এক. কক্সবাজারের চকোরিয়া থেকে আরেকটু ভেতরে এক চিলতে এক পাহাড়ি নদীর দেখা মেলে,রাখাইন ভাষায় নদীর নাম হারবাং। এই হারবাং এর নামেই সেখানে গড়ে উঠেছে ছবির চেয়েও সুন্দর আর বেশ পুরনো একটি রাখাইন গ্রাম। সুশৃঙ্খল সারিবদ্ধ দোতলা কাঠের বাড়ি। কোনো কোনোটির বয়স আবার ৫০ ছাড়িয়ে গেছে।...
রাখাইন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশের (আরএসওবি)সভানেত্রি ক'চিন ঠে'র (ডলি)আমন্ত্রণে সাংগ্রাই এ(রাখাইনেদর বর্ষ বরণ উতসব)বেড়াতে যাওয়া ওই গ্রামে। গ্রামে ঢোকার মুখেই একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে লক্ষ্য করা যায়, এক আমুদে বাঙালি বুড়োর সঙ্গে ডলির অনর্গল রাখাইন ভাষায় সংলাপ।
পরে ডলি জানান, অনেক বছর ধরে হারবাং এ থাকতে থাকতে সহজেই অনেক বাঙালিই রাখাইন ভাষা রপ্ত করেছেন। হারবাং এর আশেপাশের অনেক বাঙালিই না কি কাজ চালানোর মতো রাখাইন ভাষা জানেন। তবে দুই জাতির মধ্যে সাধারণ কথাবার্তা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক বাংলাতেই হয়।
ডলির বাবা রোগে ভুগে গত হয়েছেন মাত্র। ওর মা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে পরেছেন এক অনিশ্চিত জীবনে। তিনি আরো দুঃখের সঙ্গে বলতে থাকেন বছরের পর বছর তাদের শাল - সেগুনের বাগান আর জমি-জমা সংখ্যাগুরু বাঙালিদের হাতিয়ে নেওয়ার কথা।
ডলিদের বেশ সুন্দর আর বিশাল কাঠের এক শক্তপোক্ত বাড়ি রয়েছে। মোটা মোটা গাছের গুড়ির ওপর পুরো বাড়িটি বসানো। আর মাচাং ঘরটিতে যাওয়ার জন্য আছে একাধিক কাঠের সিঁড়ি। আছে বেশ চওড়া কাঠের ঝুল বারান্দা। সেখানে আবার রাখা ছোট্ট ছোট্ট বেশ কয়েকটি বর্মি আরাম কেদারা।
দুই. বিকেল বেলা ডলি ওদের গ্রামটি ঘুরে দেখান। নিয়ে যান আরএসওবি'র কর্মী আর তার আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধবের বাসায়। রাখাইন মেয়েরা আবার অনেকাংশেই পড়াশুনা, চাকরি-বাকরি, কি ব্যবসায় এগিয়ে তাই মেয়েদের ক্ষেত্রে কথাবার্তায় কোনো জড়তাই নেই।
এ বাসা ও বাসা ঘুরে জানা গেলো রাখাইন তাঁত সম্পর্কে আরো অনেক নতুন তথ্য। আগেই কক্সবাজার, বাঁশখালি, চৌফলদণ্ডি আর টেকনাফের সমস্ত রাখাইন এলাকা ঘোরার বিস্তারিত অভিজ্ঞতা ছিলো। কিন্তু হারবাং এর অবস্থা আরো করুন। ঐতিহ্যবাহি তাঁতেরও তাই। রাখাইন প্রায় সব মেয়েই তাঁতের কাজ কিছু না কিছু জানেন। তবে সুতা আর ক্রেতার অভাবে তাঁত শিল্প বিলুপ্তির পথে। তাছাড়া মিলের সস্তা দরের কাপড় তো আছেই।
রাখাইন তাঁত আবার প্রযুক্তিগতভাবে বেশ উন্নত। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী পাহাড়িদের মতো সরল প্রযুক্তির কোমড়-তাঁত নয়। তাই বয়নে কাপড়ে ফুঁটিয়ে তোলা যায় অনেক নৈপুন্য আর নকশা।
একজন রাখাইন মেয়ে দেখালেন, তার দুটি তাঁতের মধ্যে একটি ব্যবহারের অভাবে এরই মধ্যে ঘুঁনে ধরেছে!
তিন. পরদিন সাংগ্রাই উৎসবে বুদ্ধ পূজা, আনন্দ-হাসি-গান, ছেলেমেয়েদের ঐতিহ্যবাহি পানি খেলা আর অবিরাম বরাহ মাংস সহযোগে 'দারা' নামক চোলাই খেতে খেতে পৌঁছে যাওয়া হয় অন্য এক অলৌকিক জগতে। রাখাইন একটি প্রবাদে নাকি আছে, তুমি যদি মদ খাও,তোমার ভেতরে একজন ছোট মানুষ প্রবেশ করবে।...তো এই সব হট্টোগোলের ভেতর ডলির প্রেমপ্রার্থী ওয়াই মং এর কথাও ভাল করে মাথাতে ঢোকে না।
সন্ধ্যায় আবারো ডলিদের বাসার বারান্দার আরাম কেদারায় হারবাং নদীর দিকে মুখ করে মদ, ঝিনুক আর কাঁকড়ার মাংস নিয়ে বসা গেলো। পড়ন্ত সূর্যের লাল আভায় নদীর ওপাড়ের রাখাইন গ্রামগুলো যেনো জ্বলছে!
একটি ছিমছাম ছোট্ট দোতলা বাসা দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয়, ওটা কার ঘর? ডলি বলেন, ওটা আমাদেরই এক আত্নীয়র ঘর ছিলো। কিন্তু জীবন যুদ্ধে টিকতে না পেরে সেই আত্নীয় এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন বার্মায়। হারবাং ছেড়ে এ রকম অনেকেই বাড়িঘর বিক্রি করে ওপারে চলে যাচ্ছেন। হারবাং এর অনেক ঘরই এখন হয়ে পড়েছে প্রায় পরিত্যাক্ত। আবার কোনো ঘর বাঙালিরা কিনে রাখাইন গ্রামের ভেতরেই বসতি করেছেন।
ডুবন্ত সূর্যের আলোয় ডলির ফর্সা কচিপানা মুখ লাল হয়ে ওঠে। ক্লান্ত গলায় বলেন, আচ্ছা বিপ্লব দা, আপনি তো অনেক টাকা বেতন পান। এ রকম একটা ছোট্ট ঘর সস্তায় কিনতে পারেন না? তাহলে যারা আপনাকে ঘরটি বিক্রি করে বার্মায় চলে যাবে, তারা নিশ্চিন্ত থাকবে এই ভেবে যে বাপ-দাদার ভিটেমাটি অন্তত টিকে আছে। আর আপনার মতো শিক্ষিতরা আমাদের ঘরবাড়ি কিনলে গ্রামের পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি হবে না! ক্রমশই ডলির গলা বিষন্ন হতে থাকে।
আর কি আশ্চর্য, ওই রকম মদোমাতাল অবস্থাতেই মাথার ভেতর ঝলসে ওঠে তথ্য-বাণিজ্যের আইডিয়া।
সাংগ্রাইয়ের পরে আরো কয়েকদিন গ্রামটিতে থেকে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হয় রাখাইনদের ধীর দেশান্তরের বিষয়ে। পরে তখনকার কর্মস্থল দৈনিক ভোরের কাগজের সাপ্তাহিক প্রকাশনা 'অবসরে' করা হয় একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল নাগাদ প্রকাশিত ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিলো, 'রাখাইনরা কেনো দেশ ছেড়ে যান?'
চার. এতে জানানো হয়, প্রায় চারশ বছর আগে বার্মার রাখাইন রাজ্য হারা রাখাইন জাতি, যারা এক সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে কক্সবাজারের বিস্তৃর্ণ এলাকায় ছিলো সবচেয়ে অগ্রসর, তারাই এখন বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অতি ধীরে একে একে দেশান্তরী হচ্ছেন বার্মায়। আবার কোনো কোনো পরিবারের একাংশ এপারে রয়ে গেলোও অনেকেই পরিবারের অন্য সদস্যদের ভাগ্যান্বেষনে পাঠাচ্ছেন ওপারে। প্রতিবেদনটিতে নিজস্ব পরিসংখ্যান আর একাধিক সাক্ষাতকার তুলে ধরে জানানো হয় এই নিরব দেশত্যাগের বাস্তব কাহিনী।
জানামতে, কোনো গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সেটিই ছিলো প্রথম প্রতিবেদন। আর এর ধাক্কাও ছিলো ব্যপক। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর রাখাইনদের মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া ঘটে। কক্সবাজারের সাংবাদিক বন্ধুরাও পক্ষে-বিপক্ষে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন। এই নিয়ে 'অবসরের' পরেও সংখ্যায় চলে তীব্র বাদানুবাদ।
সে সময় একমাত্র বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইটিভি'র একজন বিশেষ প্রতিবেদক টেলিফোনে বলেন,একটি আজগুবি প্রতিবেদন নাকি ফাঁদা হয়েছে। তিনি নিজেই এক সপ্তাহ আগে কক্সবাজার শহরে বেড়াতে গিয়ে একটি রাখাইন পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, ওই প্রতিবেদনটি আদৌ সত্য নয়।
মস্তিস্ক যেখানে উগ্রজাতীয়তাবাদী অহং, কেতাবী বিদ্যা আর দৃষ্টিসুখের মোহে বৃত্তাবদ্ধ, যুক্তি সেখানে নিস্ফল; সত্য সেখানে দূরাগত। ...বহুবছর সারাদেশ ঘুরে ঘুরে ভাষাগত সংখ্যালঘু আদিবাসীদের নিয়ে তথ্য-প্রতিবেদন করার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছুই বলা সম্ভব ছিলো। কিন্তু এর জবাবে বলা হয়নি কিছুই ।।
মন্তব্য
আমার ধারণা পটুয়াখালীতে রাখাইন লোকজন বাস করেন বা করতেন। তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন কি? আমার বাবার কাছে শুনেছি গল্প। তবে সে ঘটনা ৭০ সালের ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ঠিক তাই। পটুয়াখালি, কুয়াকাটা এলাকাতেও অনেক রাখাইন পরিবারের বসবাস। তবে আগ্রাসী চিত্র মোটামুটিভাবে সর্বত্র একই।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
রাখাইনরা কেন চলে যায়, বিপ্লবদা, এটা আমার কাছে ঠিক পরিস্কার হলনা।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে তার নাগরিকদের প্রতি ডিস্ক্রেমিনেশনের বেশ কয়েকটি ধারা সুস্পষ্টভাবেই ক্রিয়াশীল । ডিস্ক্রেমিনেশনের এই ধারা গুলো তৈরী এবং টিকিয়ে রাখা হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায় ।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন করতে আছে 'অর্পিত সম্পত্তি আইন' যেখানে একজন জেলা প্রশাসক কোনো একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ভু-সম্পত্তির মুল দলিলে 'অর্পিত সম্পত্তি ' কথাটা লিখে দিলেই তা 'অর্পিত' হয়ে যায় এবং সরকারের প্রিয়ভাজন যে কেউ তখন সেই সম্পত্তি লিজ নিয়ে নিতে পারেন পানির দামে ।
এইখানে কাজ করে ধর্ম পরিচয়ে বৈষম্য ।
অপরদিকে পাহাড়ী ও আদিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করতে ব্যবহৃত হয় 'জাতীয়তাবাদী চেতনা' ।
মনে রাখা জরুরী,বাংলাদেশ প্রশাসন একদিকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয় তার মুলজনগোষ্ঠীকে(ধর্মীয় সংখ্যালঘু,আদিবাসীদের) অপরদিকে ভোটার বানানোর আয়োজন করে রোহিংগা শরনার্থী ও আটকে পড়া পাকিস্তানীদের । হিসাব সোজা অসাম্প্রদায়িক ভোটার কমানো,সাম্প্রদায়িক ভোটার বাড়ানো ।
কোনকিছুই আসলে কোন কিছুকে ছেড়ে নয় ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার কলেজ জীবনের এক ক্লোজ ফ্রেন্ড কলাপাড়ার। রাখাইন। ওদের বাড়িতে গিয়েও বেড়িয়েছি একবার সপ্তাহ খানেক। ওদের পরিবার অনেক প্রাচীন। ধনী। এবং মেয়েরা ছেলেরা সবাই স্মার্ট, আধুনিক। তারপরেও ডিস্ক্রিমিনেশনের ধাক্কা থেকে রেহাই পায় নি। ওদের জমি অবৈধ দখল চলে প্রশাসনের সহায়তায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিপ্লব রহমানের রিপোর্টগুলো পড়লেও কখনও মন্তব্য করা হয় না।
কারণ, জাতীয়তাবাদ তত্ত্বের মত নানা ঘাপলা নিয়ে তৈরি করা আদিবাসী তত্ত্বেও আমার কোনো শ্রদ্ধা নাই।
পশ্চিমারা পৃথিবীর দেশে দেশে আদিবাসীদের জান-মাল দখল করে তাদের ঝান্ডা উড়িয়েছে (আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া তো সেদিনের ঘটনা, একটু বেশি অতীতে গেলে ইংল্যান্ডও একই সংজ্ঞায় পড়বে।) এখন আদিবাসী ধারণাটাকে তারা এমনভাবে সামনে নিয়ে এসেছে যে মনে হয় পৃথিবীতে শোষণ নির্যাতন দূর হয়ে যাবে যদি আদিবাসীদের কিছু কিছু অধিকার দিয়ে দেয়া হয়।
আদিবাসী যদি থাকে তবে অ-আদিবাসী একটি গোষ্ঠী আছে। বাংলাদেশে অ-আদিবাসী দখলদার গোষ্ঠী কারা? এই অ-আদিবাসী গোষ্ঠী আর আমেরিকায় গিয়ে রেড-ইন্ডিয়ানদের পাখির মত গুলি করে মারা সাদা চামড়াদের ইতিহাস কি এক?
বাংলাদেশে যাদের আদিবাসী গোষ্ঠী বলা হচ্ছে তাদের ইতিহাস কি নিউজিল্যান্ডের মাউরি গোষ্ঠীর মত?
আদি, আদিবাস শব্দের বিপরীতে কত মানুষকে দাঁড় করাতে হবে। ১৪ কোটির বাংলাদেশে ১৩ কোটিই কি বানের জলে ভেসে আসা, নাকি ঘোড়সওয়ার? নাকি ক'দিন বাদে এই ১৩ কোটির বিরুদ্ধে তাদের ভূমি দখলের মামলা করে দেবে খাসি বা মনিপুরীরা?
আদিবাসী শব্দটাই বিভ্রান্তিকর নয় কি? আদিবাস বা আদিবাসীর সংজ্ঞার পেছনে লুকিয়ে থাকা রাজনীতিটা কী?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
জনাব চৌধুরী'র ইতিহাস পাঠ নিয়ে আমি মুর্খ কোন মন্তব্য করার সাহস পাইনা । তবে দু একটা পয়েন্টঃ
পৃথিবীতে শোষন নির্যাতন দূর হবে না বলে কি অস্ট্রেলিয়া/আমেরিকা কিংবা বাংলাদেশে আদিবাসী শোষনের বিরুদ্ধে কথা বলা নাজায়েজ হয়ে যায়?
এখন আদিবাসী ধারণাটাকে তারা এমনভাবে সামনে নিয়ে এসেছে - 'আদিবাসী' ধারনা কারো দ্বারা সামনে নিয়ে আসার তো কিছু নয় । আপনার কথা থেকেই স্পষ্ট হয় ইন্ডিজিনিয়াসদের নিশ্চিহ্ন করার ইতিহাস অনেক পুরনো, বাংলাদেশ ও যা থেকে ব্যতিক্রম নয় ।
এক নয় বুঝি? রেড ইন্ডিয়ানদের কাছে সাদাচামড়ারা যে রকম,পাহাড়ীদের কাছে বাংগালীরা কি তার থেকে খুব বেশী মানবিক নাকি?
না অবশ্যই না । ১ কোটির বিপরীতে ১৩ কোটি বানের জলে ভেসে আসা কিংবা বখতিয়ার খিলিজীর ঘোড়সওয়ারের বংশধর ও নয় । কিন্তু 'অর্পিত সম্পত্তি আইন' বানিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর সম্পত্তি দখল কিংবা পার্বত্য চট্রগ্রামে চাকমা,মুরংদের, সিলেটে মনিপুরী,খাসিয়াদের জায়গা দখল যে এই সংখ্যাগুরু ১৩ কোটির পরিচয়ে ।
তবে নিশ্চিত মামলা হবেনা ।
মামলা হলেও দখলদার ১৩ কোটি দোষী সাব্যস্ত হবেনা
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান মোরশেদের মত ভদ্র সজ্জন যখন প্রশ্ন তোলেন তখন বুকে আশ্বাস পাই যে বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক হবে এবং তা আমাদেরকে আরো গভীরভাবে চিন্তা ও বিশ্লেষণের সুযোগ দেবে। নতুন পথও দেখাবে এ আশাও করি।
আদিবাসী বলে যে মানুষগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে তারা যে একটি রাজনৈতিক ভূখন্ডের মূল মানবগোষ্ঠীর নিপীড়িন ও শোষণের শিকার তা আমি অস্বীকার করছি না।
মূলত: পৃথিবীর সবচে' শুদ্ধতম যে সমাজ ব্যবস্থার কথা আমরা চিন্তা করতে পারি সেখানেও একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠী সংখ্যালঘুর উপর ছড়ি ঘোরায়।
বর্তমান পৃথিবীর প্রতি স্তরেই এই শোষণ ও নির্যাতন আছে। সে শোষণ মালিক-শ্রমিক; পুরুষ-নারী, অট্ট্রালিকাবাসী-বস্তিবাসী নানা ফর্ম্যাটে আছে। সে আছে ধর্মের আবরণে, মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান। সে আছে খতমে নবুওয়াত ও আহমদীয়া ইত্যাকার বিভিন্ন রূপে। নন-ঢাকাইয়ারা ঢাকা শহর দখল করে নিলো আর নিয়ে ঢাকাবাসীদের ভাষা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করে তাদেরকে ভদ্রসমাজে অস্পৃশ্য বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে- এরকম একটা ছবিও যুক্তি সহকারে তুলে ধরা যাবে।
সুতরাং, হাসান মোরশেদ আমার মন্তব্য এসব শোষণকে অস্বীকার করে ছিল না। এবং এসব শোষণের বিরুদ্ধে কথাই তো আমরা বলবো। (যদিও আমরা জানি মূল বৃহত্তর শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে বিভক্ত করতেই এসব অংশ অংশ ধারণার আমদানী।)
আপনার সাথে আমি একমত হাসান মোরশেদ। সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতাপের রূপ এক। এই জায়গায় হয়তো রেডইন্ডিয়ানদের বিরুদ্ধে সাদাদের আচরণকে তুলনা করা যায় পাহাড়িদের বিরুদ্ধে বাঙালির আচরণের সাথে।
এসব নিয়ে আমি কোনো প্রশ্নও তুলিনি হাসান মোরশেদ। আমার প্রশ্নটা হচ্ছে এসব শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র (এক্ষেত্রে ধারণা) কতটা শক্তিশালী তাই নিয়ে। যে ধারণাটাকে ধরে এই প্রতিবাদ তার মূলে রয়েছে "আদিবাসী"। সে কারণেই আমার মন্তব্যের শেষে প্রশ্নটা হচ্ছে:
আদিবাসী শব্দটাই বিভ্রান্তিকর নয় কি? আদিবাস বা আদিবাসীর সংজ্ঞার পেছনে লুকিয়ে থাকা রাজনীতিটা কী?
যেহেতু বিপ্লব রহমানের লেখালেখির মূল মনোযোগ এই বিষয়ে। সেহেতু আমি মনে করি এ বিষয়টি নিয়ে আরো বিতর্ক ও আলোচনা আমাদের পথ দেখাবে।
আদিবাস কী? অ-আদিবাসী কারা? সব দেশের প্রেক্ষাপটে আদিবাসীর সংজ্ঞা কি একই?
রাখাইন বা মনিপুরীরা যদি ইংল্যান্ডে এসে বসবাস করে তবে কি এখানেও তারা আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হবে? কতদূর গেলে মানুষের আদিবাসী পরিচয় ছিন্ন হয়ে যায়? কেন ছিন্ন হয়ে যায়?
আদিবাসীরা কি সব সময়ই আদিবাসী নয় তাহলে?
আদিবাসী শব্দটা ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা অন্য কী কী বিকল্প সংজ্ঞা বা শব্দ বা ধারণাকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি? কেন বাদ দিয়ে দিচ্ছি? কোন রাজনৈতিক কারণে বাদ দিয়ে দিচ্ছি?
চলুন হাসান মোরশেদ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সন্ধান করি। কারণ যখন আদিবাসী আদিবাসী হিসেবে চিত্কার করা হয়, তখন আমার তো মনে হয় আমার কথাই বলা হচ্ছে। নিজেকে তো আমার আদিবাসীই মনে হয়। কিন্তু জাতিসংঘের সংজ্ঞা যে আমার সাথে মিলে না। এখানে রাজনীতিটা কোথায়?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে প্রত্যয়ী সাংবাদিক বিপ্লব রহমান নিশ্চয়ই ডঃ চৌধুরীর তাত্বিক আলোচনার খোরাক জোগাবেন ।
আমি তত্বের বাইরে গিয়ে বলিঃ
কোনো না কোনো পরিচয় তো থাকবেই । আমরা যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রে জাতিগতভাবে(ভাষাভিত্তিক ও নৃতাত্বিক জাতীয়তার কথা বলছি)সংখ্যাগরিষ্ঠের পরিচয় বহন করছি,তাদের অন্তঃস্থ ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় ও আছে । জাতিগত সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংগালী আবার ধর্মীয় পরিচয়ে বিভাজ্য,অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসে বিভাজ্য,আঞ্চলিক সংস্কৃতির বিবেচনায় বিভাজ্য ।
ময়মনসিংহের যে রহিম শেখ সত্তর দশকের শেষ দিকে আর্মি প্রোটেকশনে গিয়ে বান্দরবানের ক্যাবুচিং মারমার জায়গায় দখল করলো, সেই রহিম শেখ আর আমার জাতিগত,নৃতাত্বিক,ভাষাগত,ধর্মীয় পরিচয় কিন্তু এক । চেতনাগত ভাবে যতোই ভিন্ন হই,ক্যাবুচিং মারমা কিন্তু প্রমানিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাকে সেই দখলদার বলেই চিহ্নিত করবে ।
যদি ক্যাবুচিং মারমা জাতিগতভাবে,ধর্মীয় পরিচয়ে,নৃতাত্বিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের অংশ হতো তাহলে বোধহয় তার 'আদিবাসী' পরিচয়ের প্রয়োজন পড়তোনা । মঙ্গোলীয়ানরা কি নিজেদের দেশে 'আদিবাসী' নামে পরিচিত?
আজ থেকে কয়েকশো বছর পর যদি ইংল্যান্ডের শাসন ক্ষমতা আজকের ইমিগ্রান্টদের উত্তরপুরুষদের হাতে চলে যায়,ইমিগ্রান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠে,সরকারের মদদে কাম্ব্রিয়ার বিস্তীর্ন শস্যভুমি এসে দখল করে নেয় বাংলাদেশ ভারতের কৃষকেরা-তাহলে বোধ করি সাদা চামড়ারা ও সেদিন নিজেদেরকে ইংল্যাণ্ডের 'আদিবাসী' দাবী করে অধিকার সংরক্ষনে সোচচার হবে ।
জাতিসংঘ প্রদত্ত ইন্ডিজিনিয়াস ডেফিনেশন নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করা যায় । শুরু করেন । সাথে আছি ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
প্রকৃতি প্রেমিক,
একমত। প্রশাসনিক বৈষম্য অস্বীকার করি কী ভাবে? ১৯৭২ সালের সংবিধানেই তো ভাষাগত সংখ্যালঘু আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সে সময়ের সাংসদ, জুম্ম (পাহাড়ি) জাতীয়তাবাদের অগ্রদূত এমএন লারমার এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
আমার মনে হয়, সমস্যার গভীরে রয়েছে দৃষ্টিভঙ্গীর সমস্যা। এই দৃষ্টিভঙ্গীর সমস্যা রয়েছে ব্যাক্তিতে, সমাজে, জাতীতে, সংবিধানে, এমন কি রাষ্ট্রের ভেতর। এই দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন খুব সহজ কথা নয়।
... আপনার প্রশ্নের উত্তর আরো সুন্দর করে হাসান মোরশেদ ও অছু্যৎ বলাই দিয়েছেন।
হাসান মোরশেদ,
আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও তত্বগত ধারণা তো বেশ পরিস্কার। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে আদিবাসী জীবনের বিচিত্র নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু আমার এ বিষয়ে এতো গভীর পড়াশুনা নেই। আমি পড়ছি পৃথিবীর পাঠশালায়।... আপনার কাছে অনুরোধ, এই পোস্টে 'আদিবাসী' প্রশ্নে যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, পারলে তা নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখুন না! আমার তো আরো জানতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে আলাদা করে ধন্যবাদ দিচ্ছি।
জনাব চৌধুরী,
আপনাকেও ধন্যবাদ। আমি কিন্তু এই ব্লগে কোনো রিপোর্ট লিখছি না। আমি লিখছি, রিপোর্টের ইতিহাস, নেপথ্য কথা। আপনি একে রিপোর্টারের ডায়রিও বলতে পারেন।
আর 'আদিবাসী' বিষয়ক আপনার প্রশ্নের সিরিয়াস জবাব হাসান মোরশেদ দিয়েছেন। তাই আমি কিছুই বলছি না। কেননা তা হবে বাহুল্য।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ বিপ্লব। আপনি আগে লেখা রিপোর্টের নেপথ্যের কথা লিখছেন ব্লগে জন্য সে এক সুখবর আমাদের জন্য। আপনার লেখা পড়েই কিছু প্রশ্ন দেখা দিলো মনে। তাই উপরের মন্তব্যে সেসব প্রশ্ন উল্লেখ করেছি। এ বিষয় নিয়ে আপনার পরিশ্রম দেখা যাচ্ছে কিন্তু আপনি নিজেই স্বীকার করছেন যে, এ বিষয়ে আপনার গভীর পড়াশোনা নাই।
জীবিকার কারণে যেহেতু আপনি এই বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছেন তখন পড়াশোনা করতে অসুবিধা কোথায়? আর আপনি যদি এসব বিষয়ে আমাদের মনে যেসব প্রশ্ন দেখা দেয় তার উত্তর না দেন তবে সে উত্তর পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ লোক আমরা কই পাবো?
একটি বিষয় গভীরভাবে না জানা থাকলে সে বিষয়ে অনেক কর্মকান্ড তো শেষ পর্যন্ত খেলো হয়ে যেতে বাধ্য। সুতরাং আপনি নিজেও খূঁজে নিন এবং আমাদেরও জানান দিন।
ইন্টারনেট ঘেঁটে জাতিসংঘের ডকুমেন্ট থেকে ট্রাইবাল বা উপজাতি ছাড়া ইনডাইজিনাস মানুষের সংজ্ঞা হিসেবে নিচের কথাগুলো পেলাম। এখন আদিবাসী কথাটা যদি এসবের সাথে সংগতিপূর্ণ হয় তবে নিচের এই সংজ্ঞার পয়েন্টগুলো ধরে একটু ব্যাখ্যা করবেন কেন রাখাইনরা এই সংজ্ঞা অনুযায়ী আদিবাসী?
peoples in independent countries who are regarded as indigenous on account of their descent from the populations which inhabited the country, or a geographical region to which the country belongs, at the time of conquest or colonisation or the establishment of present state boundaries and who, irrespective of their legal status, retain some or all of their own social, economic, cultural and political institutions.
বিপ্নব রহমান, এই লেখাটির জন্য আপনাকে বিপ্লব। আলোচনা করে আমাদের ধারণা স্পষ্ট করার দায়িত্ব নিয়ে আরো বিপ্লব অর্জন করবেন আশা করছি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
"who, irrespective of their legal status, retain some or all of their own social, economic, cultural and political institutions." - শেষেরটুকু আমার মনে হয় রাখাইনদের সম্পর্কে প্রযোজ্য।
কলোনিয়ালাইজেসনের কোনো ব্যাপার এখানে নেই তাই আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়া ছাড়া এই সংজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে কোনো আদিবাসী শ্রেণীর ওপরই প্রযোজ্য নয় - ভারতের সাঁওতাল, ভিল, বড়ো বা মিজোও নয়, পাকিস্তানের সীমান্ত প্রভিন্সের আদিবাসীরাও নয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আবার আদিবাসী বলতে ইউ-এন এর এই ডকুমেন্টে বলা হচ্ছে -
"There are an estimated 300 million indigenous people in more than 70 countries worldwide. Indigenous peoples are the inheritors and practitioners of unique cultures and ways of relating to other people and to the environment. Indigenous peoples have retained social, cultural, economic and political characteristics that are distinct from those of the dominant societies in which they live."
উইকিপিডিয়া আর্টিকেলে শুরুতে বলেছে ইউ-এন এর সংজ্ঞা খুবই সংকীর্ণ, তাই সংজ্ঞা বিস্তৃত করা হয়েছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
জনাব চৌধুরী,
আপনি ভুলে যাচ্ছেন, আমি বলেছি বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পৃথিবীর পাঠশালায় পড়াশুনার কথা। এটিকে এতো হাল্কা করে দেখছেন কেনো? তবে অধ্যায়নও চলছে।
আর আপনি যে তাত্বিক বিশেষজ্ঞ খুঁজে বেড়াচ্ছেন, স্পষ্টতই জানাচ্ছি, তা আমি নই।...
'আদিবাসী' বিতর্কটি আমার কাছে এতো পুরনো ও ক্লিশে মনে হয় যে, এ বিষয়ে কোনো বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না।
আশা করছি, হাসান মোরশেদ এবং দিগন্তর মন্তব্য ও লিঙ্ক আপনার প্রশ্নের জবাব খানিকটা হলেও দিয়েছে।
আবারো আপনাকে ধন্যবাদ।
দিগন্ত,
একমত। আবারো সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব রহমান, আপনার কাছে আমি খূব কঠিন কোনো তত্ত্বকথা জানতে চাইনি। কারণ আমি জানি আপনি কোনো তাত্ত্বিক বা অধ্যাপক নন। আপনার ব্যবহৃত শব্দটির বিস্তৃত ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। আপনার লেখায় ব্যবহৃত একটি ধারণা যা সম্পর্কে আমার ধারণা পরিষ্কার না তা স্পষ্ট করতে অনুরোধ করেছি।
আপনার লেখায় আপনি আদিবাসী শব্দটা ব্যবহার করছেন। আপনি জেনেবুঝেই ব্যবহার করছেন নিশ্চয়ই। কোন কোন কারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে আপনি আদিবাসী বলছেন - এটাই তো জানতে চেয়েছি।
না, হাসান মোরশেদ বা দিগন্ত আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেননি। প্রশ্নগুলো উপরের মন্তব্যে বাঁকা হরফে দেয়া আছে।
বিতর্ক বা প্রশ্নকে এড়িয়ে যাওয়ার স্বাধীনতা আপনার অবশ্যই রয়েছে। এতে আমার জানার আকাঙ্খাকে আপনি পূরণ করছেন না এই আক্ষেপই শুধু আমি করতে পারি।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
I am Dolly, after so many years today I came in contact with Biplob and came to know about this site and I went through the debate. I don't want to participate in the debate about the defenition of indegenious people but the only thing I would like to emphasize is that we are the son of this land and we have right to live in this land as many others. peacefully... we will alwyas voice out to raise public awareness to have the right as a country men.. this will always go on....
আহা।
বিপ্লব ভাই বুঝি এমন সব লেখা বন্ধই করে দিলেন...
নতুন মন্তব্য করুন