বিদেশে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই স্ব স্ব পরিসরে পরিশ্রম আর মেধার স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হয়। কোনো দিক দিয়েই তারা উন্নতদেশের ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় পিছিয়ে নেই। শুধু একটি ব্যাপারে বাংলাদেশী এই উজ্জ্বল মুখগুলো তাদের থেকে পিছিয়ে আছে। এদেশীয় ছাত্ররা যখন খুব উৎসাহ নিয়ে বলতে থাকে, ‘জানো আমি সামারে অমুক বৃদ্ধাশ্রমে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছি, তমুক স্কুলে কাজ করেছি,’ তখন আমাদের দেশী ছাত্রছাত্রীরা মুখ শুকনো করে শুনতে থাকে। ‘দেশের জন্য তেমন কিছুই করতে পারছিনা’ - এই উপলব্ধিটি অনেক প্রবাসীর মনেই কাঁটার মতো বিঁধে আছে। প্রবাসী অনেক ছাত্রছাত্রী বা কর্মজীবি মানুষের মাঝে এই ব্যাপারটি নিয়ে একধরণের নীরব অপরাধবোধও আছে। বাংলাদেশে পড়াশুনা করার সময়েও আমি ইউনিভার্সিটিতে আশেপাশের বন্ধুদের, সিনিয়রদের, জুনিয়রদের প্রায় একই অপরাধবোধে ভুগতে দেখেছি --- দেশের জন্য কিছু একটা করার ইচ্ছা আছে কিন্তু সহজে কোনো প্রকল্পে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ নেই। ইদানিং ব্লগের দৌলতে বাংলাদেশের বেশ কিছু উৎসাহী-নিবেদিত তরুণতরুণীদের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সমস্যায় তারা বেশ ভালো মতোই নিজেদেরকে আত্মিকভাবে যুক্ত করে ফেলেন এবং কিছু একটা করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন। |
নানা দেশী, বিদেশী প্রতিষ্ঠান বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সবসময়ই কাজ করে চলেছে। আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হয়ে দেশোন্নয়নে নানারকম প্রকল্প গ্রহণ করেন। তারমাঝে ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ সংগঠনটির সহজবোধ্য দর্শন আমাকে বেশ আকৃষ্ট করেছে। ২০০৯ -এর অক্টোবরে হঠাৎ করেই আমি হাউজ অফ ভলান্টিয়ারসদের কথা জানতে পেরেছি। তারপর তাদের ওয়েবসাইট পড়ে এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের কাজকর্মের পরিধি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার সুযোগ লাভ করেছি। এই সংগঠনটির মূলমন্ত্র হলো —উন্নয়নশীলদেশগুলোর মূলত: শিক্ষাক্ষেত্রে সহজ কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে অল্প খরচে, অধিক ফলপ্রসূ এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা। সংগঠনটির অবকাঠামো দেশীয় জনবল ও সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ফলপ্রসূ উন্নয়নের আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। অন্যতম সংগঠক আশীরুল আমিন বলেন, ‘আমারদের মূল লক্ষ্য দেশের তরুণদের এবং ছাত্রদের সেবামূ্লক কাজ করার ইচ্ছা ও উৎসাহকে গঠনমূলক ও শিক্ষাকেন্দ্রিক কিছু প্রকল্পের কাজে লাগানো।’ এই সংগঠনের সাথে খুব সহজেই দেশী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস। |
হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস |
‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ এর ভিতটা গড়ে উঠেছিলো বহু আগে। ২০০১ এর দিকে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এম.আই.টি) একটা অফিস থেকে ভালো ভালো অনেক বই দান করা হচ্ছিল। তখন এম.আই.টি.র ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন’ বাংলাদেশে বই পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিলো। ঐসময় প্রায় ৩৫০ বই অ্যামেরিকার এম-ব্যাগ নামের এক পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছিলো। দেশে বই পাঠানোর ঐ উদ্যোগটি তখন বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলো। এরপর কয়েকবছর বিরতির পর ২০০৬ সালে এম.আই.টি.র তৎকালীন ছাত্র সুদীপ্ত সরকার ও প্রাক্তন ছাত্রী নাবিলা আলমের নেতৃত্বে পুনরায় বই ও গবেষণাপত্র সংগ্রহের উদ্যোগ ‘বুকড্রাইভ ফর বাংলাদেশ’ প্রকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এম.আই.টি.র বিভিন্ন অফিস, ডর্মিটরি থেকে বই সংগ্রহ ছাড়াও বস্টন ও আশেপাশে এলাকার ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকেও বই সংগ্রহ করা শুরু হয়। সেই বছর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের নিউ ইংল্যান্ড এলাকার (যুক্তরাষ্ট্রে মেইন, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ভারমন্ট, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, কানেক্টিকাট এই ৬টি অঙ্গরাজ্যকে একসাথে নিউ ইংল্যান্ড বলা হয়) প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ নিউ ইংল্যান্ড’ ঐ প্রকল্পকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলো - তারা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ছাড়াও অন্যান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো। বই সংগ্রহ চলাকালীন ২০০৭ সালের মার্চ মাসে শাহজালাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ঠিকানায় ডঃ জাফর ইকবালকে কিছু বই পাঠানো হয়। ঢাকায় বুয়েটে ডঃ মুহাম্মদ কায়কোবাদ এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষাবিদের কাছেও বই পাঠানোর পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছিলো। ঠিক ঐ সময় অ্যামেরিকার এম-ব্যাগ নামের ঐ পোস্টাল সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে গেল। এই এম-ব্যাগ পোস্টাল সার্ভিসটি দিয়ে বই পাঠানো অনেক সস্তা ছিলো, কোনো কাস্টমসের ঝামেলা ছাড়াই যাকে পাঠাতে চাচ্ছে, ঠিক সেই প্রতিষ্ঠানের দরজায় পৌছে যেতো বইভর্তি বাক্সটি। দান করা বই সস্তায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর মূল পরিকল্পনাটিই ভেস্তে যাচ্ছিলো প্রায়। অ্যামেরিকার পোস্টাল সার্ভিসের বিকল্প পন্থায় পাঠাতে গেলে বেশ অনেক খরচ পড়ে যাবে, তাই বাংলাদেশে বই পাঠানো বন্ধ হয়ে গেলো। তাই বলে বই সংগ্রহ করা বন্ধ থাকেনি। প্রকল্পটির নানা অনিশ্চয়তার মাঝেও বস্টন প্রবাসী বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল বই পেলেই দেশের জন্য সংগ্রহ করে রাখছিলেন। |
২০০৭-এর গ্রীষ্মে আমিনুল হকের প্রচেষ্টায় ও উদ্যোগে ব্র্যান্ড্যাইস ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি থেকে বিশ্বমানের নানা গবেষনাপত্রের একটি বড় ধরণের চালান ‘বুকড্রাইভ ফর বাংলাদেশ’ প্রকল্পের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিলো। অনেক ভলান্টিয়ার মিলে বই সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাসার বেইসমেন্টে, গ্যারেজে বইগুলো জমিয়ে রাখছিল। প্রবাসী বাংলাদেশীরা যে যেভাবে পেরেছেন সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। যেমন- ভলান্টিয়ার আলী সাফকাত আকন্দ তাঁর বাড়ির বিশাল গ্যারেজের পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছিলেন সংগৃহিত বইগুলো জন্য, আতিক/মসীহ তাদের ব্যস্ত দোকানের নীচতলায় অনেকখানি জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন মাসের পর মাস বইগুলো রাখার জন্য। |
বই ও নামকরা গবেষনাপত্রের সাম্প্রতিকতম সংস্করণ সংগ্রহের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। |
আরেক প্রবাসী সংগঠন ‘ভলান্টিয়ারস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’ এর একটি প্রকল্প ‘কম্পিউটার লিটারেসি প্রোগ্রাম’ এর আওতায় প্রবাসীদের আর্থিক অনুদানে বাংলাদেশের গ্রামের স্কুলে কম্পিউটার সেন্টার খোলার একটি কার্যক্রম চালু আছে। ঢাকার তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান/ এন.জি.ও. ডি.নেট এই কাজটি করে থাকে। ঐ প্রকল্পের একজন ইন্টার্ন হিসেবে প্রবাস থেকে আশীরুল আমিন বাংলাদেশে গিয়ে কাজ করেছিলেন ২০০৬ এর দিকে। উনি বস্টনে ফেরত গিয়ে তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রকল্পটির মূল পরিকল্পনায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করলেন। তখন বস্টন প্রবাসী আদনান ইউসুফ কম্পিউটারগুলোতে মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিষ্টেমের বিকল্প হিসেবে ওপেন সোর্স অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহারের বুদ্ধি দিলেন। এইসব পরিবর্তনের সাথে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের সম্পৃক্ত করার চিন্তা নিয়ে আদনান ইউসুফ, আশীরুল আমিন এবং সুদীপ্ত সরকার মিলে ভলান্টিয়ার নির্ভর ‘কম্পিউটারস ফর বাংলাদেশ’ প্রকল্পটি শুরু করেন। ২০০৮ এর প্রথম দিকে এই দুটি প্রকল্পকে একত্রিত করে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার চেষ্টা করা হচ্ছিলো। তখন এম.আই.টি.র ছাত্র সুদীপ্ত সরকার এবং ইয়াসীন জামান মিলে এম.আই.টি.র একটি ছাত্রসংগঠন হিসেবে ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’-এর গোড়াপত্তন করেন। এই ব্যাপারে সুদীপ্ত বলেন, ‘আমরা তখন প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতার বেশ প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম। মিটিং করার অথবা বইগুলো সংরক্ষণের জায়গার অভাব ছাড়াও নানাবিধ কারণে আমাদের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত হবার প্রয়োজন ছিলো। দেশের জন্য আমাদের উদ্যোগগুলো শিক্ষাকেন্দ্রিক ও ছাত্রনির্ভর - সেদিক দিয়ে এম.আই.টি.র ছাত্রসংগঠন হিসেবে ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’কে অন্তর্ভূক্ত করতে পারাটা আমাদের প্রকল্পগুলোর জন্য তাৎপর্য্য বয়ে এনেছিল। আবার এর আরেকটি সুবিধা হলো দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন ভলান্টিয়ার হিসেবে ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ এর জন্য কাজ করবে, তখন তাদের সঙ্গে এমআইটির একটি যোগসূত্রও তৈ্রী হবে।’ এম.আই.টি.র তৃতীয় বর্ষের বাংলাদেশী ছাত্র রাকিবুল ইসলাম কেতন ‘এম.আই.টি.-হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তিনি একই সাথে এই সংগঠনের তৃতীয় প্রকল্প ‘আই-স্কুল’ এর প্রধান পরিকল্পক। বর্তমানে ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ বাংলাদেশ সরকারের রেজিস্ট্রিভুক্ত এবং বাংলাদেশের বুয়েট, ব্রাক এবং আই.বি.এ.তে এর ছাত্র অঙ্গসংগঠন (স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার) আছে। এই সংগঠনের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয়কমিটির সাধারন সম্পাদক একরামুল হক শামীম বাংলাদেশে এর সাফল্য ও সম্ভাবনার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী। এই সংগঠনের একটি বিশ্বজনীন আবেদনও রয়েছে। এ ব্যাপারে কেতন বলেন, ‘এম.আই.টির অনেক বন্ধুরা তাদের নিজেদের দেশে এই সংগঠনের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অন্য কোনো উন্নয়নশীল দেশের কেউ যদি ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ এর প্রকল্পগুলো ঐ দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন করে বাস্তবায়ন করতে চায় তাতে তাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই বরং সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।’ |
বর্তমানে হাউজ অফ ভলান্টিয়ারসের বাংলাদেশে তিনটি প্রকল্প রয়েছে। আমি সংক্ষেপে এই প্রকল্পগুলোর বর্ণনা দেবার চেষ্টা করছিঃ
১) বুকড্রাইভ/ বুকস্ ফর বাংলাদেশ (বই সংগ্রহ প্রকল্প): এই প্রকল্পের মূলভাবনা হলো উন্নতদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে একাডেমিক বই ও জার্নাল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বিতরণ করা। প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রতিষ্ঠান থেকে বই সংগ্রহ করে দেশে পাঠাতে পারে। সেইজন্য বিশ্বের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসাহী বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা হাউজ অফ ভলান্টিয়ারসের স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার খুলতে পারে। ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ এব্যাপারে তাদের তথ্যগত ও কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দিতে পারে। বস্টন ও আশেপাশে এলাকার বিভিন্ন ছাত্রছাত্রী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০,০০০ (দশ হাজার)-এর অধিক বই ও গবেষনাপত্র (জার্নাল) সংগ্রহ করা হয়েছে যেগুলো ফেব্রুয়ারী ২০১০ নাগাদ দেশে পৌঁছে যাবে। তবে এই বই পাঠানো ব্যাপারটি কোনো এককালীন প্রক্রিয়া না হয়ে নিয়মিত ব্যবধানে যেনো বই পাঠানো হয় সংগঠকরা এই ব্যাপারে বার বার জোর দিচ্ছেন। |
সংগ্রহিত বইয়ের একাংশ। |
পরবর্তীতে দেশের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাবিদদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে একাডেমিক বই ও গবেষনাপত্র সংগ্রহের বিষয় নিবার্চনে জোর দেয়া হবে। আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিগুলোর মাঝে যেহেতু বই আদান প্রদানের ব্যবস্থাটি প্রচলিত নেই (ইন্টার লাইব্রেরি বুক লোন সিস্টেম), এই প্রকল্পের ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো দেশে একটি লাইব্রেরির মতো করে তাদের সংগৃহিত বই ও গবেষনাপত্রগুলো সেখানে সংরক্ষণ করা। তারপর সেগুলোর তালিকা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তুলে দিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। |
২) ওপেন সোর্স কম্পিউটার এডুকেশন প্রোগ্রামঃ ‘আমি কম্পিউটারের নাম শুনেছি, কিন্তু কখনো ছুঁয়ে দেখিনি।আমার জন্য কম্পিউটার শেখা একটি স্বপ্ন। আপনারা যদি আমাদের এখানে একটি কম্পিউটার শেখার জায়গা করে দেন, তাহলে আমার একটি স্বপ্ন সত্যি হবে।’ কথাটি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র ঝন্টুর হলেও এই স্বপ্ন আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় সমস্ত ছাত্রছাত্রীর। দেশের অবহেলিত ছাত্রছাত্রীদের কাছে কম্পিউটার প্রযুক্তি সহজলভ্য করাই সংগঠনের দ্বিতীয় প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এই প্রকল্পটির আওতায় প্রবাসীদের আর্থিক অনুদানে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোতে কম্পিউটার সেন্টার খোলা হচ্ছে। ভলান্টিয়ার ছাত্রছাত্রীদের সহায়তায় স্থানীয় শিক্ষকদের কম্পিউটার ট্রেনিং দেয়া এবং প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করাও এই প্রকল্পের অন্তর্গত। খরচ কমাতে এবং কারিগরি সুবিধার জন্য প্রচলিত ‘মাইক্রোসফট অপারেটিং সিষ্টেম’ এর বিকল্প ওপেন সোর্স অপারেটিং সিষ্টেম ‘উবুন্তু’ ব্যবহার করা হচ্ছে। কম্পিউটার শিক্ষা প্রসারে ‘উবুন্তু’ এর স্পেশাল প্যাকেজ ‘এদুবুন্তু’ এবং ‘এম.এস. অফিস ওর্য়াডের’ বিকল্প হিসেবে ‘ওপেন অফিস’ ব্যবহার করা হচ্ছে। সংগঠক আদনান ইউসুফ বলেন, ‘ওপেন সোর্স অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহার করার সুবিধা হলো এটি সহজে আপগ্রেড করা যায়। এর অনেক এ্যাড-অন বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যেকেউ চাইলেই কপিরাইট আইন ভঙ্গ না করে সুবিধামতো আরো পরিবর্তন করতে পারেন। এছাড়া এতে বাংলাদেশে পাইরেটেড সফটওয়ার ব্যবহারের অনৈতিক ব্যাপারটিও সীমিত হবে।’ এই প্রকল্পের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো বাংলাভাষায় সহজবোধ্যভাবে কম্পিউটার শিক্ষাপ্রসারে বাংলা ওপেন সোর্স উইকির প্রচলন ও প্রসার। ওপেন সোর্স বাংলা উইকি ব্যাপারটি হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবাই মিলে একসাথে বাংলায় কম্পিউটার শিক্ষার জন্য পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করা। এতে যে কেউ কম্পিউটার শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য সরাসরি পাঠ্যক্রমে অর্ন্তভুক্ত করতে পারবে। |
বাংলায় কম্পিউটার শিক্ষাপ্রসার পাঠ্যক্রমের ওপেন সোর্স উইকির উদাহরণ |
ধরুন, কেউ নিজ গ্রামে স্কুলে একটি কম্পিউটার সেন্টার খুলতে চান। তিনি যদি ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’কে কম্পিউটার কেনার খরচ প্রদান করেন, তবে এই সংগঠনটি সেই স্কুলে একটি কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করতে সহায়তা করবে। এরপর ইলেক্ট্রিসিটি বিল, টিচারদের বেতন ইত্যাদি কম্পিউটার সেন্টার চালানোর খরচ সাধারণত স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করে থাকেন আর কারিগরি সহায়তার জন্য সংগঠনটির ভলান্টিয়াররা সদাপ্রস্তুত। এখন পর্যন্ত দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশীরাই তাদের স্মৃতিবিজরিত গ্রামে প্রিয়জনের নামে কম্পিউটার সেন্টার খুলতে ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’দের সাথে যোগাযোগ করেছেন। |
৩) আই-স্কুলঃ আই-স্কুলের মূলভাবনা হলো আমাদের দেশীয় পাঠ্যপুস্তকগুলোর (মূলত পদার্থবিজ্ঞান, গণিত এবং রসায়নবিজ্ঞান) সহায়ক ভিডিও সিডি বানিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌছে দেয়া। এই প্রকল্পে ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’দের সহায়তায় আমাদের পাঠ্যপুস্তকগুলোর বিভিন্ন জটিল বৈজ্ঞানিক ধারণার এনিমেশন সংস্করণ বানানো হচ্ছে। বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট ছাত্রছাত্রীদের হাতে কলমে করে দেখানোর মতো কারিগরি সুবিধা এবং যন্ত্রপাতি আমাদের দেশের বেশীরভাগ স্কুলেই নেই। সেই সব এক্সপেরিমেন্টের ভিডিও করে বইয়ের অধ্যায় অনুযায়ী পর পর সাজিয়ে ভিডিও সিডি আকারে প্রস্তুত করা হবে। |
আই-স্কুলের এর ধারণার মডেল। |
ভিডিও সিডির সহায়তায় পঞ্চগড়ের এক স্কুলে পড়ানো হচ্ছে। |
ইতিমধ্যে ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’রা এস. এস. সি.র পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের উপর ভিত্তি করে ভিডিও সিডি বানানোর প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেছে। ভিডিও সিডিগুলোর ইংরেজী ও বাংলায় ধারাবর্ণনা করা দুটি সংস্করণই থাকবে। আপাতঃ পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সিডিগুলো দেশের স্কুলে স্কুলে পৌছে দেয়া হবে এবং প্রয়োজনে ভলান্টিয়ারদের দ্বারা প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে আই-স্কুলের লেকচার সিরিজ বিনামূল্যে যেনো সবাই ইন্টারনেট হতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারে সেই পরিকল্পনাও রয়েছে। |
রাকিবুল ইসলাম কেতন এম.আই.টি.র পি.এস.সি. ফেলোশিপ নিয়ে আই-স্কুলের ধারণাটির বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৯ এর জানুয়ারীতে আই-স্কুলের একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পে উনি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.বি.এ.র ১০ জন ছাত্র পঞ্চগড়ের ৮ টি স্কুলের নবম ও দশম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করে আশাতীত ফল লাভ করেছেন। এই প্রকল্পটি এম.আই.টি.র অর্থায়নে ও ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারসের’ কর্মতৎপরতায় ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে তার লক্ষ্যের দিকে। সেবার পঞ্চগড়ে আই-স্কুলের ২ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে স্কলারশীপ দেয়া হয়েছিলো -এই স্কলারশীপের ব্যবস্থা ভবিষ্যতেও চালু থাকবে। |
হাউজ অব ভলান্টিয়ার্সের সাথে আরও অনেকে নানাভাবে জড়িত। সবার কথা এখানে লেখা গেল না বলে দুঃখিত। তবে পরবর্তীতে বাকীদের কথা লিখতে পারব বলে আশা রাখি। বাংলাদেশের কেউ শিক্ষাসেবামূলক কাজে আগ্রহী হলে হাউজ অফ ভলান্টিয়ারসের কাছে ইমেইল করতে পারেন অথবা তাদের ওয়েবসাইটে ঘুরে আসতে পারেন। |
হাউজ অফ ভলান্টিয়ারসের ইমেইল: হাউজ অফ ভলান্টিয়ারসের ওয়েবসাইট: http://web.mit.edu/hov/www/index.html |
বই দেশে পাঠানো, কম্পিউটার সেন্টার খোলা এবং অন্যান্য নানারকম সাংগাঠনিক কাজের জন্য ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ এর আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। যে কেউ চাইলে এই সংগঠনকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারেন। এখানে উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের জন্য ‘হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’ সংগঠনকে দান করা অর্থ আয়করমুক্ত (tax-exempt status under Section 501(c)(3)) হিসেবে বিবেচিত হবে। |
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা এম.আই.টি-র নামে চেক লিখে চেকের উপর House of Volunteers কথাটা লিখে নিচের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেই তা হাউজ অফ ভলান্টিয়ারসের কোষাগারে জমা হয়ে যাবে:
Attn: Kimberley B. Balkus |
দেশের প্রতি আমাদের সত্যিকারের মমত্ব গড়ে উঠবে যদি আমরা দেশের বিভিন্ন কাজে নিজেদের কোনো না কোনো ভাবে জড়িত করতে পারি। ছোট ছোট পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার নীতি নিয়ে 'হাউজ অফ ভলান্টিয়ারস’রা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার মানোয়ন্ননে তাদের ভূমিকা রেখে চলেছে। এই উদ্যোগের একজন সহযোদ্ধা আপনিও হতে পারেন। |
মন্তব্য
ছবি গুলো দেখাচ্ছে না। মডুরা কি একটু সাহায্য করতে পারেন? আমিতো এডিট করতে পারছি না।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এরা নীরবে অনেক ভালো কাজ করছে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ওরে, পাংখা লেখা, ছবিয়গুলো এম্বেড করে দাও নাই? পিপিদার একটা ভিডিও টিউটোরিয়াল ছিল, সেখানে স্টেপ বাই স্টেপ দেখানো আছে। যাক, অনেক কিছু জানলাম তোমার পোস্ট থেকে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ লিংক্টা পাঠিয়োতো। আর ধন্যবাদ।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ভালু পোস্ট।
ধন্যবাদ।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ভালো পোস্ট আপু। খুব ভালো লাগলো এদের উদ্যোগের কথা এতো বিস্তারিত জানতে পেরে।
ধন্যবাদ।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
বেশ ভালো উদ্যোগ।
উদ্যোগটা অনেক রিয়েলিষ্টিক।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
- ফাটাফাটি উদ্যোগ, দারুণ পোস্ট
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ভালো উদ্দ্যোগ। শুভকামনা রইল।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
এ সংগঠনের সাথে জড়িত সবার জন্য অনেক শ্রদ্ধা এবং শুভ কামনা।আর এ কথাটার চেয়ে সত্য কথা বোধ হয় আর হয় না--
আপনি চাইলে যুক্ত হতে পারেন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ছুটির দিনে আপনার লিখা পড়েছি। সৌভাগ্য ক্রমে হাউজ অফ ভলান্টিয়ারের সাথে আমি যুক্ত। হাউজ অফ ভলান্টিয়ারের কার্যক্রম এগিয়ে যাবে পুরোদমে,আশা রাখি।
অবশ্যই এগিয়ে যাবে। আপ্নারা দারুন কাজ করছেন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
প্রথম আলো'র 'ছুটির দিন' সাপ্লিতেও এ ব্যাপারে আপনার লেখা পড়েছিলাম। এখানে আরো বিস্তারিত পড়লাম
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ সিমন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। খুব ভাল উদ্যোগ।
আপনিও যোগ দিতে পারেন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
নতুন মন্তব্য করুন