প্রতিটি মানুষেরই জীবনে কখনো কখনো শখ থাকে। শখ বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছোটবেলার শখ বড় হয়ে আর থাকে না কিংবা থাকলেও সেটার আবেদন আর আগের মত থাকে না। একেই কি শখের অপমৃত্যু বলে? তাহলে আমারো এরকম অন্তত দুটি শখের অপমৃত্যু হয়েছে বলা যায়।
১.
স্কুলে চলাকালীন আমি প্রচুর বই পড়তাম। ক্লাসে স্যার ম্যাডামদের লেকচার ফলো না করে বই পড়তে গিয়ে অনেকদিন ধরা খেয়েছি, মারও কপালে জুটেছে কয়েকবার। বই পড়াটা ছিল এক নেশার মত। তবে এই নেশার সাথে আরেকটি শখও যুক্ত হয়, যতদূর মনে পরে ক্লাস সিক্স/সেভেন এ থাকতে। তবে আমার মনে হয় এই শখ আমার হওয়াটা অবধারিতই ছিল। আব্বু দেশের বাইরে থাকার দরুন প্রতি মাসেই অন্তত একটি করে চিঠি পেতাম আর চিঠির সাথে থাকত দুটি চারটি করে স্ট্যাম্প। প্রথমদিকে তেমন গুরুত্ব দেইনি কিন্তু পরে দেখলাম স্ট্যাম্পগুলো বেশ সুন্দর, সংগ্রহে রাখার মত। তাই শুরু করলাম স্ট্যাম্প কালেকশন যেটা পরে ভালো একটি শখে পরিণত হয়। কিছুদিন পরেই আব্বুকে বেশি করে স্ট্যাম্প পাঠাতে বললাম। খামের ভিতরে আব্বু তখন দুটি চারটি করে স্ট্যাম্প পাঠাতে লাগলেন। এতে করে কিছুদিনের মধ্যেই আমার কাছে এক দেশেরই অনেকগুলো স্ট্যাম্প জমে গেল। আমি তখন অন্যদেশের স্ট্যাম্পের খোঁজ করতে লাগলাম। আমার ক্লাসেরই আরেক ফ্রেন্ডের বাবা পোস্ট অফিসে চাকুরী করত, একারণে সেও স্ট্যাম্প কালেকশন করে। আমরা দুইজন স্ট্যাম্প বিনিময় করতে লাগলাম। আর কোথায় পুরোনো স্ট্যাম্প পাওয়া যায় তার খোঁজ করতে লাগলাম। খুঁজতে খুঁজতে একটি দোকান পেয়ে গেলাম যেখানে পুরোনো স্ট্যাম্প বিক্রি করে বেশ কম দামে। আমি আস্তে আস্তে টাকা জমিয়ে সেখান থেকে স্ট্যাম্প কেনা শুরু করলাম।পরে আরো কয়েকটি দোকান পেলাম যেখান থেকে কম দামে বিভিন্ন দেশের স্ট্যাম্প কিনতে পারা যায়। স্কুলে আরো কয়েকজন পেলাম যারা স্ট্যাম্প কালেক্ট করে, তাদের সাথে আমার স্ট্যাম্প বিনিময় চলতে লাগলো। স্ট্যাম্প রাখার জন্য আব্বু স্ট্যাম্পবুক পাঠালেন, আমি সেখানে আমার সব স্ট্যাম্প সাজিয়ে রাখতাম আর মাঝে মাঝে গুনে দেখতাম কতগুলো দেশের স্ট্যাম্প হলো। একশটি দেশ হয়ে যাওয়ার পরে আমি সবগুলো দেশের নাম আমার স্ট্যাম্পবুকে অনেকটা সূচীপত্রের মত করে লিখে রাখলাম। ততদিনে আমার স্ট্যাম্পবুকের সংখ্যা এক থেকে দুইয়ে উন্নীত হয়েছে। স্কুলে গেলেই তখন কথা হত কে কটা দেশের স্ট্যাম্প কালেক্ট করতে পেরেছে। আমি এক্ষেত্রে একটি সুবিধা পেতাম যে আমার অন্তত স্ট্যাম্পের একটা ফ্লো ছিল যে অন্তত প্রতিমাসে আমি কিছু স্ট্যাম্প পেতাম। আমি আব্বুকে বলতাম অন্যদেশের স্ট্যাম্প পেলে আমাকে পাঠাতে কিন্তু সেটা খুব কম ক্ষেত্রেই সম্ভব হতো আব্বুর পক্ষে। আমি অবশ্য আমার যা ছিল সেগুলোই অন্য দেশের সাথে বিনিময় করে আমার দেশের সংখ্যা বাড়াতে লাগলাম। এভাবেই চলতে চলতে ক্লাস টেনে উঠে গেলাম, প্রিটেস্ট-টেস্টের পরীক্ষার চাপে স্ট্যাম্প কালেকশন আর আগের মত করা সম্ভব হলো না। এস.এস.সি পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষার পরে আর স্ট্যাম্প কালেক্ট করিনি, আমার তখন প্রচন্ড বইয়ের নেশা, অন্যকিছুর কোন বেইল নেই। এরপরে কলেজে ভর্তি হলাম, চাপ বাড়লো আর স্ট্যাম্পবুকে ধূলোর আস্তরন বাড়তে লাগল আর স্ট্যাম্প কালেকশন শখটির অপমৃত্যু হল। এরপরে শুধু মাঝে মাঝে যখন বুকশেলফ ঝাড়ামোছা করা হয় তখন স্ট্যাম্পবুকটি পরিষ্কার করেছিলাম। শেষবার কবে যে স্ট্যাম্পবুকটা ধরে দেখেছিলাম মনেই নেই।
২.
ছবি জিনিশটা আমি দারুন পছন্দ করি। ছোটবেলায় ছবি তুলতে পছন্দ করতাম কিন্তু তেমন একটা ছবি তোলা হতো না। আমার ছোটবেলার খুব কম ছবিই আছে। যাহোক, বড় হবার সাথে সাথে নিজের ছবি তোলার ইচ্ছা কমে নিজে ছবি তোলার ইচ্ছা বাড়তে থাকে কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় টাকা পয়সার টানাটানি। কলেজে থাকতে আমি একটামাত্র ক্লাবের সাথে জড়িত ছিলাম, ন্যাচার স্টাডি ক্লাব। তো ক্লাবের কার্যক্রমের মধ্যে ছিল বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আর সেসাথে প্রকৃতিকে চেনা-জানা। ক্লাবের সাথে অনেকবার বোটানিকাল গার্ডেন, বলদা গার্ডেন, এমনকি একবার গাজীপুরেও ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের সাথে অনেকের ক্যামেরা ছিল, তারা ছবিটবি তুলত, আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখতাম। সে ক্লাব থেকেই একবার ফটোগ্রাফির উপরে একটা ট্রেনিং কোর্সের আয়োজন করা হল। আমি নিয়ে ফেললাম সেই ট্রেনিং। কিন্তু তখনো আমার কোন ক্যামেরা নেই। হাতে সেরকম টাকাও নেই যে কিনে ফেলবো। আমি তখন টিউশনি করি একটা কিন্তু সেটার সম্মানী (!) এতই অসম্মানজনক যে নিজের খরচ চালিয়ে টাকা জমিয়ে ক্যামেরা কিনতে গেলে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে। তাই মাকে ভুজুংভাজুং দিয়ে ম্যানেজ করলাম যে আগামী দুইমাসের খরচ আমাকে দিতে আর আমি সে দুইমাসের টিউশনির টাকা দিয়ে কিনে ফেললাম আমার প্রথম এস.এল.আর ক্যামেরা, ভিভিটার ৬০০০ (নামটির ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত না)। ক্যামেরাতো কিনলাম কিন্তু ছবি তোলার যে খরচ সেটা দেখে আমার ছবি তোলার ইচ্ছা প্রায় যায় যায়, ১১০ টাকা ফিল্ম, ফিল্ম ওয়াশিং ২০ টাকা আর প্রতিছবি ৭-১০ টাকা করে লাগে ডেভেলপ করতে। পুরাই রাজকারবার। আমি অনেকদিন পরে প্রথম ফিল্ম কিনলাম, ছবি তুললামও কিন্তু খুব একটা ভালো হলো না। হতাশ হয়ে পরলাম। এরপরে অনেকদিন ছবি তুলিনি। কলেজ শেষে ভার্সিটিতে উঠে কয়েকবার ছবি তুলেছিলাম, একবার সাদাকালো ফিল্ম দিয়ে তুলে দেখলাম কিন্তু মনের মত ছবি হয়নি দেখে আর খরচের ধাক্কায় ছবি তোলায় ইস্তফা দিলাম। এভাবেই আমার ছবি তোলার শখের মৃত্যু ঘটলো।
তবে বাইরে এসে একটা পয়েণ্ট এন্ড শ্যুট কিনেছিলাম কিন্তু ছবি তোলার সেই আগ্রহটা তখন আর পাইনি। সে ক্যামেরাও ছোটভাইকে দিয়ে দিয়েছি। অতি সম্প্রতি একটা ডি.এস.এল.আর কিনেছি, আশা করি আমার মৃত শখটিকে পুনরজ্জীবিত করতে পারব।
মন্তব্য
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ছবি তোলা শুরু করে দেন
দুনিয়াটা দুইদিনের। শখ গুলো খুন করার মানে হয়না।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ছবি তোলা শুরু করে দিয়েছি আসলে।
দুনিয়াটার মত শখগুলোও ক্ষনস্থায়ী। সময়ের ফেরে পরে শখগুলো পাকে বাঁধা পরে যায়। তবে ইচ্ছা আছে কিছু কিছু মৃতপ্রায় শখকে বাঁচিয়ে তোলার।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আপনার এই শখগুলো আমারো ছিলো, কিন্তু একটাও মরেনি - উত্তরাধিকার সূত্রে মূল্যবান কিছু পাইনি, কিন্তু শখগুলো পেয়েছি ঠিকই।। বই পড়ার কথা বাদই দিলাম, ওটা শখ নয়, নেশা।
স্ট্যাম্প কখনো অ্যালবামে রাখতে পছন্দ করতাম না, বাক্সটা এখানে চলে আসার আগের দিনও ঘাঁটাঘাঁটি করেছি। সেই সাথে ছিলো এবং আছে কয়েন জমানোর শখ, সে বাক্সও খুব একটা ছোট নয় - এবং বড্ড ওজন :(।
ছবি তোলার শখ সেই ছোট্টবেলা থেকে শুরু করে এখনো আছে। এস এল আর কি বস্তু বুঝতে শিখেছি অনেক আগে, সেই সময় থেকেই নিজের একটা পাওয়ার ইচ্ছে ছিলো। ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারি ষোল বছর পরে, নিজে চাকরী করতে শুরু করার পর - সত্যি বলতে কি, নিজের টাকায় নিজের শখ পূর্ণ করার একটা আলাদা আনন্দ আছে, অন্যের উপহারের মাধ্যমে শখ পূরণ হলেও সেই আনন্দ পূরণ হয় না।
কিন্তু দুঃখ তো রয়েই যায়, যখন এখানে সেখানে ঘোরার সুযোগ ছিলো তখন ক্যামেরা ছিলো না, আর যখন ক্যামেরা হয়েছে তখন নয়টা পাঁচটা কামলা খেটে ঘোরাঘুরির সুযোগ ছিলো না। স্ট্যাম্প আর কয়েনগুলোকে খুব মিস করি এখানে, কিন্তু নিয়ে আসা তো ঝামেলা - সবচেয়ে পুরনো ১৭০৩ সালের কয়েন ছিলো, মা'র নানার কাছে থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে(!) পাওয়া, অনেক কষ্টে পড়া যায়!
বাকি একখানা শখ বলুন আর বাতিকই বলুন, ঘাড়ে চেপেছে কয়েক বছর হলো। সেটা হচ্ছে কম্পিউটার গেম। ছাত্রজীবনে অত হাই প্রোফাইল কম্পিউটার কেনার সাধ্য ছিলো না। চাকরীজীবনে এসে চুটিয়ে গেম খেলেছি চার বছর ধরে। এখন আবার দুঃস্থ গ্র্যাড স্টুডেন্ট হওয়ার পরে খেলতে পারছি না - আশায় আছি দু'বছর পরে আবার খেলবো
কয়েন অবশ্য আমি জমাতে শুরু করেছিলাম কিন্তু সেটা বেশ ব্য্যবহুল হওয়ায় বাদ দিতে হয়েছিল। স্ট্যাম্প জমানোর শখটাকে মাঝে মাঝে মিস করি।
আর ছবি তোলার শখটাকে দেখি আবার বাঁচিয়ে তোলা যায় কিনা। তবে বই পড়ার শখ/নেশাটা এখনো আছে তাই আর লিখিনি। ভিডিও গেম কখনোই তেমন একটা ভালো লাগেনি, খেলি-ও-নি।
আপনি ভাই বলতে হয় বিশাল লাকি যে আপনার শখগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আমি ভাবলাম বাংলাদেশী টপ মডেল আনিকা কবির শখ আবার মারা গেল কবে
আপনের ফ্লিচ্কারের লিঙ্ক দেন ফটো দেখি..
মজা লন? আমি ছবি তোলা শুরুই করিনি ঠিকমত, আর ফ্লিকার।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ক্যামেরা কিনে আলমারিতে রাখছেন নাকি? আগে ছবি, পরে লেখা।
আপনি জানলেন কিভাবে?
ব্যস্ততা একটু কমুক, তারপরে ছবি তুলে আর পোস্টায়ে ফাডায়ে ফেলব (কপিরাইট দ্রোহীদা)।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আপনার লেখা পড়েই মনে পড়লো- আমারো এককালে স্ট্যাম্পের একটা বই ছিলো
স্ট্যাম্প জমানোর শখ মনে হয় অনেকেরই ছিল কোন না কোন সময়। তবে এখনকার ছেলেমেয়েরা অবশ্য এসব সিলি কাজ করেনা, তারা ব্যস্ত ফেসবুকিং, চ্যাটিং এসবে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
বিভিন্ন রকমের গাছের পাতা-ফুল বইয়ের ভাঁজে রেখে আর কংকালটা জমাতে ভালোবাসতাম একটা সময়ে। তারও আগে, নানান রঙের রিবন জমানোর শখ ছিল। এখন এসব মনে করে হাসি পায়। কেমন বোকা বোকা শখ ছিল আমার! আপনার ঘুমিয়ে থাকা ফটুক তোলার শখটা আড়মোড়া ভাঙছে শুনে ভালো লাগলো। আশা করবো সময় মত সেরকম সব ফটুক তুলে ব্লগ ফাটিয়ে দেবেন
একাজটা আমিও করেছি কিছুদিন, পরে বেশি মেয়েলী মনে হওয়ায় বাদ দিসি।
ব্লগ ফাটায় ক্যামনে?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
শখ বা হুইম যা-ই বলেন না কেন সবারই কিছু না কিছু থাকে।
আমারো মাঝে মনে হয়েছিল ভায়োলিন শিখব কেননা সবাই-ই গীটার শিখছে, ব্যাতিক্রম কিছু একটা করা দরকার। কিন্তু বাফায় খোঁজ নিয়ে জানলাম ভায়োলিনের কোর্স চার বছরের। তাই শেখার ইচ্ছা বাদ দিসি।
আপনার নেশাগুলোর মধ্যে বিড়ি বাদে বাকিগুলান থাকলেই ভালো হত। বিড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
লেখাটা অনেক কথাই মনে করিয়ে দেয় পাগল ভাই। আমার আবার মাথায় একেক সময়ে একেক জিনিস চাপে। তাই এটাকে শখ নাকি 'হুইম' বলবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। ছবি তোলার শখ অনেকদিনের। স্কুলজীবনেই হাতে একটা কণিকা এসেছিলো। তারপর ইয়াশিকা, পেনট্যাক্স, স্যামসাং ঘুরে দাঁড়িয়েছি নাইকনে। কিন্তু অদ্যবধি চলছে অটো মোডে ছবি তোলা। আর নেশা ছিলো বিড়ি পান করা, তাস খেলা, বই পড়া আর গিটার বাজানো। বিড়ি বাদে অন্যগুলোর অপমৃত্যু ঘটেছে। তবে সম্প্রতি একটা দোতরা কিনেছি আর একটা সারিন্দার খোঁজে আছি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন