তিন (শেষ পর্ব)
ওয়াল্ডট্রেড সেন্টারে কেনাকাটা শেষে আমরা আবার গাড়িতে চড়ে বসি। একটু আগে পর্যন্ত গাড়ির জানালার ফুলতোলা পর্দা কেমন যেনো খ্যাত-খ্যাত লাগছিলো। এখন সূর্য ডোবার সাথে সাথে দেখি একটি মায়াময় ভাব চলে এসেছে। ফ্লাইওভারের ওপরে, উঁচু দালান এড়িয়ে সূর্যের তির্যক আলোছায়ায়, গোলাপী ফুলকাটা পর্দার প্রতিবিম্ব খেলা করে সারা গাড়ি জুড়ে। আমার মনে হয় আমি রবি ঠাকুরের সাথে কালো যমুনায়… বজরায় বসে আছি। এক্ষুণি ভরাট কন্ঠে আবৃত্তি হবে, “রু মাই ওয়া যাই / সান ইয়া তাম হাই / ওয়ান ওয়াই…”
আমার ঘোর ভেঙে যায়।
“শিমুল, তুমি আবার থাই গান শুরু করছো?”
“কানোম জিনের গান। খুব মায়া না মাইয়াটার গলায়? দেখতেও খউ…”
বরি ঠাকুরের ঘোর ভেঙে যাওয়ায় আমার মধ্যে এক ধরণের চাপা রাগ চলে আসে। আমি ওকে কথা শেষ করতে না দিয়েই বলে উঠি, “মোটেই মায়া নাই। বন্ধ করো কইলাম এইসব! মিলার গান নাই?”
শিমুল রেডিও বন্ধ করে দিয়ে বলে, “নাহ। তয় তিশমার গান আছে। শুনবা নাকি? সাদি মহম্মদের সাথে তিশমার গান। খউপ সুন্দর গলা।”
আমি খুব বিরক্ত হয়ে যাই। থাইদেশে এসে দেখা যাচ্ছে ছেলের রুচি পুরাই গেছে। কোথায় মিলার ‘রুপভান’ আর কোথায় তিশমা। আমি তাই আর গানের দিকেই যাই না। জিজ্ঞেস করি, “এখন তাইলে পিংপং যাইতেছি?”
“পিংপং মানে?”
“তুমিই না কইলা? ওয়াল্ডট্রেড সেন্টার থেইকা পিংপং?”
শিমুল খ্যাক খ্যাক করে হেসে বলে, “আরে পিংপং না-তো, পাথপং, পাথপং!”
“একটা জিনিস খেয়াল করলাম বুঝছো? এখানে দোকানে গিয়া কোনো জিনিসের দাম জিগাইলে তারা মুখে দাম বলে না। ক্যালকুলেটরে লিইখা দেখায়। ব্যাটাদের ইংরেজি খুবই খারাপ। এত ট্যুরিস্ট আসে। টুকটাক ইংরেজি তো শিইখা নিলেই পারে।”
থাইদেশ নিয়ে কথা বলায় মনে হয় শিমুলের গায়ে লাগে। ও দেখি কেমন গম্ভির হয়ে যায়। বিজ্ঞের মতো বলে, “এরা কথা কম বইলা কাম বেশি করে। আমাদের এই সমস্যাটা গেলো না বুঝলা? আমরা কথা বইলা বিশ্ব জয় করতে চাই। আরে কাম না কইরা শুধু প্যাচাল পাড়লে কাম হইবো?”
“তা-তো অবশ্যই! তা-তো অবশ্যই! আচ্ছা, পিংপং এ কি আছে?”
“ওই মিয়া? তোমারে না কইলাম পাথপং? পাথ… পাথপং।”
“পাথপং এ কি আছে?”
শিমুল কেমন একটি রহস্যজনক হাসি দেয়। চোখ টিপে বলে, “আরে এতো অস্থির হইছো কেনো? গেলেই বুঝবা!”
ব্যাংকক নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি বন্ধু-বান্ধবের কাছে। গো-গো বার, পম-পম গার্লস, চিক-বাই-জওল -স্টলস। শিমুলের রহস্যময় হাসিতে আমি নিশ্চিত হয়ে যাই এইসব আমার আর অদেখা থাকবে না। আমি দমবন্ধ করে পাথপং-এর অপেক্ষা করতে থাকি।
শিমুল সুরিওং রোডে গাড়ি পার্ক করে বলে, “এখানেই রাখতে হইবো। পাথপং-এ খুব ভিড়। তোমারে কষ্ট দিতেছি ভাই… সরি!”
“আরে নাহ! কষ্ট কিসের। টরন্টোতে তো আমার গাড়ি নাই। পা আর পাবলিক ট্রান্সপোর্টই ভরসা।”
গাড়ি থেকে বের হয়ে আমার রক্ত কেমন চনমনিয়ে ওঠে। রাত্তিরের শহরে একটি আলাদা মেজাজ থাকে। একবার সেই মেজাজের সাথে মিশে যেতে পারলে বাকি সব কিছু কেমন গৌন হয়ে যায়। গৌন হয়ে যায় আমাদের পরিচয়, পেশা আর পেশাগত যত্ত সব দুঃশ্চিন্তা। এত বড় আয়োজনের তুলনায় নিজেকে মনে হয় নেহাতই তুচ্ছ। চারপাশের নিওন লাইট। ছুটে চলা অসংখ্য মানুষের অজানা জীবন। অচেনা ভাষায় আশেপাশের দোকান থেকে ডাকাডাকি। রাস্তায় সার ধরে বিক্রয়ীতব্য নিষিদ্ধ সামগ্রি। বাতাসে ভেসে থাকা অজানা খাবারের মৌমাত। ছোট্ট পোশাকে আসঙ্গলিপ্সু বারাঙ্গনা্দের ক্ষরদৃষ্টি।
আমি এবার আর থাকতে পারি না। কাঁপা হাতে সিগারেট ধরিয়ে ফেলি।
“এইখানে সব দুইনম্বরী ব্র্যান্ডের জিনিস বুঝলা? কিছু কিনতে চাইলে আমারে আগে কইবা। দরদাম কইরা দিমুনে।”
চারপাশ দেখতে দেখতে হেঁটে যাই। থাইল্যান্ডের সিন সিটি। একটু পর পর স্ট্রিপক্লাব, বার। আর রাস্তাজুড়ে ক্যানভাসাররা তো আছেই। একটি নিওন সাইন দেখে আমি শিমুলের দিকে ফিরি, “শিমুল, পিংপং শো মানে?”
“ও! পিংপং বল দিয়া মেয়েরা নানান খেলা দেখায়!”
“কি খেলা?”
শিমুল কেমন বিব্রত হয়ে যায়, “এই আরকি… মানে বল নিয়া… কাবাব খাইবা?”
হঠাৎ প্রসঙ্গ বদলানোতে আমি বিভ্রান্ত হয়ে যাই, “কি খাব?”
“কাবাব। রাস্তায় নানান ধরণের কাবাব-টাবাব বেচে। দাঁড়াও, আনতেছি।”
শিমুল আমাকে একা ফেলে একটি স্ট্যান্ডের দিকে এগিয়ে যেতেই পাশের লোটাস ক্লাব থেকে তিনটি মেয়ে আমাকে ঘিরে ধরে। একজন আমাকে জড়িয়ে ধরে নাকি গলায় বলে, “উ লুক পর গালফেন্ড?”
আমি কেমন থতমত খেয়ে যাই, “এক্সিউজ মি?”
“আই মেক উ হেপি…”
আমি কি করবো বুঝতে পারি না। ঠেলে সরাতে গেলে মেয়েগুলো আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে আসে। আমি শুকনো গলায় বলি, “নো! নো… আই অ্যাম নট লুকিং ফর এ-নি কোম্পানি…”
কোনো কথাতেই কাজ হয় না। আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে শিমুল। সে দুই হাতে কাবাবের শিক ধরে কোন এক বিচিত্র উপায়ে রাস্তার ওপাশ থেকে দুই লাফে ছুটে এসে চেঁচিয়ে বলে, “গুর লোহ খালাথ…” শিমুলের রণমূর্তি দেখে তিন মেয়েই রণে ভঙ্গ দিয়ে পড়িমড়ি করে ছুট লাগায়।
আমি শুকনো গলায় বলি, “থ্যাংক ইউ ম্যান।”
“আরে এইসব লেডিবয়গুলা খুব পেইন দেয়। ওদের দিকে ডিরেক্ট তাকাইবা না। তাকাইলেই আইসা নষ্টামি শুরু করবো।”
“লেডিবয় মানে? ওরা কি ছেলে নাকি?”
“আরে হ! তুমি কি মাইয়া ভাবছিলা নাকি।”
আমি কথার উত্তর না দিয়ে আরেকটি সিগারেট ধরিয়ে ফেলি।
রাস্তার ধারের কাবাব আর শামুকের ভাজি খাওয়ার পরে শিমুল আমাকে একটি বারে নিয়ে যায়। নীল আলোছায়ার বারটিতে ঢুকে আমি আরেকবার তব্দা খাই। নামেই শুধু বার, আদপে স্ট্রিপক্লাব ছাড়া আর কিছুই নয়। টানা টেবিলগুলো ঘিরে নাচের পাটাতন। সেখানে তিনপাশে তিনটি নিরাভরণ মেয়ে কসরত প্রদর্শণ করছে। টেবিল জুড়ে বসে থাকা নানান দেশীয়, বয়সী মানুষকে পানীয় পরিবেশন করছে উর্ধ্বানাবৃত পরিবেশিকারা। আমি শিমুলের কানে কানে জিজ্ঞেস করি, “এখানে আবার লেডিবয় নাই তো?”
“আরে নাহ!”
আমি আর শিমুল স্টেজের কাছাকাছি একটি টেবিলে বসে পড়ি।
শিমুল জিজ্ঞেস করে, “পান করার অভ্যাস আছে তো? নাকি?”
আমার সবগুলো দাঁত বের হয়ে যায়, “হে হে! তা আছে।”
শিমুল হাত তুলে একটি মেয়েকে ডেকে বলে, “কি নিবা বইলা দাও। আমার আবার এইসব চলে না-তো, কিচ্ছু চিনি না।”
আমি রাম-কোকের অর্ডার দিয়ে শিমুলকে জিজ্ঞেস করি, “এদিকে কি প্রায়ই আসো নাকি?”
“নাহ! দেশ থেইকা কেউ আসলে নিয়া আসি। এইসব না দেখাইলে আবার পোলাপাইন মাইন্ড খায়। কয় কিছুই নাকি দেখাই নাই।”
আমার রাম-কোক চলে আসে। আমি চুমুক দিতে না দিতেই শিমুল উঠে পড়ে। বলে, “তুমি ওরে আর যা লাগবে সব বইলা দাও। আমি আস্তেছি।”
আমি কিছু বলার আগেই সে উঠে বারের অন্যপাশে চলে যায়। আড়চোখে দেখি আরেকজন উর্ধ্বানাবৃত মেয়ের সাথে কি কথা বলে ওরা দু’জনে একটি দরজা দিয়ে কোথায় যেনো চলে যায়। আমার চোখ সন্দেহে ছোট ছোট হয়ে আসে। কাহিনী তো ভালো ঠেকতেছে না। ওরা দুইজনে কই গেলো?
আমাকে একা পেয়ে একটি মেয়ে এসে আমার কোল ঘেঁষে বসে পড়ে। আমি এবারে আর কিছু বলি না। কোলে মেয়ে নিয়ে নির্লিপ্ত ভাবে গ্লাসে চুমুক দেই। শিমুল ফিরে আসে পাক্কা আধা ঘন্টা পরে। এসেই বলে, “কি মিয়া, তুমি তো দেখি একদম কোলে মাইয়া নিয়া বইসা আছো… হে হে হে!”
“যাই বলি না কেনো সে আরও বেশি নখরামি করে। যায় না।”
“মিষ্টি ভাষায় কইলে যায় না। দাঁড়াও…” শিমুল থাই ভাষায় কি হাউকাউ করে। মেয়েটি সুরসুর করে পালায়।
“তুমি এতক্ষণ কি করলা?”
শিমুল আমার এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয় না। টেবিলে কিছু টাকা রেখে বলে, “চলো, এখন মনে হয় যাওন দরকার… তোমারে আবার ফ্লাইটের একঘন্টা আগে চেকিং করতে কইছে।”
এইবার গাড়িতে উঠে আমার মনে হয় সময়টা যেনো খুব দ্রুত চলে গেলো। এই একটু আগেই তো বিমানবন্দর থেকে বের হলাম। শিমুলেরও মনে হয় মন খাবাপ লাগে। ও কোনো কথা বলে না, থাই গান গায় না, আইল্যান্ডে গাড়ি উঠিয়ে দেয় না। সোজা রাস্তায় তাকিয়ে একটানে বিমানবন্দরে নিয়ে যায়।
বিমানবন্দরে নেমে আমি বলি, “শিমুল, তুমি যাও গা। এখানে থাইকা কি করবা।”
“আরে না! প্লেন লেট হইতে পারে। না উড়া পর্যন্ত আমি আছি এইখানে। কুনো সমস্যা নাই।”
আমি ডিসপ্লেস্ক্রিনে ফ্লাইট নাম্বার, সময় মিলিয়ে নেই। সিকিউরিটির দিকে যাবার আগে বিদায় নিতে একটু দাঁড়াই। শিমুলের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে শিমুল সেটিকে দেখেও দেখে না। আমাকে জড়িয়ে ধরে কেমন ধরা গলায় বলে, “তুমি আইলা, আজককার দিনটাই কেমন বদলায়া গেলো! আবার কবে না কবে দেখা হইবো। খুব ভাল্লাগছে অমিত। খুব ভাল্লাগছে।”
আমার খুব খারাপ লাগে। এই প্রবাস জীবন বেছে নিয়ে আমরা যেনো নিজেদেরকেই ফাঁকি দিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি কোনো কথা বলতে পারি না। শিমুলকে ফেলে রেখে অনেকটা পালিয়েই সিকিউরিটি পেরিয়ে যাই।
উড্ডয়ন ডেস্কের সুন্দরী মেয়েটিকে পাসপোর্ট এগিয়ে দিতে সে পাসপোর্ট উল্টে পাল্টে দেখে বলে, “ও তুমিই সেই উমিত আমেদ? আনারের দোস্ত?”
“আনার? মানে আনোয়ার? আনোয়ার সাদাত? আনোয়ার সাদাত শিমুল?” আমার মনে পড়ে শিমুল বলেছিলো ব্যাংকক বিমানবন্দরে ওর এক বন্ধু কাজ করে। সেই বন্ধু যে এমন খাপখোলা সুন্দরী তা-তো বলেনি!
“খুব ভালো বন্ধু তোমরা না? তোমার জন্য এতো ভালো চাকরি ছেড়ে দিলো?”
আমি চমকে উঠি, “আমার জন্য চাকরি ছেড়ে দিলো মানে?”
“বস ছুটি দিচ্ছিলো না। আনার তাকে বলেছে, তোর চাকরির খেতা পুরি। আমার দোস্ত আস্তেছে দেশ থেকে!”
আমি হতভম্ব তাকিয়ে থাকি। আজ কোনো ছুটির দিন নয়। অথচ শিমুল সারাক্ষণ আমার সাথেই ছিলো। ব্যাপারটি আমি আগে খেয়ালই করিনি।
“তোমাদের আবেগ আমি বুঝি না। তুমি নাকি বিরুনি পছন্দ করো। সে তাই আজ সারাদিন ধরে রান্না-বান্না করেছে।”
শিমুলের প্রিয় রেস্তোরার খাবারের স্বাদ কেনো বিষাক্ত সেই রহস্য আমার কাছে উন্মোচিত হয়। আমি ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে থাকি।
“নতুন চাকরির জন্য আজ তোমাকে নিয়েই পাথপং এর একটি বারে যাওয়ার কথা ছিলো। গিয়েছিলে?”
শিমুল কেনো আধা ঘন্টার জন্য বারে উধাও হয়ে গিয়েছিলো তা বুঝতে পেরে আমার গলা ধরে আসে, “হ্যাঁ!”
“তাও ভালো!”
আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয় সে এতো কিভাবে জানে। কিন্তু গলা দিয়ে কোনো স্বর বের হয় না। মেয়েটি শিমুলের ওপর জমে থাকা সব রাগ দড়াম এক সীলে আমার পাসপোর্টে ঢেলে দেয়।
“হ্যাভ অ্যা নাইস ফ্লাইট।”
হতবিহবল আমি পা টেনে টেনে অপেক্ষা-রুমে গিয়ে বসি। কে যেনো একজন বলেছিলেন না? পুরুষ কাঁদেনা? আমার ইচ্ছে করে সেই বুরবকটিকে ধরে এনে চটাস একটি চড় বসিয়ে দেই।
© অমিত আহমেদ
প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব
ব্যবহৃত ছবি: আমার/শিমুলের মুখ/অন্যান্য ছবি কেটেকুটে ফটোশপে বানানো।
এক্ষণে জানাইয়া রাখা উত্তম, ইহা একটি কাল্পনিক উপাখ্যান
মন্তব্য
আমার আগামী বছরের রোজাগুলাও হালকা হয়ে গেল।
যাই অযু করে আসি।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
শিমুলও একটা সিরিজ আসতেছে কাল-পরশুর মধ্যে। ওইটা মিস কইরো না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আপনি আমারে দিনে কয়বার অযু করতে কন?
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আরে নাহ। শিমুলের সিরিজটা পড়ে আর অযু লাগবে না। বরং অযুর ফজিলত বুঝতে পারবা।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ও বুঝতে পারসি। ঐটাতে অযু করেও তেমন একটা লাভ হবেনা।
ঠিকাছে।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হুম............... তাই বলেন আমিতো আরো শিমুল ভাইয়ের চাকরির জন্য মন খারাপ করলাম । আগে বলা উচিত ছিল এটা একটা কাল্পনিক উপাখ্যান । কাহিনি ভাল লাগল ।
নিবিড়
অমিত ভাই,আপনার লেখা আমাকে স্পশ' করেছে।
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
আমার কপাল ভালো শেষের লাইন (ইহা একটি কাল্পনিক উপখ্যান) পড়ছিলাম ....নাইলে তো আপনার প্রতি শিমূল ভাইয়ের এতো ত্যাগে আমার কান্না আইসা গেছিলো। লেখা অনেক সাবলীল এবং মজার হয়েছে।
থাইল্যান্ডে গিয়ে আমি ও আমার আরো বন্ধুরা মিলে পাথপং এ গেছিলাম শপিং করতে....তো যেইনা আমরা বার'এর গলি মাখায় পাড়া দিছি আমিতো টাসকি আর ঐখানকার অবস্থা দেখে পুরা ভয়ে সিটিয়ে গেছিলাম...আমার এই অবস্থা দেইখা আমার একটা আম্রিকান বন্ধু ওর হাতে আমার চোখ ঢাইকা দিয়া মার্কেটের অন্য পাশে নিয়া যায় আর কয় "তোমার এই সব দেখোন লাগবো না
একই সমস্যায় পড়ছিলাম আম্রিকার নিউ ওরলেন্স শহরের ফ্রান্স কোয়ার্টার নামক জায়গাটায় গিয়া.....
কান ধরছি জীবনেও আর ঐমুখো হইমু না...
কল্পনা
.............................................................................................
সব মানুষ নিচের জন্য বাঁচেনা
এসব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্লগ লিখে ফেলেন না কেনো? মজার হবে নিশ্চই
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
এইখানেই "কল্পনা" চুপ...ভাইরে আমি খালি পড়তে পারি লেখতে তো পারিনা
তবে লেখতে পারলে ঠিকই মজার হইতো
কল্পনা
.............................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
পুরাটাই চাপা? তবুও পড়তে খারাপ লাগে নাই। যেমন অনেক সময় কারো চাপাবাজি শুনতে শুনতে মনে হয় হাচাই বুঝি।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
একেই বলে কন্ধুত্ব! এই রগরগে থাই লেডিবয় আর লেডিদের কথা বলে আপনি কাহিনী থেকে বন্ধুত্বের যে নির্যাস বের করে আনলেন, তা হয়তো একমাত্র আপনার পক্ষেই সম্ভব। সাবাস!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এমন মন্তব্য পেলে মনে হয়, না, লিখতে পারি। ধন্যবাদ তীরুদা।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
কিছু নয়, কিছু নয়, কিছু নয়। বলার কিছু নেই। মানে নির্বাক।
যেমন বন্ধু আনোয়ার সাদাত শিমুল, তেমন লেখার হাত অমিত আহমেদের।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
অমিত, কি যে চমৎকার লেখেন আপনি, রীতিমত বিরক্তিকর!!!
একই রকম মুগ্ধতা আপনার লেখা নিয়ে আমারও আছে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
খাইছে... আমি তো ভাবছিলাম হাচা কাহিনী...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইটা 'হাচা কাহিনী' না?!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাগ্যিস সত্যি না। মনটা ক্যামন জানি হয়ে গেছিল...
প্রথম অংশটা গরম গরম হইছে।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
- আমি তো আবার দূরের জিনিষ ভালো দেখি না। তয় বুঝছি ফটুকটাতে অযু মকরূহ হওনের উপযুক্ত কারণ আছে। একে হইলো বিধর্মী ভাষা তার উপর কী জানি লেখা। খালি বানান করতে পারতাছিনা দেইখা কইলাম না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বোধহয় ওখানে বেড়াল ছানা বিক্রি হয়।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
অসাধারণ।
তবে ঐ ছবির বিল্লি লেখাটা পড়েই গল্প পর্তে আসছিলাম।
জাঝা
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
(বেড়াল)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছবিটা দিয়া কিন্তু মহা ধরা খাইছেন ভাইয়া !
চাপার বিশ্বাসযোগ্যতা কমায়ে ফেলছেন বহুগুণে।
--------------------------------------------------------
তাইলে ঠিকাছে
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
"ব্যবহৃত ছবি: আমার/শিমুলের মুখ/অন্যান্য ছবি কেটেকুটে ফটোশপে বানানো।
এক্ষণে জানাইয়া রাখা উত্তম, ইহা একটি কাল্পনিক উপাখ্যান"
-ঠাকুর ঘরে কে রে -আমি কলা খাইনা........
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
হা হা! লেডিবয় এর কাহিনীটা সত্যি হওয়ার চান্স বেশি! তাইলে বাকিগুলোও হাছা লাগে! শিমুল এই কারনেই এখন খালি জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে থাকে!! হা হা! থাই মাইয়াডারে লাইগা পড়ানডা ফাডি যায় তার!
সিরিজের জন্য অমিতকে ১৫ তারা দেয়া হলো
ছবিটা একদম জোশিলা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বাপরে ... এইপর্বে বাইচা গেসি, আমার কোন গোপন কাহিনী ফাঁস হয় নাই।
ছবিতে লেখা পুসি, গল্পে খালি লেডিবয় ভর্তি, এই "উদ্বিগ্ন দ্বৈততার" কারণ কী?
হাঁটুপানির জলদস্যু
- তোর গোপন কাহিনী শুনলাম শিমুলের তত্বাবধানে আছে। বাঁচন নাইরে গোলাম হোসেন, আইতেয়াছে!
সেই কাহিনীর ধাক্কার চোটে দেখবি তোর জ্বর-কাশি-সর্দি কই ভাগছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে শিমুলের লগে যেইটায় গেছি সেইটাতে কোনো ঝামেলা আছিলো না-তো... সবই লেডি।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
অমিত আহমেদ কেনো আমার প্রিয় লেখক, সেটা আজ আরও স্পষ্ট হলো।
অমিতকে জাঝা। এবং ১ প্লেট মক্কা বিরিয়ানি।
এবং... আসিতেছে...কিছু একটা...।
কল্পনারতো কোন লিমিট নাই দেখি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সেরম হইছে অমিত ভাই। এক্কেরে সেরম!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
চাপা মারো? আসলে কী হৈছিল ঠিক্কৈরা কও....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বদ্দা, আপ্নিও বিশ্বাস করলেন না?
অবিশ্বাসী দের জন্য রয়েছে কঠিন...
নাহ, আমাকে আলাদা পোস্ট দিতেই হবে।
আরও ছবি সহ।
হ
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এইটা একটা কাল্পনিক উপাখ্যান, এক্ষণে না জানাইলেই উত্তম হইত, মনে কয়।
শেষ লাইন পড়ে কেমন আলুনে আলুনে লাগছে।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ইহা একটি কাল্পনিক কাহিনী ! আমি বিশ্বাস করিলাম না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কঙ্কি?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
কাটাকুটি ছবি এতো ভালো হলো কেমনে?
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
কে করেছে দেখতে হবে না?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
লেখা চমত্কার লাগলো!
বড় লেখকদের একটা বৈশিষ্ট্য হল তারা লেখার মাধ্যমে এক ধরনের 'চিন্তার ঘুনপোকা' ঢুকায় দেন, যার আনাগোনা পাঠকদের মাথায় চলতে থাকে লেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও। সত্যই কি গল্পটা কাল্পনিক? সত্যই কি উপরের ছবিটা ফটোশপে বানানো? সত্যই কি শিমূলের চাকরী গ্যাছে? ... মাথায় ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্ন গুলোর হাত থেকে পাঠকদের সম্ভবত মুক্তি নাই। কাহিনীর সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন - অমিত যে অনেক বড় লেখক তাতে কোন সন্দেহ নাই।
আমার কাছে গল্পের একটা ইন্টারপ্রেটেশন আছে। সম্ভবত অমিতের এই লেখাটা শিমূলের যোগ-সাজসে লেখা! স্লাইটলি কম্বাইন্ড এফোর্ট। নাও হইতে পারে অবশ্য - তবে এটা আমার অনুমান - ওই যে বলে না - 'এডুকেটেড গেস'। বিভিন্ন কারণে এই অনুমানটা আমার হয়েছে। কারণগুলো না হয় উহ্যই থাকুক আপাততঃ
অমিতকে আবারো ধন্যবাদ জানাই মাথার মধ্যে চিন্তার ঘুনপোকা তৈরি করার জন্য।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
অনেক ধন্যবাদ অভিজিৎ'দা। আমাকে কেউ লেখক বললেই সীনা টানটান হয়ে যায়। সেখনে বড় লেখক বললে কি হতে পারে বুঝতেই পারছেন
আর লেখার ব্যাপারে বলি, আপনার অনুমান ভুল। লেখাটি একান্তই আমার। শিমুলও অন্য সবার মতো সচলে এসে লেখা পড়েছে। ওকে এমনকি গল্পের প্লটটাও আগে জানাইনি। এ ধরণের লেখা আসলে আলোচনা করে লেখা যায় না। লিখলে প্রথম পড়ার যে ধাক্কাটা, সেটা আর থাকে না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
হুমম... আমার অনুমান তাইলে ভুল। বলছিলাম তো অনুমান ভুল হতে পারে।
কিন্তু আপ্নে থাই শব্দগুলা ঠিকঠাক মত লিখলেন কেমনে? শুধু শব্দ না - বাক্য শুদ্ধা লিখা দিতাছেন। থাইল্যান্ডে কয়েক দিনের জন্য গিয়ে ভাষা রপ্ত করে ফেলেছেন? এই যে লিখেন -
"রু মাই ওয়া যাই / সান ইয়া তাম হাই / ওয়ান ওয়াই…”
আমার মনে হয়েছিলো ২/৪ দিন থাইল্যান্ডে থেকে ভাষা রপ্ত করা যায় না। আপনি হয় আগে থেকেই থাই ভাষা কিছুটা হলেও জানতেন, না হয় শিমূলের সাহায্য নিয়েছেন। আমি দ্বিতীয়টা ধরে নিয়েছিলাম। আরো ছোট-খাট ব্যাপারেও এরকম মনে হয়েছে।
ধন্যবাদ আবারো।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
হা হা হা।
উত্তরটা অমিতই দিক।
তবে, আমি অভিজিৎদার লাইন কোট করি -
যে কোনো লেখার গ্রহণযোগ্যতা আমার কাছে অনেক বড়। হুট করে লিখে ফেলতে পারি না। অনেকটা সময় দেই। থাই ভাষা যা লিখেছি সবই শুদ্ধ। ব্যাপারটি আপনি ধরতে পেরেছেন জেনে মন ভালো হয়ে গেলো। থাই ভাষার জন্য পা ফেলতে হয়েছে থাই-ফোরামগুলোতে। ব্যাংককে আমি গিয়েছিলাম অনেক আগে বাবা-মা'র সাথে। সে সময় শহরের এতো রমরমা অবস্থাও ছিলো না, আমারও বাবা-মা'কে ছেড়ে একা ঘোরার মুরোদ ছিলো না। ব্যাংককের রাস্তা আর স্থানের যে বর্ণনা দিয়েছি তার জন্য ঢুঁ মারতে হয়েছে ট্যুরিজম ফোরাম আর সাইটগুলোতে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
হুমম... আপনি সত্যই বড় লেখক হয়ে গেছেন। জুলভার্ণ নাকি কথাও না গিয়েই যে কোন স্থানের নিখুঁত বর্ণনা দিতে পারতেন। শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যতেরও। উনি ১৯৬৩ সালে বসে বিংশ শতাব্দীর প্যারিসের বর্ণনা দিয়েছিলেন, যা আজকের প্যারিসের সাথে প্রায় পুরোটাই মিলে যায়। জুলভার্ণ তার 'আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ' বইটিতে যে সমস্ত জায়গার বর্ণনা দিয়েছিলেন, সেগুলো তখন সেরকমই ছিল। যখন জুল্ভার্ণের অনুরাগী পাঠকেরা জানতেন যে তার বইয়ে ভ্রমণের যে বর্ণনা থাকে তা পুরোটাই বানানো, তিনি কস্মিনকালেও সে জায়গাগুলোতে যাননি, তখন তারা বিস্ময়ে বোবা হয়ে যেত।
আজ অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়ে জুল্ভার্ণের কথা মনে হল। সত্যি! আপনি লেখার জন্য খাটতেও পারেন। থাই ভাষা রপ্ত করার জন্য থাই ফোরামেও ঢু মারছেন, এ থেকেই বোঝা যায় আপনার কথার মর্মার্থ - 'লেখার গ্রহণযোগ্যতা আমার কাছে অনেক বড়'।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
"ওয়ান নাইট ইন ব্যাংকক" নয়, "ফাইভ আওয়ার্স ইন ব্যাংকক"! তা-ও নাকি চাপা! দেখি, শিমুল কী লেখেন।
তয় লেখা জোশ হইসে। পইড়া শান্তি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এই ছেলেটার লেখার এক সমস্যা হলো পড়া শুরু করলে আর শেষ না করে পারা যায়না। লেখায় বেশ নাটকীয়তা থাকে যেটা আবার আগে থেকে গেস করাও যায়না। পাঠককে লেখার সাথে ধরে রাখার এক অদ্ভুত শক্তি আছে তার।
ভাই আপনি তো লজ্জায় ফেলে দিলেন।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- বস, ব্যাপার্না। লজ্জাই সুপুরুষের অলঙ্কার। বোরখার দাম কেমন ঐদিকে? নিনজা টাইপের একটা নিয়া নেন।
ইয়া হাবিবি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কিননের টাকা নাই। বোরখাওয়ালী কারও বোরখা খুলে নিলে কেমন হয়?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- আয়হায়, এও আমাকে শুনতে হলো? অমিত কিনা বিপরীত জেন্ডারের পরনের কাপড় খুলে নিতে চায়!
মহিব-রায়হান-জিহাদ কই গেলিরে বাবুরা, আমারে ধর!!!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চিৎকার না দিয়া দোয়া দেন। আপ্নের দোয়া পাইলে বোরখার দোকান সাজায়া বসবো...।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- তাইলে লন ডীল সাইন করি, বোরখা আপনের আর বোরখাওয়ালী আমার!- রাজী আছেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাহ! যে কোনো দ্বিপাক্ষিক ব্যাপারে আপনার নাক গলানোর অভ্যেসটা আর গেলো না। আচ্ছা ঠিকাছে যান। একটা শখ করছেন। যাচাই করে তবে আপনার দিকে চালান দিবো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- হৈ মিয়া, আপনেরে যাচাই করতে কইছি?
এইরকম কোনো দ্বি-ত্রি-চৌ পাক্ষিক উইন্ডজর চুক্তিতে তো সাইন করছি বইলা মনে হয় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনারে সব কৈতে হইবো? আমার একটা পবিত্র দায়িত্ব আছে না?
প্রেমিক দিলকা দাবী
হোয় লাল বুরকাওয়ালী
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- লা হাওলা ওয়ালা ক্কুয়াতা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জোস হইছে। সকালে পড়ছিলাম মন্তব্য করা হয় নাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নিবিড়, যুবরাজ, জুলিয়ান সিদ্দিকী, পলাশ দত্ত, নজরুল ইসলাম, ধুসর গোধূলি, রায়হান আবীর, শামীম, আহমেদুর রশীদ, রানা মেহের, হিমু, আনোয়ার সাদাত শিমুল, তানবীরা, রেনেট, সুমন চৌধুরী, মুজিব মেহদী, তুলিরেখা, সংসারে এক সন্ন্যাসী এবং এস এম মাহবুব মুর্শেদ আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সহৃদয় মন্তব্যের জন্য।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
এতক্ষণ হুহু কইরা হাসাইয়া কইলেন কাহিনী কাল্পনিক। না মানুম না। মানুম না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সময় থাকতে থাকতে মাইনা নাও। নাইলে আরেকটা সিরিজ নামাবো "মহিবের ও মহিবের ময়নাপাখিদের সাথে মালিতে মাতামাতি"
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আমি ভাল ছেলে। আমি এই লেখা পড়ি নাই। এটি একটি অশ্লীল(!) লেখা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
নাপাক মন্তব্যের জন্য সৌরভের দিকে পাঁক নিক্ষেপণ।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
হ, আমার তরফ থাইকাও এক বালতি, বিটে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন