নটরডেমে যারা পড়েছেন, বিশেষ করে যারা নিয়মিত ক্লাস ফাঁকি দিয়েছেন, তাদের অনেকেরই হয়তো গুরুর সাথে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে। আমার সাথে একাধিকবার হয়েছে।
একদম প্রথমদিনের কথা বলি, আমি এ. সি. দাস স্যারের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রফিক মামুর টংয়ে বসে আছি। বাতেনী আলাপ হচ্ছে। দেখি গুরু একটা বোয়াম থেকে চকলেট বের করে নিচ্ছেন। পরনে রঙচটা ট্র্যাকস্যুট, টিশার্ট। খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। মুখে "হারিয়ে গেছি" টাইপ হাসি। আমি অত্যধিক উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। সে বয়সে কিছু মানুষের জন্য তীব্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা বহন করে ফিরতাম। তিনি শ্রদ্ধার সেই মানুষগুলোর তালিকায় ছিলেন একদম শুরুর দিকে।
পাঠপূর্ব হিতকথা
এটা পূর্ণাঙ্গ গল্প। কিস্তি-টিস্তির বালাই নেই। তাই আকারে প্রকান্ড। আগেই ভাগেই জানিয়ে দেয়া জরুরি মনে করলাম।
এক
প্রথমেই যাঁরা "ঢাকা থেকে" সিরিজটা ধৈর্য্য ধরে পড়েছেন তাঁদের শুভেচ্ছা। এই সিরিজ লিখে শেষ করে প্রবাসে ফিরে আসার পরেও কেনো আরেকটা পর্ব লিখছি প্রথমেই তার কারণ দর্শানো দরকার।
প্রথমত, কিছু ছবি দেয়ার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু ধীর গতির অন্তর্জাল আর ফ্লিকারের কোটা প্রায় ফুরিয়ে যাবার কারণে ঢাকায় থাকাবস্থায় দিতে পারিনি। দ্বিতীয়ত, কিছু টুকরো কথা লিখতে চেয়েও পরে আর সময়াভাবে লেখা হয়নি। এবং তৃতী...
দিন শেষ।
আর ঠিক পাঁচ ঘন্টা পরে আমার বিমান উড়ে যাবে। বাসা থেকে বিদায় নিতে হবে তার দুই ঘন্টা আগেই।
এখন শেষ বেলায় বসে হিসেব কষি - দিনগুলো আমার কেমন গেলো?
হিসেব মেলাতে পারি না।
ইদানিং বাংলাদেশে এসেই আমি চট করে মানিয়ে নিতে পারি না। একটু সময় লাগে - দেশের ভাও বুঝতে; মানুষের ভাও বুঝতে। দেশে বাবা-মা-আত্মীয় আর ছোটবেলার ক'জন বন্ধু ছাড়া কাছের কেউ নেই। ব্লগ, বিশেষ করে সচলায়তন সেই শূন্যস্থান প...
৩১ জুলাই - ২ আগস্ট ২০০৯
এক
অপু ভাইকে (নজমুল আলবাব) নিয়ে কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি সামান্য বিভ্রান্ত হয়ে যাই। সব মানুষের মধ্যেই কিছু ব্যাপার থাকে যেগুলো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অপু ভাইয়ের মধ্যে সেই রকমের ব্যাপারগুলোই বেশি। আমি তাই আমতা আমতা করে বলি, "খুবই ভালো মানুষ! মাটির মানুষ। আমাদের জন্য খুবই টান! বুঝলেন?"
এটুকু বলে আমি ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়ে থাকি। আশা করি ...
ছেলেবেলার একটা গল্প বলি। থাকতাম মধ্য পীরেরবাগ, মিরপুর। এলাকাটা তখন আক্ষরিক অর্থেই সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা। ফলজ আর ওষধী গাছের সারি, তার ফাঁকে ফাঁকে শাপলা-শালুক-কচুরিপানা ভর্তি পুকুর। কাঁচা রাস্তার দু'পাশ জুড়ে ওয়ালী মিয়ার জমিতে সবুজ ঝির ঝিরে ধানি বাতাস। আহ!
সেদিন বিকেলে আমি গেছি পুকুর পাড়ে। গিয়ে দেখি বস্তির চার-পাঁচজন আমার বয়সী ছেলে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওদের সাথে বোম্বাস্টিক ...
এক
আমার বন্ধুর বিয়েতে ওর বোন আর ভাগ্নীরা এসেছিলো আমেরিকা থেকে। আমার আসার অন্যতম প্রধান কারণও ছিলো দোস্তের বিয়ে। তবে দুর্ভাগ্য; নানান ঝামেলায় আসার তারিখ পিছিয়ে একটুর জন্য বিয়েটা মিস করেছি। গতকাল ওরা চলে গেলো। বাসা থেকেই সবার কান্না-কাটি। আমি এসব একদম সহ্য করতে পারি না; তাই একটু দূরেই ছিলাম। বিমানবন্দরে ওদের সাথে যাচ্ছিলাম আমি আর আমার বন্ধু। আমার বোন নেই বলে বন্ধুর বোনদেরকেই ন...
এক
আজ আর গতকাল মিলে বেশ বৃষ্টি হলো। গতকাল বৃষ্টিভেজা রাতে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা দেখেছি। খেলায় সবাইকে এতো আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিলো যে মুহূর্তের জন্যও আমার মনে হয়নি যে আমরা হারতে পারি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আমার শুভেচ্ছা।
এই বৃষ্টির খুব দরকার ছিলো। গরম কমাবার জন্য নয়, কৃষকদের জন্য। প্রতিদিন সংবাদপত্রে পড়ছি আর টিভিতে দেখছি পানির জন্য কৃষকদের হাহাকার। পাটচাষী প...
১৮ জুলাই ২০০৯
আজ ছবির হাটে একটা মিনি সচলাড্ডা হয়ে গেলো। বাংলাদেশের সময় ভেবে আমি গিয়েছিলাম ১৫ মিনিট পরে, কিন্তু গিয়ে দেখি বিপ্লব'দা ছাড়া আর কেউ নেই। পরে আস্তে আস্তে সবাই উপস্থিত হতে শুরু করলেন। এই আড্ডা নিয়ে এক প্যারা লিখে রেখেছিলাম, কিন্তু এখন আর দেবার প্রয়োজন বোধ করছিনা কারণ বিপ্লব'দা এবং এনকিদু ইতিমধ্যেই এই নিয়ে দু'টো পোস্ট দিয়ে দিয়েছেন [[url=http://www.sachalayatan.com/biplobr/25780]বিপ্লব'দার প...
গতকাল গিয়েছিলাম মাস্টারবাড়ি। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে পোড়াবাড়ির দিকে গেলে মাওনা বলে একটা জায়গা পড়ে। সেখান থেকে একটু দক্ষিণে হেঁটে যেতে হয়। ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয়; তবে গ্রামের গন্ধ পেতে হলে খুব বেশি দূরে কিন্তু যেতে হয় না। বাংলাদেশ এখনো গ্রামের দেশ। শহর থেকে গাড়িতে ঘন্টা-আধা ঘন্টা দূরত্বে গেলেই গ্রামে চলে যাওয়া যায়।
পুরোদমে ঢাকার সন্তান হলেও আমার সৌভাগ্য; যে এলাকাতে বড় হয়েছ...