এক
গতকাল ছিলো জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে সঙ্গীতানুষ্ঠান। মুক্তিযোদ্ধা এস এম খালেদ-এর চিকিৎসার্থে অর্থ সংগ্রহের অনেক উদ্যোগের একটি হিসেবে। জাদুঘরের সামনে যেতেই বাহিরে লোহার দেয়ালে ছোট পোস্টার দেখতে পাই। "যিনি লড়েছেন দেশের জন্য আমরা লড়ছি তাঁর জন্য।"
জানতাম ভেতরে ঢুকলেই অনেক ব্লগারের সাথে প্রথমবারের মতো দেখা হবে। এই অভিজ্ঞতার একটা আলাদা আবেদন আছে। তাই একটু সময় নিয়েই, সবাইকে আসার সুযোগ করে দিয়ে ভেতরে যাই। কাউকে ফেসবুকে কিংবা সচলে দেখা ছবির মাধ্যমে চিনে ফেলি, কেউবা আমাকেই চিনে নেয়। প্রথমবারের মতো দেখা হয় এনকিদু, রণদীপম'দা, শাহেনশাহ সিমন, আকতার আহমেদ, পান্থ রহমান রেজা, আনিস মাহমুদ, মুস্তাফিজ ভাই, নিবিড়, আর তারেকের সাথে (কারো নাম কি বাদ পড়ে গেলো?)। একটা জিনিসটা খুব উপভোগ করি। চেনা ব্লগারদের সাথে দেখা হলে কখনো মনে হয় না প্রথম দেখা হলো। বরং মনে হয় অনেকদিন পরে চেনা কাউকে আবার দেখলাম। আড্ডার তালও খুব একটা কাটে না। সঙ্গীতানুষ্ঠানে ব্লগার আরো অনেকেই ছিলেন। টুটুল ভাই, লীলেন ভাই, বিপ্লব'দা, আর সবজান্তার সাথে পরিচয় হয়েছিলো গতবারের বইমেলায় আর সচলাড্ডায়। আরিফ ভাইকে তো সেই কবে থেকেই চিনি। আর নজরুল ভাই এর সাথে দেখা হয়েছিলো ঠিক তার আগের দিনের আড্ডায়।
সঙ্গীতানুষ্ঠান ছিলো খুব পরিপাটি। ছিমছাম পরিবেশনা। অনুষ্ঠান শুরু হয় গাজী আব্দুল হাকিমের বাঁশি দিয়ে। ভদ্রলোক অসাধারণ বাজান! এরপরে একে একে আসেন লীনা তাপসী, শাম্মী আকতার, খুরশীদ আলম, লিলি ইসলাম, শামসুল হুদা, ফাহিম হোসেন, সজীব, আর সবশেষে কৃষ্ণকলি ইসলাম। আব্দুর নূর তুষারের উপস্থাপনা মন্দ ছিলো না। দর্শক উপস্থিতি হয়তো বেশি ছিলো না; কিন্তু যাঁরা ছিলেন তাঁরা যে মুক্তিযোদ্ধার প্রতি পূর্ণ ভালোবাসা নিয়েই ছিলেন তা স্পষ্ট বোঝা গেছে তাঁদের দৃষ্টিতে।
দুই
গতকাল সঙ্গীতানুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে দেখলাম কারওয়ান বাজারের হাঁটাপথ জুড়ে অসংখ্য মানুষ। ঝাঁকা ফেলে শুয়ে; বিক্রি হবার অপেক্ষায়। হঠাৎ হয়তো থামবে কোনো ট্রাক। তুলে নেবে চার কিংবা পাঁচজনকে। আর তাদের শ্রমে রুটি উঠবে পনেরো কিংবা তারও বেশি মুখে। কারওয়ান বাজার নিয়ে কারুবাসনা একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। সেই পোস্টটা মনে পড়ে।
তিন
আজকের দিনটা প্রায় সারাদিন ছিলাম বাবার সাথে। সকালে উঠে কাজ করতে বসেছিলাম। সাথে করে কিছু কাজ নিয়ে এসেছি; সেগুলো ঢাকায় বসেই করে ফেলতে হবে। কাজের মাঝে দুম করে স্ক্রিন কালো হয়ে গেলো। নাড়াচাড়া করে বুঝলাম অন্য কোনো সমস্যা নেই, বিদ্যুৎ চলে গেছে! কাজ যা করেছিলাম সব গচ্চা গেলো সেভ করে না রাখার কারণে। এখন থেকে ল্যাপটপের ব্যাটারি আর খোলা যাবে না।
এই হুজ্জতের পরে আর কাজ করতে ইচ্ছে করলো না। বাবার সাথে অফিসে গেলাম। কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই, কেবলই বাবাকে সঙ্গ দেয়া। ফ্যামিলি ফার্স্ট!
চার
বেশ কিছু ছবি তুলেছি। কিছু পোস্টের সাথে তুলে দেবার ইচ্ছে ছিলো; কিন্তু ডেটা কেবল সাথে আনতে ভুলে যাওয়ায় আর সম্ভব হলো না। আগামীকাল নতুন কেবল কিনে কিছু ছবি অবশ্যই তুলে দেবো।
© অমিত আহমেদ
১৩ জুলাই ২০০৯
মন্তব্য
ছবির অপেক্ষায় রইলাম।
ছবির অপেক্ষায় আমিও......
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অমিত... আপনার সাথে আমার গত বছরই পরিচয় হইছিলো। একটা ঘরোয়া ব্লগাড্ডায়। তখন আমি সচলে খুবই কম লিখতাম... কিন্তু তবুও আপনি ঠিক আমারে চিনসিলেন... আর সেই কথা আজ ভুলে গেলেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেই আড্ডার কথা এখন মনে পড়েছে। স্মৃতি কিভাবে যেনো বেইমানি করে ফেললো!
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
আপনার সাথে ঢাকা ঘুরছি ফাউ। ছবির অপেক্ষায় থাকলাম।
ঢাকার দিনগুলো ভালো কাটুক।
আহারে। কারেন্ট যাওয়ায় বেশ অনভ্যস্ত হয়ে গেছেন দেখা যায়। অভ্যাস হলে ওভারকাম করা তেমন ব্যাপার না।
ভাল লাগলো।
.
ওই অনুষ্ঠানে তোলা আমাদের ছবি; রণোদা'র সৌজন্যে।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ বিল্পব'দা।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
আরও ছবি, আরও ছবি... চাই চাই চাই!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আরো ছবি দেয়া হইবেক হইবেক হইবেক
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
@ প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই, শীঘ্রই ছবি দেবো।
@ রণদীপম বসু'দা, অনেক ছবি তুলতে পারিনা রণ'দা। কারওয়ান বাজারে যেমন কিছুতেই ছবি তুলতে পারলাম না। নিজেকে হায়েনা মনে হয়।
@ দুর্দান্ত, আজ বিকেলে ডেটা কেবল কিনতে বেরুবো দেখি।
@ পান্থ রহমান রেজা, ধন্যবাদ ম্যান। ভালো লাগার সময়গুলোও পোস্ট উঠে আসবে।
@ সিরাত, হ রে ভাই
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
এই অনুভুতি হৈছিলো ইটালির রোমে ফুটপাতে পসার সাজিয়ে বসে থাকা বাঙালীদের ছবি তুলতে গিয়ে । তাদের কোন ছবি তোল হয়নাই ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
শুধু কাওরান বাজার না, এখানেও দিন মজুরদের রাস্তার পাশে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে দেখি। আমার অল্প অভিজ্ঞতায় দেখেছি - অনেক সময় নিয়মিত কাজের সুযোগ থাকলেও ফ্লেক্সিবিলিটির জন্য অনেকেই দিন মজুরিকেই পেশা হিসাবে বেছে নেয়।
লেখা এমন বিষণ্ণ কেন?
সেটা আম্রিকায়। এখানে বাস্তবতা ভিন্ন, রাদিয়া।
বিষণ্ণ হয়ে গেলো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
অনুষ্ঠানটা মিস করায় খুব খারাপ লাগছিল।
নতুন মন্তব্য করুন