(বাংলার এক ইঞ্চি মাটিও যেমন ওদের না, বাংলার এক ইঞ্চি ত্যানাও ওদের দিবো না। ত্যানা যদি প্যাঁচাতেই হয়, আমরাই প্যাঁচাবো)।
বেশ কিছুদিন আগের কথা। কাঁচা বাজারে কেনা-টাকা শেষ করে বের হচ্ছি, তখন বাজার থেকে বেরোনোর রাস্তার মুখে কিছু তরুণ একটু কথা বলতে চাইলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তোমরা কি আমার সঙ্গে কথা বলতে চাও?”। একজন কুণ্ঠিত-ভাবে আমার হাতে দুই প্যাকেট মাংস ধরিয়ে দিয়ে বলল, “আমরা ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য হজ্জ্বের দুম্বার মাংস বিক্রি করছি, আপনি যদি দুই প্যাকেট কিনতেন” ।
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় সৌদি সরকার হজ্জ্বের সময় কোরবানি দেয়া দুম্বার মাংস অনুদান হিসাবে বিতরণের জন্য ইসলাম ব্যাংকের কাছে পাঠায়। ফকির-মিসকিনদের কাছে বিতরণের জন্য দান-খয়রাত হিসেবে দেয়া সেই মাংস এরা বিক্রি করছে! মুহূর্তে আমার সারা শরীর শক্ত হয়ে গেল। আমি মাংসের প্যাকেট দুটি ফেরত দিয়ে অত্যন্ত কঠিন গলায় বললাম, “দান-খয়রাতের মাংস তোমারা বিক্রি করছ? লজ্জা করেনা?” ছেলেগুলোর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। দুর্বল গলায় একজন বলল, “আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনার টাকা তোলার জন্যই আমরা এগুলো বিক্রি করছি”। এসব অনেক দিন আগের কথা, এরপর আমি তাদের কি কি বলেছিলাম, আমার আর এখন মনে নেই। শুধু মনে আছে, বাজার থাকে কেনা মুড়ির প্যাকেট ওদের হাতে দিয়ে বলেছিলাম, “চুরির মাংস দিয়ে দল করিস, যা তোরা মুড়ি খা”। ছেলে গুলো মাথা নিচু করে আমার কাছ থেকে ফিরে গিয়েছিল।
তোমরা শিবির কর্মীরা আমার কাছে সেদিন সাহায্যের আশায় এসেছিলে। আমি তোমাদের আশা পূরণ করতে পারিনি। আজ মনে মনে ভাবি, তোমাদের এখন বড়ই দুর্দিন। তোমাদের নেতারা আজ সবাই আটক। তাদের মুক্তির জন্য আদালতে ও রাজপথে তোমরা যুগপৎ লড়াই করছ। এই লড়াই অনেক টাকার বিষয়। তাই আজ এতদিন পরে বসে ভাবছি, মানুষের কাছে দুম্বার মাংস বিক্রি করার চেয়ে আরও উত্তম কোন উপায়ে তোমারা শিবিরের জন্য টাকা তুলতে পারো কিনা।
সকালবেলা নিশ্চয়ই তোমরা সকলেই আলু-পটল-শাক কিনতে থলে হাতে বাজারে যাও। বাজারে পচা বাসি শাক-সবজী-মাছ কিছু কম দামে বিক্রি হয়। তোমরা শিবিরের ছেলেরা নিজের ও পরিবারের জন্য এই পচা বাসি জিনিস কম দামে কিনে দলের জন্য তহবিল বানাতে পারো। দুই দিনের দুনিয়ায় ভালো মাছ, ভালো তরকারী, ভালো ফলটি খাবার কি দরকার? বাজারের সব চেয়ে পচা ধচা জিনিস সব কিনে খাবে আর দলের জন্য টাকা কামাবে। পচা-বাসি-দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খেতে তোমাদের কিছুটা কষ্ট হয়তো হবে। খেয়ে ওয়াক ওয়াক করে তোমারা হয়তো এক সাথে জামাতে দাঁড়িয়ে বমি করবে। কিন্তু দ্বীনের জন্য এই ত্যাগটুকু তোমারা স্বীকার করতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। দেখনা, ইসলাম ও জাতীয়তাবাদের অতন্দ্র প্রহরী মাহমুদুর রহমান ও তাঁর কলিজার টুকরা বিবি ঠিক একই ভাবে দেশ-দশের স্বার্থে রাতভর বমি করে যাচ্ছে। তোমারাও একই পথ অনুসরণ করে লাখো সাথীদের বমির বিনিময়ে শিবিরকে গড়ে তুলবে। তোমরা জেনে আশ্বস্ত হবে যে, পচা-বাসি মাছ-তরকারী খেতে খারাপ হলেও কিন্তু দেখতে মোটেই খারাপ নয়। বাজারে এগুলো ফটোশপ দিয়ে সব সুন্দর করে তাজা হিসাবে সাজিয়ে রাখা হয়।
ভাষা-সৈনিক গোলাম আযম আজ বন্দী। মাওলানা নিজামী কে ছুড়ে ফেলা হয়েছে অন্ধকার কারাগারে। কারাগারের প্রকোষ্ঠে আজ মাথা ঠুকে মরছেন আল্লামা সাঈদীসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ। মাওলানা কাদের মোল্লা ছাহেব আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি মাথায় নিয়ে কারাগারের নরকে থেকে স্বর্গের ফুল ফোটাচ্ছেন। যদি এদের অন্যায় ভাবে বন্দী করে রাখা হয়, তবে অবশ্যই তোমাদের মতো আমিও উনাদের মুক্তি চাই। কিন্তু শুধু মাত্র গোলাম আযম ছাহেব, মাওলানা নিজামী ছাহেব কিংবা আল্লামা সাইদী ছাহেবের মুক্তি অর্জন করেই তোমারা দ্বীনের শাসন কায়েমের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তি নিঃসন্দেহে তোমাদের আন্দোলনের অন্যতম দাবী। কিন্তু আজকের বিশ্বে দ্বীনের শাসন কায়েমের সংগ্রামের ব্যাপ্তি এত ব্যাপক যে কেবলমাত্র একটি দেশের পরিমণ্ডলে তার সামগ্রিকতা ধারণ করা অসম্ভব। তাই গোলাম আযম-নিজামী-সাঈদী-কাদের মোল্লার মুক্তির দাবীতে তোমাদের সীমাবদ্ধ থাকা চলবে না। বুঝলাম তাদের অন্যায় ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে, কিন্তু সারা প্যালেস্টাইনের মুসলিম জনতাও কি একই ভাবে ইহুদী-নাসারাদের হাতে বন্দী হয়ে নেই? ইসরায়েলের কারাগারে কি হামাস নেতা শেখ হাসান ইউসুফ বন্দী হয়ে নেই? মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ভিত্তি ধ্বংস করে দিতে গিয়ে আমেরিকার কারাগারে বন্দি আল্লামা নাফিসের হাহাকার কি আজ খোদার আরশ কাপিয়ে দিচ্ছে না? তাই তোমাদের আন্দোলনের ব্যাপ্তিকে আজ প্রসারিত করে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে না পারলে প্রকৃত অর্থে দ্বীনের শাসন কায়েম সম্ভব হবে না।
শাহবাগের আন্দোলন আজ দেশে তোমাদের জন্য এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। পায়ের নিচের মাটি যখন টলে উঠে, তখন পিছু হটে শক্তি সঞ্চয় করাই প্রকৃত বীরের কর্ম। তাই আজ সময় এসেছে হিজরতে যাবার। এখন যৌবন যার, হিজরতে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। তাই বাসি পচা খাবার খেয়ে দ্রুত কিছু টাকা জমিয়ে এবং ব্যবসা পাতি যা আছে তা গুটিয়ে যা পাওয়া যায় তাই হাতে নিয়ে হিজরতের মহান ব্রতে নেমে পড়তে হবে। খুব গোপনীয়তার সাথে উপরের হিজরত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। ঢাকাকে কেন্দ্রে রেখে দেশের বাম অংশে অবস্থানরত শিবির কর্মীরা চলে যাবে সুদূর চীনে আর ডান অংশে অবস্থানরত শিবির কর্মীরা চলে যাবে সোজা পাকিস্তানে। ৭১-এর স্মৃতি মাথায় রেখে চীন ও পাকিস্তানের জনগণ তোমাদের মদিনা-বাসীর মতো বুকে টেনে নেবে। বাংলার মাটিতে যেহেতু তোমাদের এখন আর বেইল নাই, তাই তোমরা হিজরত করে দেশত্যাগের মাধ্যমে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়। সৎ লোকের দ্বীনি শাসন কায়েমের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তোমাদের এই অভিযানে আমার শুভ কামনা রইলো।
মন্তব্য
দ্যাহেন ভাই, এমনিতেই চাইনীজ মোবাইল, ল্যাপ্টপ, আর আইফোনের জ্বালায় জেবন পেরেসান এখন যদি চাইনীজ শিবিরও চইলা আসে বাজারে তাইলে কিন্তু বদহজম হবে। তার থেকে পাকিস্তান ভালা, আরো উচ্চ নেকী হাসিলের জন্য ইউরোপের কোনায় তূর্কীও যাইতে পারে মাগার চীন না। আমরা চাইনীজ মোবাইলের নাহান উচ্চস্বরে কান্না করা কোন শিবির চাইনা বাংলাদেশের আসেপাশে।
লেখা
"পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুরে ১৮ই জুন (১৯৭০) এক সংবর্ধনা সভায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম বলেন, উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা। তিনি বলেন, ৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তিনিও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা ভুল হয়েছিল।"
http://www.amarblog.com/eskimo/posts/10365
amn
সাক্কারে দাঁড়িয়ে একথা বললে তো তার প্যাঁদানি খাওয়ার কথা ছিলো। সাক্কারের ১% মানুষও উর্দু বলে না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হিজরতের আইডিয়াটা খারাপ না, আমাদের পেয়ারা নবীও হিজরত করছিলেন। পাকিস্তানে হিজরত করতে পারলেই ভালো হইত, কিন্তু ওগো মত খতরনাক আর নাফরমান জাতি আল্লাহ পাকের দুনিয়ায় তো আর একটাও নাই। আমাদের যে বিহারী ভাইগুলা পাকিস্তানের জন্য লড়কে লড়কে জান কোরবান করে দিলো, তাদের এখন পাকি শুয়ারগুলা চেনেও না। যারা আগে থেকেই পাকিস্তানে ছিল, তাদেরও লাত্থি দিয়া খেদাইতে চায়। না, এই দেশে হিজরত হইত না।
সে দিক দিয়া চীন মন্দ না। পেয়ারা নবীও ইরশাদ করেছেন বিদ্যা শিক্ষার জন্য দরকার হইলে চীনে গমন কর। বিদ্যা শিক্ষার অবশ্য দরকার নাই, হুজুর ছাইদী ছাহেবের ক্যাছেট শুইনা বিদ্যা মাশাল্লাহ কম হাসিল হয় নাই। কিন্তু অত দূর যামু ক্যামনে? পেয়ারা নবী তো উটের পিঠে সওয়ার হয়ে হিজরত করছিলেন, আমরা উট পামু কেমতে? এক কাজ করলে হয় না? উটের বদলে ছাগলের পিডে চইরা চীন দেশে রওয়ানা হওয়া কি জায়েজ আছে?
পাকিস্তানের জাতীয় পশু যেইডা ... হেইডা প্রায় উডের সমান... উডের প্রক্সি দিয়া পারবো... তয় খবদ্দার... আমাগো ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলরে কলুষিত করণ যাইব না...
ঈয়াসীন
অতি উত্তম !!
আমি নির্বোধ! ২০০৬ সালে আফ্রিকায় থাকতে ব্যাংক অফ সৌদি আরাবিয়া থেকে ২ কন্টেইনার কোরবানীর গোশ পেয়েছিলাম। পরে বহুত হাঙ্গামা-হুজ্জত করে, মোজাম্বিকের বায়রা বন্দর থেকে খালাস করে এনে, গভমেন্টের হাতে-পায়ে ধরে সার্টিফিকেট হাসিল করে সেই গোশ বিলিয়েছিলাম। এই লেখাটা সেই সময় পড়লে কাজে দিতো, চামে হাফ কন্টেইনার ঝেড়ে দিতাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হাহাহা, চায়নিজ ক্ষুর হাতে নাক চাপা বাঁটু শিবির-------------
উদাসদার ত্যানা মিটার তাইলে কামে লাগছে। মাশাল্লাহ।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের মূল বাসস্থান পাকিস্তানেই হওয়া উচিৎ। কিন্তু চায়না হলে ব্যাপারটা কেমন কেমন হয়ে যাবে না? চায়নিজ শিবির শুনতে কেমন জানি লাগছে!
লেজকাটা বান্দর
ধর্ম যবে শঙ্খরবে করিবে আহ্বান
নীরব হয়ে নম্র হয়ে পণ করিয়ো প্রাণ।
বেশ লিখেছেন।
মহান বাবা ইউক্লিড
চরম!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মুড়ি ! পাকি-চাইনিজ শিবিররা তো খুশিতে ডিগবাজি খাওয়ার কথা ।
লেখা হয়েছে
হুম এই ব্লাক বেঙ্গল গুলোকে ফাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া উচিত ।
মাসুদ সজীব
নতুন মন্তব্য করুন