আমাকে যদি বলা হয় তুমি শুধু কেবল ৫ টা...না ১০ টা বাংলা ব্যান্ডের গান শুনতে পারবে (গানের ক্ষেত্রে আমি অনেক লোভী) সবার আগে আমি যেই গানের দলকে বেছে নেব সেই দলটা মেঘদল। নিচের এত বকবক আমি হিমু ভাইয়ের মেঘদলের শহরবন্দি লেখায় মন্তব্য হিসেবে পোস্ট করতে গিয়ে খেয়াল করে দেখলাম যে আমি কোন মন্তব্যই করিনি! গান গুলো, গানের কথা গুলো নিয়ে যা মনে এসেছে তাই লিখে গেছি। কিন্তু সেটা তো মন্তব্য হলোনা। তাই আলাদা করে আরো একগাদা কথা লিখে ফেললাম।
আমি বড় হয়েছি ঢাকায়। বাংলাদেশ ছেড়েছি ২০০০ এ আর এটা ২০০৯। মাঝখানে মাত্র ১ বার ঢাকায় গিয়েছি। সেই ছোট বেলায় ফেলে আসা ঢাকার এত্ত এত্ত পরিবর্তন আমি মেনে নিতে পারিনি। সেই জন্যই আবার যাওয়ার আগ্রহটা একটু দমে গেছে কিনা কে জানে। অনেকের মত বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঢাকা চোষে বেড়ানো হয়নি আমার ঠিকই কিন্তু সেই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যতটুকু পেয়েছি ততটুকুই মনে গেঁথে থাকবে আজীবন। ঢাকা কে ট্যাগ করতে বললে প্রথম যে কথা গুলো আমার মাথায় আসবে তা হল ট্রাফিক, ফুচকা, ইস্টার্ন প্লাজা, রোদ, বৃষ্টি আর মেঘ। গান না শুনেই নামের জন্যই মেঘদলের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম শুরুতে। মেঘদল। মেঘের দল। দ্রোহে মন্ত্রে ভালোবাসা। শহরবন্দি। ব্যাস! আর পায় কে! মাথার বারোটা বেজে গেলো।
আসলেই প্রিয় গান গুলোর সাথে মানুষের অমূল্য সব স্মৃতি জড়িয়ে থাকে অথবা নতুন স্মৃতি তৈরি হয়। শহরবন্দি অ্যাল্বামটা শুনে শুরুতে অনেক গুলো গানের অনেক কথাই আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। সবাই তো নিজের মত করেই সব কিছু ভেবে নেয়। আমিও নিয়েছিলাম। তবে শুনতে শুনতে শুনতে শুনতে, অ্যাল্বাম কভারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে থাকতে থাকতে এবং পরবর্তী্তে হাতেগোনা ভয়ঙ্কর নিরাশাবাদী কতিপয় মেঘদল ভক্তের (আমিও হয়তো তাদেরই একজন?) সাথে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার শেষে আরো কত ভাবনা যুক্ত হল। এরপর মনে হল শুধু দূরত্ব আর একাকীত্ব নয়, অ্যাল্বামটা ঢাকা কে কেন্দ্র করেও বটে। সময়, স্থান, মনের অবস্থা বুঝে যদিও হঠাৎ করে নতুন নতুন অর্থ খুঁজে পাই গান গুলোর ভেতরে, মূল ভাবনাটা একই রয়ে যায়। তবে আমার আগের অভিজ্ঞতা বলছে যে আমি হয়তো সম্পূর্ণ ভুল! হোক...
শহরবন্দি মেঘ। মেঘ তো রোজই দেখি, একাধিক দেশের মেঘই তো দেখা হল। কিন্তু ঢাকার বৃষ্টির সঙ্গে যেমন পৃথিবীর আর কোন জায়গার বৃষ্টির তুলনা হয়না, ঠিক সেরকম ঢাকার মেঘ, ঢাকার মেঘদলেরও তুলনা হয়না। আর কোথাও পাওয়া যায়না এমন ছায়া ছায়া অন্ধকার। কিন্তু মেঘদল গুলো কেবল শহরবন্দী হয়ে নির্বাক সাক্ষীই রয়ে গেলো। যে ঢাকা নিয়ে এত স্মৃতি, এত আশা, এত স্বপ্ন, সে ঢাকার তিলে তিলে হারিয়ে যাওয়ার নির্বাক সাক্ষী। "তুমি গাইতেই পারো গান এই সুবর্ণনগরে, ভুলে যেতে পারো ইতিহাস অর্থহীন, অদরকারে।"
মেঘের ছায়া, সবুজের ছায়াকে হটিয়ে এখন কালো ধোঁয়ার রাজত্ব চলে ঢাকায়। আর সেদিকে নজর নেই নগরবাসীর কারন তাদের এসব অর্থহীন, অদরকারি বিষয় নিয়ে না ভাবলেও চলবে কিনা। ঢাকার ইতিহাস নিয়ে ভাবার সময় যেমন কারো নেই, নেই ঢাকার অস্তিত্ব নিয়ে ভাবারো। প্রতে্যকটা গানের কথা ও সুর আমাকে এমন ভাবে ছুঁয়ে গেছে আমার মনে হয়না লিরিক্স পালটালে বা সুর পালটে দিলে আমি একটা গানকেও মেনে নিতে পারবো।
এরপর এলো "চার চার চৌকো জানালায় আমায় দেখে হাতটা বাড়ায়...আকাশ আমার...আমি তোমার কাছে যাবো...আমার চৌকো আকাশ"...শেষবার যখন ঢাকায় গেলাম পাশাপাশি এত সারিসারি উঁচু উঁচু দালানের মাঝখান দিয়ে কতটুকু আকাশ দেখতে পেয়েছি ঠিক বলা যাবেনা। ছোট ছোট জানালা গুলোর মাধ্যমে যতটুকু দেখা যায়, আকাশটা আসলেই চৌকো হয়ে গেছে বটে। কিন্তু তার কাছে যাবো বললেই তো আর যাওয়া হয়না, যতই হাত বাড়িয়ে ডাকুক। নাগরের ব্যস্ততার সাথে তাল মিলিয়ে চলাটা, একে অপরকে ডিঙ্গিয়ে, টপকে, মারিয়ে যাওয়াটা এর থেকে অনেক বেশি জরুরী। দমবন্ধ হয়ে ছটফট করুক তাতে কি আর এসে গেলো। "সব ঠিকঠাক যখন বলো, ওলোট পালোট হয়ে যায়, এলোমেলো সব হয়ে যায় সব ঠিক ঠাকের এই শহরে..." পুরো গানটা জুড়ে শুধু ঢাকার সামাজিক আর রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই হচ্ছে সেই হচ্ছে শিল্পচর্চা হচ্ছে, তর্ক হচ্ছে, খেলাধূলা হচ্ছে। আমাদের বলা হচ্ছে, আশ্বস্ত করা হচ্ছে আমরা পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সব ঠিকমতই চলছে। ঠিক তখনি সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছের কারোর অকালে অপ্রত্যাশিত ভাবে হারিয়ে যাওয়ায়... আমাদেরই কারো কল্যাণে।
পাথুরে দেবীর মত গান আমার জানা মতে মেঘদল বোধহয় কখনো করেনি। তারা যে এ ধরনের গানও কখনো করবে আমি কখনো ভাবিনি। কেমন একটা ভারী, রহস্যজনক একটা ব্যাপার আছে। কেমন আছে ঢাকার মেয়েরা? ঢা্কা শহরে হয়তো পাথুরে দেবীদেরকে এখন নানান রূপে পাওয়া যাবে। কেউ পাতার পাখনা মেলে হেসে খেলে বেড়ায়, কেউ সিলিংএ রূপবতী লাশ হয়ে ঝোলে। তাদের মাঝে মিল একটাই, তারা সবাই পাথুরে। তাদের হাসি, কান্না, আনন্দ, মৃত্যু সবই তাদের মতই পাথরের। ভারী রিফটা পূর্বাভাসের মত শোনায়, আরো অস্থির সময় ঘনিয়ে আসছে কি? - প্রশ্নটা আমার বন্ধু জামিলের।
দূর পৃথিবী গানটায় অনেক নেতিবাচক কথা থাকলেও আস্তে আস্তে সুরের সাথে মিশে অনেক আশাবাদী। যদিও অনেক ভুল হয়েছে, হচ্ছে, তবুও ঢাকা নিয়ে এখনো ছায়ার মত কিছু কিছু স্বপ্ন আবছা আবছা এখনো দেখা যায়। আমাদের ব্যার্থ যত রঙহীন স্বপ্নের পরাজয় নিয়েই কি আমরা বসে আছি? "তবুও গল্প লিখে যাওয়া, তবু স্বপ্ন স্বপ্ন খেলা... তবু নদীর মত চলি সারাবেলা" এখানে সুরটা আমার কাছে অনেক শান্ত কিন্তু অনেক শক্তিশালী মনে হয়েছে। আমার কাছে বরাবরই সুরের চাইতেও গানের কথাকে অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। তবে ওদের গানের কথা ও সুর কোনটাই কোনটার চেয়ে কম না বলে মনে করি। এক্ষেত্রে আমাকে বাইয়াসড বলা যেতে পারে।
আমার সবচেয়ে প্রিয় গান দুটো হল নির্বাণ এবং রোদের ফোঁটা। রোদের ফোঁটা জুড়ে এত এত শূন্যতা, আমার শুনতে যত ভালো লাগে ঠিক ততটাই অস্থির লাগে। "শূন্যতায় ঢেকে গ্যাছে শহরের সব পথঘাট, ফিরবোনা তুমি আর আমি ফিরবোনা হয়তো আবার। তবু চাইছি তোমাকে..." যেন ঢাকার নিজের শূন্যতার কমতি আছে, এখন আমাদের শূণ্যতাও তাকে কাঁধে নিয়ে বেড়াতে হয়। সময় পালটেছে, অনেকেই দূরে চলে গেছে, সরে গেছে। তাদের অনেকেরই ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা যে নেই তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু তাই বলে আশা তো তার ফুড়ায় না। প্রতিক্ষা হার মানেনা। আর নির্বাণের কথা কি আর বলবো... যতটা নস্টালজিক মনে হয়, খেয়াল করে শুনলে মাথায় প্রশ্ন আসে এখানে কি আদৌ অতীতের কথা হচ্ছে না ভবিষ্যৎ?... "এখনো এখানে নিরবে দাঁড়িয়ে, অগণিত প্রতিশোধ জাগে আত্মার ভেতরে...কিছু মাতার হাওয়ার দল শোনে ঝড়ো সময়ের গান এখানেই শুরু হোক রোজকার রূপকথা"... ঢাকার গল্প কি শেষ হতে হতেও আবার নতুন করে শুরু করার সম্ভাবনা রাখে? নাকি মিথে্য কথা আমাদের হৃদয়ে এতটাই ছেয়ে গেছে যে এখন আর সামলে নেবার পথ নেই? যদি তাই হয়, ঢাকা কি আমাদের কখনো ক্ষমা করবে? নাকি এভাবেই ক্ষমাহীন প্রান্তর জুড়ে আমরা বেঁচে থাকবো.. এভাবে চিন্তা করে দেখলে গান গুলো একরকম লাগে। শুধু ঢাকা আর আমাদের ব্যার্থতা। আর স্বভাবতই ঘুরেফিরে ভালোবাসা, পিছুটান, হারিয়ে যাওয়া কারো কথা আসে যাকে কেউ হারাতে চায়না। সেখানেও ঘুরে ফিরে স্বপ্নভঙ্গ, হতাশা আর ব্যার্থতা আর না পাওয়ার বেদনা। হতাশা খারাপ কি? এটা যদি সতি্যই হয়ে থাকে মেনে নেই না কেনো? এরই নাম জীবন নয় কি?..."তবুও গল্প লিখে যাওয়া, তবু স্বপ্ন স্বপ্ন খেলা... তবু নদীর মত চলি সারাবেলা"...
শহরবন্দি অ্যাল্বামটা আমি বিশেষ অনুরোধ করে ঢাকা থেকে আনিয়েছিলাম। প্রথমে ৩ কপি তারপরে আরো ৩ কপি। পৃথিবীর এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেঘদলভক্ত বন্ধুদেরকে ৫ কপি পাঠিয়ে দিয়ে নিজের জন্য একটা রেখে দিলাম। অ্যাল্বাম কভারের পিছনে লেখা "জোৎস্না নয়, ঝকমারি নাগরিক আলোই আমাদের বেশি চেনা!!... চেনা কাঁচপোকা, চৌকো আকাশ...মুঠোফোন...আর হ্যলোজেন রোদে ভিজে একাকার হয়ে যাওয়া আমাদের গানের শরীর... অথবা পুরো শহরটাই আমাদের গান..."
শিবু কুমার শীল ও মেসবাউর রহমান সুমনের লেখা, সুর করা, অসাধারন সুন্দর করে গাওয়া গান গুলো যে আমি কখনোই ভুলতে পারবোনা তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ এমন একটি অ্যালবাম করার জন্য যা আমাকে নিয়ে যায় ৯ বছর পেছনে, আবার নিমিষেই ৯ বছর পেড়িয়ে নিয়ে আসে আজকের দিনে যেখানে কেউ না থেকেও অনেকেই আছে, অনেক কিছুই আছে। আবার অনেকে থেকেও, অনেক কিছু থেকেও কিছুই নেই।
(ভুল বানান গুলো ক্ষমা করে দেয়া যায়না? শিখছি...একটু সময় লাগবে... তাছাড়া সকাল ৮টা বেজে গেলতো!)
মন্তব্য
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
- আমার এক ফ্রেণ্ডের বড় (নাকি মেঝো) ভাই শুনলাম মেঘদলের ভোকাল। মেঘদল যখন একটু একটু করে জন্ম নিচ্ছে তখনই ওর কাছে তার ভাইয়ের দল সম্পর্কে উচ্ছ্বাস শুনতাম। কনসার্ট যেদিন হলো, সেদিনও জানালো! বেশ কিছু বন্ধু দল বেঁধে গেলোও।
এগুলো হলো আমার পর্দার পেছনের কথা। সামনের কথা হলো মেঘদলের গান আমি এখনো শুনিনি। শুনলেও আমার সেরা দশ গায়কের দলে চলে আসবে, এমনটা বলা যাচ্ছে না। কারণ সেরা দশে ঠাঁই দিতে গেলে আগের দশ থেকে একজনকে ফেলে দিতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো, মেঘদলের কি সেই প্রতিস্থাপন ক্ষমতা আছে!
গান ভালো লাগার ব্যাপারে হিমু যা বলেছে তা অনেকাংশে সঠিক মনে করি আমি। সার্বজননীন ভালো লাগার গান খুব কমই আছে। আপনার উচ্ছ্বাসটা আমার সেই বন্ধুর মতোই, যার কাছে মেঘদল মানেই তার ভাই, মেঘদল মানেই তার ভাইয়ের গলা। আর আপনার কাছে মেঘদল মানেই ফেলে আসা নয় বছর আগের ঢাকা, যে ঢাকায় এখন আর জোৎস্ন্যা নেই আছে কৃত্রিম নাগরিক আলোর ঝলমল। আপনার সাথে অন্যের যেমন আমার তফাৎ হলো, আমার ঢাকায় ফিরে যেতে, আমার গ্রামে ফিরে যেতে, আমার দেশে ফিরে যেতে মেঘদলের কাছে যেতে হয় না।
কী হুদাই আন-নেসেসারি বকরবকর করতেছি দেখলেন? বাঙ্গালীরে মাইক এই জন্যই দিতে নাই। পাইলে আর ছাড়ে না। আচ্ছা তাদের এ্যালবাম কভারে 'জি'এর মতো ঐটা কী দেখা যায়? 'বাটপার' জি-সিরিজ নাকি?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহারে, ধুগোদার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা পড়সে মনে হইল "জি" দেইখা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ইশ কন্সার্টের কথা শুনলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। কত কন্সার্টই তো মিস করলাম...
আসলেই সার্বজননীন ভালো লাগার গান খুব কম আছে। তাছাড়া একেক জনের কাছের এক গানের অর্থ আর গুরুত্বও একেক রকম, সেটাও একটা ব্যাপার বটে। মেঘদলের অনেক গানের মাঝে আমি আমারই হারিয়ে যাওয়া, ফিরে পেতে চাওয়া এমনকি ভুলতে চাওয়া অনেক কথা আর অনুভূতিকে খুজে পাই সেই জন্যই হয়তো ফেলে আসা সময়ে ফিরে যেতেও তাদেরই আশ্রয় নেই। আর সেরা ১০ এর কথা... আসলে একটা সময় সেরা ৩ টা ছিলো। তারপর হল ৫ টা... এখন দেখি ১০ এও কাজ হচ্ছেনা কি সমস্যা! লিস্টটা কেটে তো ছোট করতে পারিই না বরং বেড়েই চলেছে।
হেহেহে...হু বাটপার 'জ়ি-সিরিজ'ই। ইউটিউবে একজন গান গুলো দিয়েছিলো লিরিক্স সহ। পোলাপাইন টোলাপাইনে ছেয়ে যাওয়ার অনেক অনেক পরে। তাও অনেক জ্বালাতন করে। দুইদিন পর পর নাই হয়ে যায়!
চরম
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
থ্যাঙ্কু!!
অনেক ধন্যবাদ ভ্রম, এত্ত চমত্কার একটি রিভিউয়ের জন্য।মারাত্মক লিখেছেন।আমি মেঘদলের বিরাট ফ্যান।১৩তারিখে ডিইউতে ডাকসু ক্যাফের সামনে ওদের কনসার্ট ছিলো।আমিও ছিলাম।
আহারে আবারো মিস করলাম... কখনো মেঘদলের কন্সার্ট দেখা হবে কিনা কে জানে...
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! মেঘদল ফ্যান পেলে খুশি লাগে!
মেঘদলের রোদের ফোটা গান টা শুনছি। একটু ভিন্নতা আছে।
হ্যা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আরো বেশি বেশি করে গান রিভিউ লিখুন। সকাল আটটা বাজান ঘন ঘন ।
হাহা চেষ্টা করবো কিন্তু মন্তব্য লিখতে গিয়ে রিভিউ লিখলে তো প্রবলেমমমমম রোজই ৮ টা বেজে যাবে!
দূর্দান্ত রিভিউ হয়েছে। আমিও তাদের অন্ধভক্ত, তবে আপনার মতো করে বলতে পারতাম না কোনদিন।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
রিভিউ ভাল লাগলো। গান ডাউনলোড দিয়ে দিলাম। পছন্দ হলে কিনে ফেলব।
কিন্তু মেঘ? ' ঢাকা শহরের' মেঘ??? অর্ধেক জীবন কাটিয়েছি চট্টগ্রামে। আহাহা কী মেঘ দেখলাম জীবনে -- সাদা মেঘ, কালো মেঘ, ধূসর মেঘ, রূপালি মেঘ, হলুদ মেঘ, গোলাপি মেঘ, কমলা মেঘ, তুলার মত মেঘ, পালকের মত মেঘ, জমাট পাথরের মত মেঘ, জলরং ছবির মত মেঘ, ঘূর্ণিঝড়ের দূর্দান্ত মেঘ, কাশবনে ছায়া ফেলা মেঘ, চোখ ঝলসে দেওয়া আলোর মেঘ, তারার আলোয় ভেজা রাতের মেঘ, পাহাড়ের গায়ে আটকে থাকা মেঘ, আমি প্রাণপণে দৌড়াচ্ছি আর পেছন পেছন বৃষ্টি ঝরিয়ে ছুটে আসছে মেঘ-- আর ঢাকায়? থাক, কিসের সাথে কিসের তুলনা দিচ্ছি? খাগড়াছড়ির পাহাড়ে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে মেঘের ভেজা ভেজা গন্ধ পাওয়া যায়, আর ঢাকা শহরে প্রথমেই নাকে আসে ড্রেনের ডিম পচা গন্ধ! মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। লেখা বন্ধ করি।
ওমরের ব্লগ
হাহা... আসলে কখনো চট্টগ্রাম ঘুরে দেখা হয়নি। একবার গিয়েছিলাম ১ রাতের জন্য কক্সবাজার থেকে ঢাকা ফেরার পথে। এত্ত ক্লান্ত ছিলাম ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছি। চট্টগ্রাম ঘুরে আসবো পরেরবার
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
সেকী! মেঘ না চাইতেই দেখি বৃষ্টি!
বেশি বেশি লেখা চাই!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আগে বলেন আপনার লেখা কোথায়!
খারাপ লাগে না। রিভিউ ভাল হইছে।
ধন্যবাদ!
শহরবন্দির গানগুলোর চেয়ে এই লেখাটা বেশি ভালো লেগেছে। ☻
একমত। সেই সাথে আগের ১০ টা স্থানে যারা বসে আছেন, তারা তো হুট করে চলে যাবার নয়। অন্তত একজন থাকবেই, আমার কাছে অর্থহীনের সুমন অনেক বেশি ভালো লাগে এবং লেগে যাচ্ছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
থ্যাঙ্কু!
সুমনকে আমারো অনেক অনেক ভালো লাগে। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় অর্থহীনের সেই সুমন আজকের "ফুয়াদ ফিচারিং সুমন" এর আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে।
সুমন ভাই এখন আস্তে আস্তে 'ফুয়াদাইজড' হয়ে গেছেন।
আর.আই.পি সুমন ভাই
আর রিভিউ দারুন হয়েছে।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাহ্!!
ধন্যবাদ!
ভালো লাগলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
লেখা পড়েই "মেঘদল" কে নিয়ে আপনার ভালোবাসা টের পাওয়া যায়। বোঝাই যায়, তুমুল ফ্যান আপনি। আমিও মেঘদলকে খুব পছন্দ করি। তবে সমস্যা হল, একটা গান ভাল লেগে গেলে সেটাই মাথায় গেঁথে যায়, অন্য গান চাইলেও ঢুকাতে পারি না। সেকারণেই "চেনা অচেনা", "আকাশ মেঘে ঢাকা" অথবা "মুঠোফোনে"-ই খুব শোনা হয়।
দুঃখের কথা আর কি বলব, আমার ক্যাম্পাসেই ১৩ তারিখে কর্নসার্টটা হল, কিন্ত ১৫ তারিখে ছাতার মাথার একটা পরীক্ষা থাকায় আর যাওয়া হয়নি। এবার বলুন কে বেশি দুর্ভাগা?? আপনি না আমি বা আমার মত অনেকেই যারা দেশে থেকেও যেতে পারি না।
আপনার লেখাটা পড়ে আবার পুরো এলবামটা শোনার সাধ জাগছে।
thanks for that. ভালো থাকুন।
দারুণ লাগলো লেখাটা। আমি মেঘদলের তেমন অন্ধভক্ত না, তবে ওদের 'নেফারতিতি' গানটা আমার সবসময়ের প্রিয় কিছু গানের মধ্যে একটা। ভোকালটা অসাধারণ!
নতুন মন্তব্য করুন