জিনিয়াস এন্ড কালচার

বর্ণদূত এর ছবি
লিখেছেন বর্ণদূত [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৬/১০/২০০৮ - ২:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূল : উমবার্তো বোচ্চিওনি
ইংরেজি অনুবাদ : আর ডব্লিও ফ্লিন্ট

মঞ্চের মধ্যে একটি দামি ড্রেসিংটেবিল, সেখানে আয়নার সামনে বসে একজন সুবেশী অভিজাত নারী গালে রুজ লাগাচ্ছে। ডান পার্শ্বে একজন সমালোচক, যাকে কোনও বর্ণনায় ফেলা মুসকিল, অপরিচ্ছন্ন নন আবার পরিচ্ছন্নও নন, না বৃদ্ধ না তরুণ এ ধরনের প্রায় নিরপে অবস্থার মানুষ টেবিলের সামনে বসে আছে, টেবিলটি বইপত্রে উপচে পড়ছে প্রায়, সেখানে আধুনিকও নয় আবার অ্যান্টিকও নয় এমন একটি কাগজ কাটার ছুরি চকমক করছে। সেই মানুষটির কাঁধ ড্রেসিংটেবিলের দিকে ঘোরানো। বাম পার্শ্বে তরুণ এক শিল্পী মেঝের কুশনে বসে একটি বড় ফাইল ঘাটছে।

শিল্পী: (ফাইল ঘাটা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে দুইহাতে মাথা ধরে) এ সত্যিই ভয়ানক! (বিরতি) আমি অবশ্যই এখান থেকে চলে যাবো! আবার নতুন করে শুরু করতে হবে! (সে উঠে দাঁড়াবে এবং ফাইলের মধ্য থেকে বের করা কয়েকটি বিমূর্ত অঙ্কন দুইহাতে দলা পাঁকিয়ে ছিঁড়ে ফেলবে।) যা মুক্ত!! এইসব ফাঁপা ফর্ম ব্যবহৃত হতে হতে একঘেয়ে, জীর্ণ হয়ে গেছে। সবকিছুই শেষপর্যন্ত অসম্পূর্ণ, দুর্বল! ওহ! শিল্প!...হু, হু উইল হেল্প মি? (সে চারদিকে তাকাবে আর কাগজে আঁকা অংকনগুলো দুইহাতে দলা পাঁকিয়ে ছিঁড়তে থাকবে।)

(সুবেশী অভিজাত নারী সেই শিল্পীর খুব কাছাকাছি থাকলেও তার এইসব কথা কিংবা কর্মকাণ্ড বিষয়ে সচেতন নয় কিংবা বিষয়টি তার মধ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। সমালোচক রেগে যাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে কিন্তু অতটা নয়। সে হলুদ মলাটের একটি বই নিয়ে সেই নারীর কাছে যায়।)
সমালোচক: (অর্ধেক নারীর উদ্দেশ্যে আর বাকি অর্ধেক নিজেকেই বলছে) কিন্তু কী এমন ঘটেছে যে ঐ কাউনটা এমন চিৎকার-চেঁচামেচি করছে, এই ধরনের উদ্ভট আচরণ করছে?
নারী: (না তাকিয়ে) ও, ও একজন শিল্পী....সে আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চায় অথচ তার কাছে কোনও টাকা-পয়সা নেই!
সমালোচক: (বিভ্রান্ত, দ্বিধান্বিত) স্ট্রেঞ্জ! একজন শিল্পী! অসম্ভব! প্রায় বিশ বছর ধরে আমি এই অসাধারণ আর আশ্চর্যজনক বিষয়ে গভীরভাবে পড়াশোনা করেছি অথচ আমি তা বুঝে উঠতেই পারিনি। (নিশ্চিতভাবেই প্রতœতাত্ত্বিক কৌতুহল নিয়ে।) ঐ লোকটা উন্মাদ! কিংবা একজন বিরোধিতাকারী! সে পরিবর্তন চায়! কিন্তু সৃষ্টি হচ্ছে একটা নির্মল বিষয়। শিল্প নির্মাণের কাজ প্রাকৃতিকভাবেই, নীরবে এবং পুনস্মরণের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়, যেন একটি নাইটিঙ্গেল গান গাইছে.....। প্রণোদনা, একটা ধারণা হেগেল যাকে মনে করতেন.....
নারী: (সমালোচকের কথার ধারাবাহিকতায়) আর যদি তুমি জেনেই থাকো বিষয়টি কীভাবে ঘটে, তবে তাকে বলছো না কেন? খুব বাজে ব্যাপার! সে ভীষণ যন্ত্রণায় রয়েছে......

সমালোচক: (নারীকে থামিয়ে দিয়ে) শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সমালোচকেরা শিল্পীদের বলে আসছে কীভাবে একটি শিল্প সৃষ্টি হবে..। যখন থেকে নীতি-নৈতিকতা এবং সৌন্দর্যতত্ত্ব প্রণোদনা দিয়ে আসছে.....।
নারী: কিন্তু তুমি, তুমি তো কখনোই কিছু তৈরি করতে পারনি?
সমালোচক: (বিব্রত হয়ে) আমি?....আমি কেন?
নারী: (রহস্যময় হাসি দিয়ে) ঠিক আছে, তো তুমি জানো কীভাবে তা করতে হয়, কিন্তু তুমি তা কর না। তার মানে তুমি হচ্ছ নিরপে। বিছানায় তুমি অবশ্যই ভীষণ বিরক্তিকর হবে! (সে তার গালে আবারও রুজ লাগাতে থাকবে।)
শিল্পী: (দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে তার মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে পেছনে রেখে হাঁটছে।) যশঃ! আহ! খ্যাতি! (হাতের মুষ্ঠি আরও শক্ত করে) আমি শক্তিমান! আমি যুবক! আমি যেকোনও কিছু মোকাবিলা করতে পারি! ওহ! স্বর্গীয় বজ্র...সূর্য...ঐ ভিড়-কোলাহলের ওপর আছড়ে পড়...তাদের পোড়াও! তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার কর!
নারী: (শিল্পীর দিকে সহানুভূতি আর কঠোর দৃষ্টি দিয়ে) দুর্বল চিন্তা! অর্থ ছাড়া.....
শিল্পী: (থামিয়ে দিয়ে) আহ! আমি আহত, ভারাক্রান্ত! বেশিদিন টিকবো না! (নারীর কাছে যাবে, যে কিনা তার কোনও কথা শুনছে না) ওহ! এক নারী! (সমালোচকের দিকে যাবে, যিনি অনেকগুলো মোটা মোটা বই ঘাটছেন আর সেসব বইয়ের পাতাগুলো ঘ্যাচ ঘ্যাচ করে কলম দিয়ে কাটছেন।) আপনি! আপনি, স্যার, কে কোথায় আছো মানুষ, শোন...আমাকে একটু সাহায্য কর!
সমালোচক: শান্ত হোন...পার্থক্যটি বোঝার চেষ্টা করুন। আমি মানুষ নই, একজন সমালোচক, সংস্কৃতির মানুষ। শিল্পী একজন মানুষ, একজন ভৃত্য, শিশু। এ কারণে সে ভুল করে। আমি নিজেকে তার মতো ভাবি না। প্রকৃতিগত ভাবেই তার মধ্যে বিশৃঙ্খলা ক্রিয়াশীল। সমালোচক ও ইতিহাসের মধ্যে প্রকৃতি আর শিল্পীর অবস্থান। ইতিহাস ইতিহাসই, অন্যকথায় আত্মিক সত্য, তাকেই বলা হয়ে থাকে প্রকৃত বাস্তব, অন্যকথায় ইতিহাস। যাই হোক, এটা নিজেই একটা বস্তুগত বিষয়।

(এসব কথায় শিল্পী, যে কিনা স্তম্ভিত হয়ে কুশনের ওপর একঅর্থে পড়ে আছে, যেন বজ্রাহত। সমালোচক, এ বিষয়ে মোটেও সচেতন নন। তিনি ঘুরে ধীরে ধীরে টেবিলের দিকে যান, যেখারে অনেক বই ¯ত’প হয়ে রয়েছে।)

নারী: (নিঃশব্দে অকস্মাৎ উঠে দাঁড়ায়) মাই গড! অসুস্থ তরুণটি মারা যাচ্ছে! (সে হাঁটু গেড়ে শিল্পীর সামনে ঝুঁকে বসে এবং তার শুশ্র“শায় নিয়োজিত হয়।)
শিল্পী: (চোখ মেলে) ওহ! সিনোরা! ধন্যবাদ! ওহ! প্রেম...সম্ভবত প্রেম, ভালোবাসা..(ধীরে ধীরে উঠে বসতে বসতে)। কী সুন্দর আপনি! শুনুন...আপনি যদি জানতেন প্রেমহীন স্ট্রাগল কী কষ্টকর আর যন্ত্রণাদায়ক! আমি প্রেম চাই, ভালোবাসতে চাই, বুঝতে পারছেন?
নারী: (শিল্পীর কাছ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে) বন্ধু, আমি তোমার কথা বুঝতে পারছি...কিন্তু আমার হাতে একদম সময় নেই। এুণি আমাকে বাইরে যেতে হবে...। আমার বন্ধু আমার জন্য অপো করছে। এটা সত্যিই বিপজ্জনক..সে একজন পুরুষ..আর যে কারণে এটা বলা তা হচ্ছে, তার দুর্ভাবনাহীন নিরাপদ অবস্থান রয়েছে...
সমালোচক: (কিছু বুঝে উঠতে না পেরে) কী হচ্ছে এখানে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না...
নারী: (বিরক্তি নিয়ে) সাট আপ, ইডিয়ট! তোমার কিছুই বোঝার প্রয়োজন নেই...। এসো এখানে! ওকে তুলতে হবে! আমাদের তাড়াতাড়ি ওর গলায় চেপে বসা নটটা কেটে ফেলতে হবে। ওর শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে!
সমালোচক: (একদম হতবুদ্ধি হয়ে) জাস্ট এ মিনিট.....(সে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে হাতের বইখানা রাখবে। তারপর হেগেল..কান্ট..হার্টমান..স্পিনোজার বইগুলো পাশের চেয়ারে নামিয়ে রাখবে।)
নারী: (তরুণ শিল্পীর কাছে গিয়ে ক্রোধমিশ্রিত কান্না শুরু করবে) কোথায় গেলে, এসো বলছি, ওর গলা থেকে ফাঁসটা খুলতে একটু সাহায্য কর।
সমালোচক: (দ্বিধান্বিত হয়ে) কী বলছো তুমি?
নারী: এখানে আসছো না কেন? ভয় পাচ্ছো! তাড়াতাড়ি..এখানে একজন শিল্পী চিন্তায় চিন্তায় মরতে বসেছে।
সমালোচক: (চূড়ান্ত মুহূর্তে নিকটবর্তী হয়ে ) কিন্তু কেউ জানে না, নিয়ন্ত্রণহীন... সংস্কৃতিবিচ্যুত... আবেগ... ভাবাবেগ... ত্র“টিপূর্ণ, অসম্পূর্ণ। আমি বরং তার মৃত্যুই শ্রেয় বিবেচনা করি। শিল্পী অবশ্যই...(সে টলমল পায়ে হেঁটে আসে এবং অকস্মাৎ শিল্পীর ওপর পড়ে যায়। শিল্পীর গলায় কাগজ কাটার ছুরি দিয়ে আঘাত করে।)
নারী: (ভীত-বিহ্বল হয়ে উঠে দাঁড়ায়) নির্বোধ! ঘাতক! তুমি ওকে খুন করলে। তোমার সারা শরীরজুড়ে লাল রক্ত!
সমালোচক: (উঠে দাঁড়ায়, খুব ধীরে ধীরে) সিনোরা, আমি? কীভাবে? আমি বুঝতে পারছি না...লাল? লাল? তোমার সমস্যা হচ্ছে তুমি রং চেনো না, বর্ণান্ধ।
নারী: যথেষ্ঠ হয়েছে! যথেষ্ঠ! (তার ড্রেসিংটেবিলে ফিরে গিয়ে) অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমাকে অবশ্যই যেতে হবে! (প্রস্থানোদ্যত) দরিদ্র যুবক! সে ছিল ব্যতিক্রম আর পছন্দ করার মতো কেউ! (প্রস্থান)
সমালোচক: আমার আচরণ, অবস্থান কিছু বুঝে উঠতে পারছি না কেন! (মৃত শিল্পীর দিকে দীর্ঘণ দৃষ্টি দিয়ে) ওহ মাই গড! সে মারা গেছে! (তার কাছে গিয়ে ভাল করে পর্যবেণ করে) শিল্পী সত্যিই মারা গেছে! আহ..সে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আমি একটি প্রবন্ধ লিখব। (সে ধীরে ধীরে তার টেবিলের দিকে এগিয়ে যায়। একটি কেস থেকে প্রায় মিটার খানেক লম্বা দাড়ি নিয়ে তার চিবুকে লাগায়। চশমা চোখে দেয়, কাগজ-কলম টেনে নেয়। তারপর চারপাশের বইয়ের দিকে তাকায়। প্রথমবারের মতো তার মধ্যে বিরক্তির ভাব দেখা যায়। সে তার হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে, চিৎকার করতে থাকে।) অ্যাসথেটিক্স! নন্দনতত্ত্ব! কোথায় নন্দনতত্ত্ব? (সে খুঁজতে থাকে, বুকের কাছে একটি মোটা বই তুলে নিয়ে) আহ! এখানে! (সে লাফ দিয়ে কাকের মতো মৃত শিল্পীর কাছে যায়। মৃতের শরীর ভাল করে দেখে, বইয়ের লেখকের নাম দেখে, তারপর উচ্চস্বরে বলে) ১৯১৫ সালের দিকে, একজন বিস্ময়কর শিল্পী তার অমিত সামর্থ্য নিয়ে ফুটেছিল...। (সে তার পকেট থেকে একটি টেপ বের করে শিল্পীর দেহটির উচ্চতা নির্ণয় করে) সব মহানদের মতো তারও উচ্চতা ১.৬৮ মিটার এবং প্রস্থে...(তার এইসব কথা চলাকালীন পর্দা নামবে)।

======================================
উমবার্তো বোচ্চিওনি
চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর উমবার্তো বোচ্চিওনি ১৮৮২ সালের ১৯ অক্টোবর ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেন। রোমের স্কুলা লিবেরা দেল নুডো এট দ্য অ্যাকাডেমিয়া দি বেলে আর্টিতে তিনি চিত্রকলার ওপর পড়াশোনা করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইম্প্রেশনিস্ট ও পোস্ট-ইম্প্রেশনিস্ট স্টাইলের ওপর প্যারিসে পড়াশোনা করেন। ১৯০৭ সালে উমবার্তো বোচ্চিওনি ফিউচারিজমের প্রবক্তা প্রখ্যাত ইতালীয় কবি ফিলিপ্পো টমাসো মারিনেত্তির সঙ্গে পরিচিত এবং ঘনিষ্ট হন। ১৯০৯ সালে প্যারিসের একটি পত্রিকায় মারিনেত্তি প্রথম ফিউচারিজমের ১১টি ধারাসহ মেনিফেস্টো প্রকাশ করেন। শিল্পকলার প্রায় সব বিষয়েই ফিউচারিস্টরা বিভিন্ন তত্ত্ব দিয়েছেন। ফিউচারিজম মুভমেন্ট এ ক্রমেই বোচ্চিওনি প্রধান তাত্ত্বিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর চিত্রকলা, ভাস্কর্য প্রভৃতিতে এই তত্ত্বের চিহ্ন বিদ্যমান। ফিউচারিজমের একটি লণ বেশ প্রবল, তা হচ্ছে গতির নান্দনিকতা। ফিউচারিস্টরা থিয়েটার সম্পর্কে দাবি করেছিলেন, তাদের থিয়েটারের উদ্দেশ্য দর্শককে অপ্রস্তুত করা, আনন্দ দান করা। আধুনিক যান্ত্রিক কলাকৌশলের মাধ্যমে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত করা। তারা তাদের থিয়েটারকে ভ্যারাইটি থিয়েটার অভিহিত করেছেন। সেখানে প্রকৃতার্থেই সঙ্গীত, নৃত্য, ফিল্ম, অ্যাক্রোব্যাটিক্স, কাউনের কর্মকাণ্ড প্রভৃতি উদ্ভট, স্থূল আর জড়বুদ্ধি সম্পন্ আচরণে পূর্ণ বিষয়ের সমাহার। যা বোধ ও চেতনাকে আঘাত করে প্রায় উন্মাদের অবস্থায় নিয়ে যায়। এইভাবে যুক্তিহীন, অদ্ভুত ও উদ্ভট কর্মকাণ্ড এবং বৈসাদৃশ্যের মধ্যদিয়ে থিয়েটারকে আসতে হবে, প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ফিউচারিস্ট মুভমেন্ট পরবর্তী সময়ে রাশিয়া ও ফ্রান্সে কিছু সময়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করেছিল। পরবর্তীকালের প্রভাববিস্তারী অনেক মতবাদই ফিউচারিজম দ্বার কোনও না কোনভাবে ঋণী ছিল। ফিউচারিজমের অন্যতম তাত্ত্বিক উমবার্তো বোচ্চিওনি চিত্রকলার পাশপাশি বেশকিছু নাটক রচনা করেছেন। বলাইবাহুল্য এগুলো ফিউচারিস্ট রীতি-নীতি ও চিহ্নপ্রযুক্ত হয়েই রচিত হয়েছে। ফিউচারিস্ট নাট্যকারদের নাটক কখনই দু’তিন পৃষ্ঠার বেশি ছিল না। নাটকের প্রায় সবটুকুতেই অ্যাকশনের ইঙ্গিত দেয়া থাকতো। এর সহায়তায় ইম্প্রোভাইজেশনের মাধ্যমে অভিনেতাকে মঞ্চে উপস্থাপন করতে হতো। এ ধারার একটি নাটক হচ্ছে বোচ্চিওনির ‘জিনিয়াস এন্ড কালচার’। ফিউচারিজমের একনিষ্ঠকর্মী ও তাত্ত্বিক উমবার্তো বোচ্চিওনি ১৯১৬ সালের ১৬ আগস্ট মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ঘোড়া থেকে পড়ে আঘাতে মারা যান।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ফ্রয়েডের ইড এন্ড ইগো নাজেল হওয়ার পরে পৃথিবীতে অনেক অনেক নাট্যধারার জন্ম হয়। পাল্টে যায় চেহারা। এক্সপ্রেশনিস্ট ধারাটাই প্রধান হয়ে ওঠে। পিরানদেল্লো, মায়াকভস্কি, জিরদু, কক্তো, লোর্কা, ইউজিন ও নীলরাই মূলত রাজত্ব করতে থাকেন।

এর ভীড়ে ফিউচারিজম আর বোচ্চিওনিরা অনেকটা আড়ালেই থেকে যায়। এরকম একটি নাটক পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
(অনেকবছর আগে থিয়েটার ছাড়ার পর এই নিয়ে কথা বলছি, ভুল বা ধৃষ্ঠতা হলে ক্ষমা করবেন, এবং শুধরে দেবেন)

তবে আপনি হয়তো অন্য কোথাও কম্পোজ করে এখানে তুলেছেন... ফলে কিছু কিছু অক্ষর, বিশেষ করে ক্ষ হারিয়ে গেছে।
আর অনুবাদেও শব্দ চয়নে একটু খেয়াল রাখলে পড়তে আরাম হতো। বিমূর্ত অঙ্কন বা আঁকা অঙ্কন শব্দবন্ধগুলো পড়ে আরাম পাইনি।

আপনার পরবর্তী লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বর্ণদূত এর ছবি

নজরুল ইসলাম ,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। নিশ্চয়ই আরও সতর্ক হবো শব্দ চয়নের ব্যাপারে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।