অতিরঞ্জিত উইন্ডজর ভ্রমনাংশ

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৭/২০০৯ - ১২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কফির কেচ্ছা
প্রথমদিন আমি খুব স্নেহ নিয়ে বললাম, "বলতো ভাইয়া, এখন কে আমার জন্য কফি বানাবে?"
কিংকং ও বিপ্র একসাথে হাত তুলে বেশ উত্তেজনা নিয়ে, "এই যে ভাইয়া। আমি... আমি!!"
দ্বিতীয়দিন, "বলতো ভাইয়া, এখন কে কফি বানাবে?"
বিপ্র খুব অনিচ্ছা নিয়ে, "আচ্ছা আমিই বানাই!"
তৃতীয়দিন আবার, "বলতো ভাইয়া, এখন কে আমার জন্য কফি বানাবে?"
কিংকং ও বিপ্র একসাথে, "আপনিই বানান। আর আমাদের জন্যও দুই কাপ আইনেন।"

ঘুম ঘুম কেনো আজ আমার?
দ্বিতীয়দিনেও কিংকং এর ঘুম ভাঙানো যাচ্ছে না। সবাই গিয়ে চেষ্টা করে এসেছে। আমাদের ব্যর্থতা দেখে শিমুল খুব কষ্ট করে অনেক সময় নিয়ে সোফা থেকে উঠে দাঁড়ায়। আড়মোড়া ভেঙে বলে, "এসব কাজ হলো আসল বড় ভাইয়ের বুঝলা? এক্ষণি ওকে নিয়ে আসতেছি। দেখে শেখো এইসব।" পাশের কামরা থেকে হঠাৎ শিমুলের জলদ কন্ঠ শুনে আমরা সবাই চমকে যাই, "কিংকং! আরে এই কিংকং। আরে দুপুর হয়ে গেছে তো। সবাই তৈয়ার হয়ে বসে আছে। ওঠো ওঠো..." একটু পরে শিমুল এসে মন খারাপ গলায় বলে, "কিংকং মনে হয় মাইন্ড করে বসলো বুঝলা। ঘুমের মাঝে হঠাৎ আমি গিয়ে চিৎকার দিয়েছি। সে গেছে চমকে..."

হালিম আর হালুম
প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই সকালে নাস্তা দিচ্ছেন। আমি শিমুল আর বিপ্র বসেছি। কিংকংকে তখনো ঘুম থেকে ওঠানো যায়নি। আমরা নাস্তা করছি। এর ফাঁকে দেখি প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই কি খুটখাট করছেন। শিমুল জিগায়, "পিপি'দা কী করেন?"
"এই হালিম করেছিলাম তো তোমাদের জন্য, সেটা গরম করছি।"
শিমুল উত্তেজিত হয়ে, "আরে না না। রাখেন তো। এখন লাগবে না। কেনো এতো ঝামেলা করেন? এমনিতেই তো অনেক নাস্তা করেছি।"
বিপ্র, "ঠিকই ভাইয়া। আমরা বরং পরে হালিম খাই। রাত্রে ফিরে।"
আমি, "ওস্তাদ, আপনি গরম করেন তো। গরম করেন। ওদের দরকার নাই। আমি খাবো।"
আমার কথায় শিমুল ও বিপ্র খুব আপত্তি জানায়।

পাঁচ মিনিট পরে দেখা যায় বিপ্র খুব আগ্রহ নিয়ে হালিমের জন্য পেয়াজ ভাঁজছে। আর শিমুল একাই তিন বাটি হালিম সাঁটাচ্ছে।

শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?
প্রথম দিন একসাথে সবাই বসে আছি। প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই দুম করে বের করেন তাঁর ক্যামেরা। নীল তিমির মতো আকার। অ্যানাকোন্ডার মতো লেন্স। নানান রকমের তার-সূতা। তাঁকে দেখে কিংকংও আর দেরি করে না। বের করে ওর হাঙর সদৃশ ক্যামেরা। হাতির শুঁড়ের মতো লেন্স। শিমুল-বিপ্রও বসে থাকে না। ওয়েস্টার্ন সিনেমার মতো নায়কদের মতো এখন ওখান থেকে হুট-হাট দামী ডিজিটাল ক্যামেরা বের হয়ে যায়। অপটিকাল লেন্স ওঠানামার হিশহিশে আওয়াজ শোনা যায়। এবার সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি শুকনা গলায় বলি, "আমি বুঝলেন আগে একটু হাত পাকিয়ে তারপরে কেনায় বিশ্বাস করি। মানে অনেক দাম তো... আর ধরেন..."

বিপ্র, ভাইয়া...
ফেরির ছাদে বসে আড্ডা মারছি সবাই। শিমুল পাড়ার মাস্তান বড় ভাইয়ের মতো লোহার বেঞ্চে পায়ের উপর পা তুলে শুয়ে আছে। বিপ্র কথা বলে কম। চুপচাপ বসে শোনে শুধু। তো হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে শিমুল খুব পাটে জিজ্ঞেস করে, "কী বিপ্র ভাইয়া? সব ভালো তো?"

ভিনাস ফ্লাইট্র্যাপ
দ্বীপে গিয়েই আমি আর কিংকং সাইকেল ভাড়া করে নিলাম। এরপরে সারা দ্বীপে, জঙ্গলে চরকিবাজী। এর মাঝে একটা জংলা ফুল দেখে আমি সাইকেল থামাই। উত্তেজনা নিয়ে বলি, "কিংকং, এটা ভিনাস ফ্ল্যাইট্রাপ না? দেখছো?"
কিংকং খুব উত্তেজনা নিয়ে ওর ক্যামেরা বের করে, "কই ভাইয়া? কই?"
আমি আঙুল তুলে একটা জংলা গাছ ভর্তি ফুল দেখাই। ফুল ধরতে গেলে কিংকং সতর্ক গলায় বলে, "দেইখেন আঙুল খায়া ফেলবে আবার!" আমি ভয়ার্ত ভাবে হাত সরিয়ে নেই। অসংখ্য ছবি তোলা হয়।
কিংকং মুগ্ধ গলায় বলে, "চিনলেন ক্যামনে?"
আমি খুব পাট নিয়ে বলি, "শুধু সাইকেল চালাইলে হবে? চোখ-কানও খোলা রাখতে হয় বুঝলা!"

পরে প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই মারফত জানা যাই উহা ভিনাস ফ্ল্যাইট্র্যাপের ধারে কাছের কোনো বংশ না।

সিকিউরিটি
প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই আমাদের আগেই ইমেইল করে তাঁর রাউটারের সিকিউরিটি কী দিয়ে দিয়েছিলেন যাতে তাঁর বাসায় গিয়েই আমরা পুরোদমে ব্লগিং করতে পারি। কিন্তু বাসায় পৌঁছে দেখা গেলো সেটা কেউই সেভ করে নাই। আমি সবাইকে খুব ঝাড়ি দেই, "এসব কী? এটা কোনো কথা? প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই ইমেইল তো একটা কারণে করেছিলেন নাকি?" সবাই মন খারাপ করে। কিংকং-এর লিখে দেয়া একটা কাগজের টুকরো দেখে বিমর্ষ মুখে ল্যাপটপে কী টোকে। ওদের শেষ হলে আমি আমার ল্যাপটপ চালু করে মিহি গলায় ডাকি, "হেই শিমুল। কাগজটা একটু এদিকে পাস করো তো!"

মেনেছি গো, হার মেনেছি
দ্বিতীয় দিনে ধুম আড্ডা হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে শিমুলের ঘুম পেয়েছে। আবার আড্ডাও ছাড়তে পারছে না। তাই সে খুব মমতা দেখিয়ে বলে, "বিপ্র ভাইয়া, ঘুম পেয়েছে? না?" বিপ্র সেই কথায় কানই দেয় না। শিমুল আবার বলে, “কিংকং, যাও ভাই। ঘুমিয়ে পড়ো। কালকে সকালে উঠে শহর ঘুরতে বেরুবো না?” কিংকং মনে হয় খেয়ালও করে না। শিমুল আমাকে বলে, “বুঝলা অমিত, সারাদিন দ্বীপে ঘুরে সবাই খুব ক্লান্ত। ঘুম দিলে কালকের জন্য একদম ফ্রেশ হয়ে যাবো সবাই।” আমি শিমুলের কথায় কান না দিয়ে কিংকং এর বলা কোনো কৌতুকে খ্যাখ্যা করে হাসি। একটু পরে দেখা যায় ব্যর্থ চেষ্টা ভঙ্গ দিয়ে শিমুল আড্ডার মাঝেই উলটো হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।

আমি বাংলায় কথা
বাসে উঠে আমি আর কিংকং বাসের সবাইকে নিয়ে গবেষণা শুরু করি। ব্লগ ব্যক্তিগত জীবন চিন্তা চেতনা নিয়েও কথা হয়। কেউ যেনো বুঝতে না পারে এজন্য আমরা খুব সতর্ক ভাবে বাছাই বাংলা শব্দেই কেবল আলাপ সারি। তিন ঘন্টা পরে লন্ডনে বাস থামলে পেছনের সিটের ভদ্রলোক, যাকে আমরা "টাকলা" বলে সম্বোধন করে এসেছি, শুদ্ধ বাংলায় বলেন, "ভাই আপনাদের আলোচনা শুনে খুব আনন্দ পেয়েছি।"

© অমিত আহমেদ


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পেছনের সিটের ভদ্রলোক, যাকে আমরা "টাকলা" বলে সম্বোধন করে এসেছি, শুদ্ধ বাংলায় বলেন, "ভাই আপনাদের আলোচনা শুনে খুব আনন্দ পেয়েছি।"
হো হো হো

ফেরীর ছাদে শিমুল আর বিপ্রর আরো কথোপকোথন ছিল--
শিমুল বলছে, "বিপ্র, ভাইয়া তিনটি পোস্ট পাঠিয়েছ তো, আমার পোস্টগুলো একটু দেখ, কেমন?"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অমিত আহমেদ এর ছবি

বস, আপনারাও এখানে কন্ট্রিবিউট করেন। আরো টুকরো ঘটনা আসুক।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

বিপ্রতীপ এর ছবি

ভাবছিলাম এই পোস্টখান প্রিন্ট করে রেখে পরে পড়বো... হো হো হো
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

নুড়ি এর ছবি

খাসা হইছে।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ নুড়ি।
তিনটে দিনই এভাবে হাসি-ঠাট্টায় কেটে গেছে।
এক মুহূর্তের জন্যও বোর হইনি।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

বিপ্রতীপ এর ছবি

আহা! এই চমৎকার তিনখান দিনের রেশ সহজে কাটবে না আমাদের কারো...

আড্ডার মাঝখানে শিমুলভাইয়ের ঘুমের ছবিটা যা হইছে না... দেঁতো হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ছবি দেয়াদেয়ি বন্ধ, বিপ্র!

বিপ্রতীপ এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এখনো সেই বড়ভাইগিরি চলছে হাসি "বিপ্র, বড়দের ছবি পোস্ট করার আগে জিজ্ঞেস করতে হয়, জানোতো?" হা হা ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

আমি ধু.গো-র চাইতে নিদেনপক্ষে এক বছরের বড়। আমিও চাই ফটুক সাঁটানো হোক!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ছুড়ু-বড় বুঝি না; ফটুক চাই! ফটুক চাই!! (বেড়াল)
---
লেখায় -মানিক-


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মামুন হক এর ছবি

আমিও ফটুক চাই!!! দিতে হবে!!

টুম-সোল[অতিথী] এর ছবি

ফটুক চাই!!! ফটুক না দিলে কাল থেইক্কা হরতাল, মানি না মানবো না!!!

রেনেট এর ছবি

হাহাহাহাহাহাহা গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চ্রম মজা হইসে চলুক
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বিপ্র, ভাইয়া! শরীর এখন কেমন?
চোখের হলুদ-জন্ডিস ভাব কমেছে? ভাইরে বিদেশের জীবন বড়োই কষ্টের। অসুখ বিসুখ হলে দেখারও লোক নাই...
নিজের যত্ন নিজেকেই নিতে হয়। আখের রসে আর কতোটুকুই বা জন্ডিস সারে? ভালো থাইকো...

বিপ্রতীপ এর ছবি

একটা মজার কাহিনী মনে পড়লো...

শুক্রবার রাতে অমিতভাই আর কিংকংকে আনতে পিপিদা, আমি আর শিমুলভাই গ্রেহাউন্ড বাসস্টপে। পিপিদা বিনয়ের সাথে বললেন, বড় গাড়িটা আনলে ভালো হতো...এখন পেছনে একটু চাপাচাপি করে বসা লাগবে। কিংকং দ্বিগুণ বিনয়ের সাথে বললো, না ভাইয়া এইটা কোন সমস্যা না...ঢাকায় আমরা কত গাদাগাদি করে পেছনে চার-পাঁচজন বসতাম। তারপর সবার আগে সামনে চালকের পাশের সিটখান দখল করলো কিংকু... দেঁতো হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

অমিত আহমেদ এর ছবি

হা হা হা
এইটা বলা দর্কার ছিলো। লেখার সময় একদম মনে পড়ে নাই।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কিংকং যখন দড়াম দড়াম করে গাড়ীর দরজা বন্ধ করছিল তখন যেন আমার হৃদয়েই হিট লাগছিল, মনে মনে ভাবছিলাম ইশ কেন যে গরিলাটা সামনে বসছে, বিপ্রই ভালো ছিল চোখ টিপি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এই জন্যই পরের ২ দিন আমি সামনের সীট ছাড়ি নাই চোখ টিপি

নিবিড় এর ছবি

মজা পেলাম হাসি
এত এত ক্যামেরার গল্প শুনলাম, কেও ফটুক তুলে নাই মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ওনার অনুমতি পেলে আরো ছবি দিতে পারি।

অমিত আহমেদ এর ছবি
সাইফ তাহসিন এর ছবি

হাহাপগে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেনেট এর ছবি

যাই, কুইজে অংশগ্রহন করে আসি দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হে হে, আগামী বছরের জন্য রেজিঃ করেন... ঃ)

বিপ্রতীপ এর ছবি

টাইম শ্যাষ...কুইজে ইতোমধ্যে মা মু ভাই ফাস্ট হইছেন ...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

দ্রোহী এর ছবি

আমি কিন্তু উত্তরগুলা জানতাম। ইচ্ছা কইরাই দেই নাই। বিশ্বাস না হইলে দ্যাখেন আমি ওখানে লিখেছি মামু ফার্স্ট হবে।

অমিত আহমেদ এর ছবি

এখন আর লাভ নাই রেনেট মিয়া। সর্বাধিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে sm3 ভাই ইতিমধ্যে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। দেঁতো হাসি এর'চে বরং তুমি sm3 ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করো। উনার দিলে দয়া হলে ছবি তোমাকে দেখাইলেও দেখাইতে পারেন। চোখ টিপি


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

হিমু এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জট্টিল!! আপনারা যদি একটু কষ্ট করে আমেরিকার ভেতর কিছু করতেন... মন খারাপ এপাড়ের লোকজন এত ছড়ানো-ছেটানো...

আমি কিন্তু ভিনাস ফ্লাইট্র্যাপ বলতে অন্য কিছু বুঝি। আমি দুধের মাছি, ভিনাস একজন অনন্য দেবী। বাকিটা বুঝে নিন। চোখ টিপি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমরাও কিন্তু মোটামুটি ছড়ানো-ছিটানোই ছিলাম। ভাগ্যক্রমে কাছাকাছি হয়েছিলাম। শিমুল আর অমিত থাকে কাছাকাছি, আমি থাকি তাদের ৪০০কিমি দূরে। কিংকং আর বিপ্র থাকতো ধরাছোঁয়ার বাইরে, সৌভাগ্য ওদের এখানে টেনে এনেছে। বিপ্র এসেছে ইউনিভার্সিটি বদল করে, আর কিংকং এসেছে কো-অপ নিয়ে (তাইনা?)।

আপনারা আমেরিকাতে কিছু করলে আমাকে খবর দিয়েন, সুযোগ হলে যেতেও পারি। বাকীরা মনে হয় যেতে পারবেনা।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমেরিকায় তো কিছু করার কথা শুধুই শুনি। আমার সাথে এখনও পর্যন্ত দ্রোহী মেম্বর আর হযু ভাইয়ের দেখা হয়েছে শুধু। হতাশা দূর করতে আমি আমার আশে-পাশের লোকজনকে সচলে রিক্রুট করা শুরু করেছি বলতে পারেন। খাইছে

সচল সম্মেলন করার মত সম্ভাব্য কিছু জায়গা আছেঃ

ডিসি
নিউ ইয়র্ক
অ্যাটলান্টা
ডালাস/হিউস্টন

ক্যালিফোর্নিয়ার কোথাও যাওয়া অধমের জন্য দুষ্কর হওয়ায় ওগুলো বাদ। চোখ টিপি

কানাডা থেকে আসতে সুবিধা হলে ডেট্রয়েট/ক্লিভল্যান্ড'ও আসতে পারে।

আফসোস... দ্রোহী মেম্বর চলে যাচ্ছেন... নয়তো ভাবিকে এবার সত্যি সত্যি গিয়ানজাম দিতাম একটু। দেঁতো হাসি

তানভীর এর ছবি

আমি ডিসি থাকব জুলাই ২০-২৩। আছেন কোন ভাই-বেরাদর ঐ সময় যাচ্ছেন?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার এখান থেকে ডিসি ৯০০ কিমি-এর উপরে। তবে ট্রাই মেরে দেখতে পারি, মন্দ হয়না।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

স্নিগ্ধা আপু আছেন। উইক ডে হয়ে একটু ভেজাল হয়ে গেলো। আমি তার এক সপ্তাহ আগেই কলাম্বিয়া যাবো। তবু চেষ্টা করে দেখা যায়। অগাস্টের আগে কিছু করলে দ্রোহী দম্পতিকে ধরে-বেঁধে নিয়ে আসা যায় আর কি। চোখ টিপি

দ্রোহী এর ছবি

আগস্টের ২০-২২ তারিখ আমি ক্যালিফোর্নিয়া শহরের ভেতরেই থাকবো। দেখি তখন যদি অমিতকে পাওয়া যায়। ক্যালিফোর্নিয়াতে আর কেউ থাকলে আওয়াজ দিয়েন।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আম্রিকাতে কিন্তু করতেই পারেন আপনারা। দারুন হবে। আমি আগামী বছর আম্রিকা ভ্রমনে বেরুবো। তখন একে একে সবাইকে হানা দেবার ইচ্ছা।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------
কালো যদি মন্দ তবে
কেশ পাকিলে কান্দ কেনে?

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অমিত আহমেদ এর ছবি
তানবীরা এর ছবি

যাকে আমরা "টাকলা" বলে সম্বোধন করে এসেছি, শুদ্ধ বাংলায় বলেন, "ভাই আপনাদের আলোচনা শুনে খুব আনন্দ পেয়েছি।"
ইহা কেনো বার বার ঘুরে ঘুরে সবার সাথে হয়।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তানবীরা এর ছবি

যাকে আমরা "টাকলা" বলে সম্বোধন করে এসেছি, শুদ্ধ বাংলায় বলেন, "ভাই আপনাদের আলোচনা শুনে খুব আনন্দ পেয়েছি।"
ইহা কেনো বার বার ঘুরে ঘুরে সবার সাথে হয়।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অমিত আহমেদ এর ছবি

আর বইলেন না। এইটা একটা ট্রাজেডিরে ভাই মন খারাপ


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার পোস্ট। অনেকদিন পর অমিত মিয়া কিছু লিখলো!!!

অমিত আহমেদ এর ছবি

থ্যাংকস দ্রোহী ভাই।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হুমম...সত্যিই খুব ভালো লেখা। অমিতকে আমিও খুব মিস করি। মন খারাপ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ভুতুম এর ছবি

হেহেহে। মজা পাইলাম অনেক।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অমিত আহমেদ এর ছবি
কীর্তিনাশা এর ছবি

মজা পাইলাম ব্যাপক মজা পাইলাম দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কনফুসিয়াস এর ছবি

বিয়াপক বিনোদন পাইলাম পড়ে। হাসি
সেই সাথে বিয়াপক হিংসিত! মন খারাপ

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শামীম এর ছবি

দেঁতো হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মাজহারুল এর ছবি

অনেক দিন থাইকাই আপনেগ ব্লগ পড়ি......কোনো সমে মন্তব্য দেই নাই......আছকা খুবই মজা পাইছি.........সবাইরে শুভেচ্ছা......অমিত ভাইরে তালি......।

রানা মেহের এর ছবি

হিংসায় জ্বলে পুড়ে..... মন খারাপ

অমিত সাহেব লিখে ধন্য করলেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ফাটাফাটি হইসে।
----------------------------

--------------------------------------------------------

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অনেকদিন, অনেকদিন পর লিখলেন, অমিত।
তুমুল লেখা। খুব্বি মজা পেলাম পড়ে, ভাইয়া চোখ টিপি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সিরাত এর ছবি

লাস্টেরটা পাগলা ছিল!

দময়ন্তী এর ছবি

ব্যপক মজা পেলাম৷ দেঁতো হাসি
----------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আমি দুই একটা যোগ করিঃ

১ ...
শিমুল ভাইয়ের মধ্যে খানিকটা বাদুড় বাদুড় ভাব আছে ... তিনি কার্পেটে শুয়ে সোফায় পা তুলে ঘুমান ...

২ ...
অমিত ভাই আর শিমুল ভাই একসাথে ঘুমাইছিলেন [নিষ্পাপ অর্থে, দুষ্টু কথা মনে করে ফায়দা নাই] ... সকালে বিপ্র বললো উনারা নাকি সারারাত উদ্ভট ভঙ্গীতে ঘুমাইছেন, শিমুল ভাইয়ের মাথা যেদিকে অমিত ভাইয়ের পা সেদিকে ... আমি পুলাটা খারাপ, শুনেই একটা বাজে কথা মনে পড়ে গেল দেঁতো হাসি

৩ ...
বাসে ঐ টাকলার কাহিনী তো অমিত ভাই অলরেডি বলে দিসে ... আমরা লন্ডনে নেমে কফি কিনতে ঢুকছি টীম হর্টন্সে, টাকলাও আমাদের পিছে পিছে আসছি ... কফি টফি কিনে আমি অমিত ভাইরে খুব স্বাভাবিকভাবে বলি, এই টাকলা আমাদের বাসে ছিল না? অমিত ভাই কয় হ্যা ... যাই হোক, বিড়িটিড়ি ফুঁকে বাসে উঠে দেখি টাক্লা আমাদের পিছের সীটে বসে আছে, আমাদের দেখে তার সেই ডায়লগ, "ভাই সারা রাস্তা আপনাদের কথা শুনে খুব মজা পেয়েছি" ... আমরা অধিক শোকে পাথর ...

টাকলার সাথে কথা কইতেসি, পিছের সীটের এক চাইনিজ পোলা কয়, "তোমরা কি বাংলায় কতাহ বলতেছ?" ... আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম এই পোলাও বাংলা বুঝে, তাই কইলাম "ডোন্ট সে ইউ আন্ডারস্ট্যন্ড দ্যাট টূ" ... পোলা কয়, না না, আমার এক দোস্ত আছে বাংলাদেশি, তাই জিগাইলাম ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

তাইলে নজরুল ভাই স্টাইলে একটা কাহিনী কই – শোনেন,
গত সপ্তাহে নায়াগ্রা যাওয়ার পথে বাসে। আমার বন্ধু দম্পতি প্রিয়-রুমকি বসছে পাশাপাশি, তাদের সামনের সীটে আমি। আমার পাশের সীটে ব্যাগ রেখে আমি পেছন ফিরে তাদের সাথে কথা বলতেছি। বলা যায় – ৩ জনের ধুমায়ে আড্ডা। আমার পাশের সীটে কেউ এসে বসলেই আর এভাবে পেছন ফেরা যাবে না, আড্ডাও বন্ধ হবে।
তো টরন্টো থেকে বাস ছাড়বে, সারি বেধে লোক ওঠে। সবাই পেছনের দিকে চলে যায়, আমার পাশে কেউ বসে না। আমিও এমন মনোযোগ দিয়ে আড্ডা দিচ্ছি, যেনো পাশের ব্যাগটা যে সরাতে হবে - সেখানে কেউ বসতে পারে; খেয়ালই নেই। টরন্টো থেকে বাস ছাড়লো। পাশের সীট খালি। আমি দুই সীট দখল করে পেছন ফিরে আড্ডা দিই। আহা কী শান্তি, কয়েকবার বলেও ফেললাম, ভাগ্যিস পাশে কেউ বসে নাই।
কিন্তু, সুখ কী আর সইলো?
বিশ মিনিট পরে আরেক স্টেশন থেকে লোক উঠলো।
আর আমার পাশে এসে বসতে চাইলো – ইয়া বিশাল অর্জুনা রানাতুঙ্গার মামা টাইপের এক লোক। চুল ছাঁটা, পরনে শর্টস, হাতে সনি ভিডিও ক্যাম, চোখে সানগ্লাস। দেখতে সাদ্দামের দেশের লোক মনে হয়। কিছুটা মন খারাপ করে ব্যাগ সরালাম। ব্যাটা আমার পাশে বসলো, কিন্তু এমন বপু শরীর – আমাকে বেশ জানালার কাছ ঘেঁষে যেতে হলো। পেছন থেকে রুমকি বললো – ‘কী শিমুল কী অবস্থা? যা একখান সাইজ উঠছে’।
আমি বললাম – ‘হু, বিশাল সাইজ। ধুর, আগে কাউরে বসতে দিলেই ভালো করতাম’।
মন খারাপ হলো – আগের স্টেশন থেকে পিচ্ছি-পাচ্ছি জামা পরা লিকলিকে কতোগুলো আপুনি ওঠলো বাসে, একেবারে পেছনের সীটে গিয়ে বসলো। ওদের কাউকে কেনো বসতে দিলাম না ঃ@
একটু পরে প্রিয় বলে – ‘এই ব্যাটার জন্য আমাদের আড্ডাই নষ্ট হয়ে গেলো’।
আমি বললাম – হু, এই মুটোয়াটা না বসলেই ভালো হতো...
আরেকটু পরে ডাক দিলাম পেছনে, বললাম – ‘একটা কাজ করলে কেমন হয় – এই ভুটকাটারে লাত্থি মেরে বাস থেকে ফালায়ে দিই, হাতের ক্যামেরাটা নিয়ে নিই, হেব্বি জিনিশ।‘
এরপরে আমরা তিনজন হাসি।
আলাপ করি – বিদেশে এই এক সুবিধা, একেবারে মন প্রাণ খুলে বাংলায় কথা বলা যায়।
এরপরে আমরা বাদাম খাই।
পাশের বপু বিরক্ত হয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।
এবার আমি অন্য প্রস্তাব করলাম। একটা কাজ করলে কেমন হয়? ঘুমের ভান করে বার বার মাথা ওর গায়ের ওপরে ফেললে? নির্ঘাত বিরক্ত হয়ে উঠে যাবে... চোখ টিপি
পেছন থেকে প্রিয় বলে, ‘ভাগ্যিস ব্যাটা বাংলা বুঝে না, নাইলে আমরা যা আলাপ করতেছি...’

এই ছিলো বাকী দেড় ঘন্টার যাত্রা পথ।
নায়াগ্রা বাস স্টেশনে বাস থামলে আমরা নামতে থাকি। তখন দেখি সে বিশাল বপু লোকটা – দুই সীট সামনের এক মহিলা (সালোয়ার কামিজ পড়া) ও এক ছেলেকে তাড়া দিচ্ছে – ‘নামো নামো, তাড়াতাড়ি চলো...’।

আমরা ৩ জন তো থ!
ইয়ে মানে, ট্যাক্সি ক্যাবগুলো বেশ কাছেই দাঁড়ানো ছিলো বলে রক্ষা...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খাইছে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হো হো হো

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চ্রম মজারু হইছে লেখাটা! খুব্বি ভাল্লাগল। হো হো হো

সাথে শিমুল ভাইয়ের শেষ মন্তব্যটাও। হাসতে হাসতে অবস্থা শেষ! হো হো হো

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই দুম করে বের করেন তাঁর ক্যামেরা। নীল তিমির মতো আকার। অ্যানাকোন্ডার মতো লেন্স। নানান রকমের তার-সূতা। তাঁকে দেখে কিংকংও আর দেরি করে না। বের করে ওর হাঙর সদৃশ ক্যামেরা। হাতির শুঁড়ের মতো লেন্স। শিমুল-বিপ্রও বসে থাকে না। ওয়েস্টার্ন সিনেমার মতো নায়কদের মতো এখন ওখান থেকে হুট-হাট দামী ডিজিটাল ক্যামেরা বের হয়ে যায়। অপটিকাল লেন্স ওঠানামার হিশহিশে আওয়াজ শোনা যায়।
ব্যাপক! দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।