেটের কারণে এই মজলিশে ভাবের প্রকাশ একটু কম হলেও চিত্রনায়ককে নিয়ে আগ্রহের কিন্তু কমতি ছিলো না। অনেকেই নিজ থেকে যাচ্ছেন পরিচিত হতে। অনেকে আবার ‘দেখবো না’ ভাব ধরে আড় চোখে ফলো করে যাচ্ছেন অমিত হাসানের প্রতিটি পদক্ষেপ। তবে এখানের একটি জিনিস অন্য দু'জায়গায় ছিলো না। সেটি হলো চিত্রনায়ককে ছোট করে দেখার প্রবণতা - ‘ব্যাটা এক্কেবারে সং সেজে এসেছে', ‘দেখ দেখ করে কি!'
চার
মেইনস্ট্রিম বাংলা সিনেমা এবং এর সাথে জড়িত মানুষগুলোকে নিয়ে আমার যে নাক-সিঁটকানো ভাবটি ছিলো তা এই তিনটি ঘটনার পরে কেমন যেনো দাগা খেয়ে গেছে। মনে হয়েছে - এত্তো মানুষ এদেরকে ভালোবাসে! শ্রদ্ধা করে! অনুকরণ করে!
হতে পারে যে সুশিল সমাজের জাবর আমরা কেটে যাচ্ছি সেই সমাজের প্রতিনিধি এই খেটে খাওয়া মানুষগুলি নয়। কিন্তু ওরা তো আমাদেরই অংশ। বাঙালি। বাংলাদেশী।
কোন অধিকারে আমরা ওদের পছন্দ-অপছন্দের বিচারক হয়ে বসবো? যখন খেটে খাওয়া মানুষের রুচির কথা আসে তখন কোথায় যায় আমাদের ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা', কোথায় যায় ‘পরস্পরের রুচির প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা'?
নাকি এগুলো শুধু সুশিল সমাজের জন্যই তুলে রাখা?
© অমিত আহমেদ
মন্তব্য
নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের মধ্যেকার এই ডিসকানেক্টটা আগে ছিল না। কীভাবে যে হয়ে গেল হুট করে, টেরও পেলাম না।
বহুত দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। মজা নিয়ে পড়লেও শেষটায় এসে একটা ধাক্কা খেলাম,আসলেই তাই। এমনই হয়ে গেসে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মান্না যেদিন মারা যান, সেদিনের ঘটনা। বেসিস সফটএক্সপো ২০০৮ এর কনভেনর, সফটওয়্যার ব্যবসায়ী টিআইএম নুরুল কবীরকে নিয়ে এনটিভিতে যাচ্ছি। পথিমধ্যে অনেক কথার মাঝে মান্নার মারা যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছিল। তার কথায় মান্নার প্রতি এক ধরনের আবেগের স্পষ্ট আভাস দেখলাম। চলচ্চিত্র শিল্প টিকিয়ে রাখতে মান্নার অবদানকে বেশ শ্রদ্ধা নিয়ে উল্লেখ করলেন তিনি। তাই মান্না শুধু খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পছন্দের ছিলেন, সেটি আসলে কতটা ঠিক, তা নিয়ে আমার বেশ সংশয় রয়েছে।
দূর্ভাগ্য বা সৌভাগ্যক্রমে আমার সারাজীবনই কাটাইতে হইছে তারকাদের সঙ্গে... আমার বন্ধু স্বজন বলতে সব তাহারাই... দারুন মজার মজার সব কাহিনী আছে এই নিয়া... কতবার যে আমারেও অটোগ্রাফ দিতে হইছে তার ইয়ত্তা নাই... মহেশখালীতে একবার এক নাছোড়বান্দা ছেলে বললো আপনে স্টার না তো কি হইছে... স্টারের বন্ধু তো... তাও অটোগ্রাফ দেন।
এই ভক্তিবাদটা কোথায় তা ভাবলে দারুন অবাক লাগে। দেশের অনেক লোকে তারকাদেরকে মানুষ বলে মনে করে না... ভাবে অপার্থিব কিছু।
৭/৮ বছর আগে একবার শিল্পকলা একাডেমিতে যাইতেছিলাম আমি আর এক নামী নায়িকা... রিক্সায়... জ্যাম আর তারাহুরায় সিদ্ধান্ত নিলাম বাকি পথ হাঁইটা যাইগা... রিক্সা থেকা নামতেই সেই নায়িকার প্রায় চিৎকার... কি হইছে? একজনে চিমটি দিছে... কারনটাও খুবই মজার... সে দেখতে চাইছে তারকারাও চিমটি দিলে ব্যাথা পায় কি না? হাসুম না কান্দুম...
সব শ্রেণীর মানুষদের জন্যই বিনোদন দরকার... নিজ নিজ রুচি অনুযায়ী।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি যদি জেসিকা এলবাকে দেখি বা জন এব্রাহেম বা সাইফ আলিকে দেখি আমিও মনে হয় এমন পিছন পিছন ঘুরব
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
জন এব্রাহাম বুঝলাম, সাইফ আলী ও বুঝলাম। কিন্তু জেসিকা এলবা??
কেম্নে কি?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
জন এব্রাহেম এর উপর হিমুর একটা নিরীক্ষাধর্মী মরমী গান শুনেছিলাম না কৈ যেন?
Oh yes. একদম এপিক গান। শিরোনাম - জন আব্রাহামের দুদু। যে শুনছে, সেই জানে কি জিনিস।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
খায় ছুঁড়ি খায় বুড়ি .........
কি মাঝি? ডরাইলা?
জেসিকা অ্যালবাকে দেখলে মনে হয় মেয়েটা সবসময় পেটের পীড়ায় ভোগে!!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
অমিত ভাই,
আমার হিসাবে সোজা- বেশিরভাগ লোক যাকে/ যেটাকে ভালো বলে/ পছন্দ করে/ গুরুত্ব দেয়/ সম্মান করে সেটাকে কি করে গুরত্বহীন বলি?
সাপ্তাহিক এর গত সংখ্যায় একটা ফিচার বের হয়েছে 'ধর' সিনেমায় দেখানো মান্নার মা কে নিয়ে যে আসলে একজন পাগলী; এবং ধর ঐ মহিলারই জীবন দ্বারা অনুপ্রাণিত।
লেখকের ভাষ্যমতে ছবি হিট হওয়ার পর চিত্রনায়ক মান্না
প্রায়ই উনার কাছে যেতেন, সাহায্য করতেন; সাধারণ মানুষের কাছে সিনেমার মান্না গরীবের বন্ধু আর বাস্তব জীবন ্যদি তার শতাংশও হয় মহানায়ক হওয়াটা অলৌকিক নয়।
অমিত ভাই, মান্নার মৃত্যুতে একটা পোস্ট লেখছিলাম। কিন্তু এইখানে 'সুশীল সমাজ' বলে one size fits all গালিটা কি দেওয়ার দরকার ছিল? উচ্চশিক্ষিত এবং নিম্নশিক্ষিত - এই দুইয়ের সংস্কৃতিতে একটা বিভেদ সবসময়ই ছিল, এবং সবসময়ই থাকবে। বাংলাদেশে যেমন, অন্য দেশেও তেমন। High-brow আর low-brow-র মধ্যে যে ফারাক। কিন্তু তাতে ক্ষতি কি? যেমন ধরেন, আপনি কি পারবেন মান্না বা অমিত হাসানের একটা তিন ঘন্টা লম্বা ছবি একই আগ্রহ, একই মুগ্ধতা নিয়ে দেখতে? সিনেমা শুরু হবার কয় মিনিট পরে আপনি ভাববেন এই ছাই-পাশ বন্ধ করে অন্য কিছু করলে বেশী লাভ হবে? নাকি আপনার ড্রাইভার পারবে বসে বসে ফেলিনির ছবি দেখতে? এটা শিক্ষা এবং রুচির ফারাক। তবে হ্যাঁ, এই বলে নাক-সিঁটকানোর প্রয়োজন নেই। অবশ্য যেই দেশে বাসার চাকরকে মাটিতে কুঁজ়ো হয়ে বসতে হয়, কারন তার সোফায় বা চেয়ারে বসার অনুমতি নেই, সেখানে তার চয়েসের প্রতি নাক-সিঁটকানোটাই বোধ করি স্বাভাবিক।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ইশতিয়াক রউফ: সিনেমার ক্ষেত্রে কথাটি সত্যি। একসময় রাজ্জাক-ববিতা কিংবা আলমগীর-সুচরিতাকে নিয়ে সমাজের সব স্তরেই ফ্যাসিনেশন ছিলো। আমার মনে হয় সময়ের সাথে মধবিত্তের মনন বেড়েছে, সিনেমার বাড়েনি, সেই আগের জায়গাতেই রয়ে গেছে কিংবা পিছে হটেছে। স্বল্পশিক্ষিতদের তৃষ্ণা মেটেতে হয়তো বর্তমান বাংলা সিনেমা সক্ষম। কিন্তু উচ্চশিক্ষিতের নয়। সহব্লগার সুবিনয় মুস্তফী যেমনটি বলেছেন।
...
পরিবর্তনশীল: সেটাই রে ভাই।
...
পান্থ রহমান রেজা: মধ্যবিত্ত কিংবা উর্ধ্ব সমাজে মান্নার ভক্ত একদম নেই তা হয়তো নয়। কিন্তু তারা কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের রিপ্রেজেন্ট করে না।
...
নজরুল ইসলাম:
সম্পূর্ণ ভাবে একমত।
...
মুশফিকা মুমু: একশো বার ঘুরবা। কেনো ঘুরবা না?
...
রেনেট: নাহ! ছেলেটার ভুল জায়গায় ভুল প্রশ্ন করার অভ্যেসটা আর গেলো না!
...
মামুন-উর-রশীদ: আপনি ঠিক বলেছেন, গুরুত্ব আছে অবশ্যই।
...
অতিথি লেখক: মান্না সম্পর্কে পরে এমন অনেক কথাই আমি শুনেছি। এত লোক এমনি এমনি সম্মান করে না নিশ্চই।
...
সুবিনয় মুস্তফী: মান্নাকে নিয়ে আপনার লেখাটি পড়েছিলাম। "সুশীল সমাজ"-কে ব্যক্তিগত ভাবে আমি গালি মনে করি না। এর রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে আপনি কি পছন্দ করবেন? "উচ্চ/শিক্ষিত সমাজ"? "বুদ্ধিজীবি"? ঘুরে ফিরে ব্যাপারটি তো সেই একই না?
রুচি নিয়ে আপনি যা বলেছেন তার সাথে আমার কোনো দ্বিমত নেই। আমার পয়েন্টটি আপনিই আপনার কমেন্টে বলেছেন -
আপনার বাকি কথাও বাস্তব সত্য। কিন্তু কিছু একটা থেকে, তা সে যত নগন্যই হোক না কেনো, এসবের উৎপাটন দরকার।
...
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
অমিত আহমেদ এর কথায় " কিন্তু কিছু একটা থেকে, তা সে যত নগন্যই হোক না কেনো, এসবের উৎপাটন দরকার" একমত
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ব্যাপার কি? মনে হচ্ছে চার নাম্বারে অমিত আহমেদের ছবি বসানোর প্রেক্ষাপট তৈরী হলো?
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
সন্দেহ অমূলক, জনাব!
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
অমিত, ইশতিয়াক,সুবিনয়, নজরুল প্রমুখেরা আগ্রহী হলে এই বিষয়ে ফরহাদ মজহারের রচনাটি পাঠ করতে পারেন।
লিংক-
http://arts.bdnews24.com/?p=1306#more-1306
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কবি ফরহাদ মজহারের লেখাটি ল্যাবে বসেই এক নিঃশ্বাসে পড়লাম এবং প্রিন্ট নিয়ে রাখলাম বাসায় গিয়ে আবার ধীরে-সুস্থে পড়বো বলে। যাঁরা এই পোস্টটি পড়ার তকলীফ করেছেন তাঁদের সবাইকে অনুরোধ করবো কবির লেখাটি একবার পড়ে দেখতে। অনন্যসাধারণ বিশ্নেষণ!
লিংক দেবার জন্য রিটন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম।
ধরা ছোঁয়ার বাইরের কোনো এক স্বপ্নীল পৃথিবীতে যাদের বসবাস বলে ভাবি আমরা, তাদের প্রতি ভালোবাসাটাও কেমন যেন অন্যরকম হয়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ব্যস্ততার মধ্যে আছি। কাজে-অকাজে তাই অনেকদিন কিবোর্ডে বাংলা আসেনি।
কি আশ্চর্য রকমের ভালোবাসা তাই না? আমার মাঝে মাঝে খুব ঈর্ষা হয়!
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
সুবিনয় মুস্তফি যে রুচিভেদের কথা বললেন তাতে একমত। আসলে নায়ক নায়িকাকে মানুষ শ্রদ্ধা করে কারণ মানুষ তাদেরকে রোল মডেল হিসেবে ভাবতে শুরু করে। তাই একেকজনের কাছে একেকজনকে ভালো লাগে। চিত্রনায়ক সালমান খান মারা যাবার পর শুনেছি কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছিল। আমার মনে হয় এই ভক্তিবাদ প্রাকৃতিক। একই কারণে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার জন্যও লোকে জীবন দিতে প্রস্তুত। ভক্তি। কোন এক লেখক লিখেছিলেন গান্ধীর এক ভক্ত নাকি তাঁর বাড়িতে ঢুকতে না পেরে বাড়ির ফটকে বাঁধা ছাগলকেই প্রণাম করতে শুরু করেন। ভক্তি বোধ করি এমনই হয়। ক্রীড়াজগতের অসংখ্য তারকাদের ক্ষেত্রেও তা একইভাবে সত্যি। আর এই ভক্তিকে কাজে লাগায় মানুষ প্রয়োজনে, জনসেবায়, সুবিধাবাদে, ব্যবসায় এমনকি ধর্মপ্রচারেও। তবে ব্যবসায়িক ফায়দা লোটার ক্ষেত্রেই এই ভক্তিবাদকে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো হয় সেজন্যই এখন দেশেদেশে ইন্ডিয়ান আইডল, আমেরিকান আইডল, ক্লোজআপ ওয়ান ইত্যাদি বানানোর চমকপ্রদ হুযোগ চলে মিডিয়ার অলিগলিতে, সদরে সবখানে।
জিজ্ঞাসু
অমিত হাসান (থার্ডাইয়ের আবিষ্কার !!!!) ভাই। চমৎকার একটি বিষয়ের অবতারণা করার জন্য ধন্যবাদ।
রুচিবোধের বিভাজনটা আসলে আরোপিত। নিজেকে উপরে তুলে ধরার, নিজেকে জাহির করার চেষ্টা বলা যায়।
আমার মত ভদ্রলোকেরা গোপনে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে পিন্টু সুমনের সিডি দেখবে, বিস্টাইলিটি ভিডিও দেখবে, হাইস্পীড ইন্টারনেটের কল্যানে পর্ণোগ্রাফিক ম্যুভি সাইটগুলোর সাবস্ক্রাইবার হবে। আবার আলোচনা করার সময় পিয়ানিস্ট, লাইফ ইজ বিউটিফুল টাইপ সিনেমা নিয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দেবে। শুধু বাংলা সিনেমা দেখতে বললেই রুচিবোধ, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের গুঁতাগুতিতে অস্থির হয়ে উঠবে। অশ্লীলতার হাত থেকে দেশের সিনেমা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কী করা যায় তা নিয়ে চিন্তামগ্ন হবে।
জীবজগতের আর কোন প্রাণী মনে হয় এত বেশী হিপোক্রেট না !
কি মাঝি? ডরাইলা?
আমার পুরনো একটি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করি: রুচি নিয়ে তর্ক চলে না (তবে মারামারি চলতে পারে )।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সন্ন্যাসীর মন্তব্যে (বিপ্লব)
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
মান্নার লাশ শহীদ মিনারে নেয়া হবে শুনে সেখানে যত লোক জড়ো হয়েছিল, কোনো মানুষের মৃত্যুতে গত এক দশকে ওরকমটা হয়নি। মানুষ সরাতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়েছিল।
যারা বাংলা ছবির দর্শক, তাদের সামনে কিন্তু এসব ছাড়া আর সব আনন্দ বিনোদনের রাস্তা বন্ধ। আমাদের জন্য কিন্তু সব রাস্তাই খোলা। যে জিনিষ তারা দেখতে বাধ্য হয়, সেটাকে একসময় তারা ভালও বেসে ফেলে।
তাদের আমাদের মধ্যে তুলনা হয় না। একতলা থেকে দুনিয়া দেখা আর দশ তলা থেকে দুনিয়া দেখার মধ্যে যতই ফারাক থাকুক, তুলনা হয় না। যদি কখনো একতলে উভয়ে আসে, তখন তা সম্ভব। সে কারণে আমরা নাকও সিঁটকাতে পারি না। সেকারণে আমরা যেমন পারি না, আস্ত একটা বাংলা ছবি দেখতে, ওরাও কিন্তু পারবে না আমাদের অনেক পছন্দের ছবি দেখতে।
যেমন পর্নোগ্রাফির কথাই ধরা যাক, মধ্যবিত্ত শিক্ষিতরা যে হারে এর ভোক্তা, সে হারে কিন্তু ওদের মধ্যে সেটা নাই। যতটা আছে ততটাও তরুণদের মধ্যে।
ওদের বাস্তব জীবনের সকল অপ্রাপ্তি যখন সিনেমায় কেউ এনে দেয়, সুবিচার, প্রতিশোধ, মহত্ত, প্রেম, গরিবের জয়_তখন তো তাকে তারা ভালবাসবেই। বেদের মেয়ে জোছনা নিয়ে গাঁস্ত রোবের্জ একটা গবেষণা করেছিলেন। তিনি তাতে অসাধারণ সব পর্যবেক্ষণ পেয়েছিলেন। তার মধ্যে একটা হচ্ছে, নিয়ম ভাঙ্গা। তিনি বলেছিলেন, লক্ষ লক্ষ লোক যখন একটা ছবি দেখতে পয়সা কেটে হলে যাচ্ছে, তখন তো তুমি তাদের পাগল বলতে পার না।
ফরহাদ মজহারের এ লেখাটা আসলেই অসাধারণ। রিটন ভাইকে ধন্যবাদ। আর অমিত আহমেদের প্রসঙ্গটা টানা এবং দেখা দুটোই ভাল লাগলো।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
লেখাটা পড়লাম। চমৎকার একটি বিষয়ের অবতারনা করায় অমিতকে ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুব ভালো লেখা।
জরুরী আলোচনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমাদের একটা সমস্যা হলো
বাংলা সিনেমার কাছে আমরা
রুচি বিনোদন প্রযুক্তি সোন্দর্য সাহিত্য সংস্কৃতি
সব আশা করে বসে থাকি।
হিন্দি সিনেমার অনেক আজেবাজে গান দেখি - বাজাই।
শুধু বাংলা সিনেমায়ই পান চুনের গরমিল হলে
অশ্লীল অশ্লীল বলে ফেনা তুলে ফেলি।
এককোটি রুপির ছবিতে যেই প্রযুক্তি থাকে
বিশ লাখ টাকার ছবিতে সেই প্রযুক্তি খুঁজতে যাই।
বাংলা সিনেমা যে খুব দেখি তা না। সুযোগ হয়না।
তবু বাংলা সিনেমা এবং তার সাথে জড়িত
সবাইকে আমি শ্রদ্ধা করি।
যেখানে হুমায়ুন আহমেদ কে ছবি বানানোর টাকা যোগারের জন্য
প্রবাসী একজনকে সিনামায় চরিত্র দিতে হয়
সেখানে অন্য পরিচালকেরা যে কীভাবে বাঁচেন, তারাই জানেন।
শ্রদ্ধা সেইসব নায়কদের জন্য
যারা আমাদের শত বিদ্রুপ সয়েও মানুষের মনে আসন গেড়ে নেন।
শ্রদ্ধা সেইসব নায়িকদের জন্য
যারা নিজেদের বিনিময়ে প্রযোজককে টাকা ঢালতে রাজী করান।
শ্রদ্ধা জড়িত সবাইকে
যারা কোনরকম উতসাহ সহায়তা ছাড়া
বাংলা সিনেমাকে টিকিয়ে রেখেছেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ডিটো, রানা মেহের।
জানি না পোস্টের বাইরে আলোচনা চলে যাবে কিনা, তবু বলি, ইচ্ছা করছে বলতে।
সিনেমার মত এত বেশি ইম্প্যাক্ট বোধহয় আর কোন মাধ্যমে পড়ে না মানুষের ওপর। এবং হ্যা, এখন এঞ্জেলিনা জোলিকে নিয়ে একজন তরুনের যে উন্মাদনা, এক সময় সেই বয়েসী তরুণের স্বপ্ন ছিলো ববিতা। তথাকথিত সুশীল বা মধ্যবিত্ত সমাজেরই। এইখানেই কষ্টটা লাগে। আমাদের দেশের সিনেমার প্রতি খুব আস্তে ধীরে কি একটা প্রক্রিয়ায় যেন এই সমাজের নাক-সিঁটকানো বেড়েছে। বাড়ছেই। কেমন করে আরো অর্থ বিনিয়োগ করে, আরো শিল্পিত মানুষের সহযোগীতায় তাকে যুগের সাথে, সময়ের সাথে উন্নত করে তোলা যায় সেই চেষ্টা করা হয় নি। শিল্পী সমাজও দুই ভাগ হয়ে বসে আছে। শমী-বিপাশা-মিমি টিভি নাটকই করেন, সিনেমা নয়।
সব সিনেমাই "আর্ট ফিল্ম" হবার প্রয়োজন নেই। নাচ-গান সমৃদ্ধ বানিজ্যিক সিনেমাই হোক। কিন্তু যদি আরেকটু বেশি বাজেট থাকতো, আরেকটু শিল্পমনের কেউ ছবিটা বানাতো, শিল্প নির্দেশনা দিতো- তাহলে হয়ত পৃথিবীর আর সব দেশের মত বাংলাদেশেও বাংলা সিনেমা সব শ্রেণী মানুষের কাছে একই আবেদন রাখতে পারতো।
সেই রকম উদ্যোগ আসার আগে পর্যন্ত নিজের দেশে শিল্পীদের নিয়ে অন্তত নাক সিঁটকানোর মত হিপোক্রেসী আমরা না করি।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
নুরুজ্জামান মানিক: সহমত জ্ঞাপনের জন্য ধন্যবাদ।
...
জিজ্ঞাসু: আপনার মন্তব্যে বিপ্লব।
...
দ্রোহী: দ্রোহী ভাই ব্যাপারটি মনে হয় এত সহজ নয়। রুচি নিয়ে আমাদের কিছু হিপোক্রেসি আছে ঠিক, কিন্তু রুচির ভেদটাও কিন্তু আসল, আরোপিত নয়। কবি ফরহাদ মজহার এ বিষয়টিও তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। লিংক পাবেন রিটন ভাইয়ের মন্তব্যে।
...
সংসারে এক সন্ন্যাসী: তা যা বলেছেন দাদা!
...
ফারুক ওয়াসিফ: গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য। আপনার পর্যবেক্ষণ আমার সাথে মিলে গেলো। গাঁস্ত রোবার্জের এই বিষয়ে কোনো লেখার লিংক দিতে পারবেন? বেশ আগ্রহ হচ্ছে।
...
এস এম মাহবুব মুর্শেদ: ধন্যবাদ সুমন ভাই।
...
রানা মেহের: আপনার মন্তব্য লেখাটিকে অন্য মাত্রা দিলো। আমার লেখায় আমি একপক্ষের কথা বলেছি, আপনি অন্যপক্ষের কথাও বলে দিলেন। ধন্যবাদ!
...
নিঘাত তিথি: সমরুচির সিনেমা বানানো এখন কঠিন হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আর শিক্ষা ভেদে রুচির পার্থক্য এতোটাই বেশি যে ব্যাপারটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। তবে সদিচ্ছা থাকলে এই গ্যাপ পূরণ করা সম্ভব। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তিথি।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
অর্থনৈতিক বৈষম্য আস্তে আস্তে মানুষে মানুষে সাংস্কৃতিক বৈষম্য তৈরি করে। আমাদের সুশীল সমাজ, মধ্যবিত্ত সমাজ এবং নিম্নবিত্ত সমাজের মধ্যকার সাংস্কৃতিক পার্থক্যটা এতোটাই বিশাল যে- এদের পছন্দ-অপছন্দগুলো আস্তে আস্তে একেকটি প্লাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। যে কারণে পছন্দের প্লাটফর্মগুলোর বিন্যাস দিন দিন দ্বান্দ্বিক হয়ে যাচ্ছে।
তবে যে সমাজ সংস্কৃতিকে ভালো-মন্দ হিসেবে চিহ্নিত করে, সেখানে এটা স্বাভাবিক। যদিও সংস্কৃতির কোনো ভালো-খারাপ হয় না; পছন্দ বা অপছন্দ হতে পারে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনার বক্তব্য অনেকাংশে সত্যি হলেও এর প্রতি-উদাহরণ আছে। হলিউডের ব্যবসায়িক সফল সিনেমাগুলো অর্থনৈতিক বৈষম্য এড়িয়েই সফল হয়। এর কারণ হলে হলিউড কোম্পানিগুলো নিয়মিত মার্কেট রিসার্চ করে নিজেদেরকে আপডেট রাখার চেষ্টা করে কোন বিষয়গুলি সাধারণ ভাবেই সংখ্যা গরিষ্ঠের কাছে এপ্রিশিয়েটেড। এটি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় বলে একটি অনগোয়িং প্রোসেস। এজন্য দেখবেন হলিউডে একই ফরম্যাটে পর পর অনেক সিনেমা রিলিজ হয়। কিছু জনপ্রিয় লেখকদের জন্যও এটি সত্য। সেক্ষেত্রে পাবলিশাররা রিসার্চের কাজটি করেন।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন