(ব্যক্তিগত বমি-বিষয়ক আলোচনা এবং সাইদীর ছেলেকে পুলিশে ধরার আলোচনার পর থেকে)
ভাবীসাহেবা ফিরোজা মাহমুদঃ এখন যা বলছিলাম, প্রথম-আলোর ছবিটা...আমি যা দেখলাম...এটা পুরো ফটোশপে করা। কারন আছে তোমার...
মাহমুদুর রহমানঃ না না...ওটা কবেকার ছবি? কোন টাইম দেয়া নাই তো...এটা তো বানোয়াট।
ভাবীসাহেবা ফিরোজা মাহমুদঃ শুধু সেটা না...কথা শেষ করতে দাও না আগে
মাহমুদুর রহমানঃ আচ্ছা বলো
ভাবীসাহেবাঃ তুমি যদি ধরো, শাহবাগের মোড় হলে এটা কোন দিক? এই আজকের ছবিটা তুমি খেয়াল করে দেখ যে দিকটা দেখাচ্ছে সেটাতে বারডেম দেখা যাচ্ছে না, পিজি দেখা যাচ্ছে না। তার মানে, বারডেম-পিজির দিক থেকে তুলছে ছবিটা। তুমি আজকের ছবিটা দেখে খেয়াল কইরো। তাহলে যদি তুলে থাকে তুলছে উলটা দিক থেকে...মানে কোনায় যে জায়গায় সাইনবোর্ড ছিলো ওই জায়গায় ঢাকা ইনভার্সিটিটা থাকার কথা। পিছনে দেখা যায় পাহাড়ের মতো সবুজ। ঢাকা ক্লাব থাকার কথা ঐদিকে। আর এদিকে থাকার কথা তোমার শিশু পার্ক। তাহলে এই গ্রীন পাইলো কই? ঢাকা শহরে এই গ্রীন কোথায়? এটা পুরা ফটোশপে করা। তুমি কবেকার ছবি সেটা বাদ দাও। এটা ফটোশপে করা...না হলে এই গ্রীন সে কোথায় পাইলো? গ্রীন তো নাই এই ঢাকা শহরে। ভালো কইরা দেইখো তুমি আজকে।
মাহমুদঃ আচ্ছা দেখবো। কারণ কি জানো...এটা হচ্ছে প্রথম-আলো আর ওই শুয়োরের বাচ্চাদের এটা হলো শেষ প্রচেষ্টা। ডুবে যাচ্ছে তো...তাই এখন পাগল হয়ে গেছে। (সামানে উপবিষ্ট কারো উদ্দেশ্যেঃ আজকের প্রথম-আলোর ছবি দেইখো...তোমার ভাবী বলতেছে এটা পুরা ফটোশপে করা ছবি।)
ভাবীসাহেবাঃ না, তুমি ভালো করে শুইনা নাও আমার কথাটা, শুইনা নাও। তুমি এটা দেখো যে কোন এঙ্গেল থেকে তুলছে। এই এঙ্গেল থেকে তুললে বা দিকের কোনাটায় বারডেম থাকার কথা। কিন্তু কোন বিল্ডিংই নাই। দূরে দেখা যাচ্ছে উঁচা বিল্ডিং। তার মানে এটা হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে, বুজছো? কি গ্রীন! পুরা গ্রীন। দুই সাইডে পুরা গ্রীন। গ্রীন কোথায় ওই জায়গায় শাহবাগে? তারপরে যেটা লম্বা ইয়ে, ভীড়ের ছবি দিছে...এটা তো আমারে ইয়েই বলছে...ওই যে আমরা যে অ্যাড করতাম যে আগে...ওই যে মিঠু...এখন তো নামকরা ইয়ে....নাট্য পরিচালক এখন...সেই মিঠুই বলছে যে, মানুষের দাড়ানোর এই ছবি, এটা বানানো খুব সহজ। ও বলছে...কম্পিউটারে আমরা এইটা কইরা দেই। একশো দুইশো দিয়েই করে দেই। দেখ যেন লাগে পিছন পর্যন্ত সবুজ পাহাড়র মাঝ দিয়ে একটা লাইন গেছে। পুরা ফটোশপে করা ছবি এইটা। মিথ্যা ছবি এইগুলি। মাঝখানটা জাগার ছবিটা শুধু আছে সত্যি।
মাহমুদঃ কারেক্ট, কারেক্ট। আমার সন্দেহ হইছে, আমারো সন্দেহ হইছে কিন্তু। কারে যেন বললাম। ও, সাকিব রে বললাম। এই ছবি কখন, কবেকার তোলা এইটা? কিসের ছবি এইটা?
ভাবীসাহেবাঃ কবেকার, কবেকার সেইটা বাদ দাও।
মাহমুদঃ তোমার মতো এমন ভালো করে দেখি নাই আমি। তোমার মতো অত দেখি নাই, তবে আমার কাছে ভেজাল মনে হইছে।
ভাবীসাহেবাঃ তুমি খালি খেয়াল করে দেখ, গ্রীন কই? ভেজাল ছবি এটা। গ্রীন কই? এই গ্রীন ঢাকা শহরে কোন জায়গায়?
মাহমুদঃ দেখছি আমি, গ্রীনটা দেখছি।
ভাবীসাহেবাঃ আর ওই কোণা পর্যন্ত লাইটটা চলে গেছে। এগুলি সব ইয়ে দিয়ে বানাইছে, ফটোশপ দিয়ে বানাইছে।
মাহমুদঃ হ্যা, হ্যা...ফটোশপে। কোন এঙ্গেলের ছবি এটা এই খানে এ রকম! এই আর কি...
ভাবীসাহেবাঃ দেইখা মনে হইতেছে এটা জাতীয় গ্রন্থাগারের ওই জায়গায়।
মাহমুদঃ না না, এটা কোন এঙ্গেলের ছবি। কোন এঙ্গেল। এঙ্গেল কই? বিল্ডিং কই?
ভাবীসাহেবাঃ তাই তো, বিল্ডিং কই? দেইখা মনে হয় ঢাকা শহরে বিল্ডিং নাই...খালি পাহাড়...আর ওই দূরে দেখ
মাহমুদঃ বিল্ডিং কই? কোন এঙ্গেল থেকে তুলছে এই ছবি? সেটাই, সেটাই। মনে হয় পাহাড়ের পাদদেশে চারিদিকে গ্রীন...পাইলো কই বাংলাদেশে এই দৃশ্য? কোন রাস্তা এটা।
ভাবীসাহেবাঃ ঢাকায় এতো গ্রীন পাইলো কই? ঢাকায় হইলে সব কিছু থাকতো...রমনা পার্ক তো আরো দূরে
মাহমুদঃ রমনা পার্ক তো আরো দূরে...রমনা পার্ক এখানে কেমনে থাকবে? রমনা পার্ক তো থাকার কথা না।
ভাবীসাহেবাঃ সেটাই তো বল্লাম...একদম যেখানে শেষ লাইটটা দেখাইতেছে...ওই যায়গায় রমনা পার্ক।
মাহমুদঃ হ্যা সেটাই...ইয়ে তাইলে হসপিটালের ছবি কই? যদি হসপিটাল না থাকে, তাইলে হসপিটালের দিক থেকে তুলছে...হসপিটালের দিক থেইকা তুললে গ্রীন কই থেইকা আসলো?
ভাবীসাহেবাঃ সেইটাই...গ্রীন তো কোন জায়গায় নাই। আমি চিন্তা করে দেখছি...ওই যায়গায় কোন খানেই গ্রীন নাই।
মাহমুদঃ টোটাল কাট টু কাট এটা। টোটাল কাট টু কাট। এতো লোক দেখাইছে, তুমি যেটা বললা...এই যে এতো লোক দেখাইছে...এটা টোটাল কাট টু কাট।
ভাবীসাহেবাঃ হ্যা, কাট টু কাট এগুলো। আবার তুমি দেখ, ব্রীজটা যেটা দেখাইছে...ব্রীজের পাশেই তো তোমার বারডেম বিশাল দশতালা হসপিটাল। কিন্তু এটাতে ব্রীজের পাশে তো সবুজ। ব্রীজের পাশে তো সবুজ দেখাইতেছে। তার মানে এগুলা সব বানানো ছবি।
মাহমুদঃ হ্যা...বানানো...বানানো...বানানো
ভাবীসাহেবাঃ কি রকম বদমাইশ সব। আল্লাহর গজব পড়বে।
মাহমুদঃ না...এটা তো শেষ...ওদের শেষ লড়াই। আমার-দেশ এর জন্য ওরা খুব বিপদে পড়ে গেছে। এখন কি করবে বুঝতে পারতেছে না। কি করবে বুঝতে পারতেছে না। এখন টোটল জালিয়াতির আশ্রয় নিছে আর কি। টোটাল জালিয়াতি।
ভাবীসাহেবাঃ টোটল...একদম প্রকাশ্য জালিয়াতির আশ্রয় নিতেছে
মাহমুদঃ প্রকাশ্য জালিয়াতি, প্রকাশ্য জালিয়াতি।
ভাবীসাহেবাঃ বলা উচিত এটা ঢাকার কোন জায়গায়, কোন এঙ্গেল থেকে শাহবাগের মোড়ের এই ছবি পায়...আমাদের সেটা দেখাক।
মাহমুদঃ দেখি বিকালে সাংবাদিকরা আসুক...এটা নিয়ে আলাপ করবো নে...ফটোগ্রাফার-টটোগ্রাফার নিয়ে আলাপ করবো নে
ভাবীসাহেবাঃ হ্যা...আমাদের সকাল বেলা তুলে দেখাক কোন এঙ্গেল থেকে এই রকম আসে ছবি। আর এই জন্যই দেখ এই বদমাইশরা সব সময় রাতের বেলা ছবি তুলে।
মাহমুদঃ ঠিক রাতের বেলা...এরা কখনো দিনের বেলার ছবি দিবে না...এরা কক্ষনো দিনের বেলার ছবি দিবে না। সব সময় প্রথম-আলোতে রাতের বেলার ছবি। এইগুলি লিখবো আমি আগামী বুধবারে। বুঝছ তুমি, এইগুলি নিয়ে আগামী বুধবারে আমি লিখবো। আগামী বুধবারে। এই বুধবারে না। এই বুধবারে তো দ্বিতীয় কিস্তি আমার।
ভাবীসাহেবাঃ না...আজকের ছবিটা তো একেবারে মানুষের কাছে ইয়ে করে দেয়া উচিত।
মাহমুদঃ হ্যা...রিপোর্ট করে দিবো সব।
ভাবীসাহেবাঃ প্রথম-আলোর দায়িত্ব সব তুলে দেখাক কোন এঙ্গেল থেকে এমন আসে শাহবাগ। এই রকম গ্রীন কোথা থেকে আসে।
মাহমুদঃ গ্রীন কোথা থেকে আসে, সেটাই...সেটাই...সেটাই। ওকে!
ভাবীসাহেবাঃ আল্লাহ হাফেজ।
মন্তব্য
জাতির বৃহত্তর স্বার্থে লিংক রেখে গেলাম।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
ঢাকা শহরে সবুজ নাই এমন চুদুর-বুদুর কথা চলইত ন চইলত ন। সারা জীবন গ্রীন রোডে ছিলাম, গ্রীন সুপার মার্কেটে কেনাকাটা করছি। পাশের বাড়ির গ্রীন হেরাল্ডে পড়া মাইয়ার দিকে লুলায়িত চোখে তাকায়া তাকায়া দির্ঘঃশ্বাস ফেলছি আর কাঠি লজেন্স চুসছি। বড় হ্য়া গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে পড়ছি। আর হেতে কয় গ্রীন কই! গ্রীন লই চুদুর-বুদুর কথা চলইত ন চইলত ন।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
গ্রীন স্টোরে যান নাই?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমি এক্সময় যাইতাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মগবাজারে না? ওই যে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয়?
মগবাজারের ওইটা পিয়াসী হৈতে পারে। গ্রীন স্টোর হচ্ছে পান্থপথ চৌরাস্তা থেকে সাইন্সল্যাবের দিকে কিছুদুর গেলে হাতের বা দিকে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মগবাজারেরটা, মানে দিলু রোডেরটা, ওয়াইন এমপোরিয়াম।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মগবাজার মোরে পিয়াসী
ইস্কাটনে গোল্ডেন ড্রাগন
দিলু রোডের মাথায় ওয়াইন ইম্পোরিয়াম
গ্রিন স্টোর আগে গ্রিন রোডে ছিলো, এখন কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের কাছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গ্রীন স্টোর মুভ করেছে জানতাম না। অনেকদিন ওইদিকে যাওয়া হয়না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
প্রায় ম্যাট্রিক্স এর এজেন্ট স্মিথ
আমি ভাবছি ভাবী সাহেবের এই আলোচানা তিনি যখন ফেইসবুকের পাতায় পাতায় শুনবেন, তখন রিএ্যাকশন কী হয়! বাংলাদেশে 'সল্ট' এর মত এমন এ্যাজেন্ট আছে ভাবী সাহেবের কথা না শুনলে অজানাই থেকে যেত।
টুইটার
মহিলা কণ্ঠটা মনে হয় 'বেগম মাহমুদুর' এর না, কোনো 'কলিজু'র ! অডিও তে এক জায়গায় মাহমুদুর এর এরকম একটা কথা আছে 'তোমার ভাবীও সকালে বলতেছিলো এটা ফটোশপ ছবি'!
গ্রীন লইয়া কুন চুদুরবুদুর চইলত ন।। ভাবীসাব কিন্তু হাডায়া হালাইব
আমিতো আরো মনে করসি গ্রীন বলতে ইঙ্ক্রেডিবল হাল্কের কথা বুঝাইতেসে। খুব মনযোগ দিয়া, বাত্তি লাগাইয়া খুঁজলাম। কিন্তু মিঃ গ্রীনরে আর পাইলাম না। আমারও একই প্রশ্ন ঢাকা শহরে গ্রীন কই??
ফারাসাত
ফিশআই লেন্স দিয়ে তোলা এই ছবিটির কথা আলোচনা করছেন আন্দাজ করছি।
ফিশ আই বা মাছের চোখ পানির ভিতর থেকে কিভাবে দুনিয়াটা আল্ট্রা ওয়াইড হিসেবে দেখবে তার উপর ভিত্তি করে এই ধরণের লেন্সগুলো তৈরী। স্বভাবতই এই লেন্স গুলোতে বর্তুলাকার ছবি আসে এবং ছবিটায় স্ফেরিকাল ডিসটর্শন দেখা যায়। অর্থাৎ ছবির প্রান্তবর্তী অংশগুলো অতিরিক্ত স্ফিত মনে হয়। যেমন মনে হয়েছে শাহবাগের ছবিতে গাছগুলোর ক্ষেত্রে। ফিশ আই দিয়ে তোলা আরেকটি ছবি জুড়ে দিচ্ছি নীচে।
গ্রীনের সাথে ফিশাই মিশানো ঠিকনা
আমার মনে হচ্ছিল তারা ১১ই ফেব্রুয়ারীতে প্রথম-আলোর এই ছবিটা নিয়ে গীবত করছিলোঃ
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
প্রথম আলোর ছবি ম্যানিপুলেশন করার অভ্যাসটা অবশ্য পুরান। এটার কথা বলতে পারবো না।
ফেসবুকে আরেকজনের মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ছবি দেখলাম, সেটাও মোটামুটি এই অ্যাঙ্গেলে এইরকমই।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
কিন্তু জায়গায় জায়গায় আলোর তারতম্যটা লক্ষ্যনীয়। ডানে উপরের দিকে যেমন মনে হচ্ছে গভীর রাত।
ওদের ভাবখান এমন যেন সমগ্র বাংলাদেশে একটা ফটোই তুলা হৈছে, আর কোন প্রমাণ নাই!
নাহ। ছবি আগেরটার কথাই বলা হইছে। এই ছবি রাতে তোলা না, দিনে তোলা। আগেরটা রাতে।
নতুন মন্তব্য করুন