রাঙামাটির দুর্গম সাজেকে আবারো জ্বলে উঠলো হিংসার আগুন।
সকালেই খাগড়াছড়ি থেকে টেলিফোনে খবরটি আমাকে জানান স্থানীয় এক সাংবাদিক। বলেন, দাদা, আমি সেখানে একটি কাজে গিয়েছিলাম। একটু আগেই ঘটনাস্থল থেকে ফিরেছি। গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে গেছে!
কোনো সংঘর্ষ বা হতাহত? না, কোনো সংঘর্ষ হয় নি, তবে আগুন নেভাতে গিয়ে নয়জন পাহাড়ি ও বাঙালি আহত হয়েছে। সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিডিআর পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।...
কী ভাবে ওই ঘটনার সূত্রপাত, এ সম্পর্কে সে বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারলো না।...
আমি পাহাড়ি নেতা দীপায়ন খীসাকে টেলিফোনে ধরি। দীপায়ন বলেন, সাজেকের ঘটনা আমিও শুনেছি। কেউ ভালো করে কিছু বলতে পারছেন না। ওখানে কিছুদিন আগে সেনা সহায়তায় বাঙালি সেটেলাররা কিছু ঘর-বাড়ির ছাউনি তুলেছে। কিন্তু পাহাড়িদের হামলার ভয়ে রাতে তারা সেখানে থাকে না।...আর বরাবরই পুরো এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে চুক্তিবিরোধী ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) এবং সেনা বাহিনী।
টেলিফোনে প্রধান প্রতিবেদককে ঘটনাটি ছোট্ট করে জানিয়ে অনুরোধ করি, তিনি যেনো রাঙামাটি প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত সংবাদটি পরিবেশন করেন। কারণ রোববার রাতের ওই ঘটনাটি তখনও রেডিও - টেলিভিশন বা পত্র -পত্রিকায় প্রকাশ হয়নি। আমি তাকে এ-ও জানাই, বর্তমান সেনা সমর্থিত অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এটি পাহাড়ের মানবাধিকার লংঘনের একটি বড় ঘটনা।
আমি ফোন করি, বিবিসি বাংলা বিভাগের ঢাকার সংবাদদাতা সাবিহা আলমকে। তাকে অনুরোধ করি, খবরটি যাচাই করে এটি যেনো গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা হয়। তাকে আরও বলি, বিবিসির রাঙামাটি প্রতিনিধি হরিকিশোর চাকমার (সিনিয়র প্রতিবেদক, প্রথম আলো) সঙ্গে যোগাযোগ করলেই এ সম্পর্কে আরও খবর পাওয়া যাবে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাবেক সহকর্মী সাবিহা আমার কথা রাখেন।...
এর পর আমি যোগাযোগ করি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে তার সঙ্গে কথা বলা সহজ হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক সরকারি হিসেবে ৫৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খরব পাওয়া গেছে। হতাহতর কোনো খবর নেই। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন। তারা সেখান থেকে ফিরলে বিস্তারিত খবর পাওয়া যাবে।...
পরে দ্রুত অফিসে এসে রাঙামাটি প্রতিনিধি, আমার বন্ধু সত্রং চাকমার সঙ্গে কয়েক দফায় টেলিফোনে কথা বলে তৈরি করি ওই সংবাদটি।
*
...পার্বত্য শান্তিচুক্তির আগে লোগাং, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, পানছড়ি, দিঘীনালা, মহাজনপাড়াসহ একাধিক পাহাড়ি অঞ্চলে চলেছে গণহত্যা, গণধর্ষন, গ্রামের পর গ্রাম পাহাড়ি জনপদ পুড়ে ছাই হয়েছে বাঙালি সেটেলার আর জলপাই শাসনের হিংসার দাবানলে। ...
চুক্তি স্বাক্ষরের এক বছরের মাথায় খাগড়াছড়ির রামগড়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেটেলাররা হামলা চালায় পাহাড়ি গ্রামে। ওই গ্রামের পাহাড়িরা ত্রিপুরা থেকে শরণার্থী জীবনের এক যুগের গ্লানি মুছে দেশে ফিরেই এই হামলার শিকার হন। হতদরিদ্র এইসব প্রত্যাগত শরণার্থীরা জানেন না, কী তাদের অপরাধ!
সে সময় সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা মেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী কল্পরঞ্জন চাকমা এবং আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সঙ্গে। তারা এসেছেন এলাকা পরিদর্শনে। পোড়া ভিটে মাটিতে দাঁড়িয়ে একজন মারমা মেয়ে জুম্ম (পাহাড়ি) ক্ষোভ প্রকাশের নিজস্ব ধরণে হাতে তালি মেরে সন্তু লারমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কীসের শান্তিচুক্তি করেছেন? চুক্তি করে আমরা কী পেলাম?
সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমা সেই সময় শুধু মেয়েটির মাথায় হাত রেখে কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়েছিলেন। কোনো কথা বলেননি। আর মেয়েটির চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছিলো বোবা কান্নার অশ্রুজল।...
এরপর ২০০৬ সালের জুনে খাগড়াছড়ির মহালছড়ির মাইচ্ছড়িতে মারমা অধ্যুষিত একটি গ্রামে বাঙালি সেটেলাররা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এবং তিনজন মারমা মেয়েকে ধর্ষণ করে।
এ খবর একাধিক সংবাদ মাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রচার হলে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দাতা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।
বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার জন্য পাহাড়ের গডফাদার, ইউপিডিএফের অন্যতম আশ্রয় দাতা. সেটেলার নেতা ওয়াদুদ ভূঁইয়া এমপির (বর্তমানে কারা বন্দি) তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে কয়েকজন সাংবাদিককে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। ঢাকার সাংবাদিকরা সেনাবাহিনীর একপেশে ব্রিফিংয়ের ওপর ভিত্তি করে বিষয়টিকে অনেকটা ক্রাইম রিপোর্ট আকারে তুলে ধরেন। এতে উপেক্ষিত হয় প্রকৃত সত্য, মানবিক আবেদন, এমনকি সাংবাদিকতার নীতিমালাও।
মহালছড়ির ঘটনার পর আবারো সাজেকের ওই দুঃখজনক ঘটনা। ...
*
সাজেকের ওই ঘটনার খবরটি সম্পর্কে আরও জানতে মানবাধীকারকর্মী আসিফ সালেহর সূত্রে গত রাতে আমাকে লন্ডন থেকে অ্যামোনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন বিদেশী প্রতিনিধি টেলিফোন করেন। আমি ভাঙা ইংরেজীতে ঘটনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করি। পাহাড়ের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তাকে যা বলার চেষ্টা করি, তা অনেকটা এ রকম :
পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান দুটি সমস্যা হচ্ছে, সামরিকায়ন ও ভূমি বেদখল।
এছাড়াও পাহাড়ি আদিবাসীদের ওপর সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় তথা জাতিগত সব ধরনের আগ্রাসন, বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ধ্বংস করা ইত্যাদি রয়েছে।
শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর পাহাড়ে রক্তক্ষয়ী বন্দুকযুদ্ধের অবসান হলেও এখনো সেখানে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি রাখা হয়েছে; পাহাড়ে জলপাই কর্তৃত্বের যৌক্তিকতা তৈরি করতে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ নামক পাহাড়িদের আরেক রাজনৈতিক দেউলিয়াগ্রস্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে।
নাবালকদের এই গ্রুপটি টুকটাক অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের কথা বললেও তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে -- সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তিচুক্তি পক্ষীয় জনসংহতি সমিতিকে দমন করা।
পাহাড়ে এভাবে অস্থিরতা ও যুদ্ধবিগ্রহ জিইয়ে রাখার জন্য সরকার, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন বিদেশি অপশক্তিগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
১৯৭২ সাল থেকেই পাহাড়ি- বাঙালি দাঙ্গা, আদিবাসীদের গণহত্যা, গণধর্ষণ, পাহাড়ি বসতি উচ্ছেদ, ভূমিগ্রাসসহ সবকিছুর নেপথ্য মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি। আর বরাবরই এদের সঙ্গে এই সব নারকীয় তাণ্ডবে যোগ দিয়েছে বহিরাগত বাঙালি সেটেলার গোষ্ঠী।।
ছবি: জুমচাষ, ফিলিপ গাইন।
মন্তব্য
কিছু দিন আগে বান্দরবানের রুমা বাজার, বগালেক এইসব জায়গায় গিয়েছিলাম। স্থানীয় বাঙালীদের সাথে কথা বলেছি। এরা দেখলাম সেনাবাহিনীর বিশেষ ভক্ত। এদের অভিমত সেনাবাহিনী না থাকলে নাকি এরা টিকতে পারবে না। পাহাড়ীদের সাথে কোন বিরোধ হলে এরা সেনাবাহিনীকে বিচার দেয়। সেনাবাহিনীও এদের কথা শুনে বিচারে পক্ষপাতিত্ব করে।
eru
-------------------------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।
মৌসুমী ভৌমিক না কার যেন গানে শুনেছিলাম, ছেলেবেলার পাহাড় আমায় ডাকে, হাওয়ায় হাওয়ায় মায়ের গন্ধ থাকে। গানটি খুবউ ভালো লেগেছিল। যদিও আমার ছেলেবেলায় কোনো পাহাড় ছিল না। কিন্তু পাহাড় আমায় ছোটবেলা থেকেই টানে। পাহাড়ের টানে রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, চট্টগ্রাম ঘুরতে গেছি কয়েকবার। সেই পাহাড়ে হিংসার আগুন দেখলে বুকে চিনচিন ব্যথা করে। দুঃখবোধে আক্রান্ত হই। জানি না কবে ঘুচবে দুঃখের অমানিশা।
পান্থ রহমান রেজা
একসময়ের দীপ্যমান বাঙালী যে দিনে দিনে দীনতার কোথায় পৌছেছি----- ভাবতেও আর ভাল লাগেনা------ বারবার ভাবছি জুম্ম নারীর বোবা অভিব্যক্তির কথা ------ একজন নারী হয়ে সে নারীর অনুভূতির আঘাতটা অনেক স্পষ্ট আমার কাছে---------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
পাকিস্তানীরাও কিন্তু আমাদের সাথে এই ধরনের অন্যায় গুলো করেছিলো।যার রেজাল্ট আজকের বাংলাদেশ।পাহাড়ীদের যতদিন আমারা ভাই কিংবা আমাদেরই বোন না ভাবতে পারব ক্রমশঃ সমস্যা আরো জটিল হয়ে পড়বে। একসময় পাহাড়ীদের স্বাধীনতাও মেনে নিতে হবে।আর তখন তা রোধ করা অসম্ভব হবে।
পাহাড়ীরা আমাদের মা,বোন কিংবা ভাই।এই বিশ্বাস বা এই অনুভূতি আমাদের মধ্যে না জন্মালে তার পরিণতি খুব একটা ভালো হবে না বলেই আমার তীব্র বিশ্বাস।
বিপ্লব ভাইকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
নিঝুমের কথার সাথে একমত, আমরা বাঙ্গালীরা পাহাড়ে যে রক্তের হোলিখেলা খেলেছি কয়েক যুগ ধরে সেই একই খেলা পাকিস্তানিরাও খেলেছে আমাদের সাথে। আশ্চর্যভাবে পাহাড়ী জনগন অনেক সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে এখনো! কিন্তু এরও একটা সীমা আছে......যদি কোনদিন আমাদের ভুলে পাহাড় দ্বিখন্ডিত হয় তবে ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করবেনা। ভাবতেও অবাক লাগে একসময়ের নির্যাতিত বাঙ্গালীই আজ নির্যাতনকারীর ভূমিকাই দাড়িঁয়ে! যদিও এভাবেই চলছে সবকিছু......
সবাইকে ধন্যবাদ।
একমত@ নিঝুম ও ধ্রুব হাসান।
আমার মনে হয়, আসলে পাহাড়ে আদিবাসীদের অধিকারের প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গী কী, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই জল বিদ্যূত প্রতিষ্ঠার সময় পাহাড়িদের কথা চিন্তা করা হয়নি। প্রায় ৫৪ হাজার একর চাষের জমি পানিতে ডুবিয়ে দিয়ে সে সময় লাখ লাখ পাহাড়িদের উদ্বাস্তু করা হয়।
স্বাধীনতার পরে সংবিধানেও ক্ষুদ্র ভাষাভাষী আদিবাসী মানুষের অস্তিত্বই স্বীকার করা হয়নি। আর ১৯৭২ সালে সংবিধানে পাহাড়িদের আত্ননিয়ন্ত্রণের অধিকার সংযোজন করার প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু নাকচ করে দিয়ে জুম্ম জাতীয়তাবাদের জনক এমএন লারমা এমপিকে বলেছিলেন, তোমরা সবাই বাঙালি হয়ে যাও!
পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের এক দশক পরেও পাহাড় এখনও 'ইন্সার্জেন্সি এরিয়া'! সরকারি এই আদেশ বলে সেনা বাহিনী এখনো সেখানে বেসামরিক প্রশাসনের ওপর কর্তৃত্ব করে চলেছে।
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান -- এই তিন পার্বত্য জেলায় ছয় ছয়টি সেনা নিবাস থাকার পরেও গত এক দশকে পাহাড়ের প্রায় সাড়ে ৫০০ অস্থায়ী সেনা ছাউনির মধ্যে গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে মাত্র ১৫২টি ছাউনি।
আর শান্তিচুক্তিতে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চল বলিয়া বিবেচিত হইবে' এমন একটি কথা থাকলেও এর সবচেয়ে দুর্বল দিক বোধহয় এটিই যে, পাহাড়ে বাঙালি সেটেলারদের অবস্থান কী হবে, সে সম্পর্কে কোনো কথাই এতে বলা হয়নি!
তাই আসলে প্রায় পাঁচ দশক আগে পাহাড়ে যে হিংসার বীজ বোনা হয়েছিলো, তা এখন মহিরুহে পরিনত হয়েছে।...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
Dear Biplobda
Thank you for your initiatives for CHT Jumma peoples. We actually need to rais up our voices more and more. One quick thing, I think you met Shrodeyo Santu Larma and Kalparanjan Chakma in Ramgarh not Matiranga as one year after incident of the Accord.
Whatever this is really an excellant article and sorry my computer keyboard not support Bangla script type. So Bhanga bhanga einrejite lekhlam.
Regards
bdtripura
Dor porobash, mon-pran kande amar sobuj paharer jonne!!
প্রিয় বিনোতাময় ধামাই,
এই প্রথম ব্লগে আপনার পাঠপ্রতিক্রিয়া পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
আসলে তাৎক্ষণিকভাবে এই লেখাটি লিখতে গিয়ে আমি ওই স্থানটির নাম গুলিয়ে ফেলেছিলাম। এখন সংশোধন করে দিয়েছি।
সুদূর প্রবাসে থেকে আদিবাসীদের অধিকার আদায়ে জনমত সৃষ্টির জন্য আপনি যে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন, তার অবদানও কিন্তু কম নয়!
আপনার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা জানাই। ...
এই ব্লগে পাহাড় নিয়ে আমার আগের লেখাগুলো পড়ার জন্য বিনীত অনুরোধ রইলো। অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আজকাল এই জলপাই বনে প্রায়ই চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয়- "মানুষকে বাঁচতে দাও"
প্রত্যেক মানুষকে তার অধিকার দিতে হবে, দিতেই হবে। অন্যথায় পরিনতি কখনই মঙ্গলজনক হবে না।
------------------------------------------------------
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
হায়!
বছর কয়েক আগে উচ্চ লেখাপড়া জানা জনৈক বাঙ্গালীর সাথে তর্ক হইছিল... তাকে আমি বলছিলাম যে পাকিস্তানীরা আমাদের সাথে যেইরম আচরণ করছিলো আমরা পাহাড়িদের সাথে তারচেয়ে কম কিছু করতেছি না... এই কথা শুইনা তিনি তেলে বেগুনে জ্বইলা উঠছিলেন... বলছিলেন আমি মহান বাঙ্গালীদেরকে পাকিস্তানীদের সাথে তুলনা করার কথা ভাবি কি কইরা?
সেই তর্কে উত্তেজনা ছিলো... ফয়সালা তো অসম্ভব... কিন্তু তারপরে একটা ভাবনা কাজ করছিলো খুব... সত্যিই... পাহাড়ে আমরা জাতিগত কি কি অন্যায় করতেছি তা আমরা এই নগরে বইসা একটুও টের পাই না... অনেকেই আমরা বিশ্বাসই করি না... বরঞ্চ এই বিশ্বাস আমরা ধারন করি যে আমরা তাগোরে আশ্রয় দিছি... তাগোরে সুখে শান্তিতে রাখছি!!!
বেশ কিছু বছর আগে বিরিশিরিতে এক রাতের ঘটনা মনে হইলে এখনো গা শিউরায়া উঠে... কবি রফিক আজাদের সাথে সেখানে প্রায় প্রতিরাতেই বেশ মৌজে জলপান হইতো... তার সহকারী আর্ণিশ মান্দা ছিলো আমাদের সকলের প্রিয়... আমরা যখনই যেতাম খুব খাতির করতো... কিন্তু ফেরত আসার আগের রাত্রে আমরা তেমনই মশগুল... হঠাৎ আর্ণিশের আগমন... চোখ লাল... সারা শরীরের ভিতরে যেন রক্ত আগুন হয়া উঠছে... বললো এক আদিবাসী কিশোরীরে বাঙগালীরা ধইরা নিছে। তখন ঐ চোখে যে তীব্র ঘৃণা দেখছিলাম... আমি ঘৃণার এত সাঙ্ঘাতিক রূপ আর কখনও দেখি নাই...
আমরা জাতিগতভাবে ঘৃণার জায়গাতেই চলে যাচ্ছি বোধহয়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
উচ্চশিক্ষিত মানেই সুশিক্ষিত নয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আবারো সবাইকে ধন্যবাদ।
যথার্থই বলেছেন @ নজরুল ইসলাম @ সন্যাসী দা।
আসলে প্রয়োজন উগ্র জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী তথা মানসিকতার আমূল পরিবর্তন। এটি খুব সহজ কাজ নয়।
আর উচ্চ শিক্ষিত মানেই সুশিক্ষিত হওয়া নয় -- এটিও সত্যি কথা বটে।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
DAILY STAR
Tue. July 10, 2007
My own little Palestine
Shambhu Rahmat
Imagine a country where troubles started with British masters. Drawing lines, separating people, making countries. Some gained freedom, others became prisoners.
After World War II, the exhausted Empire in retreat -- new post-colonial nations are created. For geo-political reasons, borders are drawn and people find themselves in another country. The original inhabitants of that land now become a problem. They have no documents proving legal ownership of the land they lived in for generations. Slowly they start to see settlers -- new arrivals subsidised by an invisible, far-away state. Ironically the settlers belong to a people who have been historically oppressed, and have just emerged from a genocide. But they fail to see the contradiction in their own action.
Soon, very soon, the original inhabitants find themselves becoming a numeric minority. More settlers take over land and build settlements. Large construction projects also arrive, displacing entire villages. The gentle days are over.
The inevitable happens. The indigenous people lose their so-called gentleness. A charismatic leader rises and unites the disparate groups -- groups that formerly had no cohesion, structure, or politics. An armed guerilla group is born, the stated intention is to defend rights and win freedom.
For a time, the world is enamored of the figure of the romantic guerilla. But soon, other headlines dominate and they move on. Neighbouring states also support the movement for a time. Less out of solidarity, more out of a desire to make trouble for their enemy. Palestinian poet Mahmoud Darwish said in a Godard film: "The world is only interested in us because of who our opponents are."
Eventually the neighbouring states stop supporting the guerillas. The settlers are also increasingly well-protected. Lighting terrorist strikes that cause damage become difficult. Exhausted and under-funded, the guerilla movement drops the demand for full independence. Now they want autonomy, some even say partial autonomy would be acceptable.
The charismatic guerilla leader comes out of hiding. To everyone's surprise he finally recognises the right to co-existence. Some praise his maturing political approach, others remain suspicious. After top-secret talks, a historic peace treaty is signed.
Some observers are jubilant: an end to the fighting? But among the guerilla movement's own ranks, there are cries of betrayal. The movement splinters into two. The more radical group rejects the treaty, and vows to continue fighting.
The second inevitable happens. Now the two factions start fighting each other. Brother against cousin against friend. Fratricide is the order of the day, the movement for independence and rights is long forgotten.
The indigenous people are at a twilight crossroad. Independence is a shattered dream, many are so exhausted they want peace at any cost. Their children scatter all over the world -- Australia, England, America, any place that will give a visa. A new diaspora is created. The next generation is exhausted. "Give us freedom" becomes "Just give me a job and some dignity."
The once proud guerilla movement is corroded to the point of random kidnapping of foreigners. No faction claims credit, thus every person is a suspect. Even those who have assimilated and taken mainstream jobs are not protected. It all depends on the way you look, the colour of your skin, the shape of your eyes, your last name.
Everything I wrote, it happened, more or less. Not far away in the Middle East, but very close to our own homes. Our hearts bleed for Palestine, but when will they bleed for our own people? This is an elegy for the Chittagong Hill Tracts.
প্রিয় শম্ভু,
মতামতের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
ছোট্ট পরিসরে আপনি যে নানামুখি বিষয়ের অবতারনা করেছেন, তা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, হয়তো একটি এপ্রিল থিসিস লিখতে হবে। কিন্তু সত্যিই, সেটি তো আর সম্ভব নয়!
কোনো রকম বিতর্কের বাইরে শুধু এটুকুই বলবো, এই উপমহাদেশের গেরিলা যুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আপনি দেখবেন, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনীর দীর্ঘ দুই দশকের সশস্ত্র আন্দোলন -- আর যা-ই হোক কোনো রোমান্টিক গেরিলা যুদ্ধ ছিলো না।
একেবারে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এটি ছিলো পাহাড়ি জনগণের সত্যিকার জনযুদ্ধ, অধিকার আদাযের জীবন-মরণ সংগ্রাম। আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত শান্তিচুক্তি এই আন্দোলনের একটি সফল যৌক্তিক পরিনতি। গত এক দশকেও চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি, সেটি অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।
আপনি হয়তো জানেন, তবু আপনাকে বিনীতভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, একটি দেশে সশস্ত্র আন্দালন তখনই গড়ে ওঠে, যখন সেই দেশের ভেতরেই এটি গড়ে ওঠার উপাদান সৃষ্ট হয়।...
আমরা শহুরে তাত্ত্বিকরা বিচ্ছিন্নভাবে নানা বিষয়ের অবতারনা করে বহু কেতাবী কথায় এর নানা ব্যাখ্যা দিতে পারি। কিন্তু জনগণের আত্নত্যাগের সংগ্রামকে আমরা অশ্রদ্ধা করি কী করে?
কিন্তু সারাবিশ্বে যখন গেরিলা যুদ্ধ মার খেতে খেতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে, তখন পাশের দেশ নেপালে মাওবাদী গেরিলারা বিস্ময়করভাবে বিজয় অর্জন করে জবাব দিয়েছেন আমাদের নানা প্রশ্নের। কিছুদিন আগে আরেক বিজয় দেখিয়েছেন লাল ডেঙ্গার মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট।
আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
গতকাল বিপ্লব'দা যখন বললো আমাদের সরকারী দৃষ্টিভঙ্গিটা আমলে নেয়া উচিত তখন ভাবলাম থাক কথা না বাড়ায়। কিন্তু কথা হলো বাংলাদেশের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে কখনোই ইতিবাচক ছিলো না এটা আমরা কম বেশী সবাই জানি। একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করবেন আমরা (প্রায় গণহারে) আমেরিকানদের সাধারন জ্ঞান নিয়ে হাসাহাসি করি (এ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও ইউটিভে আপলোড করা আছে) এবং পৃথিবী ঘটতে থাকা হত্যাজজ্ঞগুলোর জন্য আমেরিকা এবং আমেরিকানদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্দার করি। কেন? কারনটা সম্ভবত এই যে, এই আমেরিকান জনগনই ভোট দিয়ে বুশকে দশ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছে, তাকে ইরাক যুদ্ধে পুরোপুরিভাবে সাপোর্ট করেছে (অনেক আমেরিকান হয়তো জানেইনা ইরাক কোন জায়গায় অবস্থিত, কারন তার তা জানার প্রয়োজন পড়ে না)। আসল কথা হলো জনগনের ভেতর থেকে আমেরিকান সরকারের যুদ্ধবাজনীতি বিরোধীতা দেখা যায় নগন্য পরিমানে। ঠিক এই রকম একটা দৃষ্টিভঙ্গী কি আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে কাজ করেনা? আমরা কি সরলতার সাথে প্রায় বলি না আমি ভাই পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা তাই এই বিষয়ে মতামত কি করে দেয়? এই না জানাটা কি আমাদের অবহেলা বা প্রয়োজনহীনতা থেকে আসেনি ? এতো যুগ ধরে পাহাড়ে অবিচার চলছে এর বিরুদ্ধে বাঙ্গালী সমাজে বড় কোন গনআন্দোলন তো গড়ে উঠতে দেখিনি (কয়েকটি বাম দলের বিচ্ছিন্ন আন্দোলন ছাড়া)। আমরা সাধারন বাঙ্গালীরা কেন এতো উন্নাসিক এই অবিচারের প্রতি? আমরা কেন আমদের বাঙ্গাল সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করিনা? আমরা কেন গনদাবী তুলিনা, আমার নিজ ভুখন্ডের এই রক্তপাত অবিলম্বে বন্ধ করো? আমার কেন অবিরাম চিতকার করি না, আমার আরেকটি পাহাড়ী ভাই-বোনের প্রতি যদি অবিচার হয়, বাংলাদেশের প্রতি ঘরে ঘরে আগুন জ্বলবে? একজন বাঙ্গালী হিসেবে এই প্রশ্নগুলোর যখন মুখোমুখি হই তখন এক বোবা অনুভূতি ছাড়া কিছুই কাজ করেনা, ঘেন্না হয় নিজের উপর ।
সন্তু লারমার উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি তিনি শান্তি চুক্তি করে ভুল করেন নি; বরং তিনি বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির সাথে তাল মিলিয়ে সঠিক সিদ্বান্তই নিয়েছিলেন (নেপালের ঘটনার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলনের চরিত্র ও রুপ ঐতিহাসিকভাবেই ভিন্ন, তাই ঐ প্রসঙ্গ এখানে টানছি না)। আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে পাহাড়ের আন্দোলনকে সমতলে ছড়িয়ে দেয়ার! সমতলের মানুষকেও সচেতন করে তুলতে হবে কেন পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসন আবশ্যক! কেন পাহাড়ের ক্ষমতা পাহাড়ীদেরকেই দিতে হবে!
আবারো আপনার সঙ্গে একমত@ ধ্রুব হাসান।
...আপনার সঙ্গে আরেকটু যোগ করে বলতে চাই:
আদিবাসী পাহাড়িদের প্রতি আমাদের এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি করে দিচ্ছে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রই। আদিবাসী প্রশ্নে রাষ্ট্রেরই উগ্র জাতীয়তাবাদী ও সাম্প্রদায়ীক ধ্যান-ধারনা আমরা সংখ্যাগুরু বাঙালিরা নানাভাবে বহন করে চলেছি।
পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে বাংলাপিডিয়া -- সর্বত্রই পড়েছে এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর ছাপ।
আর পার্বত্য চট্টগ্রামকে সামরিকীকরণ করার ফলে পাহাড়ের এতো বছরের নির্যাতন-নিপীড়নের খবর শান্তিচুক্তির আগে গণমাধ্যমে প্রায় প্রকাশই হয়নি! বহু বছর পাহাড়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো সাংবাদিকের কলম।
সব মিলিয়ে পাহাড়িরা বরাবরই থেকে গেছেন 'নরমাংসভোজী জংলী' হিসেবে লোকচক্ষুর আড়ালে। ...বড়জোর পত্র-পত্রিকা, রেডিও -টেলিভিশন, সিনেমা, নাটকে আদিবাসী পাহাড়িরা নারীরা উঠে এসেছেন পর্যটকের দৃষ্টিসুখের মোহ বিস্তার করে!
এরপরেও যারা গণমানুষের কথা বলে রাজনীতি করেন, আদিবাসী পাহাড়িদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে তাদের এতো বছরের উন্নাসিকতা অস্বীকার করি কী ভাবে?
অবশ্যই। ...আর সে জন্যই তো বার বার ঘুরেফিরে আসছে সাধারণের দৃষ্টিভঙ্গীর বিষয়।
চূড়ান্ত অর্থে, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়েই পাহাড়িদের সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তবে পাশাপাশি স্থানীয় আন্দোলনও অব্যহত রাখা জরুরী।
ধন্যবাদ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আপডেট: সাজেকের দুর্গম পাহাড়ের সাতটি গ্রাম এখনও জনমানব শুন্য। স্থানীয় পাহাড়িরা মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরির্দশন করে শিক্ষক, রাজনীতিক, সমাজকর্মীদের একটি দল আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই তথ্য দিলেন। ...
খবরের লিঙ্ক
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আপডেট দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন মন্তব্য করুন