পলাশীতে হারালাম স্বাধীন সূর্য,
স্বয়ংসম্পন্ন গ্রাম,
মুক্ত বুদ্ধি আর গতর খাটানর স্থান,
ভরা ভাতের হাড়ি, শান্তির আঙ্গিনা।
তখন থেকে শুধু হারাচ্ছি আর হারাচ্ছিই-
আর কত হারাব?
শের- এ মহীশুর থেকে নেতাজ্বী
অসংখ্য ত্যাগীর বলির পরেও ৪৭- এ
ধর্মের নামে ভাগ হল সহদরের উঠন।
সে উঠন আবার নিকান হল
মহাত্মাজ্বী ও লিয়াকত আলীর রক্তে।
তখন থেকে শুধু হারাচ্ছি আর হারাচ্ছিই-
আর কত হারাব?
আপনার করে পেলাম না
আলাদা করে অর্জন করা
ভাষা, সাল, দেশকে।
আতজালা-বেজন্মার দল
জাতির পিতাকে খেয়ে, জাতীয়তাবাদ
আর ধর্মকে এক দড়িতে গোছর দিয়ে
অমাদের সমস্ত চাওয়া-পাওয়াকে হাওয়া করে দিল
স্বার্থ-বুদ্ধি আর অল্প-বুদ্ধির অহংকারে।
শকুন চোখি ভাগার মুখিদের খপ্পরে পরে
আর কত হারাব?
এবার সকল হারানোর হোক অবসান
এক বিশাল হারানো দিয়ে;
যার সূচনা করবে চেঙ্গিস-হালাকু নয়-
বাংলার কাদা-মাটিতে দেহ-মন গড়া
এক বৈশেখী পৌরুষদীপ্ত পুরুষ।
যে সকল ভালসহ মন্দরে বিদ্ধস্ত করে,
গড়ে তুলবে এক নতুন সমাজ,
নতুন সভ্যতা।
নতুন শতকের প্রভাতে
এই ইচ্ছে মনে গাঁথলুম।
পরের পংক্তির কাউকে হারাতে কেউই চায়না। কিন্তু স্রষ্টার রুটিবে বা কি আছে?
আপনার ইচ্ছের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করলাম।
তাহলে আমরা দুজনে মিলে একাত্মা। আজ থেকে দরজায় তালা দেব না।
আপনার ভানহীনতা আমারে টানলো... আর কিছুই তেমন করে না যদিও...
এই গুণটুকু যদি আরো আরো কবিতায় অন্যভাবে দেখতে পেতাম... আরো লিখুন... বা যা আছে, দিন...
ধন্যবাদ
মন্তব্য
[quote=
আপনার করে পেলাম না
আলাদা করে অর্জন করা
ভাষা, সাল, দেশকে।
আতজালা-বেজন্মার দল
জাতির পিতাকে খেয়ে, জাতীয়তাবাদ
আর ধর্মকে এক দড়িতে গোছর দিয়ে
অমাদের সমস্ত চাওয়া-পাওয়াকে হাওয়া করে দিল
স্বার্থ-বুদ্ধি আর অল্প-বুদ্ধির অহংকারে।
শকুন চোখি ভাগার মুখিদের খপ্পরে পরে
আর কত হারাব?
চুম্বক অংশ তাড়িত করল মনকে, তাই-
হারাতে চাই না পরের পংক্তির কাউকে।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....