কানা মামুন সমাচার
-----------------
দৈনিক ভোরের কাগজে কাজ করিবার সময় ২০০২ সালের দিকে যোগ দিলেন ফটো সাংবাদিক মামুন আবেদীন। তাহার সামান্য বায়ুচড়া দোষ আছে; এমনিতে লোক খারাপ নহে। ইতিপূর্বে তিনি দৈনিক আজকের কাগজে আমার সহকর্মি ছিলেন। সেই সুবাদে আমার কাছে নানান আব্দার ছিলো তাহার।
তো ফটো-মামুনকে লইয়া সাংবাদিক মহলে নানা প্রচারণা আছে। তিনি আবার লক্ষ্মী ট্যারা। মনে করুন, আপনার দিকে তাকাইয়া কথা বলিলো। আপনি ভাবিলেন, সে হয়তো পাশের জনের সহিত ব্লগরব্লগর চালাইতেছে...এইরূপ আর কি! মুখে মুখে তাহার আসল নামটির আগে 'কানা' বিশেষণটি যোগ হইয়া নাম দাঁড়াইলো 'কানা মামুন'।
তাহার সম্পর্কে আরও প্রচলিত রহিয়াছে যে, সে ছবি যাহাই তুলুক না কেনো, তাহার সবই নাকি আউট অব ফোকাস! যদিও বা দু - একটি ছবি ফোকাস হয়, ইহাতে আবার মানুষের মাথা কাটা পড়ে, ধরা পড়ে শুধু ধড়খানি!
শুনেছি চৌধুরি বাড়িতে নাকি বসেছে আসর
--------------------------------------
তো কানা একদিন আমাকে আসিয়া কহিলো, বেগুনবাড়ি বস্তির মাঠে যাত্রার পালা বসিয়াছে। সারা রাত্রি সে ফটোগ্রাফি করিবে। আমি যদি অনুগ্রহ করিয়া পুলিশ কর্তাদের তাহার নাম বলিয়া দেই; কারণ তাহার দামি ক্যামেরার সিকিউরিটি রক্ষা করিবার বিষয় আছে -- ইত্যাদি।
আমি চোখ মুদিয়া তাহার দিকে ডান হাত বাড়াইয়া দিলাম। অর্থাৎ, আগে মালে আইসো চান্দু! কিঞ্চিৎ অগ্রিম সার্ভিস চার্জ ছাড়ো তো বাপধন! ...
কানা খানিকক্ষণ 'হেঁ হেঁ ' করিয়া কহিলো, আরে রাখেন তো বিপ্লব দা। আপনি রমনা থানার ওসিকে একটু আমার নাম বলিয়া দিন না। পরে না হয়।...
এই ফাঁকে বলিয়া রাখি, অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতা করিবার চেষ্টায় তখন পুলিশ মহলে আমার সামান্য পরিচিতি ঘটিয়াছে।
কানাকে বলিলাম. সঙ্গে আমিও যাইবো। গ্রাম্য যাত্রা দেখিবার পরে না হয়, একটা শহুরে যাত্রা দেখিবার অভিজ্ঞতা হইয়া যাক।
সে তো খুশীতে আটখানা। কারণ, আমার সঙ্গে থাকিলে তাহার চা - সিগারেট ইত্যাদি সবই ফ্রি!
রমনা ওসিকে একটা ফোন ঠুকিয়া রাত ১২ টার কিছু আগে গন্তব্যে পৌঁছাইলাম।
বদের মেয়ে হেভি জোস!
---------------------
যাত্রার পালার নাম শুনিলাম, বেদের মেয়ে জোছনা।
পালার স্থলে আসিতেই রমনা থানার সেকেন্ড অফিসার আমাকে সালাম দিয়া কহিল, ওসি স্যার ওয়ারলেস করিয়া আপনার কথা কহিয়াছেন। আমার সহিত আসুন। একেবারে মঞ্চের সামনে বসাইয়া দিবো। আর আমি আশেপাশেই রহিয়াছি। কোন দরকার পড়িলে শুধু ইশারা করিলেই চলিবে।
পালার স্থলের পেছনের দিক দিয়া মঞ্চের একপাশে একখানা ছোট বেঞ্চিতে বসিলাম। পালার সমগ্র প্যান্ডেল রিকশা ওয়ালা কি বাসের হেলাপার গোত্রীয় লোকজনে ভরিয়া উঠিয়াছে।
যাত্রার এক লোক দর্শকদের মাঝে ঘুরিয়া ঘুরিয়া মশা তাড়াইবার জন্য ধূপধুনো দিতেছে। হঠাৎ আরেকজন মাইক ফুকিলো:
ভাইসব, ভাইসব। যাত্রা, যাত্রা, যাত্রা। ...ঝুমুর ঝুমুর নাচ আর কুমুর কুমুর নৃত্য। আজ আমাদের এখানে দেখানো হইতেছে--বেদের মেয়ে জোছ-নাআআআ...। দেখিবেন, এক ঝাঁক ডানাকাটা বলাকা! সত্ত্বর টিকিট লইয়া আসন গ্রহণ করুন!
চারদিক খোলা মঞ্চের এককোনে বসিয়া বাদকদল চিকন সুরে হারমোনিয়াম আর সাঁনাইয়ে সুর তুলিলো:
বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়াছে,
আসি আসি বলে জোছনা ফাঁকি দিয়াছে।...
মনে বাবলা পাতার কষ লাইগাছে
-----------------------------
এমনি কিছুক্ষণ বাদ্যবাজনা চলিলো। অধৈর্য দর্শককূল এক সময় অতিষ্ট হইয়া হইহই করিয়া উঠিলো। বড় বড় বাঁশের লাঠি হাতে ভলেন্টিয়ারদের তাহাদের সামলাইতে বেগ পাইতে হয়।
হঠাৎ ঘোষণা হইলো:
এখন আপনাদের বাউল সঙ্গীত শোনাইবেন, মিস চম্পআআআ...
নাদুস-নুদুস মিস চম্পা মঞ্চে আসিয়া সবাইকে সালাম-আদাব দিলেন।
বাউল শিল্পীর সাজ-সজ্জা দেখিয়া আমার হাত হইতে সিগারেট পড়িয়া যাইবার উপক্রম। আমি আক্ষরিক অর্থেই 'হা' হইয়া গেলাম!
তাহার টকটকে লাল রঙা ঝলমলে শাড়িটি টিনের তৈয়ারি বলিয়া ভ্রম হয়। উগ্র সাজ-সজ্জায় লালের ব্যবহার অত্যাধিক। আর শাড়ির আঁচল কিছুতেই যথাস্থনে থাকিতে চায় না। বার বার খসিয়া পড়ে। তিনি আবার সলজ্জ হাসি দিয়া চোখ টিপিয়া শাড়িটিকে সামলাইতে ব্যস্ত হন।
দর্শককূল তুমুল করতালি আর সিটি বাজাইয়া তাহাকে স্বাগত জানাইলো। তাহাদের আনন্দ আর ধরে না।
এদিকে কানা মামুন দেখি ঠিকই ক্যামেরা-ফ্লাশ লাইট গুছাইয়া ফটাফট ছবি তুলিতেছে।
মিস চম্পা নাচিয়া-কুঁদিয়া গান ধরিলেন:
আমার মাটির দেহে লাউ ধইরাছে,
ও লাউ দেখতে বড় সোহাগি,
লাউয়ের পিছে লাগছে বৈরাগী।...
বলা বাহুল্য, গানের ভিতরে ঘুরিয়া ফিরিয়া 'মাটির দেহে লাউ ধইরাছে' -- বাক্যটি আসিবা মাত্র তাহার আঁচল খসিয়া পড়ে। লো-কাট ব্লাউজ ঝলসিয়া উঠে বার বার। সেই সাথে উল্লাসে - চিৎকারে ফাঁটিয়া পড়ে দর্শকমহল।
উৎসাহী কয়েকজনকে আবার দেখা গেলো, ভলেন্টিয়ারদের লাঠির বাড়ি খাইবার ঝুঁকি লইয়াই হাত বাড়াইয়া পঞ্চশ কি একশ টাকার নোট মিস চম্পার ব্লাউজের ফাঁকে গুজিয়া দিতে।
হায় চোলি!
----------
মিস চম্পা প্রস্থান করিবার পর বাদক দল বাজনা ধরিলো:
কুককুরু কুককুরু কুককুরু,
চোলি কা পিছে ক্যায়া হে,
চোলি কা পিছে?...
কিছুক্ষণ বাদ্য বাজনার পর মাইকে ঘোষণা হইলো: এই বার মঞ্চ কাঁপাইবেন, মিস ঝুম্পাআআআ...
দৌড় দিয়া মঞ্চে উঠিলেন মিস ঝুম্পা। তিনিও মিস চম্পার অনুরূপ। তবে সাজসজ্জায় আরেক কাঠি সরেস।
তাহার পরনে লাল ঝলমলে চোলি - ঘাগড়া তো আছেই। তবে ব্লাউজ আর ঘাগড়ার দূরত্ব বড়ই বেশি। ইহাছাড়া ব্লাউজটিও অনেক ক্ষীণ। আবার মেদবহুল পেট আর বুকের খোলা অংশে অদ্ভুদ কি এক কায়দায় সোনালী চুমকি লাগানো হইয়াছে। উজ্জল বৈদ্যুতিক আলোয় নর্তন-কুর্দনের ফাঁকে ওইসব চুমকি ঝলসাইয়া উঠে।
নমাজ আমার হইলো না আদায়
----------------------------
বুঝিলাম, মূল যাত্রা শুরু হইতে দেরী আছে। ইহারা সবই বোনাস।
তো মিস ঝুম্পা হাত-পা ঝাঁকাইয়া, কোমড় দুলাইয়া 'হায় চোলি' নাচটির অনুকরণে কোনো একটি নাচ করিবার কসরত করিতে লাগিলেন।
তিনি আবার মাঝে মাঝে হলিউডের সিনেমার নাইট ক্লাবের দৃশ্যের ন্যায় মঞ্চের খুঁটি ধরিয়া ইঙ্গিতপূর্ণ কায়দায় শরীরে ঢেউ খেলান।
এই মহতি চুম্বক দৃশ্য হইতে অন্যদিকের দর্শকরা বঞ্চিত হইলে সেই দিক হইতে আবার হইহই রব উঠে।
চম্পা রানী তাহাদের মন জোগাইতে ছুটিয়া যান সেই দিকে। আবারো হাঁটুর উপরে ঘাগড়া তুলিয়া সেইদিকের খুঁটিটি উপড়ানোর বৃথা চেষ্টা চলে।...
এদিকে কানা মামুন ছবি তুলিবার ফাঁকে ফাঁকে আমার কানের কাছে আসিয়া চিৎকার দিয়া কহিলো, দাদা, কুড়িটা টাকা দিন তো। বাংলা খাইবো!
তাহার ইশারায় দেখিলাম, পুলিশের উপস্থিতিতেই মঞ্চের এক কোনে বিশাল এক প্লাস্টিকের ড্রামে করিয়া বাংলা মদ বিক্রি হইতেছে। সেখান হইতে ছোট প্লাস্টিকের বোতলে মদ ভরিয়া বিক্রি করা হইতেছে, প্রতি বোতল মাত্র কুড়ি টাকা।
এতোক্ষণে বুঝিলাম, বিভৎস ঘাম, সিগারেট, গাঁজার গন্ধ ছাড়াও কটু গন্ধটি কিসের।
চোখ ধাঁধানো আলো, মিস ঝুম্পার কসরত, তুমুল বাদ্য, হট্টোগোল আর নেশার কটু গন্ধে একেবারে নরক গুলজার!
আমি মামুনকে বুঝাইলাম, এই সব চোলাই মদে বেশীরভাগ সময়ই ঝাঁজ বাড়াইবার জন্য গাড়ির ব্যাটারির অ্যাসিড মেশানো হয়। ইহা স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি অনেক সময় মানুষের মৃত্যূ পর্যন্ত ঘটে। সে ব্যাটা কি বুঝিলো কে জানে?
হঠাৎ মঞ্চের একদিকে দর্শকদের মধ্যে মারামারি লাগিয়া গেলো। ভলেন্টিয়াররা বাঁশ দিয়া পিটিইয়া পরিস্থিতি সামলাইতে পারিলেন না। চারিদিকে শুরু হইলো হুড়োহুড়ি। পুলিশ মুহুর্মুহু বাঁশি ফুঁকিতে লাগিলো। বুঝিলাম, এই বার তাহারা লাঠিচার্জ শুরু করিবে।
কানাকে বলিলাম, ক্যামেরা ছিনতাই হইবার আগেই চম্পট দেওয়া ভালো।
পুলিশের সেই সেকেন্ড অফিসার আসিয়া আমাদের কর্ডন করিয়া বড় রাস্তায় তুলিয়া দিলেন। আমাদের আর সেই বেলা যাত্রা দেখা হয় নাই।...
ছবি: যাত্রার মেকআপ, সাহাদাত পারভেজ।
মন্তব্য
গল্পের এইপয়েন্টে আসিয়া আমার চিত্ত হালকা চঞ্চল হইলো।
অত্যন্ত সুস্বাদু, মচমচ করিয়া শব্দ করিয়া ভোজন করিলাম।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ইয়ে, ওই আর কি! এখন স্বীকার করুন তো ভ্রাতা, আপনার প্রোফাইলের ওই আউট অব ফোকাস ছবিখানা কী কানা মামুনের তোলা?
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আবার বলেন!
কানা মামুনই তো আমার এই সর্বনাশটা করলো।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
দাদা আপনি পারেনও।বহুদিন এইরকম হাসা হয় নাই।
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
প্রিন্সেসের নাচওয়ালা যাত্রা সদলবলে দেখার পরিকল্পনা বহুবার করেও বাস্তবায়ন করা হয়ে ওঠেনি
তবে আপনার এই লেখাটি পড়ে ভাতের স্বাদ আলুতে মেটালাম
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কী যে করি! আবার ফোন করেছিল মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম থেকে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমরা একবার শ্রীমঙ্গলে গেছি । প্রেমনগর চা বাগানের ম্যানেজারের অতিথি । রাত ১১ টা । রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ ।
ম্যানেজার বললেন , বাগানে যাত্রা হচ্ছে , দেখবেন নাকি ?
না বুঝেই আমরা সবাই বললাম - দেখব ।
ম্যানেজার সাহেব জিপ কল করে আমাদেরকে তুলে দিলেন ।
তারপর ....
তার আর পর নেই ।
কোন শালা এই সব দেখতে আর জুয়া খেলতে লাসভেগাসে যায় ....প্রেমনগর চা বাগানের কথা মনে এলে এখনও আমাদের শিহরন জাগে ... এতোদিন পরেও ।
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
মাঘের কুয়াশা ভেঙে মধ্যরাতের যাত্রার উষ্ণতাই অন্যরকম !
হুমম। ফাত্রা লোকের অভাব নাই দেখিতেছি!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ঝাক্কাস বর্ণনা। খাসা। (বিপ্লব)
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
যাইতে হইবেক।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
যাত্রা তো প্রায় পুরোটাই চোখের সামনে ফুটিয়ে তুললেন !
চমৎকার চিত্রায়ন ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
না বোনাস, না যাত্রা, কোনটাই দেখা হয় নাই বুঝি?
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আর আমি বুঝিলাম 'মিলা'।
লেখা নিয়া কিছুই বলিবো না, উপরিউক্ত সকলে উহা নিয়া দারুণ করে বলিয়াছেন। আমি কেবল পোস্টের সহিত সংযুক্ত ফটুকটা নিয়া বলি। ফটুকের মালকীন চম্পাআআই হোক আর ঝুম্পাআআই হোক, দেখিতে একেবারে মাশাল্লাহ। যেমন নাসিকা, তেমননি গালিকা। আঁখিদ্বয়েও সেইরকম আবেদন। ইহার নাম পরিচয় কী বিপ্লবী ভাই?
আপোনার সহিত রয়েল বেঙ্গল চোলাই খাইবার এট্টা খায়েশ পূর্বে প্রকাশ করিয়াছিলাম। উহা আজোবধি বলবৎ আছে। সরঞ্জামের পুরো ভারটাই এই অধম আপনি মুরুব্বী বলিয়া আপোনার স্কন্ধে ঢালিতে চায়, আশা করি ইহাতে সেন্টু খাইবেন না।
আরজগুজার,
মাননীয় ধুসর গোধূলি
( সাক্ষর অস্পষ্ট)
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খালি বদ চিন্তা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হের ধুসর গোধূলি,
ওইরকম নাসিকা-গালিকার মালিকানী বালিকা/শালিকার নামধাম ফটো-সাহাদাত কহিতে পারেন; আমি নিতান্তই অপারাগ।
তবে আপনার রয়েল বেঙ্গল পানীয় সংক্রান্ত আবেদনখানি মঞ্জুর হইয়াছে।
.
এই নিন...ছোলাবুট, পলমল (লাইট) সহযোগে আকণ্ঠ পান করুন।
সতর্কতা: ও হ্যাঁ, বিশেষ অনুগ্রহপূর্বক পানের পূর্বেই 'আমার মৃত্যূর জন্য আসাদ রুমন নাম্নীয় এক ফাজিল টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি দায়ী' এই রকম একটি নোট লিখিতে ভুলিবেন না।
বিশেষ আর কী!
নিবেদন ইতি-
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
- পলমল লাইটে টানদিলে শেষের দুই অক্ষরের মাহাত্য টের পাওন যায়। ভাই, আর যাই করেন না করেন, বিড়িটার ব্র্যান্ড বদলান। ফটুকওয়ালীর কসম লাগে আপনের!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মহামন্যর মন্তব্যে (বিপ্লব) ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কঠিন! আপনে যেটাই লিখেন সেটাই এরকম সাংঘাতিক জীবন্ত করে ফেলেন কি করে?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এক দেড়যুগ আগেও যাত্রা এবং সার্কাস ছিলো দেশের- বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠির - বিনোদনের প্রধান উৎস। সার্কাস সম্ভবত একটু বেশি আকর্ষণীয় এবং সপরিবারে দেখার মত সামাজিক, যাত্রায় সাইড শট হিসেবে যৌন সুড়সুড়ি দেয়ার ব্যাপারটা থাকায় অধিকাংশ সময়ই সপরিবারে দেখার মত ব্যাপার থাকে না। যাত্রার অভিনয়ের অংশটি সম্ভবত শুধু স্পেশাল যাত্রা রসিকদের কাছেই প্রিয়, দর্শকদের অধিকাংশই চামেলি-শেফালি-বকুলদের ঝুমুর ঝুমুর নৃত্যের সাথে তরল বা বায়বীয় জিনিস পানে টালমাতাল অবস্থায় চিৎকার করাটাকেই বেশি উপভোগ করে।
আমার যাত্রা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে সাকুল্যে দু'বার। প্রথমবার স্কুলে পড়ি। নাইন টেন হবে। হোস্টেলে থাকি। এক স্যারের গুরুবাড়িতে সামাজিক পরিবেশে যাত্রা। তিনি আমাদেরকে সাথে করে নিয়ে গেলেন। সেসময় রেগুলার ৯ টা সাড়ে নয়টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতাম। যাত্রার ডায়লগ শোনার চেয়ে সেই গভীর রাতে ঘুমের সাথে যুদ্ধ করতেই বেশি সময় ব্যয় হয়। যাত্রা শেষ হলে কোনোমতে হাফ ছেড়ে বাঁচি।
দ্বিতীয়বার কলেজে পড়ি। হোস্টেলজীবন তখনও। হোস্টেলের অদূরেই যাত্রার আসর। এইটায় সামাজিকতা নিয়া তেমন বিধিনিষেধ নাই। কয়েজন মিলে একফাঁকে উঁকি মারতে যাই। দু'একখান সঙ্গীতের সাথে যৌননৃত্য দেখে চলে আসি। ততোদিনে বখে গেছি। রাত জাগা নিয়ে ঝামেলা নেই। তবে এই যদি যাত্রা হয়, তবে তা দেখার চেয়ে তাস পিটানোই শ্রেয়তর মনে হয়। সেই রাতটা আমার জন্য মোটামুটি ভয়ঙ্কর স্মৃতির। আমি পরচন্ডরকম সাউন্ড-সেনসিটিভ। একটু বেশি মাত্রার, বিশেষ করে একঘেয়ে শব্দে আমার সবসময়ই এলার্জি। শব্দদুষণ যে কত ভয়ঙ্কর জিনিস, সেই রাতে হাঁড়ে হাঁড়ে অনুভব করি। সারারাত ঘুমানো দূরের কথা, প্রায় মাথাখারাপ অবস্থা হয়। ভোররাত পর্যন্ত সেই আযাব সহ্য করি
পুরোটা একটানে পড়লাম। সাধুর সাথে মাঝে মাঝে অসাধুকেও মঞ্চে উঠিয়ে দিলেও সাবলীলতার অভাব নেই। ভালো লিখেছেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার নামই বিপ্লব, তাই আপনাকে বিপ্লব দেয়ার কোন অর্থ দেখি না...
লেখাটা পুরা ঝাক্কাস!
~রেনেট
জটিল মামু জটিল...
আমি পড়ে যত পুলক বোধ করছি আপনি দেখেও অতটুকু করেন নাই।এক্কেবারে শিউর...
রায়হান আবীর এর মুখে শোনা- আই ইউ টির সন্নিকটেই কোথায় নাকি এক মনোরম পরিবেশে সেরকম মাত্রার যাত্রা পালার নিয়মিত আয়োজন হয়।দেখা যাক ফাত্রা মানুষের দলে নাম লিখাইতে পারি কিনা অচিরেই...
---------------------------
দুঃখ সুখের স্পর্শ নীরে
সাঁতরে বেড়াই;
নিঃসংগ এক,নিঃসংগ মেঘ।
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
অনেককাল আগে প্রথম যাত্রা দেখেছিলাম - বব্রুবাহন। কি কান্না আমার বব্রুবাহনের দুঃখ দেখে ... এখনো ওটা বলা হয় বাড়ি গেলে।
---------------------------------
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নস্টালজিক
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ওরে! ফাত্রার দল দেখি ক্রমেই ভাড়ি হইতেছে!...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হায়, এখনো একবার যাত্রা দেখা হয় নাই। এই শীতেও এক সুযোগ মিলেছিল। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে প্রতিরাতে যাত্রা হল। মনে হয় এখনো ফাত্রা লোক হবার সাহস হইয়া ওঠে নাই।
সামনের বছর মিস করুম না। দোয়া রাইখেন।
নতুন মন্তব্য করুন