সেই আশির দশকে প্রথম যৌবন বেলায় তোমার ঘাড়েও চেপেছিলো কবিতা আর লিটল ম্যাগের ভূত; ওই বয়সে যা হয় আর কি! কবিতা তোমায় ছেড়ে গেছে সেই কবে, এমন কী লিটল ম্যাগও (সেই বয়সে যা হয় আর কি!)।
তো এ হেন কাণ্ডকারখানা করতে করতে লেটার প্রেসের সঙ্গে তোমার পরিচয়...ঊনপ্রেম ছাপাখানার ভূতের সঙ্গে। ...সেই থেকে চিটচিটে ঘামের মতো সে তোমার সত্তায় লেপ্টে আছে...মিশে আছে...দ্রুত গতিতে তুমি যখন অক্ষর টাইপ করো, সেগুলোকে কালো হরফে ছেপে দিয়ে পোষা কুকুরের মতো ল্যাজ নেড়ে সে বলে, ওহে ভাই সাংবাদিক, আমি কিন্তু আছি, সত্যিই আছি, আছি হে!...
*
নব্বইয়ের এরশাদ সরকার বিরোধী ছাত্র গণঅভূত্থানের উত্তাল সমূদ্রে তোমার ঝাঁপিয়ে পড়া। লিফলেট, পোস্টার, ট্যাবুলয়েড কাগজ 'ছাত্র আন্দোলন', 'জনযুগ'...ইত্যাদির প্রকাশনায় লম্ফ-ঝম্ফ বেশ। ...ছাপাখানার দেশি কালো কালি প্রায়ই লেপ্টে যায় আঙুলের ছোপে। কালিটুকু মাথায় মুছে নিলেই হয়, খালি জামায় না দাগ ধরে; মা বকবে যে।...
সাপ্তাহিক পত্রিকায় রিপোর্ট করতে করতে একের পর এক দৈনিক বদল, সেখান থেকে দ্বিভাষী বার্তা সংস্থা কাম অনলাইন দৈনিকে চার বছর পেরিয়ে টিভি নিউজের সংক্ষিপ্ত বস্তিবাস শেষে আবারো ছাপাখানার ভূতে প্রেমে!...টানা প্রায় দেড় দশকের স্ট্রাগল ইন সায়েন্স। রিপোর্টার থেকে পোর্টার।
আর দেখো এই তিন দশকে কি উল্লম্ফনই না ঘটে গেলো চোখের সামনে, কী বিস্ময়কর প্রযুক্তি এখন ছাপাখানায়! সেই সীসার হরফ...কাঠের ব্লক থেকে প্লাস্টিকের ব্লক। তার পর লাইনো গ্রাফ, মনো গ্রাফ...অবশেষে অফসেট প্রেস ...ডিমাই, ডাবল ডিমাই...শেষে কী না একেবারে গজ মেশিন! ওই লিথোগ্রাফই একটু ঢেলে সাজানো...দ্রুত গতির।...
আর লেখালেখিতেও কী চমৎকার মুন্সিনায়ানা...নিউজ প্রিন্ট বল পয়েন্ট থেকে টাইপ রাইটার, পরে অ্যাপেল মেকিনটস, আইবিএম, ক্লোন কী ব্র্যান্ডেড কম্পিউটার...পেন্টিয়াম এক, দুই, তিন, চার (ক্রমশ)...
*
দুই মাস বার দিনের বিগত বেকার জীবনের এক বিকেলে, এক সাবেক কমরেড (লাল কম?), এখন রাজনীতি কপচানোর সুবাদে তিনিও সাংবাদিক, বইমেলার বারোয়ারি ভীড়ের ভেতরে তোমায় সেই অনিবার্য প্রশ্নটি করেন, পথিক, তুমি কী পথ হারাইয়াছো?...
তুমি শান্ত গলায় তার চোখে চোখ রেখে বলেছো, আমি জানি, নিশ্চিত জানি, আমি কোথায় যাবো।...কিন্তু তুমি কী জানো, তুমি কোথায় যাবে?
উত্তর মেলেনি সাবেক কমরেড কাম সাংবাদিক সহকর্মীর। ...তাই তুমি আর দ্বিতীয় প্রশ্ন করো না; সেটি অনুচ্চারিতই থেকে যায়।...
---
কার্টূন সূত্র: আলেক্সান্দ্রভ, সহ ব্লগার সুজন চৌধুরী।
মন্তব্য
পুনশ্চ: অনুচ্চারিত দ্বিতীয় প্রশ্নটি জাতক-কাহিনীর।
...তথাগত একদিন বনের ধারে বেড়াইতেছিলেন। দেখিলেন এক শিকারী অনায়াসে পায়রার ঝাঁকে শর নিক্ষেপ করিয়া একটি পক্ষী শিকার করিলেন। শরবিদ্ধ পক্ষীটি বুদ্ধ পায়ের কাছে ঝুপ করিয়া পড়িলো। তিনি পায়রাটিকে আলগোছে হাতের তালুতে নিলেন। টপটপ করিয়া পায়রাটির কোমল দেহ হইতে উষ্ণ রক্ত ঝরিতেছে। পক্ষীটি মৃত্যূ যন্ত্রণায় ছটফট করিতেছে।
বুদ্ধ শিকারীটিকে প্রশ্ন করিলেন, কে বেশী যন্ত্রণা পাইতেছে, শর, না কী শরবিদ্ধ পক্ষী?...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
পথের মাঝে পথ হারালে আর কি পাওয়া যায়?
জটিল প্রশ্ন হে সাঁই! পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমাদের মতো ইনএনপিএস, অক্টোপাস, এফসিপি ঘাঁটা সাংবাদিকদের আপনি বলতে পারেন অ্যাব্রিভিয়েটেড সাংবাদিক। আমাদের অর্ন্তদৃষ্টিও সংক্ষিপ্ত।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বেশ খানিকটা দ্বিমত। আমাদের টিভি সাংবাদিকতায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রায় হয়ই না।...একারণে আপাতঃদৃষ্টে এমনটি মনে হতে পারে; তবে একদিন নিশ্চয়ই এ অবস্থা থাকবে না।...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আহা, সাংবাদিক জীবন কত্তো মজার...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সাংবাদিক জীবনের শুধু মজাটুকুই দেখলেন রণোদা; উপসর্গের যাতনাটুকু দেখলেন না!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হুম...শুভ কামনা রইল বস্
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সবটাই কি বুঝিলাম?!!
আপনি কেমন আছেন বিপ্লব ভাই?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আমি এখন ভালোর চেয়ে ভালো আছি রে ভাই। ছাপাখানার ভূত আবার ছাপাখানায় ফিরেছে। যোগ দিয়েছি আবেদ খান সম্পাদিত প্রকাশিতব্য দৈনিক কালের কণ্ঠে।...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
শুভ কামনা রইল ।
পার্টি কবে , কখন দিচ্ছেন জানাইয়েন কিন্তু ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
কান্নাকাটি কইরা লাভ নাই ভাইজান
কারেন্টজালের কাছে গিয়া যেই মাছ বেশি লাফালাফি করে সেই মাছ আরো বেশি আটকায়
০২
জয়তু গোলাম হোসেন বলে কারেন্ট জালরে সালাম দিয়া ঘাপটি মাইরা বইসা থাকেন
জাউলা জাল তুলার সময় দুয়েকটা মাছ কিন্তু আবার পানিতে যাবার সুযোগ পায়
হইলেও হইতারেন আপনি সেই মাছ
ধন্যবাদ @ আ. সা. শি @ নূরুজ্জামান মানিক।
জয়তু গোলাম হোসেন @ ফিটার লীলেন।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন