এক
ছাদে উঠেই শিপনের মাথায় রক্ত উঠে যায়। ছাদের এক কোনায় রতন আর নিতু বসে আছে। নিতু বাগানবিলাস টবের কাছে রেলিং-এ উঠে বসেছে। আর রতন ওর পায়ের কাছে, পানির পাইপের উপরে। ও কয়েকদিন থেকেই লক্ষ্য করছে এই কাহিনী। নিতু ছাদে আসলেই কোথা থেকে যেনো রতন এসে উপস্থিত হয়।
শিপন যেনো কিছুই হয়নি এভাবে ওদের দিকে হেঁটে যায়। নিতু খুব ভাব দেখিয়ে বসে থাকে। ওর দিকে ফিরেও তাকায় না।
ওকে দেখে রতন মোটেও বিব্রত হয় না; বরং সবগুলো দাঁত বের করে দিয়ে বলে, “শিপইন্যা রে…! আইছস?”
শিপনের ইচ্ছে করে চড় দিয়ে হারামজাদার সব দাঁত ফেলে দিতে। “শিপইন্যা” কী ধরণের ডাক? তাও এমন না সে ওর খুব জিগরী দোস্ত। দু’জনেই কলেজে প্রথমবর্ষে পড়ে। একই অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং-এ থাকে। বিকেলে পাশের গলিতে মাঝে মাঝে একসাথে ক্রিকেট খেলা হয়। পরিচয় বলতে এই-টুকুই। ওকে “শিপইন্যা” ডাকার অধিকার কে দিয়েছে?
শিপন অবশ্য রাগ দেখায় না। খুব স্মার্টলি হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে, “এইতো! হোয়াজ্জাপ?”
রতন শিপনকে আরো রাগিয়ে দিয়ে হ্যান্ডশেকের ধারে কাছেও যায় না। বরং ওর বাড়ানো হাতে ভর করে উঠে দাঁড়ায়। বলে, “বুঝলি, তুই যে কেমন ডেডিকেটেড প্লেয়ার সেই কথাই নিতুকে বলতেছিলাম…”
শিপনের মন ভালো হয়ে যায়। নাহ! পোলাটা লুজ হলেও ফাউল না। গতকাল ওলিপাড়ার ছেলেদের সাথে বাজীর খেলায় ও আসলেই দুর্দান্ত খেলেছে। দল হেরেছে, ম্যান অব দ্যা ম্যাচও অন্য দলের, তবে ওর ২৫ বলে ৩১ রানের কথা সবাই খুব বলাবলি করেছে।
“ওই যে তুই ফিল্ডিং করার সময় বল ধরতে গিয়া এক পা ড্রেনে ফালায়া দিলি? অন্য কেউ হইলে এইটা করতো বল? ভাই তুই যে একখান ফাইট দিলি! এরপরে মনে নাই? ওই যে তুই ডিরেক্ট থ্রো করতে গিয়ে শাহীন ভাইয়ের গালে বোম্বাস্টিক মারলি?”
নিতু রতনের কথা শুনে খিলখিলিয়ে করে হেসে ওঠে। শিপনের মাথা দপদপ করে। রতনের বাচ্চা তো মনে হয় নিতুকে কাহিনী বলে দিয়েছে। এখন কতটুকু, কিভাবে বলেছে সেটাই দেখার বিষয়।
গতকাল শাহীন ভাইয়ের সাথে একটা হাঙ্গামা হয়েছে। পাড়াতো বড় ভাই শাহীন ছিলেন অ্যাম্পায়ার। সে বল ধরে ডিরেক্ট থ্রো করেছে আর সেটা গিয়ে লেগেছে শাহীন ভাইয়ের গালে।
উনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। বল গেছে শর্ট মিড অফে ফিল্ডারের হাতে, ব্যাটসম্যান কেউই রান নেয়ার চেষ্টা করছে না। ডিরেক্ট থ্রো করার কোনো কারণ নাই। আর শিপনও হাতে বল তুলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই শিপনই যে এভাবে হঠাৎ কাউকে বুঝতে না দিয়েই বেমক্কা বল থ্রো করে ফেলবে তা কেউ ভাবেনি। হঠাৎ গালে চটাশ শব্দে বল বাজায় উনি খুবই রেগে গেলেন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিপন দেখে শাহীন ভাই ওর চুলের মুঠি ধরে হেঁচড়ে মাটিতে শুইয়ে ফেলেছে। এর বেশি কিছু হবার আগেই সবাই এসে ঘটনা সামলায়।
ব্যাপারটা এমনিতেই ভালো ছিলো না। এইসব পাড়াতো খেলায় বড় আপারা আসেন। ছোটো বাচ্চারা আসে। মাঠের পাশের বারান্দা জানালায় মেয়ে-টেয়ে থাকে। ঘটনা ঘটে যাবার পরে অবশ্য শিপন ঘটনা ট্যাকল দেয়ার একটা চেষ্টা করেছে। ভাব দেখিয়েছে সে আর খেলবে না। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। তখন অনেকে এসেই ওকে থামিয়েছে, বোঝানোর চেষ্টা করেছে - সেও ভাব দেখিয়েছে সবাই এভাবে বললো দেখেই কেবল - তা না হলে সে একটা কিছু করেই ফেলতো।
রতন হারামজাদা নিতুকে ওর মারকুটে ৩১ রানের কথা না বলে শাহীন ভাইয়ের কথা বলেছে।
নিতুর হাসি দেখে রতন মনে হয় উৎসাহ পায়। খুব আনন্দ নিয়ে বলে, “শাহীন ভাই বুঝলা নিতু…”
শিপন তাড়াতাড়ি করে বাঁধা দেয়, “রতইন্যা, তুই নাকি কাশেম মামার দোকান থেকে কী একটা ডিভিডি আনছস? ফেরত দেস না বলে? মামায় তো হাতে হারিকেন নিয়া তোরে খুঁজতেছে!”
কাশেম মামার ভিডিও দোকান থেকেই ওরা ডিভিডি-টিভিডি নেয়। আন্দাজে বলা কথাতেই জাদুর মতো কাজ হয়। রতনের মুখের হাসি দপ করে নিভে যায়। ও আড়চোখে নিতুর দিতে তাকিয়ে বলে, “ওহ। ওই “বিউটিফুল মাইন্ড” সিনেমাটা। কী স্টোরি তাই না রে দোস্ত? বারবার দেখা যায়।”
“ও! কিন্তু আমাকে তো কাশেম মামা কইলো…”
“আরে বস না… দাঁড়ায়ে আছিস কেনো? বস। কালকে ব্যাটা তুই যে পিটাইলি! বুঝলা নিতু, আমরা সবাই কই আরে এইটা কি আমাদের শিপইন্যা? নাকি জয়সুরিয়া? আরে খাড়ায়া রইলি ক্যান? বস, বস না দোস্ত!” রতন আকুলতা নিয়ে শিপনের দিকে তাকায়।
শিপনের খুব ভালো লাগে। ও স্মিত হেসে বলে, “দোস্ত এক কাম কর, কাশেম মামাকে সিডিটা দিয়ে আয়। হট সিনেমা তো… বুঝিস না? ডিমান্ড বেশি! অনেকেই চায়…”
“হ যাই!” খেলায় হেরে গেছে বুঝতে পেরে রতন খুব হতাশা নিয়ে নিতুর দিকে তাকায়, “নিতু যাই বুঝলা? নতুন একটা সিনেমার ডিভিডি প্রিন্ট আসছে শুনলাম। “নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন।” দেখছো? ওইটাও আনতে হবে।”
“আচ্ছা কাশেম ভাইয়াকে জিজ্ঞাস করো তো “রাবনে বানাদি জোড়ি” সিনেমাটা এসেছে নাকি?”
“ওহ শিওর। শিওর নিতু!” রতনের মুখের হাসি ফিরে আসে। যাক, শেষ মুহূর্তে একটা ভালো কাজ হলো। এই অজুহাতে আজ রাতে নিতুকে কল দেয়া যাবে। রতন শিপনের দিকে ঘুরে বলে, “যাইগা তাইলে। বিকালে আসবি তো খেলতে?”
“আসুম।”
রতন একটা হিন্দি গানের কলি ভাঁজতে ভাঁজতে চলে যায়।
শিপন চোখ-মুখ লাল করে নিতুর দিকে তাকায়, “ওই ফাউল পোলাটা কী করে তোমার সাথে? ছাদে কী করে ও?”
নিতু পাত্তাই দেয় না। অবহেলা ভরে তাকিয়ে বলে, “তুমি কী করো? তোমাকে কে আসতে বলেছে? তুমি আসো কেনো?”
শিপনের মনে হয় নিতু ওর বুকে চাক্কু মেরে দিলো। ও খুব হতাশা বলে, “কেউ বলে নাই? তুমি চাও না আমি আসি?”
“আমার চাওয়ার কী আছে? একই অ্যাপার্টমেন্টে আমি থাকি, তুমি থাকো, রতনও থাকে। যার ইচ্ছে হয় ছাদে আসবে। আমি বলার কে?”
শিপনের খুব রাগ লাগে। এই গত পরশুই নিতু বলেছে ছাদে ওর একা ভালো লাগে না। শিপন আসলে বেশ ভালো সময় কাটে। এখন সে হুদা পাট নিচ্ছে। রতনের কি কোনো হাত আছে এর পিছনে? তবে এখন ব্যাপারটা ট্যাক্টফুলি হ্যান্ডল করতে হবে। একদম রাগ দেখানো চলবে না। রাগ দেখালে নিতু যদি বলে “তুমি আর ছাদে আসবে না” তাহলে ঝামেলা হয়ে যাবে।
শিপন হাসির মতো একটা ভাব করে, “আরে আমি কি তাই বললাম নাকি? আমি জাস্ট একটু অবাক হইলাম আর কী। মানে রতনের মতো ফাউলের ফাউল তুমি ছাদে আসলেই খবর পায় ক্যামনে? মানে একটা কৌতুহল আর কী। আর তো কিছু না। তুমি খামাখাই রাগ করলা।”
নিতু বলে, “তোমার ভাষা এতো বাজে কেনো? “ফাউলের ফাউল” কেমন কথা? তুমি আমার সামনে এসব একদম বলবে না।”
শিপনের রাগ মনটা খুব নরম হয়ে যায়। আহারে! কী মিষ্টি করে বললো “আমার সামনে আর বলবে না।”
শিপন আদুরে গলায় ঠোঁট গোল করে শীষ দেবার মতো করে “জান” বলে ডাকবে না “নিতু” বলে তা ঠিক করার আগেই অজান্তে ডেকে ফেলে, “ঠিকাছে জাতু!”
“কী? কী বলে ডাকলে তুমি?”
শিপন হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
দুই
© অমিত আহমেদ
(হিমু ভাইয়ের নিজ হাতে বানানো চা পান কর্তে চল্লাম।)
মন্তব্য
সচলায়তনে সকল ধরনের চা পান ব্যান করা হোক্...
পোস্টটা জমতেছিল ভালই...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
চা পান ব্যান করে সুরাপান বাধ্যতামূলক করা হোক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দারুন লাগছিল তো, এমন সময় চা খাইতে না গেলেই কী হতো না!
এখন থেকে- যেসব গল্পের মাঝে চা-পানের বিরতি থাকবে, সেগুলোর ক্যাটেগরীতে উল্লেখ করে দেয়া হোক!
ই-বই এর কাজ কর্তেছি। ওটা শেষ হলেই এটাতে টান দেবো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
হা হা হা... আপনেও চা পান করতে জাপানে গেলেন? ভালো...
গল্প ভালো লাগলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নাহ সবাই খালি ঝুলায়ে রাখে
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এখানে শেষ না করলে কি হইত? ভালোই জমতেছিলো
এইটা ঠিক হইল না অমিত ভাই । ভাল গল্প লিখেন বলে যখন তখন চা পান করতে চলে যাবেন - এরকম কোন কথা নাই ।
সবাই খালি ঝুলাচ্ছে । ঝুলতে ঝুলতে তো লম্বা হয়ে যাব !
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হেহ হেহ, চালাক হয়ে গেছি। আগেই লেখার নিচে নেমেছি। "চা" শব্দটা দেখেই যা বোঝার বুঝে গেছি। গল্পকাররাও উকিল হয়ে গেছে আজকাল।
চা পানের অধিকার একান্ত আমার উপর ন্যাস্ত হোক। আমি বাদে সবার জন্য লেখার মাঝখানে চা খাওয়ার ওপর ১৪৪ ধারা জারি করা হোক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
নাহ আর পারা যায়না... আমিও কইলাম এরপর থেইকা চা মারুম!
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
নাজ ম্যারেজ মিডিয়ার গল্প শুরু করে চা খেতে গেলাম। চা খেয়ে বিল দিতে গিয়ে দেখি পকেটে টাকা নাই। পাশেই আমার প্রকাশকের অফিস। বললাম, চায়ের বিলটা দেন, আমি যাই - ফারজানা নাজনীনের গল্পটা শেষ করে আসি। প্রকাশক বলে, 'তুই এই গল্প ব্লগে পুরাটা দিলে তোর বইই বের করবো না'।
এর পরে থেকে আমি আর গল্প শুরু করে চা খেতে যাই না।
অমিত আহমেদের গল্প পড়ার জন্য আকুল হয়ে আছি।
তোরে তো দেখি ভালোই চায়ের নেশায় পাইছে। ডেইলি কয় পেগ চা খাস?
চানাচুর গল্পে আবার চাও খেতে হয়?
অসহ্য
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
- ভাগ্য ভালো গল্পে এখনো মধ্যাহ্ন বিরতির সিসটেম চালু হয় নাই। চা-বিরতিতেই যদি এতো সময় লাগে তাইলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে তো নাতি-নাতনীর লাইফলাইনও কাবার হয়ে যাবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চায়ে কেউ জুলাব মিশাইয়া দেয় না কেন? একবার চা খাইব... এরপর আর যৌবনেও থুক্কু জেবনেও চা খাইবো না লোটা বদনা লইয়া দোড়াদৌড়ি করার ডরে।
-----------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এখন থিকা গল্প পড়া শুরু করার আগে নিচে দেইখা নেওয়া মাশট
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
চা খেতে চীনদেশে গেলে ক্যাম্নেকি???
এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
জাতুটা দারুন হয়েছে। ছেলেরা এত্তো বেক্কলের মতোন করে ক্যান কে জানে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ওই ফাউলের ফাউল রতইন্যা'র কথা আরো শুনতে মন চাইছিলো।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সবাইকে ধন্যবাদ।
চা পান নিষিদ্ধ কর্লে তো আমাদের উপায় নাই আর। চায়ের নেশায় যা একটু লিখতাম তাও বন্ধ হয়ে যাবে
রাজিব আর সন্ন্যাসী'দার আইডিয়া খারাপ না। চায়ের বদলে মদ্যপানেও মন্দ হয় না। অন্যদিকে দৃশার আইডিয়াতে প্রবল ভাবে আপত্তি জানাই।
আচ্ছা আপনাদের কাছে একটা পরামর্শ চাই। সাইজে বড় গল্প কি সিরিজ হিসেবে দিলে ভালো নাকি সব লিখে একসাথে?
সবাইকে আবার চানাচুর ধন্যবাদ
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন