ধুন্ধুমার আড্ডা হলো আজ বিকেলে। কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো না। এনএসইউ-এর পুরানো দালানের সামনে একে একে কিভাবে যেনো সবাই হাজির হয়ে গেলো। জমজমাট আড্ডা শেষে; স্টার কাবাবে খাসির পায়া নান ফালুদা আর মালাই চা মেরে এই একটু আগে বাসায় ঢুকলাম।
আজ ক্যামেরার ডেটা কেবলও কিনেছি। কিনতে গিয়ে দাম জিজ্ঞেস করেছি, দোকানী বলে ২০০টাকা দেন। আমার কেনো জানি হাসি পেয়ে গেলো। খানিকক্ষণ হাঃ হাঃ করে হাসার পর আমি কিছু বলার আগেই দোকানী মুখ কালো করে বলে, ৮০টাকাই দেন ভাইয়া!
টঙ দোকানে আদা আর লেবু দিয়ে যে রঙ চা তৈরি হয় সেটা আমার খুব প্রিয়। আজ টঙের সামনে দাঁড়িয়ে আড্ডা মারতে মারতে একের পর এক চা পান করেই যাচ্ছি। সব শেষে দেখা গেলো দেড় ঘন্টায় চা নিয়েছি মোট ৮টা!
আচ্ছা এখন বাদ্দেই। ছবি যেহেতু তুলেছি, ডাউনলোড যেহেতু করেছি, এবং ফ্লিকারে যেহেতু উঠিয়েছি - আজ বরং ছবি দিয়েই দিনলিপি শেষ করে দেই। কথা বলার সময় তো পড়েই আছে!
© অমিত আহমেদ
আমাদের আদি ও অকৃত্রিম রিক্সা। প্রবাসে এই বাহনটা মাঝে মাঝে খুব মিস করি। বিশেষ করে বৃষ্টি হয়ে যাবার পরে যখন ঝিরঝিরে একটা ঠান্ডা বাতাস বয়।
জ্যামে পড়ে জীবন জেরবার। তবুও রাজপথে।
রাত নেমে আসার পর বনানী। গুলশান দুই গোলচত্ত্বর থেকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ ধরে হেঁটে যাবার পথে তোলা।
গুলশান-১ গোলচত্ত্বরে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা যদিও শেষে বৃষ্টি নামি নামি করেও আর নামেনি। ছবির ডান কোনায় দেখুন বিলবোর্ডে পেপসি হাতে আমাদের ক্রিকেট কাপ্তান মাশরাফি।
গুলশান-১ এর একটা টঙ দোকানে বসে তোলা। অফিস সবে ছুটি হয়েছে। ফেরার বাস ধরার আগে সহকর্মীদের সাথে ভাজা বাদাম আর চানা-বুটের সাথে গুলতানি।
আমাদের প্রিয় টঙ দোকান। লাল চা, দুধ চা, কলা-বনরুটি, কেক, বিস্কিট, রোল, টোস্ট, লাড্ডু কিংবা সিগ্রেট!
দালানের পর দালান উঠেছে ঢাকার প্রতি ইঞ্চি জুড়ে। তার ফাঁকে চৌকো আকাশ।
তারের জালে জালে যেনো মৃত্যুকুপ। প্রতি রাস্তার মোড়ে একই দৃশ্য।
আজ এ পর্যন্তই; ছবি তুলে পরে আরো পোস্টানো হবে।
মন্তব্য
অসাধারণ লাগল অমিত।
একটানে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন হাজার হাজার মাইল দূরের স্বদেশ ভূমিতে।
শুভেচ্ছা
সুন্দর ছবি। সন্ধ্যার ছবিটা সবচেয়ে ভালো লাগলো।
প্রথম দুটো ছবিতে পোস্ট প্রসেসিং রঙ (টিন্ট) একটু বেশি মনে হলো।
শেষের ছবিটা দেখে আতঙ্ক হয়, মরণের দেবী শতভূজ বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন যেন!
প্রথম ছবিটা এভাবেই কেনো জানি ভালো লাগছে। দ্বিতীয় ছবিটা একটু সাইজ করে দিলাম। শেষ ছবিটা আসলেই ভয়ানক। এর মাঝে ওইদিন দেখি রাস্তার মাঝে তার ছিঁড়ে পড়ে আছে। পা দিলেই মৃত্যু। তার চারপাশে পাতাসহ গাছের ডাল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাতে কী হয়? আর বৃষ্টি এলে? বিদ্যুতের লোক কখন আসবে কেউ বলতে পারে না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
রিক্সা আর সন্ধ্যার ছবিটা অসাধারণ। বিশেষ করে সন্ধ্যারটা।
ঢাকার এই মানুষের ভিড়টাকে হঠাৎ করে মিস করা শুরু করলাম বা...
আহারে রিক্সা ...
আহারে সিএনজি ...
আহারে গুলশান ১ ...
আহারে গুলশান ২ ...
এত এত স্মৃতি ক্যান এইসব নিয়া
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
বেশ ফটুগুলা। তয় ফুচকি দিয়া এফ ফটুতে আমার অফিস ও দ্যাকতে পাচ্ছি, তাই পোস্টে মাইনাচ (যদিও দেয়ার উপায় নাই)
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সন্ধ্যার ছবিটা অতি উত্তম!!
--------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
আমার ফ্লিকার
নতুন ক্যাম্পাসে ফাস্ট-মিডের ঝড় আরম্ভ হয়ে গেছে। ঝড়ে ক্লান্ত হয়ে ফিরে এসে এসপিজির পাশের টঙের ছবিটা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। ...আহারে কতদিন এগুলোর সাথে দেখা নাই।
আহা ! নিত্যদিনের দেখা দৃশ্য, বড়োই মাধুর্য্য !
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রঙিন রিকশায় চালকের আসনে
রঙিন অমিত বসে আছে
এরকম একটা ছবি দেখতে মন চায়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
চলে আমার রিক্সা হাওয়ার বেগে উইড়া উইড়া, রিক্সা আমার রিক্সা ...............।
গুলতানি করার ছবিটাও দারুন। অনেকদিন পর আবার এক নম্বরের সেই অতি পরিচিত ছবিটা
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আহারে! মনটা বড়ই উদাস হইল রে ভাই
অতি উত্তম ছবির জন্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- নাভানা টাওয়ার আর নাভানা সফট্!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছয় আর আট নাম্বারের জন্য তোকে 'মানিক'।
চলবে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অনিকেত'দা, ধন্যবাদ।
প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই, থ্যাংকস বস।
অমিত ভাই,
কিংকর্তব্যবিমূঢ়, ওই এক স্মৃতিটাই আছে আমাদের।
শাহেনশাহ সিমন, তোমার অফিস কোনটা?
উদ্ভ্রান্ত পথিক, ধন্যবাদ।
...অসমাপ্ত, নতুন ক্যাম্পাসে মনে হয় যাবো সামনের সপ্তাহে। শুনলাম জ্যামের কারণে নাকি ঢোকাই যায় না? বিড়ি-চা'র টঙ-ফঙও নাকি নাই?
রণদীপম বসু, নিত্যদিনের জিনিসগুলোই মিস করি সবচেয়ে বেশি। ধন্যবাদ রণ'দা।
রানা মেহের, বুঝলা রানা, এই দুনিয়া বড়ই বেইমান। যাহা চাইবা তাহা পাইবা না, আবার যাহা পাইবা তাহা চাইবা না।
তানবীরা, এমন কোনো গান আছে নাকি আসলেই? থাকলে একটা লিংক দেন তো।
আমার একটা গান মনে আছে, শৈশবে শোনা। গানের কথা ছিলো অনেকটা এমন - আমি রিক্সাওয়ালা ড্রাইভার / সঙ্গী আমার প্যাসেঞ্জার। (রিক্সাওয়ালার সাথে "ড্রাইভার" আসলেই ছিলো কি-না সেটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি না।)
সাইফ তাহসিন, শুক্রিয়া।
ধুসর গোধূলি ভাই, অনেক স্মৃতি নাকি?
জেবতিক রাজিব হক, এনি টাইম দোস্ত।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দারুণ হয়েছে ছবিগুলো। যারা দেশের বাইরে আছেন, তারা সিএনজি আর বাসের ঐ ছবি দেখে মুগ্ধ হতে পারেন, কিন্তু সদ্য দেশ ছেড়ে আসা আমার কাছে ঐ জ্যাম এখনও আতঙ্ক!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দেশ ছাড়ছেন নাকি? কোথায় আসলেন?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
মন্ট্রিয়ালে আসছি, কানাডায়। ব্যাফক ভ্রান্ত ধারমার মধ্যে আছি। ধাতস্থ হইলেই পোস্ট দিব!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ইশ, অটোয়ায় থাকলে দেখা করা যাইতো ... ওয়াটারলু থেকে দূর হয়ে যায় ...
আমার বেশ কিছু রিলেটিভ আর বন্ধুবান্ধব আছে মন্ট্রিয়লে, আমার খুব পছন্দের শহর ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আরে আসব আসব... চিন্তা কী?
আমি এক যাযাবর... ৬ মাসের ভিসার মেয়াদ... যতটা পারি দেখে যা্ওয়ার চেষ্টা করব... আমারে পাবেন -এ...
কথা হবে!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দারুণ সব ছবি। জনাবা রানা মেহেরের ভাষায় 'জোশিলা'
এত ঝকঝকে রিকশা পেলেন কই! খুব্বি সুন্দর লাগতেছে রিকশাটা!
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।
মহাখালি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে বটতলায় রঙ-চা পান করতে গিয়েছিলাম। জায়গাটা ভাল্লাগে। সেখানেই তোলা। রিক্সাটা রাস্তায় নতুন নেমেছে। রঙটাও সনাতন না। তাই ছবি তুলে ফেললাম।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
চা "পান"
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
নতুন মন্তব্য করুন