আজও সূর্য ওঠে। উত্তর দিক থেকে ভেসে আসে ঠান্ডা হাওয়া। মাছরাঙা জলে মাছ খোঁজে। এক টুকরো রুটির উৎসবে মাতে কাঠবিড়ালি। ফুলের খোঁজে উড়াল দেয় মৌমাছি। আজও গাছের পাতা ঝরে। কোনো অজানা জঙ্গলে ফোটে নতুন ফুল। আজও আমি ঘুম থেকে উঠে নাশতা করি। এক কাপ চা। আজও বেরুবার আগে দোর ঠেলে দিতে ভুলি না। জীবন চলে যায়।
সেই চলমান জীবনেই হঠাৎ বাতাসের সাথে কেমন একটি গন্ধ ভেসে আসে। প্রকৃতির সবাই যেনো একটু থমকে যায়। কিংবা এই আমার কাছেই, সময় হারায় তার মর্যাদা। আমার বুকের ভেতরটা কেমন গুমড়ে ওঠে। আমি ভুলে যাই হাতে ধরা সিগারেটের অস্তিত্ব। সিমেন্টের আসনে, খরখরে পাটাতনে হাত বুলিয়ে আমার কি যেনো মনে হয়। ঠিক ধরতে পারি না। হয়তো কোনো এক দেশে, এমনই এক সাধারণ দিনে একটি মেয়ের কাউকে মনে পড়বে। মনে হবে কে যেনো নেই। বকা দেবার, আবদার জানাবার। কিংবা প্রথম গাড়ি চালাবার সনদ পেয়ে কোনো একটি ছেলের মনে হবে কাকে যেনো দেখানো হলো না। খুব দুঃখে কিংবা অসম্ভব সুখে কেউ একজন ফোন তুলে আবার নামিয়ে রাখবে। গল্প লিখে নবীন কোনো লেখক কোনো একজনের সমাদরের আর পরোয়া করবে না। আমার হাত কেমন যেনো কাঁপতে থাকে। আমার চোখ কেমন জ্বালা করে ওঠে। আমার অকারণেই কাউকে বলতে ইচ্ছে করে, আমি তো আছি! আমরা তো আছি।
সেই এক মুহূর্তই। আমি ঘড়ি দেখি। আবার সিগারেটে ঠোঁট ছোঁয়াই। আকাশের মেঘে কি যেনো খুঁজি। এই একটু আগে জুবায়ের ভাইয়ের গোর দেয়া হয়ে গেলো!
না আমি কাঁদি নাই। আমি কাঁদতে জানি না।
মন্তব্য