১৮ জুলাই ২০০৯
আজ ছবির হাটে একটা মিনি সচলাড্ডা হয়ে গেলো। বাংলাদেশের সময় ভেবে আমি গিয়েছিলাম ১৫ মিনিট পরে, কিন্তু গিয়ে দেখি বিপ্লব'দা ছাড়া আর কেউ নেই। পরে আস্তে আস্তে সবাই উপস্থিত হতে শুরু করলেন। এই আড্ডা নিয়ে এক প্যারা লিখে রেখেছিলাম, কিন্তু এখন আর দেবার প্রয়োজন বোধ করছিনা কারণ বিপ্লব'দা এবং এনকিদু ইতিমধ্যেই এই নিয়ে দু'টো পোস্ট দিয়ে দিয়েছেন [বিপ্লব'দার প্রতিবেদন, এবং এনকিদুর ছবিব্লগ]। আমি শুধু ধন্যবাদ জানাবো। এই বৈঠক অনেকের সাথে সামনাসামনি কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে; তাই ধন্যবাদ আয়োজক বিপ্লব'দা এবং উপস্থিত সবাইকে।
শাহেনশা সিমন এবং এনকিদু থাকে আমার বাসার কাছাকাছিই। তাই সচলাড্ডা শেষে বনানীতেও আমাদের তিনজনের একটা ক্ষুদ্র আড্ডা জমেছিলো।
১৯ জুলাই ২০০৯
আজ গিয়েছিলাম চীন মৈত্রি সম্মেলন কেন্দ্রে, এক বন্ধুর সাথে। জেসিআই (অর্থাৎ জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল) নামক এক সংগঠনের "ফিউচার লিডারস সামিট" শীর্ষক সভায়। এ সংগঠন সম্পর্কে আমার কোনো পূর্ব ধারণা ছিলো না; থাকার কথাও অবশ্য না, কারণ মনে হলো কম্পিউটার বিজ্ঞানীর চেয়ে ব্যবসায়ী কিংবা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চাকুরেরাই এই সংগঠনে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন বেশি। সংগঠনের সভ্যদের মধ্যে তাঁদের সংখ্যাই বেশি ছিলো। আলোচনাও ছিলো অর্থনীতি কেন্দ্রিক। বাংলাদেশ কর্পোরেট জগতের অনেক চেনা-জানা মুখই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আফতাব খুরশিদ, গীতি আরা সাফিয়া, ওয়াকার চৌধুরী, প্রমুখ। জুন শীন নামক জনৈক কোরিয়ান উপস্থিত ছিলেন। জানা গেলো তিনি জেসিআই এর ওয়ার্ল্ড প্রেসিডেন্ট এবং কোনো এক কোম্পানীর সিইও। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানও উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়বস্তুতে আগ্রহ নেই বলেই মনে হয় আমার কাছে সভাটা একটু নিরসই মনে হয়েছে। এতো আলোচনার পরেও আমি বুঝতে পারিনি এই সংগঠনের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্যটা আসলে কী? অনানুষ্ঠানিক (আমি তাদের মিশন স্টেটমেন্ট পড়িনি, তাই এটা আনুষ্ঠানিকও হতে পারে) লক্ষ্য অবশ্যই "পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি"। ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট জগতে যারা তরুন তারা অবশ্যই চাইবেন যতো পারা যায় যোগাযোগ বাড়াতে। এরকরম একটা সংগঠনের সভ্য হয়ে থাকলে ব্যক্তিগত পরিচয় না থাকলেও একই সংগঠনের সভ্য সেই দাবীতে নিজেদের মধ্যেই অনেক কাজ সেরে নেয়া যায়। এতে বিশেষ করে তরুনদের যাদের চেনাজানা কম ব্যবসার পথ অনেকটাই সুগম হয়। আমার কাছে তাই এমন সংগঠনের দরকার আছে বলেই মনে হয়।
তবে এ ধরণের সংগঠনের সাধারণত জনস্বার্থমূলক কিছু উদ্যোগ থাকে। তেমন কিছু নিয়ে জেসিআই সভায় আলোচনা হতে দেখলাম না। আমি একটু পরে গিয়েছিলাম এর আগে এসব আলোচনা হয়ে গেলে আমার অবশ্য জানার কথা নয়। কিংবা হয়তো সেসব বিষয় এই সভার বিষয়সূচিতে ছিলো না। প্রশ্নোত্তর পর্বে অবশ্য কিছু ভালো প্রশ্ন ছিলো। ড়্যাফল ড্র, উপস্থাপনা, খাবার-দাবার আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেশ ভালোই ছিলো। বিশেষ করে একদল মেয়ের নাচ, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়ে বলে জানা গেলো, আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে!
সব শেষে ছিলো শাফিন আহমেদের গান। বাংলা ব্যান্ড জগতে আমার কিছু চেনাজানা আছে। অনেক বড়ভাই, বন্ধু, ও ছোটভাই নানান ব্যান্ডে ঢুকে পড়েছে কিংবা নিজেদেরই ব্যান্ড খুলেছে। তাদের কাছ থেকে মাইলসের পেশাদারিত্ব নিয়ে অনেক শুনেছি। যদিও ইদানিং শুনতে পাই শাফিন এখন আর মাইলসে নেই; চেষ্টা করছে সলো ক্যারিয়ার গড়ার। তবে আজ শাফিন সে কাজটা করলো তার তুলনা নেই। তাকে স্টেজে ওঠাবার পরে বোঝা গেলো এটা কিসের অনুষ্ঠান এবং কী সে বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণাই নেই। স্টেজে উঠেই সে ব্যানার খুঁজে বোঝার চেষ্টা করলো ব্যাপারটা কী। তারপর শুরু হলো সিডি ছেড়ে দিয়ে গানের সাথে ঠোঁট মেলানো! আমরা হতবাক! তাও যদি ঠোঁট মেলানোটা ঠিক মতো হতো! একবার তো সিডি এগিয়ে গিয়ে মিউজিকের আগেই হুট করে গান শুরু হয়ে গেলো। শাফিন তখন মাইক্রোফোন থেকে দূরে মিটিমিটি হাসছে সাথে মাথা দোলাচ্ছে। হঠাৎ গান শুরু হয়ে যাওয়ায় সে লাফ দিয়ে যেভাবে মাইক্রোফোন জাবড়ে ধরলো সেটা একটা সিনই ছিলো! আজকের সেরা বিনোদন!
২০ জুলাই ১০০৯
আজ একটা কাজ করে ফেললাম যেটা বৈদেশে কখনোই করার সুযোগ পাই নাই। সেটা হলো "ভাতঘুম"। দুপুরবেলা; এক গামলা ভাত, মাছের ঝোল, গোসত, ভর্তা আর আচার মাখিয়ে খেয়ে; এক গ্লাস ঠান্ডা জল গলায় ঢেলে; কাঁথা জড়িয়ে দে ঘুম। এরপর বিকেলে উঠে আয়েশি ভঙ্গিতে হেলতে-দুলতে মোড়ের দোকানে গিয়ে এক কাপ চা।
আহ!
২১ জুলাই ২০০৯
একটা জিনিস বেশ মজা পাচ্ছি। আমার সাথে অনেকেরই নতুন করে পরিচিত হতে হচ্ছে। অনেককেই আগে চিনতাম। অনেকদিনের যোগাযোগহীনতায় সেই পরিচিতিতে মরচে ধরেছে। মুখ চিনলেও আমাদের পরিচয় কিভাবে সেটা হঠাৎ মনে পড়ে না। আর পড়লেও দেখা যায় একে অন্যের নাম বেমালুম ভুলে বসেছি। আরেকটা জিনিস যেটা হয়, কোনো একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার ব্যক্তিত্ব অনুমানের চেষ্টা। হয়তো দেখা যাবে আমার সম্পর্কে কারো একটা ঘটনাই মনে আছে, সহজাত ভাবেই চেষ্টা করা হবে সেই ঘটনার থেকে আমাকে বুঝে নেয়ার। আরে ব্যাটা, এর মাঝে তো ভলগা-রাইনে কতো জলই বয়ে গেছে!
২২ জুলাই ২০০৯
আজ সূর্যগ্রহণ দেখলাম। খুব উত্তেজক!
আমি সকাল সাড়ে সাতটায় উঠে দেখি বাবা-মা ইতিমধ্যে পার্কে হাঁটতে চলে গেছেন। আমি বাসায় সহকারী ছেলেটাকে বলি এককাপ চা আনত। ছেলেটা অনেকদিন ধরে আছে। লেখাপড়া শেখানো হয়েছে। সবার পড়া শেষ হলে তাকে বেশ আয়েশ করে সংবাদপত্র পড়তে দেখা যায়। তাই আমার ধারণা ছিলো আজ যে সূর্যগ্রহণ সেটা সে জানে। ছাদে গিয়ে বুঝলাম সেই ধারণা ভুল। সংবাদপত্রে কী পড়ে কে জানে!
ক্যামেরার এলসিডি ডিসপ্লেতে দুইজনে সূর্যগ্রহণ দেখি। মেঘ অবশ্য খুব বিরক্ত করছিলো। অনেক ছাদেই উৎসাহী মানুষের দেখা পেলাম (আফসোস, কোনো মেয়েকে দেখলাম না!)। সূর্যগ্রহণের কিছু ছবিও চটপট তুলে ফেললাম। সূর্যগ্রহণ শেষে ছেলে আমাকে আচমকা জিজ্ঞাস করে, "ভাইয়া এইটা কি এখন থেইকা রোজ হইবো?" আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকিয়ে থাকি। এরপরে একটা ইটের টুকরো নিয়ে ছাদের মেঝেতে ছবি এঁকে ব্যাপারটা বুঝাই। সে বেশ বুঝতে পেরেছে মনে হলো। ছেলেটাকে ছবি সহ কিছু সাধারণ জ্ঞানের বই কিনে দিতে হবে। এসব বেসিক জিনিস সবারই জানা থাকা দরকার।
বৈদেশ থেকে বলতে গেলে একবস্ত্রে এসেছি। একটা মোটে কাপড়ের তৈরি ব্যাগ ছিলো সাথে। এদিকে সামনে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান আছে। টিশার্ট পড়ে তো আর যাওয়া যায় না। তাই বিকেলে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলাম। কেনাকাটার মাঝেই পান্থের কল। জানা যায় সে আর শাহেনশাহ বসে আছে মহাখালি প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের নিচে। আমি পাততাড়ি গুটিয়ে মহাখালি রওনা দেই। জানা যায় অতন্দ্র প্রহরী সদ্য এসেছে প্রাচ্যরাজ্য থেকে; এখন পরিকল্পনা তাকে নিয়ে কোথাও বসে চৈনিক দেশের কৃষ্টি ও রেয়াজের গল্প শোনা। আমরা মহাখালই থেকে রওনা দেই। মিরপুর অরিজিনাল ১০ এর এক রেস্তোরা কুইক বাইটে দেখা করার কথা। অতন্দ্র প্রহরী আমাদের আগেই উপস্থিত ছিলো। সেখানে চারজনের ধুম আড্ডা হয়। বেশ খানাদানাও হয়। জায়গাটা বেশ ভালোই মনে হলো, অনেক তরুণীই সখীদের নিয়ে খেতে-টেতে আসে। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আবার যাবো!
এই নিয়ে প্রহরীর পোস্ট: একটি অমিমাংসিত রহস্যের গল্প।
২৩ জুলাই ২০০৯
আজ তিনদফা আড্ডা।
বাবার সাথে বাইরে গিয়েছিলাম। তখন বন্ধুদের ফোন। ওরা আছে নর্থ সাউথের সামনে। একটু পরেই শাহেনশাহ-এর ফোন, সে আর এনকিদু আছে বনানীর ধারে কাছেই। বাবা যখন আমাকে নর্থ সাউথের সামনে নামিয়ে দিচ্ছে তখন আবার ফোন, আমার তিন পুরানা দোস্তরা আছে বনানীর স্টার কাবাবে। আমি নর্থ সাউথের সামনে চেনা-পরিচিত এবং বন্ধুদের সাথে এককাপ চা খাই। এটা দৈনন্দিন কাজ। এরপরে স্টার কাবাবে হাঁটা দেই। সেখানে থাকা তিন বন্ধুর দু'জনকে আসার পরেই দেখেছি, আরেকজনের সাথে দেখা হলো অ-নে-ক-দি-ন পরে। এখন সে আমার অন্য বন্ধুরই বাগদত্তা। খুব ভালো লেগেছে। ওদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে আরেক কাপ চা পান করতে করতে শাহেনশাহকে কল দেই। ও বলে, "আমরা স্টার কাবাবে।"
আমি চমকে চারপাশে তাকাই, "কয়তলায়?"
শাহেনশাহ বলে, "একতলায়।"
আমি ছিলাম দোতলায়। ওকে জানাই একটু পরেই নামছি। আড্ডা দিতে দিতে সময়জ্ঞান একটু বিস্মরণ হয়। আধা ঘণ্টা পরে তাই আবার শাহেনশাহর ফোন। আমি বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিচে নেমে যাই। ওখানে এনকিদু আর শাহেনশাহর সাথেও আড্ডা জমে যায়। সেই আড্ডায় আমার এক বন্ধুও কিছুক্ষণের জন্য যোগ দিয়ে যায়। স্টার কাবাবের পরে টঙ দোকানেও আমাদের পা পড়ে। আমাদের ম্যারাথন আড্ডা চলে অনেক রাত্তির পর্যন্ত।
২৪ জুলাই ২০০৯
ঢাকায় আসার পরে আমার খালাতো ভাইদেরকে তেমন সময় দিতে পারিনি। তাই আজ ওদের সাথে বের হয়েছিলাম। বাংলাদেশে আসলে আমি পশ্চিমা চেইন রেস্তোরায় খুব একটা খেতে চাইনা। তবে ওদের আগ্রহ আছে বলে গেলাম কেএফসি-তে। গুলশানের শাখাটা দেখলাম বেশ বড়। আর কর্মচারিরা মনে হয় ইংরেজি জানে, সেটা ঝালাই করে নেবার খুব চেষ্টা দেখলাম ওদের মাঝে। বাংলা প্রশ্নেরও ইংরেজি উত্তর।
এসব চেইন রেস্তোরার একটা জিনিস খেয়াল করেছি, দেশ অনুযায়ী মেনু আর স্বাদ পালটায়। তাই ভারতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজা হয় ভেজটেবল তেলে আর ম্যাকডোনাল্ডসে পাওয়া যায় মহারাজা বার্গার। এখানেও একই কাহিনী। মিল/কমবো যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তেমনটা ঠিক পশ্চিমা দেশে পাওয়া যায় না। একটু বেশি মশলাদার, আর মেনুতে সালাদ নেই বললেই চলে। এরপরে স্পোর্টস জোন আর ক্লাব জেলাটো হয়ে এক ভাইকে নামিয়ে দিয়ে আসি জাদুঘর মিলনায়তনে। সে এসএসসি-তে গোল্ডেন পেয়েছে, তার সংবর্ধনা আছে।
রাত্তিরে দু'টো দাওয়াত ছিলো। বিয়ে আর পঞ্চাশতম জন্মবার্ষিকীর। বিয়ের দাওয়াতে খেয়ে, জন্মদিনের দাওয়াতে গান-টান শুনে এরপরে বাসায় এলাম।
© অমিত আহমেদ
ভালোই ঘোরাঘুরি হচ্ছে তাহলে
...........................
Every Picture Tells a Story
ছেলেটাকে ছবি সহ কিছু সাধারণ জ্ঞানের বই কিনে দিতে হবে। এসব বেসিক জিনিস সবারই জানা থাকা দরকার।
খুবই ভালো লাগলো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে। সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
শাফিনের কাহিনি শুনে বিয়াপক মজা পাইলাম।
বউকে জানাইতে হবে, সে আবার শাফিনকে খুব ভালা পায়। ঃ))
আপনার দেশবাস স্বল্পআয়ু হোক, এই কামনায়-
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ওঃ! দারুণ লাগছে আপনার এই অভিজ্ঞতা... আর এই মুহূর্তে আমি কানাডায়, কদিন আগেই ফেলে আসা ঢাকাকে মনে হচ্ছে স্বপ্নের ঢাকা...
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আপনে ঘুরাঘুরি করতেছেন ভালো কথা... কিন্তু সিমনের ঠ্যাং এতো লম্বা হইলো কেমনে? খাড়ান... ওর মায়ের কাছে বিচার দিতাছি
দিনলিপি মারাত্মক... চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অমিতভাই,
বড়ই হিংসা হচ্ছে...দেশে গিয়া মজা করতাছেন...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আমি বাসায় সহকারী ছেলেটাকে বলি এককাপ চা আনত। ছেলেটা অনেকদিন ধরে আছে।
সহকারী ছেলে - শব্দবন্ধ ভালো লাগলো
শাফিনের কাহিনী শুনে হাসতে আছি!
দুপুরবেলা; এক গামলা ভাত, মাছের ঝোল, গোসত, ভর্তা আর আচার মাখিয়ে খেয়ে; এক গ্লাস ঠান্ডা জল গলায় ঢেলে; কাঁথা জড়িয়ে দে ঘুম। [i]
আপনে মিয়া বড় বদ। করসেন করসেন, এইগুলা নিয়া লেখার কি দরকার? এখন তো আমারো অফিস থেইকা বাসায় গিয়া এইটা করন লাগবো। ভাগ্য ভাল যে ইদানিং ঘড়িতে সন্ধ্যা হইলেও দিনের দুপুর ই থাকে।
---
২৩ শে জুলাইয়ের রুটিনটা গতবছর ঢাকা যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিল। পর পর কয়দিন সকাল এগারোটায় কাকলিতে শুরু করে সন্ধ্যা নাগাদ দুইনম্বরে - এবং আড্ডা ক্রমাগতই বড়। প্রথম দিনে রিক্সা নিয়ে ভুল করে পরে দেখি হাঁটাপথটা অত বেশী না। তবে কি জানেন, ঢাকার চাকাওয়ালা লোকেরা পথচারীকে চোখে দেখে না।
@ শব্দশিল্পী, ধন্যবাদ।
@ কনফুসিয়াস, শাফিনকে নারীজাতি সবসময়ই ভালো পায়। সেদিন বেশ রাত হয়ে গিয়েছিলো। অন্য কারো গাইবার কথা থাকলে মেয়েরা হয়তো অনেকেই থাকতো না। শাফিন আসবে শুনে বলতে গেলে কেউই আর যায়নি।
তোমার কামনা কাজে লেগেছে। ঢাকায় আমার দিন আর বেশি বাকি নেই!
@ মৃদুল আহমেদ ভাই, কন কী!
@ নজরুল ইসলাম ভাই, চাচীকে লাগবে কেনো? আপনিই বিচার করেন না সিমনের। বড় ভাই হিসেবে সেই অধিকার আছে না আপনার? আর সাহায্য লাগলে আমি তো আছিই।
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
@ বিপ্রতীপ, সিরাম মজা হইতেছে সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নাই। তয় এখানে আর আগের মতো আখের রস দেখি না
@ আনোয়ার সাদাত শিমুল, ধন্যবাদ ব্রাদার।
@ পান্থ রহমান রেজা, হা হা!
@ শাহেনশাহ সিমন, ধন্যবাদ।
@ দুর্দান্ত, আরে ভাই যা লেখার এখনই লিখে নেই পরে কবে আবার সুযোগ পাবো না পাবো তার কী কোনো ঠিক আছে বলেন? ঢাকায় পথচারিদের আসলে মাছির মতো চোখ দর্কার।
মন্তব্য
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
দারুণ লাগল
শাফিনের কাহিনী পড়ে ব্যাপক মজা লাগল।
আর,
অতন্ত্র প্রহরী - অতন্দ্র প্রহরী...
অনি ভাই, নামে কিবা এসে যায়? অনি আর রনি তাই আমার কাছে একি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
বানান ঠিক করা হইলো
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
ভাল্লাগ্লো না, অমিত! এক্কেবারেই না!!
গতবার কিন্তু আমারো ভাল্লাগে নাই
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
ওহ্, শিরোণাম দেখে বহুকাল আগের সেই খাটাশমার্কা রচনা বইয়ের নাম মনে পড়ল। 'একের ভেতর পাঁচ' বা এই জাতীয় কিছু
আরে ওই জিনিস মাথায় ছিলো দেখেই তো এই নামটা আসছে।
"একের ভেতরে পাঁচ" এর লেখক হরলাল রায় না?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
একটানে পড়ে গেলাম তোমার দিনলিপি। শাফিনের বিষয়টা কি এখন কমন হয়ে গেছে? কেএফসিতে খাবারের দাম কেমন?
থ্যাংকস প্রকৃতিপ্রেমিক'দা। শাফিনের ব্যান্ড ছাড়ার বিষয়টা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়নি। আমি বন্ধু মারফত শুনেছি। আর আগে কাউকে কখনো লিপসিং করতে দেখিনি। এটা শাফিন কেনো করলো কে জানে।
কেএফসিতে খাবাদের দাম চলনসই বলেই মনে হলো। আমাদের তিনজনের মেইন-মিলের দাম পড়েছে ৮৫৫ টাকা। মানে জনপ্রতি ২৮৫ টাকা। এর চেয়ে দামী ফাস্টফুডও ঢাকায় ছিলো। সেই ২০০০ সালেই উইম্পিতে বার্গার-ফার্গার খেতে ২০০ টাকা লেগে যেতো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
খুবই ভালো লাগলো। শাফিনের কাহিনী শুনে হাসলাম প্রচুর, আর প্রহরীকে তন্ত্রহীন করে দেওয়ায় আমোদ পেলাম খুব। কোন তন্ত্রটার অভাব আছে প্রহরীর?
- বিয়ার দাওয়াত? কার বিয়া, কোথায়? বিশদ জানানো হোক!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মজা পাইলাম!...শাফিনের এই অবস্থা!!
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আরে ওই জিনিস মাথায় ছিলো দেখেই তো এই নামটা আসছে।
"একের ভেতরে পাঁচ" এর লেখক হরলাল রায় না?
না খুব সম্ভবত লেখকের নাম গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েন বা এই জাতীয় কিছু।