নাই কাজ তো খই ভাজ? - ১

ভ্রম এর ছবি
লিখেছেন ভ্রম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০১/২০১০ - ৩:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই সপ্তাহটা আসলেই খুব খারাপ যাচ্ছে। একটার পর একটা যন্ত্রণা। খুব ভালো ড্রাইভ না করলেও তেমন খারাপ ড্রাইভারও বলা যাবেনা। পরিচিতজনদের মধ্যে প্রায় সবাইই পাপী একমাত্র আমারই বাকি ছিল ‘ট্রাফিক ভায়োলেশানে’ জড়াতে। ভাবতাম এসব ক্যাঁচালে হয়তো আমার কখনো পরতে হবেনা। সেদিন এই আশাও পূরণ হলো। ডাউনটাউনের টহল পুলিশ যে এত্ত শয়তান সেটা কে জানতো। কাজ শেষে ক্লান্ত, বিরক্ত হয়ে এসে দেখি সুন্দর করে একটা ২০০ ডলারের পার্কিং টিকেট ঝুলিয়ে চলে গেছে। রাগে চোখে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছিলামনা। ব্যাটা কত বড় ফাজিল হলে ২০০ ডলারের পার্কিং টিকেট দেয়, স্পিডিং টিকেট হলে একটা কথা ছিল কিন্তু পার্কিং? কাজ থেকে সোজা ক্লাসে যাবার কথা। ঐ সময় ক্যাম্পাসে পার্কিং স্পেস পাওয়া লটারী জেতার মত ব্যাপার। যেইনা কপাল, ভাবলাম গাড়িটা অ্যাশলী’র বাসার সামনে রেখে সোজা বাস নিয়ে চলে যাই। এখানে একবার টিকেট কেটে বাসে উঠলে ট্র্যান্সফারটা দেড় ঘন্টা পর্যন্ত ভ্যালিড থাকে। আমারো দশবার বাস পালটে ট্রেন নিয়ে ক্যাম্পাসে যেতে দেড় ঘন্টার মতই লাগে। রাগে বিড়বিড় করতে করতে টিকেট কেটে শুর হল বাসে জন্য অপেক্ষা।

এত্ত বাজে ঠান্ডা ছি্লো সেদিন খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে খবর হয়ে যাচ্ছিলো। দুবার বাস পাল্টালাম দুটাই যথারীতি দেরি করে এলো। তখন মাথায়ই আসেনি যে ট্র্যান্সফারের সময় প্রায় ফুড়িয়ে যাচ্ছে। ট্রেনও হেলেদুলে ১২ মিনিট দেরি করে এলো। ট্রেনে উঠে দেখলাম ট্র্যান্সফারটা ৭ মিনিট আগে এক্সপায়ার করেছে। রাগে মনে হচ্ছিল জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলি। প্রথমে ভাবলাম বদমাইশ গুলার আজকে ২০০ ডলাররের টিকেট দিয়ে মন ভরে নাই তার উপর দেরি করে আসছে তো আমি কেন আবার টিকেট কাটবো আমার তো দোষ না। পরে মনে হল না থাক একটা টিকেটই তো কিনেই ফেলি। সিট থেকে উঠতে না উঠতে আবার সেই টহল পুলিশ! ওসি ট্র্যান্সপো’র টহল পুলিশ! সামনে এসে বলে ট্র্যান্সফার দেখাও। ততোক্ষণে আমি রাগে দুঃখে ব্রেইন ডেড। গত নয় বছরে কখনো জার্নি করার সময় আমার ট্র্যান্সফার এক্সপায়ার করে নাই, গত নয় বছরে একটিবারো ট্রেনে টহল পুলিশ কখনো টিকেট চেক করতে ওঠেনা আর বেছে বেছে আজকেই তারা সবখানে আক্রমণ চালাচ্ছে। রাগের চোটে চোখ মুখ খিঁচিয়ে বলেই বসলাম আচ্ছা আমাদের শহরে কি জাতের কোন ক্রাইম হয়না কোন ক্রিমিনাল নাই? তোমরা বাস ট্রেইন পার্কিং লট নিয়ে এত চিন্তিত কেন! সকাল সকাল অকারনে আমাকে ২০০ ডলারের পার্কিং টিকেট দিলো, তোমাদের বাস দেরি করে আসছে বলে আমার ট্র্যান্সফার এক্সপায়ার করলে সেটাও আমার দোষ? ব্যাটা আমতা আমতা করে বললো ‘দেখ আমি বুঝতে পারছি তোমার দিনটা খুব ভালো যাচ্ছে না কিন্তু আমার কিছু করার নেই’ বলে একটু থেমে আমার হাতে একটা ১৫০ ডলারের টিকেট ধরিয়ে দিয়ে বললো ‘সরি’। বুঝতে পারছিলাম চোখে মুখে মনে হয় ততক্ষণে আমার রেগুলার সিরিয়াল কিলার ভাবটা চলে এসেছে সেই জন্যই হয়তো ব্যাটা মোটামোটি দৌড়েই পালালো। এত টাকা কোত্থেকে আসবে! ২০০ + ১৫০ কত হয় সেই হিসাব করতে করতে ট্রেন থেকে নামলাম। কিছুতেই হিসাব মেলেনা। গ্রেড নাইনে প্যাট্রিক ১০০ হাজার মিলিয়নে কয়টা শূন্য জিজ্ঞেস করায় যেমন মাথা গুলিয়ে গিয়েছিলো সেইরকম অবস্থা। কেউ ক্যাল্কুলেটর ছাড়া ২০০ আর ১৫০ কিভাবে যোগ করবে ভাবতে ভাবতে ফোনটা বের করলাম। দেখি অ্যাশলী’র টেক্সট, ‘তোমার গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে তাড়াতাড়ি আসো!’ কি দিনটাই না গেলো…


কালকে খুব বিরক্ত লাগছিলো এসপিএসএসে ক্রসট্যাব গুলো দেখে। পড়শুদিন আমাদের একটা কুইজ আছে অ্যাশলী কে মনে করাতে একটা টেক্সট করে দিয়ে খেলা দেখতে বসলাম। মাঝখানে কয়দিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে বেশ খেলা দেখা হল বাংলাদেশের। কোন এক বিচিত্র কারনে ইএসপিএন নেটে দেখতে পারিনা এর ওর কাছ থেকে চেয়ে চেয়ে নিত্য নতুন লিঙ্ক পেয়ে খেলা দেখা হয়। গত সপ্তাহখানেক সবাই বেশ মেতে ছিল মনে হয় এখন এক মাত্র ফাহিম ছাড়া ফেইসবুকে আর কেউ স্ট্যাটাসে বাংলাদেশের খেলা নিয়ে চিল্লাপাল্লা করছেনা। স্কোর তখন ৩ উইকেটে ২৯০। ফাহিমকে বললাম খেলা দেখব লিঙ্ক দে, কোত্থেকে কি দিলো লোড করতে না করতেই ৬ উইকেটে ৩০১! ল্যাপীটা ঘাড় ত্যাড়ামী শুরু করে দেয়ায় বললাম রিস্টার্ট করে আসি। এসে দেখি ৯ উইকেটে ৩১২! ফাহিম ম্যাসেজ দিয়ে বলে ‘তুই আসলে একটা চ্রম কুফা তুই খেলা দেখতে না বসলে এখনো হাতে মিনিমাম ৬ উইকেট থাকতো নিমিষের মধ্যে ৩ থেইকা ৯ গেলগা তুই আমার সামনে থেইকা যা!’ ফাহিমের ম্যাসেজ পড়ে উঠতে না উঠতে দেখি অ্যাশলীর টেক্সট আসছে ‘কখনো শিফটের সময় ফোন ব্যবহার করলে কেউ দেখেনা এখন তোমার টেক্সট পড়তে গিয়ে ধরা খাইলাম সুপারভাইজার আমাকে কত্ত ধমকাইলো। তুমি আর টাইম পাইলানা!’

টনটন ব্যাথায় বাম হাতটা নাড়ানো যাচ্ছেনা তাও ভালো আঙ্গুলে ছড়ায়নি নাহলে কালকে পরীক্ষাই দিতে পারতাম না। মাত্র প্রিনার্সিং শেষ করা বিশেষজ্ঞ জেইসি বেগম হাত দেখে বলেছে ‘বার্স্টেড ভেইন’! শুনতেই তো কেমন লাগে! থতমত খেয়ে ক্যাম্পাসের ক্লিনিকে গিয়ে নিশ্চিত হলাম আসলেই তাই, যদিও বললো ব্যাপার না রুটিন করে বরফ দিলে জলদি সেরে যাবে। সেরে গেলেই ভালো হয়ে যাবে। আর না হলে কপালে খারাবি আছে। এটা শুনে আমার হয়তো যাক বাঁচাইলেন বলে কৃতজ্ঞতায় মাখামাখি একটা হাসি দেয়া উচিৎ ছিলো, দেইনি বলে ডাক্তার খুব বিরক্ত। মনের আনন্দে ল্যাপটপ, বইখাতা আর চার চারটা কমলা বাসস্টপ পর্যন্ত বয়ে আনতে খবর হয়ে গেছে। আমার মনে রাখা উচিৎ ছিলো জেইসি কে কিছু বলা মানে সারা দুনিয়াকে বলা। যা হয় তার দশ গুণ বাড়িয়ে বলে। ক্লিনিক থেকে বের হতেই প্যাট্রিকের ফোন, তোমার বাম হাত নাকি ভেঙ্গে গেসে?

বহুদিন পর আজকে রি-ধুনের গান শুনছি। রোজ রোজ, মন হারালো, সাদা-কালো, কেউ জানেনা গান গুলো এত ভাল্লাগে! ঘুমানো দরকার। পড়াও দরকার। পার্কিং টিকেটের ব্যাপারে কোর্টে যাওয়া দরকার। সবার আগে আমেরিকান আইডলের ডালাস অডিশন দেখা দরকার। প্রতিবারই অডিশন পর্ব গুলো দেখা হয় এর পরে আর ভাল্লাগেনা। সেদিন শিকাগো না আটলান্টা অডিশনের একজনের গান শুনে হাসতে হাসতে দম বন্ধ হবার দশা। ফেইসবুকে ঢুকে দেখি অনেকের স্ট্যাটাসেই তার গান… “প্যান্টস অন দা গ্রাউন্ড, প্যান্টস অন দা গ্রাউন্ড। লুকিং লাইক অ্যা ফুল উইথ ইওর প্যান্টস অন দা গ্রাউন্ড!” বার্কলি প্রতিদিন ল্যাবে আমাদেরকে গানটা এই লোকের মতই নাচতে নাচতে গেয়ে শোনায় আর অ্যাশলী ক্রসট্যাবের উপরে বেল্টের ছবি আঁকে।


মন্তব্য

ফাহিম এর ছবি

২০০ ডলার পার্কিং টিকেট? বলেন কি???

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ভ্রম এর ছবি

বাসা থেকে মনে হয় ঝগড়া করে বের হইসিলো আমার উপর ঝাড়লো আর কি। জীবনে শুনি নাই ২০০ ডলারের পার্কিং টিকেট হয়! কপাল...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কোর্টে গিয়ে বলেন যে আপনার অমুক বন্ধু তার তমুক বন্ধুকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য আপনার গাড়িটা ধার করেছিলো ঐদিনের জন্য। এখন কাউকে উপকার করেছেন বলে কি আপনার এতো বড় শাস্তি হতে পারে? এটা কি ঠিক?

তখন প্রশ্ন হবে, আপনার বন্ধুর ঠায়ঠিকানাআতাপাতা কি? আপনি নির্দ্বিধায় বলবেন, আপনার বন্ধু ভীনদেশী ছিলো, সে দেশে চলে গেছে ঘটনার পরদিনই। আর ফেরার সম্ভাবনা নাই। একটা উড়াধুরা নাম আর একটা উড়াধুরা ঠায়ঠিকানা ঠিক করেন। কারও সাথে মিলে গেলে সেটা আপনার দোষ না। নিজে বাঁচলে মানুষের নাম।

কাজে দিবে না ভাবছেন? দিবে দিবে, কাজে দিবে, একশত ভাগ গ্যারান্টি। খালি ঘটনাটা একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে সাজাতে হবে তাইলেই হবে। আপনি অ্যালগোরিদম দিয়ে দিলাম। হাসি

টিকেটের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি লেখেন ঘটনা ব্যক্ত করে। ট্রান্সফার এক্সপায়ার্ড হয়ে যাওয়ার পেছনে আপনার না, ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির দোষ। আপনি পুরো টাইম টেবিল ভেঙে বলে, ধরে ধরে চিঠিতে উল্লেখ করে দেন অমুক জায়গা থেকে তমুক জায়গা পর্যন্ত আসতে ঠিক কতোক্ষণ লাগে! চিঠিটা তথ্যপূর্ণ, আক্রমনাত্বক ভঙ্গিতে লিখতে পারলে এখানেও কাজ হবে। বিশ্বাস রাখেন।

আর যদি দুইটার একটাও কাজে না দেয় তাইলে দুই জায়গাতেই প্যান্টস অন দ্য গ্রাউন্ডের লিংকটা শেয়ার করেন। শালাগো এই গানটা শোনা উচিৎ মন্দিয়ে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভ্রম এর ছবি

হাহাহা ভালো বুদ্ধি! কোর্টে কাজে লাগবে! অনেক ধন্যবাদ দেঁতো হাসি
তবে ট্র্যান্সফারের ব্যাপারে চিঠি লিখে মনে হয়না কোন লাভ হবে। প্রায়ই এই ধরনের কান্ড হয় অনেকে লিখিত অভিযোগও করে কিন্তু ঘুরাতে ঘুরাতে শেষমেশ শুধু জরিমানা দেয়ার সময়টা খালি বাড়িয়ে দেয় দয়া করে। দেশটা দিন দিন গোল্লায় যাচ্ছে...
এটা নিয়েও কোর্টে যাবো। জীবনে কখনো ভাবি নাই এত জলদি কোর্টে যাওয়া আসা শুরু হবে... দেঁতো হাসি

সমুদ্র এর ছবি

দিন খারাপ গেলে আপনার এই লেখাটা পড়তে আসবো আবার খাইছে
আর, অবশ্যই কষ্টের পরেই আছে স্বস্তি হাসি

"Life happens while we are busy planning it"

ভ্রম এর ছবি

হাহা... আসলেই একটা চলমান শ্বান্তনা হয়ে গেছি... আশেপাশের কারো কোন ঝামেলা হলে আমার দিকে দেখায়ে বলে একে দ্যাখ আর কোন অভিযোগ করবিনা দেঁতো হাসি

লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি

রেনেট এর ছবি

কি আর বলি! দূর্ভাগ্যের সাথে আমার ভালোই খাতির আছে! তবে কথা হলো, ভালো সময়ের একটা খারাপ দিক হলো তা একসময় শেষ হয়ে যায়, আর খারাপ সময়ের একটা ভালো দিক হলো, তাও একসময় শেষ হয়ে যায় ।

লেখা যথারীতি উপাদেয় হাসি

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ভ্রম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি
ভালো সময়ের অপেক্ষা করতে করতে শুকায় গ্যালাম তাও দেখা পাচ্ছিনা! দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

খই ভাজা খেতে বেশ ভালই লাগল চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ভ্রম এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

সচল জাহিদ এর ছবি

মজার বিষয় হলো এই একই শিরোনামে ইশতির একটি লেখা আছে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আরে তাই তো! ভুলেই গেছিলাম!! কোত্থেকে খুঁজে পেলেন এটা?

@ভ্রমঃ দিন যখন খারাপ যায়, তখন এমনই খারাপ যায়। এখন তো সকালে খারাপ কিছু একটা হলেই তক্কে তক্কে থাকি সারাদিন কী হয় তা নিয়ে। পরশু রাতে মাথা ব্যাথা নিয়ে মাছ রেঁধেছিলাম। লাঞ্চ-বক্স তৈরির জন্য গতকাল বের করতে গিয়ে বাটি পড়ে গেল হাত ফসকে। বাটি ভাঙলো, রান্না খাবার সব ফ্লোরে ছড়ালো। নাস্তা বাদ দিয়ে ফ্লোর সাফ করতে হলো ডিশ ওয়াশিং লিকুইড দিয়ে। বাকি দিনও খুব একটা ভালো যায়নি, তবে আপনার এই অর্থদণ্ডের তুলনায় নস্যি।

ভ্রম এর ছবি

আরে তাইতো! এহহে একদম মাথায় ছিলো না। আশা করছি ইশতিয়াক ভাইয়া মাইন্ড করবেননা হাসি

জিনিসপত্র ভাংচুরের হিসাব রাখাই ছেড়ে দিয়েছি যেই অবস্থা! তবে খামাখা এভাবে এত্ত গুলো টাকা জরিমানা দিতে আসলেই মনটা খচখচ করছে। মন খারাপ

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আমার দুর্ভাগ্যের কথা শুনে স্বান্ত্বনা নিতে পারো ... গত দুই সপ্তায় প্রায় পোনে পাঁচশো ডলারের বাঁশ খাইতে হইসে, মেজাজ প্রচন্ড খারাপ এইসব নিয়ে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ভ্রম এর ছবি

হাহা বলেন কি! আসলেই শুনে ভাল্লাগতেসে... দেঁতো হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

@রাগিব ভাইঃ টিনের কথা মাথায় রাখবো। এটা লাঞ্চ বক্স ছিলো না। রান্না করে কাঁচের বাটিতে করে রেখেছিলাম। সেখান থেকে ঢেলে নেওয়ার জন্য বের করতে গেছিলাম, হাত ফস্কে পড়ে গেল। মন খারাপ

@ভ্রমঃ কী যে কুফা ধরালেন, ভাই! আমার দিনটা জঘন্য, জঘন্য, জঘন্য খারাপ গেল আজকে। সকালে একটা ক্লাসে গ্রেড বাজে পেলাম। বিকেলে টিএ-র কাজ করছিলাম, এক ছেলে শুধু শুধুই "ফাক ইউ" বলে উঠে চলে গেল। ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখি পাপোশ চুরি গেছে। এক বন্ধুর কাছে টাকা পেতাম, চেক পাঠিয়েছিল। খাম খুলতে গিয়ে সেটা ছিঁড়ে দু'ভাগ হয়ে গেল। আগের বাসার ইন্টারনেট প্রাক্তন রুমমেটের নামে দিয়ে এসেছি। তার বকেয়া বিল আমার নামে দেখিয়ে বলে, এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা না দিলে ক্রেডিট ব্যুরোতে রিপোর্ট করবে। আরও অনেক অনেক... আসেন, হাত মেলাই।

রেনেট এর ছবি

আমার তো পড়েই মেজাজ গরম হয়ে গেল!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ভ্রম এর ছবি

আপনার অবস্থা তো দেখি ভয়াবহ! আসলেই এই সপ্তাহটাই ভালোনা!

অতিথি লেখক এর ছবি

খারাপ সময়ের দরকার আছে জীবনে --ট্রাষ্ট মি!

না থাকলে জীবনটা পুরাই আলুনী হৈয়া যায় -- খারাপ সময় আসা মানে জ্বরের মতো -- অন্য মহাবিপদের জীবাণু ধ্বংস হৈয়া গেলো । ক্যান্সার হৈলে তো একবারেই শেষ ।:)

--
প্যান্ট অন দা গ্রাউন্ড -- গানটা গুগল ট্রেন্ডে হট লিষ্টে ছিলো -- আসলেই মজার ।

রি-ধুনটা কি জিনিস -- লিংক থাকলে শেয়ার কইরেন ।

ও ভালো কথা কোর্টে গিয়া ধুনফুন বুঝাইলে জরিমানা মাফ করে দিতে পারে ।
এক্সপেরিয়েন্স থেকে বল্লাম ।
---

ইমতিয়াজ মির্জা

ভ্রম এর ছবি

হাহা... ধন্যবাদ।

কোর্টে গিয়ে নাকের পানি চোখের পানি এক করতে হবে! আশা করছি কাজে দিবে। খাইছে

রি-ধুনের এ গানটা আমার খুব প্রিয়। শুনে দেখতে পারেন হাসি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

লেখা যথারীতি বিয়াপক মজারু হইসে। কিন্তু এত দীর্ঘ বিরতিতে লেখা আসে কেন ? আরো ঘন ঘন লেখা চাই !

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

ভ্রম এর ছবি

মিয়া এই প্রশ্নটা তো আমার আপনাকে করা উচিৎ!

লাবণ্য [অতিথি] এর ছবি

আপনার অভিজ্ঞতা পরে কিছুদিন আগে সাইফ তাহসিনের নিউ ইয়র্কে ইন্টারভিউ দিতে যাবার অভিজ্ঞতার কথা মনে পরে গেল......হাসি

ভ্রম এর ছবি

যাক, সবারই এরকম টুকটাক যন্ত্রণাময় দিন যায় জেনে ভালো লাগছে দেঁতো হাসি

অনিকেত এর ছবি

ভ্রম লেখাটা খুব ভাল লাগল তবে আপনার দূর্ভাগ্যে সহমর্মীতা জ্ঞাপন করছি।
আশা করি, যেমন খারাপ দিন গেছে, তেমনি একটা ভাল দিন এসে এই দুঃখ গুলো ভুলিয়ে দেবে।

আর প্যান্টস অন দ্য গ্রাউন্ড শিরোনামের এই গ্রাউন্ডব্রেকিং গানের জন্য বিশ লক্ষ তারা----

ভ্রম এর ছবি

হাহা ধন্যবাদ অনিকেতদা! গানটা যতবারই শুনি হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায় দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।