সচলায়তনের সবাই যাঁকে চিনেছেন “মুহম্মদ জুবায়ের” নামে, তিনি আমার “মুকুল দাদা”। গত শতাব্দীর সত্তর দশকের মাঝামাঝি তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে -- ঠিক কবে কিংবা কোন্ জায়গাটিতে, মনে পড়ে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে তিনি ছিলেন আমার চেয়ে কিঞ্চিৎ জ্যেষ্ঠ। দুজনই ছিলাম সূর্যসেন হলের বাসিন্দা। গোড়া থেকেই, জানি না কেন, তিনি আমাকে অবাধ অধিকার দিয়ে দিয়েছিলেন ডাকনাম সহযোগে তাঁকে ডাকবার। সেই থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন আমার প্রিয় “মুকুল দাদা” -- কখনও শুধুই “দাদা”।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শেষের দিকে যখন আশেপাশের সবাই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল যে তাঁর একমাত্র বোন -- বাংলা বিভাগের মেধাবী ছাত্রী সেলিনা সুলতানা -- এবং আমার মধ্যে প্রণয় চলছে, তখন মনে মনে আমি মুকুল দাদার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে কিছুটা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারিনি। বিত্তবৈভব এতদিনেও কিছু জোটাতে না পারলেও তথাকথিত “পদমর্যাদার” কারণে সমাজসংসারে আজ আমাকে মোটামুটি “সফল মানুষ” বলতে হয়তো কেউ আপত্তি করবে না, কিন্তু সেই সময় আমি তো নিতান্ত নিরীহ এক অপোগণ্ড বালক ছাড়া আর কিছু নই। অধ্যাপক পিতার একমাত্র কন্যা আমাকে কেন ভালোবাসতে গিয়েছিল তা সে-ই বলতে পারে, কিন্তু সব জেনেও মুকুল দাদা কেন আমাকে তাঁর সস্নেহ প্রশ্রয়দান অব্যাহত রেখেছেন তা বুঝতে পেরেছি অচিরেই। “সন্ন্যাসী” ভ্রাতাটি সে-কথা আপনাদের জানিয়েছে। অনন্যসাধারণ ছিল মুকুল দাদার হৃদয়ের ঐশ্বর্য, আত্মার উষ্ণতা। আর ব্যক্তিস্বাধীনতার বিষয়ে তিনি ছিলেন একান্তরূপে বিশ্বাসী। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কতোবার কতোভাবে তাঁর অসামান্য উদারতা ও অতুলনীয় হৃদয়বৃত্তির পরিচয় পেয়েছি তার বর্ণনা দিতে গেলে চোখের জল এ লেখা আড়াল করে দেবে।
আমাদের বিয়ে হয়েছিল মুকুল দাদার বাসাতেই। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের অনেক তরুণ নক্ষত্র সে-অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাসার সিঁড়িতে-মেঝেতে বিচিত্র সুন্দর আল্পনা এঁকে দিয়েছিলেন মুকুল দাদার অতি ঘনিষ্ঠ সুহৃদ কৃতী শিল্পী হাবিব ভাই -- কাজী হাসান হাবিব। তিনি চলে গেছেন আরো আগে, যখন তাঁর বয়স মাত্র চল্লিশ।
বিয়ের পর ব্যাচেলর মুকুল দাদার বাসায় একসঙ্গে বেশ কিছুদিন ছিলাম আমরা। সম্ভবত আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন স্বপ্নময় দিন ছিল সেইসব দিন। বই পড়া, লেখা, খেলা, গান শোনা, আড্ডা -- সব মিলিয়ে সে এক বিরামহীন উৎসব। সেই উৎসবে আজকের পরবাসী “সন্ন্যাসী” এবং সর্ববিদ্যায় পারদর্শী আনিস মাহমুদও সঙ্গী ছিল আমাদের। ভাইবোনদের এমন নিবিড় বন্ধুত্ব কোথাও আর দেখিনি।
মুকুল দাদা আমেরিকা চলে গেলেন (তাঁর ভাষায় “ভাগ্যান্বেষণে আমেরিকা যাত্রা”) ১৯৮৬ সালের ৩০ জুন -- তাঁর একমাত্র ভাগ্নে রঙ্গনের জন্মের পরদিন। তারপর এতগুলো বছর ধরে বছরের পর বছর আমরা সবাই কেবলই আশা করে গেছি, আবার জমবে সেই উৎসব; দাদা দেশে ফিরে আসবে, হাসি-আনন্দ-মজায় আবার মেতে উঠবো সবাই।
সেই প্রতীক্ষায় কখন নীরবে এসে যোগ দিয়েছে আমাদের ছেলে রঙ্গন। মামাদের নিয়ে তার গর্বের অন্ত নেই। বহুদিন রাতের বেলা ছাদে হাঁটতে হাঁটতে সে আমাকে বলেছে পরবাসী মামাদুটি ফিরে এলে কী তুমুল আনন্দময় কর্মযজ্ঞে সে যোগ দেবে তাদের নিয়ে। বড়ো মামাকে সে প্রায়ই পেয়ে যেতো ইয়াহু মেসেঞ্জার-এ, পৃথিবীর দুইপ্রান্তে বসে চুটিয়ে গল্প চলতো মামা-ভাগ্নের।
মুকুল দাদা ফেরেননি। কিন্তু যতদিন বেঁচেছেন, ফেরার স্বপ্ন লালন করে গেছেন নিরন্তর। জীবনের প্রয়োজন আর দাবির কাছে পরাভব মানতে চাননি। কিন্তু ফেরা তাঁর হয়নি।
১৯৯৭ সালে আমেরিকার দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্যে যেতে হলো আমাকে। দাদা শুনেই বলেছিলেন, “ডালাসে এসে পড়ো।” এবং “এসে পড়াটা” আমার ওপর ছেড়ে দেননি। অচিরেই ডাকে এসে পড়লো ডোমেস্টিক ফ্লাইটের টিকেট। নানা জায়গায় কাজ সেরে যথাসময়ে আটলান্টা থেকে ডালাস চলে গেলাম। এক সপ্তাহ ছিলাম। মাস কয়েক অন্য একটি দেশে কাটিয়ে সেখানে গিয়েছি -- প্রবাস থেকে প্রবাসে -- সেটা ভেবে কী বিচিত্র উপায়ে আমার পছন্দের রকমারি দেশি খাবার দাদা ও ভাবী হাজির করেছেন প্রতিদিন, ভাবলে অবাক হই। অফিস থেকে ছুটি নিয়েছেন দাদা; আমাকে খুশি করার জন্য, আনন্দ দেবার জন্য প্রতি মুহূর্তে তাঁর প্রাণান্ত চেষ্টা। আমি বলেছি, আমি গিয়েছি শুধু তাঁদের সঙ্গে গল্প করার জন্যে। তবু ছাড়েননি, নানা জায়গায় বেড়াতে নিয়ে গেছেন, নিজে ড্রাইভ করে ডোরাসহ আমাকে নিয়ে গেছেন দূরের স্যান অ্যানটোনিও শহরে। বাসায় প্রতিদিন ডিনার সেরে দুজন আধো অন্ধকারে বসে অনেক রাত পর্যন্ত গল্প করেছি। আমাদের কথা, আত্মীয়স্বজনদের কথা, ছেড়ে-যাওয়া বন্ধুদের কথা, দেশের কথা -- সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চেয়েছেন দাদা।
কয়েক দিন আগে ডোরা বলেছে, সবসময় “বাংলাদেশ বাংলাদেশ” করতো ওর বাবা। কতো যে সত্যি সে-কথা! মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও সেই সময়ের স্বপ্ন অনির্বাণ জেগে থাকতো তাঁর চেতনায়। পৃথিবীর অন্য পিঠে বসে দেশের সমস্ত খুঁটিনাটি খবর নিয়মিত রাখতেন। দেশ নিয়ে আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশায় বিরামহীন দুলতো তাঁর হৃদয়। দেশের প্রতি মমতা ও ভালোবাসায় তাঁর হৃদয় আনত হয়ে থাকতো রাত্রিদিন।
বাংলায় লেখালেখির জন্য অনেক বছর আগে মুকুল দাদাকে “বিজয়” পাঠিয়েছিলাম। কীভাবে সেটা ইন্সটল করতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে তা-ও বিস্তারিত লিখে পাঠিয়েছিলাম। কী যে খুশি হয়েছিলেন তিনি! টেলিফোনে তাঁর উষ্ণ ভরাট কণ্ঠ থেকে সে-আনন্দ শতধারায় ঝরে পড়েছিল। অচিরেই কমপিউটারে বাংলা লেখা তাঁর রপ্ত হয়ে যায়। তারপর দুজন দুজনকে বাংলায় অনেক ই-পত্র লিখেছি আমরা। চিঠির জবাব দিতে দাদার কখনও দেরি হতো না। সম্প্রতি কিছুদিন আমার জঘন্য ব্যস্ততার কারণে তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ কেবল মাঝে মাঝে টেলিফোনে কথোপকথনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। সবশেষ কথা হয়েছিল ডোরাকে অস্টিন রেখে আসতে যাবার ঠিক আগে।
সচলায়তনের বন্ধুদের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। দেশে ফিরে গিয়ে নিজের জীবনের যে সার্থকতা খুঁজে নেবার স্বপ্ন ছিল মুকুল দাদার, তার একটুখানি হলেও যেন তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন সচলায়তনের লেখালেখি আর এখানকার সকলের উজ্জ্বল সাহচর্যের মাধ্যমে। দাদার অন্তিম দিনগুলোতে টেলিফোনে খবর নেবার পাশাপাশি আমরা সচলায়তনের পৃষ্ঠাতেও বারবার ফিরে গেছি তাঁর অবস্থার সর্বসাম্প্রতিক খবর জানতে। তাঁর জন্য সকলের ব্যাকুলতা, অকৃত্রিম শুভকামনা ও শোকার্ত অনুভূতি তাঁর পরিজনদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। পুত্রশোকে অধীর মা এবং ভাই-হারানো ভাইবোনদের এই দুঃখের দিনে সচলায়তন এভাবে হয়ে উঠেছে বড়ো একটি সান্ত্বনার উৎস।
মনে পড়ে, ডালাসের সেই সাত দিন দ্রুত শেষ হয়ে এসেছিল। মুকুল দাদা আমাকে এয়ারপোর্টে নিয়ে যাচ্ছেন। আর কেউ নেই গাড়িতে। দুজনের কারো মুখে কোন কথা নেই। এয়ারপোর্টে পৌঁছে চেক-ইন সেরে দুজন অনেকক্ষণ বসে রইলাম পাশাপাশি। কথা নেই। শেষ মুহূর্তে দাদা নিচু গলায় বললেন, “জানো, একটা কথা আজকাল প্রায়ই খুব মনে হয়।”
আমি প্রশ্নবোধক চোথে তাকিয়ে রইলাম।
দাদা আরো নিচু গলায় বললেন, “What a tangled web we weave...”
মন্তব্য
সচলায়তনে স্বাগতম।
আরো ধন্যবাদ জানাই শৈশবের "পিনোকিও"র জন্যে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আপনিই সেই পিনোকিওর আসাদুজ্জামান? আপনারা সবাই মিলে তো দেখছি এক রত্নখচিত মুকুটসম পরিবার! জুবায়ের ভাইয়ের কথা তো বলার কিছুই নেই, আনিস ভাই বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সাম্রাজ্যের অন্যতম সেনাপতি, আর সন্ন্যাসীর ক্ষেত্রে বলতে হবে, আমরা তাঁর যতটুকু দেখে মুগ্ধ হই, সেটা তাঁর অমিত প্রতিভার অতি ক্ষুদ্র খণ্ডাংশ মাত্র... আর এর মধ্যে যুক্ত হলেন আপনি!
ধন্য বোধ করছি এমন একটি পরিবারের কাছাকাছি আমরা আসতে পেরেছি ভেবে..
স্বাগতম সচলায়তনে। বড় খুশি হব যদি নিয়মিত লেখেন!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
স্বাগতম। ভালো লাগল। এখানে আরো লিখবেন আশা করি। আপনারাই মনে হয় সবচেয়ে বড় সচল পরিবার।
আমার প্রবাস জীবনের সবচে নিকটতম বন্ধু ছিলেন জুবায়ের ভাই।ডালাস-অটোয়ার দূরত্ব অতিক্রম করে আমরা হয়ে উঠেছিলাম পরস্পরের কাছের মানুষ,আপনজন। আমাকে বুঝতেন তিনি। আমিও বুঝতাম তাকে।জীবনের গভীর-গোপন সবকিছুই আমরা শেয়ার করতাম অকপটে।অসাধারণ এই মানুষটার এরকম চলে যাওয়া আমাকে নিঃসংগ করে দিয়েছে।মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যায় হাস্কি গলার চকিত সম্ভাষণে-কহেন কবি কি করেন?
আপনার লেখাটা আমাকে শোকার্ত করে তুললো আবারো।
সচলায়তনে আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো। কী চমৎকার হস্তাক্ষর ছিলো আপনার আসাদুজ্জামান!
দীর্ঘশ্বাস রঞ্জু ভাই!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
চমৎকার লেখা। আপনাদের পরিবারের সকলের গুণের পরিচয় ধীরে ধীরে মিলেই চলেছে। মুগ্ধতা প্রকাশের ভাষা নেই। খুব ভাল লাগছে আপনাকে সচলায়তনে দেখে। স্বাগতম। আশা করব নিয়মিত লিখবেন।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
মুহম্মদ জুবায়েরের জীবন ও কর্মকান্ড থেকে আমরা বোধহয় কিছু জরুরি শিক্ষা নিতে পারি।
আসাদুজ্জামান, সচলায়তনে আপনাকে স্বাগতম।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আসাদুজ্জামান ভাই, সচলায়তনের উঠোনে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে। জুবায়ের ভাইয়ের শূন্যতা পূর্ণ হবে না জানি। আপনারা থাকলে শোকগুলো শক্তিতে রূপায়িত করার চেষ্টা করতে পারবো আমরা।
সচলায়তনে স্বাগতম। আর আপনার লেখার ব্যাপারে কী বলবো ? শোক আর শিল্পকে পাশাপাশি হাঁটিয়েছেন। অভিনন্দন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ছবিগুলো মনে হয় ঠিকভাবে যুক্ত হয় নি, আমি দেখতে পাচ্ছি না। মডুগণ কি ঠিক করে দেবেন?
সচলায়তনে স্বাগতম। আপনি, আনিস মাহমুদ - নিয়মিত সচলায়তনে লিখলে জুবায়ের ভাই-ই মনে হয় সবচেয়ে বেশি খুশী হতেন। বাংলায় 'পিনোকিও' পড়েছি ছোটবেলায়। 'আসাদুজ্জামান' নামটাও মনে পড়ছে!
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
বাহ, নিকটজনদের যত লেখা পড়ছি, জুবায়ের ভাই তত জেগে উঠছেন।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
সচলায়তনে স্বাগতম আসাদুজ্জামান ভাই। আপনাদের একের পর এক স্মৃতিচারণ পড়ে মুগ্ধ হচ্ছি। ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সুন্দর লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
(বিঃ দ্রঃ শৈশবে পড়া বইয়ের লেখককে একই প্ল্যাটফর্মে পেয়ে আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি)
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমার হাতে আর কোন তারকা অবশিষ্ট নেই , সচলায়তন পাঁচটা তারাই বরাদ্ধ করেছেন আমাদের জন্য, কিন্তু পাঠকের মুগ্ধতা যে কখনও কখনও পাঁচ তারাকেও ছাড়িয়ে যায় সেটা এই লেখা পড়ে অনুভব করতে পারছি। দু'চোখ ভরে জল এসেছে, আমি লুকাতে পারছিনা, আমার কলিগরা আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে..আমি আমার ডেস্কে বসে ভেজা চোখ দুটো উপরের দিকে তুলে ধরেছি যেন চারপাশ থেকে পানি গড়িয়ে না পড়ে যায়....
আপনাকে সচলায়তনে স্বাগতম।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
জুবায়ের ভাই এবং তাঁর পরিবারকে ঘিরে যে মুগ্ধতা তৈরী হলো এই ক'দিনে, তা'তে আরেকটি পালক যোগ করলেন আপনি !
সচলে স্বাগতম আপনাকে ..
কিছুতেই সহজ হতে পারছিনা ক'দ্দিন থেকে। সচলায়তন অঙ্গনে আপনাকে স্বাগতম। শৈশবে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি আপনার লেখা।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
জুবায়ের ভাইকে চিনেই চলেছি। অনেক ধন্যবাদ।
সচলে স্বাগতম।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
সত্যিই তাই, দেখুন না - মুজুদাকে ঘিরে এই আমরাই তো কি মায়াময় এক ঊর্ণনাভ বুনে তুলছি !
সচলায়তনে আপনার আরো লেখা পড়বো আশা করছি।
সংযোজনঃ আমি ঊর্ণনাভ মানে ভুল জানতাম, ধন্যবাদ হিমুকে। তবে শব্দটা ভুল ব্যবহার করলেও আশা করি মনোভাবটি যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পেরেছি - মুজুদার জন্য আমাদের ভালোবাসার প্রকাশ আর তাঁকে ঘিরে আমাদের সবার স্মৃতিময়তায় জড়িয়ে যাওয়াটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।
অসুস্থ থাকায় কদিন নেটে আসিনি। তখনই এতসবকিছু ঘটে গেলো।
এখন একে একে পড়ছি আর ক্রমশ মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। জুবায়ের ভাইকে আরো কাছে করে পাচ্ছি আপনাদের লেখায়।
আপনার পিনোকিও তো পড়েছি সেই ছোটবেলায়। এখন জানাই মুগ্ধতা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন