বাংলাদেশ বাংলাদেশ: বিশ্বকাপের খেলা দেখা

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১২/০৩/২০১১ - ১০:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ বাংলাদেশ জিতেছে। টাইগাররা আজ প্রমাণ করে দিল যে ইচ্ছার জোরে যেকোন কিছুই করা সম্ভব। আজ সারাদেশ আর দেশের বাইরে বাংলাদেশীরা আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। ধন্যবাদ টাইগাররা, আমাদের আরেকটি আনন্দের, গর্বের উপলক্ষ এনে দেওয়ার জন্য। আমাদের এই পোড়া দেশটাকে মাঝে মাঝে তোমরাই পারো খুশির জোয়ারে ভাসাতে। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাদের।

তবে আজকে আর টাইগারদের গুনকীর্তন করবো না, সেটা অলরেডি সবাই করছে। আজকেরটি সহ বাংলাদেশের চারটি খেলা হল এ বিশ্বকাপে। চারটির মধ্যে আমি দুটো পুরো দেখেছি আর দুটো অর্ধেক। বলুনতো কোন দুটো পুরো দেখেছি?

প্রথম ম্যাচ: ভারত বনাম বাংলাদেশ

আমার বর্তমান ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েসন এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ বড় পর্দায় দেখার আয়োজন করবে বলে ঠিক করল। আমরা আয়োজন করছি দেখে ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েসন আগ্রহ প্রকাশ করল আমাদের সাথে একসাথে খেলা দেখার। আমাদের কয়েকজন গাঁইগুই করলেও পরে আমরা রাজি হই। যাহোক, ম্যাচ দেখবো তার একটা প্রিপারেশন আছে না? তাই কয়েকজন মিলে মাথার ব্যান্ড, প্রিয় খেলোয়াড়ের ছবি প্রিন্ট করা এসব সারাদিন ধরে তৈরী করে একদম জব্বর প্রিপারেশন নেওয়া হল খেলা দেখার জন্য। একজনতো “ম্যারি মি” লেখা পোস্টারও বানালো। দেঁতো হাসি আর খেলা দেখার সময় চিপস, বিস্কুট, চা এসবের আয়োজনও করে সারা। খেলা শুরু হবার পরে, ইন্ডিয়ানদের চিল্লাচিল্লি শুরু হয়ে গেল শেবাগের মারের দরুন। আমরাও সমানতালে চিল্লাতে শুরু করলাম। বোলিং-এ বাংলাদেশ খারাপ করলেও আমাদেরতো সাপোর্ট দিইয়ে যেতে হবে, আমরা, সাপোর্টারতো আর ইন্ডিয়ানদের কাছে হেরে যেতে পারিনা। কিন্তু কিছুক্ষন চিল্লাচিল্লির পরেই গলার অবস্থা কেরোসিন। তার উপরে শেবাগ যে বেধড়ক পেটাচ্ছে তাতে চিল্লানোর উৎসাহেও কিছুটা ভাঁটা পড়লো। ইন্ডিয়ানরা সমানে চেঁচিয়েই যাচ্ছে, কিছুক্ষন পরে ওরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শ্লোগান খুঁজে না পেয়ে ফাকিস্তানের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়া শুরু করল। আর আমরা বাংলাদেশ যখন উইকেট পায় তখন ধেইধেই করে নাচি আর গলা ফাটায়ে চেঁচাই। কিন্তু কিছুক্ষন পরেই আবার চুপ হয়ে যাই। মাঝে মাঝে অবশ্য উইকেট না পরলেও আমরা চিল্লাই, কিছুটা নিজেদের উৎসাহ ধরে রাখার জন্য আর কিছুটা ইন্ডিয়ানদের দেখানোর জন্য। এভাবে অবশেষে বাংলাদেশের বোলারদের উপরে ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের তান্ডব শেষ হল, আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
এরপরের খবরতো সবারই জানা। বাংলাদেশের ব্যাটিং এর সময় বাংলার ছেলেরা একটা করে চার-ছয় মারে আর আমরা লাফাই। কিন্তু ততক্ষনে বেশিরভাগ ইন্ডিয়ানরাই চলে গেছে, এতে করে আমাদের খেলা দেখার আনন্দ কিছুটা হলেও কমে যায়। বিপক্ষের কেউ না থাকলে কাঁহাতক আর লাফালাফি করা যায়। খেলা শেষ হবার প্রায় একঘন্টা আগে জানলাম আমরা যেখানে খেলা দেখছি সেটা বুকিং দেয়া সেটা ছেড়ে দিতে হবে কিছুক্ষনের মধ্যে। আমাদেরতো মাথায় হাত। কিন্তু যাব যাব করেও আমরা পুরো খেলা দেখেই বের হই। যদিও বাংলাদেশ ম্যাচটাতে হেরে যায় কিন্তু টাইগারদের ব্যাটিং আশা জাগায় যে না, পরের ম্যাচগুলোতে দেখায়ে দিবে এবার। আমরা কয়েকজন ফেরার পথে রাস্তায় কোড়ানো ২০ ডলার দিয়ে ম্যাকডোনাল্ডে জম্পেশ সকালের নাস্তা করি। এরপরে বাসায় ফিরে একঘুমে দিন কাবার। কিছু ছবি দেখুন সেদিনের (থুক্কু রাতের):

172964_1816382125402_1115558756_32147546_4952279_o

IMG_3819

IMG_3836

দ্বিতীয় ম্যাচ: বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড

এই ম্যাচ বাসাতেই দেখি আমি। খাটে শুয়ে খেলা দেখার মজাই আলাদা। প্রথমে তামিমের ব্যাটিং দেখে মনে হল, আজকে আয়ারল্যান্ডরে খাইছি। কিন্তু তামিম যাওয়ার পরে সবার মধ্যেই দেখলাম প্যাভিলিয়নে যাওয়ার তাড়া। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। ৭ নম্বরে নামল আশরাফুল, আশায় বুক বাঁধলাম যে ও যদি কিছু একটা করে। কিন্তু হায়! আশরাফুল আমার (আরো যারা আশা করেছিল) তাদের আশায় জল (আসলে আরো খারাপ কিছু হবে) ঢেলে ১ রানেই বিদায়। আমি মেজাজ খারাপ করে খেলা দেখা বাদ দিয়ে দিলাম ঘুম। কিন্তু ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম, একবার দেখি বাংলাদেশ জিতে গেছে আবার দেখি হেরে গেছে। টেনশনে কয়েকবার ঘুম ভেঙে গেল। কিন্তু উঠিনি ইচ্ছা করেই। শেষে সাতটার দিকে আর থাকতে না পেরে উঠে ল্যাপটপ অন করে ক্রিকইনফোতে ঢুকলাম, ঢুকেই মনটা ঠান্ডা হয়ে গেল, জিতে গেছিইইইইইই, ইয়াহুউউউউউউউউউউউউউ। এরপরে বসে বসে বিশেষজ্ঞদের মতামত শুনলাম এ আশায় যে এরপরে হাইলাইটসটা দেখাবে কিন্তু সেটা দেখানোর কোন নামই নেই। অনেকক্ষন পরে হাইলাইটস দেখালো, আমার প্রাণ জুড়ালো। আমি আবার শান্তিতে ঘুমালাম।

তৃতীয় ম্যাচ: বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সেদিন সকালে আমার হাউসমেট বলল, বড় পর্দায় খেলা দেখবা নাকি আজ আবার? আমিতো একবাক্যে রাজি। উনি আরো কয়েকজনকে মেসেজ পাঠিয়ে মানুষ জোগাড় করে ফেলল। প্রজেক্টরও জোগাড় হয়ে গেল সহজেই, আর যার বাসায় খেলাটা দেখব সেটাও ঠিক হয়ে গেল বিকেলের মধ্যেই। আমরা সারারাত খেলা দেখার প্রিপারেশন নিয়ে গেলাম বড় ভাইয়ের বাসায় খেলা দেখতে। প্রজেক্টর সেটাপ করতে করতেই তামিম আউট। সেটাপ শেষ হতে না হতেই আরো একজন। ঠিকমত বসতে না বসতেই আরো একটা। যা চলতেই থাকলো। আমরা কত আয়োজন করে বসে আছি, চা, মুড়ি, বিস্কুট, চিপ্স। কিন্তু কিছু করার আগেই বাংলাদেশ ইনিংস মোটামুটি প্রায় শেষ। আশরাফুল নামার পরে কয়েকজন বলল, আজ আশ্রাফুলের দিন, ও আজ নির্ঘাত একটা সেঞ্চুরি মারবে। কিন্তু আবারও আমাদের সমস্ত ভবিষ্যতবাণী ভুল প্রমাণ করে সে ১১ রানে আউট হয়ে ফিরে গেল। আর আমরা সাক্ষী হলাম বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডের। শুরুর রাগ শেষে গিয়ে হতাশায় পরিণত হল। আমরা অধিক শোকে পাথর হয়ে গেলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং এর সময় আমরা তাড়াতাড়ি করে মুড়ি মাখা খাওয়া শুরু করলাম যাতে খেলা শেষ হবার আগেই খাওয়া শেষ করতে পারি। বাজি ধরলাম যে কত ওভারে খেলা শেষ হবে। কারো মতে ৫ ওভার, কারো মতে ১০। একজনতো বলল আমরা জিতেও যেতে পারি। আমরা যারা নিয়মিত খেলা দেখি তারা ওনার এই অবাস্তব আশা দেখে হাসতে হাসতেই ব্যাকুল। পুরো খেলায় যা ছিল আমাদের একমাত্র বিনোদন। একজন বলল, তাড়াতাড়ি খেলা শেষ হওয়ার একটা সুবিধাও আছে, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরা যায়। কী আর করা, সেটাই সেদিন মেনে নিলাম। আর সিদ্ধান্ত নিলাম, অনেক হইসে, আর বড় পর্দায় খেলা দেখুম না।

চতুর্থ ম্যাচ: বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড

এ ম্যাচ নিয়ে আমার আগ্রহ থাকলেও সেটাকে তেমন পাত্তা দেইনি কারণ আগের ম্যাচের অভিজ্ঞতা। সন্ধ্যা থেকে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ দেখছিলাম আর চাচ্ছিলাম যাতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেতে নাহলে আবার গ্যাঞ্জাম লেগে যেতে পারে এগ্রুপে। পোলার্ডের পিটুনি দেখে বড়ই শান্তি পাচ্ছিলাম জানিনা কেন। বিকেলে আবারও বড় পর্দায় খেলা দেখার আমন্ত্রন পেলাম কিন্তু পরেরদিন সকালে কাজ থাকার কারণে আমন্ত্রনটা গ্রহন করতে পারলাম না, তা নিয়ে অবশ্যি আফসোসও ছিলনা কেননা একসাথে বড় পর্দায় খেলা দেখলেইতো বাংলাদেশ হারে তারচেয়ে না দেখাই ভালো, যদি জিতে যায়। আজ টসে জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং নিল, মনটা একটু খারাপ হল। ভাবছিলাম বাংলাদেশের ব্যাটিংটা দেখে ঘুমাবো, সেটা আর হল না। কী আর করা, বোলিং-ই দেখা শুরু করলাম। প্রিয়রের আউটটা দেখে হাসতে হাসতে শেষ, এরপরে গেল স্ট্রাউস, বেল। মনটা ভালো হয়ে গেল। কিন্তু মরগান আর ট্রট মিলে ভালো মেজাজটা খারাপ করা শুরু করল। একসময়তো ভয়ই পেয়ে গেলাম, এরা কী আজ আর আউট হবে না? শেষ পর্যন্ত ইমরুলের এক অসাধারণ ক্যাচে মরগান গেল। এরপরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া শুরু করলাম গা-গরম করার জন্য। একটি করে উইকেট পরে আর একটি করে স্ট্যাটাস। মজাই লাগছিল। ভাবছিলাম ২২০ এর মধ্যে আটকে রাখতে পারলে আজ ভালো চান্স আছে। কিন্তু ২২৫ হয়ে গেল। তারপরেও মনে ক্ষীণ একটা আশা নিয়ে ঘুমুতে গেলাম। যথারীতি সকালে উঠেই ল্যাপটপ অন করে আজ আর ক্রিকইনফোতে ঢুকলাম না, ফেসবুকে লগিন করলাম ভয়ে। ফেসবুকে একজনের স্ট্যাটাস পড়েই ক্রিকইনফোতে ঢুকলাম। আহ! আজকেও জিতছি। আবারো সকাল উঠে মনটা ভালো হয়ে গেল। টাইগারদের জন্য গর্বে বুকটা ভরে গেল। ওহ, টাইগারস আই লাভ ইউ, উই অল লাভ ইউ।
অনুসিদ্ধান্ত: আমি বড় পর্দায় একসাথে খেলা দেখলে বাংলাদেশ হারে।
প্রমাণ: উপরের বর্ণনা দ্রষ্টব্য।

আপডেট: গতকাল খেলা দেখে কুফা কাটাইছি। দেঁতো হাসি
ছবি কৃতজ্ঞতা: কয়েকজন সাপোর্টার অফ বাংলাদেশ, ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ।

আশফাক

পাগল মন এর ছবি

আপনাকেও আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

পাগল মন এর ছবি

গ্যাচাং

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

মুস্তাফিজ এর ছবি

সবকিছুর পরও বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালোবাসি

...........................
Every Picture Tells a Story

সাফি এর ছবি

সবকিছুর পরও বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালোবাসি

পাগল মন এর ছবি

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগলো! হাসি

অরিত্র অরিত্র  এর ছবি

খুব ভালো হয়েছে।

পাগল মন এর ছবি

থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু... হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অদ্রোহ এর ছবি

বড় গলায় নিজেকে একজন সংস্কারমুক্ত বলে যতই গলা ফাটাই না কেন, খেলা দেখার সময় আমার মধ্যে সব সংস্কারের বহর একসাথে চেপে বসে। মর্গান-ট্রট জুটি যখন টিকে গেল, তখন মাথার ব্যান্ডটা খুলে ফেলতে না ফেলতেই ওরা আউট। এরপর বারকয়েক এই পদ্ধতিতে কাজ হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং এর সময়ও হলের কমনরুম থেকে কুফা নামে পরিচিত কয়েকজন বন্ধুকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করাতেই শেষমেশ মিরাকল ঘটে গেল। যাই হোক, অলুক্ষণেদের অনুরোধ, সামনের ম্যাচগুলো নিজের চর্মচক্ষে না দেখে বাংলাদেশ দলকে জেতাতে সাহায্য করুন!!

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

পাগল মন এর ছবি

সেটাই, এজন্যই তো খেলা দেখতে যাইনি, যদিও কাজও ছিল কিছু।
মাঝে মাঝেই আউট না হলে এমন কিছু করি যেটা সাধারণত করিনা। এসব অবশ্য আমি আরো অনেক কিছুতেই করি। বুয়েটে পরীক্ষার সময় করতাম, একই ব্যান্ডের কলম, মাঝে একই ড্রেস ইত্যাদি কত কী। সব সংস্কারমুক্ত বলে নিজেকে মনে করলেও এসব আপনাআপনি এসে পরে। দেখি সামনের ম্যাচগুলোতে এগুলো করে জেতাতে পারি কিনা। দেঁতো হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করবো পিচে পিচে, বলে বলে, ব্যাটে ব্যাটে, মাঠে মাঠে - We will fight them Zenga Zenga

এটা গাদ্দাফির বহুলালোচিত সাম্প্রতিক একটা ভাষন থেকে নির্মিত কমিক ভিডিও রিমিক্স যা ব্যপক আলোড়ন তুলেছে আরব বিশ্বে। রাফলি 'জেঙ্গা জেঙ্গা' মানে হচ্ছে : আমরা ওদের সাথে গলিতে গলিতে - বাড়িতে বাড়িতে লড়াই করবো - হাউজ টু হাউজ, এ্যালি টু এ্যালি।

বাংলাদেশ টীমও মাঠে গেলে Zenga Zenga ফাইট দিবে বলেই আশা করি। নো ভক্তিশ্রদ্ধা, নো ছাড়াছাড়ি।

পাগল মন এর ছবি

গাদ্দাফির মত একজন পাষন্ডের কোন উক্তি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হতে পারেনা।
তবে এটা ঠিক কাউরে ছাড়ান নাই, সবাইরেই ধরায়ে দেয়ার সময় চলে এসেছে।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

নিবিড় এর ছবি

আসল দুইটা খেলাই মিস করলেন খাইছে

পাগল মন এর ছবি

মিস করছি বলেই তো জিতছি। বাংলাদেশ জিততে থাকলে আমি না দেখলেও কোন আফসোস থাকবে না।
আমি না দেখলেও বাংলার কোটি কোটি মানুষতো ঠিকই দেখেছে।
তবে চিন্তা করছি এর পরে যে টীমের হারা কামনা করব, সে টীমের খেলা দেখতে হবে বড় পর্দায়। চাল্লু

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

পাগল মন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনাকে।
মন্তব্যটা আগে চলে গেল কেন? অ্যাঁ

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সামনের ২ ম্যাচ ভুলেও বন্ধুদের সাথে প্রজেক্টরে দেখতে যাবেন না। কয়েক ওভার দেখে ঘুম দিবেন, ম্যাচ জয়ের পরে উঠবেন। হাসি

বর্ণনা লাইকাইলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পাগল মন এর ছবি

তথাস্তু। হাসি
লাইকানোর জন্য থ্যাঙ্কস। দেঁতো হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

bauani এর ছবি

পাগল মন : আপনার বড় পর্দা অলুক্ষণে

পাগল মন এর ছবি

সেজন্যইতো আর দেখবো না ঠিক করেছি। হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার হাউসমেট পাঁচজন ব্রিট, একজন অসি আর একজন জার্মান। গতকাল তিন ব্রিটের জ্বর ছিলো তাই ওরা পাঁচজনই উইকনাইটের পানিচুনিসেবন বাদ দিয়ে বাসায় বসে ক্রিকেট দেখছিলো। আমি আর ষাটোর্ধ প্রবীন বাংলাদেশী-সুইডিস, সুইডেনের সাবেক এমপি মি. চাউড্রি ডিনার কাম খেলা দেখতে গেলাম একটা পশ রেষ্টুরেন্টে। ইমরুলের রান আউটটার পর মনটা খারাপ হয়ে গেলো। কিন্তু খেলার শেষ দিকটায় উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, মি. চাউড্রি বার বার শিশুর মতো লাফিয়ে উঠছিলেন। আর শেষ চার মারার সাথে সাথে ষাটোর্ধ মি. চাউড্রি ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন। দেশে বসে আসলেই ঠিক অনুভব করিনা যে আমরা দেশটাকে কতটুকু ভালোবাসি।

ধন্যবাদ পাগল ভাই। আপনার লেখাটা খুবই ভালো লাগলো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পাগল মন এর ছবি

দেশে বসে আসলেই ঠিক অনুভব করিনা যে আমরা দেশটাকে কতটুকু ভালোবাসি

একদম ঠিক কথা বলেছেন।
লেখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার বস্‌

-অতীত

পাগল মন এর ছবি

থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু। হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।