সচলে এ কী দেখি!

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: রবি, ২৫/০৫/২০০৮ - ৮:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাজের চাপে আগের মতো প্রতিদিন সচলে ঢুঁ মারা হয় না। মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে মোবাইল ফোন টিপে পড়ে ফেলা হয় না দারুন কোনো পোস্ট। সব মিলিয়ে ব্লগ পড়া বা লেখা -- কোনোটাই আর আগের মতো হচ্ছে না। হঠাৎ হয়তো কাজের ফাঁকে সময় পেলে প্রিয় সচলে একবার ঘুরে যাই।

আজ খানিকটা সময় পেয়ে সচলের পাতা দেখে চমকে উঠলাম। অকপটে বলছি, এক নজরে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতার লেখাগুলোর শিরোনাম ও ক্যাটাগরি দেখে বেশ হতাশই হলাম। সব লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অল্প কয়েকটি লেখা বাদে অধিকাংশ ব্লগই সাহিত্য-ঘেঁষা। বৈচিত্রতার বড়ই অভাব।

অবশ্য অনেকদিন ধরেই সচলের এই রূপান্তরিত রূপ টের পাচ্ছিলাম। তবে এখন প্রথম পাতার ২০টি পোস্টের মধ্যে ১৪টি পোস্টই যখন দেখি সচল ও অতিথিরা সকলেই গল্প, অনুগল্প, কবিতাও উপন্যাস দিয়ে ব্লগ ভর্তি করে ফেলেছেন, তখন নিজেকেই প্রশ্ন করি, আরে প্রিয় সচল, তোমার হলোটা কী? তুমি কী শেষে আটস-বিডিনিউজ এর ব্লগ সংস্করণ হতে চললে? অথাৎ সাহিত্য নির্ভর ব্লগ!

কোথায় সেই রং-বেরং এর নানা স্বাদের এর লেখাগুলো? না কী অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটির সচল কর্তৃপক্ষ অনুগল্পের ই-বুক সংস্করণ প্রকাশের পর এখন সাহিত্য চর্চাকেই উৎসাহিত করছেন?

শেষ পর্যন্ত যদি তাই-ই হয়, তাহলে তো আমি বাদ! আর যা-ই হোক, গল্প (তা সে অনু-পরমানু যা-ই হোক না কেনো)-কবিতা-উপন্যাস--অনলাইনে পাঠ বা লেখা--কোনটাই তো আমাকে দিয়ে হবে না। তাহলে কেমনে কী? মন খারাপ


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

উত্তর তো আপনিই দিয়ে দিলেন! আপনি নাই দেখেই তো এই অবস্থা! এখন জলদি জলদি চেহারা পাল্টে দিন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রণদীপম বসু এর ছবি

অন্যগুলোর জন্য তো ভাই আপনারা আছেনই। নিজস্ব সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেই বলছি, আপনারাও কিছু সময় দিন সচলে। তাইলে আমরা ভিন্ন স্বাদটুকুও পেতে পারি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিপ্লবভাই বিহনে সচলের এই একচোখা অবস্থা ।-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

মুজিব মেহদী এর ছবি

যে যেটা পারে না তার কাছে সেটা আশা করে কী লাভ! আপনারা যাঁরা সাহিত্যের বাইরের জগতের বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে থাকেন তাদের তৎপরতা আরেকটু বাড়লেই তো সংকটটা কেটে যায়। ওরকম লেখা পাশাপাশি থাকলে (আপনি গল্প-কবিতার পোস্ট একেবারেই বন্ধ করে দিতে বলছেন না এই ভরসায় বলছি) আমরা গল্প-কবিতা লিখিয়েরাও একটু ভিন্ন স্বাদ পেতে পারি।

সে সুযোগটা করে দিন প্লিজ।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

আলমগীর এর ছবি

বিপ্লব ভাই
আপনি নিশ্চয়ই অনেক পুরনো সদস্য হবেন। (একমাত্র) আপনার নামেই ইমোটিকন পর্যন্ত আছে। আপনি অনেক দিন সাইটে আসেন না সেটাও বলেছেন।

ব্লগ বলতে যা বুঝায়, আমি তা কখনই লিখিনি, এখনও লিখি না। বাংলা নিয়ে কাজ করি, তাই মাঝে মাঝেই গুগলে বাংলা শব্দ দিয়ে সার্চ দিই, দেখি কে কী করছে। এলেক্সার মাপে সাই দেশের জনপ্রিয় ৫টা সাইটের একটি। কিন্তু সেটায় আমি কখনও নাম লিখাইনি। আমার দৌড় সীমাবদ্ধ ছিলো, জুমলার বাংলা ফোরাম, ওমিক্রনের ফোরাম, আর সাম্প্রতিক প্রজন্ম ফোরামে।

বাংলা ফোরামের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, সদস্যদের মানসিক পরিপক্কতার অভাব। রূঢ় না হয়েও কী করে দ্বিমত পোষণ করা যায় এ ব্যাপারটি বাংলা ফোরামগুলোতে অনুপস্থিত। আমার বয়স ৩০+, চিন্তা ভাবনাও তেমনি। এসব কিছু মিলিয়ে দেখি, সচলের সদস্যদের সাথে ও তাদের লেখার সাথে আমার অনেকটা মিলে যায়। সে কারণেই মূলত এখানে আসা।

আপনার সাথে আমিও একমত। ব্লগ সাইটে কেবল গল্প আর কবিতা কেন থাকবে? তবে সমস্যা হলো, আপনি জানেন কিনা জানিনা, সচলায়তনে সদস্য হওয়া খুব কঠিন একটি কাজ। ভুত থেকে ভুত নীতি আর চলে না। অতিথি হয়ে লিখতে হয়, বিশেষ কিছু (মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার, ধর্ম ইত্যাদি) বিষয়ে লেখকের মনোভাব পরিষ্কার করতে হয়। অতিথি হয়ে নিয়মিত মন্তব্য করতে হয়। এত কিছুর পর উপযুক্ত মনে হলেই কেবল তাকে নিয়মিত করা হয়। সচলায়তনকে কলুষতা মুক্ত রাখার জন্যই এ ব্যবস্থা। (এগুলো আমার উপলব্ধি- সচলয়াতনের বক্তব্য নয়।)

এখন, দুএকটা ব্লগ লিখে কেউ নিজেকে খুব একটা মেলে ধরতে পারবে না। নিয়মিত সচলরা অতিথি লেখকদের লেখায় সবশেষে নজর দেন। জনপ্রিয় সচলেরা একটা কবিতা, ছোটগল্প, বা ভুল-ভাল অনুবাদ লিখে যতটা কমেন্ট পান কোন অতিথি তার ধারে কাছে যেতে পারেন না। তো, অতিথি লেখক বা আধা-সচলরা কী করবেন? মডুদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য চটকদার কোন বিষয় ছাড়া কিছু নিয়ে লিখতে চাইবেন কেন?

আর সাহিত্যের ব্যপারটাকে এত হেলা করারই বা কী আছে? ব্লগ তো খবরের কাগজের মতোই দিনান্তে বাসী হয়ে যায়। তার চেয়ে ছোট খাট যে যা লিখছে, এবং অন্যরা পড়ে আনন্দ পাচ্ছে তার মূল্যই বা কম কী?

হিমু এর ছবি

আলমগীর ভাইয়ের পর্যবেক্ষণ আংশিক সঠিক। তবে অতিথি লেখকদের লেখার বিষয় নির্বাচনের ব্যাপারটি সম্ভবত সাধারণীকৃত হয়ে গেছে। আলমগীর নিজেই নিজের উল্লেখিত নিয়মের ব্যতিক্রমদের মধ্যে একজন।

কে কী লিখবেন, সেটা অনেকটা তাঁর মেজাজমর্জির ওপরও নির্ভর করে। কোন বিশেষ ধরনের লেখা উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করার প্রশ্ন আসে না। আজকে কাউকে উৎসাহ দিয়ে কবিতা লেখানো যাবে না, নিরুৎসাহিত করে কবিতা লেখা থেকে বিরতও করা যাবে না। কেউ যদি ভিন্ন স্বাদের কিছু চান, ভিন্ন স্বাদের লেখা নিয়ে প্রথমে নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিপ্লব রহমান, আপনি কলম, থুক্কু, কীবোর্ড কাঁধে প্রস্তুত হোন!


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

আর একটি কথা।

জনপ্রিয় সচলেরা একটা কবিতা, ছোটগল্প, বা ভুল-ভাল অনুবাদ লিখে যতটা কমেন্ট পান কোন অতিথি তার ধারে কাছে যেতে পারেন না।

সচলে মোটামুটি নিয়মিত অনুবাদ আসে রুশ, জার্মান আর ইংরেজি ভাষায় লিখিত ছোটগল্প বা কবিতার। যদি কোন ভুল চোখে পড়ে তাহলে আপনি দয়া করে লেখককে শুধরে দেবেন। আপনার মন্তব্য পড়ে একটা ছাপ পড়ে মনে যে সচলের সদস্যরা যাবতীয় ভুলভাল অনুবাদই করে যান বরাবর। যদি আপনার বক্তব্য এমনই হয়ে থাকে, তার সাথে একমত হতে পারছি না। যদি আপনি এমনটি বলতে চেয়ে না থাকেন, তাহলে আমার বোঝার ভুল।


হাঁটুপানির জলদস্যু

আলমগীর এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে একটা ছাপ পড়ে মনে যে সচলের সদস্যরা যাবতীয় ভুলভাল অনুবাদই করে যান বরাবর। যদি আপনার বক্তব্য এমনই হয়ে থাকে, তার সাথে একমত হতে পারছি না।

আমার শব্দচয়নের দু্র্বলতা (রাত দুটার সময় লিখলে এমনই হয়), কোন সাধারণীকৃত বক্তব্য নয়। সচলের লেখকরা ম্যাচিওর সেই প্রশংসা তো আগেই করে এসেছি।

বিপ্লবদার কথার পিঠে যুক্তি খুঁজতে গিয়েই আমার অত কথা। উনি শুধু শিরোনাম, ট্যাগ দেখেই কথাগুলো লিখেছেন কিনা।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

@আলমগীর

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍নিয়মিত সচলরা অতিথি লেখকদের লেখায় সবশেষে নজর দেন।

আপনার মন্তব্যের সরলীকরণটি আপত্তিকর। অন্যান্য সচল কোন ক্রম অনুসারে সচলায়তনের লেখা পড়েন, তা আপনার জানার কথা নয়।

নিজেকে "নিয়মিত সচল" বলেই মনে করি। অন্তত মন্তব্য করার দিক থেকে। আমি তৃতীয়বারের মতো লিখছি: "লেখকের নাম দেখে আমি লেখা পড়ি না। পড়ি লেখার নাম ও বিষয়বস্তু দেখে (রেটিং-এর দিকে তো তাকাই-ই না!)।" নিজের মতামত জাহির করার বদভ্যাস আছে বলে মন্তব্য লেখায় আমার ক্লান্তি নেই। অজস্র অতিথি লেখকের লেখায় আমি মন্তব্য করেছি। আবার অনেক সচলের লেখায় কখনও মন্তব্য করিনি। না, শত্রুতা থেকে নয়। স্রেফ অনেকের লেখার বিষয়বস্তু আমার আগ্রহের বিষয়গুলোর মধ্যে পড়ে না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আলমগীর এর ছবি

সন্ন্যাসীজি
আপনার আপত্তি শিরে ধারণ করলাম। সাথে তীরন্দাজ, ধুগো, হিমু দ্রোহী, খেকশিয়াল, শিমুল ভাই সহ আরো কয়েকজন উতসাহদায়ী মন্তব্য দেন। তবু লেখার শিরোনাম আর লেখকের নাম যে পাঠকের নজর কাড়ে সেটা কিন্তু ঠিক- আমার পর্যবেক্ষণে। (অপবাকের শেষ দুটো লেখা দেখেন।)

আপনার মন্তব্যের জোরেই তো আছি। পেন্নাম।

আরণ্যক সৌরভ এর ছবি

বিপ্লব ভাই, খবরদার এই প্রশ্ন করবেন না।
সবাই হিমু ভাইর মতো উত্তর দিয়া পালাবে।

স্বপ্নাহত এর ছবি

পালাবে কোথায়? চিন্তিত

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

স্বপ্নাহত এর ছবি

জেনেই তো ফালাইলেন।
পলান্তি আর হইলো ক্যাম্নে? ইয়ে, মানে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

তারচে বড় প্রশ্ন হইলো স্যারের খোঁজ আপ্নে পাইলেন ক্যাম্নে? চিন্তিত

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরু, আপ্নের পিছে আমি খাড়াইলাম

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

কাম সারছে!
মুজিব ভাই,
কই যাই
ছড়া কোবতে ছাড়া এ জীবনে কিছু লিখি নাই ...
তাইলে কি আর ঠাঁই নাই?
আকতার ভাই, আন্নে বুজ্জেন্নি
তাইলে কেমনে কি?
হিমু ভাই, কি সংবাদ?
আমরা যার আর কিছু পারি না তারা কি বাদ?
সাধুবাদ তাদের শুধু যারা সব্যসাচী?
আর আমরা যারা শুধু কোবতে লিখি তারা কি নিয়ে বাঁচি?
আমরা যারা প্রায়-সচল
বলতে গেলে আধা-অচল
আমগো কি হইবো?
কে কইবো?

হিমু এর ছবি

চোখের পানি মোছেন ভাই, চোখের পানি মোছেন। দাঁড়ান জন্মদিনের কাঁথার বান্ডিল থেকে একটা কাঁথা দেই আপনাকে। আমিও আছি আপনার দলে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

আপনার কথা শুইনা ফোঁপানিটা কইমা আসলো।

মুজিব মেহদী এর ছবি

না ঘরে না বাইরে, আমাদের ভাত দেখি কোত্থাও নাই।

কবিতাগল্পওয়ালারা আসেন দলবেঁধে সচলায়তনের দরজায় বসে কাঁদি।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

বিপ্লব যে বিষয়টি নির্দেশ করেছেন তার পেছনে একটি বড়ো কারণ কিছু নিয়মিত লেখকদের দীর্ঘ অনুপস্থিতি অথবা অনিয়মিত উপস্থিতি। সচল সদস্যদের তালিকার দিকে একবার চোখ রাখলেই এই আসামীদের শনাক্ত করা যাবে। তাঁদের নামে পরোয়ানা জারি করা হোক। এঁরা আরো একটু নিয়মিত হলে বৈচিত্র্য কিছু নিশ্চয়ই বাড়বে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কিছুদিন আগে পর্যন্তও প্রায় সারাক্ষনই আমি সচল থাকতাম। কাজ চলতো সচলও চলতো... নতুন কোনও লেখা আসলেই তা পড়ে ফেলতাম। তখন বিষয়টা তেরমভাবে চোখে পড়ে নাই।
কিন্তু গত কয়দিন ধরে প্রচণ্ডর চেয়েও একটু বেশি ব্যস্ততায় সচলে লগইন করি না। তবে দিনে অন্তত দুইবার চোরা চাহনি দেই... দেখি নতুন কি লেখা আসলো। এবং আজকে সকালেই আমিও ভাবতেছিলাম একটা পোস্ট দিবো যে সচল তো পুরাই সাহিত্য পাতা হয়া যাইতেছে... কেম্নে কি?
সময়াভাবে সেই পোস্টটাও দেওয়া হইলো না... এখন আবার চোরা চাহনি দিতে গিয়া দেখি ঠিক সকালে যা ভাবছিলাম তাই বিপ্লবদা লেখছে। ভালো লাগলো বেশ।
এইবার তাইলে অসাহিত্যিকদের ফিরায়ে আনা হউক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অয়ন এর ছবি

গল্প, অনুগল্প, কবিতাও উপন্যাস - একটাও পারিনা মন খারাপ

রেনেট এর ছবি

অসাহিত্যিক বলে আমাগোরে খেদাবে, কার বুকে এত সাহস?
বিপ্লব ভাই, আপনি নিয়মিত লিখে যান, আমি কমেন্ট দিয়ে যাব নিয়মিত দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মাত্র দু ঘণ্টা আগে বিষয়টা নিয়ে থার্ড আইয়ের সাথে কথা বলছিলাম শাহবাগে
যে আমারে পাবলিক গালি দিতে হলেও কবিতার নাম ধরে গালি দেয় সেই আমি সচলাযতনে এসে কবিতা ছেড়ে দিয়েছি
কবিতার স্রোতের তোড়ে টিকতে না পেরে
আর গল্পের সাইজ বড়ো হয়ে যায় বলে অনুগল্পের ঢিল খেয়ে ওগুলোও বাদ

এখন প্রেম- ছাগল এসব বিষয় নিয়ে লিখছি

সবচে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো মুজিব মেহদীও কিন্তু কবিতা ছেড়ে গল্প ধরেছেন সচলায়তনে...

এখন কই যাই বলেন তো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হু... পৃথিবী... থুক্কু... সচলায়তন আজ দুই ভাগে বিভক্ত... সাহিত্যিক আর অসাহিত্যিক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

ভাইসব, আমাদের দিল দুই টুকরা করে তোড় ডালকে দেখুন পাঁচুদা বিপ্লব রহমান নাকে ঘানিগাছে পেষা সরিষার তেল কয়েক বিন্দু প্রয়োগ করে নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে। জনতার মঞ্চে আমি পাঁচুদার তিন মাসের ফাঁসি আর সাত দিনের জেলের দাবি নিয়ে এসেছি। সেইসঙ্গে আরো দাবিঃ

পাঁচুদাকে আগামী তিনমাসের মধ্যে একটি উপন্যাস সিরিজ, পাঁচটি ছোট গল্প, দশটি অণুগল্প, ছয়খানি কবিতা, দু'টি ছড়া, আর একটি নাটক লিখতে হবে।

এ দাবি না মানলে পাঁচুদাকে আসছে সচল সমাবেশে ভুরিভোজের একক স্পন্সর হিসেবে ঘোষণা করতে সচলগণ বাধ্য থাকবেন!


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍এই মুহূর্তে সচলায়তনের নীড়পাতায়:

গল্প - ২টি
ব্লগরব্লগর - ৫টি
কবিতা - ৬টি
দিনপঞ্জি - ১টি
অণুগল্প - ২টি
রাজনীতি - ১টি
রম্যরচনা - ২টি
স্মৃতিচারণ - ১টি

আসলেই কি খুব বৈচিত্র্যের অভাব?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার তো মনে হয় ঠিকই আছে ।
eru

-------------------------------------
pause 4 exam

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনে লেখা শুরু করেন বিপ্লব ভাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আরে এতো আলাপের কিছু নাই। ঘ্যাজম্যাজ ঘ্যাজম্যাজ কইরা লিখা যান......



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

অতিথি লেখক এর ছবি

"লেখকের নাম দেখে আমি লেখা পড়ি না। পড়ি লেখার নাম ও বিষয়বস্তু দেখে (রেটিং-এর দিকে তো তাকাই-ই না!)।"
সহমত।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী

niraalaa atithi এর ছবি

আরে আমি তো মন্তব্য করতে ও পারি না!

নুশেরা তাজরীন এর ছবি

আরে আমি তো মন্তব্য করতে ও পারি না!

এই পোস্টের সেরা কমেন্ট। নেন, একপিস কেক খান।
পাতে দেবার মতো লেখা লিখতে পারিনা, কেকই ভরসা।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍একটা কেক দিয়ে আর কদ্দিন চালাবেন? আর কতোজনকেই বা খাওয়াবেন? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নুশেরা তাজরীন এর ছবি

কয়টা চাই আপনার?
তবে মুশকিল হল কেক বাসী হওয়ার পর পোস্ট মডারেট হয় মন খারাপ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এমনিতেই যাবতীয় মিষ্টান্ন আমার প্রিয়, তাই ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍কেক বাসী হোক বা যা-ই হোক, কেকবাসী হতে চাই হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

হচ্ছেটা কী, অ্যাঁ???
সচলে এ কী দেখি!!!

(নাম প্রকাশে ভীত)

আলমগীর এর ছবি

সন্ন্যাসীদের জাগতিক কোন বিষয়ে আসক্তি থাকতে নেই যে। আপনের গুরু কে? দীক্ষায় গলদ আছে। তারে একটা কেক খাওয়াইয়া কথাটা বইলা আসি।

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে এসব কী দেখি!!!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কিছু কইলাম না আর
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে একটা মন্তব্য করব ভাবছি। মন্তব্য না পড়েতো আর মন্তব্য করা যায় না। কিন্তু মন্তব্য আর ফুরায় না.........। অবশেষে ফুরাল।
আমি সচলায়তনে খুবই নতুন।আমি যখন থেকে আসি সচলে সাহিত্য নির্ভর লেখাই বেশী।সাম্প্রতিক বিষয়ের উপর লেখা যে ছিল না, তা না। কিন্তু সব মিলিয়ে আমার ধারনা হয়েছে। সচলায়তন কবিতা, গল্প, ছড়া আর কৌতুক লেখার/পড়ার স্থান। কিন্তু আজ বিপ্লব ভাইয়ের লেখাটা পড়ে আগের সচল কে জানলাম। বিপ্লব ভাইকে অনুরোধ আনুন না সেই আগের দিন ফিরিয়ে ।

অভী আগন্তুক
-------------------------
যাহা লিখিব সত্যই লিখিব ।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ইয়ে, মানে... আমিতো কমেন্টের ওপরই কিছুটা ভেসে আছি ইয়ে, মানে...
আর সচলে আসলেতো সবার মজার মজার লেখা পড়তে পড়তেই ২-৩ ঘন্টা লেগে যায়।
--------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

খেকশিয়াল এর ছবি

বিপ্লব ভাই লেখে না কেন, খেলুম না !

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

বিপ্লব রহমান এর ছবি

বিনীতভাবে বলছি, এই লেখায় সচলের কাছে আমি শুধু আমার প্রত্যাশাটুকুই তুলে ধরতে চেয়েছি। তার মানে কোনোভাবেই এই নয় যে, আমি সাহিত্য-বিমুখ। আমি শুধু ব্লগে ব্যক্তিগত পাঠরুচির বিষয়টিই বলেছি।

আর যারা বৈচিত্রময় লেখা আমাকেই শুরু করতে তাগাদা দিচ্ছেন, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে করিয়ে দেই, সেই চেষ্টা অব্যহত ছিলো, এখনও আছে। নমুনা দেখুন এখানে দেঁতো হাসি

সময় পেলেই আবারও নতুন কিছু লেখা নিয়ে আসবো নিশ্চয়ই।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হিমু এর ছবি

সে কী পাঁচুদা! আপনি পুরান বোতল দেখাচ্ছেন কেন? নতুন কিছু ছাড়েন!


হাঁটুপানির জলদস্যু

শামীম এর ছবি

বৈচিত্রের জন্য একটা আপঝাপ লিখে ফেললাম। চোখ টিপি দায় দ্বায়িত্ব আপনার কইয়া রাখলাম ... দেঁতো হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হৃদিপদ্মে মম উত্তর যেন পাই...
বলেন এ কী হেরিলাম বিপ্লব ভাই,
উঠিলেন ফুকারিয়া কাব্য ও গদ্যের বিপরীতে...
কার হিতে?
কী নিয়া রবে তবে ক্ষুদ্র এ কয়টি অবোধ বালকেরা...
খসিয়া পড়িবে কি যত পক্ষীর স্বপ্ন পালকেরা?
কী দোষ করিনু মম,
মোরে ক্ষম, মোরে ক্ষম...
পারি না ধুনফুন বিনা ব্লগাইতে,
বিনা দুঃখে সুখ লাভ হয় কোন মহীতে?
কিঞ্চিত্ সাহিত্য করি মম, এই মোর অপরাধ?
তারপরও ব্লগাইবার ভীষণ মোর সাধ...

খাইছে! আপনেরে কমেন্টাইতে গিয়া আমি আবার সাহিত্যচর্চা শুরু করছি? বুঝছেন তো রোগটা কোন জায়গায়?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ঞঁ!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

স্পর্শ এর ছবি

এইকারণেই আমি শুধু আব্‌জাব লিখি !! দেঁতো হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেকদিন আসি না, তাই বেশি কিছু বলতে পারছি না...

জুয়েল বিন জহির

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।