কল্পবিজ্ঞান...নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে অদ্ভুত কিছু দৃশ্য। ভিন গ্রহের প্রানীর সাথে মানুষের যুদ্ধ, কিংবা রোবট নিয়ন্ত্রিত পৃথিবী...কল্পনার সাথে বিজ্ঞান মিলে এরকম সব অবিশ্বাস্য দৃশ্য দিয়েই জন্ম নেয় এক একটি কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী। সারা বিশ্বজুড়ে রয়েছে এই কল্পবিজ্ঞানের এক বিশাল পাঠক সমাজ। আমাদের বাংলা সাহিত্যেও এখন কল্পবিজ্ঞান অসম্ভব জনপ্রিয়। আজ হঠাৎ করে মনে হলো বাংলা সাহিত্যে কল্প বিজ্ঞানের শুরু কিভাবে জানা দরকার। যথারীতি ভরসা অন্তর্জাল। আর অন্তর্জালে কোন কিছু খুঁজতে প্রথমেই কড়া নাড়ি প্রিয় বন্ধু উইকিপিডিয়ার দরজায়। বরাবরের মতো এবারও নিরাশ হলাম না, ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় পাওয়া গেলো বাংলা সাহিত্যে কল্প বিজ্ঞানের শুরু নিয়ে চমৎকার কিছু তথ্য। উইকিপিডিয়া সহ গুগলের কল্যানে অন্তর্জালের আনাচে কানাচে খুঁজে পাওয়া এসব তথ্য নিয়েই সাজানো হয়েছে-‘ বাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞান’
বাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞানের শুরু ব্রিটিশ শাসন আমলে। শুরুতে বিজ্ঞানের চেয়ে কল্পনাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। অবশ্য কল্পবিজ্ঞানের নায়ক আইজ্যাক আজিমভ মনে করতেন যতক্ষন না পর্যন্ত মানুষ যুক্তি দিয়ে বিজ্ঞানকে গল্প লেখার কাজে ব্যবহার না করবে ততোক্ষন পর্যন্ত সত্যিকারের কল্পবিজ্ঞান সৃষ্টি সম্ভব নয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার না করলে ইতিহাসের পাতা থেকে দেখা যায় বাংলা সাহিত্যে প্রথম কল্পবিজ্ঞান কাহিনী ‘শুক্র ভ্রমন’। শান্তিনিকেতনের শিক্ষক জগদানন্দ রায়ের লেখা এই কল্পবিজ্ঞান কাহিনীটি প্রকাশিত হয় কল্পবিজ্ঞানের জাদুকর এইচ জি ওয়েলসের ‘The War of the Worlds’ প্রকাশিত হবার এক দশক আগে ১৮৭৯ সালে। অবশ্য কাহিনীটি লেখা হয় প্রকাশের ২২ বছর আগে ১৮৫৭ সালে।
জগদানন্দ রায়ের পাশাপাশি অনেকে বাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞানের সূচনা করার কৃতিত্বটি দিতে চান লেখক হেমলাল দত্তকে। ১৮৮২ সালে বিজ্ঞান দর্পন পত্রিকায় দুই কিস্তিতে প্রকাশিত হয় তার লেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘রহস্য’। ১৮৯৬ সালে বাংলার প্রথম আধুনিক বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু লিখেন কল্পকাহিনী ‘নিরূদ্দেশের কাহিনী’, যা পরবর্তীতে ‘পলাতক তুফান’ নামে প্রকাশিত হয়। ছোট্ট কুন্তল কেশরী তেলের বোতলে ঘূর্ণিঝড় বন্দী করার এই গল্প দিয়েই বাংলা সাহিত্যে সত্যিকার কল্পবিজ্ঞান যুগের সূচনা হয় বলা যায়। জগদীশ চন্দ্র বসুকে বাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞানের জনক হিসেবে ইতিহাসে স্থান দেয়া হয়েছে।
ছবিঃবাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞানের জনক জগদীশ চন্দ্র বসু
বাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞানের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ । ১৯০৫ সালে মাদ্রাজের একটি ইংরেজি সাময়িকীতে প্রকাশ হবার তিন বছর পর এটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকে প্রকাশিত কল্পবিজ্ঞানের মাঝে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘কুহকের দেশে’, হেমেন্দ্র কুমার রায়ের ‘মেঘদূতের মর্ত্যে আগমন’ ইত্যাদি।
আগেই বলেছি শুরুর দিকের কল্পবিজ্ঞানে বিজ্ঞান ও যুক্তির চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে কল্পনা। সেই কল্পনার পৃথিবীতে এক নতুন যুগের করেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৬১ সালে সন্দেশ পত্রিকায় ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়েরী’ গল্পের মধ্য দিয়ে জন্ম হয় বাংলা কল্পকাহিনীর আলোচিত চরিত্র প্রফেসর শঙ্কু। দুই বাংলার পাঠকের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় সত্যজিত রায়ের এই চরিত্রটি। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত প্রফেসর শঙ্কুকে নিয়ে আটত্রিশটি সম্পূর্ণ ও দুটি অসম্ম্পূর্ণ ডায়েরী প্রকাশিত হয়। সত্যজিত রায় এতো বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক হয়েও একটি কল্পবিজ্ঞান নির্ভর চলচ্চিত্র কেন নির্মান করলেন না এই প্রশ্নটি নিশ্চয়ই জাগছে আপনাদের মনে। আসুন তাহলে এবার গল্প থেকে একটু চলচ্চিত্রের দিকে চোখ ফেরানো যাক। ১৯৬২ সালে সন্দেশ পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়ের কল্পকাহিনী ‘বঙ্কু বাবুর বন্ধু’ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ সালে তিনি এই গল্পের উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র ‘The Alien’ নির্মানের চিন্তাভাবনা শুরু করেন। হলিউডের বিখ্যাত কলম্বিয়া পিকচার্স ছবিটি প্রযোজনার দায়িত্ব নিলেও শেষপর্যন্ত এই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। ১৯৮২ সালে একই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে মুক্তি পায় স্টিফেন স্পিলবার্গের সাড়া জাগানো কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র ‘E.T.’। সত্যজিত রায়ের লেখা স্ক্রিপ্টের সাথে এই ছবির মিল পাওয়া যায় বলে দাবি অনেকেরই। যদিও স্পিলবার্গ বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছেন।
ছবিঃ
বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু (মাঝখানে)
শিল্পীঃ রাজর্ষি দেবনাথ | ছবিসূত্র
সত্যজিত রায়ের পাশাপাশি বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যে আরোও কয়েকজন লেখক পরিচিতি পান। তাদের মাঝে অদ্রিশ বর্ধন, মলয় রায় চৌধুরি’র নাম উল্লেখযোগ্য। অদ্রিশ বর্ধন বাংলা ভাষায় প্রথম কল্পবিজ্ঞান সাময়িকী আশ্চর্য-এর সম্পাদক ছিলেন।
বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যে সত্যিকার অর্থে বিজ্ঞানকে খুঁজে পাওয়া যায় এ সময়ের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমদের ‘তোমাদের জন্য ভালোবাসা’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এরপর তার লেখা ইরিনা, তারা তিনজন, অনন্ত নক্ষত্র বীথি, ফিহা সমীকরন সহ বেশ কিছু কল্পবিজ্ঞান গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এরই মাঝে সে সময়ের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয় ‘কপোট্রনিক ভালোবাসা’ নামে একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। লেখক ঢাকা বিস্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুন। গল্পটি প্রকাশ হবার পর কে যেন অভিযোগ করলো, লেখাটি নাকি রাশিয়ান সায়েন্স ফিকশন ‘আইভা’ থেকে নাকি হুবুহু কপি করা হয়েছে ! সেই তরুন লেখকের তখন বয়স কম, তার ইচ্ছে হলো সেই অভিযোগকারী মানুষটাকে ধরে কাঁচা খেয়ে ফেলেন । তিনি একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানোর কথাও চিন্তা করলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পাঠালেন না। যা করলেন তা হলো, ‘কপোট্রণিক’ নামে সিরিজে আকারে একের পর এক গল্প লিখতেই লাগলেন…। আর এভাবেই জন্ম হয় বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞান লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের। বিচিত্রায় প্রকাশিত কপোট্রনিক সিরিজটি পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা মুক্তধারা ‘কপোট্রনিক সুখ দুঃখ’ নামে বই আকারে প্রকাশ করে।
ছবিঃবাংলা সাহিত্যের এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞান লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল
বাংলাদেশের কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যে আরোও কিছু উল্লেখযোগ্য নাম কাজী আনোয়ার হোসেন, অনিরুদ্ধ আলম, আলী ইমাম প্রমুখ। সত্যজিত রায়ের মতো এদের অনেকের মাঝেই একই চরিত্র নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখার প্রবনতাও লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে কাজী শাহনূর হোসেনের ‘ছোটমামা’ সিরিজের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে সেদিক থেকে মুহম্মদ জাফর ইকবাল একেবারেই আলাদা। তিনি কখনও একটি চরিত্রকে দুটি গল্পে ব্যবহার করেননি।
বাংলা ভাষায় এ পর্যন্ত বেশ কিছু কল্পবিজ্ঞান সাময়িকী প্রকাশিত হলেও কোনটাই খুব বেশিদিন টেকেনি। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত কল্পবিজ্ঞান সাময়িকীগুলোর মাঝে সবচেয়ে বেশি সময় টিকে ছিল ‘মৌলিক’। কার্টুনিষ্ট আহসান হাবিব কতৃর্ক ১৯৯৭ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বেশ কয়েকজন তরুন কল্পবিজ্ঞান লেখক সৃষ্টির মাধ্যমে এই সাময়িকীটি বাংলাদেশে কল্পবিজ্ঞানকে জনপ্রিয় তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
অনেকেই বলেন, আজকের কল্পবিজ্ঞান আগামী দিনের বিজ্ঞান। বাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞানের শুরুটা ছিল ফ্যান্টাসি নির্ভর এবং অনেকটা বিজ্ঞান বিবর্জিত। অনেকদিন ধরে এই ধারাই চলছিল। আধুনিক কল্পবিজ্ঞান লেখকরা সেই অপবাদটুকু কাটিয়ে উঠেছেন। আর সেই সাথে বাড়ছে বাংলা ভাষায় কল্পবিজ্ঞানের পাঠক।
মন্তব্য
লেখাটা সচলায়তনেও দেখে ভাল লাগলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ধন্যবাদ শামীম ভাই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
কল্পনানির্ভরতা কাটিয়ে বাংলাভাষায় সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক যুক্তিনির্ভর কল্পবিজ্ঞানের প্রচলন সম্ভবত মুহম্মদ জাফর ইকবালের হাতেই। এ ছাড়াও পৃথিবী নামক গ্রহের অধিবাসী মানুষের মধ্যে যন্ত্রের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে মানবতা নামক গাঢ় উপলব্ধির নির্যাসটুকু এতো মানবিক বোধ দিয়ে উজ্জ্বল করে তোলা কল্পবিজ্ঞান রচনায় আর কেউ বোধ করি তাঁর ধারেকাছেও নেই।
ধন্যবাদ চমৎকার একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত... বেশির ভাগ লেখক এখনও ফ্যান্টাসিই লিখেন...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
দ্বিমত।
হুমায়ূন আহমেদ প্রথম। মুহম্মদ জাফর ইকবাল পরে। এখন তার কল্পবিজ্ঞানগুলো কিছুই হয় না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
প্রেমেন্দ্র মিত্রের নাম বাদ গেল কেন? ঘনদার অধিকাংশ গল্পই তো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নির্ভর।
এ লেখায় প্রফেসর শংকুর ছবিটা চেনা ঠেকলো, পরিচিত একটি নেট-পত্রিকায় একটি লেখার সাথে বেরিয়েছিল। সেই লেখার থেকে নেওয়া আরেকটি ছবিও দেখেছি আগে সচলের পাতায়, কোনো নামোল্লেখ ছাড়াই।
মুক্ত বিশ্বে কৃতজ্ঞতা স্বীকারের পাট কি চুকে গেছে পুরোপুরি?
এই লেখার তিনটি ছবিই উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া। প্রফেসর শঙ্কুর ছবিটা উইকিপিডিয়ায় এখানে ...যদি না দেখে থাকেন লিঙ্ক থেকে দেখে নিন। উল্লেখ্য, উইকিপিডিয়ার সব ছবি GPL এর আওতায় প্রকাশিত। এখানে GPL এর কোন অপব্যবহার হয়নি। আপনি যদি অন্য কোন সাইটে শঙ্কুর এই ছবিটা দেখে থাকেন তাহলে সেটাও উইকি থেকে নেয়া। যদি কোন নেট পত্রিকা এই ছবি দিয়ে থাকে তাহলে তারা তা কোথায় পেয়েছে? কোন শিল্পীকে দিয়ে আকিঁয়েছে? নিশ্চয়ই না... তারাও এই ছবিটা উইকি থেকে ব্যবহার করেছে কোন উল্লেখ ছাড়াই। তাহলে আমি কেন তাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবো? আর আমার লেখাটা যদি আসলেই পড়ে থাকেন তাহলে প্রথম অংশেই সামগ্রিকভাবে উইকিপিডিয়ার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার কথা চোখে পড়ার কথা (যদিও GPL কৃতজ্ঞতা স্বীকারে বাধ্য করে না)। সম্ভবত না পড়েই মন্তব্য করেছেন।
প্রতিটা ছবির ইমেজ লিঙ্ক থেকেই বুঝতে পারতেন ছবিগুলোর উৎস কোথায়। এভাবে না জেনে শুনে কারো ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়া ভীষন অন্যায়। কোন একটি আক্রমনাত্বক মন্তব্যের আগে দয়া ভালো করে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
চমৎকার লেখা।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
চমৎকার।
বাহ্, চমৎকার লেখা!
খুব ভালো লাগল লেখাটা।
বহুদিন আগে (সম্ভবত কবি মঈনুদ্দিনের) লেখা " ডঃ শফিকের এর-মোটর-বোট " আমার ছেলেবেলায় পড়া প্রাচীনতম কল্পকাহিনী। বর্তমানে যাঁরা কল্পকাহিনী লিখে প্রচন্ড জনপ্রিয় হয়েছেন, তাঁদের লেখাগুলি সম্ভবত ১০০% ইংরেজী ও ইংরেজীতে অনূদিত অন্য ভাষায় (প্রধানত পূর্ব ইউরোপীয়) লেখা অনেকগুলি কাহিনীর জোড়াতালি।
কথা সত্য। আমি অনেক জায়গায় অনেক স্থুল মিল দেখেছি।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ধন্যবাদ সবাইকে ...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
বিজ্ঞানের জটিলতাহীন পার্থিব কল্পবিজ্ঞান কাহিনী ভালো লাগে বলে মুহম্মদ জাফর ইকবাল পছন্দ আমার। প্রফেসর শঙ্কুও ভাল্লাগতো একটা সময়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আপনাকে আর একটা কল্পবিজ্ঞান বইয়ের খোঁজ দিতে পারি । শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের তিন হাজার দুই বইটি কি পড়েছেন ? না হলে কোনভাবে সংগ্রহ করে পড়ে দেখতে পারেন । আমার খুবই ভাল লেগেছে গল্পগুলো ।
(পার্থসারথি মুখার্জী)
পেলে অবশ্যই পড়বো।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
চমত্কার বিশ্লেষনধর্মী লেখা। তবে আমার একটি প্রশ্ন হলো - জাফর ইকবাল ইদানিং কি লিখছেন? তাঁর প্রথম দিকের লেখা গুলো তো অবশ্যই অসাধারন কিন্তু ইদানিং আমার মনে হয় তিনি পাঠক ঠকাচ্ছেন। নির্দয় ভাবে ঠকাচ্ছেন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
তথ্যপূর্ণ লেখা। পড়ে ভালো লাগলো।
ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাথে আমার পরিচয় "কপোট্রনিক সুখ দুঃখ" বইটির মাধ্যমে। সময়টা মনে হয় ১৯৯০। ছোটবেলায় দেখতাম বড়দের বেশি প্রশ্ন করতে নেই। বড়রা বিরক্ত হয়, মাঝে মাঝে মারও খেতে হয়। সুতারাং নিজের বুদ্ধিতে যা বোঝার বুঝে নিলাম।
আমি যা বুঝলাম তা হচ্ছে— ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল হচ্ছেন তৎকালীন সিনেমা জগতের অন্যতম স্মার্ট নায়ক জাফর ইকবাল। তিনি সিনেমা করার ফাঁকে ফাঁকে গল্পের বই লিখেন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্রতি মুগ্ধতা থেকে আমি বিটিভিতে বাংলা ছবির নিয়মিত দর্শক হয়ে গেলাম। বিশেষ করে কোন ছবিতে জাফর ইকবাল থাকলে সেই ছবি অবধারিতভাবেই দেখতাম।
ডঃ জাফর ইকবালের লেখা প্রায় সবগুলো বই (২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত) পড়েছি। পরবর্তিকালে "নীতু ও তার বন্ধুরা" বইটির সাথে ইংরেজি ছবি ম্যাটিল্ডা'র পুরোপুরি মিল খুঁজে পেয়ে চমৎকৃত হয়েছি! ব্যথিতও হয়েছি! যতদূর মনে পড়ে বইটির কোথাও লেখা নেই যে বইটি বিদেশী কাহিনীর বঙ্গানুবাদ।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
আমি উইন্ডোজ রি ইনস্টল করতে পারি না দেইখা আপনে যে আমারে দাত কামড়ানি একখান হাসির ইমোটিকন দিছিলেন মনে আছে? সেইটা আমার মন্তব্যের ঘরে বসবো...
মজা পাইলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার এক বন্ধু আছে সে প্রথম দিকে জাফর ইকবালের বই পড়তো না। কারন, নায়ক জাফর ইকবালের বই আর কত ভালো হবে ...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
০১
ডক্টর মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এখন সম্ভবত ক্লান্ত। গত কয়েক বছরের কল্পবিজ্ঞানের বইগুলিতে উনি নিজেই যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজেন। অথচ উনার হাত ধরেই আমরা কত চমৎকার কল্পবিজ্ঞানের বই পেয়েছি। কপোট্রনিক সুখ দুঃখ, টাইট্রন একটি গ্রহের নাম, ওমিক্রনিক রূপান্তর, মহাকাশে মহাত্রাস, পৃ - কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলবো ? বিদেশী গল্পের সাথে সাযুজ্যের কথা অনেকের কাছেই শুনেছি - তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই, কারণ আমি নিজে খুব বিখ্যাত কিছু সায়েন্স ফিকশন এর অনুবাদ ছাড়া বাকি কিছু পড়িনি। তবে সত্য ঘটনা যাই হোক, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল একসময় যে চমৎকার লেখা উপহার দিয়েছেন, তার জন্য, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
জাফর ইকবালের একটি চমৎকার ছোটগল্প আছে কল্পবিজ্ঞানের , যদিও সেটা আমার কাছে যে কোন ধরণের ফরম্যাটে লেখা পড়া সেরা ছোটগল্পগুলির একটি - নাম "মানুষ" । সচলে কেউ কি পড়েননি সেটা ?
০২
জাফর ইকবাল যদিও আন্তর্জাতিক মানের কল্পবিজ্ঞান লিখেছেন, তবুও ক্লাসিক কল্পবিজ্ঞানের খানিকটা অভাব আমি বোধ করি। আমার স্পষ্ট মনে আছে স্পেস ওডিসির প্রথম খন্ড পড়ার পর কি প্রচন্ড শিহরিত হয়েছিলাম ( জঘন্য বাংলা অনুবাদ সত্বেও ) !! ফাউন্ডেশন যদিও সব খন্ড পড়া হয়নি, তবুও যতটুকু পড়েছি - তাতে এর শক্তি বুঝতে পেরেছি।
বাংলা ভাষায় এখনো এত বড় পরিসরে এরকম ক্লাসিক কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস লেখা হয় নি। এই অভাবটা অনেকদিন ধরেই বোধ করি।
০৩
মুক্তবিশ্বে কৃতজ্ঞতা স্বীকারের পাট চুকে যায়নি - তার জন্যই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি মাহবুব লীলেনের, কারণ ক্রমিক মন্ত্যবের এই স্টাইল উনার কাছ থেকেই শেখা।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খুব ইনফরমেটিভ লেখাটা, ভালো লাগলো
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভালো লাগলো লেখাটা।
জাফর ইকবাল আমার এখনো প্রিয়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি কপোট্রনিক সুখদুঃখের প্রথম সংস্করণটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম, নিউজপ্রিন্টে ছাপা পাতলা একটা বই, কিন্তু চমৎকার সব গল্প। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি বোধহয়। বাইশকে সাত দিয়ে ভাগ করলে যে কখনো শেষ হয় না, তা হাতে কলমে করতে গিয়ে দারুণ শিহরিত হয়েছিলাম। মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো এই মুগ্ধতাবোধের জন্যে।
পরবর্তীতে তাঁর সায়েন্স ফিকশনগুলি ধীরে ধীরে মুগ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়েছে। আমার বিবেচনায় তাঁর সেরা সায়েন্স ফিকশন গল্পগুলো হচ্ছে বিজ্ঞানী সফদর আলির মহা মহা আবিষ্কারের গল্পগুলি। তুলনাহীন। চমৎকার কিছু সায়েন্স ফিকশন ছোটগল্পও তিনি লিখেছেন, সব ক'টার নামও মনে নেই। শেষ যে উপন্যাসটি পড়ে ভালো লেগেছিলো, সেটির নাম সম্ভবত বেজি।
তবে একসময় যে ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম পড়ে শিহরিত হয়েছিলাম, পরবর্তীতে ১৯৮০ সালের সাড়া জাগানো সিনেমা "এলিয়েন" দেখে সেই মুগ্ধতায় ভাঁটা পড়েছিলো। সাম্প্রতিক আরেকটি উপন্যাসের শেষার্ধের সাথে পিচ ব্ল্যাকের মূল থিমের মিল পেয়েছি। দুঃখ পেয়েছি মনে মনে।
সায়েন্স ফিকশনে ওপারে প্রেমেন্দ্র আর সত্যজিৎ, আর এ পারে হুমায়ূন আর জাফর ইকবাল পোক্ত আসন দখল করে রেখেছেন। তাঁদের পাশে জায়গা করে নেয়া মুশকিল।
বিপ্রতীপকে ধন্যবাদ সুলিখিত একটি পোস্টের জন্যে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
প্রত্যেক লেখকেরই একটা সময় আসে যখন তারা নিজের নামের প্রতি ততোটা সুবিচার করতে পারেন না। তবে মুহম্মদ জাফর ইকবালে যে কয়টা বই পড়েছি কোনটাই মন্দ লাগেনি। কোন মিলও খুঁজে পাইনি। কারন, আমি মুভি কিছুটা কম দেখি। তাঁর ইদানিংকালে প্রকাশিত বইগুলো অবশ্য পড়ার সুযোগ হয়নি।
সহমত...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ও হ্যাঁ, টাইট্রন একটি গ্রহের নাম বইটির সাথে এলিয়েন সিনেমাটির আশ্চর্য মিল থাকার কথাও বলতে ভুলে গিয়েছিলাম।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
উইকিপিডিয়াতে এই ছবি রয়েছে জানা ছিল না। আমি দেখেছি মূল উত্স পরবাসে, তাদের সত্যজিত্ সংখ্যায়, নিচে লিঙ্ক দিলাম। ঐ লেখার লেখকই অলঙ্করণ করেছেন। উইকিও ঐখান থেকেই নিয়েছে, তার প্রমাণ তাদের ছবিতে শিল্পীর স্বাক্ষর দেখা যাচ্ছে।
http://www.parabaas.com/satyajit/articles/pRajarshi.html
আপনার লেখা পড়েছি, বক্রোক্তি গায়ে মাখলাম না। লেখায় উইকি-র উল্লেখও দেখেছিলাম, তবে তথ্যসূত্র হিসেবে, অলঙ্করণের প্রসঙ্গে নয়। কাজেই বক্রোক্তিটির প্রয়োগ প্রশ্নাতীত নয় বলেই মনে হয়।
ভালো থাকুন।
প্রিয় পাঠক,
আমার কোন কথায় আঘাত পেয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে কাউকে ক্রেডিট থেকে বঞ্চিত করি না। এখানেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। যাই হোক, কাল সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে জ্যামের মাঝে ব্যাস্ত দিন কাটিয়েছি। লাঞ্চ করতে হয়েছে সন্ধ্যা সাতটায়। তাই ক্লান্তির সাথে মন মেজাজটাও খারাপ ছিল। তাই আপনার কথায় হঠাৎ করেই রেগে গিয়েছিলাম...আশা করি, বিষয়টি মনে রাখবেন না। ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আন্তর্জালে বিবাদ খুব ভয়ানক জিনিষ, আত্মপরিচয় গোপন থাকে বলে একবার শুরু হলে কেউ কাউকে রেয়াত্ করে না। সেইজন্যই চেষ্টা করি তা এড়িয়ে চলার, সবসময় হয়ে ওঠে না। আপনিও যে সামলে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
কেউ হয়তো বুঝে গিয়ে থাকবেন এ বিষয়ে আমার আগ্রহাতিশায্য দেখে, ওটি আমার অলঙ্করণ বলেই আমার আপত্তি হয়েছিল। ছোটোখাটো সাইটে হলে ভাবতাম না, তবে সচল এ সব নীতি মেনে চলে বলেই কথাটা পেড়েছিলাম। সত্যি কথা হলো নিজের আঁকা সচলে দেখে আদতে খুশিই হয়েছি।
সবাই ভালো থাকুন।
[সন্ধে সাতটায় "লাঞ্চ"? ঘন্টাখানেক দেরি করে একেবারে ডিনার সেরে নিলে হত না? ]
এবার সত্যিই লজ্জা লাগছে। কিন্তু আপনার ছবি উইকিতে আপনার অনুমতি ছাড়া কিভাবে জিপিএল এর আওতায় প্রকাশ করা হলো সেটাই বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে আপনি বাংলা উইকি সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অফটপিকঃ
[ডিনারের জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না ...কারন পেটে ততোক্ষনে অলিম্পিক শুরু হয়ে গেছে...]
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ভাই আপনার আকার হাত ভাল !
বিপ্র তোর লেখাটা দারুণ লাগলো!! ভাবতেছি কল্প বিজ্ঞান লিখুম!
কিরে কই ডুব দিলি? তোর না অনেকগুলো অনু কল্পবিজ্ঞান লেখার কথা? আমাদের প্রযুক্তিতে তোর সেই অনু কল্পবিজ্ঞানটা পড়ে চরম লাগছিলো!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আমার একটি লেখাতেও আপনার ছবি এসেছিলো। উইকি থেকে ছবি নেয়া সহজ কারণ কপিরাইট এর হ্যাঁপা কম। তবে আমার প্রতিটি পোস্টের শেষেই দেখবেন ছবির সোর্স দেয়া থাকে। আপনার নাম আমার সেই পোস্টটিতে উল্লেখ করে দিলাম [সচলায়তনে] এবং একই সাথে আমার [ব্লগস্পটে]।
ধন্যবাদ।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
স্পর্শ, ধন্যবাদ আপনাকে।
বিপ্রতীপ, উইকি-তে যিনি লিখেছেন ঐ লেখাটি তাঁকে জানিয়েছি, সংশোধনের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে "আবিষ্কার" করি বিলেত গিয়ে, বাড়ির কাছের পাবলিক লাইব্রেরিতে কল্পবিজ্ঞান সমগ্র কয়েকখন্ড হাতে পেয়ে। এপার বাংলায় হুমায়ুন আহমেদ বা এঁর নাম তখন তেমন সুপরিচিত ছিল না। গোগ্রাসে পড়ে তারপর যাকে পেয়েছি পড়তে বলেছি। ইদানিং যে মান পড়ে গেছে তা অবশ্য আপনার লেখায় পাঠকদের মন্তব্য পড়ে জানলাম, সম্প্রতি কিছু পড়িনি। ছোটোবেলায় আর যাঁদের লেখা কল্পবিজ্ঞান পড়েছি (যেমন অদ্রীশ বর্ধন বা সঙ্কর্ষণ রায়) তাঁরা যে মন্দ লিখতেন তা নয়, তবে জাফর ইকবালের লেখার একটা দার্শনিক দিক আছে, সেটা দেখতে পাইনি। ঘনাদা মাস্টারপিস হলেও সত্যিকারের উপভোগ করেছি বড়ো হয়ে। আপনার লেখায় কৈশোরের কিছু স্মৃতি ফিরে এলো। ধন্যবাদ।
যাক...আমিও ছবিসূত্র হিসেবে আপনার সাইটটি যুক্ত করে দিয়েছি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
"পাঠক", আপনি ইচ্ছে করলে সচলে কিছু রেখা যোগ করতে পারেন, যদি লেখার আগ্রহ না আসে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আসলে জাফর ইকবাল যখন লেখা শুরু করেছিলেন 'কপোট্রনিক সুখ দুঃখ' তখন তার সমসাময়িক আরো একজন কল্পবিজ্ঞান লেখক ছিলেন, লোকে এখন নাম ভুলেই গেছে। কিন্তু সদ্য কৈশোরে পা রাখা এই আমার করোটিতে তিনি সে সময়ই একটা আলাদা জায়গা অধিকার করে ফেলেছিলেন। তার নাম ছিল স্বপন কুমার গায়েন। তার লেখা 'স্বাতীর কীর্তি', 'বার্ণাডের তারা' এ সমস্ত বইগুলো একসময় গোগ্রাসে গিলতাম। জাফর ইকবালের 'কপোট্রনিক সুখ দুঃখ এবং 'মহাকাশে মহাত্রাশ' প্রায় একই সময়ই পড়া। তারপর থেকে এদের লেখায় (এবং পরবর্তীতে হুমায়ুন আহমেদের কিছু লেখায়) যে মুগ্ধতার আবেশ তৈরি হয়েছে তার রেশ আজ অব্দি কাটেনি। মহাকাশে মহাত্রাশের হারুন হাকাশী আজও আমাকে তাড়িয়ে রেড়ায়। মুক্তধারা সেসময় এসমস্ত উঠতি লেখকদের বই প্রকাশ করে আমাদের জন্য বেশ উপকার করেছিলো। মুক্তধারা থেকে সে সময় বেরুনো আরেকটা ফ্যান্টাসি টাইপ কল্পকাহিনী আমাকে বেশ টেনেছিল - ছোট মামা দি গ্রেট! কেউ কি লেখকের নামটি মনে করতে পারেন?
রাশান একটা বইয়ের বাংলা - 'গ্রহান্তরের আগুন্তুক'ও আমার অনেক রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলো। প্রফেসর বার্ণের নিদ্রাভংগের আদলে একটা লেখাও শুরু করেছিলাম ... কই যে গেল সেই সব দিন!
বিপ্রতীপ কে ধন্যবাদ... এই দারুন লেখাটির জন্য শুধু নয়... আমার কৈশোরের সেই কল্পবিজ্ঞানের মনটিকে টেনে বের করে নিয়ে আসবার জন্য।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
ধন্যবাদ আপনাকে...সম্ভবত আমার ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্য
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আমার কানের পাশের একজন বলছে, খান মোহাম্মদ ফারাবি-নিতান্তই অনুমান।
আপনার কানের পাশের 'একজন' ঠিক বলে থাকতে পারে, কারণ যদ্দূর মনে পড়ছে ফারাবীরই লেখা অপূর্ব এক বইয়ের কথা - 'মামার বিয়ের বরযাত্রী'। অতএব মামা নিয়ে লেখা এটা তারই হতে পারে। যেহেতু তিনি মারা যান খুব অল্প বয়সে, আরো অনেক ভালো ভালো লেখা লিখতেও পারেননি আর আমাদেরও তাকে নিয়ে স্মৃতি ফিকে হয়ে গেছে।
স্বপনকুমার গায়েন আর খান মোহাম্মদ ফারাবির ওপর কেউ আলোকপাত করতে পারেন আরেকটু? তাঁদের লেখা বইগুলো কি এখন আর পাওয়া যায় বাজারে?
হাঁটুপানির জলদস্যু
স্বপন কুমার গায়েন আমেরিকার কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে আছেন সম্ভবত। তিনি জাফর ইকবালেরই সমবয়সী, এবং সমসাময়িক। জফর ইকবাল যেখানে লেখালেখিকে প্যাশন হিসেবে নিয়ে বাংলা সাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান জগতের ধ্রুবতারা হয়ে টিকে আছেন, সেখানে একই মান (কেউ বলেন তার লেখার মান সেসময় জাফর ইকবালকেও অতিক্রম করে গিয়েছিলো) নিয়ে শুরু করেও গায়েন পরবর্তীতে পদার্থবিজ্ঞানকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন, এবং সাহিত্য থেকে দুরে সরে যান।
ছোট মামা দি গ্র্যেট এর লেখক সম্ভবত খান মোহাম্মদ ফারাবি নন, অন্য কেউ। নামটা আর মাথায় আসবে বলে মনে হচ্ছে না।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
ছোট মামা দি গ্রেট এর লেখক খান মোহাম্মদ ফারাবি নন, আহসান হাবীব।
কবি আহসান হাবীব (১৯১৭-১৯৮৫)।
স্বপনকুমার গায়েন হলেন সাম্প্রতিককালে খ্যাতিপ্রাপ্ত সাহিত্যিক অদিতি ফাল্গুনীর মামা। কারো মামা হওয়াটা যদিও সেই অর্থে পরিচয় নয়, তবু একটু ঘুরিয়ে 'আলোকপাত' বটে
অমিত ও বিপ্রতীপ, ধন্যবাদ আপনাদের।
হিমু, লেখার আগ্রহের অভাব নেই, তবে ক্ষমতা / সময়ের প্রশ্ন থাকে অনেক ক্ষেত্রেই। আর সচল না হয়ে লেখা যায় কি?
রেখাযোগ কী করে করব সেইটা জানি না, কারুর লেখায় অলঙ্করণ হিসেবে?
আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসটি কি পাওয়া সম্ভব? আপত্তি থাকলে বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে "না" বলে দিতে পারেন। আর না থাকলে এই aumit.ahmed@জিমেইল.কম ঠিকানায় একটি ইমেইল দেবেন কি?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
কোনো সমস্যাই নেই, ই-মেল পাঠিয়ে দিয়েছি।
সচল না হয়ে লিখতে পারেন অতিথি হিসেবে। অ্যাকাউন্ট guest_writer আর পাসওয়ার্ড guest।
আপনি যদি আঁকেন, তাহলে তো ছবিব্লগ বা কার্টুন ব্লগিঙও করতে পারেন। অন্যের লেখায় অলঙ্করণ যদি স্বেচ্ছায় করতে চান, তাহলে করতে পারেন। আপনার ইচ্ছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধন্যবাদ, হিমু। কোনোদিন সময়-সু্যোগ মতো লিখবো, ইচ্ছে রইলো।
লিখি কম, আঁকিই বেশি, পরবাস (parabaas.com) পত্রিকায় গত ৫-৬ বছর মোটামুটি নিয়মিতভাবে অলঙ্করণ করে চলেছি এবং সদাশয় সম্পাদকমশাই ছেপেও চলেছেন (ভদ্রলোকের শরীরে দয়ামায়া একটু বেশি )। ছবিব্লগের প্রতিভা নেই সেটা একরকম নিশ্চিত, তবে অলঙ্করণ করা যেতেই পারে। আগ্রহী লেখকদের জানানো রইলো।
খান মোহম্মদ ফারাবী খুব অল্প বয়সে (১৯৫২-১৯৭৪) মারা যান। তাঁর লেখা বারটি গল্প সংকলন করে 'মামার বিয়ের বরযাত্রী' নামক তাঁর একটিমাত্র গ্রন্থই প্রকাশিত হয়। বইটি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের 'বই পড়া কর্মসূচী'তে পাঠতালিকার অন্তর্ভুক্ত। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় বিসাকে থেকেই আমি এই বই পড়েছিলাম। বইটি সম্ভবত বাজারে এখনো পাওয়া যায়। বিস্তারিত এখান থেকে জানা যাবে।
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নতুন মন্তব্য করুন