অলৌকিক ইস্টিমার

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৩/২০০৮ - ৮:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.
ফরাসী নৌ - স্থপতি ইভ মার একাই ছোট্ট একটি জাহাজ চালিয়ে এ দেশে এসেছিলেন প্রায় দেড় দশক আগে। এর পর এ দেশের মানুষকে ভালোবেসে থেকে গেছেন এখানেই স্থায়ীভাবে। তার স্ত্রী রুনা খান মার টাঙ্গাইলের মেয়ে, অশোকা ফেলো। আশ্চর্য এই জুটি গত এক দশক ধরে উত্তরের চরে চালিয়ে আসছেন একটি নিরখরচের জাহাজ হাসপাতাল 'লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল'।

বৃহত্তর রংপুরের মঙ্গা পীড়িত চরাঞ্চলে এই জাহাজ - হাসপাতাল যমুনায় ভেসে ক্যাম্প করে গরীব মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। তারা অনুসন্ধানে দেখেছেন, দরিদ্র বাংলাদেশের সবচেয়ে হতদরিদ্র মানুষের বাস এই সব চরাঞ্চলে। ...

সাংবাদিকতার সুবাদে বছর পাঁচেক আগে রুনা খানের সঙ্গে আমার পরিচয়। কুড়িগ্রামের চরে জাহাজ হাসপাতালের ভেতরে বসে কথা হয় আমাদের।

রুনা আপা বলেন, বিপ্লব, আপনি কল্পনা করতে পারেন, সরকারি হাসপাতালে ১০ টাকার টিকিট কিনে চিকিৎসা তো দূরের কথা, মাত্র তিন টাকা নৌকা ভাড়া দিয়ে আমাদের এই হাসপাতালে এসে রোগি দেখাতে পারেন না, এমন মানুষও এইসব চরগুলোতে বাস করে!

*

আমি বিস্ময়ের সঙ্গে রুনা আপার সঙ্গে ঘুরে ঘুরে দেখি 'ফ্রেন্ডশিপ' এর ব্যানারে জাহাজ হাসপাতালটির কর্মকাণ্ড।

ইভ মার পুরো জাহাজটির কক্ষগুলোকে আউটডোর হাসপাতালে পরিনত করেছেন। সেখানে একেবারে বিনে পয়সায় সাধারণ সব ধরণের রোগিদের চিকিৎসা সেবা ও অষুধ দেওয়া হয়। সকাল থেকে জাহাজ ঘিরে রোগিদের দীর্ঘ লাইন, সবার হাতে হাতে কার্ড। এই কার্ডে রোগির নামধাম লিখে চিকিৎসা পত্র দেওয়া হয়। জটিল রোগিদের ফ্রেন্ডশিপ এর খরচে পাঠানো হয় গাইবান্ধা বা রংপুর বা লালমনিরহাট হাসপাতালে।

জাহাজ হাসপাতালে রয়েছে দাঁত, চোখ ও ছোটখাট কাঁটাছেড়ার রোগিদের অপারেশন করার ব্যবস্থা। গুরুতর রোগিদের জন্য রয়েছে চারটি বেড। আর দুর্গম চরাঞ্চল থেকে জাহাজ হাসপাতালে রোগি নিয়ে আসার জন্য রয়েছে কয়েকটি 'রিভার অ্যাম্বুলেন্স'।

রুনা আপা বললেন, এই রিভার অ্যাম্বুলেন্সটির ধারণা ইভের। ও নিজেই কাঠের কয়েকটি ডিঙ্গি নৌকার নকশা করে এতে ছোট্ট ইঞ্জিন বসিয়ে তৈরি করেছে এ সব অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করেছে।

কিন্তু দূর্গম চর থেকে রোগি আনতে হবে, এই খবর আপনারা জানতে পারেন কি ভাবে? আমি জানতে চাই।

রুনা আপা মুচকি হেসে বলেন, চলুন আপনাকে সরেজমিনে ঘুরে দেখাই।

*

আমরা জাহাজ লাগোয়া একটি রিভার অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেই যমুনার ঘোলা জল ভেঙে। নাম বিস্মৃত এক চরে পৌঁছে দেখি এক গ্রামে একটি ঘরের ভেতরে হেল্থ ক্যাম্প করে স্বাস্থ্য জ্ঞান দিচ্ছেন অল্প বয়সী একজন মেয়ে। তিনি একজন স্বাস্থ্য কর্মী। নাম মাত্র বেতনে জাহাজ হাসপাতালের জন্য কাজ করেন। জাহাজের দুজন চিকিৎসকের বেতনও অবশ্য তাই। পুরোটাই প্রায় স্বেচ্ছাশ্রম।

এ রকম আরো দু একটি চর ঘুরে জানতে পারি, একেকটি চরে এরকম হেল্থ ক্যম্প করে জাহাজ হাসপাতালের তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা চরের মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করেন। তারা ছোটখাটো অসুখের চিকিৎসাও দেন। বাকি রোগিদের হয় জাহাজ হাসপাতালে, না হয় ধারেকাছের সরকারি হাসপাতালে পাঠান। আর এ সব হাসপাতালে রোগি পৌঁছে দেয় রিভার অ্যাম্বুলেন্স।

পুরো নেট ওয়ার্কটি জাহাজ থেকে পরিচালনা করা হয় মোবাইল টেলিফোনের মাধ্যমে। প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে রয়েছে একটি করে মোবাইল ফোন।

জাহাজ হাসপাতাল কিম্বা হেল্থ ক্যাম্পের নিরাপত্তা? কোনো সমস্যা হয় না?

এই প্রশ্নের জবাবে রুনা আপা বলেন, দেখুন বিপ্লব, আমি তো এ দেশেরই মেয়ে। আমি গ্রামের মানুষকে খুব ভালো করে চিনি। গ্রামের গরীব মানুষেরা এখনো খাঁটি আছে, নির্লোভ রয়েছে। তারা ভালোবাসার দাম দিতে জানে। যত সমস্যা আমাদের মতো শহুরে শিক্ষিতদের নিয়ে। ...আমার শক্তি এই সব গ্রামের সাধারণ মানুষ; যারা হয়তো দুবেলা পেট পুরে খেতে পায় না, যাদের পরনে হয়তো ভালো কাপড় নেই, কিন্তু তাদের ভেতরটা একদম সাদা। ...আমরা এখনো গ্রামের মানুষের দিক থেকে কোনো সমস্যা বা বাধার মুখোমুখি হয়নি।

*

এর পর আমি ঢাকায় ফিরে তখনকার কর্মস্থল দৈনিক যুগান্তরে 'উত্তরের চরে এক অলৌকিক ইস্টিমার' শিরোনামে সচিত্র ফিচার সংবাদ করি জাহাজ হাসপাতালের ওপর।

এই সংবাদটির সূত্রে ইভ - রুনা মারের সঙ্গে আমার সখ্যতা বাড়ে। পরে আমি যুগান্তরে আরেকটি ব্রেকিং নিউজ করি এই দম্পত্তির নৌকার ওপর গবেষণা নিয়ে।

সেই খবরটি হচ্ছে, মসলিন বা জামদানি নয়। বাংলাদেশের বাঙালির সবচেয়ে প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হচ্ছে কাঠের নৌকা!

এই নৌকা শিল্পটি গত প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে এখনো অনেকটাই অকৃত্রিম নকশায় টিকে আছে, যা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ইঞ্জিন নৌকা বা শ্যালো বোট এর কল্যাণে। এর পরেও নৌকার কারিগররা এখনো তৈরি করে চলেছেন বজরা, ছিপ, পানসি, ডিঙ্গি বা সাম্পন। ...

মজার তথ্য হচ্ছে, পশ্চিমায় যখন ধাতব গজাল বা তারকাটা ব্যবহার করা হতো কাঠের নৌকায়, তখনো এ দেশে নৌকার কারিগররা ব্যবহার করতেন কাঠের খিল বা গজাল, যা চুইয়ে পানি প্রবেশ করে না। আর গাবের আঠায় নৌকাগুলোকে পানি প্রতিরোধক ও টেকসই করা হতো।

ইভ - রুনা মার গবেষণায় জেনেছেন, নৌকার এই কারিগররা এখনো এই কৌশল অবলম্বন করে পুরোনো ঐতিহ্যের নৌকা তৈরি করছেন।

*

এরপর একাধিকবার রুনা আপার আমন্ত্রণে গিয়েছি, সেই অলৌকিক ইস্টিমারে। মঙ্গা বা রিভার অ্যাম্বুলেন্স, হেল্থ ক্যাম্প অথবা তাদের 'নৌকার জাদুঘর' এর ওপরে একাধিক প্রতিবেদন করি। অংশ নেই তাদের একাধিক সংবাদ সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে।

ছোট ছোট নৌকার মডেল তৈরি করে কিছুদিন আগে ইভ - রুনা মার ধানমণ্ডির বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে তুলে ধরেন নদী মাতৃক এক অবাক করা বাংলাদেশকে। এই প্রদর্শনীতে একই সঙ্গে দেখানো হয়, নৌকা তৈরির বিভিন্ন সাজ - সরঞ্জাম। কৌতুহলি দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দিতে আয়োজনে হাজির ছিলেন কয়েকজন নৌকার কারিগর।

সাভারে স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ধবসে ক্ষতিগ্রস্ত বা বন্যা, ঝড় ও সিডর আক্রান্তদের ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি ইভ - রুনা মার এখন ব্যস্ত তাদের 'নৌকার জাদুঘর' প্রতিষ্ঠার এক দক্ষযজ্ঞ আয়োজন নিয়ে।

প্রথমে তাদের পরিকল্পনায় ছিলো সোনারগাঁও এর কোল ঘেঁষে শীতলক্ষ্যার পাড়ে বসানো হবে এই জাদুঘর। সেখানে কাঠের তৈরি বিভিন্ন মডেল নৌকা, নৌকার ছবি, নৌকায় ব্যবহৃত সাজ - সরজ্ঞাম ছাড়াও দর্শনার্থীদের নৌ ভ্রমণের সুযোগ থাকবে।

কিন্তু সোনারগাঁয় জমির দাম বেশ চড়া। তাছাড়া ঢাকা থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকটিও খুব সহজ সাধ্য হবে না। এখন স্থান পরিবর্তন করে আশুলিয়ার কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে এই জাদুঘর। ইভ - রুনা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই জাদুঘরের জন্য অর্থের যোগান সংগ্রহ করতে।।

ছবি: ফ্রেন্ডশিপ।


মন্তব্য

ফারুক হাসান এর ছবি

লেখাটি চমতকার লাগলো!
নিঃস্বার্থভাবে জনসেবা করা এই মানুষগুলিকে তুলে ধরার জন্য (বিপ্লব)
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

হিমু এর ছবি

দৈনিক প্রথম আলো বা সমকালে (ঠিক মনে নেই) এঁদের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো, খুবই ভালো লেগেছিলো পড়ে। নৌকার প্রতি আমার একটা টান আছে। দৈনিকের সেই শুক্রবারের আর্টিকেলটা পড়ে খুব হিংসা হয়েছিলো ইভ মার এর ওপর।


হাঁটুপানির জলদস্যু

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এ এমন পরিচয়,
অনুমতি প্রার্থনা, সবিনয় নিবেদন, কিছুই যে লাগে না...
... ... ...
এ এমন বিনিময়, কিছু শুভ সূচনা।।

অসাধারণ!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

কনফুসিয়াস এর ছবি

খুব ভালো লাগলো।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রাবাব এর ছবি

ফ্রেন্ডশিপ নিয়ে প্রতিবেদন প্রথম আলো-তে অনেক আগে একবার পড়েছিলাম। আবার নতুন করে লেখার জন্যে ধন্যবাদ। মার দম্পত্তিদের জন্যে শুভ কামনা রইল।

শিক্ষানবিস এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। তারা যে দুটি কাজে হাত দিয়েছেন সেই দুটি কাজকেই মনে প্রাণে ভালবাসি। একটি মানবতাবোধ এবং আরেকটি ঐতিহ্যের সংরক্ষণ। দুটির মধ্যে মিলও আছে। ঐতিহ্য ঘাটলেই মানুষের মানবতা প্রতিষ্ঠার কথা জানা যায়। ইভ-রুনার শতভাগ সাফল্য কামনা করি।

---------------------------------
মুহাম্মদ

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আবারো ধন্যবাদ আরেকটি অসাধারন বিষয়ে আলোকপাতের জন্য। যতদূর জানি এটি মানে, "লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল"টি চলে ইউনিলীভার বাংলাদেশের অর্থায়নে; তাদেরও জানাই সাধুবাদ এই অনন্য উদ্যোগটি অনেকদিন যাবত সুষ্ঠভাবে চালিয়ে নেয়ার জন্য। আর এই দম্পতি কিন্তু অনেক আগে থেকেই বেশ বিখ্যাত তাদের নানা ধরণের নতুন নতুন উদ্যোগের জন্য; তাদের জানাই আন্তরিক অভিবাদন!

সুজন চৌধুরী এর ছবি

প্রদর্শনীটা দেখেছিলাম, সারা জীবন মনে থাকবে। এতো রকম নৌকা আছে আমাদের জানতাম না,লজ্জাও লেগেছিলো এর আয়োজক ১জন বিদেশি জেনে।
চমত্কার লেখা দাদা।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আমি এদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রায়হান আবীর এর ছবি

খুব ভাল লাগল...

---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

জানতাম না এর কিছুই। লেখার জন্যে ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অমিত এর ছবি

এগুলোর কিছুই জানা ছিল না। ভাল লাগল। আপনার নোকা নিয়ে রিপোর্টটি পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

নৌকা বিষয়ক ওই প্রতিবেদনটি যুগান্তরে করেছিলাম; সেটি এখন আর আমার সংগ্রহে নেই।

পরে এ বিষয়ে আরো কিছু প্রতিবেদন করেছি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে। আর্কাইভ থেকে খুঁজে অবশেষে ৪ মার্চ, ২০০৫ সালে করা একটি বিশেষ প্রতিবেদন পেলাম।

ইংরেজী ওই প্রতিবেদনটির লিঙ্ক এখানে


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

দ্রোহী এর ছবি

"ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের" কথা পড়েছিলাম আগে। এত কিছু জানতাম না। অনেক অনেক ধন্যবাদ এই চমৎকার পোষ্টটির জন্য।


কি মাঝি? ডরাইলা?

উদাস এর ছবি

অনেকদিন থেকেই চুপিচুপি সচলায়তন পড়ে যাচ্ছি। শুরু করেছিলাম আপনার "লাশকাটা ঘর" দিয়ে। মাঝে মাঝে অনেক লোভ হয় কিছু লেখার জন্য। কিন্তূ এরকম একটা লেখা পড়ার পরে মনে হয়, পাঠকই থেকে যাই আজীবন। মনছোয়া মানুষদের নিয়ে মনছোয়া লেখা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারও এঁদের কথা কিছুই জানা ছিলো না।

আগের মন্তব্যটি পড়ে মজা পেলাম। আমিও সচলায়তনে প্রথম পড়ি 'লাশ কাটা ঘর'। বিপ্লব রহমান এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য সচলদের মারাত্মক সব লেখা পড়তে পড়তে সত্যিই লেখার সাহস হারিয়ে ফেলছিলাম। তারপর ভয়ে ভয়ে একদিন লিখতে শুরু করলাম। ঘাড় ধরে কেউ লিখতে মানা না করা পর্যন্ত লিখে যাবো।

- শামীম হক

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আপনাদেরও ধন্যবাদ।

কিন্তু কেনো এ ভাবে লজ্জা দিচ্ছেন? @ উদাস@ শামীম হক। হাসি


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

এই হাসপাতালটা দেখার সুযোগ হয়েছিলো একবার যমুনা ব্রীজের কাছাকাছি কোথাও,সেটা ২০০১/০২ সালে।অসাধারণ প্রচেষ্টা।
অঁলিয়েসে/বেঙ্গলে নৌকার এক্সিবিশনটা দেখতে পারিনি।ক্যাটালগ সঙগ্রহ করার চেষ্টা করেও পাইনি।
এই নিভৃত স্বপ্নচারী ও স্বপ্নচারীনির জন্য শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমি গ্রামের মানুষকে খুব ভালো করে চিনি। গ্রামের গরীব মানুষেরা এখনো খাঁটি আছে, নির্লোভ রয়েছে। তারা ভালোবাসার দাম দিতে জানে। যত সমস্যা আমাদের মতো শহুরে শিক্ষিতদের নিয়ে।

এই কথাটা কয়েক হাজার বার আমি আমি বলেছি কয়েক হাজার জায়গা
যারা শোনে তারা হাসে
বিদেশীরা হাসে কম আর বাঙালিরা কথাটা শুনে হাসে অনেক্ষণ ধরে
এই প্রথম আরেকজনকে পেলাম। যিনি নিজেও আমার এই কথাটায় বিশ্বাস করেন

তাকে সালাম
প্রথমমত কথাটার জন্য
দ্বিতীয়ত তার হাসপাতালের জন্য

০২
এই হাসপাতালের কথা আগে আমি বিপ্লব রহমানের লেখা থেকেই পড়েছিলাম কোথাও
ধন্যবাদ বিপ্লব রহমান

০৩
অন্যপ্রসঙ্গ
এসএম সুলতানের নৌকা নিয়ে কি আপনি কোনোদিন কিছু লিখেছিলেন?
আমার কেন যেন সেরকম মনে হচেছ
না লিখলেও লিখুন না
ওই নৌকাটা নিয়ে তার অনেক বিশ্বাসও ছিল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

দারুণ...
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আবারো আপনাদের ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা।

এসএম সুলাতানের নৌকা নিয়ে কখনো কিছু লেখা হয়নি @ লীলেন ভাই।

যদি সম্ভব হয়, সে বিষয়ে কিছু লেখার আশা রাখি।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অতিথি লেখক এর ছবি

বাইরের লোক অনেক কিছু করে আমাদের জন্য
কিন্তু আমরা হয়তো করতেও চাই না
_ ক্যামেলিয়া আলম

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রামের গরীব মানুষেরা এখনো খাঁটি আছে, নির্লোভ রয়েছে। তারা ভালোবাসার দাম দিতে জানে। যত সমস্যা আমাদের মতো শহুরে শিক্ষিতদের নিয়ে। --- রুনা আপার এ মন্তব্য সত্যিই এখন এক রুঢ় বাস্তবতা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।