তুমি অফিসকে বরাবরই গ্রাম বলে জেনে এসেছ।
না, শষ্য-শ্যামলা সুজলা-সুফলা গ্রাম বা এ সব গ্রামের সহজ-সরল মানুষের কথা হচ্ছে না। এখানে বলা হচ্ছে, শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় কথিত নানান গল্পকথায় যে গ্রাম্য জীবনের কুটিল ও জটিল মানুষের কথা ফুটে উঠেছে, তার-ই কথা।
এখন মিডিয়া পাড়ার অফিসে অফিসে ঢুকে পড়েছে এই সব গ্রাম্যতা, আর ভিলেজ পলেটিক্স। একেকটি বড় মিডিয়া হাউজ মানেই তোমার ভাষায়, একেকটি বড় গ্রাম। এখানেও গ্রাম্য জমিদার, জোতদার, উমেদার -- ইত্যাদি সবই আছেন। আছে বাগান বাড়ি, জলসা ঘর, এমন কী আছেন রাজলক্ষীর মতো মক্ষীরানীও।
আর নিজস্ব ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে গ্রামের এই সব বড় বড় মাথারা নানান কূট-কাচালি চালেন। তাদের মোসাহেবরা শব্দ-লাঠি নিয়ে লাঠিয়ালের ভূমিকায় প্রায়শই আবির্ভূত হন। আবার কখনো হন ঠগি বাহিনী।
*
অফিস নিয়ে গ্রাম সম্পর্কিত তোমার ওইসব ধ্যান-ধারণা অবশ্য অনেকদিন আগেই পাল্টেছে।
পাশের ব্লগে হোসাইন তার খেরোখাতায় লিখেছিলেন --পাগলা হোসাইনের বস্তিবাস।
এই সব দেখে তুমি ভাবিত হও। আরে তাই তো! এখন অফিস মানেই তোমার মনে হয় এই রকম বস্তিবাস। অর্থাৎ খানিকটা গ্রাম, খানিকটা শহর।
বস্তিতে যেমন বিজলি বাতি, ওয়াসার কলের লাইন থাকে, আবার একই সঙ্গে থাকে গ্রামীণ জীবনের লাউয়ের মাচা, এক চিলতে উঠান-- অফিস ভবনও এখন তোমার কাছে একেকটি বস্তি। এখানে বস্তি জীবনের সবটুকু নোংরামি, প্যাঁচপ্যাঁচে কাদা, অন্ধকার আর হীনমন্যতা মিলেমিশে কী চমৎকার বসবাস করছে!
এখন যত বড় মিডিয়া হাউজ...সেখানে ততটাই বিজলি বাতির ঝলকানি আর বস্তির যা-কিছু ইতরামি-সব কিছুর একসঙ্গে এসে অপবিন্যাস্ত হয়েছে নিপুনভাবে-- এমনটাই আজকাল তুমি ভাবতে শিখেছো।
তুমি সহজেই তুলনা দিতে পারো, এক সময় খুব কাছ থেকে কিছুটা দেখা টিটিপাড়ার রেল লাইন-বস্তি। আর দমিনেক লা পিয়েরের ‘আনন্দনগর’ এ বলা অন্য এক নরক জীবনের সঙ্গে। সেই যে রিকশা ওয়ালার জীবন জীম্মি করতে করতে বস্তির শেঠ-বাহিনী জীম্মি করে ফেললো কী কোমল কিশোরীকে!
*
তুমি এক সময় ভাবতে, তথ্য-সাংবাদিকতার দারুণ সব উৎকর্ষতার কথা। ভাবতে স্টার রিপোর্টার সুবির ভৌমিক, আতাউস সামাদ, মার্ক টালি আর সাইমন ড্রিং! আর এখন?
এখন শুধুই লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন, প্যাকেজ, প্যানেল, ফুটেজ, ইন-ভিশন আর উভ+সিংক!
টিকে থাকাও তো এক যোগ্যতা হে! স্ট্রাগল ফর সার্ভাইবাল--অস্তিত্ববাদের সংগ্রাম!
কিন্তু দেখো, তুমি ভদ্র, তুমি উচ্চস্বরে চিৎকার করে কথা বলো না, তুমি অহিংস; অর্থাৎ তুমি বেশ খানিকটা ঊন, যোগ্যতায় খাটো, পাথর ছোঁড়াছুড়ির খেলায় তুমি অনেক পিছিয়ে আছো এবং তুমি অচল।
না হে ...সেই শৈশবে নকশালাইট বাবার কথা শুনে এতো বছর ধরে প্রতি সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময় তোমাকে যে --বিপ্লব--দিয়ে এসেছি, এখন আমি সব কিছু একেবারে ফিরিয়ে নিচ্ছি। তারচেয়ে তুমি বরং মরো, তুমি কচু খাও; হে ভগবান, একটা পিলে যাক পেটে ওর ঢুকে!...
মন্তব্য
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে বিপ্লব ভাই। এ নিয়ে আফসোস করা মানেই দুঃখটাকে আরো উসকে দেয়া, বেদনাটাকে আরো বাড়িয়ে তোলা। তবুও এইসব বাঁচিয়ে ভালো থাকুন আপনি। এরচেয়ে আর কীইবা বলতে পারি এই আকালের দিনে, শুধু মিছে সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কোন লাইন টা ধরবো কোন অংশটা যে উদ্ধৃত করবো বুঝে উঠতে পারছিনা, তবে প্রত্যেকটা অংশতেই চুম্বক তথ্য ! কয়েকবার পড়ে দেখলাম উদ্ধৃত করলে পুরা লেখাটাই আবার মন্তব্যে দিয়ে দিতে হয়। তারচেয়ে বরং (বিপ্লব) দিয়া গেলাম।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
"রোমে দ্বিতীয় ব্যাক্তি হবার চেয়ে নিজ গ্রামে মোড়ল হওয়া ঢ়ের ভাল"
সময় থাকতে নিজে কিছু একটা করার চিন্তা করুন, যত ছোটই হোক। যাতে নিজের আবেগের মুল্য অন্তত নিজে দিতে পারেন এবং যা ঘৃনা করেন তার থেকে অনেক দুরে থাকার জন্য যুদ্ধ করতে পারেন। চেষ্টা করলেই হবে, মানুষের ক্ষমতা অপরিসীম। আশা হারাবনে ন। একবার যখন মানুষের সন্মিলিত কু-রূপ দেখে ফেলেছেন, একে মেনে নিতে থাকল নিজেকেই কোনদিন হারিয়ে ফেলবেন।
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
ইহা একখানা বিপ্লব কাব্য রহমান কবি হইল
০২
উন্মুক্ত বাতাস আর আন্ধার চিপা দুই স্থানই বাঙালির কাব্য চর্চার উৎস
আবারও প্রমণিত হইল
০৩
মাত্র গতকালই সচলায়তন নোটিস দিলো- আর কাব্য চাই না
আর বলতে না বলতে কাব্য বিরোধী বিপ্লব রহমানও কবি বনে গেলেন
(বাঙালি বিদ্রোহ করতে পছন্দ করে???)
০৪
গোলাম হোসেন চরিত ভালো হয়েছে
মিডিয়ার বড়টা হলো ডাকাত ছোটোগুলা চোর, চোরের গ্রাম্যতা আর ডাকাতের কর্পোরেট ক্যানভাসার চেহারার মধ্যে গ্রাম্যতা গালি দেব, কর্পোরেটকে ভয় পাব।
এভাবেই তো চলছি....
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
বিপ্লব রহমানিয় হইলো বেশ... দারুণ লেখা... (বিপ্লব)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিপ্লব গাঁথা বটে।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
হ দারুন হইছে। তবে রঙ্গশালার রঙ্গ চলতেই থাকবে। এইটা কোনদিন থামবে না। "গোলাম হোসেন উপায় নাই"
-------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ট্যাগ "ব্লগরব্লগর" হইলেও ইহা একখানা বিপ্লব রহমানিয় কাব্য বলিয়া অনুমিত হয় । বরাবরের মতো বিশেষ কিছু বলিবার নাই ..
জনশ্রুতি আছে বিপ্লবেই মুক্তি.. তাই (বিপ্লব)
অসাধারন। কি করবো বলেন তারপরও এ জীবন নিয়েই চলতে হবে।
তবু-
আবার সকাল আসে- ওরা স্নান করে যায়
চোখের জল কিংবা পানি-
সে তো নোনতা-ই থেকে যায়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অদ্ভূত আঁধার এক এসেছে পৃথিবীতে আজ.....
বিপ্লব ভাই, আপনার লেখা পড়ে জীবনানন্দ দাশের এই সত্যটাইকেই বার বার উপলদ্ধি করছিলাম।
--আকতার হোসেন
মচেৎকার হইছে বিপ্লব ভাই। পড়তে এতো দেরী করলাম কেন বুঝলাম না। আপনারে আসলেই বিপ্লব।
দৃশা
তারে তাই তো! উপায় নাই গোলাম হোসেন!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কয় পেগ চড়াইলে এইর'ম ল্যাখা বাইর হয়? আমিও ল্যাখুম!!
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
তাই? @ শ্যাজাদি
----
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন