হাউমাউ খাও
কাকেরা কাকের মাংস খায় না বটে, তবে গুহা মানবেরা কখনো কখনো মানুষের মাংস খেতো, নৃতাত্ত্বিকরা অনেকে এ বিষয়ে একমত। তখন দুর্ভিক্ষ বা টানা তুষার-ঝড় চলাকালে খ্যাদাভাব দেখা দিলে মৃত মানুষ, এমন কী অক্ষম বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খুন করে খেয়ে ফেলা বিচিত্র ছিলো না।
উপজাতীয় (আদিবাসী নয়) গল্পকথার ইতিবৃত্ত ঘেঁটে দেখতে গিয়ে জানতে পাই, আফ্রিকার এক উপজাতীয় গোষ্ঠি সপ্তদশ দশকেও নর-মাংষ খেতে অভ্যস্ত ছিলো। পরে খ্রিষ্ট ধর্ম নিলে তারা এই অভ্যাস ত্যাগ করে। তবে অষ্টাদশ শতকে এক নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ নিতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই ব্যক্তিটির স্বাভাবিক মৃত্যূর পর স্বজনরা তার মৃতদেহ সৎকার না করে খেয়ে ফেলেছিলো! পাদ্রি এই ‘অধর্মের’ কারণ জানতে চাইলে তারা বলেছিলো, ফাদার, মানুষের মাংস খাওয়া অধর্ম, এমন কোনো কথা বাইবেলে বলা নেই!
বাফেলো সোলজার
আদিম সাম্যবাদের যুগে নর-মাংস খাদকদের অধিকাংশের অভ্যাস পরিবর্তন ঘটে, এমনটি ধরেই নেয়া যায়। তবে মানুষ জ্যান্ত মানুষকে পশুশ্রমে বাধ্য করা শুরু করে...আর এর নাম দেয় দাস, কৃতদাস; ও হ্যাঁ প্রচুর কৃতদাসীও ছিলো। আর তাদের ছেলে মেয়েরাও বংশপরম্পরায় হতো কৃতদাস।
যীশুর জন্মের প্রায় দুহাজার বছর আগেও ছিলো কৃতদাসত্ব। মিশর, রোম, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য--এই সব সুমহান সভ্যতার জয়-জয়াকার তো কৃতদাসের রক্ত ও ঘামেই।
১৮৮৪ র মার্ক টোয়েনের ‘অ্যাডভেঞ্চার অব হাকেলবেরি ফিন’ আমেরিকায় কৃতদাস বিদ্রোহকে উস্কানী দেবে--এই আশঙ্কা ছিলো অনেকদিন। আর অনেক এলাকাতেই বইটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা হয়েছিলো বাউণ্ডুলেপনাকে আস্কারা দেয়ার অভিযোগে।
এই সেদিনও ভারতবর্ষ শাসন করে গেছে যে মুঘল সাম্রাজ্যবাদ, আফ্রিকা থেকে শিশু চুরি করে তাদের কাফ্রি দাস-দাসী বানানো হয়নি, এমন কথা কীভাবে বলি? আর উপপত্নী, বাঈ ও অন্যান্য গোপিনীবালা তো যৌনদাসত্বের এক দীর্ঘ ইতিহাস। এখনো বিশ্ব জুড়ে গনিকালয়ের যে অন্ধকার, সেখানে তো একই দাসত্বের সিফিলিস ও এইডস-এর পোকার কিলবিলে চাসবাস। ...
তো ‘কেরী সাহেবের মুন্সিতে’ও ব্রিটিশ আমলের শুরুতে কড়ি দিয়ে মানুষ কেনা-বেচার কথা পাই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজিরা ইহুদি ও যুদ্ধবন্দিদের কৃতদাসের জীবন বেছে নিতে বাধ্য করতো। আর কিছুদিন আগেও আরব শেখেরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে উটের জকি হিসেবে ব্যবহার করেছে কিনে নেয়া শিশু। শিশুর কান্নায় নাকী উটের দৌড় জমে ভাল, তাই এই নিষ্ঠুর আয়োজন। ...
বেবি বর্ন অ্যাট সাইক্লোন সেন্টার...
পার্ল এস. বার্কের ‘মা’ উপন্যাসে দেখি বিপ্লবপূর্ব চীনে অভাবের তাড়নায় মা দু-একটি শিশুকে বিক্রি করে দিয়ে এই ভেবে শান্তনা পেয়েছিলেন, যাক, বাছারা অন্তত বেঁচে থাকবে; না খেয়ে মরবে না।...
এখনো এই পোড়া বাংলায় মানুষ কেনা বেচা হয়। আইলা উপদ্রুত খুলনার কয়রা উপজেলার তসলিমা বেগম জীবন বাঁচাতে দুধের শিশুটিকে দুহাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।...
পুরো সংবাদটি এখানে ।
মন্তব্য
লেখায় , কিন্তু ....
.........................
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাষা নাই.............................
(বাকরুদ্ধ)
...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মন্তব্য নেই।
ডিজিটাল বাংলাদেশ
জিন্দাবাত।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সে রকম ডায়লগ,
আমি তো এতদিন জানতাম, বুকরে দুধ মুফতেই আসে, পয়সা দিয়ে কিনতে হয় না, জীবন বাঁচানোর নামে ঝামেলা বিদায় ছাড়া আর তো কিছু আমি চিন্তা করতে পারলাম না।
কতো পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই মানুষের জীবন কাটে। তবে, কেউ যদি তার বাচ্চার দায়িত্ব নিতে অপারগ হন, আর অন্যকারো সে সুযোগ থাকে, একটা মানুষকে মানুষ হিসেবে বেচে থাকার তার নূন্যতম সুযোগ গুলো দেয়ার, এতে দোষের কিছু নাই।
উন্নত বিশ্বেও এ্যালকোহলিক কিংবা সমস্যা যুক্ত বাবা মায়ের শিশুদের দায়িত্ব অন্য দম্পতিরা নেন।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তাতা আপু,
যান্ত্রিক দৃষ্টিতে দেখলে হয়তো আপনার কথাই ঠিক। কিন্তু শেষপর্যন্ত কী এইসব নিষ্ঠুর বাস্তবতা মেনে নেয়া যায়?
---
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
- ভেতর মোচড়ানো খবর!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
... .... ...
সবাইকে সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন