ঢাকা থেকে ৯: ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: সোম, ২৭/০৭/২০০৯ - ৯:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক

আজ আর গতকাল মিলে বেশ বৃষ্টি হলো। গতকাল বৃষ্টিভেজা রাতে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা দেখেছি। খেলায় সবাইকে এতো আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিলো যে মুহূর্তের জন্যও আমার মনে হয়নি যে আমরা হারতে পারি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আমার শুভেচ্ছা।

এই বৃষ্টির খুব দরকার ছিলো। গরম কমাবার জন্য নয়, কৃষকদের জন্য। প্রতিদিন সংবাদপত্রে পড়ছি আর টিভিতে দেখছি পানির জন্য কৃষকদের হাহাকার। পাটচাষী পাটে জাগ দিতে পারছেন না, বেচে দিতে হচ্ছে পানির দরে। আমন-চাষী আমন রোপন করতে পারছেন না। মাঠের ফসল শুকিয়ে ঝামা হয়ে আছে। প্রথমআলো লিখেছে, উত্তরাঞ্চলে ব্যাঙের বিয়ে দেবার ধুম পড়েছে। মহিলার দল গ্রাম ঘুরে ঘুরে পূজো-অর্চনা করে ব্যাঙের বিয়ে দিচ্ছেন। মসজিদে চলছে বিশেষ মোনাজাত। বৃষ্টির জন্য এতো হাহাকার! সেচ ব্যবস্থার এই হাল আমাদের কৃষি প্রধান বাংলাদেশে!

শুনি তেলের দাম, বিদ্যুত/ব্যাটারির দাম, সব মিলিয়ে হাতে-পেটে-খাওয়া কৃষকের কাছে সেচযন্ত্র রাখা মানে হাতি পোষা। আমার এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিলো। সে এক এনজিওতে কাজ করে। সে বললো দেশি উপাদানে সেচ যন্ত্র তৈরি সম্ভব; খরচ পড়বে মোটে হাজার খানেক টাকা। সরকার চাইলেই হয়। এনজিওগুলো তো আর এ ধরনের প্রোজেক্টে বিনিয়োগ করতে চাইবে না।

দুই

বাঙালির একটা মজার ব্যাপার আছে। সেটা হলো দলাদলি - কারণ ছাড়া দলাদলি। বাঙালি খুব মিশুক জাতি বলে আমাদের মধ্যে একদম অসামাজিক মানুষ তেমন পাওয়া যায় না; আমরা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে চলতে পছন্দ করি। এই চেনাজানার মধ্যেও আমি দেখেছি অবধারিত ভাবেই কিছু উপদল তৈরি হবে যার একটার সাথে আরেকটার খুব একটা বনে না। অন্য দলকে কিংবা দলের সফল ব্যক্তি/ব্যক্তিদেরকে নিয়ে আজে-বাজে কুটচন্ডালিও চলবে।

পরশু রাতে কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস "বাঁধন-হারা" পড়তে গিয়ে এমন মনে হলো। "সমালোচক" এবং "পরশ্রীকাতর" যে এক নয় তা তিনি লিখেছেন। লিখেছেন, "যাকে হরদম দেখতে পাওয়া যায়, এমন একটি ব্যক্তি যে সারা দুনিয়ায় "মশহুর" একজন লোক হবেন, এ আমরা সইতে পারি নে।" এই ব্যাপারগুলো আগেও লক্ষ্য করেছি, এখনো দেখতে পাই। আগেও রবি ঠাকুর, শরৎচন্দ্রের লেখায় বাঙালির চারিত্রিক গঠন নিয়ে এমন দু'এক লাইন লেখা পড়ে চমকে গেছি! এতোদিন হয়ে গেছে এখনো এভাবে লাইনে-লাইনে কিভাবে মিলে যায়। বাঙালির জাতিগত চরিত্র কি এতোটাই দৃশ্যমান? এতোটাই নিরেট?

তিন

বাংলাদেশে আমার আসার হার কমছে। এবার অবশ্য বেশি দিনের ব্যবধান ছিলো না; গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেই দেশে ছিলাম। কিন্তু বৈদেশে যাবার পরে প্রথম ক'বছর যেমন প্রতি গ্রীষ্মে দেশে চলে আসতাম, এখন সেটা আর হয় না। অনেক কিছু হিসেব করে তবেই আসতে হয়। এবার দেশে এসেও মাথায় কাজের চিন্তা জেরবার করে রেখেছে। অনেক কাজ বাকি, অনেক ডেডলাইন সামনে পড়ে আছে। এসব চিন্তা মাঝে মাঝেই দেশে থাকার আনন্দটা কেমন মলিন করে দেয়। ব্যাপারটা খুব দুঃখজনক।

ঢাকায় এবার বেশ ছবি তুলে বেড়াচ্ছি। কারণ আছে বেশ কিছু। প্রথমত প্রবাসে আমার বন্ধুসমাজের প্রায় সবাই ভিনদেশী। ওদের ঢাকা দেখার খুব শখ। অন্তর্জালে ঢাকার ছবি দেখাতে গিয়ে মাঝে মাঝে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। সেখানে ছবি মানেই হয় খুব ঋণাত্মক (বস্তির পরে বস্তি, ভিক্ষুকের পরে ভিক্ষুক) না হলে খুব ধনাত্মক (শপিং মল আর অ্যাপার্টমেন্ট, চেইন রেস্তোরা আর আইস্ক্রিম পার্লার)। আমি চেষ্টা করছি এমন ছবি তুলতে যাতে ঢাকার মাঝামাঝি এবং দৈনন্দিন অবস্থাটা কিছু বোঝা যায়। আর লোভীদের দাপটে যেভাবে ঢাকার পরিবর্তন হচ্ছে, আর যেভাবে মৌলবাদ নড়েচড়ে উঠছে, কখন যে কী হয়ে যায় ভরসা পাই না। তাই আমার ঢাকার ছবি আমি আমার কাছে রাখতে চাই।

আমার তোলা কিছু ছবি দেখাই আপনাদেরকে। ছবি বিষয়ক আরো তথ্যের জন্য ছবিতে ক্লিক করতে পারেন।

© অমিত আহমেদ

তিন নেতার মাজার।
Tinn Netar Mazaar

দোয়েল চত্বর।
Doyel Chottor

রাজু স্মারক ভাস্কর্যের একাংশ।
Raju Memorial Sculpture

শাহবাগ।
The Entrance

প্রায় ১০৫ বছর পুরানো কার্জন হলের পুকুর।
Curzon Hall

আমাদের মিনিবাস।
Our Good Old Mini Bus

পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার। অলংকার বাজার।
Old Town v1


মন্তব্য

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

লেখায় জাঝা চলুক

আমার সুযোগ থাকলে আপনার কাছ থেকে একটু ফটোশপিং শিখতাম ... সাধারণ ছবিকে এইরকম ঝাকানাকা বানায়ে ফেলেন কেমনে?

................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অমিত আহমেদ এর ছবি

মানে বুঝাইলা আমার তোলা ছবি কিছুই না, খালি ফটোশপের কারসাজি নাকি? মিয়া তোমার খারাবী আছে রেগে টং

ধন্যবাদ ম্যান। ফটোশপের অনেক টিউটোরিয়াল আছে। ওগুলো থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। তবে সবচেয়ে কার্যকরি হলো হুদাই কোনো ছবি খুলে নাড়াচাড়া করা। টেপাটেপি করতে করতেই সব শেখা হয়ে যাবে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

স্বপ্নাহত এর ছবি

ছবিগুলা ব্যাপক!

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখা এবং ছবি, সবই অসাধারণ চলুক

মুস্তাফিজ এর ছবি

তাঁতিবাজার গলিতে মাত্র দুইটা রিকসা!!! আশ্চর্য হইলাম

...........................
Every Picture Tells a Story

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

খুবই দারুন ছবিগুলো অমিত ভাই। আপনার লেখা ও ছবি দিয়ে আমার প্রিয় ঢাকাকে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ প্রজাপতি।
আর ক'দিন পরে আমারো এই ছবিগুলোই সম্বল থাকবে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই সিরিজটা ঝাকানাকা হচ্ছে পুরো!

ঊর্ধ্ব, ধরন হবে মনে হয়।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।
"ঊর্ধ্ব"-এর ব্যাপারটা টাইপো মন খারাপ
ধরিয়ে দেবার জন্য আরেকটা ধন্যবাদ হাসি


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জানি... টাইপো বাদে অমিতাহমেদের লেখায় ভুল পাওয়া যায় খুবই কম। এজন্যই তো ধরে মজা। (ওদিকে আরেক পোস্টে অভ্রর কারণে আমি ধরা খেয়ে গেছি। খাইছে )

অমিত আহমেদ এর ছবি

হে হে।
অভ্রের ব্যাপার্টা কী?


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো লাগলো, তবে এবার ছবির সংখ্যা এবং লেখা দুটোই ছোট হয়ে এসেছে।

হিমু এর ছবি

আচ্ছা, বিদেশীদের জন্যে একটা ফোটোবুক তৈরি করলে কেমন হয়? মুস্তাফিজ ভাই সম্পাদনা করতে পারেন। বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ। কেবল ঢাকার ওপর আরেকটা হতে পারে।

আমি একবার আমার এক পোলিশ সহপাঠিনীকে প্রথম আলোয় প্রকাশিত ঢাকা শহরের একটা ছবি দেখিয়েছিলাম। সে বলে, বন্যার কারণেই কি তোমরা এত উঁচু উঁচু বিল্ডিং বানাও? মেজাজটা যা খ্রাপ হইসিল!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অমিত আহমেদ এর ছবি

এমন ফটোবুক আছে বলে জানি তবে খু-ব-ই দুর্লভ; সম্ভবত বাংলাদেশ বিমান কিংবা পর্যটনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হয়েছিলো। ১৯৯৯ সালের দিকে কোনো এক সংবাদপত্রের অফিসে দেখেছিলাম। এছাড়া কিছু আলোকচিত্রশিল্পীর প্রকাশিত পোর্টফোলিও দেখেছিলাম যেখানে শুধু ঢাকারই ছবি ছিলো।

একই বছরে এমন উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন জনৈক কবি। তাঁর সাথে আমরা কিছু তরুন সাংবাদিক এবং ফটোগ্রাফার ছিলাম। আমাদের ইচ্ছে ছিলো ছবির সাথে ইংরেজি ও বাংলাতে বর্ণনা থাকবে। আমি ঢাকার পেটশপগুলো নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছিলাম। পরে নানান কারণে সেই প্রোজেক্ট আর আলোর মুখ দেখেনি।

এমন কিছু করা গেলে দারুণ হবে। তবে যদি বই প্রকাশিত হয়, তবে আমার ধারণা সেই বইও দুর্লভ হবে। এমন বই সহজলভ্য না হলে আসলে প্রকাশ করে লাভ নেই, কারণ আমাদের ফ্লিকার আছে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

তানবীরা এর ছবি

হিমু, খাঁটি ডয়েচ, সব বিষয়ে বই রাখতে হবে ঃ)
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দুর্দান্ত এর ছবি

সুন্দর সুন্দর সব ছবি।

"কার্জন হলের পুকুর। শিক্ষার্থীদের জন্য ১০৫ বছর আগে খুঁড়ে দিয়েছিলেন ঢাকার নবাব পরিবার।"

এখানে '১০৫ বছর', 'শিক্ষার্থীদের জন্য' অথবা 'খুঁড়ে দিয়েছিলেন ঢাকার নবাব পরিবার' এই তিনের যেকোন কোন একটি ঠিক নেই। ভবনটি বানানো হয়েছিল আসাম ও প্রথম বিভক্ত বাংলা (১৯০৫) প্রদেশের রাজধানীর টাউনহল হিসেবে সরকারি পয়সায়। প্রথম বঙ্গভঙ্গ রদ হলে পর সেই ১৯১১ তে এখানে ঢাকা কলেজ হয়, আর তার আরো পরে ১৯২১ সালে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

পুকুরের ব্যাপারটা আমি কোনো সাইট, ব্লগ, কিংবা ফোরামে পড়েছিলাম। তার মানে সেই তথ্যে গলদ ছিলো। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। আপনি যদি নিশ্চিত কোনো তথ্য পান এখানে একটু কষ্ট করে জানাবেন প্লীজ।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমার লাইব্রেরি খুঁজে পুকুর বিষয়ক তথ্য না পেলেও বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত মুনতাসীর মামুনের "ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী" গবেষণাগ্রন্থ বলছে, কার্জন হল টাউন হল হিসেবে নির্মিত হয়েছিলো এই ধারণাটি ভুল। সংক্ষেপে বলি; শরীফউদ্দিন আহমেদের গবেষণা এবং ১৯০৪ সালের "ঢাকা প্রকাশ" অনুযায়ী কার্জন হল নির্মিত হয়েছিলো ঢাকা কলেজের লাইব্রেরি হিসেবে। প্রিন্সিপাল ডঃ রায়ের উদ্যোগে এবং ভাওয়াল রাজকুমারদের পৃষ্ঠপোষকতায় (তাঁরা সেই সময় দান করেছিলেন দেড় লক্ষ টাকা!) এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বড়লাট বাহাদুর লর্ড কার্জন। তিনি তার ভাষণে রাজকুমার বণেন্দ্র নারায়ণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এখানে ছাত্রাবাস, কলেজগৃহ, ক্রীড়াভূমি, অধ্যাপক নিকেতন, ইত্যাদি সব তৈরি করা হবে। যদিও বইয়ে নেই তবে পুরো হলের কাঠামো দেখে ধারণা করা যেতে পারে, সেই সময় এসব কিছুর সাথে পুকুরটিও খোঁড়া হয়েছিলো। লন্ডনের "দ্য টাইমস" এও এই সংক্রান্ত সংবাদ ছাপানো হয়েছিলো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

দুর্দান্ত এর ছবি

বটে। একেই বলে কইয়ের তেলে কই ভাজা। দেশের টাকায় গড়া ভবন শুধু উদবোধন করে নাম দিয়ে গেল এক ফিরিংগী।

ভবনের ভিত্তি ও ইটের জন্য কাছাকাছি বড় দিঘি কাটা হতেই পারে।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

জোশ চলুক

নিবিড় এর ছবি

লেখা আর ছবি দুইটাতেই উত্তম ঝাঝা চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখা আর ছবি দুটোতেই উত্তম জাঝা!

জাহাঙ্গীরনগর ঘুরে আসেন একবার। ভাল লাগবে আশা করি।

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অমিত আহমেদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
ঘুরিয়ে দেখাবেন সেই নিশ্চয়তা দিলে অবশ্যই যাবো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দারুণ লেখা। দারুণ ছবি।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

জিজ্ঞাসু এর ছবি

ছবিগুলো এত সুন্দর!!

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

অমিত আহমেদ এর ছবি

@ স্বপ্নাহত, অনেক ধন্যবাদ ব্রাদার।
@ অতন্দ্র প্রহরী, থ্যাংকস। মিরপুরে কিছু ছবি তুলতে হবে। হাজার হলেও বড় হয়েছি সেখানেই। একদিন চলো মিরপুর ঢালের চাপ খেয়ে আসি। অনেকদিন যাই না ওদিকে।
@ মুস্তাফিজ ভাই, রিক্সা কমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বেশি রিক্সা হলে পায়ে চলা মানুষ আর আর আশে-পাশের দোকানগুলো ঢাকা পড়ে যায়।
@ প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই, এই ক'দিন বলার মতো তেমন কিছু ঘটেনি আসলে। এজন্যই আকার একটু কমে গেছে। ছবিও নেয়া হয়নি গত ক'দিন। নটরডেমে যাবার ইচ্ছে আগামী পরশু। তখন আমাদের কলেজের কিছু ছবি নেবো।
@ শাহেনশাহ সিমন, ধন্যবাদ সিমন।
@ নিবিড়, জাঝার জন্য শুক্রিয়া জনাব।
@ মৃদুল আহমেদ ভাই, ধন্যবাদ। কানাডা কেমন লাগছে এই নিয়ে একটা পোস্ট দেন না?
@ জিজ্ঞাসু, অনেক ধন্যবাদ।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

তানবীরা এর ছবি

আমি ঢাকাকে প্রথমে দেখেছি আমার ডাচ বন্ধুদের চোখে। পুরো ঢাকাতো দূরের কথা, আমাদের সাদা মাটা বাড়িটারে চার কোনা থেকে নব্বই ডিগ্রী এঙ্গেলে যে ছবি ওরা তুললো, আমিতো বিশ্বাসই করতে পারিনি ঐটাই আমার বাড়ি যেখানে বড় হয়েছি।
অমিত, খুব ভালো কাজ করছো, সত্যিই আমাদের এ ধরনের কিছু ছবি দরকার
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রাফি এর ছবি

দারুণ সব ছবি, সেইসাথে লেখা। ঢাকায় প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে; বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ঢাকার ছবি চাই অমিত ভাই; অনেক অনেক ছবি...।।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নটরডেমে যাবার ইচ্ছে আগামী পরশু। তখন আমাদের কলেজের কিছু ছবি নেবো।

ভাই, শনিবার (১ তারিখ )যাইয়েন। শুনলাম সাইন্স ফেয়ার আসে- চামে কিছু ভালো ছবি আমরা পাবো তাইলে...খাইছে.

ভাইয়ের ছবিগুলা ভালা আসছে। বিশেষ করে কার্জনেরটা বেশী জোশ লাগলো।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অমিত লেখে না লেখে না... যখন লেখে তখন ফাটায়া ফেলায়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

শাহবাগের ফুলের দোকানের ছবি তুলেন নি?

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

@ তানবীরা, ধন্যবাদ।
@ রাফি, তলিয়ে যাবার ছবি নিতে পারিনি, তবে বৃষ্টির ছবি তুলেছি কিছু। সময়ের অভাবে সেগুলো আপলোড করতে পারছি না। আশা করি করবো খুব শীঘ্রই।
@ ধুসর গোধূলি, ধন্যবাদ হে ভ্রাতা।
@ শব্দশিল্পী, নটর ডেমে গিয়েছিলাম। ছবি আপলোডানোর সুযোগই পাচ্ছি না।
@ নজরুল ইসলাম, হো হো হো
@ পেন্সিলে আঁকা পরী, নাহ। চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনো দিক থেকেই সাইজ করতে পারলাম না। অতিরিক্ত মানুষ। তার উপরে রোদ এড়াতে ফুল ঢেকে রাখা। কোনো ফাঁকা দিনের বিকেল বেলা গেলে চেষ্টা করা যেতো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।