আমার নকশালাইট বড়ভাই মানব ৭০ দশকে যখন লম্বা চুল রেখে, বেল বটম প্যান্ট পরে, গিটার বাজিয়ে আজম খানের গান করতেন, তখন সেই শৈশবে পপ সম্রাট এই শিল্পীর গানের সঙ্গে পরিচয়। আরো পরে লংপ্লেয়ারে তার নানান হিট গান শুনেছি।
তাকে আমি সামনা - সামনি প্রথম দেখি ১৯৮৬ - ৮৭ সালে, এএইচসিতে পড়ার সময়। বুয়েটের মাঠে কনসার্ট হচ্ছে -- গাঁদাগাদি ভীড়, গাঁজার ধোঁয়া, 'গুরু, গুরু' জয়োধ্বনী, আর তুমুল হট্টোগোলের ভেতর সেদিন শিল্পীকে ভাল করে চোখেই পড়েনি। তবু রাতে বন্ধুরা দল বেঁধে গান করতে করতে ফিরেছিলাম, হাইকোর্টের মাজারে, কতো ফকির ঘোরে, কয়জনা আসলও ফকির?...
মুক্তিযুদ্ধের সময় আগরতলার রনাঙ্গণে তার মুক্তিযোদ্ধাদের গান গেয়ে শোনানোর কথা জানতে পারি 'একাত্তরের দিনগুলি'তে। তো, আজম খান সব মিলিয়ে আমার কাছে এক বিরাট আইকন।
শুধু মাত্র মুক্তিযুদ্ধকে ফোকাস করে শিল্পীর সঙ্গে কথোপকথনের জন্য আমি তার ফোন নম্বর খুঁজতে শুরু করি। এ পত্রিকা, সে পত্রিকার অফিসে খোঁজ করে কোথাও তার নম্বর পাই না। বিনোদন পাতার এক সাংবাদিক আমাকে জানালেন, তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। আর তার বাসার ল্যান্ড ফোনটিও অনেকদিন ধরে বিকল!
তবু লোকেশন জেনে হাজির হই এক বিকালে তার উত্তর কমলাপুরের বাসায়। একটি দাঁড় করানো জুতোর বাক্সর মতো লম্বালম্বি পুরনো একচিলতে দোতলা ঘর। সরু সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে দরজা ধাক্কাতে একটি মেয়ে বের হয়ে এসে বললেন, “আঙ্কেল তো খুব অসুস্থ্য। আজ দেখা হবে না। আপনি কাল সকালে আসুন।”
পরদিন সকালে আবার হামলা। এবার দরজা খোলা। নক করতেই সেই বিখ্যাত খনখনে গলা,'' কে রে?''... আমি উঁকি দিয়ে অনেকটা ঠেলেই ঘরে ঢুকে পড়ি। একটা সালাম ঠুকে ভয়ে ভয়ে বলি আগমেনর হেতু।
শিল্পী তখন একটি খাটে শুয়ে পা দুলাচ্ছেন। পরনে একটি সাদা টি শার্ট আর ট্র্যাকিং প্যান্ট। ফর্সা, লম্বা আর হাড্ডিসার ফিগারে এই বয়সেও (৫৭) তাকে সুদর্শন লাগে। সব শুনে তিনি বলেন, “একাত্তুরের কথা কেউ মনে রেখেছে না কি? আর তাছাড়া আমি তো যুদ্ধ শুরু করেছিলাম মাত্র, শেষ করতে পারি নি। আমার যুদ্ধ ভারতীয় সেনারাই তো শেষ করে দিলো!”
শুরু হলো আনুষ্ঠানিক কথোপকথন। পুরো সময় শিল্পী শুয়েই রইলেন। মাঝে মাঝে বিছানার পাশে রাখা একটি গিটার ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেন। খুক খুকে কাশি দেখে বুঝি, তার শরীর বেশ খারাপ করেছে।...
*
“যুদ্ধে গেলেন কেনো” আমি জানতে চাই।
“১৯৬৮ টিতে ছাত্রাবস্থায় আমরা বন্ধু - বান্ধব মিলে গান করতাম। সেই সময় আমি গণসঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠি 'ক্রান্তি'র সঙ্গে যুক্ত হই। ঢাকায়, ঢাকার বাইরে গান করতে গেলে পুলিশ নানা রকম হয়রানী করতো।”
“১৯৬৯ সালে গণঅভূত্থানের সময় দেশপ্রেম থেকে আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ তৈরি করতাম। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ভয়ে বাসায় টেঁকা যেতো না। সেই সময় বন্ধু - বান্ধব দল বেধে সিদ্ধান্ত নিলাম, ঢাকায় থাকলে এমনিতেই মরতে হবে, তার চেয়ে যুদ্ধ করে মরাই ভাল। তখন সবাই একসঙ্গে যুদ্ধে যাই।”
“আম্মাকে বললাম, আমি যুদ্ধে যাচ্ছি। আম্মা বললেন, যুদ্ধে যাবি, ভাল কথা, তোর আব্বাকে বলে যা। আব্বা ছিলেন সরকারি চাকুরে। ভয়ে ভয়ে তাকে বলালাম, যুদ্ধে যাচ্ছি। উনি বললেন, যাবি যা, তবে দেশ স্বাধীন না করে ফিরবি না! তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। একটা সালাম দিয়ে যুদ্ধে যাই। তখন আমার বয়স ২১ বছর।”
জানতে চাই, “মাসটি মনে আছে?”
“আরে না রে ভাই। যুদ্ধের সময় এতো মাস - তারিখ মনে রাখা সম্ভব নয়।... প্রথমে কুমিল্লা বর্ডার দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলা যাই। সেখান থেকে মেলাঘরে মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের সেক্টরে মেজর এটিএম হায়দারের কাছে দু'মাস গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেই। কুমিল্লার সালদায় পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর সঙ্গে একটি সম্মুখ সমরে সাফল্যের পর আমাকে ঢাকার গেরিলা যুদ্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়।”
“১৯৭১ সালে ঢাকার মুক্তিবাহিনীর একটি গেরিলা গ্রুপের সেকশন কমান্ডার হিসেবে আমি যাত্রা বাড়ি, ডেমরা, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট এলাকাসহ বেশ কয়েকটি সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করি, এ সব যুদ্ধের নেতৃত্ব দেই।”
“মুক্তিযুদ্ধের কোনো বিশেষ স্মৃতি?...”
আজম খান বলেন, “শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জাকিরের কথা প্রায়ই মনে পড়ে। ঢাকার গোপীবাগে একজন আহত মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে সে পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে মারা যায়।... সে সময় জাকিরের মৃত্যূর খবর আমি গ্রুপের কাছে চেপে গিয়েছিলাম, নইলে তারা মনোবল হারাতে পারতো।”
অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই তো সেদিন ফকিরাপুলে আমার গ্রুপের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখি, ফুটপাতে চা বিক্রি করছে! কি আর করবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার ভেতর আছে, সে তো আর চুরি করতে পারে না!...মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সরকারই তো মূল্যায়ন করেনি। এর পাশাপাশি অনেক বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধা সে সময় লুঠপাঠ - ডাকাতি করেছে, বিহারীদের বাড়ি - জমি দখল করেছে, মা - বোনদের ইজ্জতহানী করেছে। অনেকে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মারাও গিয়েছে।”
“আমি নিজেও এ সব কারণে অনেক বছর নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেই নি।...বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে জাতিও বহুবছর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানের চোখে দেখেনি।”
“স্বাধীনতা বিরোধী -- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কী ভাবে সম্ভব?”
“অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন স্বাধীনতা বিরোধী - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কঠিন হয়ে গেছে” -- কথা জানিয়ে শিল্পী বলেন, “এখন রাজাকার, আল - বদর, আল - শামসরা সংগঠনিকভাবে অনেক বেশী শক্তিশালী। একজন গোলাম আজমের বিচার করলেই এদের ভিত্তি নির্মূল করা যাবে না। এদের যে বিস্তৃতি গত ৩৬ বছরে ঘটেছে, তাকে উৎখাত করা সত্যিই কঠিন। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একদিন না একদিন হতেই হবে।”
“স্বাধীনতার পর পরই এই বিচার হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু তা হয়নি, কারণ ভারত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে পাকিস্তানী সেনাদের স্বসন্মানে পাকিস্তানে ফেরৎ পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে এর পরের সরকারগুলো ক্ষমতার লোভে পাক সেনাদের সহযোগি যুদ্ধাপরাধীদের লালন - পালন করেছে।”
“কিন্তু তা না হয়ে ভারত যদি মুক্তিযুদ্ধে শুধু সহায়কের ভুমিকা পালন করতো, আমরা নিজেরাই যদি আমাদের যুদ্ধ শেষ করতে পারতাম, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। নয় মাসে নয়, নয় বছর পরেও দেশ স্বাধীন হলে আমরা স্বাধীনতা বিরোধী - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারতাম।”
“কিন্তু যুদ্ধাপরাধ কখনো তামাদী হয় না। তবে এদের বিচার বিলম্বিত হওয়ায় অনেক সাক্ষ্য - প্রমান সংগ্রহ করা এখন কঠিন হয়ে গেছে। তাই অনেক দেরীতে হলেও আন্তর্জাতিক আদালত বসিয়ে এর বিচার করা উচিত। এ জন্য সরকারের সদিচ্ছা ছাড়াও আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।”
“স্বাধীনতা বিরোধী - যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দায়িত্ব সৎ ও দেশপ্রেমিক সরকারকেই নিতে হবে। তবে যতদিন এটি জাতীয় দাবিতে পরিনত না হবে, ততদিন কোনো সরকারই এই বিচার করবে না।”
*
এবার আমি পপ সম্রাটের গানের জগতে ফিরে আসি। সেখানেও আমার জিজ্ঞাস্য মুক্তিযুদ্ধ, “আচ্ছা, আজম ভাই, মুক্তিযুদ্ধের পর 'রেল লইনের ওই বস্তিতে' বা 'ফ্রাস্টেশন' -- ইত্যাদি গানে আপনার হতাশা ফুটে উঠছে কেনো? গানের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল দিকগুলো কেনো প্রকাশ পায়নি?”
“তখনকার প্রেক্ষাপটে এই সব গান করেছিলাম।... যে আশা নিয়ে আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম, যুদ্ধের পর আমাদের সে আশা পূরণ হয়নি। পাকিস্তান আমলে ঘুষ - দুর্নীতি ছিল না। বাজারে সব জিনিষের একদর ছিল। আর যুদ্ধের পর ঘুষ - দুর্নীতি, কালোবাজারী, লুঠপাটে দেশ ছেয়ে গেল। সব জিনিষের দাম হু হু করে বাড়তে লাগলো। শুরু হলো ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ। আর বঙ্গবন্ধু রক্ষীবাহিনী গঠন করে আরেকটি বড় ভুল করলেন। সারাদেশে শ্লোগান উঠলো -- সোনার বাংলা শ্মাশান কেনো?... এই পরিস্থিতিতে তখন ওই সব হতাশার গান।”
“এখন কী নতুন প্রজন্মকে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের গান, নতুন আশার গান শোনাবেন?”
হতাশা ছড়িয়ে পড়ে শিল্পীর গলায়, “এই প্রজন্মের কেউ তো মুক্তিযুদ্ধের গান শুনতে চায় না! এদের জন্য এই সব গান করে লাভ নেই। তারা তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই জানে না।...তবু এখন দেশ গড়ার গান করছি। দেশের দুঃসময়ে আমাদের আমি এই প্রজন্মকে অন্য এক মুক্তির গান শোনাতে চাই। কারণ এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, প্রগতিশীল চিন্তা - চেতনার মুক্তি এখনো আসেনি।”...
*
কথোপকথনের শেষ পর্যায়ে এসে হাজির হন সহকর্মি ফটো সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ। বাসার সঙ্গের খোলা ছাদে একটি বাতাবি লেবুর গাছ। ফিরোজ বললেন, “আউটডোরে এখানেই ছবি ভাল হবে।” আমি বললাম, “আজম ভাই, সাদা জামাটা বদলে নেবেন না কী? রঙিন জামায় ছবি ভাল আসবে।”
তিনি শিশু সুলভ হাসি দিয়ে বললেন, “দাঁড়াও একটা সবুজ জ্যাকেট পরে আসি... বেশ খানিকটা ফ্রিডম ফাইটার, ফ্রিডম ফাইটার দেখাবে!”
শুরু হলো, আমাদের ফটো সেশন।...
(শেষ)
মন্তব্য
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমে আজম খানের সাক্ষাৎকার পড়ুন এখানে
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আহ, গুরুর সাক্ষাৎকার। বিডিনিউজে পড়ছি সিরিজটা। চলুক।
ভাল্লাগলো। ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
না জানা কথা তো নয়। তবে প্রিয় কারো মুখ থেকে শুনে অন্যরকম লাগলো। হতাশার গান নিয়ে ব্যাখ্যাটা যদি সবাইকে শোনানো যেত!
আরেফীন
আজম খানের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টাকে সামনে নিয়ে আসার কারণে ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ভালো লাগলো।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ভালো লাগলো পড়ে।
আযম খানের কিছু গান ছোটবেলায় খুব মজা করে গাইতাম। চুপ চুপ চুপ, অনামিকা চুপ..., এই গানটা গাইতাম নানারকম অংগভংগি করে।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বিপ্লব ভাই দারুন । গুরুকে সালাম.... মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
অনেকদিন আপনার লেখা পড়ি না। সচলায়তনে নিয়মিত লিখবেন প্লিজ।...@ রাকিব হাসনাত সুমন।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এই যুদ্ধ শেষ হবার নয় - বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক কি আর সাধে বলা হয়?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বিপ্লব ভাই, আরেকটা সুপার পোস্ট। পাঁচ-তারা বিপ্লব দিলাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বিপ্লব!
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
এমন প্রিয় এক মানুষের মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প। দুর্দান্ত।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
৭৩ বা ৭৪-এ মধুমিতা হলে তাঁদের প্রথমদিকের একটা কনসার্ট দেখেছিলাম। ব্যান্ডের নাম "উচ্চারণ" অথবা "স্পন্দন", ঠিক মনে পড়ছে না। তবে এই দু্ই নামেই দুটি ব্যান্ড ছিলো, নাম দুটি এখনো আমার কাছে অসাধারণ ও আধুনিক লাগে।
সে সময় এগুলি ছিলো সম্পূর্ণ নতুন ধ্বনি, নতুন ধরনের গান। বাংলা ভাষায় পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্র সহকারে ধরনের গান গাওয়া যায়, কেউ ভাবেইনি! অনেকে এগুলিকে বিশুদ্ধ চিৎকার ও অপসংস্কৃতি বলে বাতিল করে দিয়েছিলেন। অথচ এই ধরনের গান এখন আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে, আর বাতিল করে দেওয়ার সুযোগ নেই।
শুরুটা আজকের দিনের মতো মসৃণ ছিলো না। যতোদূর মনে পড়ে, ফিরোজ সাঁই ও ফকির আলমগীর ছিলেন আজম খানের সঙ্গে। মনে পড়ছে, শেখ কামালও এই দুটি গ্রুপের কোনো একটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, রীতিমতো মঞ্চে উঠে গাইতেন।
বিপ্লব, সম্ভব হলে এই তথ্যগুলি আজম খানের কাছে বিস্তারিত জেনে নিয়ে আরেকটি বা একাধিক পর্ব করতে পারেন। ইতিহাসটা ধরে রাখা দরকার।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সবাইকে আবারো অনেক ধন্যবাদ।
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং, বীর বিক্রমের কথা পড়ুন এখানে।
মুহম্মদ জুবায়ের,
এই সব তথ্য জানা ছিল না।... আমি কিন্তু এভাবে ভাবিনি। শিল্পী সত্ত্বার বাইরে আমি শুধু মুক্তিযোদ্ধা আজম খানকেই ফোকাস করতে চেয়েছি।...ধন্যবাদ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এক কথায় দারুন. বিপ্লব ,ভালো লাগলো পড়ে।
আশা হারাইনি .
====
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
একমত@ জালাল ভাই। আপনাকে শ্রদ্ধা।...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
প্রিয় বিপ্লব রহমান,
বেশ মনে আছে , বছর কয়েক আগে একজন, “ পাকিস্তানি ধর্ষণকারী সেনার সাথে বিরাঙ্গনার প্রেম” শীর্ষক “সত্য” পরিবেশন করে তালি কুড়িয়েছেন । কিন্তু যখন অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি তখন এমন “অপ্রাসঙ্গিক” “সত্য” , মিথ্যাকেই অনুপ্রাণিত করে।
আজকের বাস্তবতা এত “ডিটেইলস” এর জন্য অনুকূল নয়। কারণ তা পাকিস্তানী সেনা ও তাদের দেশী কুকুরদের পাপের বিরূদ্ধে জন-আবেগকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে।
ভূমিকার পর যা বলতে চাই তাহলো, আজম খান হয়তো মন খুলে আনঅফিসিয়ালি অনেক তিক্ত সত্য আপনাকে জানিয়েছেন , কিন্তু তা আজকের এই বাস্তবতায় কোটেশন হিসেবে সম্পূর্ণটা প্রকাশ করা আমার কাছে “অপ্রাসঙ্গিক” “সত্য” মনে হয়েছে যা “প্রসঙ্গ” কে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। নিতান্তই আপনি বিপ্লব রহমান , না হলে এই পোস্টের লেখককে আমি অন্য কিছু ভেবে বসতাম।
অনেক দেরীতে হলেও বলছি। আজম খানের আনঅফিসিয়াল অনেক তীক্ত কোনো সত্য এই লেখায় বা মূল প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি। উনি জোর দিয়ে স্পষ্ট করে যা বলেছেন, তা - ই প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে আমি নিমিত্য মাত্র। তাই কথিত 'অপ্রাসঙ্গিক সত্য'র অবতারণাটিই অপ্রাসঙ্গিক। ধন্যবাদ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আজকে এই পোস্ট পড়ে মন খারাপ করতে চাই না।
মুক্তিযোদ্ধা আজম খান আছেন, থাকবেন ... আমি এই প্রত্যাশাই রাখতে চাই
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন