পোলারইডের পুনরুত্থান !

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি
লিখেছেন ভূঁতের বাচ্চা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৯/২০০৯ - ৮:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto
পোলারইড ক্যামেরার সাথে হয়তোবা অনেকেরই পরিচিতি ঘটেছে ইতোমধ্যে। এ ধরনের ক্যামেরা কয়েক বছর আগেও অত্যন্ত কাজের ক্যামেরা ছিল তোলার সাথে সাথে ছবি দেখার সুবিধা থাকার কারণে। আশির দশকে এ ধরণের ক্যামেরা সর্বপ্রথম বাজারজাত করা হয়। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা বাজারে আসার পর থেকে তোলার সাথে সাথে ছবি প্রিন্ট করে দেখার চাহিদাটাও ব্যবহারকারীদের মধ্যে হ্রাস পেতে শুরু করে। কারণটাও খুব সহজ। আজকের দিনের ডিজিটাল ক্যামেরায় এলসিডি ডিসপ্লে থাকেই। আর এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের কয়েক সেকেন্ড আগে তোলা ছবিটা সহজেই দেখে নিতে পারছি। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহারের কারণে ফটোগ্রাফি সংক্রান্ত খরচাপাতি নূন্যতম পর্যায়ে রাখা যায়। ফলে পোলারইড ক্যামেরাগুলো দিনে দিনে শখের জিনিসে পরিণত হতে শুরু করে। ফলে পোলারইড কোম্পানি সন্দেহাতীত ভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এর ফলে কোম্পানির কর্তাব্যাক্তিরা পোলারইড কোম্পানির তৈরিকৃত ইন্সট্যান্ট ফিল্ম এবং ক্যামেরার উৎপাদন বন্ধ করে দেবার ঘোষণা দেয় ২০০৮ সালের শুরুর দিকে। পোলারইড কোম্পানি তাদের আবিষ্কৃত ডিজিটাল ক্যামেরাগুলো এবং ইন্সট্যান্ট ফটো প্রিন্টার পোগোর মতন প্রজেক্টের ভবিষ্যত উন্নয়নকল্পে পুরানো ধাচের পোলারইড ক্যামেরা এবং ফিল্ম উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়ে দেয়। এ খবর পুরাতন ধাচের পোলারইড ক্যামেরাপ্রেমীদের কাছেও খুব সুখকর ছিলনা। হঠাৎ করেই পোলারইড কোম্পানি কিছুদিন আগে ঘোষণা দেয় যে তার নতুন এক ধরনের ইন্সট্যান্ট ফিল্ম উৎপাদনের পেছনে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা আশা করছে যে এই নতুন ধরনের পোলারইড ফিল্মগুলো তাদের ফিল্ম ব্যবসায় নতুন মাত্রা যোগ করতে সাহায্য করবে নিঃসন্দেহে। কোম্পানির গবেষকদল আশা করছেন যে ২০০৯ সালের শেষের দিকে এই নতুন ধরনের ফিল্মের কাজ পুরোপুরি শেষ করে ২০১০ সালের শুরুর দিকে বাজারজাত করতে পারবেন। কিন্তু পোলারইড কোম্পানির নতুন এই আবিষ্কার নিয়ে প্রযুক্তিবিদগণ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে পোলারইড তাদের নতুন ফিল্ম দিয়ে কতোটা বাজারমাত করতে পারবে সেটা জানার জন্য আমাদের ততোদিন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। তবে এতোটা কম সময়ের মধ্যে নতুন ধরনের ফিল্মের কাজ পোলারইড শেষ করতে পারলে সেটা অবশ্যই অবাক করার মতন ঘটনা হবে।

[তথ্যসূত্রঃ সিনেট ডট কম]


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

লেখায় প্যারা কই?

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

প্যারা করার চান্স পাইনাই ভাইজান। এক নিঃশ্বাসে লেখা শেষ। হেঃ হেঃ হেঃ।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

দ্রোহী এর ছবি

মনে হয় না পারবো। এখন ডিজিটাল যুগ। ফিল্মের ঝামেলায় কে যেতে চায়?

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আমারো সেটাই ধারণা দুলাভাই। তবুও দেখা যাক পোলারইড মামারা কি দেখাইতে চাইতেসেন !!!
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আমার কিন্তু পোলারয়েড চরম লাগতো! দেঁতো হাসি বিয়াপক ভাবজ!

--------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আমি প্রথম যখন পোলারইড ক্যামেরা দেখি তখন আমার তো পুরা টাশকির সীমা ছিলনা। ক্যামেরার পেট থেকে আবার তোলার সাথে সাথে ছবি বাইর হয়া আসে। আমি তো দেইখা আরেকটুর জন্য ফিট লাগিনাই এমন অবস্থা ! অনেকদিন আগের কথা অবশ্য। তখন মনেহয় আমার বয়স ছিল চার অথবা পাঁচ বছর।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভূঁতের বাচ্চা মহা ফাঁকিবাজ হয়ে গেছে! চিন্তিত

জ্ঞানী পোস্ট দেওয়া ভালো, কিন্তু 'প্রলাপ' লেখা ছাড়লে হবে?

দেখা যাক, পোলারয়েড কী কারিশমা দেখায়।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আমি তো বরাবরই প্রলাপ লিখতাম বিডিআর ভাইজান। আর ফাঁকিবাজির কতা বইলেন না। ফাঁকিবাজ আমি আগেও যেমন ছিলাম এখন মনেহয় আরো বেশি হইসে। শুধু আলসেমি লাগে ... কি করব বলেন !
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।