এক. আমার নকশালাইট বাবা আজিজ মেহেরের কাছে শুনেছি চিকা মারার (দেয়াল লিখন) ইতিকথা। ৭০ সালে কমরেড মনি সিং যখন পাকিস্তান সামরিক জান্তার কারাগার বন্দি হন, তখন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার কালো রাজপথে সাদা চুন দিয়ে লিখেছিলেন, কমরেড মনি সিং এর মুক্তি চাই!
তবে চিকা মারা নাকি শুরু হয়েছিলো ’৬৯ এর গণ অভ্যূত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময় ছাত্ররা জিগা গাছের ডালের এক মাথা থেঁতো করে বানাতো ব্রাশ। আর আলকাতরা দিয়ে দেয়ালে লেখা হতো স্বাধীনতাকামী নানা শ্লোগান। তো সেই সময় গ্রেফতার এড়াতে এ সবই করা হতো রাতের বেলা টর্চ জ্বালিয়ে।
হঠাৎ রাস্তার টহল পুলিশ দেখলে ছাত্ররা নাকি আলকাতরার টিন লুকিয়ে ফেলে জিগার সেই সব ডাল লাঠি বানিয়ে ঝোপে - ঝাঁড়ে এলোপাতাড়ি বাড়ি দেওয়ার ভান করতো। আর ‘এতো রাতে বাইরে কেনো’ পুলিশী এই জেরার সরল জবাব আগেই থেকেই তৈরি, ‘আমাদের হলে চিকার (ধেড়ে ইঁদুর) খুব উৎপাত। এ জন্য আমরা চিকা মারতে বের হয়েছি।...’ এ ভাবেই নাকি দেয়াল লিখনের নাম হয়ে যায় -- চিকা মারা।
’৭০ এর সাধারণ নির্বাচনের সময় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পাটি চিকা মেরেছিলো: ভোটের আগে ভাত চাই! ভোটের বাক্সে লাথি মারো, সমাজতন্ত্র কায়েম করো!
’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ওপর ফটো সাংবাদিক রশিদ তালুকদারের অ্যালবাম দেখে চমকিত হই। সেখানেও দেখি ঢাকার দেয়ালে আকাবাঁকা হরফে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির চিকা: জনগণ অস্র হাতে তুলে নিন; সাম্রাজ্যবাদ ও তার সমস্ত পদলেহী কুকুরদের পরাজিত করুন!
বাবার কাছেই শুনেছি, স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বহারা পার্টি নাকি প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর হরতাল আহ্বান করতো। তারা বিজয় দিবসকে বলতো ‘ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীর কাছে পূর্ব বাংলার আতœসমর্পণ দিবস!’ তখন কোথাও হরতাল না হোক, সর্বহারা পার্টির সদর দপ্তর বৃহত্তর বরিশালে পালিত হতো কড়া হরতাল। সেখানে বড় রাস্তার দেয়ালে দু- একটা চিকা মারলে, আর কয়েক রাউন্ড কাটা রাইফেলের গুলি ফুটালেই নাকি হরতাল হয়ে যেতো।
দুই. ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারী করে ক্ষমতা দখল করলে সে সময় স্কুলের দেয়ালে চিকা পড়তে দেখেছি: বন্যেরা বনে সুন্দর, সৈন্যরা ব্যারাকে।
১৯৮৩ কি ’৮৪ সালে এরশাদ বিরোধী মিছিলে পুলিশের ট্রাক চাপায় সেলিম - দেলোয়ার শহীদ হলে আবারও স্কুলের দেয়ালে চিকা পড়ে: ট্রাক চাপা দিয়েছো, আন্দোলন থামেনি। ট্যাঙ্ক চাপা দিলেও আন্দোলন থামবে না।
তখন এ সব চিকা মারা হতো বেনামে। আরো পরে ১৯৮৬ সালে শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম শহীদ হলে জাসদ স্কুলের দেয়ালে চিকা মেরেছিলো: বিপ্লবের লাল ফুল, শহীদ কমরেড তাজুল।
কলেজে উঠে আমি নিজেও জড়িয়ে পড়ি এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। ’৮৮ সালের মহাপ্লাবনের সময় এই অধম নিজেই বিশ্রী হাতের লেখায় ঢাকার দেয়ালে চিকা মেরেছিলো: বানের জলে ভাসছে মানুষ, সেই মানুষের খাদ্য চাই।
সে সময় আমরা চিকা মরতাম বেশ সহজ উপায়ে। আরামবাগের প্রেসগুলো থেকে কেনা হতো ছাপার কালো কালি। সেই ঘন কালিতে তারপিন তেল মিশিয়ে তরল করা হতো। তারপর আসবাব রং করার ব্রাশ দিয়ে লেখা হতো চিকা। আর মোটা হরফের জন্য ব্যবহার করা হতো জুতার ব্রাশ।
তবে সুন্দর হাতের লেখার জন্য কদর ছিলো কচি ভাইয়ের। সিলেট মেডিকেল কলেজের ছাত্র কচি ভাই ছুটিতে ঢাকায় এলে তাকে নিয়ে চিকা লেখার ধুম পড়ে যেতো। ঢাকার দেয়ালগুলো অলংকৃত করা শেষে কচি ভাইকে নিয়ে আমরা ছুটে যেতাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা -- আরিচা মহাসড়কের দেয়ালেও চিকা মারা চলতো দেদার।
আর ডাকসু কি জাকসু নির্বাচনের সময় পোস্টারিং এর পাশাপাশি আমরা চানখাঁর পুল থেকে ‘রূপবান’ টিনে ডিমাই সাইজের স্টেনসিল কেটে ভোটের চিকা মারতাম।
১৯৮৮ কি ১৯৮৯ সালের এক রাতে কার্জন হলের দেয়ালে কয়েকজন চিকা মরছি। হঠাৎ দেখি কক্ষচ্যূত মেধাবী কবি সফতার সিদ্দিকী বারান্দার এক কোনে মোমবাতি জ্বালিয়ে বই পড়ছেন। আমি তখন লিখছি: মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ধ্বংস হোক - নিপাত যাক!...
আমাদের মধ্যে একজন দুষ্টুমী করে কবিকে জিগেষ করে, ‘আচ্ছা ভাই, ধ্বংস বানান কি তালেবশ্য শ’ না দন্তস্য?’ কবিও পাল্টা দুষ্টুমী করে জবাব দেন, ‘ধ্বংস নেতি বলে দন্তস্য। তবে অংশ ইতি বলে তালেবশ্য শ’!’
তিন. এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির দেয়ালে অলংকরণসহ ছাত্র ইউনিয়নের এক বিশাল চিকা দেখে আমরা হাসাহাসি করতাম এর বয়ান দেখে। সেখানে লেখা হয়েছিলো: আমরা সশস্ত্র হবো, অজস্ত্র মৃত্যূতে।... আহা, যেনো মৃত্যূ কতো শস্তা জিনিষ!
আর সবচেয়ে প্রশংসিত ছিলো ছাত্র ফ্রন্টের চিকা। সুন্দর হরফে লাল কালিতে তারা চিকা মারতো। তাদের একটা চিকা এখনো আমার চোখে ভাসে: শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার।
ঢাকার বাইরে গেলেই রেল স্টেশনগুলোতে দেখতাম তাদের পত্রিকা পড়ার আহ্বান জানিয়ে চিকা: ভ্যানগার্ড পড়–ন।
ছাত্র ফ্রন্টের চিকাও নিয়েও আমাদের হাসাহাসি ছিলো খুব। আমাদের মুখে মুখে ফিরতো একটা মজার ছড়া: তুমি ছাত্র ফ্রন্টের চিকার মতোই সুন্দর, সরকারি প্রেসনোটের মতোন মিথ্যে তোমার ভাষণ।
ছাত্র রাজনীতি শেষে ১৯৯৩ সালে সাংবাদিকতার পেশাগত কাজে টেকনাফে গিয়েছি। সহকর্মি প্রিসিলা রাজ দেখালেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক উচ্চারণে আর কাকের ঠ্যাঙ - বকের ঠ্যাঙ মার্কা হাতের লেখায় এক চিকা। খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে লেখা সেই চিকায় লেখা ছিলো: ’৭১ এর পামিলা, আর করিস না জামিলা।...
চার. অশান্ত পাবর্ত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু চিকার কথা প্রায়ই মনে পড়ে। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ১৯৯২ - ৯৩ সালে চিকা মেরেছিলো: জেলা পরিষদের সমীরণ (সমীরণ দেওয়ান; এখন শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান), পাহাড়িদের দুশমন। আরেকটি: জুম্ম (পাহাড়ি) জাতির নেতা এমএন লারমা, লও লও লাল সালাম!
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর বাঙালি সেটলারদের ভূঁইফোড় সংগঠন প্রথমে ‘পার্বত্য গণ পরিষদ’, পরে ‘সম অধিকার আন্দোলন’ পাহাড়ে প্রচুর চিকা মারে: বাঙালি গণহত্যাকারী সন্তু লারমার ফাঁসি চাই। পার্বত্য কালো চুক্তি মানি না, বাতিল করো। আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয় জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও -- ইত্যাদি।
সবাই জানেন দেশ জুড়ে চিকা মারার মহোৎসব শুরু হয় ভোটের সময়। তবে এবার নির্বাচন কমিশন তাদের সংস্কার আইনের প্রস্তাবে বলেছে, রাজনীতি এবং নির্বাচনী সব ধরণের কাজে দেয়াল লিখন করা যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে এটি আইন হিসেবে চূড়ান্ত করা হবে।
তো আইন হয়ে কী শেষমেষ হারিয়েই যাবে আমাদের চিকা সংস্কৃতি?...
(ছবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২১ আগস্ট ২০০৭, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম।)
মন্তব্য
সুখপাঠ্য। বিপ্লব ভাইয়ের সব লেখাই পড়তে স্বাদু লাগে। ঝরঝরা। সহজ। একেবারেই আমাদের জন্য লেখা, যারা সহজ না হলে পড়েনা।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব ভাইর জন্য বিপ্লব। ছবিটা কি মঈন চাচার পদত্যাগ চাই?
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
আবার জিগায়! ...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দারুণ লাগ্লো,বিপ্লব ভাই,মনে আছে ওই চিকার কথা?
"কষ্টে আছি -আইজউদ্দিন" ঢাকা তে যত দিন ছিলাম আইজউদ্দিনএর কথা চিন্তা করে সব সময় খারাপ লাগতো।
আইজউদ্দিন কি এখনো খারাপ আছে?
কি জানি?
-নিঝুম
ও হ্যাঁ আইজু। ওই যে শিবিরের মতো কটকটা নীল কালিতে যে চিকা মেরে বেড়াতো।...শুনেছি সে নাকি এখন আর কষ্টে নেই; ডাক্তারি আর ব্লগিং নিয়ে ব্যস্ত। এই তো সেদিন পিয়াল ভাইয়ের জমজমাট রহস্য গল্পে তার সরব উপস্থিতি দেখলাম!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব তো দেখছি লেখার পাশাপাশি মন্তব্যে ও পুরা বিপ্লব হয়ে উঠেছেন
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হেঁ হেঁ...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
জমজমাট গল্পটা কিন্তু বেশ ভাল ছিল ... আর আইজুর রোলটাও ... আইজু ভাই আর ব্লগ লেখেন না? মাঝে বার কয়েক তো ওনাকে ব্যান খেতে হল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
'চিকা মারা' নামকরনের শানে নূযুলটা জটিল লাগলো
লেখাটা তো জটিলস্য জটিল!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
তবে সুন্দর হাতের লেখার জন্য কদর ছিলো কচি ভাইয়ের। সিলেট মেডিকেল কলেজের ছাত্র কচি ভাই ছুটিতে ঢাকায় এলে তাকে নিয়ে চিকা লেখার ধুম পড়ে যেতো। ঢাকার দেয়ালগুলো অলংকৃত করা শেষে কচি ভাইকে নিয়ে আমরা ছুটে যেতাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা -- আরিচা মহাসড়কের দেয়ালেও চিকা মারা চলতো দেদার।
×××××××××
কচি ভাইকে চিনতেন ?
আচ্ছা,উনি এখন কোথায় আছেন কেউ জানেন ?
না, না...কচি ভাই এখন তার চিকিৎসা পেশা নিয়ে খুবই ব্যস্ত। এইমাত্র টেলিফোনে বললেন, তিনি কোনোভাবেই ছেলেবেলার দ্বিতীয় পর্বের জন্য প্রচ্ছদ করতে পারবেন না!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
চিকা মারার একটা মনখারাপ করা ঘটনা বলি ।
৮৬ সালের সময় ।
আমার বড়ো ভাইরা সবাই ছাত্রলীগ করতেন, (করতেন মানে জেলা শহরে বেশ পান্ডা গোছেরই ছিলেন ) ।
তো ,বেলাল ভাইয়ের চিকা মারার হাত ভালো ছিল ।
সিলেট টিএন্ডটি অফিসের বিশাল দেয়ালে উনি লিখলেন "ভোটের বাক্সে লাথি মারো, গনতন্ত্র কায়েম করো ।"
কয়েকদিন পরেই হাসিনা ইলেকশনে গেলেন ।
বেলাল ভাই আবার সেই লেখা থেকে "লাথি "শব্দটা মুছে শুধু লিখলেন "নৌকা"।
বিষয়টি তখন দাড়ালো :
"ভোটের বাক্সে লাথি মারো, গনতন্ত্র কায়েম করো ।"
আমার বাবা কয়েকদিন পরে বিষয়টা খেয়াল করে বললেন ,তোর হাসিনা তো লাথি আর নৌকা এক করে দিল রে ।
সংশোধনী এক: মোটা হরফের দ্বিতীয় বাক্যে 'লাথির' স্থলে 'নৌকা' পড়িতে হইবে।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
তুমি ছাত্র ফ্রন্টের চিকার মতোই সুন্দর, সরকারি প্রেসনোটের মতোন মিথ্যে তোমার ভাষণ
এইটারে কি ছড়া কইতে চান?
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
সংশোধনী দুই:এই পোস্টের ওই বাক্যটিতে 'ছড়ার' স্থলে 'বুলি' অথবা 'প্লেটোর সংলাপ' পড়িতে হইবে।
(অফটপিক: অমিত, এই রকম খলবলিয়ে হাস্যরবের নাম বুঝি ভালবাসা! )
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ঐ চিকাটা আকা কখনো শেষ হয় নাই । যদ্দুর মনে পড়ে ওটা ২০০০ সালের দিকে মুছে ফেলা হয় ।
লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আইইআর এর বিল্ডিং থিকা শুরু হইয়া মহসিন হলের গেট পর্যন্ত ছাত্রফ্রন্টের চিকা ভর্তি। আর শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার এই চিকাটা তো এখনো দেখা যায়।
লেখাটা সেই রকম হয়েছে।
বিপ্লব ভাইকে লাল বিপ্লব!
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ভালো লাগলো.........
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
হাসিব, অয়ন, অমিত, রাহা...ফিরতি ভালবাসা।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
খুব ভাল লেখা। চিকা মারা দেখতে ভাল লাগলেও আমি এটা নিষিদ্ধ করারই পক্ষে। সীমিত কিছু জায়গা বাদে পোস্টারিং ও দেওয়াল-লিখন নিষিদ্ধ করা উচিত। শহরটা অযথা জঞ্জাল হয়ে যায়। রুচির প্রশ্নও চলে আসে কিছু পোস্টার/চিকা দেখলে।
না...না ইশতিয়াক ভাই, আপনার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জরুরি অবস্থা চলছে, নইলে এর বিরুদ্ধে পুরো ঢাকা আর সাভার চিকা মেরে সয়লাব করে দিতাম: চিকা আমার অধিকার, এই অধিকার সবার চাই!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নিঃসন্দেহে চিকামারা নিয়ে পৃথিবীর সেরা লেখা এটা ... অনেকদিন ধরে মাথার কোনে লুকিয়ে থাকা একটা প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে গেলাম ...চিকামারা'র শানেনুযুল ...আগে জানলে 'গেসবলে' চালান করে দিতাম
একটা চিকা'র কথা মনে পড়ে ,,, ঢাকা শহর ভারাইয়া ফেলছিল ,,,"কষ্টে আছি।আইজুদ্দিন"
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বাদশা ভাই, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু আইজু বোধহয় এখন আর কষ্টে নেই। আমার আগের মন্তব্যটি একটু খেয়াল করবেন প্লিজ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
চিকামারা ব্যাপরটা নিষিদ্ধ করাটা মেনে নেওয় যায় না। এটা একটা শিল্প। এতো চমৎকার সব স্লোগান যে দেয়ালে লেখা হয়, এতো ক্যাচি সব বাণী, অদ্ভুত সুন্দর সব পংক্তি, সেগুলোকে আমরা চিরদিনের জন্য থেমে যেতে বলতে পারি না।
আমার তো মনে হয়, এই চিকামারা গুলার ছবি সংকলন করে একটা সুন্দর প্রদর্শনীও আমরা করে ফেলতে পারি।
--বরফ
ব্যাপক
__________________________
suspended animation...
পড়ে অসম্ভব মজা পেয়েছি। তবে আমাদের এখানে এখন আর স্টুডেন্ট রাজনীতির চল নেই খুব একটা। এখানে নকশাল আন্দোলনের পরে মোটামুটি বাবা-মা সতর্কভাবে ছেলেপুলেদের রাখে যাতে কোনোভাবেই সে রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ার নষ্ট না করে। কি আর করা ... তাও আমাদের কলেজে একটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ছিল, তবে তার ইস্যু কখনই কলেজের গন্ডি পেরোতো না (অথচ আমাদের কলেজ নকশাল যুগে অনেক রাজনীতিবিদের জন্ম দিয়েছে)। এমনকি বাইরে বন্ধ হলেও আমাদের ক্লাস হত। হরতাল খুব কমই হত, যাও হত, সব কলেজ সংক্রান্ত ইস্যুতে। তবে যাদবপুর আর কোলকাতা ইউনিতে এখনো আছে স্টুডেন্ট পলিটিক্স - সেখানে ঘন ঘন হরতালও হয়। আমাদের ইউনিয়ন উঠে যাচ্ছে আগামী ২০১০ সালে।
আমার চিকা মারার কোনো অভিজ্ঞতা নেই বা আমার বন্ধুদের মুখেও শুনিনি চিকা মারার কথা ... আমার জেঠুর মুখে শুনেছি উনি ঢাকা ইউনিতে দেওয়ালে লিখতেন। তবে এখানে পড়ে মজা পেয়েছি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
চিকা আছে থাকবে...
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
Jobbor lekha hoise! (Sorry for Roman font - office'er ei machine'einstall koranai!)
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
দারুন হইছে লেখাটা বিপ্লবদা! দারুন, দারুন!!!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আপানাদেরও ধন্যবাদ।...ঠিক ঠিক...চিকা ছিলো, আছে, থাকবে!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দারুণ একটি লেখা। পুরোটাই বিপ্লব!!!
অনেক জায়গায় চিকা দেখেছি BNP লিখতে গিয়ে মাঝের N লিখে উল্টা। চিটাগাং ইউনিভার্সিটির শাটল ট্রেনের বিভিন্ন বগির নাম থাকতো। এর মাঝে NEXUS টা খুব হিট হলো একবার। ছেলেপেলে যেখানে সেখানে NEXUS লেখা শুরু করলো। শহর ছাড়িয়ে থানা সদরের দেয়ালেও শব্দটি দেখা যেতো!
অ্যাঁ!
...আর ফাঁকা দেয়ালে দলের নাম লিখে ও তীর চিহ্ন এঁকে চিকার মারার জন্য আগাম বুকিং দেওয়া চলতো।...
এখন তো সবখানেই সাইনবোর্ডের মতো রঙিন চিকায় নানান পণ্যের বিজ্ঞাপনও দেখি। তো চিকা তাহলে থাকছেই, না কি?...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
চিকা আর ইঁদুর!
ধেড়ে ইঁদুর আর চিকা এক জিনিস নয়। চিকার অন্য নাম হইতেছে ছুঁচা আদর করে বললে ছুঁচো, ভদ্র ভাষায় (!?) বললে গন্ধমুষিক। আর ইঁদুরকে আমরা ইন্দুর বলেই জানি।
চিকা বা ছুঁচার বৈজ্ঞানিক নাম Ondatra zibethicus, আংরেজিতে বলে Musquash , Ondatraগণের একমাত্র প্রজাতি। আর ইন্দুর হইলো, Rattus গণের, আর এর প্রজাতির সংখ্যা অন্তত ৫০, ধেঁড়ে ইনদুর এইগুলার একটা, (এর বৈজ্ঞানিক নাম আমি বের করতে পারি নাই) আর এই ধাইড়া ইন্দুরই এখন পাহাড়ে জুমচাষীদের নাকাল করতে আছে।
---------
সচল হওয়ার আবেদন করার পর আমাকে নামে মন্তব্য করতে দিচ্ছেনা তাই অতিথি নামে লিখলাম। নঈম তারিক
বিপ্লব মনে পড়ে? 'বিপ্লব এখন কারো কারো ডাক নাম!'
সংশোধনী তিন : এই লেখার শুরুতে ব্র্যাকেট বন্দী 'ধেড়ে ইঁদুরের' স্থলে 'ছুঁচো' বা 'গন্ধ মুষিক' পড়িতে হইবে।
-------
প্রিয় নঈম, সচল হবেন নিশ্চয়ই। তার আগে অতিথি হিসেবেই লিখতে থাকুন প্লিজ।
ও হ্যাঁ...কোনো কোনো ব্যর্থ বিপ্লবী ছেলের নাম রাখেন 'বিপ্লব'/ তাই 'বিপ্লব' এখন কারো কারো ডাক নাম!...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমি যতোজন 'বিপ্লব'কে চিনি তাদের জন্ম ঊনসত্তর থেকে একাত্তরের মধ্য!
নঈম
চিকাকেও জাদুঘরে পাঠানো হলো?
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমিও তো তাই বলি: মানি না! মানবো না!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন