মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানুন এবং অপরকে জানান

বর্ষা এর ছবি
লিখেছেন বর্ষা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৫/০৪/২০১০ - ৩:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(ডিসক্লেইমারঃ খুব আবেগতাড়িত হয়ে বিক্ষিপ্ত কিছু চিন্তাকে লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। বানান ও তথ্যবিভ্রান্তি থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)

রাহিন হায়দারের ‘রাজাকার বিষয়ক একটি প্রশ্ন’ পোস্ট পড়ে কালরাতে একদম ঘুমাতে পারিনি। এইসব রাজাকারদের সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশী জানি, কিন্তু কেনো যেনো এই পোষ্টটা পড়ে আমাদেরকে অনেক অসহায় মনে হয়েছিলো। এদের দম্ভোক্তি আর আস্পর্ধা আমরা দিনের পর দিন নীরবে হজম করে যাচ্ছি!!! ধিক আমাদের শত ধিক!!!

পরিচিত অনেক আন্টির বেশ পছন্দের লোক এই বাচ্চু রাজাকার ওরফে এনটিভির “আপনার জিজ্ঞাসা” অনুষ্ঠানের আলোচক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ । এই অনুষ্ঠানটি সরলসোজা ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশী মুসলিমদের মাঝে বিশেষ করে নারী মহলে বেশ জনপ্রিয় ছিলো। বেশীরভাগ মানুষই এই পিশাচটির অতীত কুকর্ম সম্পর্কে জানতেন না। আশি-নব্বই এর দশকে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইপত্রের দুষ্প্রাপ্যতা বেশ প্রকট ছিলো; কেউ চাইলেই সহজে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সত্যিকার তথ্য খুঁজে পেতেননা। বাংলা ব্লগিং আর গুগলের সুবাদে এখন তথ্য আদান প্রদান বেশ সহজ হয়ে গেছে। ইচ্ছা থাকলে যেকেউ এখন নিজেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে এডুকেটেট করতে পারে। ফলশ্রুতিতে, বিশাল সংখ্যক তরুণ-তরুণী আজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং দেশের শত্রুদের সম্পর্কে বেশ ভালোই জ্ঞান রাখে--- আজ থেকে পাঁচ ছয় বছর আগেও যা কল্পনাতীত ছিলো। ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম, উইকিযুদ্ধ - মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার সমবেত প্রয়াস, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের একক প্রচেষ্টা, বাংলা উইকিতে সত্যিকারের ইতিহাস তুলে ধরা ---এইসব অসাধারণ উদ্যোগগুলো অবশ্য অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।

তবে দেশের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে এই ইতিহাস শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশ অপ্রতুল। তাই আরো কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

১) কেনো রাজাকারদের কঠিনতর শাস্তি হওয়া দরকারঃ অনেকের কাছ থেকে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়---দেশে এতো সমস্যা, এইগুলো রেখে অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার কোনো মানে নেই। দেশে এখন অনেক ধরনের সমস্যা আছে; লোডশেডিং, বিশুদ্ধ পানির অভাব--- আরো কতো কি। এদের কথা হলো ‘রাজাকারদের বিচার চেয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ’ নিয়ে ত্যানা না পেঁচিয়ে লোডশেডিং, বিশুদ্ধ পানির অভাব এই বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত। এই অযৌক্তিক ধারণাটি রাজাকারপ্রেমী মিডিয়া বেশ দক্ষতার সাথে কয়েকবছরে মানুষের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই কাজে কিছু বুদ্ধিজীবী বুঝে বা না বুঝে সহায়তাও করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, দেশের জনগণ বিশ্বাস করা শুরু করেছে যে রাজাকারদের বিচার, লোডশেডিং এর সমাধান, আর বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা একসাথে সম্ভব নয়। একটি সহজ যুক্তি কিভাবে আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়? এই প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের জন্য দেশে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাজাকারদের বিচার করলেই সরকারের এমন ধাতুদৌর্বল্য হবে না যে অন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাজ করতে পারবে না।

প্রতিদিন পেপারে নারীনির্যাতনের খবর আসাটা এখন আমাদের চোখে আর অস্বাভাবিক ঠেকে না। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হলেই মেয়েকে এসিড মারো, তুলে নিয়ে চলো---এই টাইপ অপরাধের শেকড় কিন্তু সেই অতীত। এই টাইপ গুন্ডাপান্ডাদের (এরা ঠিক গুন্ডাপান্ডাও নয়—সাধারণ ছ্যাচড়া যুবক) ধারণা হয়ে গেছে---আরে, এই দেশে যেকোনো কিছু করে পার পাওয়া যায়। এই ধারণাই অপরাধের দিকে এদের উস্কে দেয়। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সাথে রাজাকারের বিচার হওয়াটা বেশ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। উদাহরণ দেই-- আমার সাথে একটি অল্পবয়সী কানাডিয়ান মেয়ে থাকে। ওর বয়ফ্রেন্ড মাতাল হয়ে খাবার ঘরে ওকে দুদিন মারল, তিনদিনের দিন আমি ঘর থেকে বের হয়ে হাসিমুখে ওই ছেলেকে বললাম যদি তুমি আরেকবার ওর গায়ে হাত তোলো, তাহলে কিন্তু আমি ৯১১ কল করবো ( সোজা বাংলায়, পুলিশ ডাকবো)। ছেলেটা এতো ভয় পেয়েছে যে আমি এখন রান্নাঘরে থাকলে্‌ খাবারটেবিলে মেয়েটার সাথে জোরে চেঁচিয়ে কথা বলেনা। ঠিক এই ঘটনাটি দেশে ঘটার কথা কল্পনা করাও আকাশকুসুম কল্পনার পর্যায়ে পড়বে। দেশে আমি নিজেই হুমকিটা দিতে ভয় পেতাম। রাজাকারদের কুকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে কিন্তু দেশের এই অমানুষগুলো বুঝবে যেকোনো কিছু করে পার পাওয়া যায় না। দেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান প্রত্যেক মানবাধিকার লংঘনকারীকে তার সমুচিত শাস্তি দেবে। এতে জনগণের মনে প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভীতি সৃষ্টি হবে।

২) মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস জানানোঃ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মোটামুটি বাংলাদেশের মানুষের মনে মাটিচাপা পড়ে গেছে। ‘স্বাধীনতার ঘোষনা কে দিলো’ এই টাইপ রাজনীতিতেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঘুরপাক খাচ্ছে ফলে মানুষজনের মনে এ সম্পর্কে এক ধরণের নিস্পৃহতা তৈরি হয়েছে। মাত্র তিন দশকের ব্যবধানে একটি জাতি কিভাবে তাদের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে এতো উদাসিন আর নিস্পৃহ হতে পারে---সেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হতো। মানুষের মনে চেতনা জাগিয়ে তুলতে কয়েকটি কাজ করা যেতে পারে— জুজুর ভয়ে ভীত না হয়ে রেডিও, টিভিতে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার নিরপেক্ষ ইতিহাস প্রকাশ করা। হিমুর তৈরি করা বরাহশিকারের উপর গানটির সুর অসাধারণ, শুনলেই একধরণের উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। এইটাইপ রাজাকার-বিরোধী আরো গান বানাতে হবে এবং রেডিওতে, টিভিতে, সিনেমাহলে এইসব গানের প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। আনন্দীকল্যাণের লেখা ‘একটি অ-শান্তিপ্রিয় গল্প’ ও এই ধরনের প্লট থেকে ৩/৪ মিনিটের সুন্দর নাটিকা বানানো সম্ভব, সেগুলো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের মাঝে বিজ্ঞাপণের মতো প্রচার করা যায়। সুজন চৌধুরী ও অন্যান্য কার্টুনিস্টদের করা চমৎকার এনিমেশন আর কার্টুনগুলো; মৃদুল আহমেদ, আকতার আহমেদ, স্বপাহত আরো অনেক ছড়াকারের রাজাকার বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে রচিত অসাধারণ ছড়াগুলো গণমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিতে হবে ( আরো অনেকেই নাম হয়তো উল্লেখ করা উচিত, আপাতত এই সচলদের নাম আমার মনে পড়ছে)। অবশ্য কর্পোরেট মিডিয়া জগতের লীলা বোঝা দায় তাই আমাদের সবাইকেই এই তথ্য প্রসারে এগিয়ে আসতে হবে।

আরেকটি কাজ করা যায়, রাজাকারদের নাম আর কাজের বর্ণনা দিয়ে ছোট ছোট বই ছাপানোর ব্যবস্থা করা এবং এগুলো বিনে পয়সায় বাসস্ট্যান্ড, স্কুল, সিনেমাহলে বিলি করা। এই কাজটি করা খুব কঠিন হবার কথা নয়। ইন্টারনেট থেকে তথ্য সম্পাদনা করে খুব সহজেই বই ছাপানোর কাজটি করা যায়। বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর, বাংলাউইকি এবং আরো অনেক সংগঠনের উৎসাহী নিবেদিত তরুণ স্বেচ্চাসেবীরা বই বিলি করার কাজে এগিয়ে আসবে ---তা নিশ্চিত। প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই কাজে আর্থিক,ও কারিগরি সহায়তা দিতে পারেন। বইগুলোতে কয়েকটি ব্যাপার বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবেঃ

ক) রাজাকারদের কাজকর্ম সম্পর্কে তথ্যসহ বিবরণ তুলে ধরা কারণ এই জেনেরেশনের বেশীর ভাগ মানুষেরই রাজাকারদের সব কুকীর্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নাই। রাজাকারদের কুকীর্তি সম্পর্কে ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে মানুষের মনে ঘৃণাবোধ তৈরি হবেনা।

খ) মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার ঘটনাগুলোর চমৎকার উপস্থাপন।

গ) ধার্মিক হওয়া আর রাজাকারদের প্রশ্রয় দেয়া দু'টি সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার।

ঘ) মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণ থেকে মুক্ত রাখা। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাস--- তা কোনো দলের একার সম্পত্তি নয়।

পালাগান, পথনাটক, যাত্রায় যেনো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উঠে আসে সেইদিকে খেয়াল রাখা উচিত। গ্রামের মানুষেরা মীরজাফরকে এতো ঘৃণা করতে শিখেছে কিন্তু যাত্রানাটকের মাধ্যমেই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সিনেমার নায়ক যদি এফডিসির সেই মাথায় হ্যাট, জিন্স পড়া হয় তাতে আমার আপত্তি নেই; কোনো কর্পোরেট লোগো নিয়ে বিজ্ঞাপনও যদি মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করে বানানো হয় তাও আমার আপত্তি নেই। তবুও তো বিস্মরণের অপমান থেকে মুক্তিযুদ্ধ মুক্তি পাবে।

৩) সরকারের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করাঃ বাংলাদেশের সরকারের উপর আমার বরাবরই ভরসা কম। সরকারকে সবসময়ই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে চাপের উপর রাখতে হবে। বিদেশী বা দেশী প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে কোনো ধরণের সমঝোতা করার মামদোবাজি সরকারকে করতে দেয়া যাবেনা।

৪) ছাগুউৎপাদন বন্ধ করাঃ এই প্রজেক্ট এখন শুরু করলে আমরা সুফল ভোগ করা শুরু করবো ১০ বছর পর থেকে। আমি প্রবল ভাবে বিশ্বাস করি, যেকোনো জাতির উন্নতির পিছে মায়েদের অনেক বড়ো ভূমিকা আছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর জাপানে মায়েরা বাচ্চাদের পাখি-পড়ার মতো শেখাতো--- গৌতমবুদ্ধ বলেছেন, ‘কাজই আসল, কাজ করলেই মুক্তি মেলে।’ এই মূলমন্ত্রটি তারা বাচ্চাদের মাথায় ঠিকমতো ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বলেই দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বিধস্ত দেশটি অল্পসময়ে দাঁড়িয়ে গেছে। জার্মানীতেও ঠিক একইরকম ব্যাপার করেছিলেন মায়েরা। ন্যায়- অন্যায়ের প্রভেদটা মায়েরাই সহজে বাচ্চাদের শেখাতে পারেন। আমরা যেমন খুব সহজে হাত দিয়ে ভাত মেখে পারি কারণ তা একদম ছোটোবেলার চর্চা। নীতিবোধের চর্চাও অনেকটা অভ্যাসের মতো।

যা করতে হবে তা হলো, শহরে-গ্রামে প্রতিসপ্তাহে একদিন ভলান্টিয়াররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মায়েদেরকে মুক্তিযুদ্ধ এবং রাজাকারদের সম্পর্কে জ্ঞানদান করতে হবে। প্রথমে প্রথমে হয়তো মায়েরা খুব বিরক্ত হবেন, কিন্তু একসময় ব্যাপারটি তাঁদের সয়ে যাবে। প্রাথমিক অবকাঠামো গড়ে তোলা সবসময়ই কঠিন —একবার কোনো সিষ্টেম শুরু করে দিতে পারলে ঐটাই পরে সবার কাছে স্বাভাবিক হয়ে যায়। আশির দশকের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে প্রতিসপ্তাহে এমন বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিতো প্রকল্পে নিযুক্ত আপারা। দেখা যাবে ‘জনস্ংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আপাদের’ মতো ‘ইতিহাস আপাদের’ একসময় চা মুড়ি দিয়ে ঘরে ঘরে মায়েরা আপ্যায়ন করছেন। তবে একটি অবকাঠামো গড়ে তুলতে পেশাদারিত্বের দরকার আছে ( টেকি-ছাগুগুলোকে তাই বেতন দেবার জন্য কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়। ) তাই সরকার আর বেসরকারী সংস্থাগুলোকে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। এই মায়েদের সন্তানরাই রাজাকারদের বাই ডিফল্ট ঘৃণা করবে---ছাগু উৎপাদন অবধারিতভাবে হ্রাস পাবে।

৫) ধর্মালয়ে (যেমন-মসজিদ ও মাদ্রাসায়) ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করাঃ বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটি অনেক বেশী জরুরী। বিশেষত শুক্রবারে মসজিদে খুতবা প্রদানের সময় সুকৌশলে অনেক প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। অন্যদিকে মাদ্রাসায় কিশোর কিশোরীরা পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাবে হতাশ হয়ে যায় আর ওদের হীন্মনতার সুযোগ নেয় নানা জঙ্গীবাহিনী।

কাদের সিদ্দিকী সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধারা যে ১৯৭১ এ কিছু রাজাকারদের ধরে সাথে সাথে মেরে ফেলেছিলো—আমার এখন মনে হয় কাজটা খুব যৌক্তিক ছিলো। বাংলাদেশের নপুংশক সরকাররা কিছুই করবে না জানলে হয়তো তখনই জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধারা অন্তত পাতি রাজাকারগুলোকে নিকেশ করতো। যে নৃশংস অন্যায় এই রাজাকারেরা করেছে এজন্য তারা বিন্দুমাত্র অপরাধবোধে ভোগে না। আর এদের ঘৃনা করা তো দূরের কথা, কিভাবে যেনো এই পশুগুলো মাত্র বিশ বছরের মাথায় আমাদের অনেকের কাছ থেকে শ্রদ্ধা আদায় করতে সমর্থ হয়েছে---এটা কি করে সম্ভব হলো????!!!! জাতি হিসেবে কি আমরা এতোই বোকা?? নাৎসীরা ইহুদীদের গ্যাসচেম্বারে ভরে মেরেছে, আরো অনেক জাতিকে অনেকভাবে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। কিন্তু গণহত্যাকে উপভোগের পর্যায়ে নিয়ে যাবার হিংস্রতার ঘটনা ইতিহাসের পাতায় আর একটিও নেই--- পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় ১৯৭১ এ বাংলাদেশীদের উপর যা করেছিলো তা এক ও অদ্বিতীয় ঘটনা হিসেবে পৃথিবীর ইতিহাসে বিবেচিত।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

১. ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে একপায়ে খাড়া আছি।
২. সচেতনতা বাড়াতে আপনার দেয়া পরামর্শগুলো খুবই কার্যকর হবে বলে বিশ্বাস করি।
৩. ছাগু উৎপাদন বন্ধ এবং ছোটদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে উপস্থাপনে আমাদের শিক্ষকসমাজ কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে পারেন।
৪. জনসচেতনতা বাড়াতে এনকিদু ভাইদের করা স্টিকারগুলো কিন্তু ভালো কাজে দিয়েছিলো। তবে ইদানিং স্টিকারগুলো আর চোখে পড়ছে না। কেন???
৫. চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে এবারের পহেলা বৈশাখের রএালির জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীতে বেশ কিছু সিনিয়র ভাইয়া এবং আপুরা পোস্টার এবং মুখোশ তৈরী করেছেন। আপনারাও আসুন। সবাই মিলে সোচ্চার হই।
╟╢╟╢╟╢╟╢ এই শুয়োরদের যেন স্বাভাবিক মৃত্যু না হয় ╟╢╟╢╟╢╟╢

---- মনজুর এলাহী ----

বর্ষা এর ছবি

উদ্ধৃতিঃ

'চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে এবারের পহেলা বৈশাখের রএালির জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীতে বেশ কিছু সিনিয়র ভাইয়া এবং আপুরা পোস্টার এবং মুখোশ তৈরী করেছেন। আপনারাও আসুন। সবাই মিলে সোচ্চার হই।'---- চলুক

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

দ্রোহী-স্বপ্নেরা এর ছবি

পড়ে ভালো লাগলো।আপনার উল্লেখিত ২ নং পয়েন্টটি খুব কাজে দেবে যদি করা হয়।বিশেষত লিফলেট,পুস্তিকা বিতরণের বিষয়টি।

বর্ষা এর ছবি

ধন্যবাদ।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

শেখ নজরুল এর ছবি

সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

বর্ষা এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

স্টিকার প্রকল্পটা আবার শুরু হতে পারে। আমার জানামতে অনেক স্টিকার এখনো অব্যবহৃত আছে। স্বেচ্ছাসেবক পেলে সেগুলো নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বর্ষা এর ছবি

স্টিকার প্রকল্পটা অনেক ভালো আইডিয়া ছিলো...। মনে না থাকায় দুঃখিত। আপনার থেকে এব্যাপারে কিছু ছোট নাটিকা আশা করছি, নজরুল ভাই।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নাশতারান এর ছবি

খুব ভালো পোস্ট, আপু। চলুক

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বর্ষা এর ছবি

ধন্যবাদ বুনো।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দারুণ পোস্ট আপু... শেয়ার করছি খোখায়... স্বেচ্ছাসেবক হতে একপায়ে খাড়া!

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

বর্ষা এর ছবি

"স্বেচ্ছাসেবক হতে একপায়ে খাড়া!"----- হাসি তা জানি।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

রাজাকারদের পরিচিত করান।

বর্ষা এর ছবি

সবাই মিলে একসাথে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমি একবার একজন সামাজিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত রাজাকারের কবরের সামনে গিয়ে বলসিলাম, "এইটা একটা রাজাকারের কবর।" আমার সাথের লোকজন ব্যাপক মাইন্ড খাইসিল। মৃতের প্রতি অবমাননা, হেন-তেন। আমি শুরুতে শক্ত থাকলেও পিয়ার প্রেশারে পরে কিঞ্চিত অপরাধবোধে ভুগসি। আপনাদের কি মনে হয় এ ব্যাপারে? মানে বর্ডারলাইনটা কোথায়? বা রাজাকারদের ক্ষেত্রে আদৌ কোন বর্ডারলাইন আছে? আমার মনে হয় ওরা যে পরিমাণ ঘৃণার যোগ্য, আমাদের সে পরিমাণ ঘৃণা পোষণ করবারই শক্তি নাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনাদের কি মনে হয় এ ব্যাপারে? মানে বর্ডারলাইনটা কোথায়? বা রাজাকারদের ক্ষেত্রে আদৌ কোন বর্ডারলাইন আছে?
কোনো বর্ডার লাইন নাই। যারা এই বর্ডার লাইন খুঁজে তাদেরকে শুধু একটা কথাই বলার আছে, "এই এদের সামনে দাঁড়ায়ে একাত্তরে বাংলাদেশ শব্দটা উচ্চারণ করলেই কঁচু কাটা হতে হতো এদের হাতে!"

আপনার অপরাধবোধে আক্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই সাবিহ। এই ক্ষেত্রে অবস্থান খুব পরিষ্কার হওয়া উচিৎ আমাদের। রাজাকাররা চিরকালই রাজাকার। মরণের আগেও, মরণের পরেও। এন্ড অফ দ্য স্টোরি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বর্ষা এর ছবি

যেকোনো অবকাঠামোর উপরের দিকের মানুষেরা কলকাঠি নাড়ে, আর নিচের দিকের মানুষেরা না বুঝেই অর্ডার পালন করে। যেমন ধরেন, এখনকার জামাতি নেতারা কুটবুদ্ধি চালে আর না বুঝে সাধারণ মানুষ খালি ইসলামি ব্যাংকে টাকা রাখে, তাদের তহবিলে যাকাতের টাকা জমা করে----সেই টাকা কোথায় কি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তার খবর রাখে না।

১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চের ঢাকার ঘটনার পর সারা দেশে কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতার খবর ঠিকমতো পৌছায়নি দ্রুততার সাথে। ঢাকা থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো সারা দেশে শান্তি রক্ষার খাতিরে পাড়ায় পাড়ায় শান্তিরক্ষা কমিটি গঠণের। গণ্যমান্য খাঁটি পূর্ব-পাকিস্তানী ব্যক্তিদের শান্তিরক্ষা কমিটির হেড করে পাড়ায় পাড়ার রাজাকারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিলো----- এই পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু এই রাজাকারেরা রক্ষকের ভূমিকা রেখে ভক্ষকের ভুমিকা পালন করেছিলো এবং নিজেরাই লুটপাট শুরু করেছিলো। এদের চোখের সামনে যখন সেনাবাহিনীরা পাশবিক অত্যাচার শুরু করলো, এদের কাছে অপসন ছিলোঃ

১) প্রতিবাদ করা ( তাঁদেরকে মেরে ফেলা হয়েছিলো।)
২) পালিয়ে যাওয়া ও চুপচাপ দেখে যাওয়া ( অনেকে তাই করেছিলেন, চুপচাপ দেখে যাওয়াও ক্রাইম ।)
৩) সেনাবাহিনীকে পাশবিক অত্যাচারে সাহায্য করা ( এটা ওয়ার ক্রাইম)।
৪) নিজেরাই পাশবিকতা শুরু করা ( এটা ওয়ার ক্রাইম)।

তাই এদের ঘৃণা করাটাই স্বাভাবিক।

সামাজিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত রাজাকার টার্মটা আমি বুঝিনি। আপনি কি বুঝাতে চাইছেন ঐ লোকের সমাজে অনেক নামডাক হয়েছিলো যুদ্ধ পরবর্তীতে??? আমি যদ্দুর জানি রাজাকাররা টাকা পয়সা, সংসদে এম,পি পদ অর্জন করলেও যার যার এলাকায় রাজাকার নামেই ঘৃণিত।

এখনো ৭১ এর জেনেরেশনের মানুষ বেঁচে আছে। তাই যেকোনো রাজাকারের কুকীর্তি লিপিবদ্ধ করার সময় এখনো পার হয়ে যায়নি। সেই সব রাজাকারদের ৭১ এর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ডাইরি লিখে রাখার সময় এখনো পার হয়নি রাজাকার জীবিত বা মৃত হোক তাদের কুকীর্তির জন্য শাস্তি ও ঘৃণা তাদের প্রাপ্য।

তবে যেহেতু আমরা এখন একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে বাস করি, তাই নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবার অধিকার আমাদের কারোই নেই। তাই আমাদেরকে নিয়মতান্ত্রিক পথে এদের বিচার করতে হবে। সেটা গত ৩৮ বছরে করা হয়নি দেখে আমরা এতো চেঁচামেচি করছি । হাসি

ঘৃণা বা প্রতিবাদের ভাষাও কিন্তু গঠণমূলক, যৌক্তিক ও তথ্যবহুল হতে হবে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

রাহিন হায়দার এর ছবি

অনেকের কাছ থেকে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়---দেশে এতো সমস্যা, এইগুলো রেখে অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার কোনো মানে নেই। দেশে এখন অনেক ধরনের সমস্যা আছে; লোডশেডিং, বিশুদ্ধ পানির অভাব--- আরো কতো কি। এদের কথা হলো ‘রাজাকারদের বিচার চেয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ’ নিয়ে ত্যানা না পেঁচিয়ে লোডশেডিং, বিশুদ্ধ পানির অভাব এই বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত।

এ প্রোপাগান্ডা যে কী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ফেসবুকে নজর রাখলেই বোঝা যায়। উইকেন্ডটা গেছে এ তর্কেই। এদের তর্কের প্যাটার্নটা হইলঃ শুরুতে বলবে যুদ্ধাপরাধের বিচার সমস্যা সমাধানের প্রায়োরিটিতে নাকি অনেক নিচে হওয়া উচিত বা দৈনন্দিন সমস্যাগুলার প্রায়োরিটি পাওয়া উচিৎ আগে, তর্কের মাঝে হঠাৎ মধ্যপ্রাচ্যের ভয় দেখাবে আর শেষে বলবে "আরে ভাই আমিও তো যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই, কিন্তু এতো কথা বলে লাভ তো নাই, বিচার তো হবে না"! কেন হবে না জিগাইলে আবার কয় আলীগ আগেও করে নাই এখনও করবে না! আগে বঙ্গবন্ধু করতে গেসিল এটা কইলে কয় সাক্ষীই তো পাওয়া যায় নাই, উইকিপিডিয়ার লিঙ্ক দিলে আবার এর অথেন্টিসিটি নিয়া প্রশ্ন তুলে!! এগুলার বিরুদ্ধে কথা কওয়ার রুচি হয় না কিন্তু তারপরও বলাটা দায়িত্ব মনে করি। কারণ না বলা মানে প্রোপাগান্ডাটাকে আরো বাড়তে দেয়া। এ বিষয়ে কথা বলেই যেতে হবে, থামা যাবে না, আগাছা যেমন পরিষ্কার করেই যেতে হয়, থামলেই বাড়তে থাকে।

দারুণ পোস্ট আপু! চলুক
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

বর্ষা এর ছবি

রাজাকারের বিচার করবে = বিচার বিভাগ
পানির সমস্যা দূর করবে= ওয়াসা আর পানি বিভাগ
লোডশেডিং দূর করবে= বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড

মুস্তাফিজ ভাই আপনার পোষ্টের ভালো মতো ব্যাখ্যা করেছেন কেনো আগে বিচার করা যায়নি।

"মধ্যপ্রাচ্যের ভয় দেখাবে"---- কারণ যুদ্ধাপরাধীরা ভালো মতো লবিং করবে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে নিজেদের জান বাঁচাতে, যেটা আমাদের সরকার হয়তো করবে না। বাইরের দেশগুলোর ঠ্যাকা পড়ে নাই তাদের স্বার্থ না থাকলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে। সরকার যদি স্মার্টলি ব্যাপারটি হ্যান্ডেল করতে পারে, মধ্যপ্রাচ্যের চাপ অনায়সে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

ধন্যবাদ আপনাকে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

হুম আমারো মনে হয় স্টিকার প্রকল্পটা আবার শুরু হতে পারে।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

বর্ষা এর ছবি

সুজনদা, আপনার করা পাকমনপিয়ারুদের শাস্তি প্রদানের সিরিজটা আমারই ইচ্ছা করে নিজে পোষ্টার আকারে ছাপিয়ে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটিয়ে দিতে। এই সিরিজটা চরম চরম ভালু হয়েছে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

পুতুল এর ছবি

হুম আমারো মনে হয় স্টিকার প্রকল্পটা আবার শুরু হতে পারে।

আসলে এখনই বিশ্রামের সময় আসে নাই। যাদের পক্ষে সম্ভব, তারা এখনই উঠে পরে লেগে যাওয়া উচিৎ। যেমন উচিৎ এই বিষয়ে নিত্য নতুন ব্লগ লেখা। বরাহ শিকার জারী থাকুক।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুজন চৌধুরী এর ছবি
বর্ষা এর ছবি

আসলেই বার বার বিষয়টি সামনে আসা উচিত। ধন্যবাদ পুতুল পড়ার জন্য।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সাবাশ বর্ষা চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বর্ষা এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ!!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রচার প্রচার প্রচার। এর কোন বিকল্প নেই। আমি যা সত্য জানি তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে। আংকেল আন্টি যতই বাচ্চুরাজাকার ভক্ত হোক। সত্য জানাতে দ্বিধা করা যাবে না। যার যার পরিচিত রাজাকারের লিষ্টি তার পরিচিত সার্কেলের মধ্যে কুকীর্তির নিদর্শন হিসেবে বিলি করতে হবে।

জানান দিতে হবে, আমরা জেগে আছি।

.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

বর্ষা এর ছবি

একদম ঠিক বলেছেন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

মাসরুফ হোসেন এর ছবি

আপা,

ঠিক আপনার ফর্মুলা অনুযায়ী কথা বলে এরকম এক নব্য রাজাকারকে চিনে রাখুন।

http://www.facebook.com/ishtiaqisa?v=feed&story_fbid=10150182998050121#!/photo.php?pid=3742592&id=515628157

বর্ষা এর ছবি

লিংকটা খুলছে না।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

তারিক সালমন [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখার কয়েকটি ভুল বানান ধরিয়ে দিলাম:

পোষ্ট নয়, পোস্ট
এডুকেটেট নয়, এডুকেটেড
ঘোষনা নয়, ঘোষণা
ধরণ নয়, ধরন
স্বেচ্চাসেবী নয়, স্বেচ্ছাসেবী
বরাদ্ধ নয়, বরাদ্দ
ঘৃনা নয়, ঘৃণা
নপুংশক নয়, নপুংসক
হীন্মনতা নয় হীনম্মন্যতা
জেনেরেশন নয়, জেনারেশন
ইত্যাদি।

শুভেচ্ছা রইলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।