গণমাধ্যমে প্রায়ই মজার মজার কিছু সত্যি ঘটনা ঘটে। এ সব কখনো কখনো প্রচলিত হাস্য কৌতুককে হার মানিয়ে দেয়। আবার এসব প্রেস জোকসের নেপথ্যে থাকে কষ্টকর সাংবাদিকতা পেশাটির অনেক অব্যক্ত কথা। এমনই কিছু বাস্তব ঘটনা নিয়ে এই 'প্রেস জোকস' পর্ব।
ট্যাক্স ফ্রি
--------
বিখ্যাত ফটো সাংবাদিক মোহাম্মাদ আলম (কিছুদিন আগে প্রয়াত) ভাইয়ের ঘটনা। ১৯৭২-৭৩ সালে আলম ভাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী। পানপ্রিয় আলম ভাই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সাথে মস্কো সফর শেষে দেশে ফেরার সময় সাথে নিয়ে এসেছেন এক বোতল রাশান ভোদকা। তো তেজগাঁ বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা কিছুতেই তাকে ছাড়বেন না। তারা ভোদকার জন্য ট্যাক্স দাবি করে বসলেন। এদিকে আলম ভাই কর্পদশুন্য।
তিনি যতই মুক্তিযোদ্ধা ফটোসাংবাদিক হন বা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ফটোসাংবাদিক হন, কাস্টমস কর্মকর্তারা নাছোড় বান্দা। আলম ভাই কিছুতেই তার কোনো ক্ষমতা ফলাতে না পেরে শেষে সবার সামনে বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই ভোদকার বোতলে মুখ দিয়ে একটানে বোতল খালি করে ফেললেন। তারপর ঢেঁকুর তুলে ঢাকাইয়া উচ্চারণে বললেন, এইবার কী যাইতে পারমু? পেটের ভিতর ভুদকা থাকলে তো আর ট্যাক্স দেওন লাগবো না, না কী?
চট্টগ্রামে কেজি অচল
----------------
এরশাদ আমলের কথা। দৈনিক সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার জাফর ওয়াজেদ ভাইকে সম্পাদক কেজি মুস্তফা ঢাকা থেকে হঠাৎ করেই বদলী করলেন চট্টগ্রাম অফিসে।
জাফর ভাই তো মহা বিরক্ত। তিনি এটিকে পানিশমেন্ট পোস্টিং হিসেবে মনে করলেন। একে তার সব নিউজ-সোর্স ঢাকায়; তার ওপর তিনি চট্টগ্রাম শহরটিকে ভালো করে চেনেন না, চাটগাঁইয়া ভাষাও বোঝেন না। যা-ই হোক, তিনি খবর নিয়ে জানলেন, কেজি ভাই রোববারে সাপ্তাহিক ছুটি কাটান। আর ওইদিনই তিনি চট্টগ্রাম থেকে একটি বিশেষ রিপোর্ট পাঠালেন, শিরোনাম 'চট্টগ্রামে কেজি অচল'।
ঘটনা হচ্ছে, মন-সের মাপের পরিবর্তে এরশাদ সরকার তখন সারাদেশে মেট্রিক পদ্ধতির কেজি-লিটার ইত্যাদি চালু করলেও চট্টগ্রামের হাট-বাজারে তখনো প্রাচীন পরিমাপ পদ্ধতি চলছে। এই নিয়ে ছিলো সেই খবর।
বার্তা সম্পাদক সেটি সরল মনে প্রথম পাতায় ছেপে দিলেন। পরদিন সকালে সম্পাদক কেজি ভাই কাগজ দেখে অফিসে এসে হাজির। গম্ভীর ভাবে এখানে-সেখানে পায়চারী করছেন। রাগে-দু:খে কিছু বলতেও পারছেন না। পরে বার্তা সম্পাদকের টেবিলে এসে ওই খবরটি আঙুল দিয়ে চিহ্নিত করে বললেন, এহ! এটা কোনো খবর হলো? এটি প্রথম পাতায় না দিলেও তো চলতো!
একটি অভিনব পদত্যাগ
------------------
গণমাধ্যম কর্মী মাত্রই জানেন, কর্মস্থল বদল করলে আগের অফিস বকেয়া বেতন-ভাতা দিতে চায় না। এমন কী বকেয়া টাকা আদায়ে মামলা করে বছরের পর বছর ঘুরেও পাওনা টাকা আদায় করা যায় না।
তো ১৯৯৯-২০০০ সালের ঘটনা। দৈনিক সংবাদের একেবারে পড়তি অবস্থা। ইত্তেফাক, জনকন্ঠ, ভোরের কাগজ, প্রথম আলোর তখন বাজার ভালো। আর সংবাদে চার-পাঁচ মাস করে সাংবাদিকদের বেতন বকেয়া পড়েছে; ওভার টাইমসহ অন্যান্য বিল তো আছেই।
এই সময় দৈনিক যুগান্তর প্রকাশ হবে। সংবাদের চট্টগ্রামের সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ ভাই যুগান্তরে ভালো বেতনে কাজ পেয়েছেন (এখন তিনি যুগান্তরের চট্টগ্রাম অফিসের বুরো চিফ ও বিশেষ সংবাদদাতা)। তো তিনি জানতেন, সংবাদ থেকে পদত্যাগ করলে বকেয়া বেতন-ভাতাসহ চার-পাঁচ লাখ টাকা তার লোকসান হবে। তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন, কী করা যায়?
সবুজ ভাই পরামর্শ করার জন্য ফোন করলেন ওনার সেকশন চিফ, মফস্বল সম্পদক কার্তীক চক্রবর্তীকে। কার্তীকদা তাকে বললেন, সবুজ, তুমি নতুন কাগজে ভাল বেতনে কাজ পেয়েছো, এটি তো খুবই খুশীর খবর। তোমাকে আন্তরিক অভিনন্দন। কিন্তু হুট করে চাকরি ছাড়লে তো তুমি সংবাদ থেকে বকেয়া টাকা-পয়সা কিছুই পাবে না। তাই আমি যেভাবে বলি, সেভাবে পদত্যাগপত্র জমা দাও।
সবুজ ভাই কার্তীকদার পরামর্শে একটি অভিনব পদত্যাগ পত্র ঢাকার অফিসে এক কপি ফ্যাক্সে পাঠালেন; আরেক কপি দিলেন কুরিয়ারে।
তিনি যা লিখেছিলেন, তা অনেকটা এ রকম:
বরাবর, সম্পাদক, দৈনিক সংবাদ, ঢাকা। বিষয়: পদত্যাগ পত্র। জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, ব্যক্তিগত কারণে আমি সংবাদ থেকে পদত্যাগ করছি। যেদিন থেকে আমার যাবতীয় পাওনা-দেওনা মিটিয়ে দেয়া হবে, সেদিন থেকে আমার পদত্যাগ পত্র কার্যকর হবে। নিবেদক...ইত্যাদি।
এরপর তিনি সংবাদে চট্টগ্রাম থেকে নিউজ পাঠানো বন্ধ রাখলেন। একের পর এক সংবাদে চট্টগ্রামের নিউজ মিস হতে থাকলো। বার্তা সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ভাই (এখন এটিএন বাংলায়) উপায় না দেখে ঢাকা থেকে টেলিফোনে ধরলেন সবুজ ভাইকে, কী সবুজ, চট্টগ্রাম থেকে নিউজ পাঠাচ্ছো না কেনো?
সবুজ ভাইয়ের সরল উত্তর, বুলবুল ভাই, আমি তো পদত্যাগ করেছি; তাই এখন নিউজ দিচ্ছি না। এখন আমার পদত্যাগপত্র আপনারা কী ভাবে কার্যকর করবেন, সেটি আপনাদের বিষয়।
বুলবুল ভাই সবুজ ভাইয়ের পদত্যাগপত্র নিয়ে সম্পাদক-প্রকাশকের টেবিলে দৌড়ালেন। এর পর প্রকাশক আহমেদুল কবির ভাই (প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক) ফোন করলেন সবুজ ভাইকে, বাবা, তুমি আজ রাতের ট্রেনেই ঢাকায় এসো। তোমার গাড়ি ভাড়া আমরা দেবো। তোমার সঙ্গে সামনা-সামনি কথা আছে।
বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ-সাংবাদিকের কথায় সবুজ ভাই ঢাকা এলে, কবির ভাই তাকে বুঝিয়ে বললেন, বাবা, এভাবে পদত্যাগ করলে তো আমাদের বিপদ; তুমি এটি ফিরিয়ে নিয়ে একটি সাধারণ পদত্যাগ পত্র জমা দাও। আমরা তোমার টাকা একবারে না হোক, কয়েক দফায় পরিশোধ করবো।
সবুজ ভাই, তা-ই করলে সংবাদ কর্তপক্ষ আস্তে আস্তে তার সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করে।
রাজু ভাই বৃত্তান্ত
--------------
মহিদুল ইসলাম রাজু ভাই (এখন এটিএন বাংলায়) তখন সংবাদের স্টার রিপের্টার। একই সঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি। তার মাথা একটু গরম হলেও তিনি লোক ভালো, আর সাংবাদিক হিসেবে তুখোড় তো বটেই।
রাজু ভাইয়ের একটি বদ অভ্যাস হলো, যেখানে-সেখানে মুখের মধ্যে গুল নেয়া (আমরা বলি, গুল মারা)। একদিন আমরা তখনকার ক্ষুদে সাংবাদিক কয়েকজন রাজু ভাইকে ধরলাম; তাকে বুঝিয়ে বললাম, রাজু ভাই, আপনি এখন সাংবাদিক নেতা। পাঁচতাঁরা হোটেল বা মন্ত্রীর এয়ারকুলার লাগানো ঝাঁ চকচকে অফিসে বসে আপনার গুল মারা এখন বেমানান। আপনাকে এই রিকশা-ওয়ালাদের নেশা ছাড়তে হবে।
রাজু ভাই পড়লেন বিপদে। বললেন, কী করি তোরা বলতো? অনেক বছরের পুরনো নেশা।...
আমি বুদ্ধি দিলাম, আপনি বেনসন সিগারেট খাওয়া ধরুন। দুটাই তো তামাক, আপনার নিকোটিনের চাহিদাও মিটবে, আবার স্মার্ট-নেসও থাকবে।
রাজু ভাই চা খাওয়ার পর সিগারেট খাওয়া অভ্যাস করলেন।
অনেকদিন পর রিপোর্টার্স ইউনিটির অফিসে গিয়ে দেখি রাজু ভাই, চা খেয়ে একটা পান মুখে দিলেন। এরপর আয়েশ করে একটা সিগারেট ধরালেন। আমি তো অবাক, রাজু ভাই, আপনি পান খাওয়া ধরলেন কবে?
আর বলিস না, সিগারেট ধরার পর দেখলাম চা খেয়ে একটা পান মুখে দিয়ে সিগারেট ধরালে দারুন লাগে। সেই থেকে পান খাওয়াটাও শুরু করলাম।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আর আপনার গুল মারা?
রাজু ভাই মাথা চুলকে বললেন, হেঁ হেঁ....সেটাও ছাড়তে পারিনি রে।
অর্থাৎ রাজু ভাই তখন গুল মারা, চা, পান ও সিগারেট--এই চারটি নেশাই সমান তালে চালাচ্ছেন!...
(চলবে?)
মন্তব্য
ভাল লেগেছে,
না, না খুব ভাল লেগেছে,
না, না অসম্ভব ভাল লেগেছে।
পরবর্তী পর্ব অবশ্যই চলবে।
অপেক্ষায় রইলাম।
সালাহউদদীন তপু
ভাল্লাগলো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
হা হা হা ! রাজু ভাই'র গুণের তিন-চতুর্থাংশ কি আমি না জেনেই আয়ত্ত করে ফেলেছি ! ইশ্ ! আর এক কোয়ার্টার বাকি !
হয়ে যাবে। কী বলেন বিপ্লব দা' !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ @ তপু @ ভুতুম।
হুমম...আপনিই ইয়োগা, মানে ইয়ে সুদেহী সন্ধানী? @ রনো দা।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
চলবে মানে! দৌড়াবে! খুব মজা লাগলো সবগুলাই
একটা কথা, সবুজ ভাইকে যদি পত্রিকা থেকে বরখাস্ত করতো, অথবা চট্টগ্রাম থেকে নিউজ না পাঠানোয় কিছুই না বলতো (কারণ উনি তো এমনিতেও অন্য পত্রিকায় কাজ করবেন বলেই ঠিক করেছিলেন), তাহলেই তো মনে হয় সবুজ ভাইকে ওই টাকা না দিলেও চলতো তাদের। তাহলে? (নাকি আমিই মনে হয় ঠিক বুঝতে পারছি না ব্যাপারটা)
ধন্যবাদ বিডিআর।
সবুজ ভাইকে সংবাদ কর্তৃপক্ষ সে সময় বরখাস্ত করলে, সংবাদপত্রের শ্রম আইন অনুযায়ী তাকে তিন মাসের আগাম বেতনসহ আরো বেশী টাকা বকেয়া পরিশোধ করতে হতো। আর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করলে চট্টগ্রাম থেকে তারা সবুজ ভাইয়ের নিউজ মিস করছিলেন। আবার সেখানে অন্য সাংবাদিক নিয়োগ দেয়াও বৈধ হতো না।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হুমম, এইবার জলবৎ তরলং
কয়েকটা জোক পড়ে বেশ কষ্ট পেলাম। গণমাধ্যমের চাকুরির এই নির্মম সত্য ঘটনাগুলো জেনে খারাপ লাগছে। তবে চলুক।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
এই সব বেতনহীনতা, বকেয়া টাকা পরিশোদ না করা মিডিয়ায় এখন ওপেন সিক্রেট।
আমার বলতে দ্বিধা নেই, আমার দুই সাবেক কর্মস্থল ভোরের কাগজ ও বিডিনিউজ-এ চার বছর করে কাজ করার সুবাদে কয়েক লাখ টাকা এখনো বকেয়া রয়েছে। এতোদিন পর বিডিনিউজ যৎসামান্য পরিশোধ করা শুরু করেছে!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমাদের জন্য যা কমেডি, সবুজ ভাইয়ের জন্য ছিল ট্র্যাজেডি।
দৌড়াবে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
চলুক
একটা কথা,আমি জানতাম জাফর ওয়াজেদের বাড়ী চিটাগাং
...........................
Every Picture Tells a Story
সবাইকে আবারো ধন্যবাদ।
মুস্তাফিজ ভাই, জাফর ভাইয়ের বাড়ি কুমিল্লায়।...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
চলবে?
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
ভাল্লাগলো পড়ে।
আপনার 'পাহাড়' বিষয়ক পরের কিস্তির আশায় আছি বলে রাখলাম এই সুযোগে।
রিপোর্টিং এর কাজে শিগগিরই পাহাড়ে যাচ্ছি...আশাকরি এর পর সচলে কিছু লেখা দেবো। আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ভাল্লাগ্লো ।
থ্যাঙ্কস।...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
থ্যাঙ্কস।...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ছোট ভুল- বুলবুল ভাই এখনও সংবাদে আছেন। নির্বাহী সম্পাদক। একই সঙ্গে এটিএন -এ ও।
টাকা আটকানো বিষয়ক ব্যাপারে সংবাদ এখনও ওস্তাদ পর্যায়ে আছে। তার শেষ বলি এই অধম।
জোকস্ ভাল লেগেছে।
-অর্জুন মান্না
ও হ্যা, বুলবুল ভাই একই সঙ্গে সংবাদেও আছেন।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হুমম
চলুক..
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
দারুণ মজা পেলাম কাহিনী পড়ে।
পরের পর্ব দ্রুত ছাড়েন!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমার বড়মামা দৈনিক সংবাদের সিলেট বিভাগীয় প্রধান ছিলেন প্রায় দুই যুগ। এর মধ্যে কতো আলো-কালো পত্রিকা এলো, প্রত্যেকেই ডাকলো তাকে-গেলেননা আদর্শ টাদর্শ কিসব কথা বলে।
ছাড়লেন যখন, তখন আদর্শের দায়মুল্য কয়েক লাখ টাকা।
রিয়েল লাইফ জোক্স, তাইনা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হারামজাদারা পয়সা দিতে পারবিনা তো পত্রিকার মালিক হবার খায়েশ করিস কেনো?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বস, আপনার জীবন থেকে দুয়েকটা ছাড়েন।
আমি যে দুয়েকজন সাংবাদিককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি তারা কখনোই ঠিকভাবে বেতন পাননি। আমি ভাবতাম এটাই সাংবাদিকতা পেশার নিয়ম।
ওহ বস! এসব তো ওই সাংবাদিকদের কাছ থেকেই শোনা আমাদের জীবন কাহিনী। ইচ্ছে আছে, আরো কিছু লেখার।
_________
আবারো সবাইকে ধন্যবা দ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ভোরের কাগজ এর কাছে বকেয়া বেতন ভাতা পাই ।
আর লেখার বিল পাই প্রথম-আলো , যুগান্তর , আমার দেশ এমনকি দৈনিক নয়াদিগন্তের কাছেও ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সংবাদের সম্পাদকীয় বিভাগের চিররঞ্জন সরকারকে তো টাকা তোলার জন্য এখন মামলা লড়তে হচ্ছে। প্রায় প্রতি মাসেই তাকে হাজিরা দিতে হচ্ছে কোর্টে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
'আরিফ জেবতিক ( অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারনে লগইন করার টাকা নাই ) '
----কেউ গার্মেন্টস জোকস্ লিখলে এটা জুড়ে দিয়েন।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ঞ!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ভোদকা খাবার গল্পটি একটু অবিশ্বাস্য লাগল। যদি সত্যি হয় তাহলে তিনিতো "পানের জগতে" নমস্য ব্যক্তি। আমি আজ পর্যন্ত বোতলে মুখ লাগিয়ে আস্ত বোতল সাবার করা মানুষ চোখে দেখা দূরে থাক নামও শুনিনি।
সংবাদপত্র জগতে সংবাদকর্মীদেরকে বঞ্চনার ইতিহাস অন্ততঃ বাংলাদেশে অত্যন্ত প্রাচীন। অথচ বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এই ব্যাপারে খুব কমই লিখেছেন। কমরেড, এই বঞ্চনার ব্যাপারে আপনি বরং একটা সিরিজ নামান। আপনার অভিজ্ঞতাও তো কম নয়!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আলম ভাইয়ের ভোদকা পানের কাহিনীটি কিন্তু সত্যি ঘটনা। যারা ওনাকে চিনতেন, তাদের কাছে এটি অবিশ্বাস্য নয়। ...
কমরেড়, সাংবাদিক জগতের এই সব বঞ্চনার কাহিনী আর কতো লিখবো? তাছাড়া লিখে কী এর সমাধান হবে? আমি তো এ-ও জানি, এক সাংবাদিক নেতা ও একটি পত্রিকার হর্তাকর্তা তার পত্রিকায় ঘোষণা দিয়েছেন, কারো যদি বেতন লাগে, সে যেনো ওই পত্রিকায় চাকরী না করে! বুঝুন অবস্থা!!
________
ধন্যবাদ সবাইকে।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
লিখে কী হয় আর কী হয় না তা কি অধম পাণ্ডব কমরেড বিপ্লব রহমানকে শেখাতে পারে? কমরেডের কর্মজীবনের পুরোটাই লিখে আর লেখার খোঁজে গেল।
যারা গোটা দুনিয়ার সবার বঞ্চনার কথা বাকিদের জানায় তাদের বঞ্চনার কথা মালিকপক্ষের চাপে অজানা থেকে যাবে? এব্যাপারে অনেক লেখা হয়েছে বলে মনে হয় না। বরং অনেক জরুরী জিনিষই আমাদের অজানা থেকে গেছে। অন্য পোস্ট দিতে না চাইলে কৌতুকের ছলেই না হয় বলুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমি একদা ভোরের কাগজে প্রদায়কগিরি করেছি। সেই প্রদায়ক কালের কিছু টাকা এখনো তাদের নিকট পাওনা আছে। পাওনা উদ্ধারে কিছুদিন ঘোরাঘুরি করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি, কিন্তু তারা পরিশোধের বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায় নি।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
- আমি আগে জানতাম না সাংবাদিক মহলের এই হাল। খুবই সাম্প্রতিক এটা জেনেছি, জেনে নাখোশ হয়েছি। বেত্তমিজ পত্রিকার মালিককূল!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাল লাগলো।
সাংবাদিকদের বেতনের অবস্থা শুনে খারাপও লাগলো যদিও। কিছু একটি করা উচিত আপনাদের সম্মিলিত হয়ে। আপনারা সবাই তো বুদ্ধিমান মানুষ, করেন না কেন?
সিরাত, ভাই মাইন্ড কইরেন না । এইটা চার্লি চ্যাপলিনের হাসি । গড়াগড়ি দিয়ে হাসির কারন অন্য কেউ ব্যাখ্যা করবে, অপেক্ষা করেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হুমম...এই হাসির ব্যাখ্যা বোধহয় এটিই যে, সাংবাদিকরা কখনোই যুথবদ্ধ নন; হতেও পারেন না।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এইবার কী যাইতে পারমু? পেটের ভিতর ভুদকা থাকলে তো আর ট্যাক্স দেওন লাগবো না, না কী?
একটানে উনি এক বোতল ভোদকা খেতে পারলেন ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তাতা আপু, তাই তো হয়েছিলো!
---
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমার প্রশ্ন হল, তারপরে কী উনি বাড়ি যেতে পেরেছেন নাকি কেউ পৌছিয়ে দিয়েছে?
সিরিজ টা চরম হচ্ছে। চলুক
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন