এই ব্লগটি শিক্ষামূলক। গাড়ী চালনা, চক্ষু নিয়ন্ত্রন এবং ব্রা বিষয়ক সংযম সংক্রান্ত বেশ কিছু শিক্ষনীয় নীতিবাক্য আপনারা এখানে পাবেন।
আমি তখন আমেরিকার জর্জিয়ায় অজ পাড়াগাঁর এক সামরিক ঘাটিতে আছি। আমার ইউনিটেই আছে আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত সেনাসদস্য ডিন ডেভলিন। সিগারেট আর নারীলিপ্সার এক জীবন্ত কিংবদন্তি সে। তার সেই কীর্তিকান্ডের গল্প পরে একদিন করা যাবে। আজ অন্য গল্প। ডিন ডেভলিনের কাজ তখন এক বিশাল হামভি (হামার গাড়ীর সশস্ত্র সামরিক ভার্সন) চালিয়ে সেই সেনা ঘাটির পথ ঘাট দাপিয়ে বেড়ানো। এই দেখে আমার শখ হলো সেই হামভি একবার নিজে চালিয়ে দেখা। আমাকে খুশী রাখতে ডিনের কোন আপত্তি নেই। আমিও আমার মিলিটারি বসদের বলে কয়ে আমার শখ মেটানোর পার্মিশন নিয়ে নিলাম। ব্যস, এক বিকেলে অফিস শেষ করে ডিনকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। ঘটনার সুত্রপাত এখানেই।
বেশ কিছুদুর হামভি চালিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস তখন তুঙ্গে। চালাচ্ছি আর বনজঙ্গল ঘেরা ঘাটির রাস্তার আশে পাশের বৈকালিক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছি। তখন গ্রীষ্মকাল। স্নিগ্ধ বিকেল। হঠাৎ দেখলাম বিকেলের সোনারোদে রাস্তার পাশের এক সবুজ ঘাসের লনে গোলাপী ব্রা পরিহিতা অর্ধবসনা এক তরুনী আধশোয়া ভঙ্গিতে সূর্যস্নান করছে। নারীলিপ্সু ডিনের মনে হলো এক্ষুনি গাড়ী থামিয়ে সেই অর্ধবসনাকে তার জিজ্ঞেস করা উচিত “আমি কি কোন সাহা্য্য করতে পারি?” আমি সেই গোলাপী ব্রার দিক থেকে চোখ না সরিয়েই ভাবছিলাম দুনিয়ায় এতো কিছু থাকতে ব্যাটা ডিনের কেন মনে হলো যে তার কাছ থেকে সেই তরুনীর কোন সাহায্য প্রয়োজন এবং অর্ধবসনা হয়ে সূর্যস্নানের সাথে কোন ব্যাটা ছেলের সাহায্য করতে চাওয়ার সম্পর্কটাই বা কি। হঠাৎ এক ধাক্কায় সম্বিত ফিরে পেলাম। অতি মনযোগের সাথে ব্রা দেখতে গিয়ে রাস্তার বাঁকটাই খেয়াল করিনি। পনেরো-বিশ ফূট উঁচু এক রোড সাইন ততক্ষনে আমার হামভির ধাক্কায় পপাত ধরনীতল।
পুলিশ এলো। গাড়ীর তেমন কিছুই হয়নি। বিশালাকৃতির রোড সাইনের ধ্বংসসাধনই আমাদের ব্রা পর্যবেক্ষনের প্রধান পরিণতি। ঘটনার আকস্মিকতায় ব্রা, অর্ধবসনা তরুনী, বিকেলের সোনারোদ- সব কিছুই মন থেকে ধুয়ে মুছে গেল। পুলিশ পুলিশের মতো বিচার বিশ্লেষন করে নির্ধারন করলো এটি একটি প্রশিক্ষণকালীন “সামরিক দুর্ঘটনা”। ব্যস, কেস সেখানেই খতম। আর কোন ঝামেলা রইলো না। আমরাও স্বস্তিতে বাড়ী ফিরে এলাম। তবে সেই থেকে শিক্ষা হলো গাড়ী চালাতে গিয়ে ব্রা দেখা মোটেই নিরাপদ কোন কর্ম নয়।
চোর পালালে যেমন বুদ্ধি বাড়ে, তেমনি দুর্ঘটনার পর তা এড়ানোর যা যা কলাকৌশল আমার জানা ছিল তা সবই মনে পড়তে থাকলো। বাংলাদেশে গাড়ী চালানোর নির্ভুল কৌশল সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক ড্রাইভার আমাকে বলেছিল, ব মানেই বিপদ, তাই ব দেখলেই ব্রেক। এই ব গুলো হলো বুড়া, বাচ্চা, বাজার ও বাছুর। অর্থাৎ বাংলাদেশের রাস্তায় বুড়া, বাচ্চা, বাজার ও বাছুর-ই সব বিপদের উৎস। বুড়া, বাচ্চা, বাছুর আর বাজারের আমজনতা গাড়ীর সামনে কখন কি করে বসে তার কোন গ্যারান্টি নাই। তাই বুড়া, বাচ্চা, বাজার ও বাছুর দেখা মাত্রই জলদি ব্রেক কষে গাড়ীর গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। ব দেখে ব্রেক কষলেই সব মুশকিল আসান। আমি খুব ভালো ভাবে এই তত্ব মুখস্ত করে নিয়েছিলাম। কিন্তু আজ বুঝলাম ড্রাইভার সাহেবের তত্ত্বে বিশাক এক ফাঁক রয়ে গেছে। ব’তে ব্রা-ও হয়। তিনি যদি বুড়া, বাচ্চা, বাজার ও বাছুর এর সাথে ব্রা বিষয়ক সতর্কবানী যুক্ত করে দিতেন, তাহলে আমি আজ ব্রা দেখেই ব্রেক কষে দিতাম এবং ব্রা দেখতে গিয়ে আমার এই “সামরিক দুর্ঘটনা”ও ঘটতো না।
ব্রেক কষে না হয় গাড়ীর নিয়ন্ত্রন হলো, কিন্তু মনেরর নিয়ন্ত্রনের কি ব্যবস্থা? এই বিষয়েও কিন্তু আমার কিছু জানা ছিল। বাবার বদলীর সুবাদে বছরের মাঝখানে গিয়ে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছি নতুন এক স্কুলে। নতুন জায়গা, নতুন স্কুল- সব কিছুই অচেনা। ধর্মশিক্ষা ক্লাসে তাই উদাস হয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ফেলে আসা স্কুল আর বন্ধুদের কথা ভাবছিলাম। ক্লাসের জানালা দিয়ে তাকালেই এক বাড়ীর ছাঁদ। কোন কুক্ষনে সেই ছাদে তখন স্নান সেরে ভেজা শরীরে কাপড় নাড়তে এসেছে এক কাজের বুয়া। খোদার কসম, আমার সেদিকে মোটেই নজর ছিলনা। আমি শুধু স্মৃতিকাতরতায় উদাস হয়ে জানালা দিয়ে আকাশ পানে চেয়েছিলাম। কিন্তু ধর্মক্লাসের মৌলভী স্যার আমার বাহিরের দৃস্টি ও ভেজা শরীরে ছাদে বুয়ার আগমন একসাথে লক্ষ্য করলেন। যার মনে যেই খেয়াল। তিনি ক্লাস ভর্তি ছেলে মেয়ের সামনে আমার নাম ধরে বললেন, “শোন মাইনুদ্দীন, মনে রাখবা চক্ষুরও জেনা আছে।” । এই নিয়ে সেই স্কুলে বাকী দিনগুলো আমার নানা টিটকারী ও গঞ্জনার মধ্যে জীবন কাটাতে হয়েছিল। কিন্তু হায়, তবু মাইনুদ্দীন সেই কথা মনে রাখে নাই। চক্ষুর জেনা করতে গিয়েই তো আজ এই দশা।
জনকল্যাণের জন্য আমার এই শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ব্লগে প্রকাশ করলাম। দেশে বিদেশে যেসব তরুন বন্ধুরা গাড়ী চালান তাদের জন্য পরামর্শঃ ব দিয়ে বিপদ কিন্তু শুধুমাত্র ৪টি নয়; ব দিয়ে বিপদ ৫টি। বুড়া, বাচ্চা, বাছুর, বাজার এবং ব্রা। আর সব কিছুর পাশাপাশি ব্রা দেখিলেও সাবধান! গাড়ী নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মনের উপরও নিয়ন্ত্রন থাকা চাই। কিন্তু যৌবনের মন কি আর কথা শোনে? তাই চাই চক্ষুর উপর নিয়ন্ত্রন। আফসোস, মাইনুদ্দীন মনে রাখে নাই। কিন্তু আপনারা মনে রাখবেনঃ চক্ষুরও কিন্তু জেনা আছে।
মন্তব্য
হা হা হা। মজার লেখা!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
উইটি লেখক। স্মার্ট গদ্য।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ।
আনস্মার্ট ড্রাইভারের গদ্য আপনার কাছে স্মার্ট লাগছে- মনে কিছুটা সান্ত্বনা পাইলাম।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ব্রা না থাকাও ঢের বিপদের!
কী ওয়েস্টে বেড়াতে গেলাম। ভর দুপুরে ভাবলাম বীচে তোয়ালে পেতে শুয়ে থাকি। দূর থেকে জনাকয়েক বালিকা দেখে সেদিকে আগালাম। কাছাকাছি গিয়ে দেখি তাদের নেংটু খোলা। শরীরে ব বিষয়ক কোন কিছু নাই। ভাবলাম ওদের আশেপাশে কোথাও তোয়ালে পেতে শুই। বউ বললো,"উহু! বাবু, তোমার জন্য সেরেল্যাক।"
রাগ উঠে গেল ভীষণ! সিরাম একটা ঝগড়া হয়ে গেছিল বীচেই। সুতারাং ব্রা না থাকা মানেও বিপদ।
কি মাঝি, ডরাইলা?
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আপনি তো দেখি ভাই আরো দুই খানা ব- ঘটিত বিপদ উদঘাটন করে দিলেনঃ বিচ ও বউ।
“বাংলাদেশের বিবাহিত ব্রাত্যজনের বোধহয় ব বিষয়ক বিপদ বালাইয়ের বড্ড বাড়াবাড়ি”।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খাটি দুধের মজা কি আর সেরেল্যাকে আছে? সিলিকন আর কয়দিন খাবেন?
বাবু ভাই,
গাড়ির ট্রেইনিং দেওয়ার সময় তো এইগুলা কন নাই এদ্দিনে ব্লগে ছাড়লেন, পরিবার কি জানে?
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
গাড়ী চালানোর সময় তোমারে কোন ব্রা দেখাই নাই বইলা কি মাইন্ড করলা নাকি?
লেখকের স্বাধীনতা বলে তো একটা কথা আছে।
পরিবার কি জানিবে বা কতটুকু জানিবে- সেটা “লেখকের” স্বাধীনতা।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমারে দেখান নাই নিজের জানের মায়া থেইকাই মনে হয়। মাইন্ড খামু কেন? কিন্তু এই লেসন তো দেন নাই।
গুড পয়েন্ট অ্যাবাউট লেখকের স্বাধীনতা কিন্তু পরিবার সচলে না ঢুকলেই হয়। আমার এই সুযোগ তো নাই
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
- খাইছে, চক্ষুর জেনা আছে? আমার জেনার একাউন্টের খাতা তো তাইলে ওভারফ্লো হয়ে গেছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিপদের কথা!
অবিলম্বে চোখ থাকিতে অন্ধ হইয়া যান।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার প্রোফাইল সেদিন পড়লাম। আপনার কাছ থেকে আরো গল্প/কাহিনী/ঘটনা শোনার/পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। লেখা দারুণ হয়েছে।
ধন্যবাদ।
সব ঘটনা কি আর ব্লগে লিখা যায়?
অনেক ঘটনাই এতটাই “রসময়” যে সেগুলা “গুপ্ত” রাখাই ভালো।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সব নয়, (বিশেষ করে) আমি আগ্রহী আপনার মার্কিন সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞতা পড়তে।
মজা পাইলাম
কাবুলের রাস্তায় কিছুদিন মাঝরাতে চার অল-আউট ড্রাঙ্কের মার্সিডিস বিলাস, লাইফ একদম খারাপ ছিলো না। প্রায়শঃই ন্যাটো বাহিনীর হামভির সামনে পড়তো ওরা তবে ভাগ্যিস প্যাঁদানি খেতে হয়নি। অবশ্য এই চার মাতালের এক মাতাল কাবুলের ইউএস আর্মি বেইস-এর ফিউল সাপ্লাইয়ার ছিলো।
বাংলাদেশে গাড়ি চালাতে গেলে আমি নিম্নবর্ণিত চারটা জিনিসের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখি-
ঠাকুর-কুকুর-হুজুর-বাছুর
এরা ডানে-বাঁয়ে না তাকিয়ে দৌড় দেয় আর একটু গিয়েই একটা হাওয়া ব্রেক করেই আবার ব্যাক করে। ড্রাইভারমাত্রই বুঝবেন এর কি রিস্ক।
রাতঃস্মরণীয়
গাড়ীর সামনে হুজুর কেমন তা জানি না।
তবে সাইকেলের উপর হুজুর বড্ড ভয়ানক।
হুজুর ও সাইকেল (হুজুর্কেল) বহুবার এই নাদানের গায়ে আনাহুত ভাবে চড়ে বসেছিল।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কানাডা যাই ভাই, ঠান্ডার দেশে কি এরকম ভুল করার সুযোগ আসবে??
__________
ত্রিমাত্রিক কবি
নাঃ, আমি ড্রাইভ করি না, তাই ব-ঘটিত ব্যাপারে আমার সাবধান হবার প্রয়োজন নেই...
এদেশে এগুলো দেখার সুযোগ নাই বলেই তো আমি গাড়িও কিনি না, চালাইও না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তখন স্কুলে পড়ি। আলুপত্রিকা একবার আয়োজন করল ভাষা প্রতিযোগ। তো সেখানে বহু জ্ঞানী-গুণিজনেরা ছিলেন। বাংলা বানান নিয়ে একটা পর্ব ছিল,সেখানে দাঁতভাঙ্গা সব বানান দিয়ে গুণীজনদের ঘায়েল করার মওকা থাকত। এই পর্ব চলার সময় আমাদের এক পোংটা বন্ধু বেমক্কা বলে ফেলল,স্যার, ব্রাহ্মণ বানান কী? স্যার(নামটা না হয় নাই বলি ) অবলীলায় তাঁর সুউচ্চ কন্ঠে বলে চললেন, ব এ র-ফলা আকার,ব্রা...। বাকিটা আমরা আর শুনিনি ..
অদ্রোহ।
“ব্রা মানে” তো দেখি শুধু বিপদ না,” ব্রাহ্মণেও” বিপদ
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বাবু ভাই, শুধু আপনি নন; বাংলাদেশে বোধ হয় এমন মানুষ পাবেন না যারা হুজুর্কেলের গুঁতা খায়নি।
আমার দেখতে খুব মজা লাগে উনারা যখন সাইকেলে চাপেন তখন পাঞ্জাবীটা পিছন থেকে উল্টিয়ে কোমরের কাছে তুলে সামনে নিয়ে গিট্টু দিয়ে রাথেন।
আরেকটা বিষয় আপনি নিশ্চই লক্ষ্য করে থাকবেন, হুজুর্কেল যখন ভীম বেগে ধাবমান থাকেন, তারা কেমন যেনো সামনে ঝুঁকে পড়েন, আর পিছন থেকে হাজার হর্ণ দিলেও তারা সাইড দেন না।
রাতঃস্মরণীয়
মারাত্মক হইসে... হুজুররাও হাসি থামাইতে পারব না।...হুজুরকেল......হা হা হা।
হাসতে হাসতে বিষম খাওয়ার দশা।
তবে জায়গায় জায়গায় বানানে হোঁচট খেতে হলো।
গাড়ী > গাড়ি
নিয়ন্ত্রন > নিয়ন্ত্রণ
অজ পাড়াগাঁর > অজপাড়াগাঁর
ঘাটিতে > ঘাঁটিতে
কীর্তিকান্ডের > কীর্তিকাণ্ডের
ভার্সন > ভার্শন
পথ ঘাট > পথঘাট
সুত্রপাত > সূত্রপাত
কিছুদুর > কিছুদূর
গোলাপী > গোলাপি
তরুনী > তরুণী
এতো কিছু > এতকিছু
ফূট > ফুট
ততক্ষনে > ততক্ষণে
ধরনীতল > ধরণীতল
তত্ব > তত্ত্ব
বিশাক > বিশাল
সতর্কবানী > সতর্কবাণী
বদলী > বদলি
শ্রেনী > শ্রেণী
ছাঁদ > ছাদ
কুক্ষনে > কুক্ষণে
মৌলভী > মৌলবি
দৃস্টি > দৃষ্টি
বাকী > বাকি
টিটকারী > টিটকারি
পরামর্শঃ > পরামর্শ:
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সংশোধনের জন্য ধন্যবাদ।
ঈ-কার এর কিছু বিষয় বোধহয় অভিধান (সংসদ) মতে ঠিকই ছিল অথবা ঈ-কার ও ই-কার উভয়ই প্রযোজ্য। যেমনঃ গাড়ী, গোলাপী, বাকী। আর কিছু ক্ষেত্রে আমার অভ্রতে শিফট-কী ব্যবহারে আমার অমোনযোগিতাই দায়ী। তবে ণ-এর সঠিক ব্যবহারে আমি খুবই দুর্বল। ভুল বানান লেখার পর শব্দটাকে যেমন অচেনা অচেনা লাগার কথা, ণ-এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমার সেই চেনা অচেনা শব্দছবির বিষয়টিই কাজ করেনা। ভবিষ্যতে ভালো লেখার চেষ্টা করবো। আবারও ধন্যবাদ।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি ঠিক বলেছেন। গাড়ী, গোলাপী, বাকী বানানগুলো ভুল নয়। তবে নতুন বানানরীতিতে ই-কার, ঈ-কার দুইই থাকলে ই-কারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ঈ ভালো পাই
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সহজ সাবলীল মজার লেখা। ঝুলি থেকে আরো বের করুন।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভাই দিলেনতো ভয় ধরাইয়া। মাত্র গাড়ি চালানো শিখছি, এত কিছু খেয়াল করতে গেলেতো গাড়িই চালানো কঠিন হয়ে পরবে বিশেষ করে "ব্রা"ঘটিত কিছু।
চোখের জেনার কথাটা মনে না করাইলেও চলতো
পাগল মন
কথাটা সঠিক। আমার অভিজ্ঞতায় বলে বেশী রক্ষণশীলদের মধ্যে খারাপ চিন্তাটা বেশী ঘোরে। আমার পরিচিত একজন ঢাকার রাস্তায় বাংলা ও ইংরেজীতে এক বাসের গায়ে 'মামা-ভাগিনা পরিবহন' লেখা দেখা খুব ক্ষুব্ধ হয়েছিল। ব্যাপারটা বুঝতে বেশ সময় লেগেছিল আমার।
বাবুবাংলা, ভাল লেগেছে আপনার লেখা। যতেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত এবং আকর্ষনীয় লেখা। অন্যদের মত আমিও আপনার ইউ,এস, আর্মির অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
মাত্রই গাড়ী চালানো শিখমু ভাবতাছি, মজা লাগছে কামেও লাগবো আশা রাখি।
.....................।
শ্যামল
সৈরম মজা পাইলাম!
হা হা হা! দারুণ লাগলো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্রা এর মাঝে মহাবিপদ লুকিয়ে আছে। তাই মার্কিন সূর্যস্নানার্থী উদারমনা তরুণীদের উচিত গাড়িচালকদের জীবন রক্ষায় ব্রাকে ব্রাকেটে আবদ্ধ করে ব্রাবর্জিত জীবঞ্জাপন করা। ওইটুকু কাপড়ের চেয়ে একজন মানুষের জীবনের মূল্য কি বেশি নয়?
----------------------------------------------------------------------------
চতুর্বর্গ
ওরে বাবারে কন কি? হাফ-ঢাকাতে যদি খালি সাইন পোস্ট ভাঙ্গে, তাইলে ওই হাফও যদি না থাকে তো আমাদের আর বাবু ভাইএর এইরকম মজার গল্পগুলো শোনা হবে না। বেচারা হাসপাতাল থেকে লিখবে কেমনে?
লেখাটা পড়ে মজা পেলাম।
অনেক ভাল লাগলো। শেষে দ্রোহী ভাইয়ের উপদেশটাও মনে রাখার মত।
--------------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------
রাজকন্যা
নানা নাকি আব্বাকে বলেছিলেন 'ছ'-এর ব্যাপারে সাবধান হতে! ৩ 'ছ' - 'ছাগল', 'ছাওয়াল' আর 'ছাইকেল'!! ছাওয়াল আর 'ছাইকেল' শহরেও বিপত্তি সৃষ্টি করে আর গ্রামের মাঝ দিয়ে যে মহাসড়ক চলে গেছে, তাতে এই ছাগলের আগমণ বেশ নিয়মিত ঘটে। কিন্তু শহরাঞ্চলের আরেক 'ছ' গাড়ি চালাবার সময় না হলেও রাষ্ট্রীয় আর ব্যাক্তিজীবনে যে বিপদজনক সেটা আবার আমাদেরকে শিখিয়ে যেতে হবে দেখছি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
facebook
আমারো গাড়ি চালাইবার অভিজ্ঞতা নাই। শুধু সাইকেল চালাইবার অভিজ্ঞতা আছে। অতএব সাইকেল চালাইলে ছাগলের ভয় আছে কিন্তু পোস্টে বর্ণিত বিশেষ 'ব'- গঠিত বস্তুর থেকে কোনো ভয় নাই। সুতরাং এই পরিস্থিতি থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, আমি সুরক্ষিত!!
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন