জেনারেল মইন উ আহমেদ তাঁর নিজের লেখা বই 'নির্বাচিত সংকলন' এর প্রকাশনা উৎসব করলেন বুধবার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে। ইলেভেন ওয়ানের পর লেফটেনেন্ট জেনারেল থেকে পদন্নোতিপ্রাপ্ত সেনা প্রধানের বইয়ের প্রচ্ছদে উর্দি পরা লেখকের নিজের ছবিই স্থান পেয়েছে।
টেলিভিশনে ওই প্রকাশনা উৎসবের সংবাদ দেখে একজন সহকর্মি বললেন, বইয়ের নাম আবার 'নির্বাচিত সংকলন' হয় কি করে! চটপট আরেক সহকর্মির জবাব, বই মেলায় প্রকাশিত না হয়ে কূর্মিটোলায় বই প্রকাশ হলে তার নাম তো এরকমই হবে। ...
জেনারেলের বক্তব্য, মোড়ক উন্মোচন, হাততালি ইত্যাদির পর সংবাদের শেষাংশে দেখা গেলো সেনা প্রধানের কয়েকজন অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর হুড়োহুড়ি। এই ইদুর দৌড়ে আবার 'আমাদের সময়ের' নাঈমুল ইসলাম খান এগিয়ে।
জেনারেলের বইটি এখনো সংগ্রহ করা হয়নি। ভয় হয়, হ্যারি পটারের পর এটি আবার বিক্রির বাজারে না নতুন কোনো রেকর্ড সৃষ্টি করে ফেলে! এক কপি বই এই অভাগার কপালে জুটবে তো!
কিন্তু কথা সেটা নয়। কথা হচ্ছে, প্রকাশনা উৎসবে আমাদের লেখক কি বললেন, সেটাই।
*
ওই আয়োজনে সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ আবারো "নিজস্ব ধাঁচের" গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমাদের এখানে এমন ধরনের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা উচিত যা আমাদের জন্যই প্রযোজ্য। যেটাকে আমি বলেছি 'ওন ব্র্যান্ড অব ডেমোক্রেসি'।... গত ১৫ বছর ধরে আমরা যে সংসদীয় পদ্ধতির গণতন্ত্র অনুসরণ করছি তা ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচের। এই ধরণের গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রীর সমকক্ষ। কিন্তু আমাদের এখানে কী হচ্ছে ? সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
জেনারেল আরও বলেছেন, এই ধরনের গণতন্ত্র যদি আমরা ফলো করি তাহলে তো সেটা ওয়েস্ট মিনস্টার ধাঁচের হলো না। তাদের সঙ্গে যদি আমাদের তুলনা করি তাহলে দেখব তাদের শিক্ষা, সমাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওদের ওখানে কোনো সময় ভোট কেনাবেচা হয় না। আমাদের এখানে খুব বেশি হয়। সেদিন আমি শরণখোলা উপজেলায় গিয়েছিলাম। স্থানীয় অধিবাসীরা বললো তাদের ওখানে কোনোসময় কোনো নেতা আসেন না। শুধু ৫ বছরে একবার ভোটের সময় আসেন।
জেনারেল মইন বলেন, তাই আমাদের এখানে এমন ধরনের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা উচিৎ যা আমাদের জন্যই প্রযোজ্য। যেটাকে আমি বলেছিলাম ওন ব্রান্ড অব ডেমোক্র্যাসি।...
*
যাক, এতোদিনে জাতি একজন এই মাপের রাষ্ট্র বিজ্ঞানী পেলো! হু, হু, তাও আবার যে সে ধরণের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নন। পুরোপুরি উর্দিপরা নিজেদের দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনীর ব্যারাক থেকে বেরিয়ে আসা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
হিটলার, মুসোলিনি, আইয়ুব শাহী গং তো আগেই ছিলেন। কিন্তু এই রকম বঙ্গীয় সন্তান আর কোথা? তার বই থেকে নিশ্চয়ই জানা যাবে কথিত সেই 'ওন ব্রান্ড অব ডেমোক্র্যাসি'-- ইহা হয় কি বস্তু? ইহা কি মাথায় দেয়, না পরিহিত হয়?
আর কারামুক্ত সেই শিক্ষকের কথাও মনে রাখার মতো:
অনেকে উর্দি পরে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও রাজনীতি করে বেড়াচ্ছেন। রাজনীতির ঘোড়া আকাশে উড়াচ্ছেন। তারা রাজাও মারতে পারেন!...
মন্তব্য
জে. মইনের পুস্তক প্রকাশের খবরের লিঙ্ক ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নির্বাচিত সংকলন!!!
ধামনন্ডির কোথায় যেন ব্যানার দেখেছিলাম- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি। এটার বাংলা কি হবে ভাবতে গিয়ে হাসতে হাসতে শেষ।
সেই হাসি এতদিন পরে আবার ফিরে এলো।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
পুরো নামটা হচ্ছে "ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ"।
রিক্সায় করে নববিবাহিত দম্পতি আসছিলাম ধানমন্ডির ভেতর দিয়ে। বউ ব্যানার দেখে জিজ্ঞাসা করলো, "এইটার অর্থ কি।"
"বাংলাদেশের বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়" - এই ছিল আমার উত্তর।
কি মাঝি? ডরাইলা?
অন অব ডেমোক্র্যাসি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ওন ব্র্যান্ড অব বাংলা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মন্তব্য করলাম না; আপাততঃ শুধু পড়লাম।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
কি নাম রাখলো এইটা?????!!!!!
বর্তমান সময়ের দাবী হচ্ছে সেনাবাহিনী উঠিয়ে দেয়া, কারণ সভ্য মানুষে মানুষে কখনও যুদ্ধ হতে পারে না। যুদ্ধ হলেও তা মারামারির যুদ্ধ নয়, মারামারি তো অতি নিম্ন প্রজাতির জীবের লক্ষণ। হোমো স্যাপিয়েন্স কি এমনি এমনি হয়েছি না-কি।
সময়ের প্রয়োজনের বিপরীতে যখন এভাবে সামরিকায়নের গন্ধ পাই তখন প্রচণ্ড কষ্ট হয়। ভাবি, জীবদ্দশায় কি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নিবেদিত এই সামরিক বাহিনীর বিলুপ্তি দেখে যেতে পারবো না?
আমার জন্য সবাই দোয়া কইরেন, জীবদ্দশায় যেন যুদ্ধংদেহী এসব সেনাদলের মূলোৎপাটন দেখে যেতে পারি।
-----------------
মুহাম্মদ
বিপ্লব ভাই, আপনি তো দেখি বইটির ভালই প্রচার করলেন (হয়ত অজান্তেই)!
রাজনীতির ব্যাপারটাই এমন পূরোটাই জনসংযোগ। প্রতিদিন টিভিতে এমন আর কে কাভারেজ পায়?
গতকাল টিভিতে বইটির মোড়কে দেখলাম ট্যাগলাইন "সেনাবাহিনী ক্ষমতায় যেতে চায় না"
আসল ব্যাপারটি হচ্ছে এখানে সেনা বাহিনী তো কোন পক্ষ নয় (তারা কখনই সেভাবে ছিল না।) এটি হচ্ছে এর পরিচালনায় যারা রয়েছেন তাদের ইমেজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার (ক্ষমতা নিয়ে) ব্যাপার। ওই জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছুবার পর তো তাদের আর সেনাবাহিনীর দরকার হবে না। তারা তো নিমিত্ত মাত্র পারলে তাদের দিয়ে ট্রাফিক পুলিশেরও কাজ করানো হয় আর ফল ভোগ করে কতিপয় মানুষ।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
অ্যাঁ!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
"নির্বাচিত" আবার "সংকলন"?
ভালোই কমেডি!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
সিডি কবে ছাড়বে বাজারে? সবাই আর পড়তে পারেনা
ওন ব্র্যান্ড অব ডেমোক্রেসির তো বাজারে হিড়িক পড়ে গেছে। দুদিন আগে মুশারফ, এবার মঈন ... এরপরে মায়ানমার, সৌদিও লাইনে আসবে। সবাই ডেমোক্রেটিক ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আপনারা বইয়ের নাম নিয়ে খা-লি রসিকত করেন; আচ্ছা, নামে কী আসে যায় বলেন তো
হুম বুঝছি, আমার মতই সাহিত্যিক ! ভাবছি আমিও একটা নির্বাচিত সংকলন বের করবো।
কি মাঝি? ডরাইলা?
আসেন নির্বাচিত সংকলন এর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য আমরা সবাই
দণ্ডায়মান অবস্থায় দাঁড়িয়ে খাড়া হয়ে থাকি
সিলেটিদের জন্য একটা শব্দ বেশি
(দণ্ডায়মান অবস্থায় দাঁড়িয়ে খাড়া হয়ে উবাই থাকি)
আমি লাইনের সবার পেছনে গিয়ে দণ্ডায়মান অবস্থায় দাঁড়িয়ে খাড়া হলাম। হাজার হলেও মিলিটারী শিশ্ন, বড় বেশী স্পর্শকাতর...........
কলামগুলো কোথা থেকে নির্বাচন করে সংকলিত করা হয়েছে? এই লেখাগুলো কি কোথাও প্রকাশিত হয়েছিল আগে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
লীলেন ভাইয়ের মন্তব্যে (বিপ্লব)
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
- ভয়ের কারণ নাই, বড় চাচার এদিকের বেল্টের পুতুল আংকেলের ঊর্দিপরা ফটুক সম্বলিত বই বের হইছে, তার পথানুসরণকারী আমাদের জেনারেলের একটা ঊর্দিপরা বই না হলে কী আর চলে!
আর নামে কি আসে যায়, নাম দিয়ে কী হয়,
নামের মাঝে পাবে নাকো সবার পরিচয়-
জেনারেল জী নিশ্চয় এই মন্ত্রে দীক্ষিত।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কবে যে এইসব গ্রন্থের প্রকাশক হতে পারবো...?
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
পুরো বইয়ের প্রকাশক হবার দরকার নেই
দেখো শুধু মলাটের প্রকাশক হওয়া যায় কি না
তাহলেও লালে লাল
আমার মনে হয় 'নির্বাচিত' কথাটা যোগ করা হয়েছে পাঠক/ক্রেতাকে দ্বিগুণ আশ্বস্ত করতে যে তিনি আরো লিখেছেন, এখানে সব নেই। সত্যি তারিফ করতে হয়, আমাদের সেনাপতিরা গলফ খেলা আর শিক্ষক (আতাউর রহমান ছাড়া , ওনার দেশ তো মইন, মাসুদ, মাসুদের ভায়রা মুক্ত বিহংগ সাঈদ ইস্কান্দরের মতো নোয়াখালী) পেদানো ছাড়াও লিখবার সময় পান। আমি তো ব্লগ লেখার ভয়ে এখনো সচল হইনি।
উনি নিজে নির্বাচিত না তাই নির্বাচিত কথাটা যোগ করে মনের খায়েশ মিটাইলো হাঁটুর বাচ্চাটা।পুরা গাধা!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
সবাইকে ধন্যবাদ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন