কাল দুপুর থেকে গভীর রাত,পরে ঈদের ভোর থেকে এই এখনো, মোবাইল ফোন উপচে পড়ে একের পর এক এসএমএস তথা ঈদ মোবারক-বার্তায়। বছর দশেক ধরে মোবাইল রিং টোন-এর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সাইলেন্স মুড সব সময়। প্রায়ই অতি জরুরি কল থেকে যায় নাগালের বাইরে, কখনো ব্যস্ততায়, আবার কথনো অবহেলায়। তো মিসড কলগুলোকে বেছে বেছে আবার জবাবহিদিসহ ব্যাক করা হয় বটে।
কিন্তু কী এক অদ্ভুদ কারণে এসএমএস উপেক্ষা করা যায় না। নগদ ফিরতি জবাব দেয়া চাইই, চাই। ...এমন কী অচেনা কেউ হলেও। হুমম...একে কী বলা যায়? নিছক অক্ষর প্রীতি, না অক্ষরের নেপথ্যের মনছবিতে মুখ ও মুখোশ দেখার চেষ্টা?
না কী এর নেপথ্যে সক্রিয় কোনো নিগুঢ মনোস্তত্ব-বোধ?
তো ঈদ-এসএমএস সাধারণত যেমন হয়ে থাকে, অধিকাংশ তেমনই:
হে মহান সাংবাদিক নামক ভিনগ্রহের প্রাণী (অগ্রীম ক্ষমা মার্জনা।'দেবতারা কী ভিনগ্রহের প্রানী?'...দানিকেন কথিত রূপকথাটির এক্ষুনি অবসান জরুরি)!
এই ঈদের আনন্দ যেনো সারা বৎসব জুড়িয়া তোমর ওপর বর্ষিত হয়। কল্পনাতীত সাফল্য যেনো তোমার ঝুলি উপচাইয়া পড়ে। আর পরিবার-পরিজন নিয়া তুমি পরম সুখে-শান্তিতে বসবাস করো--ইত্যাদি, ইত্যাদি।...
কিছু এসএমএস জ্ঞানবাদী, গতানুগতিক। আবার কিছু খুব বেশীমাত্রায় কাব্যময়, মায়াময়...এর আবেদন এতোটাই বেশী যে...না থাক। এ বিষয়ে এখানেই থামা ভালো; ব্যক্তি ব্লগীয়গণ্ডির বিষয়ে সাম্প্রতিক শরিয়তে নিষেধ আছে বৈকি!
তার চেয়ে বরং ব্লগরব্লগর প্রসঙ্গে ফেরা যাক।
ঈদ-এসএমএস প্লাবনের মধ্যে একটি বেশ খানিকটা ভাবিত করে; ভোর থেকে শুরু করে নিরন্তর, কোনো এক গোপন কৌশলে, কোনো না কোনো ফাঁকে এসএমএস মহাশয় হুডিনির ভোজবাজী, এমন কী ঘুনপোকার মতো কুট কুট করে কেটে চলেন করটির খোল। আর এতে বলা হয়:
ব্যাগ ভরে টাকা নিয়ে
পকেট ভরে আনবো বাজার
ধরবো মূল্যের এই গতিটা
ঈদটা হবে দারুন মজার।
কারাবন্দী দূর্নীতিবাজ
জামিন পেয়ে সংলাপে আজ
বিচার বিভাগ স্বাধীন বটে
'এসো বাংলাদেশ গড়ি' অকপটে।
এক-এগারোর মঞ্চপালা
দারুন হলো, কাটলো বেলা
কেউ নেই আর কারাগারে
দুদুকের লাশ হিমাগারে।
দেখনি যখন ঘুঘুর ফাঁদ
হাতে তুলে নাও ইচ্ছে-চাঁদ
নাট্যকারদের জয় হোক
ঈদ মুবারক, ঈদ মুবারক!
---
পুনশ্চ: এর ফিরতি এসএমএস-এ লেখা হয় অনেক কিছু; কিন্তু শেষ পর্যন্ত বার্তা হয়ে ওঠে না কিছুই।
মন্তব্য
জ্বি ভাইজান
আপনারা সাংবাদিক মানুষ
পুলিশও আপনাদের ভয় পায়
আর জনগণ তো বাপের থেকে বেশি সম্মান করে
তাই অত এস্এমএস আর ফোন
কিন্তু আমাদের মতো হতভাগারা দুই দুইটা ফোন সারাদিন রাত পাহারা দিয়েও যখন দেখে কোনো সাড়াশব্দ নাই তখন নিজেই এক ফোন থেকে আরেক ফোনে রিং করি কিংবা এক ফোন থেকে আরেক ফোনে এসএমস করি আর উত্তর দেই...
মন্তব্যে জাঝা।
আমার তো দুইটা ফুন নাই,
তাইলে আমি কই যাই?
*******************************
আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে, অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি, আমি বারেবার আসব ফিরে
আমারে আগে কন নাই ক্যা ? আমারও তো হেই অবস্থা।
গিন্নীকে কাইল থাইকা আইজ পর্যন্ত কয়েক হাজারবার রিং দেয়ার চেষ্টা করেছি কেবল এই কথাটা জানানোর লাইগা। মাগার গ্রামীণের নেটওয়ার্কে ঠাঠা পড়ছে। এখন পর্যন্ত একবারও কল ঢুকাইতে পারি নাই। সিলেটটা কি গ্রামীণের বাংলাদেশ থাইকা নাই হইয়া গেলো ! একদিকে কাইল থাইকা টিভির ডিশ লাইনে ঠাঠা পড়ছে, আর এইদিকে গ্রামীণের নেটওয়ার্ক। ভাগ্যিস সচলায়তন হাতের নাগালে ছিলো !
তয় আপনের মোবাইল নিশ্চয় গ্রামীণের না। নইলে নিজের মধ্যেই এতো চালাচালি করলেন কী করে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঞঁ!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হাহাহাহাহ প্রান খুলে হাসলাম দাদা। লীলেনদা আপনি গ্রেট। এখন থেকে নামটা একটু লম্বা করেন, লীলেন বীন।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ
আপনার বুদ্ধিতে নামের সাথে বিন লাগই আর পাবলিক নিজ দায়িত্বে বিনের আগে ডাস্ট যোগ করে আমাকে ডাস্টবিন ডাকুক...
কঠিন।
জট্টিল!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমি কাল সারাদিন জ্বরে কো কো করেছি আর কেঁপেছি। কাক পক্ষীও খবর নেয়নি!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নিশ্চয়ই আপনি কাক-পক্ষিহীন এলাকায় বাস করেন !
এজন্যই বোধকরি গুরুতর রোগীদের জন্য জঙ্গলই উত্তম জায়গা। কাক-পক্ষির অভাব হবে না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এক-এগারোর মঞ্চপালা
দারুন হলো, কাটলো বেলা
কেউ নেই আর কারাগারে
দুদুকের লাশ হিমাগারে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভাইরে, এখন বার্তার যুগ
চিঠিতে নয়, মোবাইলে
এ এমন কঠিন বিষ
শান্তি নাই না খাইলে।
থার্টি ফার্স্ট, কি বৈশাখে
ভ্যালেন্টাইন, কি ঈদ
মুঠোফোনে বার্তা দেবে
আপন, পর, সুহৃদ।
প্রতিভা খোঁজে ভোট দেবেন
পাঁচটা কিংবা দশটা
সন্দেশ বা ভাগ্য দ্যাখেন
মুঠোফোনটাই সস্তা।
থ্যাঙ্কু জানান, শায়ের লেখেন
বার্থডে শুভেচ্ছা
ইনসাল্ট করেন, জোকস পাঠান
লিলিপুটে কেচ্ছা!
'শ ষাটটি অক্ষরে
করুন কাব্যচর্চা
নাই যদি পারেন তবে
দু'টো টাকাই গচ্চা।
ছড়য় (বিপ্লব)
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এসএমএস দেখলে মনে হয় ভালৈতো, পাব্লিক আমাকে মনে রাখছে......কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই ঘটনা সেইটা না। এসএমএস যায় কন্টাক্ট গ্রুপ ধরে......কাজেই......
তবু বছরে একদুই বার ই তো। এইটুকু মেনে নেয়া যায়......
উফ... গত দুইদিনের প্রবল যন্ত্রনার নাম এসএমএস... কি জটিল জটিল সব এসএমএস... আমি অধিকাংশই পড়ি না... নাম দেখি তারপর ডিলিট।
আমি এইবার কাউরেই এসএমএস পাঠাই নাই ঈদের
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটা ছিলো এরকম/
"চারিদিকে গোলাগুলি
করছে বাজে পোলাগুলি
এরই মাঝে সেরে ফেলি
এসএমএস কোলাকুলি।"
অ্যাঁ!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হাহাহা! দ্যাটজ দা বেস্ট ওয়ান এভার!
যে লিখছে তার ইমাজিনেশন আছে!
এস এম এস একটা শিল্পের পর্যায়ে পৌছে গেছে। বিলাতে আবার নানান রকমের বাহারী রঙ্গীন ভিডিও বার্তা এনিমেটেড এস এম এস আসিয়া মোবাইল একাকার ।ইন্টারনেটে মাইষে বইস্যা গ্রুপ এস এম এস মারে... শেষ মেষ মোবাইলে জ্যাম লাইগ্যা হার্ড ডিস্ক ভর্তি হইয়্যা গেছে। আমি নতুন এস এম এস পাওয়া থেকে মুক্তির জন্য আর পুরাতন এসএমএস ডিলিট করে জায়গা খালি করিনাই। এখন বাসে বসে কিংবা পাতাল রেলে উঠে অবসরে অল্প অল্প ডিলিট মারতাছি...
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
শশশ্..ফিটার লীলেন শুনলে বকবেন!
---
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন