৯/১১ হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত টুইন টাওয়ারের কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলায় ব্যয়ে “গ্রাউন্ড জিরো” মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম জুড়ে অনেকটা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আমেরিকার মাটিতে সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতার ভিত্তিতে যে কোন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে যে কারো ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণের সংবিধানিক অধিকাররের কথা ব্যক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশী বন্ধুদের ফেসবুকে ও বাংলাদেশের মিডিয়াতেও দেখি বিষয়টা বেশ গুরুত্বের সাথে উঠে এসেছে।
মসজিদ বিরোধীতাকারীদের বক্তব্য হচ্ছে ৯/১১ হামলার স্মৃতি ঘেরা এই এলাকায় মসজিদ নির্মাণ সেই হামলায় নিহতদের প্রতি অসন্মান দেখানোর সামিল। এছাড়াও সেই ঘটনায় যারা জীবন দিয়েছিলেন, তাদের পরিবারেরর সংবেদনশীল অনুভূতিতেও আঘাত হানবে গ্রাউন্ড জিরোর আশেপাশে মুসলিমদের উপাসনালয় নির্মাণের এই প্রয়াস ।
মসজিদের সমর্থনকারীদের বক্তব্য হলো সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত রাখতে হলে সম্পুর্ণ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গৃহীত এই মসজিদ নির্মাণের প্রকল্পকে কোন ভাবেই বাধা দেয়া চলবে না। অনেকের আরো বক্তব্য হলো- এটি শুধু মসজিদ নয়, এটি হবে একটি কমিউনিটি সেন্টার সেখানে মসজিদের পাশাপাশি থাকবে সুইমিং পুল, জিম ইত্যাদি এবং ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এই কমিউনিটি সেন্টারের দুয়ার সবার জন্য খোলা থাকবে।
আইনগত অধিকার ও সামাজিক ন্যায় বিচারের প্রশ্নে এই মসজিদ নির্মাণে কারো আপত্তি থাকবার কথা নয়। কিন্তু ৯/১১ হামলায় নিহতদের পরিবার ও আমেরিকার নাগরিকদের অনুভূতির সংবেদনশীলতার প্রশ্নটি বিবেচনার দাবী রাখে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে এই হামলা হয়েছিল। এখন যতই সকল মুসলিম খারাপ নয় জাতীয় বাণী দেই না কেন, এই হামলার সাথে মুসলিম ও ইসলামের নাম জড়িত থাকার বিষয়টি তো আর মুছে যায় না।
আমাদের অভিজ্ঞতা কি বলে? একাত্তরের গণহত্যা চালানো হয়েছিল ইসলামের দোহাই দিয়ে। আমাদের রাস্ট্রনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ইসলামের আতঙ্কজনক রূপ কি আমাদের ভাবনায় আসেনি? তাই সংবেদনশীলতার প্রশ্নটি ভাবনার দাবী রাখে। বাংলাদেশে একুশের শহীদ মিনারের পাশে যদি কেউ উর্দু সাহিত্য পরিষদ কিংবা জাতীয় স্মৃতি সৌধের পাশে বাংলাদেশ-পাকিস্তান মৈত্রী সংঘ বা বিহারী সাংস্কৃতিক সংসদ নির্মাণ করতে চাইতো, সেটা কি আমাদের অনুভূতিতে আঘাত করতো না?
মসজিদ নিয়ে এই বিতর্ক মনে করিয়ে দিল ভারতের সেই বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক ও তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার স্মৃতি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রেক্ষাপটে আমেরিকার এই মসজিদ ইস্যুতে যেন জল ঘোলা করার অপচেষ্টা কেউ করতে না পারে- সেদিকে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। আগামী দিন গুলোতে বাংলাদেশে যারা এই “গ্রাউন্ড জিরো” প্রসঙ্গটি আড্ডায় বা মিডিয়ার আলোচনায় আনবেন, আমেরিকার মানুষের এই সংবেদনশীলতার বিষয়টিও সহানুভুতির সাথে বিবেচনায় রাখবেন বলে আশা রাখি।
মন্তব্য
৯/১১ এর পরে আমেরিকানরা আর ৭/৭ এর পরে বৃটিশরা যে অভিবাসী মুসলমানদের ঘাড় ধরে তাদের দেশ থেকে বের করে দেয়নি- এটাই শুকরিয়া।
এখন আবার গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানানোর আবদার !
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এসব নিয়ে তর্কে জড়াবো না। মন্তব্য মুছে দিলাম।
সমস্যা হলো- এই প্রস্তাবটাই উদ্ভট।
এটি কোন মাইনোরিটি রাইটস হতে পারেনা। মসজিদ বানানোর জায়গা নিশ্চয়ই আমেরিকা জুড়ে অনেক আছে এবং মুসলমানরা মসজিদ বানানোর যথেষ্ট স্বাধীনতা আমেরিকায় ভোগ করছেন।
আপনি আমি যতো তত্বকথাই বলি- ৯/১১ এর শিকার মানুষদের কাছে ইসলাম একটি আতংকের নাম। ইসলামের নামেই এই বর্বর হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। এতে ইসলামের কোন দায় আছে কিনা সেই জটিল আলোচনায় এই পোষ্টে আমি যাবোনা।
কিন্তু এই জায়গায় মসজিদ বানানো আর নিহত মানুষদের স্বজনদের উসকে দেয়ার মধ্যে পার্থক্য কোথায়- আমাকে একটু বুঝাবেন?
(যাহ, আমি প্রতি মন্তব্য লিখতে লিখতে দেখি আপনি আপনার মন্তব্যই মুছে দিয়েছেন। আমার মন্তব্য তো তাহলে ইনভেলিড হয়ে গেলো )
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
যারা মসজিদ বানানোর আবদার করছেন তাদের যুক্তিটা কি? কেনো ঐরকম স্পর্শকাতর জায়গায় মসজিদ বানাতে হবে? ইসলাম বিষয়ে আমেরিকানদের ভুল ভাঙ্গানোর জন্য? ইসলাম যে আসলে শান্তির ধর্ম সেটা আমেরিকাকে বুঝানোর জন্য?
যদি যুক্তি তাই হয় তাহলে এটা হচ্ছে সবথেকে লো-ক্রেডিবিলিটির যুক্তি।
বৈষম্য কমানোর পথ কি- গ্রাউন্ড জিরো যেখানে একটা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, সেখানে ঐ ধর্মের উপাসনালয় বানানো?
বরং এর মাধ্যমে সারাহ পলিনদের সুযোগ করে দেয়া হবে সাধারন আমেরিকানদের উস্কানোর।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
যেহেতু কিছুটা দাগ লেগে আছে, তাই কোন কারনে যেনো পুরো সম্প্রদায় না ভুগে সেটা বিবেচনা করাটাও সম্প্রদায়ের মাথাওয়ালা মানুষদের চিন্তা করা দরকার।
ঐ গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানিয়ে যদি আমেরিকার মুসলমানরা মনে করেন বিরাট অধিকার অর্জন করে ফেলেছেন তাহলে কিচ্ছু বলার নাই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মার্কিন দেশে চার্চের জমিতে অনেক মসজিদ/মন্দির হয়েছে, লন্ডনে চার্চ ভেঙে মসজিদও হয়েছে। এখানে আপনার তুলনাটা তাই কাজে আসে না। আমি আপনার উদাহরণটা সঠিক করে দিই। যদি কিছু উগ্র হিন্দু এক রাতে বায়তুল মোকাররমের বোমা মেরে কয়েক'শো লোক মেরে ফেলে আর তার দশ বছর পরে তার পাশে কেউ মন্দির বানাতে চায়, তাহলে কি রকম প্রতিক্রিয়া হবে বলে আপনার মনে হয়?
তাত্ত্বিকভাবে এতে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু দেশে হাজারো জায়গা ছেড়ে ঠিক ওইখানেই এরকম পরিকল্পনা আমার বিরক্তি ও রাগ উৎপাদন ছাড়া কিছু আনে না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এনিওয়ে, আপনার মত জেনে ভালো লাগলো। দু:খিত আমার মন্তব্য সরিয়ে নিয়েছি বলে। এসব নিয়ে আলোচনা থেকে সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করি। তাই মুছে দিয়েছিলাম। কিছু মনে করবেন না, প্লিজ।
নিউজগুলো ফলো করছিলাম আর বোঝার চেষ্টা করছিলাম কেন তারা সেখানে মসজিদ বানানোর অনুমতি দিল। কী তাদের উদ্দেশ্য। এটা নিয়ে কেউ প্রবন্ধ লিখলে আমি খুশী হতাম। হয়তো উত্তরটাও জানা হতো।
ভালো থাকবেন।
আপনি নিশ্চিত হলেন কিভাবে যে মুসলিমরাই আক্রমন করেসিল ? অনেক আমেরিকান এখন বিশ্বাস করে যে এটা ইনসাইদ জব |
৯/১১ নিয়ে সন্দেহ করা কিন্তু আমেরিকানরাই করা সুরু করেসে | ইউটুবে এগুলা নিয়ে অনেক ভিডিও আসে |
ইনসাইড হোক আর আউটসাইড, মুসলমানদের সন্দেহ করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ আমেরিকানদের আলকায়দা, বিনলাদেন দিসে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/34315 এই খানে তালিবান দের জন্মকথা আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েসে | দেখবেন আল কায়েদা , বিন লাদেন সব আমেরিকার সৃষ্টি | আর আপনি যদি ভালো করে ইউতুবে ভিডিও গুলু দেখেন বুঝতে পারবেন যে সন্দেহ করার অনেক যুক্তি সঙ্গত কারণ আসে | আপনারা ইউটুবে এ ৯/১১ লিখে সার্চ দিলেই অনেক লিঙ্ক পাবেন | আমেরিকা ইরাক, আফগানিস্তান, হিরোশিমা তে যা করসে ঐটা চিন্তা করে দেখেন, কত লোক মারা গেসে ? ওরা বড় বড় কথা বলে আর কিসু অল্প বুদ্ধির লোক সব বিশ্বাস করে ! এই গুলা ছাড়াও অনেক অনেক উদাহরণ আসে |
এগুলু প্রমান করে যে পশ্চিমা দের চক্রান্ত করার বুদ্ধি অনেক বেশি | একটা জিনিস চিন্তা করেন, ওরা নিজেরা যদি এটাক করে তাহলেই মসজিদ বানানোর কথা বলে বড় হতে চাবে | এমন ভাব যে আমরা কত উদার , তোমরা মারার চেষ্টা করলা আর আমরা তোমাদের মসজিদ বানিয়ে দিচ্ছি |
ভাই, তালেবান আম্রিকার সৃষ্টি এইটা সবাই জানে। এইখানে আমেরিকানদের কথা বলা হইতেসে, যাদেরকে U দিয়ে শুরু একটা দেশের নাম জিগেস করলে বলতে পারে না, চাইনিজ একজন china থেকে আসছে শুনে জিগেস করে এইটা কোন স্টেটে। এরা তাই খায়, যা এদের আমেরিকান মিডিয়াগুলা খাওয়ায় এবং এদেরকে বোঝান হয় মুসলমানরা গণহারে সন্ত্রাসী। একবার এক ভিডিওতে দেখসিলাম, এক দোকানী একটা বোরকা পড়া মহিলার কাছে জিনিস বেচতে চাচ্ছে না কারণ তার ধারণা সে সন্ত্রাসী, বোরকার নিচে বোমা বা অ্যানথ্রাক্স লুকায়ে রাখসে। দোকানে অন্য আমেরিকান ক্রেতারা দোকানীকে বোঝানোর চেষ্টা করল, একজন বিরক্ত হয়ে চলেও গেল, কিন্তু দোকানী তার সিদ্ধান্তে অটল।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আলোচনা খুবই একপেশে লাগছে। তাই একটা ব্যাপার শুধরে দিতে চাচ্ছি। Video যেটার reference দিলেন, সেটা একটা এক্স্পেরিমেন্ট এর অংশ। ভালো করে ইউ।টিউব সার্চ দিয়েন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অনেক পাকিকে বলতে শুনসি "আমি তো তখন কিছু করি নাই... আমি ক্যান এখন কিছু করুম?" আপনার যুক্তিটা হালকা অমন শোনাচ্ছে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এসব নিয়ে তর্কে জড়াবো না। মন্তব্য মুছে দিলাম।
এই টেনশনের সাথে এখন আরেকটা নতুন ব্যাপার যোগ হচ্ছে। রোজার ঈদের তারিখ খুব সম্ভব ৯/৯ থেকে ৯/১১ এই তিনদিনের যেকোন দিন পড়তে পারে। এটা নিয়ে মুসলমানরা এখানে সবাই বেশ ভয়ে আছে যা বুঝতে পারছি। ৯/১১ তে ঈদের তারিখ পড়লে খবর আছে।
প্রচার মাধ্যমগুলোতে খবর ছড়ানোও হচ্ছে বোধ হয় এভাবে যে মুসলমানরা ৯/১১ তারিখে উৎসবের জন্য তৈরি হচ্ছে, উপরে দেওয়া খবরের টাইটেলটা খেয়াল করেন।
গ্রাউন্ড জিরোর পাশে মসজিদ বানানোর সাথে স্মৃতিসৌধের পাশে পাকি স্থাপনার উদাহরণটা বোধ হয় সেভাবে মেলে না। ৯/১১তে কয়েকজন ইসলামের নাম নিয়ে যা করেছে, তা ইসলাম এবং মুসলমানরা সাপোর্ট করে না। পক্ষান্তরে পাকিস্তান ৭১ এবং তার আগে এই দেশের সাথে যা করেছে, তা নিয়ে তাদের অনুতাপ বা এই জাতীয় কিছু দেখিনা। তবে হ্যাঁ, সংবেদনশীলতার একটা ব্যাপার অবশ্যই আছে। কিন্তু দেখতে হবে কারা এর বিপক্ষে প্রচার করছে। সারাহ পলিন, পিটার কিং এরা সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে বেশ।
ওবামা না ব্লুমবার্গের কথা যতই ঠিক হোক, আমেরিকানদের ৯/১১ এর জন্য ইসলাম আর মুসলিমকে ভয় পাওয়াটাকে তেমন দোষ দিতে পারিনা, আবার এটার জন্য সব মুসলমানকে দোষানোর সাম্প্রদায়িক মনোভাবটাও ঠিক না।
জানিনা, তবে অ্যাট লিস্ট মনে হয়, গ্রাউন্ড জিরোর পাশে যদি মসজিদ বানাতেই হয়, তবে সেটা আরও বেশ অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে পারে।
মাঝেমাঝে ভয় লাগে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের ইহুদী নিধনের মত কবে না ইউরোপ-আমেরিকায় মুসলমান নিধন শুরু হয়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
শুরু হলে কী করবেন? হত্যাকারিদের "দোষ দিতে" পারবেন না?
আপনার কেন মনে হচ্ছে না মার্কিন রক্ষণশীল জনগণের এই জাতীয় জেনারালাইজেশনের মধ্যে যাওয়াটাই ভুল!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মন্তব্যটা লিখে প্রিভিউ করতে গিয়ে ভুলে পোস্ট দিয়ে দিয়েছিলাম, হাসিব ভাই। পরে ঠিক করে দিয়েছি।
"ওবামা না ব্লুমবার্গের কথা যতই ঠিক হোক, আমেরিকানদের ৯/১১ এর জন্য ইসলাম আর মুসলিমকে ভয় পাওয়াটাকে তেমন দোষ দিতে পারিনা, আবার এটার জন্য সব মুসলমানকে দোষানোর সাম্প্রদায়িক মনোভাবটাও ঠিক না।"
সম্ভবত, আমার সাথে আপনার অবস্থানের অমিল নাই।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমি পুরো বিষয়টা তেমন ফলো করিনি। কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে সারা পলিন, পিটার কিংরা যাতে সাধারন মানুষকে উস্কে দিতে পারে সেই সুযোগ সৃষ্টির জন্যই এরকম উদ্ভট প্রস্তাব তোলা।
আপনি সমস্ত মুসলমানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননা। বৃটেনে জন্ম নেয়া বহু মুসলমান দেখেছি যারা ৯/১১ এর ঘটনা নিয়ে গর্বিত।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
৯/১১ নিয়ে গর্বিত মানুষ খুঁজতে ব্রিটেন যাওয়া লাগবে না, বাংলাদেশেই আছে জোকার নায়েকের ভিডু দেখা মানুষজন তো ৯/১১ সাপোর্টই করে। কিন্তু সাপোর্ট না করা মুসলমানও তো আছ। "কতল কর" টাইপ কিতাবের বাণী যে এই যুগে অচল, সেটা বোঝা মুসলমানও আছে, অন্ধ মুসলমানও আছে।
মসজিদ বানানোর প্রস্তাবটা আমার কাছেও খ্যাপানো প্রস্তাব মনে হচ্ছে। আরো ১০ বছর বা আরো পরে হয়ত লাগত না, কিন্তু এখনি? একটু বেশি হয়ে গেল আসলেই।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
সে কারনেই বলছিলাম- 'মুসলমানরা' সমর্থন করেনা এরকম জোর দিয়ে বলা যায়না। অনেকেই করে, কেউ কেউ করেনা।
আর সত্যি বলতে কি মুসলমানরা যে এইসব কিছু সমর্থন করেনা সেটা বিশ্বাসযোগ্য ভাবে মুসলমানরা বিশ্ববাসীকে বুঝাতে পারেননি।
একটা উদাহরন দেই- সালমান রুশদীকে মুরতাদ ঘোষনা করেছিলেন শিয়াদের শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আয়াতুল্লাহ খোমেনি। নগীব মাহফুজ মুরতাদ ঘোষনা করা হয়েছিল আল-আজহার থেকে।
জিহাদের নামে যারা নিরপরাধ মানুষ হত্যা করলো তাদেরকে ইসলাম থেকে খারিজের ঘোষনা কিন্তু মুসলমানদের কোন স্কুল অফ থট থেকেই দেয়া হয়নি।
আমি অন্ততঃ শুনিনি।
তাহলে বিশ্ববাসী কিসের ভিত্তিতে বুঝতে চাইবে যে জিহাদীদের ইসলাম আর আপনার ইসলাম এক না। গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানিয়ে সেটা বুঝানো যাবে- আমি অন্ততঃ বুঝতে পারছিনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
'গ্রাউন্ড জিরো'র পাশে যদি 'আল-কায়েদা সমবায় সমিতি' কিংবা 'বিন-লাদেন স্মৃতি সংঘ' বানানোর দাবী উঠতো, নিঃসন্দেহে সেটা হতো উসকে দেয়ার অভিপ্রায়ে। কিন্তু মসজিদ/ মন্দির/ প্যাগোডা/ সিনাগগ বানানোর দাবীকে উস্কানী আখ্যা দিয়ে সরাসরি নিন্দা করার কোনো ভিত্তি পাচ্ছি না। কিছু থাকলে সেটা পরিষ্কার রাজনীতি।
তবে নীতিগত/ মানবিক/ সামষ্টিক কারণে গ্রাউন্ড জিরোর পাশে মসজিদ নির্মান না করাটাই বোধ'য় উৎকৃষ্ট পন্থা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সিরিয়াস আলোচনার মধ্যে এইটা পড়ে হাসি পাইতেসে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
এইটা খুবই স্পর্শকাতর ইস্যু, এবং যে বা যারা পরিকল্পনা করেছে মসজিদ বানানোর তারা জানে যে এই ইস্যুতে একটা ব্যাকল্যাশ আসবেই। তারা সব জেনেশুনেই পরিকল্পনা করেছে। তবে এ ধরণের পরিকল্পনাগুলোর সুবিধা হল এই ব্যাকল্যাশের ফলে আল-কায়দা বা অন্যান্য গোষ্ঠীর আমেরিকায় রিক্রুটমেন্ট করা সুবিধা হয়। মানে, কিছু লোককে দেখানো যায় আমেরিকা মুসলিমের শত্রু, তাই আমেরিকার বিরুদ্ধে "যুদ্ধ" কর্তব্য।
এক আঠারো বছরের তরুণ মুসলিম, যে আমেরিকায় বড় হয়েছে ও নিজের মুসলিম পরিচয় নিয়ে হয়ত মাথাও ঘামায়নি, সেও তার চারপাশে এক মসজিদের বিরোধিতা হচ্ছে বলে কিছুটা মাথা ঘামাতে থাকবে। হয়ত সে ওই মসজিদে যায় বলে বন্ধুরা তাকে বয়কট করবে। এরপরে জঙ্গী কোনো গোষ্ঠী তাদের নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে তার ব্রেনওয়াশ করলেই তাকে কাজে লাগানো যাবে। আমেরিকায় আল-কায়দা বা কোনো জঙ্গী গোষ্ঠীর পরবর্তী আক্রমণ আমেরিকান মুসলিমদের দিয়েই ঘটানো হবে, কারণ জঙ্গীরা জানে এটাই একটা পাকাপাকি যুদ্ধের অবস্থান নেবার সঠিকতম পন্থা।
৯/১১ -এর আক্রমণের পরে জঙ্গীরা দেখেছে এতে আমেরিকা অর্থনৈতিক-ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু ইমিগ্রান্টদের জন্য সেই সেফ হেভেন রয়ে যায়, আভ্যন্তরীণ সমস্যা খুব একটা হয় না। তাই, এবার পরের ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ইউনিপোলার বিশ্বে একক সুপার-পাওয়ারকে গেরিলা আক্রমণ সহ্য করতে হবে এটা জানা কথা, কতদিন এটা সম্ভব হয় সেটাই দেখার, যুদ্ধে কারা "জেতে" সেটাও দেখার।
মার্কিন রাজনীতি এই সমস্যার খুব একটা ধার ধারেনা, কারণ তারা একরকম সন্ত্রাস ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে। এই ইস্যুতে ডেমোক্র্যাটরা কি বলবে আর রিপাবলিকানরা কি বলবে তা একরকম আমার জানা কথা। তাই গ্রাউন্ড জিরো মসজিদের ব্যাপারটাও ওই ছাঁচে ফেলা সম্ভব।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সুন্দর অ্যানালাইসিস। উদ্দেশ্য এমন যদি নাও হয়, ফলাফল ঠিক ঠিক এমনই হবে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
যারা মসজিদের পরিকল্পনা করেছে তারা এটা খুব ভালভাবেই জানত মার্কিন সমাজ এই বিষয়টা ভালভাবে নেবে না। এবং এই বিতর্ক থেকে যে গোলোযোগ শুরু হবে তাতে তারা নিজেরা অন্তত বেশ ভাল স্পটলাইট পেয়ে যাবে। সবাই "রিচ এন্ড ফেমাস" হতে চায়, এই মৌলবীরাও তার ব্যতিক্রম নন। আরও আরও মুসলিম তাদের কাছে উপদেশ নিতে আসবে, টিভিতে তাদের মুখ ঘনঘন দেখা যাবে - এই লোভ থেকেই এই মসজিদের পরিকল্পনা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
একটু আপডেটঃ
মসজিদ ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপ ওবামার উপর পড়তে শুরু করেছে।
আগের করা মন্তব্য একটু বর্ধিত করে ওবামা আজ (১৪ আগস্ট) বলেছেন যে মসজিদের উদ্যোক্তাদের গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ নির্মাণের অধিকারের সমর্থনে করা তার মন্তব্যটি সাংবিধানিক অধিকারের প্রশ্নের সাথে জড়িত। এই মন্তব্যটি গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ নির্মাণ সঠিক প্রজ্ঞার পরিচায়ক হচ্ছে কি না সেই প্রসঙ্গে করা নয় এবং এই প্রসঙ্গে তিনি কোন মন্তব্য করবেনও না।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এটা পার্সেপশনের বিষয়, সরলীকৃত পার্সেপশন।
তোমার যদি জেনুইনলি উর্দু সাহিত্য সম্পর্কে আগ্রহ থেকে থাকে- তাও কিন্তু পাকিপন্থী বিবেচিত হবে। একই ভাবে ইসলাম শব্দটা যে কারণেই হোক আজ পাশ্চাত্যে একটি দূষিত শব্দ। ঠিক যেমনি জাতীয়তাবাদী যুবদল নাম শুনলেই মনে একটা ভোন্দামার্কা যুবকের মুখ ভেসে আসে, শিবির শুনলেই যেমন মনে আসে এক চুটকি দাঁড়িওয়ালা নূরানী চেহারার হিংস্র তরুনের কথা (এবং তোমার যাকে তৎক্ষনাত খুন করে ফেলতে ইচ্ছে হয়!), ঠিক তেমনি মুসলিম শব্দটাই পাশ্চাত্যে অনেকের কাছে এক বর্বর সন্ত্রাসীর চিত্র তুলে আনে।
ঈমানদার মানুষ অনেকেই ভালো, কিন্তু সংঘবদ্ধ ঈমানদারেরা প্রায় সব সময়ই খারাপ। ধর্ম সংঘবদ্ধ হবার জন্য খুবই নিকৃষ্ট মানের একটি ভিত্তি।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইটাই স্টেরিওটাইপিং। মোটেও ঠিক কাজ না, তারপরেও মানুষ এমনেই বিচারবিবেচনা করে। মুসলমানদের এই স্টেরিওটাইপ ভাঙ্গানোর জন্য কোন মুসলমানই তেমন কিছু করে নাই, যাদের জন্য এই স্টেরিওটাইপ, তারাই বরং দিনকে দিন জিনিসটা আরো পোক্ত করতেসে। উপরে হাসান মোরশেদ ভাই আরো সুন্দর একটা পয়েন্ট দিসে, দেখেন।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
পোঁদে আঙুল দেবার মত মানুষ খুঁজলে মাটির নিচেও দুয়েকজনকে পাওয়া যাবে। গ্রাউন্ড জিরোর আশেপাশে মসজিদ/মন্দির/প্যাগোডা/গীর্জা তৈরি করার আইডিয়া ওইসব পোঁদে আঙুল দেয়া মানুষের মাথা থেকেই এসেছে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ঐটা খালি মসজিদ না, ইসলামিক সেন্টার টাইপ একটা ব্যাপার। কর্ডোবা হাউস
এটা কি ধর্মযুদ্ধকে নতুন করে উস্কে দেওয়ার মতো একটা কাজ না??? হালাগো এতো চুলকায় কেনো দুনিয়ায় শান্তি থাকলে? সত্যি হাস্যকর!!!
মেঘনাদ সচলায়তন ৯১
ঠিক ওই জায়গাতেই মসজিদ বানাতে হবে? কিংবা ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টার?
একটা ধর্মের কিছু অনুসারি যে জায়গায় একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছিল সেই ধর্মের একটা উপাসনালয় সেই জায়গায় করতে চাওয়া কি খুব মানবিক কাজ?
ধর্ম একজনের বিশ্বাস। সেই ধর্ম পালন করা তার অধিকার। কিন্তু সেটা পালনের অধিকার প্রয়োগ করার প্রক্রিয়ায় এরকম একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া কেন জরুরি হবে?
৯/১১ তে ঈদের দিন পড়লে সেটা একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার যেটায় মুসলিমদের কিছু করার নেই। কিন্তু জিরো গ্রাউন্ডে মসজিদ করার ব্যাপারে আমেরিকার মুসলমানদের অনেক কিছু করার আছে। আশা করি সেটা তারা করে দেখাবেন।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মুশকিল হলো, ৯/১১ তে ঈদের দিন পড়লে সেটা যে প্রাকৃতিক ব্যাপার, সেটা বোঝার মত জ্ঞান আমেরিকানদের নাই। অলরেডি ৯/১১ আসার আগে রমজান মাসের কার্যকলাপ নিয়ে আমেরিকানরা একটু একটু উত্তেজিত হইতেসে। তার উপর তাদেরকে মিসলিড করতেসে মিডিয়াগুলা। উপরে ইয়াহু নিউজের যে লিংকটা দিসি, তার টাইটেলটা খেয়াল করেন।
তার উপর এই মসজিদ বানানো নিয়া গ্যাঞ্জাম। অবাক হব না যদি ঈদের জামাতে আমেরিকানরা হামলা করতে আসে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ওই খানে কেউ স্বপ্নে নির্দেশ পেয়েছেন মনে হয়। জানতে ইচ্ছে হয় মিনার টা লাল কাপড় দিয়ে মোড়ানো হবে কিনা? আরো জানতে ইচ্ছে করে এই যায়গা আমরিকা সরকারের খাস জমি কি? না? যদি খাস হয়, আমি নিশ্চিত উদ্যোক্তা মুসলিমদরে বাংলা কানেকশন আছে।
ঐটা প্রাইভেট প্রপার্টি।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
bangla_valobashi বলেছেন
হুমম ইহা একটি জনপ্রিয় কন্সপিরাসি থিউরী আনেকটা ইউএফও বিশ্বাসীদের মতো।
সময় করে মেইনস্ট্রিম ডিবাংকিং পড়ে দেখবেন আশা করি।
১। পপুলার মেকানিক্স
২। বিবিসি কন্সপিরেসি ফাইল
৩। ডিবাংকিং ৯১১
তুমি অবাক হওয়ার চান্সই পাবে না।
আমেরিকানরা হামলা করবে না।
৯/১১ মতো বিশাল রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের পরও কিন্তু সামান্য কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আমেরিকানরা কোন উগ্র প্রতিক্রিয়া দেখায় নাই।
তবে যে যুক্তিতে তুমি দেশে শিবির হত্যা যায়েজ বলো, সেই একই যুক্তিতে মুসলিমদের আমেরিকায় ধোলাই দেয়াও অবশ্য যায়েজ। কারন আমেরিকায় অধিকাংশ মুসলিম যে যুক্তিতেই হোক এক ধরণের আমেরিকা বিরোধী মনোভাব বা বিদ্বেষ পোষন করে।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঐ যুক্তিতেই অবাক হবো না। আমেরিকানদের কম খ্যাপায় নাই মুসলমানরা। একদল আছে কিছু হইলেই "মাইরালামু, কাইট্টালামু", আরেকদল হইল,"না, এমনটা তো ইসলামে নাই, ইসলাম শান্তির ধর্ম, আমেরিকানরা এইটা বুঝে না।" বোঝানোর দায়িত্বটাও তো মুসলমানদেরই, নাকি? এখন চুলকানো টাইপ উদ্যোগ নিতেসে ৯/১১ এর ঘা না শুকাইতেই পাশে মসজিদ বানানোর কথা বইলা।
অফটপিকঃ আমি নিজে অ্যাকচুয়ালি শিবিররে তাদের আইডিয়াশুদ্ধা পিটাইয়া দেশ থেকে খ্যাদানোর পক্ষপাতী, হত্যা করাটা এখনও ঠিক জানিনা। তবে রাজাকারগুলার বেলায় অন্য কথা
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাবুবাংলা
এখানে শিবির কোথাথেকে নিয়ে আসলেন? কী কনটেক্সটে?
জামাতশিবির এমন একটা সংগঠন যাদের প্রতিটা সদস্য এমনকি বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করেছিল। এখনো পারলে পাকিস্তানে যোগ দেয়।
আজ এতো বছর পরও নতুন করে ১৪ই ডিসেম্বরকরার পরিকল্পনা করে।
আমেরিকার মুসলিমরা সবাই কি এরকম কিছু ভাবে? সেখানে কি মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী?
আপনি এরকম একটা তুলনা করে শিবিরকে মহান আর মুসলমান দের অসম্মান করলেন।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
জনাব বাবুবাংলা, বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখছি আপনি শিবির প্রতিরোধের ব্যাপারটাকে বারবার টেনে "শিবির হত্যা"র দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেটে শিবির প্রতিরোধে সক্রিয় ছিলেন এমন তিনজন মানুষ শিবিরের হাতে খুন হয়েছিলেন। তাদের আপনি ডেকে বসলেন "প্রগতিশীল সন্ত্রাসী"।
ব্যাপার কী ভাই? আপনার জ্বলে কোথায়? ঝাইড়া কাশেন তো।
বাবু ভাই মনে হয় মানুষ মারার ব্যাপারটার বিরুদ্ধে বলতে চাচ্ছেন, বা শিবির প্রতিরোধ করতে গিয়ে একটা ছাত্রের পারমানেন্ট মারমুখী হয়ে যাওয়াটার বিরুদ্ধে।
বাবু ভাই, শিবির প্রতিরোধ আর শিবিরকর্মী হত্যা পুরোপুরি এক জিনিস নয়, একটু বুঝেন। সবার মেন্টালিটি মোটামুটি ঐ "শিবির পিটায়ে আইডিয়াশুদ্ধা দেশ থেকে খ্যাদানো"র মত। তবে দুএকটা শুয়ার মরলে কেউ তাতে দুঃখ করে না।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
"পারমানেন্ট মারমুখী হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে, অতএব শিবির প্রতিরোধ করা যাবে না" গোছের একটা টোন আছে ওনার কথাবার্তায়।
বাংলাদেশে কি তাহলে মানব বন্ধন করে শিবির প্রতিরোধ করবে লোকজন?
ছাত্রলীগের পাণ্ডামি আর গুণ্ডামির সমালোচনা করা এক জিনিস, আর সেটা করতে গিয়ে শিবিরকে আড়াল করা আরেক জিনিস। বাবুবাংলা করেন দ্বিতীয়টা। কারণটা জানতে চাই। আশা করি ওনাকে করা প্রশ্নের জবাব উনিই দিতে পারবেন, পল্লবকে আর পরিশ্রম করতে হবে না।
আবু বকরকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীর হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে শিবির প্রতিরোধ নাজায়েজ হয়ে যায় না। শিবির প্রতিরোধ ছাত্রলীগের ইস্যু না, গোটা বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষের ইস্যু। বারবার এটাকে ছাত্রলীগের পকেটে ঢুকানোর চেষ্টা করে ছাগুরা। আমি জানতে চাই বাবুবাংলা সাহেবের চিন্তাভাবনা ছাগু লাইনের কি না।
বাবুবাংলা, আপনার কি মনে হয় না বাংলাদেশে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত ?
ধুসর গোধূলী ভাই, লাদেন যে মরিছে এইরম কোনও প্রমান কিন্তু এহোনো পাওয়া যাইনেই। তা'ও আপনি ওরে স্মৃতির খাতায় উঠোয়ে দেলেন। হাসতি হাসতি তো আমার মুইতে দেয়ার কায়দা।
রাতঃস্মরণীয়
আমি এই মারমুখী রাজনীতি অপছন্দ করি।
আমি শিবির মারি, শিবির আমাকে মারে, আমি আবার শিবির মারি – এধারাই তো চলছে বছরের পর বছর। সুযোগ মত এদের আমরা আবার সুযোগ করে দেই এবং এতো প্রতিরোধের রক্তপাত বৃথা হয়ে যায়। সুযোগ করে দেই- কারন মন অসাম্প্রদায়িকতায় দীক্ষিত হয় না বলে, হিসেব মিলানোর প্রশ্ন যখন আসে, তখন “সামান্য” ছাড় দিতে আমরা কুন্ঠিত হই না।
সাম্প্রদায়িতকা প্রতিরোধে শিক্ষাই পথ। তা না হলে সব প্রতিরোধ জামাত-শিবিরে আটকে থাকে, সাম্প্রদায়িকতার মুল প্রশ্নে যায় না।
জানি মারমার কাটকাট এর তুলনায় এটা খুবই মেন্দামারা এই চিন্তা। আপনার মতে হতে পারে এটা বালফালানী সুশীলতা। কিন্তু এভাবেই আমি ভাবিঃ লক্ষ্য যত শুভই হোক, মাইরা ফালা, কাইটা ফালা পথে সমাধান নাই। হত্যা করে, দমিয়ে রেখে মূল উৎপাটন করা যায় না।
চারদিকে শিবির প্রতিরোধে মাইরা ফালা, কাইটা ফালা দর্শনের জনপ্রিয়তার জোয়ারের কারনেই আমি বিষয়টা টেনে আনি-ক্ষেত্রভেদে এই একই মাইরা ফালা, কাইটা ফালা দর্শনই যে আবার আমাদের অপ্রিয় হয়ে যায়, সেটা মনে করিয়ে দেই।
শিবিরেরর হাতে সিলেটে যারা খুন হয়েছিলেন, আমি জানতে চেয়েছিলাম তারা নিজেরাও সশস্ত্রপন্থার লোক ছিলেন কিনা। অনেকে জবার দিলেন- সেই তিনজন সশস্ত্রপন্থার লোক ছিলেন বলে তাদের জানা নাই। কেউ আবার বললেন- সশস্ত্রপন্থার হইলেই বা কি?
“সশস্ত্রপন্থার হইলেই বা কি?” ইস্যুটাই অপরাপর আলোচনার সুত্রপাত করে। সব বক্তব্যই উপরের প্যারার আলোকে দেখলেই অবস্থানটা পরিস্কার হবে। কিন্তু যে শিবির মারতে চায় না, সে শিবির কে ভালোবাসতে চায়- এভাবেই অনেকে দেখেন। তবে সেটা তাদের বিষয়। তাই এ সংক্রান্ত উত্তেজিত জনতার মাথাগরম করে করা মন্তব্য আমি এড়িয়ে গেছি।
এখানে তো কোন শিবিরপন্থী তাদের হত্যাযজ্ঞের যৌক্তিকতা প্রমানের চেষ্টা করে না। তাই সেই যুক্তি খন্ডানোর ক্ষেত্রও তৈরী হয়না। এখানে আমরা আমাদের কর্মকৌশলের কথা বলি, নিজস্ব যুক্তি গুলো তুলে ধরি- তাই আমাদের কর্মকৌশলের পক্ষ বিপক্ষের প্রশ্নগুলো আসে। আমি সংসারের আলোচনায় আমার স্ত্রী পড়শির সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরাকে সমালোচনা করলাম, তার মানে এই না যে আমি পাশের বাড়ির স্ত্রীটির আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করতে আসাকে এড়িয়ে গেলাম বা সমর্থন করলাম। রাগের বসে স্ত্রীর অবশ্য তাই মনে হতে পারে—এখানে যেমন অনেকরই শিবির প্রসঙ্গে তাই মনে হয়।
আশা করি, বেশ জোরেই কাশলাম।
আমারও সামার শেষ হতে চললো। আশা করি, ভিন্ন মতের মুখোমুখী সবার আর এত ঘন ঘন হতে হবে না।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সুযোগ করে দেয়ার বিরোধিতা করছেন যত জোরে, তত জোরে প্রতিরোধের সমর্থন তো করছেন না। প্রতিরোধ না করলে আপনার কথিত বালফালানি সুশীলতা প্রয়োগ করবেন কীভাবে? শিবিরের দখলে থাকে যে ক্যাম্পাস, বা শহর, সেখানে অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা চুদাতে গেলে পরিণতি হতে হয় ড: তাহের, ড: ইউনূস, গোপালকৃষ্ণ মুহুরি আর হুমায়ূন আজাদের মতো। তখন রজনীগন্ধার ডাঁটা নিয়ে ঐ কসাইদের মুখোমুখি একজন মাইনুদ্দিন বা হিমু কি দাঁড়াবেন?
আপনার মতো ভাবতে গেলে, মুক্তিযুদ্ধ করাই একটা ভুল আমাদের। আমাদের উচিত ছিলো ২৬শে মার্চ সকালে একটা অসাম্প্রদায়িক মানববন্ধন করে মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করে বসে থাকা।
জ্বি। অন্ততঃ একজন-শহীদ মুনীর অস্ত্র হাতেই শিবির প্রতিরোধে ছিলেন।
এবার বলেন- কোন সমস্যা আছে কিনা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
প্রসঙ্গটা পার্সেপশনের।
মুসলিম শব্দটাই মনে একটা আমেরিকা-বিরোধী আলার্ম বাজিয়ে দেয়।
আমরা শিবির ধোলাই যায়েজ বলি, কারন ওদের আমরা বাংলাদেশ বিরোধি মনে করি। মুসলিম হিসেবে সাধারণ পার্সেপশনটাও ওরকম- ঠিক শিবিরের মতো রাষ্ট্রদ্রোহিতার পার্সেপশনটা। বাংলাদেশে শিবির আসলেই রাষ্ট্রদ্রোহি, কিন্তু আমেরিকায় মুসলিম মাত্রই রাষ্ট্রদ্রোহি না- এটা আপনার আমার কথা।
কিন্তু সাধারণ পার্সেপশনটা দূর করার মতো আমরা কিছু দেখাতে পারি নাই।
সুতরাং পার্সেপশন অনুযায়ী মুসলিমের জীবন আমেরিকার মাটিতে শিবিরের জীবন- যেন এরা দেশের রুটি বাটার খায়, কিন্তু দেশটাকে ঘৃণা করে।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শিবির রাস্ট্রদ্রোহী না। শিবির হলো জামাত নামের একটি দলের পায়ুপথে জন্ম নেয়া একটি হিংস্র সংগঠন। এই জামাত মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে। শিবিরের পূর্ব নাম, ছাত্র সংঘ অংশ নিয়েছে আল বদর তথা বাঙালি কিলিং মিশনে। এখন আপনি আমাকে বলেন আমেরিকার কোন বিপ্লবে, কোন সংগ্রামে, কোন অনুষ্ঠানে কোনো একটি মুসলিম দল, নিদেনপক্ষে একটি মুসলিম কম্যুনিটি গিয়ে পরিকল্পিতভাবে লাখ লাখ আমেরিকান হত্যা করেছে! আমেরিকার জন্মের বিরোধিতা করেছে এবং তারপরে আমেরিকার মাটিতেই খেয়ে পরে বেঁচে থেকে আবার রাজনীতিও করছে!
যদি উদাহরণ দিতে না পারেন তাহলে আমেরিকায় মুসলমানদের উপরে বাংলাদেশে শিবির স্টাইলে মারমারকাটকাট জাতীয় উদাহরণ দিবেন না দয়াকরে।
আর শিবিরকে কবে যেখানেই দেখা যাচ্ছে সেখানেই ধরে পেটানো হচ্ছে এমন উদাহরণই বা আপনি কোথায় পাচ্ছেন? বরং শিবিরের বিপক্ষেই এই উদাহরণটা দেয়া যায়, ২০০১ এর ইলেকশনের পর। আপনার মনে না থাকলে স্মরণ করিয়ে দিই, সে সময়ে শিবিরের পাণ্ডারা জাতীয়তাবাদী গুণ্ডাদের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশে আরেকটা একাত্তরের বিভীষিকা নিয়ে এসেছিলো! মনে করার চেষ্টা করুন অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর কথা। মনে করুন তখনকার জাতীয় দৈনিক গুলোর প্রথম পাতা। শুধু যে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করেছিলো শিবির তা না, যারা আওয়ামীলীগে ভোট দিয়েছিলো তাদেরকেও রেহাই দেয় নি মহামতি শিবির বাহিনী। আর যারা ছাপ্পামারা আওয়ামী লিগের সাপোর্টার তাদের তো ভিটেতে ঘুঘু চড়িয়েছে, নিদেনপক্ষে চেষ্টা চালিয়েছে। নানা ধরণের হয়রানী করেছে। উদাহরণ চান?
এই শিবির (কিংবা জামাত) এদেরকে প্রতিরোধ করতে সেক্যুলার শিক্ষার তো দরকার নাই। দরকার কেবল আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধকে স্মৃতিতে ধারণ করা। সারা বাংলাদেশে এদের সাপোর্ট কতো পার্সেন্টাইল? এটা দিয়েই তো বুঝায় ১৬ কোটি বাঙালীর বাংলাদেশে শিবির অলরেডি প্রতিরোধিত। এখন তারা যদি এই প্রতিরোধকে মধ্যমা দেখিয়ে রাজনীতির ময়দান গরম করার নামে দেশের আনাচে কানাচে মানুষের রগ কেটে বেড়ায়, তাহলে তাদেরকে ঘরে ডেকে পোলাও-কু্র্মা খাইয়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে "বাবারা, এসব করে না, ছিঃ" বলে নসিহত করার মতো মানসিকতা আপনার থাকতে পারে, কিন্তু আম বাংলাদেশীর থাকবে কেনো?
জামাত-শিবির বাংলাদেশী না। এরা পাকিস্তানের জারজ। বাংলাদেশ জামাত বা শিবিরকে কখনোই চায় না। এটা প্রমাণিত। প্রমাণিত তাদের সাপোর্টের পরিসংখ্যান দেখেই। এখন শিবির বাংলাদেশের প্রতিরোধ মেনে নিয়ে, বাংলাদেশের অধিবাসীদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে গুটিয়ে যাক বেহায়ার মতো মাথা উত্থিত না করে। বাঙালীরা তাদের মারবে না। বাঙালীরা নিজে মার খাওয়ার আগে কখনোই আঘাত করে না কাউকে। শিবিরকেও করবে না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাবু ভাই, আপনার কথার পয়েন্টটা খুব সম্ভবত এই যে, "পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা কর।" ভাল কথা। ধরেন, একটা লোকালয়ে মানুষখেকো বাঘ দেখা গেল। এখন কি করা উচিত? শুনেছি, একবার বাঘ মানুষখেকো হয়ে গেলে সেটাকে আর আগের অবস্থায় ফিরানো যায় না। এখন কি ঐ বাঘটাকে মেরে ফেলা, বা নিদেনপক্ষে আটকানো উচিত না? বাঘটা কি সুযোগ পেলেই মানুষ মেরে খাবে না?
শিবিরের "আল্লাহর ভয়ে" জিহাদে জোশিলা ছেলেগুলা মোটামুটি এই জাতের ইরিভার্সিবল। এদেরকে কি কোনভাবে বোঝান যায় এরা কি করছে? বোঝাতে বোঝাতে এরা কয়জনের রগ কাটবে সেটা ঠেকানো যায়? বা আরো কয়েকজনকে শিবিরে টানবে এটা ঠেকানো যায়? জেনে বুঝে ৭১ এর ক্রিমিনালগুলোকে এরা ফলো করছে, তাদের ডিফেন্ড করছে, এদের অপরাধ কি ওদের চেয়ে কম বলা যায়? গায়ে একবার বিষ ঢুকলে কি বিষ বের করে ফেলা উচিত না? নাকি অপেক্ষা করা উচিত কখন বিষের এফেক্ট ওয়্যারআউট হয়ে যাবে?
হ্যাঁ, শিক্ষার দরকার আছে যাতে আরো মানুষ এদের দলে না ভিড়ে। কিন্তু যেগুলো ভুলে গেছে অলরেডি, তাদের জন্য "মাইর ছাড়া কি আর ওষুধ আছে?"
পুরোপুরি সহমত।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাবু ভাই,
হিমু এবং রানা মেহেরের প্রশ্নের উত্তর আপনি দিয়েছেন কিন্তু অমিত নামে কেউ আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছে!
আমারো একই প্রশ্ন" আপনার কি মনে হয় না বাংলাদেশে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত ?"
অনুগ্রহ করে সরাসরি উত্তর দিবেন "হা" কিংবা "না". আপনার মত আমারো সামার শেষ, কাল সকাল থেকে ক্লাস, রাতের মধ্যে উত্তর পেলে আর সকাল সকাল সচলায়তনের পাতা ওপেন করতে হবেনা..
ভালো থাকবেন.
নীল পিপড়া
জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
আমার আগের নানা পোস্টের মধ্যেই আমার বক্তব্য জানার পরও কেবল ব্যক্তিগত ভাবে আমার মতামতের উপর কারো আগ্রহ থাকার কথা নয় ভেবে আমি ওই প্রশ্নের আগে উত্তর দেইনি। আপনি তারপরও জানতে চাচ্ছেন বলে লিখছি।
আরো অনেকের মতো আমিও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা চাই।
আমি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চাই না। চাই শুধু জামাত না, আওয়ামী লীগ, বিএনপি কেউই যাতে ধর্ম টেনে এনে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে।
তবে সাম্পদায়িক রাজনীতি জিইয়ে রেখে আমি যুদ্ধাপরাধের ভিত্তিতে কেবল জামাত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা চাই না। জিয়ার ছবি সামনে রাখে এই ধর্মান্ধরা মাঠে নামছে – এর চেয়ে বড় আতঙ্ক আর হয় না। বায়তুল মোকাররমের সামনে কয়েক শত লোকের জামাতি সমাবেশ ছেড়ে তখন লক্ষাধিক লোকের সমাবেশে খালেদার পাশে মঞ্চে গিয়ে দাঁড়াবে নিযামীরা- এখন যেমন সাকা গিয়ে দাঁড়ায়। বিএনপি সমর্থন হারাবে? মনে হয় না। আরিফ জেবতিকের মতো শুভ চেতনার লোকেরাও নাকি ছাত্রদল করতো। জিয়ার রাজাকার পুনর্বাসনের রেকর্ড জেনেও করতো। বিএনপিতে জামাত মিশে গেলেও অনেক শুভবুদ্ধির লোক তখনো বিএনপি করবে এবং আমরা হাবলার মতো বসে জামাত-শিবির মুক্ত বাংলাদেশে মৌলবাদীদের আস্ফালন দেখতে থাকবো- যেমন দেখেছি ২০০১-এ (ধুসর গোধুলীর পোস্ট দ্রস্টব্য)।
আপনি উত্তর চেয়েছিলেন। বিতর্ক এড়াতে আমি আমার ব্যাখ্যা আগে দিলাম। হ্যাঁ/না ভাবে তার সারমর্ম এইঃ
কেবল জামাত-শিবিরের উপর নিষেধাজ্ঞাঃ না
সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞাঃ হ্যাঁ
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জামাত-শিবিরের রাজনীতি কি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি না? জামাত-শিবির কী/কেমন রাজনীতি করে বলে আপনার মনে হয় জানার কৌতুহল হচ্ছে।
অতি সম্প্রতি এই উদ্যোক্তাদের একটা ভালো খাস জমি বিনামূল্যে দিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এটা ডিপ্লোম্যাটিক উপায়ে সামলাতে পারলে ভালো হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই ধরনের সেন্টিমেন্টাল ব্যাপার নিয়ে না নেড়ে, আমার মতে মুসলীমদের মানুষদের সাহায্য করা উচিৎ। সকল ধর্মেই এটা বলা হয় যে মানব ধর্মের চেয়ে বড় কিছুই নাই, তবে কেন তার মানব ধর্ম পালন করতে গিয়ে ধর্মকে টেনে আনতে চায়?
এটা এমনেতেও বলা হয়েছে তাদেরকে যে তারা নিউ ইয়র্ক সিটির, এমন কি ম্যানহাটনের যে কোনো যায়গাই করতে পারে একটা মসজিদ, কিন্তু এখানে মেনে নেয়া যাবে না। আমার প্রশ্ন রাউফকে, ইসলাম কি এই শান্তির কথাই বলেছে?
নতুন মন্তব্য করুন