প্রবাসের কথা…[০২]

বিপ্রতীপ এর ছবি
লিখেছেন বিপ্রতীপ (তারিখ: বুধ, ২৪/০৯/২০০৮ - ১০:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব

এখন নাকি শব্দগুলো এক মুহুর্তে সাগর পেরোয়…

কাচের দেয়ালের ওপাশে আমার মা। আমি দেখছি …কিন্তু কথা শোনা যাচ্ছে না। কথা বলতে হচ্ছে মোবাইলে। ইমিগ্রেশনের সব ঝামেলা শেষ করে যখন প্লেনে উঠলাম তখন সকাল সাতটা। মোবাইল করতে গিয়ে বিমানবালার হালকা ঝাঁড়ি খেলাম…নো মোবাইল প্লিজ…।বিমান আকাশে উড়লো সাড়ে সাতটায়। সিট পড়েছে মাঝমাঝি জায়গায়। প্রথম বিমান ভ্রমণের তেমন কোন উত্তেজনাই টের পাচ্ছি না কেন জানি…।প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর পৌছালাম কুয়েত সিটি।কুয়েত সিটি থেকে আড়াই ঘন্টা পর লন্ডনের উদ্দেশ্যে।এবার সিট জানালার প্রায় কাছাকাছি। জানালার সিটে টরোন্টোগামী এক মেয়ে। সে জানালার পাশের সিটে বসতে পছন্দ করে না।তাই আমাকে তার সিটটা ছেড়ে দিল, আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রীতিমতো লাফাতে লাফাতে জানালার পাশে চলে গেলাম।ব্যাগ থেকে ক্যামেরা খুলে বেশ কিছু মেঘের ছবি তুলে ফেললাম মুহুর্তের মাঝেই।কুয়েত সিটি থেকে হিথ্রো পৌছাতে প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা লাগলো। হিথ্রো থেকে এয়ার কানাডার বোডিং পাস নিলাম। ফ্লাইট আড়াই ঘন্টা পর। এবার সিট পড়লো মাঝামাঝি জায়গায়। যথারীতি খাওয়া দাওয়া শেষ করে সামনের এলসিডি ডিসপ্লে-তে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করলাম।

কুয়েত এয়ারওয়েজের বিমানের সাথে এয়ার কানাডার বিমানের বেশ কিছু পার্থক্য চোখে পড়লো-
১। কুয়েত এয়ারওয়েজের চেয়ে এয়ার কানাডার বিমানের অবস্থা বেশ ভালো। সিটের সামনে টাচস্ক্রিন এলসিডি। ইচ্ছেমতোন পস রিজিউম করা যায়, কুয়েত এয়ারওয়েজের বিমানে এই সুবিধা ছিল না। অবশ্য একটা মুভি দেখতে শুরু করে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম টেরই পেলাম না।
২। কুয়েত এয়ারওয়েজের বিমানবালারা বয়সে বেশ তরূনী।তাদের চেহারা বেশ মিষ্টি এবং ব্যবহারেও বেশ আন্তরিকতার ছাপ আছে। অন্যদিকে এয়ার কানাডার বেশির ভাগ বিমানবালারাই ডাইনি বুড়ি টাইপের।
৩। কুয়েত এয়ারওয়েজের সার্ভিস অনেকটা বাংলাদেশের সোহাগ পরিবহনের মতো। প্লেন ল্যান্ড করার আগে হেডফোন ফেরত নেয়ার জন্য রীতিমতো দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। এয়ার কানাডায় হেডফোন ফেরত দেয়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

আট ঘন্টা পর টরোন্টো-তে যখন নামলাম তখন কানাডা সময় রাত সাড়ে দশটার মতো। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে লাগেজ নিয়ে ছুটলাম এয়ার কানাডার কাউন্টারে রেজিনা যাবার ডোমেস্টিক ফ্লাইটের টিকেট কিনতে।জানা গেলো রেজিনাতে ফ্লাইট আছে পরদিন সকালে। টিকেটের দাম ৪৭০ ডলারের মতো।হাসিমুখে বললাম, রেগুলার ক্লাসের কোন টিকেট নাই? ‘এইটা রেগুলার ক্লাসই’…উত্তরটা শুনে এই ভয়াবহ ঠান্ডাতেও ঘামতে লাগলাম।অনি প্রস্তাব দিল একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া যাক। আশেপাশে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো বাসে রেজিনা যেতে প্রায় তিনদিন লাগে।ভাড়াও খুব একটা কম হবে না।অর্থ্যাৎ এয়ার কানাডার টিকেট কিনে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিন্তু ততোক্ষনে এয়ার কানাডার কাউন্টার বন্ধ হয়ে গেছে, খুলবে ভোর ছয়টায়। অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার নেই। সব লটবহর এক জায়গায় রেখে ল্যাপটপ খুলে বসলাম। ব্যাটারির দম প্রায় ফুরিয়ে আসছে। ক্যামেরা থেকে ছবি ট্রান্সফার করতে গিয়ে যা দেখলাম তাতে মেজাজ ভয়াবহ খারাপ হলো। মেমোরি কার্ড ইন্তেকাল করেছে। প্লেনে তোলা ছবির সাথে সাথে দেশে শেষ কিছুদিনের তোলা ছবিও শেষ। এদিকে ঠান্ডা আরোও বাড়তে থাকলো।হাতের কাছে যা গরম কাপড় ছিল গায়ে চড়ালাম।চারপাশে শুনশান নিরবতা, দেখে মনেই হয়না একটা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।কোন ব্যাস্ততা নেই। হাতেগোনা যে কয়েকজন আছে তারাও চেয়ারে আরাম করে শুয়ে পড়লো।
Image Hosted by ImageShack.us

রাতের টরোন্টো এয়ারপোর্ট

ভোর ছয়টায় খুললো কাউন্টার। এবার খোঁজ নিয়ে যা জানা গেলো তা আগের চেয়েও ভয়াবহ। সকাল সাড়ে আটটার ফ্লাইটে কোন টিকেট নেই, দুপুরের দিকে একটা ফ্লাইট আছে। তাতে শুধু বিজনেস ক্লাসের সিট ফাঁকা আছে, ট্যাক্স সহ প্রতি টিকেটই প্রায় এক হাজার ডলারের উপরে পড়বে।অনি আর আমি একে অন্যের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছি। আমি শুকনো মুখে বললাম, এক হাজার ডলার খরচ করে রেজিনা যাওয়ার চেয়ে আমি বাংলাদেশ ফেরত যাবো…। মন্ট্রিল থেকে এক আত্মীয় কয়েকদিন আগে ফোন করে বলেছিলেন আগে অনলাইনে টিকেট কিনে রাখবেন কিনা।তাৎক্ষনিকভাবে করলে দাম কিছুটা বেশি হতে পারে।আমি বিজ্ঞের মতো বলেছি থাক, আমিই টরোন্টো নেমে করে নেবো…সমস্যা হবে না।কত আর বেশি নেবে? যাই হোক, কাউন্টারের সেই মহিলাকে সব খুলে বললাম। সে অনেক ভেবেচিন্তে বললো, তোমরা ওয়েস্ট জেটে চেষ্টা করে দেখতে পারো…ওখানে হয়তো আরেকটু সস্তায় টিকেট পাবে। ওয়েস্ট জেটের কাউন্টার কোথায় জিজ্ঞেস করতেই সে হড়বড় করে অনেক কথা বলে গেলো।বেশির ভাগ কথাই আমার এক কান দিয়ে ঢুকে আরেক কান দিয়ে বেড়িয়ে গেলো। শুধু এতোটুকু বুঝলাম ওয়েস্ট জেটের কাউন্টার ৩ নম্বর টার্মিনালে এবং সেখানে যেতে হয় ট্রেনে করে। দুই হাতে ৪৬ কেজি’র লাগেজ আর পিঠে দশকেজি’র ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছুটলাম তিন নম্বর টার্মিনালের সন্ধানে। বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞেস করে প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ঘাম ঝাঁড়িয়ে পর পৌছালাম তিন নম্বর টার্মিনালের ওয়েস্ট জেটের কাউন্টারে। কাউন্টারে মেয়েটির নাম সারাহ। সে জানালো সকাল পৌনে নয়টায় একটা ফ্লাইট আছে। তবে টিকেট আছে দুই ধরনের দুইটা…এবং ট্যাক্সসহ দুইটা টিকেটের দাম পড়বে একহাজার পয়তাল্লিশ ডলার। আমি আর অনি ঠিক করলাম আবার ধরা খাওয়ার আগেই টিকেট কিনেই ফেলা যাক। সারাহ তখনই আবার কম্পিউটারে চেক করে জানালো, এখনই একটা সিট ফাঁকা হয়েছে…এই সিটের দাম আরেকটু কম এবং আগের একটার পাশাপাশি। এখন দাম পড়বে ট্যাক্সসহ একহাজার এগারো ডলার। সেই মুহুর্তটাতে সারাহকে আমার পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে মনে হলো…। মনে হলো বুক থেকে একটা বিরাট পাথর নেমে গেছে। টিকেট কিনে সব লাগেজ বুঝিয়ে দিয়ে বোর্ডিং পাস নিলাম। মনে হলো অনেকদিন পর মুক্তির স্বাদ পেলাম…

হাতে তখন বেশ ক্ষানিকক্ষণ সময় আছে। অনি বললো, পাঁচশো ডলার খরচ করে আর কবে টরোন্টো আসা হবে কিনা কে জানে…চলো একটু আশেপাশে ঘুরে যাই।উঠে দাঁড়ালাম।বাসায়ও ফোন করা দরকার। অভ্যাসবশত প্যান্টের পকেটে হাত চলে গেলো। মোবাইলের বদলে বের হয়ে এলো একটা দীর্ঘশ্বাস …। কি দরকার ছিল দেশ ছাড়ার…। আশেপাশে খুঁজেখাঁজে একটি দোকানে লং ডিসটেন্স কলিং কার্ড পাওয়া গেল। বাসায় ফোন করার পর এদিক সেদিক কিছুক্ষন হাঁটাহাটি করে ২৮ নম্বর গেইটে পৌছালাম।এখানে ডমেস্টিকে যেরকম চেকিং হয় তা মনে হয় কোন ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটেও হয় না। এমনকি ল্যাপটপ খুলে তার চারপাশও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হলো। হিথ্রোতেও এমন চেক করেনি। সব কাজ শেষে হাতে তখনও কিছু সময় বাকী।কিছুসময় পর এক ভদ্রলোক পাশে এসে বসেই কথাবার্তা শুরু করলেন।পরিচয়পর্ব শেষ হলো। ভদ্রলোকের নাম রাজেশ যোশী… ভারতীয়, রেজিনায় জব করেন। তার পরিবারের বাকী সবাই থাকেন টরেন্টোতে। ভদ্রলোক এক নাগাড়ে কথাবার্তা বলতেই থাকলেন। প্লেনে উঠার পর দেখা গেলো তাঁর সিট পড়েছে আমাদের সামনের সারিতে। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, তোমার পাশের মেয়েটাকে একটু অনুরোধ করে দেখ সে আমার সিটে আসবে কিনা, তাহলে আমি তোমাদের সাথে আরোও কথাবার্তা বলতে পারবো। মেয়েটিকে বলতেই রাজী হয়ে গেলো, ভদ্রলোক তাঁর জানালার পাশের সিট ছেড়ে আমাদের পাশের সিটে চলে এলেন।অনেক কথাবার্তা হলো বিভিন্ন বিষয়ে। তিনি বিভিন্নভাবে বোঝালেন রেজিনায় এখন চাকুরির বাজার বেশ ভালো, তিনি তার পরিবার নিয়ে রেজিনায় সেটেল হবার চিন্তাভাবনা করছেন। অনেকক্ষন একনাগাড়ে কথাবার্তার পর ভদ্রলোক থামলেন। আমি এই সুযোগে চোখ বন্ধ করে মটকা মেরে পড়ে রইলাম।

Image Hosted by ImageShack.us

টাইলসের মতো ফাঁকা মাঠ... (ছবিঃঅনি)

এদিকে ভয়াবহ ক্ষিদে পেয়েছে। পাঁচশ ডলার দিয়ে টিকেট কেনার পর আমাদের আর একটা ডলারও খরচ করতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। কিছু কিনে খাওয়ার ইচ্ছেটাও তাই মরে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম প্লেনে নিশ্চয়ই কিছু ফ্রি খাবার দাবার পাওয়া যাবে।কিন্তু দেখা গেলো খাবার দাবার দেয়ার কোন লক্ষণ নাই। সামনের সিট পকেটে ওয়েস্ট জেটের কাগজপত্র ঘেঁটে বুঝলাম তাদের খাবার দাবার ফ্রি না, কিনতে হয়। রীতিমতো মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে হলো। একটু পর বিমানবালা এসে ড্রিংস লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করতেই অনেক কষ্টে মুখ হাসি হাসি করে বললাম…নো…থ্যাংস। পাশ থেকে রাজেশ যোশী হাসিমুখে বললনে, কেন লাগবে না…নাও নাও। তিনি ইতোমধ্যে এক কাপ কফি নিয়েছেন। মুখ নামিয়ে আমাকে বললনে,'ওদের ড্রিংস কিন্তু ফ্রি…'। ফ্রি পেপসি আর বিস্কুট পাওয়া গেলো। পেপসিতে গলা ভিজাতে ভিজাতে অনি মুচকি হেসে বললো, আমি জানতাম…'ড্রিংসটা নিশ্চয়ই ফ্রি হবে। তুমি ‘না’ বলে দেয়ায় আমি একটু কনফিউসড হয়ে গিয়েছিলাম।' আমি কটমট করে তাকাতেই অনি চুপ মেরে গেল। রাজেশ যোশী কফি শেষ করে আবারও বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া শুরু করলেন। শুনেছিলাম বিদেশে সবাই নিজের ধান্ধায় ব্যস্ত থাকে। এই ভদ্রলোক কেন বিনে পয়সায় এতো পরামর্শ দিচ্ছেন বুঝতে পারছি না। কথাপ্রসঙ্গে বললাম আমরা এ্যাপার্টমেন্ট পাবো আগামী মাসের ২ তারিখ, এই সাতদিন সন্তায় থাকার কোন তরিকা তার জানান আছে কিনা।তিনি একটা হোস্টেলের ঠিকানা লিখে দিলেন।

প্রায় তিনঘন্টা পর রেজিনায় ল্যান্ড করলো বিমান। রাজেশ যোশী হাসিমুখে বিদায় নিলেন, বিদায় নেয়ার সময় এক প্যাকেট কাজু বাদাম হাতে ধরিয়ে দিলেন। প্লেন থেকে নামলাম। এয়ারপোর্টটা একেবারেই ছোট্ট…ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বলে মনেই হয় না। পাশ থেকে অনি বিড়বিড় করছে, ‘প্লেন থেকে দেখলাম সব টাইলসের মতো ফাঁকা মাঠ…এইখানে মানুষ থাকে বলে তো মনে হয় না…’

(চলবে)


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

লগালগ সারাহরে একটা কিস করা উচিৎ ছিল। বিশাল ভুল। এই ভুল যেনো আর হয় কানাডায় চোখ টিপি

বিপ্রতীপ এর ছবি

ওস্তাদ,
ইনশাল্লাহ...এই ভুল আর হবে না চোখ টিপি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কি দরকার ছিল দেশ ছাড়ার…।

সেটাই তো বলি! কি দরকার ছিল দেশ ছাড়ার! যাই হোক, লেখা ভাল লাগল। শুরু থেকেই আছি এই সিরিজের সাথে, আশা করি থাকব। লিখতে থাকুন। শুভকামনা।
__________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

বিপ্রতীপ এর ছবি

আসলে বুয়েট থেকে বের হয়ে মনে হচ্ছিল বাইরে যাওয়াটাই মনে হয় সবচেয়ে জরুরী। অবশ্য উচ্চশিক্ষার সুপ্ত ইচ্ছেটাও ছিল মনে। কিন্তু যখন দেখলাম দেশ ছাড়ার দিন ঘনিয়ে আসছে তখন মনে হলো দেশে থাকাটাও মনে হয় মন্দ ছিল না। আরোও কিছুদিন দেশেই ভালো কিছুর জন্য অপেক্ষা করা যেতো।

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

গোপাল ভাঁড় এর ছবি

খুব ভাল লাগছে। চলুক !

--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার

--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........

বিপ্রতীপ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ... হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

পরিবর্তনশীল এর ছবি

বাহ। দুর্দান্ত লাগছে পড়তে। দুর্দান্ত। রীতিমত আনন্দে আছেন। এর ওপর আবার সারাহ নামের এক মেয়েকে দেখে ফেললেন- যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে।

আশা করি প্রবাস জীবনে এরকম হাজার হাজার সারাহ'র দেখা পান। যাদের দিকে তাকালে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে মনে হয় ে। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সবজান্তা এর ছবি

খাইছে ! ভিনদেশের মাটিতে পা দিয়া সারেন নাই, সারা-রা চইলা আসছে !

মনে হইতেছে আপনার এই সিরিজে সামনের পর্বগুলাতে ১৮+ ট্যাগ লাগানো লাগবো চোখ টিপি

ভালো থাইকেন।

পুনশ্চঃ ঘটনা কী ? ইমেজশেক কবের থেকে ছবির নিচে এরকম নিজেদের নাম দেওয়া শুরু করলো ?


অলমিতি বিস্তারেণ

বিপ্রতীপ এর ছবি

হুম...আগের দুই পর্বে খেয়াল ছিল না। পরের পর্ব থেকে ১৮+ ট্যাগ লাগাবো চোখ টিপি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

Masud এর ছবি

Wonderful writting. Please post next one as early as possible.

বিপ্রতীপ এর ছবি

ধন্যবাদ...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুমম।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কী বলবো?
-চলুক! ভালো লাগছে!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

উন্মাতাল তারুণ্য এর ছবি

আগেরটার মতইও ভাল...

ওস্তাদ,
ইনশাল্লাহ...এই ভুল আর হবে না

খাঁড়াও, আন্টিরে এখনই ফোন লাগাইতেছি... দেঁতো হাসি

বিপ্রতীপ এর ছবি

পোলাপাইন শান্তি দিল না রে মন খারাপ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।