প্রবাসের কথা...[০৩]

বিপ্রতীপ এর ছবি
লিখেছেন বিপ্রতীপ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/১০/২০০৮ - ৬:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যুসহ নানান ব্যাক্তিগত কারনে মনটা কিছুদিন ধরে বিক্ষিপ্ত। সচলায়তনে ঢুকলেই জুবায়ের ভাইয়ের একটা কথা মাথার মাঝে ঘুরপাক খায়...'ঝাঁকে মিশে বেশ ছিলাম, এখন জেনে গেলেন তো! '। চুপিচুপি সচলায়তন ঘুরে যাই, লগইন করতে ইচ্ছে হয় না। বিষন্ন মনটাকে আরোও বিষন্ন করতে ইচ্ছে হয় না।

২।
দ্বিতীয়দিনেই আমার সুপারভাইজার বিশাল সাইজের একটা টেকনিক্যাল রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে বলেন, বাইপ্রো (এইখানে বেশিরভাগ মানুষ বিপ্র উচ্চারন করতে পারে না মন খারাপ ), চাইলে তুমি কিছুদিন বাসায় বসেই পড়তে পারো। কারন এডজাস্ট হওয়ার জন্য সময়ের দরকার আছে। এখন আমারে শুধু সপ্তাহ শেষে আপডেট দিবা।

সারাদিন বাসায় বসে থাকি। বাস ভাড়া ডলার থেকে টাকায় কনভার্ট করলে কোথাও ঘুরতে বের হইতে ইচ্ছে হয় না। মাস শেষ না হলে ফান্ডিংয়ের টাকাও পাওয়া যাবে না। এখন নিজের টাকায় ঘুরতে ইচ্ছে করে না। তার উপর টরেন্টো থেকে রেজিনার বিমানের টিকেট আর এপার্টমেন্ট পাওয়ার আগে পর্যন্ত কয়েকদিনে হোটেলে থাকার জন্য বেশ কিছু ডলার খরচ হয়ে গেছে। অবশ্য এখানে বাংলাদেশের সবাই ডলারকে টাকা বলে। এতে নাকি দুঃখটা একটু কমে। তাই মাঝে বিলাসিতা করে একখান সনি ভায়ো ল্যাপটপ কিনে ফেললাম ট্যাক্সসহ প্রায় এক হাজার টাকা…থুক্কু…ডলার দিয়ে । পুরানা আসুস ল্যাপটপটা ঝামেলা করতেছিলো। হয়তো ঠেলাইয়া ধাক্কাইয়া আরোও কিছুদিন চালানো যাইতো।মনরে বুঝাইলাম কোন এক সেমিস্টারে স্যারের এসাইনমেন্ট দেখা বা TA পাইলে একটা ল্যাপটপের দাম উঠে যাবে। প্রথমে ভাবলাম ডেল কিনবো…কিংকংয়ের কাছে খোঁজখবর নিলাম। কিন্তু এইখানে সবাই দেখি ডেলরে ধুমাইয়া গালিগালাজ করে, তাই আর সাহস পাইলাম না।আইবিএমও পছন্দ হইছিল…কিন্তু সাহসে কুলাইলো না। এইখানেও একটা কাহিনী হইছে। কানাডায় বেশির ভাগ জিনিসই ১৪ দিনের মাঝে পাল্টানো যায় বা ফেরত দেয়া যায় ।ফেরত দিলে পুরা মূল্য ফেরত। ভাবলাম ১৫ দিন ইউজ কইরা দেখি, ভালো না লাগলে ফেরত দিয়া দিমু। কেনার পর প্রতিদিন ফিউচার শপের ওয়েব সাইটে উঁকি মারি দাম কমলো কিনা। ১৩ তম দিন মাঝরাতে দেখি একই দামে আরেকটা ল্যাপটপ আসছে…প্রসেসর, হার্ডডিস্ক সবই বেশি, শুধু কালারটা একটু ক্ষেত টাইপের…সিলভার; আগেরটা ছিল কালো। ভাবলাম নিয়া নেই…রং ধুইয়া তো আর পানি খামু না।আমি কালো…আমার ল্যাপটপটা অন্তত ফর্সা হোক। সাথে ১২৯ ডলার বাঁচবে। ভোরের দিকে দেখি…ওদের স্টক শেষ। মনটাই খারাপ হইয়া গেলো। সকালে উঠলাম বারোটায়। ভাবলাম একবার ফিউচার শপে ফোন করে দেখি পাওয়া যায় কিনা। অনেক খুঁজে খাঁজে বলে একটা আছে, আইসা নিয়া যাও। ………………………সিলভার কালারটা খারাপ না…চোখ সয়ে গেছে।

৩।
অলসতার কারনে প্রবাসের কথা সিরিজটা লেখা হয়ে উঠে না। তাছাড়া হাতে অনেক কাজ জমে গেছে। গাদা খানেক রিডিং ম্যাটেরিয়েল পড়ে আছে। টপিকটা সম্পর্কে আগে একটু আধটু জানতাম। তবু চাপা মেরে আর বেশিদিন চালানো যাবে না।মাঝে মধ্যে লেখা শুরু করলেই ভাবি একটা মুভি দেখি...কি-বোর্ড এই সুযোগে বিশ্রাম পায়। সন্ধ্যা হলেই বাংলাদেশে ভোর হবার অপেক্ষায় থাকি। পরিচিত যাদেরকে দেশে থাকলে মাসে একবারও যোগাযোগ হতো না, তাদেরকে ঘুম ভাঙ্গিয়ে বিরক্ত করি। কথাবার্তার বড় অংশ জুড়ে থাকে খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গ। ওন্টারিও থেকে শর্মিষ্ঠাদি টুনার কাবাব বানানোর রেসিপি দেন। বানাতে গিয়ে দেখি, ভেঙ্গেভুঙ্গে সব ভর্তা হয়ে গেছে।নর্থ ক্যারোলিনা থেকে মামাতো বোন ফোন করে, আজকে নাকি শুটকি রান্না করেছে। মনটাই খারাপ হয়ে যায়।এইখানে শুটকি পাওয়া যায় না বাঙ্গালী কম বলে। যা পাওয়া যায় তাই রান্না করে খাই। খাবারের মাঝে বাংলাদেশ খুঁজে পাওয়ার জন্য তেলে গাদাখানেক মসলা দিয়ে দেই। তখনই মহিউদ্দিন ভাই তিড়িং বিড়িং করে লাফিয়ে জানালা খুলে দিয়ে বলেন, তোমরা উইন্টারে কি করবা? মেসেঞ্জারে, ফেসবুকেও অনেকে জিজ্ঞেস করে কি খাই? বাইরে খাই না নিজে রান্না করে খাই। তাদের চেখে দেখার জন্য...থুক্কু...চোখে দেখার জন্য ফেসবুকে গত একমাসের খাবার দাবার আপলোড করে দিলাম। কিছু আবার আমার বন্ধু অনি রান্না করেছে।

[সংবিধিবন্ধ সতর্কীকরণঃ জিভের জল সামলাতে টিস্যু হাতের কাছে রাখুন...]



auto
ছবিঃ খাসির মাংস



auto
ছবিঃ মুরগীর ডাল (আলাদা ডাল রান্না করার ধৈর্য্যে কুলায় না)



auto
ছবিঃ চিংড়ি...দেখতে ভালো হইছিলো...লবনের কারনে মুখে দিতে পারি নাই



auto
ছবিঃ শশা দিয়ে চিংড়ির ডাল



auto
ছবিঃ সস দিয়া মুরগী খাইতে খারাপ না...



auto
ছবিঃ ফুলকপির তরকারি



auto
ছবিঃ টুনা মাছের ভর্তা (এখানে ক্যানের মাছই ভরসা)



auto
ছবিঃ স্যামন মাছ...ভাবছিলাম না জানি কি...



auto
ছবিঃ সবজি





৪।
গত ২৯ তারিখ ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার ছিল। বেশির ভাগই এনার্জি রিলেটেড কোম্পানি। এর পরে আছে একাউন্টিং, এমবিএ। অবাক হবার মতো বিষয় আইটি হাতে গোনা দু’একটা চোখে পড়লো। এনার্জির মাঝে পেট্টোলিয়ামের সংখ্যাই বেশি, কিছু কিছু নবায়নযোগ্য শক্তিরও আছে । যাই হোক, লাভের লাভ যেটা হয়েছে সেটা হলো প্রতিটা স্টলেই কলম, মার্কার, পেন্সিল, স্কেল, শোপিস, চকোলেট, লিপজেল সহ বিভিন্ন ধরনের গাদাখানেক ফ্রি গিফট পাওয়া গেছে। প্রতিটা স্টলে গিয়া বিশাল আগ্রহ ভরে কথা বললাম…ক্যামনে কি [শুরুতেই গিয়াই তো আর ফ্রি কলম নেয়া যায় না…ভদ্রতা বলে একটা ব্যাপার আছে ;)]।এমনকি কানাডিয়ান আর্মির স্টলে গিয়েও কথাবার্তা বলে গিফট নিলাম। কানাডার আর্মিগুলার হাবভাব মেয়েলি টাইপের…একেবারেই রুক্ষতা কিংবা নিষ্ঠুরতার ছাপ নাই।

আগামী কয়েক সেমিস্টার কলম কিনতে হবে না…ভালো থাকলেই হয়… হাসি


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

চিংরিটা আমার পছন্দ মন খারাপ লবণ কমানোর তরিকা আছে। কয়া দিমুনে।

বিপ্রতীপ এর ছবি

আলমগীর ভাই,
তরিকাটা জানতে চাই...

আমি আর আমার বন্ধু মিলে অবশ্য আলু আর পানি দিয়া পুনরায় সিদ্ধ করতে গেছিলাম। পরে আর খেয়াল নাই...গিয়া দেখি তরকারি কয়লা হইয়া গেছে মন খারাপ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

খিদা পাইছে, যাই কিছু খায়া আসি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

বিপ্রতীপ এর ছবি

আমারও মন খারাপ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খাবারগুলো খাইতে কেমন ছিল জানি না, তবে দেখতে আসলেই ভাল লাগতেছে। এইটা কি রাধুনীর গুণে নাকি মশলার গুণে? চোখ টিপি

লেখা চলুক ....

বিপ্রতীপ এর ছবি

চিন্তার বিষয়...ক্যামেরার গুণেও হইতারে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

অমিত আহমেদ এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জব মার্কেটে ঘোরাঘুরি না কইরা কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে ঘুরতে পারেন... শেফ-এর চাকরি পায়া যাইতে পারবেন...
লগে এই ছবিগুলা রাইখেন...

নাহ্... ক্ষিধা লাগলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বিপ্রতীপ এর ছবি

ক্যান যে আবালের মতো বুয়েটে পাঁচটা বছর নষ্ট করলাম ... মন খারাপ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

রণদীপম বসু এর ছবি

এক্কেরে খাঁটি কথা কইছেন। তার চাইতে পাশের কোন ভাতের দোকানের পাচকের পেছনে ঘুরঘুর করলেও অনেক লাভ হইতো। আইজ লবণের কারণে, ইশ্, দেখতে দুর্দান্ত এই চিংড়ি তরকারীটা নষ্ট হইতো না !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, মুরগীর ডাল-টা খাইতে কেমন হইছিলো? আমি রান্না করতে পারি না সত্যি কিন্তু এই মুরগীর ডাল এর স্বাদ নিয়া কেমন যেন সন্দেহ জাগতাছে...

কল্পনা

...............................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

বিপ্রতীপ এর ছবি

মুরগীর ডালটা খারাপ হয় নাই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

রায়হান আবীর এর ছবি

দারুন লাগছে সিরিজ টা।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

ফাহিম [অতিথি] এর ছবি

প্রথম প্রথম রান্না করার কথা মনে পড়ে গেলো। এভাবেই হাত পুড়িয়ে, লবন বেশি দিয়ে রান্না করতে করতে একদিন দেখবেন পাকা রাধুণী হয়ে গেছেন, আশে পাশের ভাবীরা আপনার রান্না খেয়ে লজ্জা পাবে।

তবে একটা জিনিষ খেয়াল রাখতে হবে। আমার যেটা হয়েছিলো, মজার রান্না করে আর খেয়ে ওজন বেড়ে গিয়েছিলো। এখনো ওজন কমাতে রীতিমত সংগ্রাম করছি, লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। বিরক্ত হয়ে এখন রান্নাই বন্ধ করে দিয়েছি।

রান্না করুন, খাওয়া দাওয়া করুন, তবে ওজন সামলে............ চোখ টিপি

বিপ্রতীপ এর ছবি

হুম...গতমাসে একটু চাপ কম ছিল, তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন রান্না করতাম। এখন চাপ বাড়ছে। আগামী সপ্তাহে আবার রিপোর্ট, প্রেজেন্টেশন আছে। মনে হয় পুরো সপ্তাহের রান্না একদিনে করতে হবে ...
ওজন কমানোর কিছু টিপ্স-
১। রাগিব ভাইয়ের মতে বিদেশে বার্গার খেলে মোটা হবেন। সুতরাং ঠেকায় না পড়লে এই বস্তু খাবেন না। আমি দেশেও ফাস্টফুড কম খেতাম...এখানে এসে একদিনও ছুঁয়ে দেখিনি। দু'বেলা ভাত আর দিনে ৩-৪ মগ ব্ল্যাক কফি ছাড়া সাধারনত কিছু খাই না। মাঝেমধ্যে বিকেলে ক্ষিদে লাগলে হালকা পাতলা কিছু খাই...
২। ভাত কম খাবেন...তরকারি বেশি খাবেন দেঁতো হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

স্বপ্নাহত এর ছবি

খানাপিনার প্রতি আমার আগ্রহ এমনিতেই একটু কম। তারপরও জিহবায় কেমন সুড়সুড়ি লাগতেসে মন খারাপ

সিরিজটা ভালৈতেসে।

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

তানবীরা এর ছবি

আপনার বিয়ের জন্য এই ছবিগুলো যত্ন করে রাখেন, অশেষ উপকার পাবেন।
আমিও আগে স্টুডেন্ট থাকতে ফ্রী যতো রকম লানচ ডিনার কলম পেন্সিল আয়োজন হতো সিটিতে সব গুলোতে এ্যটেন্ড করতাম। ফ্রীর মজাই আলাদা।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

বিপ্রতীপ এর ছবি

বিয়ের জন্য না...বলেন বিয়ের পরের জন্য। তাহলে বউ 'বাপের বাড়ি চলে যাবো' টাইপের ফালতু ভয় দেখাতে সাহস পাবে না... চোখ টিপি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

তীরন্দাজ এর ছবি

ঈদের দিন, জ্বরে ভুগে পড়েছিলাম ঘরে। রান্না দেখে লোভ হচ্ছে।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বিপ্র, তরকারিগুলোর ছবি তো খুবই সুন্দর, খাইতে কেমন?

বিপ্রতীপ এর ছবি

চিংড়িটা লবনের কারনে আর সব্জিটা সসের কারনে মুখে দেয়া যায় নাই...বাকিগুলা চলে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

মুশফিকা মুমু এর ছবি

অ্যাঁ আপনি এত ভাল রান্না জানলেন কিভাবে?, আইটেম গুলি খুব মজার হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে। হাসি কিন্তু ফিস এর ডিস টা বললেন "স্যামন" মাছের, আপনি কি বলতে চাচ্ছেন "স্যালমন" মাছ?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

বিপ্রতীপ এর ছবি

এমনিতে কি আর কেউ শিখে। মাইনকা চিপায় পড়লে শিখতে হয়। যখন বুয়েট কোচিং করতে ঢাকা আসি, তখন একটা রুম ভাড়া করে আমরা দুই ফ্রেন্ড থাকতাম। কিন্তু বুয়া পাই না। দুইজনের রান্নায় তাদের লাভ নাই। প্রায় আড়াই মাস কোন বুয়া ছিল না। প্রতিদিন হোটেলে খেয়ে রীতিমতো অবস্থা খারাপ। তাছাড়া আশেপাশে কোন হোটেলও ছিল না। রিকশা দিয়ে যেতেও ইচ্ছে করতো না। শেষে বাধ্য হয়ে বাসায় মোবাইল করে রেসিপি জেনে নিতাম। তারপর অবশ্য সমস্যা হয় নাই, এক আত্মীয়র বাসায় উঠে গেছিলাম। বুয়েট থেকে বের হয়ে জবে ঢুকার আগ পর্যন্ত আবার ঝামেলায় পড়লাম। ওই মেসে আমরা চার বন্ধু ছিলাম। তখন আবার প্রথম সপ্তাহ বুয়া ছিল না। পরে বুয়া পেলেও সে মাসে ৫/৬ দিন কামাই করে। অবশ্য সমস্যা হতো না। কারন এই মেসে আমরা চার বন্ধুর তিনজনই রান্না জানতাম। যে একজন জানতো না, তার দায়িত্ব ছিল সবকিছু ধুয়ে সাফ করা...

___

স্যামন (Salmon) মাছই তো বলে সবাই?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

আপনারে চিনা চিনা লাগে! আমোগো জ্ঞাতিগুষ্টি থাকতো শিমুইল্যা(শিমূলিয়া)। তারাও ধর পদবী। ঠাকুরদাদায় মাস্টারি করতাইন ঐহানো। আমার কাসে হগলই হোনাকথা। হগলে পরে কইলকাতার আশেপাশে চইলা আইছিল।

বাংলাদেশ আমার কখনও না দেখা জন্মভূমি, সেখানেই জন্মানোর কথা ছিলো আমার। বাবা মা সবাই আগেই সেখান থেকে চলে গেলো কিনা! এক পিসি এখনো ওখানেই।
বাবামা এখনো দুজনেই একবার দেশ দেখতে যাবার আশা করেন।

বিপ্রতীপ এর ছবি

ভারতে আমার আত্মীয়-স্বজন খুবই হাতেগোনা...কলকাতায় কেউ নাই। শিলিগুড়ি আর আসামে আছেন...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

আলোর ছটা [অতিথি] এর ছবি

আমি অনির কাছে শুনেছি- তুমি ভাল রান্না কর। তরকারিগুলোর কালার দেখে কী আর বলব... বেচারা জিবের আর দোষ কি?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।