লেখাটা হিমুর ব্লগে দিয়েছিলাম। এখানেও দিলাম।
=============================
ইংরেজীতে কন্সপিরেসি থিওরী বলে একটা কথা আছে। মানুষ খুব সহজেই কন্সপিরেসি থিওরীতে বিশ্বাস করে এবং বিভ্রান্ত হয়। একটু খুঁজলেই নানা পদের কন্সপিরেসি থিওরীর হদিস পাওয়া যাবে, এই ব্লগেও। 'আইনস্টাইন চুরি করে পিএইচডি করেছিলেন', 'নাইন-ইলেভেন আমেরিকানরাই ঘটিয়েছিল', 'ডায়নাকে হত্যা করা হয়েছিল' ইত্যাদি। এখন আরেকটা কন্সপিরেসি থিওরী খুব ভাল মত বাজারজাত করা হইছে - এ থিওরীর নাম ' মুন হোক্স'। একটা সময় ছিল লোকজনকে খুব কষ্ট করে জ্ঞান সাধনা করতে হত। ইউরোপে গ্যালিলিও, কেপলার, ব্রুনোর মত জ্ঞান সাধক জন্মেছিলেন, যারা নিরলসভাবে বৈজ্ঞানিক সত্যের সন্ধান করে গেছেন। আর আজ? এই তথাকথিত উত্তরাধুনিকতার যুগে ইউ-টিউবের একটা বাটনে ক্লিক করলেই কিংবা একটা ফক্স চ্যানেল দেখলেই জ্ঞান অর্জিত হয়ে যায়। সে জ্ঞান আবার অভূতপূর্ব। সে জ্ঞানের ফল্গুধারায় ধর্মগ্রন্থের সুরা কিংবা স্লোকে যেমন বিগ-ব্যাং খুঁজে পাওয়া যায়, তেমনি এক ফুৎকারে বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম আর সাধনাকে 'হোক্স' বলেও চালিয়ে দেওয়া যায়। নাসার শত শত বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার - যাদের অনেকেই আবার অধ্যাপক , কিংবা অন্য সম্মানিত পদে আছেন - তাদের নিরলস সধনা কিছুই নয় -' কেবল হোক্স'?
এই হোক্স প্রচারে পুরোধা ছিলেন ফক্স টিভি নেট ওয়ার্ক– যারা “Conspiracy Theory: Did We Land on the Moon?'” নামে একটি ‘ডকুমেন্টরি’ প্রচার করে ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারীতে। ওখানে ইনিয়ে বিনিয়ে নানা ভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয় যে ১৯৬৯ এর চন্দ্রাভিযান ছিল পুরোটাই মিথ্যা- ফেক! তারপর-ই এই ‘হোক্স’ নানা প্যাকাটে বাজারজাত হয়ে বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই হোক্সের জবাব বহুভাবেই দেওয়া যায়। প্রাক্টিকাল উডাহরণ দেই একটা। যারা লেজার নিয়ে গবেষনা করেন (লেজার পদার্থবিদ ) তারা জানেন, চাঁদের দিকে তাক করে লেজার ছুড়ে মারা হলে তা লেজার রিফ্লেক্টরে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। সেই লেজার রিফ্লেক্টর চাঁদে কোত্থেকে এল, কেউ যদি ১৯৬৯ সালে চাঁদে না নেমে থাকে? হোক্সের মুল আর্গুমেন্টটা হল চাঁদে বাতাস নেই, তবে কিভাবে ভিডিওতে নীল আর্মস্ট্রং পতাকা উড়তে দেখা গিয়েছিল? এটা তো সহজেই বোঝা যায়, ব্যাপারটাকে চিত্তাকর্ষক বানানোর জন্য ইচ্ছে করেই ফ্ল্যাগটাকে আর ফ্ল্যাগের ডান্ডাকে এমনভাবে নাসার বিজ্ঞানীরা বানিয়েছিলেন হয়েছিল যেন সাধারণ দর্শকের মনে হয় ফ্ল্যাগটা উড়ছে। নীচের ছবিটা দেখুন।
হরিজিনাল ডান্ডাটা খেয়াল করুন। ওইটা থাকার কারণেই মনে হয়েছে যে পতাকাটা ঊড়ছে। এ ছবিটাকেই এবার ছোট করে পিসিতে দেখুন, মনে হবে হরিজিনাল ডান্ডা নেই, এমনিতেই পতাকা উড়ছে। হয়ে যাবে ফক্সের বানানো হোক্স। এরকম সবগুলো হোক্সকেই খন্ডন করা যায় (নীচে আমি কিছু লিনক দিয়েছি)। সে সময় মহাকাশে মহাকাশযান প্রেরণ নিয়ে আমেরিকার সাথে রাশিয়ার এক ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল। আমেরিকা আগে চাঁদে মানুষ পাঠানোকে সোভিয়েত রাশিয়ার এক বড় পরাজয় হিসেবে দেখা হয়েছিল। রাশিয়া কখনওই তখন আমেরিকাকে ছেরে দিত না যদি তারা মনে করত এর মধ্যে সামান্যতম হোক্স বলে কিছু আছে। এপেলো ১১ এর পরো তো চাঁদে গেছে রেঞ্জার, সারভাইভার অরবিটার। সব মহাকাশযাত্রাই কি হোক্স? মানুষ হাবিজাবি গিলতেও পারে বাবা। বলি পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা তো আর সব গাজারু না। ওটা হোক্স হলে এতদিন ধরে তা ধামাচাপা দিয়ে রাখা যেত না। নাসার বিজ্ঞানীরাই সবার আগে হুইসেল বাজিয়ে তা জানিয়ে দিত, ফক্স টক্স আর লাগত না। বিজ্ঞানীরা ত চাঁদ থেকে বহুবারই চাঁদের মাটি, পাথর সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছে। স্পষ্ট করেই বলি, পৃথিবী থেকে টোকান পাথরকে কখনই বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের সামনে 'চাঁদের পাথর' বলে চালানো যায় না। সরি। চাঁদ থেকে আনা এরকম পাথর রয়েল এস্ট্রোনোমিকাল সোসাইটিতে রাখা আছে। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তা পরীক্ষাও করেছেন। ওই পাথরগুলোর সাথে যদি পৃথিবীর পাথরের মিল পাওয়া যেত, তবে এতদিনে তা জানাজানি হয়ে যেত। এরকম হাজার হাজার উদাহরণ দেওয়া যায়।
আমি একটা ভাল বইয়ের নাম বলি - Bad Astronomy: Misconceptions and Misuses Revealed, from Astrology to the Moon Landing "Hoax" লেখক - Philip C. Plait । বইটা পড়লে হোক্স ভীতি (নাকি হোক্স প্রীতি) কেটে যাবে বলে এই অধমের বিশ্বাস। আমি ভাল কিছু লিঙ্ক-ও দিলাম, দেখুন যাচাই বাছাই করেঃ
http://www.badastronomy.com/bad/tv/foxapollo.html
http://pirlwww.lpl.arizona.edu/~jscotti/NOT_faked
http://pirlwww.lpl.arizona.edu/~jscotti/NOT_faked/FOX.html
http://www.badastronomy.com/bad/misc/apollohoax.html
http://users.erols.com/igoddard/moon01.htm
http://homepages.wmich.edu/~korista/moonhoax2.html
http://www.the-indigestible.com/specials/moon.htm
http://www.straightdope.com/mailbag/mmoonhoax.html
http://www.redzero.demon.co.uk/moonhoax
http://www.crank.net/apollo.html
ভাবছিলাম আইন্সটাইন নিয়ে বজলুর রহমানের পয়েন্টগুলো একটু ভাল মত আলোচনা করব, আজ আর হল না বোধ হয়।
মন্তব্য
আমারই তো বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে যে ওটা একটা হোক্স ছিল। এই ব্যাপারটাই আসলে মানুষ টানে। বড় কোন এচিভমেন্টকে মানুষ ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঠিক! হোক্স না থাকলে জমেনা ,,,,বিশেষ করে পার্টি জমানোর জন্য লাগে
তবে ডায়ানার মৃত্যু নিয়া আমার বেশ সন্দেহ আছে ,,,, এমন টাইমিং!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এই হরিজিনাল ডান্ডা তো আগে দেখি নাই! চিত্তাকর্ষক বানাতে গিয়ে তো আরো বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
চাঁদে যাওয়া বিষয়ক কনস্পিরেসি থিওরী বোঝা খুব কঠিন নয় । এটা ভুয়া এটা আমরা মানি । এরকম ভুয়া তত্ত্ব আরো আছে । তাই বলে সব তত্ত্ব ভূয়া এটা মানতে আমার আপত্তি আছে । আমি ৯১১এর তত্ত্বগুলো নিয়ে পড়াশোনা করে দেখেছি । ওগুলো অনেকগুলোই বেশ কনভিন্সিং । খিয়াল কৈরা ...
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাস্যকর; হা, হা, হা, হা! বলে যাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করতে চান, তাঁদের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও প্রথমে নিশ্চিন্ত হয়ে নেওয়া ভাল। যদি পৃথিবীতে ষড়যন্ত্র বলে কিছু না-ই থাকত, তাহলে হয়ত এই শব্দটাই সৃষ্টি হত না। বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝামাঝি অবস্থানটাই বেশি নিরাপদ, যখন আমাদের হাতে যথেষ্ট উপাত্ত থাকে না বিচারের, এবং সেই মিশ্রণের পাল্লাটাও হওয়া উচিত সম্ভাবনা তত্ত্বের সূত্র অনুসারে হেলানো।
১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার অসংখ্য ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আছে, যার অধিকাংশ বর্জনযোগ্য, কিন্তু সবগুলো নয়। উৎসাহী পাঠক ইন্টারনেটে দেখে নিজেই বিচার করতে পারেন।
ডায়ানা ছাড়াও যাদের মৃত্যু এখনো রহস্যে ঢাকা, তাদের মধ্যে আছেনঃ নেপোলিয়ন (আর্সেনিক), ইয়াসির আরাফাত (স্পষ্ট বিষ ক্রিয়া), বৃটিশ অস্ত্র বিশেষজ্ঞ কেলি (অবিশ্বাস্য আত্মহত্যা), ক্লিন্টনের হোয়াইটওয়াটার কেলেংকারীর অন্যতম অভিযুক্ত বন্ধু (আরেকটি সন্দেহজনক আত্মহত্যা), আমেরিকার একদা বন্ধু ইরানের শাহ এবুং ফিলিপিন্সের মার্কসের অকাল মৃত্যু -- এই সব মৃত্যুই কোন অমিত ক্ষমতাবানকে প্রয়োজনীয় সময়ে লাভবান করেছে। সব ক্ষেত্রেই কি আমরা ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা হেসে উড়িয়ে দেব?
ধর্মের বিস্তৃত গঠনেও কি ষড়যন্ত্র দেখা যায় না? লোক-মানসের ওপরে পুরোহিত শ্রেণী কিভাবে কৌশলে অপ্রমাণযোগ্য পারলৌকিক শাস্তি আর পুরস্কারের ভীতি ও প্রতিশ্রুতির অস্ত্র ব্যাবহার করে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করেছে, সমাজকে বিভাজিত করেছে। 'আমরাই বিধাতার নির্বাচিত গোষ্ঠি' এই ধর্মীয় ধারণা, মূসার পলায়নের সময়ে লোহিত সাগর ফাঁক হয়ে যাওয়া, মেরাজের রাতে বোরাকে চড়ে স্বর্গ-জেরুসালেম সব ঘুরে আসা এবং সাত আসমানের পরে বিধাতার সাথে অন্তরঙ্গ আলাপ করা (তিনি আবার সব খানেই আছেন, তা-ও বলা হয়), মৃত্যুর পরে যীশুর পুনরুথথান, পিতা ছাড়াই তাঁর জন্ম, শ্রীলংকার রাজার দশ মাথা এবং অন্য অসংখ্য অবিশ্বাস্য পৌরাণিক গল্প -- এ সব চ্যালেঞ্জ করলেও কি তা হবে ষড়যন্ত্রবাদীদের সঙ্গে যোগ দেওয়া?
বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যে একপেশী মূল্যবোধ দেখাচ্ছেন তা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে, বা পশ্চিম বঙ্গে কমিউনিস্ট দলের উথথানের পরে ইউনুসের বাংলাদেশে মাইক্রোপুঁজিবাদী তৈরীর মহাপরিকল্পনা - যাতে এ দেশ চিরকাল দারিদ্রসীমার মাইনাস এপ্সিলন থেকে প্লাস এপ্সিলনে পৌঁছে এপ্রপ্রিয়েট পভার্টি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে -- এই ধারণার মধ্যে কি নিছক পাগলামিই আছে?
সাধু সাধু
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
এই বিষয়ে পরে কিসিঞ্জার, রামসফেল্ড আর কুব্রিকের স্ত্রীর বক্তব্য জানতে পারলে ভালো লাগতো। নাসার জবাবের ডিটেলস কোথায় পাওয়া যাবে কেউ বলতে পারলে ভালো লাগতো।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
তবে নাসার মামুরাও রিয়াল ভুদাই ,,, এইরকম একটা ঐতিহাসিক ঘটনার টেলেমেট্রিক টেপ, হাইরিজোল্যুশন ভিডিও, মেশিনের ডিজাইন, ব্লুপ্রিন্ট এইসব হারাইলে পাবলিক তো ভেজাল খুঁজবই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অভিজিৎদা,
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। ফক্সের প্রচারে আমিও কনফিউজড ছিলাম বেশ অনেক দিন। একটা পুরোনো লেখাও ছিল আমার (কোট করলাম)। এনিওয়ে বিচিত্র দুনিয়ায় কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা সেটা সাদাকালোয় বলা কঠিন।
পরিশেষে একটাই অনুরোধ, পোস্টের জবাবে পোস্ট না দিয়ে মন্তব্যে রাখাই ভালো। আমাদের ডেইলী পোস্ট কোটা কমানো হয়েছে, তাই ঠিক পোস্টের লেখাটাই পোস্ট করুন, জবাব জমুক মন্তব্যে...
আসলে লুনার রিফ্লেক্টর/চাঁদের মাটির স্যাম্পল কোনকিছুই এইচ-বিদের থামাবেনা .... কারণ সেজন্য মানুষকে চাঁদে যেতে হবে সেটা জরুরী না
ভ্যান এলেন রেডিয়েশন সত্যি হইলে তো ছয়বারের একবারও যাইতে পারার কথা না
এত ক্যাচাল না কইরা এখন আরেকবার পাঠাইয়া দেখাইয়া দিলেই তো ল্যাঠা চুকে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
রূপ, সব প্রশ্নের জবাবই কিন্তু দেওয়া আছে আমার দেওয়া লিনক গুলোতে
যেমন, কেন তোলা ছবিতে চাঁদের আকাশে তারা দেখা যায় না:
http://www.badastronomy.com/bad/tv/foxapollo.html#stars
কেন চাদের মাটিতে একেক বস্তুর ছায়া একেক রকম যেখানে আলোর উৎস সূর্য কেবল
http://www.apollo-hoax.me.uk/strangeshadows.html
http://www.badastronomy.com/bad/tv/foxapollo.html#parallel
কেন বিভিন্ন সহানে তোলা ছবির ব্যাক গ্রাউন্ড দেখতে একই রকম
http://www.badastronomy.com/bad/tv/foxapollo.html#backgrounds2
কিভাবে নভোচারীরা ভ্যান হেলেন বেলট এর মারাত্বক রেডিয়েশন থেকে বেঁচে গেলেন যেখানে মরন নির্ঘাৎ?
http://www.badastronomy.com/bad/tv/foxapollo.html#radiation
ইত্যাদি
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
ইয়ে, লেখাটা পড়ে মনে হতে পারে আমিও কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের চাঁই! যেভাবে হোক্সপ্রীতির কথা বললেন আমি তো ভয় পেলাম!
হাঁটুপানির জলদস্যু
ছি ছি, কি বলেন। আপনার নাম ত উল্লেখ করি নাই মূল লেখার কোথাও
==============================
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
আমি ২০০১ সালে যখন প্রথম শুনি তখন উড়িয়ে দিয়েছিলাম। গতকাল দুপুরে জার্মানির এক প্রাইভেট চ্যানেলে কিসিঞ্জার,রামসফেল্ড আর স্ট্যানলী কুব্রিকের স্ত্রীর বক্তব্য শুনে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
"সে সময় মহাকাশে মহাকাশযান প্রেরণ নিয়ে আমেরিকার সাথে রাশিয়ার এক ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল। আমেরিকা আগে চাঁদে মানুষ পাঠানোকে সোভিয়েত রাশিয়ার এক বড় পরাজয় হিসেবে দেখা হয়েছিল। রাশিয়া কখনওই তখন আমেরিকাকে ছেরে দিত না যদি তারা মনে করত এর মধ্যে সামান্যতম হোক্স বলে কিছু আছে। "
আমার বুদ্ধিবৃত্তির যে অবস্থা, তা নিয়ে বিজ্ঞান-বিষয়ক বিতর্কে যাবার প্রশ্নই ওঠে না। তবে ওপরোক্ত যুক্তিটিকে আমার অকাট্য মনে হয়েছে।
লেখাটি পড়ে অতীব আনন্দ পেলাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এরা নিশ্চিতভাবেই কেউ ঠাটারি বাজার যায় নাই,এ বিষয়ে অন্তত; কোন বিতর্ক নেই।
ঠাটারি বাজার বিষয়ে আমিও শিউর।
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
টানবাজারে গেছিল কোনদিন? কেউ কইতে পারবেন সুনিশ্চিত ভাবে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
হুমমমমম
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এটা কনসপেরেসী থিওরী বলার জন্যে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করা ভাল মনে হয়। কারন কোর্টে একটা মামলা উঠেছে।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
হে হা হা !
আপনারা পারেনও মানুষ যে চান্দে যাতায়াত করে তাতো বেদেও আছে।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
কালকে ইস্নিপস থিকা নামাইয়া "ফটিকলাল" শুনলাম...
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
এমনিতে পাবলিক ইভেন্টে হোক্স করা কোনোমতেই সহজ নয়। যা সবাই দেখছে, সবাই জানছে, তাতে কারচুপি করতে গেলে অনেক লোকবল লাগে। আর সব লোকই কি আর বিশ্বাসী হয়? তাই সত্যি তো বেরিয়েই আসে ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
একটা ছোট ঠেলা
অসাধারন একটি লেখা, কিন্তু অরূপদার সব প্রশ্নের উত্তর কিন্তু পাই নাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন